কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স এবং দেশের মাটিকে অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে না দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ সরকার নিয়েছে, তা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি ফিরিয়েছে।
এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বনশ্রীতে দৈনিক আজকের পত্রিকার কার্যালয় পরিদর্শনে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ত্রিপুরার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সুস্থ ও সুরক্ষিত থাকলে ভারত বিশেষ করে উত্তর-পূর্বের দুটি রাজ্য সুরক্ষিত থাকবে।’
দেশের মাটিকে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ব্যবহার না করতে দেওয়া নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ দিন ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। বিশেষ করে ত্রিপুরার অবস্থা একেবারে শোচনীয় ছিল। আমাদের ঘর থেকে বের হওয়ার মতো অবস্থা ছিল না।’
এক শ্রেণির রাজনৈতিক বা জঙ্গি সংগঠনের নেতারা পরিস্থিতি বিরূপ করে রেখেছিল উল্লেখ করে রামপ্রসাদ পাল বলেন, ‘তাঁদের সমস্ত আস্তানা ছিল বাংলাদেশে। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আমাদের অপহরণ করে গভীর জঙ্গলে নিয়ে আটকে রাখত। আমার স্ত্রীর ভাইকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে, সে দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। প্রায় তিন মাস পরে ৪০ লাখ রুপি দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনতে হয়েছে।’
ত্রিপুরার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ রকম হাজারো ঘটনা শুধু ত্রিপুরাতেই রয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কারণে সেখানে শুধু বাঙালিরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব কাজ চলতো বাংলাদেশের সীমান্তে। তবে আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর এ ধরনের ঘটনা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়েছে। তার আগে বন্ধ হয়েছিল, তবে তা ছিল সাময়িক। এ পদক্ষেপের কারণে আমরা শান্তিতে রয়েছি।’
রামপ্রসাদ পালের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ত্রিশ বছরের বেশি। রাজনীতি শুরু করেন কংগ্রেসের হাত ধরে। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে আদর্শিক দ্বন্দ্বের কারণে পরে যোগ দেন স্বেচ্ছা-সেবক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে (আরএসএস)। এরপর যোগ দেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি)।
রামপ্রসাদ পালের মা-বাবা ছিলেন অবিভক্ত বাংলার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ১৯৬৪ সালে তাঁরা সেখান থেকে চলে যান ত্রিপুরাতে। এর আগে ২০০৩ সালে একবার বাংলাদেশে এসেছিলেন রামপ্রসাদ। ভারতের অন্য যে কোনো রাজ্যের চেয়ে বাংলাদেশের সঙ্গেই ত্রিপুরার বেশি মিল খুঁজে পান রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বর্তমানে দুই দেশের সম্পর্ক বেশ গভীর। এ সম্পর্ক আরও গভীরতর করাই তাঁর সফরের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তিনি।
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স এবং দেশের মাটিকে অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে না দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ সরকার নিয়েছে, তা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি ফিরিয়েছে।
এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বনশ্রীতে দৈনিক আজকের পত্রিকার কার্যালয় পরিদর্শনে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ত্রিপুরার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সুস্থ ও সুরক্ষিত থাকলে ভারত বিশেষ করে উত্তর-পূর্বের দুটি রাজ্য সুরক্ষিত থাকবে।’
দেশের মাটিকে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ব্যবহার না করতে দেওয়া নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ দিন ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। বিশেষ করে ত্রিপুরার অবস্থা একেবারে শোচনীয় ছিল। আমাদের ঘর থেকে বের হওয়ার মতো অবস্থা ছিল না।’
এক শ্রেণির রাজনৈতিক বা জঙ্গি সংগঠনের নেতারা পরিস্থিতি বিরূপ করে রেখেছিল উল্লেখ করে রামপ্রসাদ পাল বলেন, ‘তাঁদের সমস্ত আস্তানা ছিল বাংলাদেশে। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আমাদের অপহরণ করে গভীর জঙ্গলে নিয়ে আটকে রাখত। আমার স্ত্রীর ভাইকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে, সে দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। প্রায় তিন মাস পরে ৪০ লাখ রুপি দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনতে হয়েছে।’
ত্রিপুরার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ রকম হাজারো ঘটনা শুধু ত্রিপুরাতেই রয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কারণে সেখানে শুধু বাঙালিরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব কাজ চলতো বাংলাদেশের সীমান্তে। তবে আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর এ ধরনের ঘটনা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়েছে। তার আগে বন্ধ হয়েছিল, তবে তা ছিল সাময়িক। এ পদক্ষেপের কারণে আমরা শান্তিতে রয়েছি।’
রামপ্রসাদ পালের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ত্রিশ বছরের বেশি। রাজনীতি শুরু করেন কংগ্রেসের হাত ধরে। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে আদর্শিক দ্বন্দ্বের কারণে পরে যোগ দেন স্বেচ্ছা-সেবক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে (আরএসএস)। এরপর যোগ দেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি)।
রামপ্রসাদ পালের মা-বাবা ছিলেন অবিভক্ত বাংলার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ১৯৬৪ সালে তাঁরা সেখান থেকে চলে যান ত্রিপুরাতে। এর আগে ২০০৩ সালে একবার বাংলাদেশে এসেছিলেন রামপ্রসাদ। ভারতের অন্য যে কোনো রাজ্যের চেয়ে বাংলাদেশের সঙ্গেই ত্রিপুরার বেশি মিল খুঁজে পান রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বর্তমানে দুই দেশের সম্পর্ক বেশ গভীর। এ সম্পর্ক আরও গভীরতর করাই তাঁর সফরের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুভ সন্ধ্যা, আজ রোববার ২ ফেব্রুয়ারি। শীতের দাপট কমতে শুরুতে, তবে সকালে কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশার কারণে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। ঢাকায় ইজতেমাসহ বেশ কয়েকটি ঘটনায় যানজটে চরম ভোগান্তি হয়েছে। রাজধানীতে গণ–অভ্যুত্থানে আহতদের বিক্ষোভ ও তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এর অন্যতম কারণ। এছাড়া দেশ-বিদেশে দিনভর
১৯ মিনিট আগেনতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেল বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি। দলটির জন্য প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ফুলকপি। ইসি সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে...
৩৫ মিনিট আগেসরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার দাবির যৌক্তিকতা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি জানান, সাত কলেজ নিয়ে পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের কাজ চলছে, তবে শুধু তিতুমীর কলেজের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা নেই। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে কলেজের সামনে
৩৫ মিনিট আগেগণ-অভ্যুত্থানে আহতদের সারা জীবনের জন্য চিকিৎসা এবং অন্যান্য ভাতা দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন আছে। যারা আহত হয়েছেন, যারা নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারের প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অতি বেশি সহানুভূতি প্রবণ। তাদের বিষয়টি অতি গুরুত্ব দিয়ে সরকার কাজ করছে...
১ ঘণ্টা আগে