Ajker Patrika

বেনজীরকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২: ০৩
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। ফাইল ছবি

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক হাফিজুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত থেকে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আবেদনে বলা হয়, বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা অবৈধভাবে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে থেকে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁকে গ্রেপ্তার করে দেশে আনা প্রয়োজন। এ জন্য ইন্টারপোলের সহযোগিতায় তাঁকে দেশে আনা যাবে।

আবেদনে বলা হয়, ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করার জন্য আদালতের নির্দেশনা প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত নির্দেশ দেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বেনজীরের পরিবার অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছে। ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে চার মামলা করে দুদক। মামলায় বেনজীর পরিবারের বিরুদ্ধে ৭৪ কোটি ১৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

২০২৪ সালের ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদিনের চেরাগ’ এবঙ ৩ এপ্রিল ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। সেখানে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে।

এরপর ১৮ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের এক সভায় অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়। পরে অনুসন্ধানে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের নামে ৬৯৭ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, ঢাকায় ১২টি ফ্ল্যাট, ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও তিনটি বিও হিসাব খুঁজে পেয়ে আদালতের আদেশে এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করে দুদক।

বেনজীরের বিরুদ্ধে এপ্রিলে অনুসন্ধান শুরু হওয়ার পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি দেশত্যাগ করেন। এরই মধ্যে ২৮ মে তাঁদের অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দফায় তলব করলেও তাঁরা দুদকে আসেননি।

আর গত ২ জুলাই বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী চেয়ে পৃথক নোটিশ পাঠিয়েছিল দুদক। নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে আগস্টের মাঝামাঝি আইনজীবীর মাধ্যমে পুলিশের সাবেক প্রধান তাঁর পরিবারের চার সদস্যের সম্পদ বিবরণী জমা দেন।

এর আগে গত বছরের ২৩ মে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের ৮৩টি দলিলের সম্পত্তি ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) এবং ৩৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।

অন্যদিকে গত ২৬ মে আদালত বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামের ১১৯টি জমির দলিল, ২৩টি কোম্পানির শেয়ার এবঙ গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন। সব মিলিয়ে ৬২৭ বিঘা জমি ক্রোক করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব সম্পত্তি দেখভালে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে।

বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশের আইজি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মুসলিম ছেলে বিয়ে করে পরিবারহারা, স্বামী পরিত্যক্ত হয়ে ঢাকায় এসে ধর্ষণের শিকার

সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন

মাদারীপুরে ৩ খুন: ঘটনার পেছনে পা ভাঙার প্রতিশোধসহ ৩ কারণ

ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুর ছবি-পরিচয় প্রকাশ করলেই আটক

আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন, দেশের অবস্থা ভালো না: কাদের সিদ্দিকী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত