নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বুধবার (৯ জুলাই) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত বৈঠকে তিনি এই নির্দেশনা দেন।
প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠকের পরে রাতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানান, নির্বাচনের প্রস্তুতির সার্বিক বিষয়ে বৈঠকে পর্যালোচনা হয় এবং অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
শফিকুল আলম আরও জানান, প্রথম নির্দেশনা ছিল যে, আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক যত প্রস্তুতি নির্বাচনকে ঘিরে, সব প্রস্তুতি এই ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। তিনি আরও জানান, নির্বাচন ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে হবে। এর অর্থ হলো, নির্বাচনের জন্য যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দরকার, তার প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করতে হবে।
প্রস্তুতির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে প্রেস সচিব জানান, অনেকগুলো বিষয় আছে, যেমন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ১৭ হাজার নতুন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হবে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশ, বিজিবি, কোস্ট গার্ড নিয়োগ, ট্রেনিং প্রক্রিয়া যাতে ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হয়, সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট করার অনেক পাঁয়তারা হয়। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী মাসগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করে, সে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি জানান, আট লাখের মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাঁদের সবাইকে ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রশিক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রেস সচিব বলেন, নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কীভাবে মোতায়েন করা হবে, এটা একটা ইস্যু। সীমান্ত এলাকায় কীভাবে মোতায়েন হবে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কীভাবে হবে, কতজন আনসার সদস্য থাকবেন, কতজন পুলিশ সদস্য থাকবেন, বিজিবি বা সেনাবাহিনী কীভাবে থাকবে, সেগুলো নিয়ে মিটিংয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বলা হয়েছে যে, ৪৭ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্র থাকবে এবং তাঁরা অ্যাসেসমেন্ট করে দেখেছেন যে, ১৬ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটটা সম্পন্ন করা যায়, সে জন্য প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন এবং সেটা নিয়ে আজকে অনেক বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
শফিকুল আলম আরও বলেন, পুলিশের বডি ক্যামেরা রাখা এবং প্রত্যেকটা কেন্দ্র যাতে সিসিটিভির আওতায় আসে, সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সিসিটিভিগুলোর মনিটরিংটাও যাতে ঠিকমতো হয়, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে বলেছেন। নির্বাচনের সময় যে নির্বাহী হাকিম দায়িত্ব পালন করবেন, অনেক সময় এই ভোট বিষয়ে তাঁদের প্রশিক্ষণের অভাব থাকে। তাঁদের কীভাবে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে ভোটের জন্য প্রস্তুত করা যায়, সে বিষয়ে নির্দেশনা এসেছে।
আগে নির্বাচনের সময় চার দিন পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনী অতিরিক্ত মোতায়েন করা হতো জানিয়ে তিনি জানান, এবার বলা হচ্ছে যে, এটাকে কীভাবে সাত দিনের জন্য মোতায়েন করা যায়। যাতে ভোটের আগে সব ধরনের সহিংসতা প্রতিহত করা যায় এবং ভোটের পরেও যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট না হয়। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে ডিসি, এসপি, ওসিদের পুনর্বিন্যাসের কথা বলা হয়েছে।
সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপি, কোস্ট গার্ডের ডিজি, বিজিবির ডিজি ও আনসারের মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বুধবার (৯ জুলাই) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত বৈঠকে তিনি এই নির্দেশনা দেন।
প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠকের পরে রাতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানান, নির্বাচনের প্রস্তুতির সার্বিক বিষয়ে বৈঠকে পর্যালোচনা হয় এবং অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
শফিকুল আলম আরও জানান, প্রথম নির্দেশনা ছিল যে, আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক যত প্রস্তুতি নির্বাচনকে ঘিরে, সব প্রস্তুতি এই ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। তিনি আরও জানান, নির্বাচন ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে হবে। এর অর্থ হলো, নির্বাচনের জন্য যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দরকার, তার প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করতে হবে।
প্রস্তুতির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে প্রেস সচিব জানান, অনেকগুলো বিষয় আছে, যেমন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ১৭ হাজার নতুন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হবে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশ, বিজিবি, কোস্ট গার্ড নিয়োগ, ট্রেনিং প্রক্রিয়া যাতে ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হয়, সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট করার অনেক পাঁয়তারা হয়। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী মাসগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করে, সে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি জানান, আট লাখের মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাঁদের সবাইকে ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রশিক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রেস সচিব বলেন, নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কীভাবে মোতায়েন করা হবে, এটা একটা ইস্যু। সীমান্ত এলাকায় কীভাবে মোতায়েন হবে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কীভাবে হবে, কতজন আনসার সদস্য থাকবেন, কতজন পুলিশ সদস্য থাকবেন, বিজিবি বা সেনাবাহিনী কীভাবে থাকবে, সেগুলো নিয়ে মিটিংয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বলা হয়েছে যে, ৪৭ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্র থাকবে এবং তাঁরা অ্যাসেসমেন্ট করে দেখেছেন যে, ১৬ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটটা সম্পন্ন করা যায়, সে জন্য প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন এবং সেটা নিয়ে আজকে অনেক বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
শফিকুল আলম আরও বলেন, পুলিশের বডি ক্যামেরা রাখা এবং প্রত্যেকটা কেন্দ্র যাতে সিসিটিভির আওতায় আসে, সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সিসিটিভিগুলোর মনিটরিংটাও যাতে ঠিকমতো হয়, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে বলেছেন। নির্বাচনের সময় যে নির্বাহী হাকিম দায়িত্ব পালন করবেন, অনেক সময় এই ভোট বিষয়ে তাঁদের প্রশিক্ষণের অভাব থাকে। তাঁদের কীভাবে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে ভোটের জন্য প্রস্তুত করা যায়, সে বিষয়ে নির্দেশনা এসেছে।
আগে নির্বাচনের সময় চার দিন পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনী অতিরিক্ত মোতায়েন করা হতো জানিয়ে তিনি জানান, এবার বলা হচ্ছে যে, এটাকে কীভাবে সাত দিনের জন্য মোতায়েন করা যায়। যাতে ভোটের আগে সব ধরনের সহিংসতা প্রতিহত করা যায় এবং ভোটের পরেও যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট না হয়। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে ডিসি, এসপি, ওসিদের পুনর্বিন্যাসের কথা বলা হয়েছে।
সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপি, কোস্ট গার্ডের ডিজি, বিজিবির ডিজি ও আনসারের মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে গণআন্দোলনের সময়কার সহিংস দমন অভিযানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জড়িত থাকার অভিযোগে নতুন অডিওপ্রমাণ সামনে এনেছে বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা নিজেই আন্দোলনকারীদের দমন করার জন্য সরাসরি গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন। নতুন এই তথ্য প্রকাশের পর সরব হয়েছে আন্তর্জাতিক
১ ঘণ্টা আগেসাজা থেকে বাঁচতে দল বেঁধে চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা। গত দুই দিনে আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের তিন শর বেশি কর্মকর্তা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের কাছে ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সঙ্গে যুক্ত
১ ঘণ্টা আগেঢাকায় একটি ‘চায়না টাউন’ প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। চীন-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ ও শিল্প সহযোগিতা প্রসারে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এই প্রস্তাব রাখেন।
৩ ঘণ্টা আগেচীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, তাঁর দেশ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে ১২টি সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে। শিল্প, বাণিজ্য, শিক্ষা, পরিবেশ সুরক্ষা ও পানিসম্পদসহ ১২টি ক্ষেত্রে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে তিন দেশ কাজ করছে।
৩ ঘণ্টা আগে