Ajker Patrika

প্রযুক্তিতে দক্ষ না হলে অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে পড়তে পারি: পলক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩: ৪৬
প্রযুক্তিতে দক্ষ না হলে অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে পড়তে পারি: পলক

রোবোটিকস, আইওটির মতো প্রযুক্তির ওপর দক্ষতা অর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। 

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এতে সভাপতিত্ব করেন। 
 
পলক বলেন, ‘প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে শুধু খাপ খাওয়ানো নয়, বরং উদ্ভাবনী শক্তি নিয়ে যেন আমরা নেতৃত্ব দিতে পারি। গার্মেন্টস সেক্টর একটা ঝুঁকির মধ্যে আছে; জার্মানি, জাপান যেভাবে রোবোটিকস, আইওটি ব্যবহার করা শুরু করেছে; এই টেকনোলজিতে যোগ্য, দক্ষ করে গড়ে তুলতে না পারলে; অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে পড়তে পারি।’ 

২০২৩ সাল পর্যন্ত বিটিআরসি ৭৩ হাজার ৬৬১ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে জানিয়ে পলক বলেন, ‘বাংলাদেশে ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট যে কয়েকটি খাতে সবচেয়ে বেশি, এর মধ্যে বিটিআরসি একটি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় রকেট, বিকাশ, নগদ যতগুলো মোবাইল ফাইন্যান্স ওয়ালেট দেখছি, আমাদের সব লেনদেন কিন্তু এখন মোবাইল ফোননির্ভর। সেখানেও বিটিআরসির ভূমিকা আছে।’ 

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার জন্য আমাদের সামনে তিনটি লক্ষ্য। সেটি হচ্ছে—আমাদের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করা, বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা এবং তরুণ-তরুণীদের জন্য স্মার্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এই তিন লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন—আমাদের সময়, মেধা, অর্থের অপচয় রোধ করা এবং আমাদের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা। আমার বিশ্বাস, সেই জায়গাগুলোতে লক্ষ্য পূরণের জন্য বিটিআরসি ঐতিহাসিক রোল প্লে করবে। বিটিআরসির যে অর্জনগুলো রয়েছে সেটিকে বহুগুণ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।’ 

বিটিআরসি কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা। ছবি: আজকের পত্রিকাইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে উল্লেখ করে পলক বলেন, ‘২০০৮ সালে ইন্টারনেটের গ্রাহক ছিল ৩৬ লাখ, এখন সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটিতে। ২০০৮ সালে আমাদের টেলি ঘনত্ব ছিল ৩৪ শতাংশ, এখন সেটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এসে দাঁড়িয়েছে ১০৫ শতাংশে। ২০০৮ সালে ইন্টারনেট ঘনত্ব ছিল ২.৫ শতাংশ, ২০২৩ সালের জুনে এসে সেটি দাঁড়িয়েছে ৭৪ শতাংশে। এ ছাড়া ব্যান্ডউইথের ব্যবহার ২০০৮ সালে ছিল ৭.৫ জিবিপিএস, সেটি বৈপ্লবিকভাবে বেড়ে ২০২৩ সালের জুনে ৪ হাজার ৮৬৫ জিবিপিএসে দাঁড়িয়েছে। ২০০৮ সালে প্রতি এমবিপিস ব্যান্ডউইথের মূল্য ছিল ২৭ হাজার টাকা, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত কমে এখন প্রতি এমবিপিএসের দাম সর্বনিম্ন ৪০ টাকা। 

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবা সারা বিশ্বের কাছে নতুন রোড মডেল হিসেবে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

পলক বলেন, যখন যেখানে দরকার সেখানেই থাকবে স্মার্ট সরকার। সরকারের সেবা নেওয়ার জন্য কোনো অফিসে বা কোনো অফিসারের কাছে যেতে হবে না। সরকারি সেবা জনগণের হাতের মুঠোয় থাকবে এবং সেটি হবে পারসোনালাইজড। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যে গত বৈঠকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, যাদের কাছে পাওনা আছে সেগুলো আদায় করব। কারণ বর্তমান যে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংকট, সেখানে আমাদের রাজস্ব আয়ের দিকে মনোযোগী হতে হবে। তবে যারা রাজস্ব আয় বেশি দেয়, তাদের কাছ থেকে আরও বেশি আয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ না করে, আমরা রাজস্ব আহরণের যে সম্ভাবনা আছে সেগুলো বাড়াতে চাই। সেই সোর্সগুলো আরও বাড়াতে চাই।’ 

নিবন্ধিত বৈধ মোবাইল ছাড়া বাংলাদেশের নেটওয়ার্কে অন্য কোনো অনিবন্ধিত, অবৈধ, চোরাই পথে আসা কোনো মোবাইল ফোন যাতে কেউ ব্যবহার করতে না পারে, সে জন্য বিটিআরসি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত