Ajker Patrika

প্রতিমন্ত্রী নয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নিতে চাওয়ায় এক শিক্ষক বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৮ মে ২০২৩, ২৩: ১৫
প্রতিমন্ত্রী নয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নিতে চাওয়ায় এক শিক্ষক বরখাস্ত

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পদ নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করায় তিন শিক্ষককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে দুই জন জাতীয় পদকপ্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ শিক্ষকও রয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক নির্দেশনায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি। 

অভিযুক্ত রাজবাড়ীর স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম, জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান জাতীয় পদকপ্রাপ্ত।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে একজন সহকারী শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি প্রচলিত বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতা পাবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

অভিযোগে বলা হয়, ঢাকায় গত ১১ মার্চ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩ এবং প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০১৯ ও ২০২২ প্রদানের মহড়া অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের হাত থেকে পদক গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়ে মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার প্রদান করেন। এ তিন শিক্ষক এবং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী অন্যদের সাক্ষাৎকার প্রদানে উৎসাহিত করায় অনুষ্ঠানের শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়। বিষয়টি সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আচরণ পরিপন্থী। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ১২ (১) ধারা মোতাবেক একজনকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

এর আগে বিষয়টি নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি বলেন, ‘আমি পদক তো নিয়েছি। মহড়ার দিন আমরা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পদক নেওয়ার কথা বলেছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক চাওয়া অপরাধ নয়। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক পাওয়া আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো। আর সে কারণেই আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নিতে চেয়েছিলাম। এই অপরাধে আমাকে সরাসরি সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়নি।’

এ প্রসঙ্গে জানতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতকে একাধিকবার ফোন কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত