আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আওয়ামী লীগ শাসনামলে শেখ হাসিনার সব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে আনতে ট্রুথ কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে ‘সাধারণ নাগরিক’ প্ল্যাটফর্ম। এ কমিশনের লক্ষ্য হবে শেখ হাসিনার হত্যা, গুম, দুর্নীতি ও লুটপাটের আমলনামা তৈরি করা।
এ ছাড়া আয়নাঘরে ভিকটিম পরিবার ও সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা ও জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আওয়ামী লীগ ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ সবার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সাধারণ নাগরিকের ব্যানারে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ এ দাবি জানান তাঁরা। কর্মসূচির আয়োজন করেন জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নাগরিকদের একটি অংশ।
কর্মসূচির অন্যতম আয়োজক বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নির্বাহী কমিটির সদস্য অনিক রায় বলেন, ‘এই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছিল। তাদের ম্যান্ডেট ছিল জুলাই হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনাসহ সব জড়িত অপরাধীর বিচার, আহতদের চিকিৎসা ও শহীদদের পুনর্বাসন করা। কিন্তু আমরা দেখছি তারা সেই কাজ করছে না। এখন পর্যন্ত শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকাও করা হয়নি। এই সরকারকে বলতে চাই হানিমুন পিরিয়ড শেষ। শুধু গাড়ি নিয়ে ঘুরলেই হবে না। এখন কাজের সময়। কাজ না হলে আমাদের আবার রাস্তায় নামতে হবে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, অবিলম্বে ট্রুথ কমিশন করার মাধ্যমে শেখ হাসিনার সব অপরাধের আমলনামা তৈরি করতে হবে।’
অনিক রায় আরও বলেন, ‘যৌথ বাহিনীর অভিযানে এবং পুলিশ হেফাজতে এখনো মানুষ মরছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যে কাজের জন্য তারা নেমেছিল, তার অবস্থা খুব খারাপ। এটা প্রমাণ করে যে, আমাদের ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ কোন পর্যায়ে আছে।’
লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট তুহিন খান বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে ২০১৩ সালে একটি জাতীয় বিভাজন ও রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আওয়ামী লীগের বিচার নিয়েও এমন একটা পরিস্থিতি হোক তা আমরা চাই না। তাই এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত নিশ্চিত করা। কিন্তু যে ট্রাইব্যুনালে এই বিচার চলছে, এটি একটি বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল। এই ট্রাইব্যুনালের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অনেক সমালোচনা আছে। এই ট্রাইব্যুনালে যাঁদের বিচার করা হবে তাঁরা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত অনেক মানবাধিকার পাবেন না; এ ধরনের প্রভিশন আছে। এ ছাড়া আরও নানা কারণে এটি বিতর্কিত। আর কেবল ২০-৩০ জন লোকের বিচার করে, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়া ১৬ বছরের এই ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন করা সম্ভবও না। তাই এই ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটনের জন্য অবিলম্বে একটি ট্রুথ কমিশন তৈরি করতে হবে।’
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ওলিউর সান বলেন, ‘গত ১৫ বছরে যারা জনগণের ওপর জুলুম করেছে, তাদের বিচারের যথাযথ কোনো উদ্যোগ দেখছি না। সরকারের ওপর যদি ভেতরে বাইরে চাপ থাকে, তা জনগণকে জানান। আমরা রাস্তায় আছি। কিন্তু বিচারের প্রক্রিয়া কালবিলম্ব করা চলবে না।’

অধিকারকর্মী মাহতাবউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা এখনো কেন ভারতে। ৬ মাস হলো কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই। সংস্কারের নামে অন্তর্বর্তী সরকার স্টান্টবাজি করছে, কিন্তু অ্যাকশন দেখাতে পারছে না।’
কবি ফেরদৌস আরা রুমি বলেন, ‘খবরে এসেছে, এক-তৃতীয়াংশ আওয়ামী লীগ কর্মী পালিয়েছেন। তাঁরা কীভাবে পালালেন। দেশে কোনো আইনশৃঙ্খলা নেই।’
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আবু রায়হান খান বলেন, ‘আহতরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। একজন উপদেষ্টাও আসেন না। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপে ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে সরকার। দায়িত্ব পালন না করতে পারলে আমাদের জানান।’
সাংবাদিক সাদিক মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘যতক্ষণ না শেখ হাসিনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত হবে, ততক্ষণ মব আটকানো যাবে না। মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভকে বুঝতে হবে সরকারকে। তা না হলে এই সরকারের বিরুদ্ধেও মানুষ রাস্তায় নামবে।’
সমাবেশে আরও অংশ নেন গুমের শিকার ৪ জন। তাঁদের মধ্যে ৩৯ বছর বয়সী মো. মুকুল হোসেন বলেন, ‘৯৪ দিন আমি ছিলাম আয়নাঘরে। অসংখ্যবার নির্যাতিত হয়েছি। আমরা এখানে যে চারজন উপস্থিত আছি, তারা সবাই বিগত সরকারের আমলে গুমের শিকার হয়েছিলাম। আমাদের সঙ্গে হওয়া অবিচারের বিচার চাচ্ছি।’

আওয়ামী লীগ শাসনামলে শেখ হাসিনার সব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে আনতে ট্রুথ কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে ‘সাধারণ নাগরিক’ প্ল্যাটফর্ম। এ কমিশনের লক্ষ্য হবে শেখ হাসিনার হত্যা, গুম, দুর্নীতি ও লুটপাটের আমলনামা তৈরি করা।
এ ছাড়া আয়নাঘরে ভিকটিম পরিবার ও সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা ও জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আওয়ামী লীগ ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ সবার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সাধারণ নাগরিকের ব্যানারে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ এ দাবি জানান তাঁরা। কর্মসূচির আয়োজন করেন জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নাগরিকদের একটি অংশ।
কর্মসূচির অন্যতম আয়োজক বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নির্বাহী কমিটির সদস্য অনিক রায় বলেন, ‘এই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছিল। তাদের ম্যান্ডেট ছিল জুলাই হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনাসহ সব জড়িত অপরাধীর বিচার, আহতদের চিকিৎসা ও শহীদদের পুনর্বাসন করা। কিন্তু আমরা দেখছি তারা সেই কাজ করছে না। এখন পর্যন্ত শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকাও করা হয়নি। এই সরকারকে বলতে চাই হানিমুন পিরিয়ড শেষ। শুধু গাড়ি নিয়ে ঘুরলেই হবে না। এখন কাজের সময়। কাজ না হলে আমাদের আবার রাস্তায় নামতে হবে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, অবিলম্বে ট্রুথ কমিশন করার মাধ্যমে শেখ হাসিনার সব অপরাধের আমলনামা তৈরি করতে হবে।’
অনিক রায় আরও বলেন, ‘যৌথ বাহিনীর অভিযানে এবং পুলিশ হেফাজতে এখনো মানুষ মরছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যে কাজের জন্য তারা নেমেছিল, তার অবস্থা খুব খারাপ। এটা প্রমাণ করে যে, আমাদের ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ কোন পর্যায়ে আছে।’
লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট তুহিন খান বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে ২০১৩ সালে একটি জাতীয় বিভাজন ও রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আওয়ামী লীগের বিচার নিয়েও এমন একটা পরিস্থিতি হোক তা আমরা চাই না। তাই এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত নিশ্চিত করা। কিন্তু যে ট্রাইব্যুনালে এই বিচার চলছে, এটি একটি বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল। এই ট্রাইব্যুনালের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অনেক সমালোচনা আছে। এই ট্রাইব্যুনালে যাঁদের বিচার করা হবে তাঁরা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত অনেক মানবাধিকার পাবেন না; এ ধরনের প্রভিশন আছে। এ ছাড়া আরও নানা কারণে এটি বিতর্কিত। আর কেবল ২০-৩০ জন লোকের বিচার করে, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়া ১৬ বছরের এই ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন করা সম্ভবও না। তাই এই ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটনের জন্য অবিলম্বে একটি ট্রুথ কমিশন তৈরি করতে হবে।’
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ওলিউর সান বলেন, ‘গত ১৫ বছরে যারা জনগণের ওপর জুলুম করেছে, তাদের বিচারের যথাযথ কোনো উদ্যোগ দেখছি না। সরকারের ওপর যদি ভেতরে বাইরে চাপ থাকে, তা জনগণকে জানান। আমরা রাস্তায় আছি। কিন্তু বিচারের প্রক্রিয়া কালবিলম্ব করা চলবে না।’

অধিকারকর্মী মাহতাবউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা এখনো কেন ভারতে। ৬ মাস হলো কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই। সংস্কারের নামে অন্তর্বর্তী সরকার স্টান্টবাজি করছে, কিন্তু অ্যাকশন দেখাতে পারছে না।’
কবি ফেরদৌস আরা রুমি বলেন, ‘খবরে এসেছে, এক-তৃতীয়াংশ আওয়ামী লীগ কর্মী পালিয়েছেন। তাঁরা কীভাবে পালালেন। দেশে কোনো আইনশৃঙ্খলা নেই।’
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আবু রায়হান খান বলেন, ‘আহতরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। একজন উপদেষ্টাও আসেন না। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপে ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে সরকার। দায়িত্ব পালন না করতে পারলে আমাদের জানান।’
সাংবাদিক সাদিক মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘যতক্ষণ না শেখ হাসিনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত হবে, ততক্ষণ মব আটকানো যাবে না। মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভকে বুঝতে হবে সরকারকে। তা না হলে এই সরকারের বিরুদ্ধেও মানুষ রাস্তায় নামবে।’
সমাবেশে আরও অংশ নেন গুমের শিকার ৪ জন। তাঁদের মধ্যে ৩৯ বছর বয়সী মো. মুকুল হোসেন বলেন, ‘৯৪ দিন আমি ছিলাম আয়নাঘরে। অসংখ্যবার নির্যাতিত হয়েছি। আমরা এখানে যে চারজন উপস্থিত আছি, তারা সবাই বিগত সরকারের আমলে গুমের শিকার হয়েছিলাম। আমাদের সঙ্গে হওয়া অবিচারের বিচার চাচ্ছি।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আওয়ামী লীগ শাসনামলে শেখ হাসিনার সব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে আনতে ট্রুথ কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে ‘সাধারণ নাগরিক’ প্ল্যাটফর্ম। এ কমিশনের লক্ষ্য হবে শেখ হাসিনার হত্যা, গুম, দুর্নীতি ও লুটপাটের আমলনামা তৈরি করা।
এ ছাড়া আয়নাঘরে ভিকটিম পরিবার ও সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা ও জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আওয়ামী লীগ ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ সবার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সাধারণ নাগরিকের ব্যানারে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ এ দাবি জানান তাঁরা। কর্মসূচির আয়োজন করেন জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নাগরিকদের একটি অংশ।
কর্মসূচির অন্যতম আয়োজক বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নির্বাহী কমিটির সদস্য অনিক রায় বলেন, ‘এই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছিল। তাদের ম্যান্ডেট ছিল জুলাই হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনাসহ সব জড়িত অপরাধীর বিচার, আহতদের চিকিৎসা ও শহীদদের পুনর্বাসন করা। কিন্তু আমরা দেখছি তারা সেই কাজ করছে না। এখন পর্যন্ত শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকাও করা হয়নি। এই সরকারকে বলতে চাই হানিমুন পিরিয়ড শেষ। শুধু গাড়ি নিয়ে ঘুরলেই হবে না। এখন কাজের সময়। কাজ না হলে আমাদের আবার রাস্তায় নামতে হবে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, অবিলম্বে ট্রুথ কমিশন করার মাধ্যমে শেখ হাসিনার সব অপরাধের আমলনামা তৈরি করতে হবে।’
অনিক রায় আরও বলেন, ‘যৌথ বাহিনীর অভিযানে এবং পুলিশ হেফাজতে এখনো মানুষ মরছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যে কাজের জন্য তারা নেমেছিল, তার অবস্থা খুব খারাপ। এটা প্রমাণ করে যে, আমাদের ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ কোন পর্যায়ে আছে।’
লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট তুহিন খান বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে ২০১৩ সালে একটি জাতীয় বিভাজন ও রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আওয়ামী লীগের বিচার নিয়েও এমন একটা পরিস্থিতি হোক তা আমরা চাই না। তাই এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত নিশ্চিত করা। কিন্তু যে ট্রাইব্যুনালে এই বিচার চলছে, এটি একটি বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল। এই ট্রাইব্যুনালের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অনেক সমালোচনা আছে। এই ট্রাইব্যুনালে যাঁদের বিচার করা হবে তাঁরা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত অনেক মানবাধিকার পাবেন না; এ ধরনের প্রভিশন আছে। এ ছাড়া আরও নানা কারণে এটি বিতর্কিত। আর কেবল ২০-৩০ জন লোকের বিচার করে, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়া ১৬ বছরের এই ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন করা সম্ভবও না। তাই এই ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটনের জন্য অবিলম্বে একটি ট্রুথ কমিশন তৈরি করতে হবে।’
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ওলিউর সান বলেন, ‘গত ১৫ বছরে যারা জনগণের ওপর জুলুম করেছে, তাদের বিচারের যথাযথ কোনো উদ্যোগ দেখছি না। সরকারের ওপর যদি ভেতরে বাইরে চাপ থাকে, তা জনগণকে জানান। আমরা রাস্তায় আছি। কিন্তু বিচারের প্রক্রিয়া কালবিলম্ব করা চলবে না।’

অধিকারকর্মী মাহতাবউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা এখনো কেন ভারতে। ৬ মাস হলো কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই। সংস্কারের নামে অন্তর্বর্তী সরকার স্টান্টবাজি করছে, কিন্তু অ্যাকশন দেখাতে পারছে না।’
কবি ফেরদৌস আরা রুমি বলেন, ‘খবরে এসেছে, এক-তৃতীয়াংশ আওয়ামী লীগ কর্মী পালিয়েছেন। তাঁরা কীভাবে পালালেন। দেশে কোনো আইনশৃঙ্খলা নেই।’
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আবু রায়হান খান বলেন, ‘আহতরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। একজন উপদেষ্টাও আসেন না। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপে ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে সরকার। দায়িত্ব পালন না করতে পারলে আমাদের জানান।’
সাংবাদিক সাদিক মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘যতক্ষণ না শেখ হাসিনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত হবে, ততক্ষণ মব আটকানো যাবে না। মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভকে বুঝতে হবে সরকারকে। তা না হলে এই সরকারের বিরুদ্ধেও মানুষ রাস্তায় নামবে।’
সমাবেশে আরও অংশ নেন গুমের শিকার ৪ জন। তাঁদের মধ্যে ৩৯ বছর বয়সী মো. মুকুল হোসেন বলেন, ‘৯৪ দিন আমি ছিলাম আয়নাঘরে। অসংখ্যবার নির্যাতিত হয়েছি। আমরা এখানে যে চারজন উপস্থিত আছি, তারা সবাই বিগত সরকারের আমলে গুমের শিকার হয়েছিলাম। আমাদের সঙ্গে হওয়া অবিচারের বিচার চাচ্ছি।’

আওয়ামী লীগ শাসনামলে শেখ হাসিনার সব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে আনতে ট্রুথ কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে ‘সাধারণ নাগরিক’ প্ল্যাটফর্ম। এ কমিশনের লক্ষ্য হবে শেখ হাসিনার হত্যা, গুম, দুর্নীতি ও লুটপাটের আমলনামা তৈরি করা।
এ ছাড়া আয়নাঘরে ভিকটিম পরিবার ও সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা ও জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আওয়ামী লীগ ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ সবার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সাধারণ নাগরিকের ব্যানারে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ এ দাবি জানান তাঁরা। কর্মসূচির আয়োজন করেন জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নাগরিকদের একটি অংশ।
কর্মসূচির অন্যতম আয়োজক বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নির্বাহী কমিটির সদস্য অনিক রায় বলেন, ‘এই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছিল। তাদের ম্যান্ডেট ছিল জুলাই হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনাসহ সব জড়িত অপরাধীর বিচার, আহতদের চিকিৎসা ও শহীদদের পুনর্বাসন করা। কিন্তু আমরা দেখছি তারা সেই কাজ করছে না। এখন পর্যন্ত শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকাও করা হয়নি। এই সরকারকে বলতে চাই হানিমুন পিরিয়ড শেষ। শুধু গাড়ি নিয়ে ঘুরলেই হবে না। এখন কাজের সময়। কাজ না হলে আমাদের আবার রাস্তায় নামতে হবে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, অবিলম্বে ট্রুথ কমিশন করার মাধ্যমে শেখ হাসিনার সব অপরাধের আমলনামা তৈরি করতে হবে।’
অনিক রায় আরও বলেন, ‘যৌথ বাহিনীর অভিযানে এবং পুলিশ হেফাজতে এখনো মানুষ মরছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যে কাজের জন্য তারা নেমেছিল, তার অবস্থা খুব খারাপ। এটা প্রমাণ করে যে, আমাদের ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ কোন পর্যায়ে আছে।’
লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট তুহিন খান বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে ২০১৩ সালে একটি জাতীয় বিভাজন ও রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আওয়ামী লীগের বিচার নিয়েও এমন একটা পরিস্থিতি হোক তা আমরা চাই না। তাই এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত নিশ্চিত করা। কিন্তু যে ট্রাইব্যুনালে এই বিচার চলছে, এটি একটি বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল। এই ট্রাইব্যুনালের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অনেক সমালোচনা আছে। এই ট্রাইব্যুনালে যাঁদের বিচার করা হবে তাঁরা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত অনেক মানবাধিকার পাবেন না; এ ধরনের প্রভিশন আছে। এ ছাড়া আরও নানা কারণে এটি বিতর্কিত। আর কেবল ২০-৩০ জন লোকের বিচার করে, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়া ১৬ বছরের এই ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন করা সম্ভবও না। তাই এই ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটনের জন্য অবিলম্বে একটি ট্রুথ কমিশন তৈরি করতে হবে।’
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ওলিউর সান বলেন, ‘গত ১৫ বছরে যারা জনগণের ওপর জুলুম করেছে, তাদের বিচারের যথাযথ কোনো উদ্যোগ দেখছি না। সরকারের ওপর যদি ভেতরে বাইরে চাপ থাকে, তা জনগণকে জানান। আমরা রাস্তায় আছি। কিন্তু বিচারের প্রক্রিয়া কালবিলম্ব করা চলবে না।’

অধিকারকর্মী মাহতাবউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা এখনো কেন ভারতে। ৬ মাস হলো কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই। সংস্কারের নামে অন্তর্বর্তী সরকার স্টান্টবাজি করছে, কিন্তু অ্যাকশন দেখাতে পারছে না।’
কবি ফেরদৌস আরা রুমি বলেন, ‘খবরে এসেছে, এক-তৃতীয়াংশ আওয়ামী লীগ কর্মী পালিয়েছেন। তাঁরা কীভাবে পালালেন। দেশে কোনো আইনশৃঙ্খলা নেই।’
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আবু রায়হান খান বলেন, ‘আহতরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। একজন উপদেষ্টাও আসেন না। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপে ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে সরকার। দায়িত্ব পালন না করতে পারলে আমাদের জানান।’
সাংবাদিক সাদিক মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘যতক্ষণ না শেখ হাসিনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত হবে, ততক্ষণ মব আটকানো যাবে না। মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভকে বুঝতে হবে সরকারকে। তা না হলে এই সরকারের বিরুদ্ধেও মানুষ রাস্তায় নামবে।’
সমাবেশে আরও অংশ নেন গুমের শিকার ৪ জন। তাঁদের মধ্যে ৩৯ বছর বয়সী মো. মুকুল হোসেন বলেন, ‘৯৪ দিন আমি ছিলাম আয়নাঘরে। অসংখ্যবার নির্যাতিত হয়েছি। আমরা এখানে যে চারজন উপস্থিত আছি, তারা সবাই বিগত সরকারের আমলে গুমের শিকার হয়েছিলাম। আমাদের সঙ্গে হওয়া অবিচারের বিচার চাচ্ছি।’

সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
৩১ মিনিট আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গভীর ও মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন’ পদ্ধতির চূড়ান্ত সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
প্রস্তাবিত আদেশের প্রারম্ভিক ঘোষণায় স্পষ্ট করা হয়েছে, এই পদক্ষেপের মূল ভিত্তি হলো ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সফল গণ-অভ্যুত্থান। এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে।
৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনার পর সংবিধান সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কারের সুপারিশ সংবলিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রধান রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো সম্মিলিতভাবে ওই সনদে স্বাক্ষর করে, তা দ্রুত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য জনগণের সর্বোচ্চ অনুমোদন প্রয়োজন। এই অনুমোদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে: সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন গ্রহণের উদ্দেশ্যে গণভোট অনুষ্ঠান অপরিহার্য। সংবিধান সংস্কারের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন ও উক্ত পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করা অত্যাবশ্যক।
ঐকমত্য কমিশন মনে করে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আইনি দলিল আবশ্যক ছিল। সেই কারণেই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে এই বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবে।
প্রস্তাবিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ - এ যা বলা হয়েছে:

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গভীর ও মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন’ পদ্ধতির চূড়ান্ত সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
প্রস্তাবিত আদেশের প্রারম্ভিক ঘোষণায় স্পষ্ট করা হয়েছে, এই পদক্ষেপের মূল ভিত্তি হলো ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সফল গণ-অভ্যুত্থান। এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে।
৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনার পর সংবিধান সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কারের সুপারিশ সংবলিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রধান রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো সম্মিলিতভাবে ওই সনদে স্বাক্ষর করে, তা দ্রুত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য জনগণের সর্বোচ্চ অনুমোদন প্রয়োজন। এই অনুমোদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে: সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন গ্রহণের উদ্দেশ্যে গণভোট অনুষ্ঠান অপরিহার্য। সংবিধান সংস্কারের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন ও উক্ত পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করা অত্যাবশ্যক।
ঐকমত্য কমিশন মনে করে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আইনি দলিল আবশ্যক ছিল। সেই কারণেই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে এই বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবে।
প্রস্তাবিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ - এ যা বলা হয়েছে:

আওয়ামী লীগ শাসনামলে শেখ হাসিনার সব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে আনতে ট্রুথ কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে ‘সাধারণ নাগরিক’ প্ল্যাটফর্ম। এ কমিশনের লক্ষ্য হবে শেখ হাসিনার হত্যা, গুম, দুর্নীতি ও লুটপাটের আমলনামা তৈরি করা।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেওয়ার পরে বেলা ২টার দিকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
সেখানে আলী রীয়াজ বলেন, ‘সুপারিশের তিনটি ভাগ আছে। অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশের বাস্তবায়ন দ্রুততার সঙ্গে করা সম্ভব। সংবিধান-সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে দুটো বিকল্প প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। প্রস্তাবগুলো হচ্ছে—সরকার যেন অবিলম্বে একটি আদেশ জারি করে। এ আদেশের বিষয় হবে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ। আদেশের অধীনে একটি গণভোট হবে।’
আলী রীয়াজ আরও বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ একই সঙ্গে সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করবে। তারা ২৭০ দিন এমন দায়িত্ব পালন করবে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেওয়ার পরে বেলা ২টার দিকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
সেখানে আলী রীয়াজ বলেন, ‘সুপারিশের তিনটি ভাগ আছে। অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশের বাস্তবায়ন দ্রুততার সঙ্গে করা সম্ভব। সংবিধান-সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে দুটো বিকল্প প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। প্রস্তাবগুলো হচ্ছে—সরকার যেন অবিলম্বে একটি আদেশ জারি করে। এ আদেশের বিষয় হবে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ। আদেশের অধীনে একটি গণভোট হবে।’
আলী রীয়াজ আরও বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ একই সঙ্গে সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করবে। তারা ২৭০ দিন এমন দায়িত্ব পালন করবে।

আওয়ামী লীগ শাসনামলে শেখ হাসিনার সব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে আনতে ট্রুথ কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে ‘সাধারণ নাগরিক’ প্ল্যাটফর্ম। এ কমিশনের লক্ষ্য হবে শেখ হাসিনার হত্যা, গুম, দুর্নীতি ও লুটপাটের আমলনামা তৈরি করা।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
৩১ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে আনসারদের অবদান সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৩ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এই ১৩ জনের মধ্যে তিনজন থাকবেন অস্ত্রসহ আর বাকি ১০ জন অস্ত্রবিহীন। অস্ত্রবিহীন ১০ জনের মধ্যে ৬ জন পুরুষ আর ৪ জন থাকবেন নারী। তা ছাড়া এবারই প্রথম প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে অস্ত্রসহ একজন আনসার সদস্য থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে মোট ৯ দিন আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আনসার সদস্যরা।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি বাহিনী দেশের নিরাপত্তা, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি পর্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নিজেদের জীবন ও স্বার্থের পরোয়া না করে তারা নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেমের সঙ্গে জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকে। তাই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের কর্মজীবনের মানোন্নয়ন ও কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকারের অংশ। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের নিজস্ব অর্থায়নে মোট ৩১টি যানবাহন কেনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৯টি ট্রুপস ক্যারিয়ার, ১৪টি কাভার্ড ভ্যান, ৪২ আসনবিশিষ্ট ৪টি বড় বাস, ২৪ আসনবিশিষ্ট ২টি মিনিবাস এবং ২টি অ্যাম্বুলেন্স।’
দেশের সর্ববৃহৎ এই বাহিনীর সদস্যদের ছুটি, বিনোদন ভ্রমণ এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রায়ই নানা ধরনের যাতায়াতের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের এই ভোগান্তি লাঘব ও সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই আজকের এই ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
উপদেষ্টা এ সময় ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসটি সর্বোচ্চ পেশাদারি ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হবে এবং বাহিনীর বৈধ পরিচয়পত্রধারী সব সদস্যের জন্য নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাইরে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতিদিনই অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। গত পরশুদিনও আটটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এ রকম উদ্ধার হতেই থাকবে এবং নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, অস্ত্র উদ্ধার আরও বাড়তে থাকবে এবং একসময় দেখবেন যে বাইরে আর কোনো অস্ত্র বা হাতিয়ার নেই।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে আনসারদের অবদান সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৩ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এই ১৩ জনের মধ্যে তিনজন থাকবেন অস্ত্রসহ আর বাকি ১০ জন অস্ত্রবিহীন। অস্ত্রবিহীন ১০ জনের মধ্যে ৬ জন পুরুষ আর ৪ জন থাকবেন নারী। তা ছাড়া এবারই প্রথম প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে অস্ত্রসহ একজন আনসার সদস্য থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে মোট ৯ দিন আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আনসার সদস্যরা।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি বাহিনী দেশের নিরাপত্তা, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি পর্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নিজেদের জীবন ও স্বার্থের পরোয়া না করে তারা নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেমের সঙ্গে জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকে। তাই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের কর্মজীবনের মানোন্নয়ন ও কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকারের অংশ। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের নিজস্ব অর্থায়নে মোট ৩১টি যানবাহন কেনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৯টি ট্রুপস ক্যারিয়ার, ১৪টি কাভার্ড ভ্যান, ৪২ আসনবিশিষ্ট ৪টি বড় বাস, ২৪ আসনবিশিষ্ট ২টি মিনিবাস এবং ২টি অ্যাম্বুলেন্স।’
দেশের সর্ববৃহৎ এই বাহিনীর সদস্যদের ছুটি, বিনোদন ভ্রমণ এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রায়ই নানা ধরনের যাতায়াতের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের এই ভোগান্তি লাঘব ও সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই আজকের এই ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
উপদেষ্টা এ সময় ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসটি সর্বোচ্চ পেশাদারি ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হবে এবং বাহিনীর বৈধ পরিচয়পত্রধারী সব সদস্যের জন্য নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাইরে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতিদিনই অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। গত পরশুদিনও আটটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এ রকম উদ্ধার হতেই থাকবে এবং নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, অস্ত্র উদ্ধার আরও বাড়তে থাকবে এবং একসময় দেখবেন যে বাইরে আর কোনো অস্ত্র বা হাতিয়ার নেই।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগ শাসনামলে শেখ হাসিনার সব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে আনতে ট্রুথ কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে ‘সাধারণ নাগরিক’ প্ল্যাটফর্ম। এ কমিশনের লক্ষ্য হবে শেখ হাসিনার হত্যা, গুম, দুর্নীতি ও লুটপাটের আমলনামা তৈরি করা।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
৩১ মিনিট আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ককটেল বিস্ফোরণের পর আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ভবন ঘিরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ মঙ্গলবার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সহিদ আব্দুস ছালাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশের এক চিঠি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন ভবনের চারপাশে অফিস সময়ের পর ও ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলমান থাকায় নিরাপত্তা হুমকি আরও বাড়ছে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ অবস্থায় ভবনের আশপাশের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখা এবং নির্বাচন ভবনের সামনে ও আশপাশে পুলিশের টহল বাড়ানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।

ককটেল বিস্ফোরণের পর আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ভবন ঘিরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ মঙ্গলবার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সহিদ আব্দুস ছালাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশের এক চিঠি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন ভবনের চারপাশে অফিস সময়ের পর ও ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলমান থাকায় নিরাপত্তা হুমকি আরও বাড়ছে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ অবস্থায় ভবনের আশপাশের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখা এবং নির্বাচন ভবনের সামনে ও আশপাশে পুলিশের টহল বাড়ানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ শাসনামলে শেখ হাসিনার সব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে আনতে ট্রুথ কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে ‘সাধারণ নাগরিক’ প্ল্যাটফর্ম। এ কমিশনের লক্ষ্য হবে শেখ হাসিনার হত্যা, গুম, দুর্নীতি ও লুটপাটের আমলনামা তৈরি করা।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
৩১ মিনিট আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে