নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণসহ সব প্রস্তুতি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বুধবার (৯ জুলাই) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান।
রাতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম জানান, নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে আজকের প্রায় দুই ঘণ্টার মিটিংয়ে রিভিউ করা হয়েছে এবং আজকে অনেকগুলো ইম্পর্ট্যান্ট নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রথম নির্দেশনা ছিল যে, আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক যত প্রস্তুতি নির্বাচনকে ঘিরে, সব প্রস্তুতি এই ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে বলেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব আরও জানান, প্রস্তুতিগুলোর মধ্যে অনেকগুলো বিষয় রয়েছে, যেমন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ১৭ হাজার নতুন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হবে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশ, বিজিবি, কোস্ট গার্ড নিয়োগ, ট্রেনিং প্রক্রিয়া যাতে ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হয়, সে বিষয়ে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেক পাঁয়তারা হয় আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট করার। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী মাসগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করে, সে নির্দেশ দিয়েছেন।
মিটিংয়ে জানানো হয়েছে, আট লাখের মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন। প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন যাতে হয় সেটার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এই কাজ করতে হবে ডিসেম্বরের মধ্যে।
শেখ হাসিনার আমলের তিনটি নির্বাচনে তরুণদের কেউ ভোট দিতে পারেননি। প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে ১৮ থেকে ৩৩ বছর বয়সী ভোটারদের পৃথক ভোটার তালিকা করা হয় এবং নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে তাঁদের জন্য যাতে আলাদা ভোটিং বুথ রাখা হয়, সেটার জন্য বলেছেন।
নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কীভাবে মোতায়েন করা হবে, এটা একটা ইস্যু। সীমান্ত এলাকায় কীভাবে মোতায়েন হবে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কীভাবে হবে; কতজন আনসার থাকবেন, কতজন পুলিশ সদস্য থাকবেন, বিজিবি বা সেনাবাহিনী কীভাবে থাকবে, সেগুলো নিয়ে আজকের মিটিংয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বলা হয়েছে, ৪৭ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্র থাকবে এবং তাঁরা অ্যাসেসমেন্ট করে দেখেছেন যে, ১৬ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটটা সম্পন্ন করা যায়, সে জন্য প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন এবং সেটা নিয়ে আজকে অনেক বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
পুলিশের বডি ক্যামেরা রাখা এবং প্রত্যেকটা কেন্দ্র যাতে সিসিটিভির আওতায় আসে, সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সিসিটিভিগুলোর যাতে মনিটরিংটাও ঠিকমতো হয়, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে বলেছেন। নির্বাচনের সময় যে নির্বাহী হাকিম দায়িত্ব পালন করবেন, অনেক সময় ভোট বিষয়ে তাঁদের প্রশিক্ষণের অভাব থাকে। তাঁদের কীভাবে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে ভোটের জন্য প্রস্তুত করা যায়, সে বিষয়ে নির্দেশনা এসেছে।
আগে নির্বাচনের সময় চার দিন ধরে পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হতো। এবার বলা হচ্ছে যে, এটাকে কীভাবে সাত দিনের জন্য মোতায়েন করা যায়, যাতে ভোটের আগে সব ধরনের সহিংসতা প্রতিহত করা যায় এবং ভোটের পরেও যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট না হয়। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে ডিসি, এসপি, ওসিদের পুনর্বিন্যাসের কথা বলা হয়েছে।
সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, অ্যাসিস্ট্যান্ট অন হোম অ্যাফেয়ার্স, আইজিপি, কোস্ট গার্ডের ডিজি, ডিজি বিজিবি, স্বরাষ্ট্রসচিব, সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও আনসারের মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণসহ সব প্রস্তুতি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বুধবার (৯ জুলাই) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান।
রাতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম জানান, নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে আজকের প্রায় দুই ঘণ্টার মিটিংয়ে রিভিউ করা হয়েছে এবং আজকে অনেকগুলো ইম্পর্ট্যান্ট নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রথম নির্দেশনা ছিল যে, আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক যত প্রস্তুতি নির্বাচনকে ঘিরে, সব প্রস্তুতি এই ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে বলেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব আরও জানান, প্রস্তুতিগুলোর মধ্যে অনেকগুলো বিষয় রয়েছে, যেমন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ১৭ হাজার নতুন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হবে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশ, বিজিবি, কোস্ট গার্ড নিয়োগ, ট্রেনিং প্রক্রিয়া যাতে ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হয়, সে বিষয়ে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেক পাঁয়তারা হয় আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট করার। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী মাসগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করে, সে নির্দেশ দিয়েছেন।
মিটিংয়ে জানানো হয়েছে, আট লাখের মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন। প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন যাতে হয় সেটার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এই কাজ করতে হবে ডিসেম্বরের মধ্যে।
শেখ হাসিনার আমলের তিনটি নির্বাচনে তরুণদের কেউ ভোট দিতে পারেননি। প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে ১৮ থেকে ৩৩ বছর বয়সী ভোটারদের পৃথক ভোটার তালিকা করা হয় এবং নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে তাঁদের জন্য যাতে আলাদা ভোটিং বুথ রাখা হয়, সেটার জন্য বলেছেন।
নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কীভাবে মোতায়েন করা হবে, এটা একটা ইস্যু। সীমান্ত এলাকায় কীভাবে মোতায়েন হবে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কীভাবে হবে; কতজন আনসার থাকবেন, কতজন পুলিশ সদস্য থাকবেন, বিজিবি বা সেনাবাহিনী কীভাবে থাকবে, সেগুলো নিয়ে আজকের মিটিংয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বলা হয়েছে, ৪৭ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্র থাকবে এবং তাঁরা অ্যাসেসমেন্ট করে দেখেছেন যে, ১৬ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটটা সম্পন্ন করা যায়, সে জন্য প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন এবং সেটা নিয়ে আজকে অনেক বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
পুলিশের বডি ক্যামেরা রাখা এবং প্রত্যেকটা কেন্দ্র যাতে সিসিটিভির আওতায় আসে, সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সিসিটিভিগুলোর যাতে মনিটরিংটাও ঠিকমতো হয়, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে বলেছেন। নির্বাচনের সময় যে নির্বাহী হাকিম দায়িত্ব পালন করবেন, অনেক সময় ভোট বিষয়ে তাঁদের প্রশিক্ষণের অভাব থাকে। তাঁদের কীভাবে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে ভোটের জন্য প্রস্তুত করা যায়, সে বিষয়ে নির্দেশনা এসেছে।
আগে নির্বাচনের সময় চার দিন ধরে পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হতো। এবার বলা হচ্ছে যে, এটাকে কীভাবে সাত দিনের জন্য মোতায়েন করা যায়, যাতে ভোটের আগে সব ধরনের সহিংসতা প্রতিহত করা যায় এবং ভোটের পরেও যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট না হয়। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে ডিসি, এসপি, ওসিদের পুনর্বিন্যাসের কথা বলা হয়েছে।
সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, অ্যাসিস্ট্যান্ট অন হোম অ্যাফেয়ার্স, আইজিপি, কোস্ট গার্ডের ডিজি, ডিজি বিজিবি, স্বরাষ্ট্রসচিব, সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও আনসারের মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, তাঁর দেশ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে ১২টি সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে। শিল্প, বাণিজ্য, শিক্ষা, পরিবেশ সুরক্ষা ও পানিসম্পদসহ ১২টি ক্ষেত্রে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে তিন দেশ কাজ করছে।
৪ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর চীনের সঙ্গে কুটনৈতিক ও ব্যবসায়ী সম্পর্ক জোরদার করেছে সরকার। চীনা বিনিয়োগের গতিও বাড়ছে দিন দিন। তারই ধারবাহিকতায় সাত মাসে ৪০ কোটি ডলারের চীনা বিনিয়োগ পেয়েছে বাংলাদেশ।
১২ মিনিট আগেত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছর ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বুধবার (৯ জুলাই) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বৈঠকে তিনি এই নি
১৮ মিনিট আগেসমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ২ হাজার ৯৪ জন যৌনকর্মীকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিচ্ছে। নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন নারীপক্ষের মাধ্যমে যৌনকর্মীদের ব্যাংক হিসাবে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে। যৌনকর্মীদের মানবাধিকার রক্ষার দাবিতে গড়ে ওঠা মোর্চা ‘সংহতি’ বুধবার (৯ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ
১ ঘণ্টা আগে