নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যমত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অভিন্ন মত পোষণ করে দিয়ে সুনির্দিষ্ট ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে। এর গঠন এবং কাঠামোগত বিষয় ও সরকার কতদিন থাকবে তা নিয়ে আলোচনা করেছি।’
আজ বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের অষ্টম দিন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এ দিন সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. আইয়ুব মিয়া।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে আলোচনা প্রসঙ্গ তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, ‘বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অভিন্নমত পোষণ করে দিয়ে সুনির্দিষ্ট ঐক্যমত্য আছে। এর গঠন এবং কাঠামোগত বিষয় ও সরকার কতদিন থাকবে তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আলোচনায় বিভিন্ন রকম মতামত এসেছে। এ বিষয়ে দুটি সুপারিশ ছিল সংবিধান সংস্কার কমিশন থেকে ছিল ৯০ দিনের আর নির্বাচন কমিশন যে ছিল ১২০ দিনের। এই সমস্ত সময় ও পরিধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কোন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনা রাজনৈতিক দলগুলো অনেক কাছাকাছি এসেছে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যে আলোচনা হয়েছে তা অত্যন্ত ইতিবাচক। তোমাদের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন যাবত আমরা সবাই অনেক সংগ্রাম করেছি। আমরা আশা করি এ সকল বিষয় নিয়ে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারব। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই মর্মে সহযোগিতা থাকলে চলতি জুলাই মাসের মধ্যে আমরা একটি জুলাই সনদ তৈরি করতে পারব।’
নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বড় ধরনের সাফল্য এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
সীমান নির্ধারণ যে ঐক্যমত্য সৃষ্টি হয়েছে তা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আশু ব্যবস্থা। কারণ নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচনী আসন নির্ধারণ নিয়ে কাজ চলমান দেখতে পাচ্ছি। এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশন থেকে সুস্পষ্ট সুপারিশ ছিলো সেখানে বলা হয়ে আশু ব্যবস্থা হিসেবে কি করা যেতে পারে। দ্বিতীয় বিষয় দীর্ঘমেয়াদী সাংবিধানিকভাবে কিছু করা। দীর্ঘমেয়াদী ও স্থায়ী সমাধানে যে ঐক্যমত হয়েছে তা হলো-প্রতি আদমশুমারি অনধিক ১০ বছর পরে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের জন্য সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদের দফা এক এর ঘ শেষে আইনের দ্বারা একটি বিধান যুক্ত করা। এর অর্থ হচ্ছে সংসদীয় আসন নির্ধারণ করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা।’
তিনি বলেন, ‘এই কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আরও বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা নির্ধারণের আইন ২০২১ যেটা ২০২৫ সালে সংশোধিত হয়েছে। আমরা সংবিধানে কিছু বিষয় যুক্ত করার কথা বলেছি তার পাশাপাশি সেটাকে বাস্তবায়ন করার জন্য আইনের মধ্য দিয়ে কমিটির পরিধি ও কার্যপরিধি গঠন নিয়ে সুনির্দিষ্ট আইন থাকে তা বলেছি। দীর্ঘমেয়াদী স্থায়ী সমাধানের জন্য এই ব্যাপারে সকল রাজনৈতিকদল একমত হয়েছে।’
আর আশু বিষয়ে বলা হয়েছে—ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় যথাযথ দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে বিশেষায়িত কমিটি গঠন। কমিটি গঠন হয়ে থাকে তাহলে পরিবর্তন সাধন করে সেই কমিটি দ্বারা সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করা। বর্তমান যে কমিটি করা সেটা যাতে পরিবর্তন করে রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতের পতিফলন ঘটে। আমরা এই বিষয় সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করব।
সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যমত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অভিন্ন মত পোষণ করে দিয়ে সুনির্দিষ্ট ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে। এর গঠন এবং কাঠামোগত বিষয় ও সরকার কতদিন থাকবে তা নিয়ে আলোচনা করেছি।’
আজ বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের অষ্টম দিন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এ দিন সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. আইয়ুব মিয়া।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে আলোচনা প্রসঙ্গ তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, ‘বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অভিন্নমত পোষণ করে দিয়ে সুনির্দিষ্ট ঐক্যমত্য আছে। এর গঠন এবং কাঠামোগত বিষয় ও সরকার কতদিন থাকবে তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আলোচনায় বিভিন্ন রকম মতামত এসেছে। এ বিষয়ে দুটি সুপারিশ ছিল সংবিধান সংস্কার কমিশন থেকে ছিল ৯০ দিনের আর নির্বাচন কমিশন যে ছিল ১২০ দিনের। এই সমস্ত সময় ও পরিধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কোন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনা রাজনৈতিক দলগুলো অনেক কাছাকাছি এসেছে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যে আলোচনা হয়েছে তা অত্যন্ত ইতিবাচক। তোমাদের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন যাবত আমরা সবাই অনেক সংগ্রাম করেছি। আমরা আশা করি এ সকল বিষয় নিয়ে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারব। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই মর্মে সহযোগিতা থাকলে চলতি জুলাই মাসের মধ্যে আমরা একটি জুলাই সনদ তৈরি করতে পারব।’
নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বড় ধরনের সাফল্য এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
সীমান নির্ধারণ যে ঐক্যমত্য সৃষ্টি হয়েছে তা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আশু ব্যবস্থা। কারণ নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচনী আসন নির্ধারণ নিয়ে কাজ চলমান দেখতে পাচ্ছি। এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশন থেকে সুস্পষ্ট সুপারিশ ছিলো সেখানে বলা হয়ে আশু ব্যবস্থা হিসেবে কি করা যেতে পারে। দ্বিতীয় বিষয় দীর্ঘমেয়াদী সাংবিধানিকভাবে কিছু করা। দীর্ঘমেয়াদী ও স্থায়ী সমাধানে যে ঐক্যমত হয়েছে তা হলো-প্রতি আদমশুমারি অনধিক ১০ বছর পরে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের জন্য সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদের দফা এক এর ঘ শেষে আইনের দ্বারা একটি বিধান যুক্ত করা। এর অর্থ হচ্ছে সংসদীয় আসন নির্ধারণ করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা।’
তিনি বলেন, ‘এই কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আরও বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা নির্ধারণের আইন ২০২১ যেটা ২০২৫ সালে সংশোধিত হয়েছে। আমরা সংবিধানে কিছু বিষয় যুক্ত করার কথা বলেছি তার পাশাপাশি সেটাকে বাস্তবায়ন করার জন্য আইনের মধ্য দিয়ে কমিটির পরিধি ও কার্যপরিধি গঠন নিয়ে সুনির্দিষ্ট আইন থাকে তা বলেছি। দীর্ঘমেয়াদী স্থায়ী সমাধানের জন্য এই ব্যাপারে সকল রাজনৈতিকদল একমত হয়েছে।’
আর আশু বিষয়ে বলা হয়েছে—ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় যথাযথ দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে বিশেষায়িত কমিটি গঠন। কমিটি গঠন হয়ে থাকে তাহলে পরিবর্তন সাধন করে সেই কমিটি দ্বারা সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করা। বর্তমান যে কমিটি করা সেটা যাতে পরিবর্তন করে রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতের পতিফলন ঘটে। আমরা এই বিষয় সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করব।
এদিন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা মামলাটি দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
১২ মিনিট আগেমামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, সংসদ সদস্য থাকার সুবাদে শামীম ওসমান ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৬ কোটি ৬৭ লাখ ৫৩ হাজার ৬৮৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন। এ ছাড়া তাঁর নামে থাকা ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৪৩৯ কোটি ৮২ লাখ ৩৯ হাজার ৪৮০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে, যা হস্তান্তর, রূপান্তর
৩৫ মিনিট আগেএ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ জানান, প্রথম ধাপে ৬২টি দলকে চিঠি দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপে এনসিপিসহ অন্য দলগুলোকে চিঠি দেওয়া হবে। ১৫ দিনের মধ্যে দলগুলোকে যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে, তা পূরণ করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগেবদিউল আলম বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, পঞ্চদশ সংশোধনী অবৈধ ছিল। ফলে এই সংশোধনের আলোকে যে সরকার গঠিত হয়েছে, সেটিও অবৈধ। যে রায় হয়েছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। এ রায়ের ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে আসার পথ সুগম হলো। যদিও পঞ্চদশ সংশোধনী পুরোপুরি বাতিল করেনি। এটি পুরোপুরি বাতিলের আমরা দাবি জানিয়েছ
২ ঘণ্টা আগে