নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ৭ বছর আজ
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের বেপরোয়া প্রতিযোগিতায় প্রাণ হারিয়েছিলেন দুই কলেজশিক্ষার্থী। সেই ঘটনার পর শুরু হয়েছিল নিরাপদ সড়ক আন্দোলন। ধরন ও মাত্রার দিক থেকে তা ছিল দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। ঢাকার হাজারো শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে আসে। তারা হাতে তুলে নেয় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব। যানচালকদের নিয়ম মানতে বাধ্য করার পাশাপাশি লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেসসহ অন্যান্য কাগজ পরীক্ষা করতে থাকে তারা। শিক্ষার্থীদের সে আন্দোলনের পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন গড়ে উঠেছিল। সরকার বাধ্য হয় নতুন আইন করতে।
আজ নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সাত বছর পূর্ণ হলো। কিন্তু দীর্ঘ সাত বছর পেরিয়ে গেলেও সড়কের নিরাপত্তা এখনো অধরাই থেকে গেছে। সড়কে প্রতিদিন হতাহত হচ্ছে মানুষ। দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। অদক্ষ চালকেরা স্টিয়ারিংয়ে বহাল। পথ ঠিকই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফিটনেসহীন, লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি। পরিবহনমালিকেরা গত রোববারই ঘোষণা দিয়েছেন পুরোনো গাড়ির মেয়াদ বৃদ্ধি, পরিবহন আইন সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে মাঠে নামার। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সড়ক পরিবহন আইনে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির দায়ে সাজার যে ধারা রয়েছে, তা সংশোধন করা।
অপূর্ণ আন্দোলনের প্রতিশ্রুতিগুলো
২০১৮ সালে শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবি তুলেছিল। এর মধ্যে ছিল চালকদের বৈধ লাইসেন্স ও যানবাহনের ফিটনেস সনদ নিশ্চিত করা, দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া, শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাসের ব্যবস্থা, সড়কে পুলিশের দুর্নীতি বন্ধ করা ইত্যাদি।
আন্দোলন থামাতে সরকারের পক্ষ থেকে তখন পরিবহন আইন সংশোধনের প্রতিশ্রুতি আসে। নতুন সড়ক পরিবহন আইন (২০১৮) পাসও হয়। কিন্তু এখনো তার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের (নিসআ) সভাপতি ও ২০১৮ সালের আন্দোলনে সামনের সারিতে থাকা শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ মেহেদি দীপ্ত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১৮ সালের ৯ দফা দাবির মধ্যে কেবল সড়ক পরিবহন আইন ও হাফ ভাড়া আংশিকভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। তবে আইনটি কাগজে থাকলেও বাস্তবে নেই, আর হাফ ভাড়া শুধু ঢাকায় সীমাবদ্ধ। সার্বিকভাবে বলতে গেলে, সড়কের বিশৃঙ্খলার চিত্র এখনো বদলায়নি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ও অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কয়েকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও দাবিগুলোর বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে নিরাপদ সড়ক এখনো কেবল স্বপ্নই থেকে গেছে।’
দুর্ঘটনা বেড়েছে আরও সড়ক নিরাপদ হওয়ার বদলে উল্টো
দুর্ঘটনার হার বেড়েছে। বিশেষ করে কেউ দূরের পথে বের হলে নিরাপদে পৌঁছানো আর ফেরা নিয়ে স্বজনদের উৎকণ্ঠার শেষ থাকে না। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪২ হাজারের বেশি। আহত হয়েছে প্রায় ৬৬ হাজার, যাদের অনেকে চিরতরে শারীরিকভাবে অক্ষম। প্রতিবছর দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় ৪ হাজার ৪৩৯ জন। ২০২৪ সালে এসে নিহতের সংখ্যা ৭ হাজার ২৯৪। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসেই ৩ হাজার ৬৮৮টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩ হাজার ৬৬২ জন।
বিশেষজ্ঞের দৃষ্টিতে পরিস্থিতি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ সড়ক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, ‘বিগত সময়ে পরিস্থিতির কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি। বরং এমন সব উপাদান যুক্ত হচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে যে প্রধান ইস্যুগুলোতে আমাদের কাজ করা উচিত, তার সবগুলোতেই আমরা পিছিয়ে আছি।’
অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ আরও বলেন, চালকদের জন্য নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়নি। লাইসেন্স ব্যবস্থায় রয়েছে বড় ধরনের দুর্বলতা। সড়কের গঠনগত ত্রুটি চিহ্নিত ও সমাধানে কার্যকর কোনো প্রকৌশলগত মনিটরিং ব্যবস্থা নেই। রাজধানীতে এত কথাবার্তা ও চেষ্টার পরও বাস রুট র্যাশনালাইজেশন কার্যকর হয়নি। এখনো দেশে সড়ক দুর্ঘটনার একটি নির্ভরযোগ্য ও সমন্বিত ডেটাবেইস পর্যন্ত গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি।
বুয়েটের এ বিশেষজ্ঞের মতে, ঘাটতিগুলোর পেছনে সরকারের কৌশলগত পরিকল্পনার অভাবই বেশি দায়ী।
বাধা পরিবহন ব্যবসায়ীরাও
অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোর পথে বরাবরই অন্যতম বাধা পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। তাঁরা বর্তমান সড়ক পরিবহন আইন যে অবস্থায় আছে, তার বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে। পরিবহনমালিকেরা গাড়ির ‘ইকোনমিক লাইফ’ বাড়িয়ে পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ গাড়িও আরও কয়েক বছর বেশি রাস্তায় রাখতে চান। বাস রুট র্যাশনালাইজেশন, চালকদের নিয়োগপত্র দেওয়া বাধ্যতামূলক করাসহ সরকারের প্রতিটি উদ্যোগেই তাঁরা বাধা দিয়ে আসছেন। সরকার কিছু কার্যকর করার উদ্যোগ নিলে তারা ধর্মঘটের হুমকি দেন। সর্বশেষ ৮ দফা দাবি না মানলে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম বলেন, ‘আমরা আনফিট বা ধোঁয়াচ্ছন্ন বাসের পক্ষে নই। তবে হঠাৎ করে ৭০-৮০ হাজার গাড়ি সরানো সম্ভব না। সরকার সহজ শর্তে ঋণের কথা বলছে, কিন্তু বাস্তবে দিচ্ছে না। আমরা সড়কে শৃঙ্খলার বিপক্ষে নই।’
গত বছরের ২৪ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের বৈঠকে পরবর্তী ছয় মাস পর অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল পেরিয়ে যাওয়া যানবাহনের নিবন্ধন বাতিল করে তা সড়ক থেকে সরিয়ে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সব যানের মালিকেরা যাতে নতুন গাড়ি কিনতে পারেন, সে জন্য সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করারও সিদ্ধান্ত হয়। এরপর গত জানুয়ারি মাসে যানবাহনের মালিকদের বিআরটিএর পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে ব্যাংকঋণের প্রয়োজন হলে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। জানা গেছে, পরিবহনমালিকেরা সরকারের এ উদ্যোগে তেমন সাড়া দেননি। তাঁরা বলছেন, সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আগে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের বেপরোয়া প্রতিযোগিতায় প্রাণ হারিয়েছিলেন দুই কলেজশিক্ষার্থী। সেই ঘটনার পর শুরু হয়েছিল নিরাপদ সড়ক আন্দোলন। ধরন ও মাত্রার দিক থেকে তা ছিল দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। ঢাকার হাজারো শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে আসে। তারা হাতে তুলে নেয় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব। যানচালকদের নিয়ম মানতে বাধ্য করার পাশাপাশি লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেসসহ অন্যান্য কাগজ পরীক্ষা করতে থাকে তারা। শিক্ষার্থীদের সে আন্দোলনের পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন গড়ে উঠেছিল। সরকার বাধ্য হয় নতুন আইন করতে।
আজ নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সাত বছর পূর্ণ হলো। কিন্তু দীর্ঘ সাত বছর পেরিয়ে গেলেও সড়কের নিরাপত্তা এখনো অধরাই থেকে গেছে। সড়কে প্রতিদিন হতাহত হচ্ছে মানুষ। দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। অদক্ষ চালকেরা স্টিয়ারিংয়ে বহাল। পথ ঠিকই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফিটনেসহীন, লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি। পরিবহনমালিকেরা গত রোববারই ঘোষণা দিয়েছেন পুরোনো গাড়ির মেয়াদ বৃদ্ধি, পরিবহন আইন সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে মাঠে নামার। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সড়ক পরিবহন আইনে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির দায়ে সাজার যে ধারা রয়েছে, তা সংশোধন করা।
অপূর্ণ আন্দোলনের প্রতিশ্রুতিগুলো
২০১৮ সালে শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবি তুলেছিল। এর মধ্যে ছিল চালকদের বৈধ লাইসেন্স ও যানবাহনের ফিটনেস সনদ নিশ্চিত করা, দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া, শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাসের ব্যবস্থা, সড়কে পুলিশের দুর্নীতি বন্ধ করা ইত্যাদি।
আন্দোলন থামাতে সরকারের পক্ষ থেকে তখন পরিবহন আইন সংশোধনের প্রতিশ্রুতি আসে। নতুন সড়ক পরিবহন আইন (২০১৮) পাসও হয়। কিন্তু এখনো তার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের (নিসআ) সভাপতি ও ২০১৮ সালের আন্দোলনে সামনের সারিতে থাকা শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ মেহেদি দীপ্ত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১৮ সালের ৯ দফা দাবির মধ্যে কেবল সড়ক পরিবহন আইন ও হাফ ভাড়া আংশিকভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। তবে আইনটি কাগজে থাকলেও বাস্তবে নেই, আর হাফ ভাড়া শুধু ঢাকায় সীমাবদ্ধ। সার্বিকভাবে বলতে গেলে, সড়কের বিশৃঙ্খলার চিত্র এখনো বদলায়নি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ও অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কয়েকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও দাবিগুলোর বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে নিরাপদ সড়ক এখনো কেবল স্বপ্নই থেকে গেছে।’
দুর্ঘটনা বেড়েছে আরও সড়ক নিরাপদ হওয়ার বদলে উল্টো
দুর্ঘটনার হার বেড়েছে। বিশেষ করে কেউ দূরের পথে বের হলে নিরাপদে পৌঁছানো আর ফেরা নিয়ে স্বজনদের উৎকণ্ঠার শেষ থাকে না। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪২ হাজারের বেশি। আহত হয়েছে প্রায় ৬৬ হাজার, যাদের অনেকে চিরতরে শারীরিকভাবে অক্ষম। প্রতিবছর দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় ৪ হাজার ৪৩৯ জন। ২০২৪ সালে এসে নিহতের সংখ্যা ৭ হাজার ২৯৪। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসেই ৩ হাজার ৬৮৮টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩ হাজার ৬৬২ জন।
বিশেষজ্ঞের দৃষ্টিতে পরিস্থিতি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ সড়ক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, ‘বিগত সময়ে পরিস্থিতির কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি। বরং এমন সব উপাদান যুক্ত হচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে যে প্রধান ইস্যুগুলোতে আমাদের কাজ করা উচিত, তার সবগুলোতেই আমরা পিছিয়ে আছি।’
অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ আরও বলেন, চালকদের জন্য নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়নি। লাইসেন্স ব্যবস্থায় রয়েছে বড় ধরনের দুর্বলতা। সড়কের গঠনগত ত্রুটি চিহ্নিত ও সমাধানে কার্যকর কোনো প্রকৌশলগত মনিটরিং ব্যবস্থা নেই। রাজধানীতে এত কথাবার্তা ও চেষ্টার পরও বাস রুট র্যাশনালাইজেশন কার্যকর হয়নি। এখনো দেশে সড়ক দুর্ঘটনার একটি নির্ভরযোগ্য ও সমন্বিত ডেটাবেইস পর্যন্ত গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি।
বুয়েটের এ বিশেষজ্ঞের মতে, ঘাটতিগুলোর পেছনে সরকারের কৌশলগত পরিকল্পনার অভাবই বেশি দায়ী।
বাধা পরিবহন ব্যবসায়ীরাও
অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোর পথে বরাবরই অন্যতম বাধা পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। তাঁরা বর্তমান সড়ক পরিবহন আইন যে অবস্থায় আছে, তার বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে। পরিবহনমালিকেরা গাড়ির ‘ইকোনমিক লাইফ’ বাড়িয়ে পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ গাড়িও আরও কয়েক বছর বেশি রাস্তায় রাখতে চান। বাস রুট র্যাশনালাইজেশন, চালকদের নিয়োগপত্র দেওয়া বাধ্যতামূলক করাসহ সরকারের প্রতিটি উদ্যোগেই তাঁরা বাধা দিয়ে আসছেন। সরকার কিছু কার্যকর করার উদ্যোগ নিলে তারা ধর্মঘটের হুমকি দেন। সর্বশেষ ৮ দফা দাবি না মানলে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম বলেন, ‘আমরা আনফিট বা ধোঁয়াচ্ছন্ন বাসের পক্ষে নই। তবে হঠাৎ করে ৭০-৮০ হাজার গাড়ি সরানো সম্ভব না। সরকার সহজ শর্তে ঋণের কথা বলছে, কিন্তু বাস্তবে দিচ্ছে না। আমরা সড়কে শৃঙ্খলার বিপক্ষে নই।’
গত বছরের ২৪ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের বৈঠকে পরবর্তী ছয় মাস পর অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল পেরিয়ে যাওয়া যানবাহনের নিবন্ধন বাতিল করে তা সড়ক থেকে সরিয়ে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সব যানের মালিকেরা যাতে নতুন গাড়ি কিনতে পারেন, সে জন্য সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করারও সিদ্ধান্ত হয়। এরপর গত জানুয়ারি মাসে যানবাহনের মালিকদের বিআরটিএর পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে ব্যাংকঋণের প্রয়োজন হলে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। জানা গেছে, পরিবহনমালিকেরা সরকারের এ উদ্যোগে তেমন সাড়া দেননি। তাঁরা বলছেন, সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আগে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
শুধু পাঠদান নয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা যেন অনেক কাজের কাজি। ভোট গ্রহণ, ভোটার তালিকা, শুমারি, জরিপ, টিকাদান, কৃমিনাশক ওষুধ ও ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো, টিসিবির চাল বিতরণ, বিভিন্ন অনুষ্ঠানসহ বারোয়ারি অন্তত ২০ ধরনের কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের। সরকারি এসব কাজে বছরে ব্যস্ত থাকছেন কমপক্ষে...
৬ ঘণ্টা আগেদেশের সব আসামির মামলা-সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত থাকা পুলিশের ক্রিমিনাল ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) সফটওয়্যারে মাদক কর্মকর্তাদের প্রবেশাধিকার দিচ্ছে না সরকার। পুলিশ সদর দপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নিজস্ব সিডিএমএস তৈরি করবে।
৭ ঘণ্টা আগেপুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) আশঙ্কা, ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়কে কেন্দ্র করে অনলাইন ও অফলাইনে সংঘবদ্ধ প্রচারণার মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হতে পারে। দলটির কিছু নেতা-কর্মী এ সময় সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা, বিশৃঙ্খলা কিংবা ভাঙচুর চালাতে পারে বলেও ধারণা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।
৭ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবে অনুষ্ঠেয় নবম ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এএফআইআই৯) সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান।
৯ ঘণ্টা আগে