Ajker Patrika

বরখাস্ত-অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ মে ২০২৫, ০০: ২৫
বরখাস্ত-অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবস্থান

চাকরিতে পুনর্বহাল, শাস্তি মওকুফ ও ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন দাবিতে বরখাস্ত ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সেনাসদস্যদের একাংশ রোববার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করেছেন। সকালে শুরু হওয়া এ কর্মসূচিতে কিছু সময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেও পরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে এক প্রতিনিধি দল প্রেসক্লাব চত্বরে উপস্থিত হয়ে সাবেক সেনাসদস্যদের কথা শোনেন এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সমস্যা যাচাই-বাছাই ও সমাধানের আশ্বাস দেন। পাশাপাশি দাবি-দাওয়া সেনাবাহিনীর প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সরাসরি উপস্থাপনের অনুরোধও জানানো হয়।

আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৪ মে পর্যন্ত এ ধরনের মোট ৮০২টি আবেদন গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে ১০৬টি নিষ্পত্তি হয়েছে এবং বাকিগুলোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

তবে সেনাবাহিনী দুঃখ প্রকাশ করে জানায়, আজকের দিনে কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল সাবেক সদস্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিঘ্ন ঘটিয়েছেন। প্রতিনিধি দল ফেরার সময় তাঁদের গাড়ি আটকানো, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও অশালীন স্লোগানের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিছু ব্যক্তিকে ছত্রভঙ্গ করে।

সেনাবাহিনী আরও জানায়, তাদের পক্ষ থেকে সার্বিক পরিস্থিতি সহমর্মিতা ও ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করা হয়েছে। তবে বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন করতে পারে এমন কোনো উসকানিমূলক ও জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড কখনোই কাম্য নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে সেনাবাহিনী সাংবিধানিক কাঠামো ও শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সকলকে দায়িত্বশীল আচরণ করার অনুরোধ জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।

এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

শুনানিতে আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, ‘সাংবিধানিক বিষয় ব্যাখ্যা করার কিছু পদ্ধতি বা রীতিনীতি আছে। বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের যে রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল, সেখানে ওই রীতিনীতি প্রয়োগ করতে ভুল করেছেন আপিল বিভাগ। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে ভুল করার কারণে তাঁরা ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।

‘বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায়ে বলেছিলেন, নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা গণতন্ত্রের পরিপন্থী। কারণ, তারা অনির্বাচিত। অনির্বাচিত ব্যক্তি ক্ষমতায় থাকলে গণতান্ত্রিক চরিত্র নষ্ট হয়ে যায়। তারা বুঝিয়ে ছিল, একদিনও অনির্বাচিত ব্যক্তি ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সংবিধানের যে ব্যাখ্যা তাঁরা দিলেন, তার ফলাফল হলো ১০ বছরের বেশি অনির্বাচিত সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়েছি।’

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পর যেসব নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো কোনো নির্বাচনই হয়নি। এসব একতরফা সিলেকশন হয়েছে। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে হলে দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও ফলাফল কী দাঁড়াবে—এগুলো বিবেচনায় নিতে হয়। ত্রয়োদশ সংশোধনী বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছিল। ’৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে গৃহীত হয়। এটা মূলত আওয়ামী লীগের দাবি ছিল। সবাই যা মেনে নিয়েছিল। সবারই দাবি ছিল, নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা চালু করতে হবে। এটি বাতিল করলে কী হবে, বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতিরা সেটি বিবেচনায় নেননি। তাঁরা দেশের বাস্তবতা আমলে নেননি।

২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও রিভিউ আবেদন করেন।

এ ছাড়া নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয় গত ২৭ আগস্ট। সে অনুযায়ী আপিল বিভাগে শুনানি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন করব: প্রধান উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ১৩
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা। ছবি: প্রেস উইং
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা। ছবি: প্রেস উইং

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে যা কিছু প্রয়োজন, তা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রেস উইং থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি নেতাদের জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচনের আগে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল সরাসরি তাঁর তত্ত্বাবধানে হবে। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতার ভিত্তিতেই কর্মকর্তাদের বাছাই করে নির্বাচনের আগে যথোপযুক্ত স্থানে নিয়োগ দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষ থাকা। নির্বাচন একটি মহা আয়োজন। এখানে যিনি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সক্ষম, সেই ব্যক্তিকেই আমরা বেছে নেব। এটি আমার তত্ত্বাবধানে থাকবে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, আমরা তা করব।’

বিতর্কিত কোনো কর্মকর্তা, বিশেষ করে, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ শাসনামলে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছেন—এমন কর্মকর্তাদের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন থেকে নিবৃত্ত রাখার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা।

নির্বাচনের আগে প্রশাসনে রদবদলে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির নেতারা।

বৈঠকে পুলিশের নিয়োগ ও বদলিপ্রক্রিয়া নিয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানান বিএনপির নেতারা।

এর পাশাপাশি সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থাপনায় একাধিক অগ্নিকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। এসব ঘটনা অন্তর্ঘাতমূলক কি না, এ বিষয়ে অনুসন্ধানেরও আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ। সরকারের পক্ষ থেকে ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিটি করপোরেশন হচ্ছে সাভার

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
সিটি করপোরেশন হচ্ছে সাভার

সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া নিয়ে সাভার সিটি করপোরেশন গঠন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ছাড়া কেরানীগঞ্জকে ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা বা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।

পোস্টে উপদেষ্টা বলেন, ‘সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া মিলিয়ে সাভার সিটি করপোরেশন এবং কেরানীগঞ্জকে ‘‘ক’’ শ্রেণির পৌরসভা বা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, সাভারকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা করতে ঢাকার জেলা প্রশাসক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠায়। পরে প্রধান উপদেষ্টা নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এখন এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পরোয়ানাভুক্ত সেনা কর্মকর্তারা কাল ট্রাইব্যুনালে না এলে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে: প্রসিকিউটর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। ছবি: সংগৃহীত
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। ছবি: সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া সেনা কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির না হলে বা হাজির করা না হলে তাঁদের আত্মসমর্পণ করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।

আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাইব্যুনালে তিনি এ কথা জানান।

প্রসিকিউটর তামিম বলেন, গুমের দুটি মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বেশ কয়েকজন সাবেক ও চাকরিরত সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামীকাল বুধবার ওই মামলা দুটির নির্ধারিত তারিখ রয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এই পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই পরোয়ানার কপি পাঠানো হয়েছিল। এখন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তাঁরা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করে তাঁদের ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসতে পারে।

তামিম আরও বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া সেনা কর্মকর্তারা যদি আদালতে হাজির হন বা তাঁদের গ্রেপ্তার করে হাজির করা হয়, ট্রাইব্যুনাল চাইলে তাঁদের জামিন দিতে পারেন, যদি তাঁরা জামিন চান বা জামিনের গ্রাউন্ড থাকে; অথবা কারাগারে পাঠাতে পারেন। কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে কারা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে কোন কারাগারে রাখবে। যদি তাঁরা কাল হাজির না হন বা তাঁদের হাজির করা না হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী তাঁদের ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে দুটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এরপরও হাজির না হলে তাঁদের পলাতক দেখিয়ে তাঁদের পক্ষে রাষ্ট্র আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে মামলা পরিচালনা করতে পারবে। এটাই হলো আইনের বিধান।

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা দুটি মামলায় ৮ অক্টোবর সেনাবাহিনীর ২৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এরপর ১১ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস এ-তে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া ২৫ কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জন এখনো সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন। একজন অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) আছেন। এই ১৬ জনের মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ছাড়া অন্যরা সবাই সেনা হেফাজতে রয়েছেন।

সেনা কর্মকর্তাদের সেনা হেফাজতে থাকার বিষয়ে আজ প্রসিকিউটর তামিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রসিকিউশনের কাছে এ রকম কোনো তথ্য আসবে না। কারণ, পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আর যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রি অফিস। রেজিস্ট্রার অফিসের কাছেই এ-সংক্রান্ত তথ্য আসবে। প্রসিকিউশন যদি ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে জানতে পারে—নন-এক্সিকিউশন রিপোর্ট এসেছে, তখন প্রসিকিউশন বলবে পরবর্তী ধাপ কী হবে। আইন এ বিষয়ে শুধু আইনের ধারা বা বিধি লক্ষ করবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা গণমাধ্যমে কী জানতে পেরেছে, এটা ধর্তব্য নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত