আজাদুল আদনান, ঢাকা

টানা ২৮ দিনের কঠোর লকডাউনেও থামানো যাচ্ছে না করোনার তাণ্ডব। ঈদ ঘিরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও আক্রান্তের হার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে গত এক দিনে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকে আক্রান্ত হয়ে কিংবা উপসর্গ বহন করলেও ঘরেই থাকছেন। শেষ সময়ে হাসপাতালে আসছেন। তাঁদের মাধ্যমে সামাজিক সংক্রমণের বিস্তার ঘটছে। ফলে শনাক্তের পরিমাণ কমলেও আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি।
বর্তমানে সংক্রমণের শীর্ষে দক্ষিণের জেলা বরিশাল। গত ২৪ ঘণ্টায় এই বিভাগে শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এরপরই চট্টগ্রামে ৩৫ দশমিক ৪১, সিলেটে ৩৪ দশমিক ৭৮, ঢাকায় ৩৩ দশমিক ৭৮, খুলনায় ২৫ দশমিক ৬৭, রাজশাহীতে ২৪ দশমিক ৪২, রংপুরে ২৫ দশমিক ২৭ ও ময়মনসিংহে ২৪ দশমিক ১৬ শতাংশ।
এ অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেয়ে নিয়ন্ত্রণের পথ খোঁজার বিকল্প নেই বলে মনে করেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, ‘এখন যে আমরা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখছি, সেটি সদ্য শেষ হওয়া লকডাউনের ফল। মানুষের সচেতনতা ছাড়া সরকারের একার পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না। হাট-বাজার ও মসজিদে এখনো মানুষের ভিড় লেগেই আছে। হাসপাতালের শয্যা বাড়ালেই শুধু হবে না, নিয়ন্ত্রণের জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে।’
বর্তমানে রাজধানীর ১৬ হাসপাতালে কোভিড রোগীর চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যে তিনটিতে কোনো আইসিইউ সুবিধা নেই। বাকি ১৩টি হাসপাতালে থাকা আইসিইউও এখন প্রায় শূন্যের কোঠায়। সংকট দেখা দিয়েছে হাই ফ্লো অক্সিজেনের। হাসপাতালে ভর্তি ও আসা রোগীদের সিংহভাগই ঢাকার বাইরের হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, করোনার আগে স্বাভাবিক সময়ে দেশে ৭০–৮০ টন অক্সিজেনের চাহিদা ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা ২০০ টন ছাড়িয়ে যাচ্ছে নিয়মিত। এর আগে এপ্রিলে সর্বোচ্চ সংক্রমণের সময়ে অক্সিজেনের চাহিদা ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টন পর্যন্ত। সেখান থেকে প্রায় তিন মাসের ব্যবধানে চাহিদা ২০০–২২০ টন দাঁড়িয়েছে; যা এপ্রিলের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি।
রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলো ঘুরে দেখা যায়, সরকারি ১৩টি হাসপাতালেই এখন আইসিইউ শয্যার সংকটে পড়েছে। শঙ্কা বাড়াচ্ছে অক্সিজেন জোগান দেওয়া নিয়ে। কুয়েত মৈত্রী, মুগদা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘুরে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।
গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউর জন্য অপেক্ষায় ছিলেন অন্তত ১০ জন রোগী। অথচ এই হাসপাতালে মোট আইসিইউর সংখ্যাই ১০টি। ৬০০ শয্যার একটিও খালি নেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। সব আইসিইউ ভর্তি।
ঢাকার বাইরের বিভাগীয় ও জেলা সদর হাসপাতালগুলোয়ও আইসিইউর কথা চিন্তা করাই কঠিন। তীব্র সংকটের পথে এখন অক্সিজেন। ঈদের প্রথম তিন দিন রোগীদের চাপ কিছুটা কম থাকলেও দুই–এক দিনের মধ্যেই আগের চেয়েও করুণ পরিস্থিতির আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
সিলেট ওসমানী ও শামসুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাড়ে ৩০০ কোভিড রোগী ভর্তি আছেন। ঈদের আগে ও পরে রোগীদের চাপ একই বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইউনুছুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অক্সিজেনের চাহিদা অনেক। কিন্তু সে অনুযায়ী পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে এই দুই হাসপাতাল মিলে দৈনিক ৬–৮ হাজার লিটার অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে।
সংকটাপন্ন এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত কমে আসছে কোভিড শয্যা। তাই নতুন করে রাজধানীর ৬টি হাসপাতালে ১ হাজার ২০০ শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪০০, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) ৩০০, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০০ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১০০টি করে। এ ছাড়া রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন কেন্দ্রে ১ হাজার ২০০ শয্যার একটি অস্থায়ী হাসপাতাল করার কথা জানিয়েছে সরকার। তবে শয্যা বাড়াতে হলে সবার আগে দরকার উপযুক্ত জনবল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাতারাতি তো আর এসব জনবল নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়। পর্যায়ক্রমে চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ দেওয়া হবে।

টানা ২৮ দিনের কঠোর লকডাউনেও থামানো যাচ্ছে না করোনার তাণ্ডব। ঈদ ঘিরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও আক্রান্তের হার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে গত এক দিনে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকে আক্রান্ত হয়ে কিংবা উপসর্গ বহন করলেও ঘরেই থাকছেন। শেষ সময়ে হাসপাতালে আসছেন। তাঁদের মাধ্যমে সামাজিক সংক্রমণের বিস্তার ঘটছে। ফলে শনাক্তের পরিমাণ কমলেও আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি।
বর্তমানে সংক্রমণের শীর্ষে দক্ষিণের জেলা বরিশাল। গত ২৪ ঘণ্টায় এই বিভাগে শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এরপরই চট্টগ্রামে ৩৫ দশমিক ৪১, সিলেটে ৩৪ দশমিক ৭৮, ঢাকায় ৩৩ দশমিক ৭৮, খুলনায় ২৫ দশমিক ৬৭, রাজশাহীতে ২৪ দশমিক ৪২, রংপুরে ২৫ দশমিক ২৭ ও ময়মনসিংহে ২৪ দশমিক ১৬ শতাংশ।
এ অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেয়ে নিয়ন্ত্রণের পথ খোঁজার বিকল্প নেই বলে মনে করেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, ‘এখন যে আমরা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখছি, সেটি সদ্য শেষ হওয়া লকডাউনের ফল। মানুষের সচেতনতা ছাড়া সরকারের একার পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না। হাট-বাজার ও মসজিদে এখনো মানুষের ভিড় লেগেই আছে। হাসপাতালের শয্যা বাড়ালেই শুধু হবে না, নিয়ন্ত্রণের জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে।’
বর্তমানে রাজধানীর ১৬ হাসপাতালে কোভিড রোগীর চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যে তিনটিতে কোনো আইসিইউ সুবিধা নেই। বাকি ১৩টি হাসপাতালে থাকা আইসিইউও এখন প্রায় শূন্যের কোঠায়। সংকট দেখা দিয়েছে হাই ফ্লো অক্সিজেনের। হাসপাতালে ভর্তি ও আসা রোগীদের সিংহভাগই ঢাকার বাইরের হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, করোনার আগে স্বাভাবিক সময়ে দেশে ৭০–৮০ টন অক্সিজেনের চাহিদা ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা ২০০ টন ছাড়িয়ে যাচ্ছে নিয়মিত। এর আগে এপ্রিলে সর্বোচ্চ সংক্রমণের সময়ে অক্সিজেনের চাহিদা ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টন পর্যন্ত। সেখান থেকে প্রায় তিন মাসের ব্যবধানে চাহিদা ২০০–২২০ টন দাঁড়িয়েছে; যা এপ্রিলের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি।
রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলো ঘুরে দেখা যায়, সরকারি ১৩টি হাসপাতালেই এখন আইসিইউ শয্যার সংকটে পড়েছে। শঙ্কা বাড়াচ্ছে অক্সিজেন জোগান দেওয়া নিয়ে। কুয়েত মৈত্রী, মুগদা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘুরে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।
গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউর জন্য অপেক্ষায় ছিলেন অন্তত ১০ জন রোগী। অথচ এই হাসপাতালে মোট আইসিইউর সংখ্যাই ১০টি। ৬০০ শয্যার একটিও খালি নেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। সব আইসিইউ ভর্তি।
ঢাকার বাইরের বিভাগীয় ও জেলা সদর হাসপাতালগুলোয়ও আইসিইউর কথা চিন্তা করাই কঠিন। তীব্র সংকটের পথে এখন অক্সিজেন। ঈদের প্রথম তিন দিন রোগীদের চাপ কিছুটা কম থাকলেও দুই–এক দিনের মধ্যেই আগের চেয়েও করুণ পরিস্থিতির আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
সিলেট ওসমানী ও শামসুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাড়ে ৩০০ কোভিড রোগী ভর্তি আছেন। ঈদের আগে ও পরে রোগীদের চাপ একই বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইউনুছুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অক্সিজেনের চাহিদা অনেক। কিন্তু সে অনুযায়ী পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে এই দুই হাসপাতাল মিলে দৈনিক ৬–৮ হাজার লিটার অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে।
সংকটাপন্ন এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত কমে আসছে কোভিড শয্যা। তাই নতুন করে রাজধানীর ৬টি হাসপাতালে ১ হাজার ২০০ শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪০০, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) ৩০০, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০০ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১০০টি করে। এ ছাড়া রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন কেন্দ্রে ১ হাজার ২০০ শয্যার একটি অস্থায়ী হাসপাতাল করার কথা জানিয়েছে সরকার। তবে শয্যা বাড়াতে হলে সবার আগে দরকার উপযুক্ত জনবল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাতারাতি তো আর এসব জনবল নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়। পর্যায়ক্রমে চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ দেওয়া হবে।

আজাদুল আদনান, ঢাকা

টানা ২৮ দিনের কঠোর লকডাউনেও থামানো যাচ্ছে না করোনার তাণ্ডব। ঈদ ঘিরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও আক্রান্তের হার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে গত এক দিনে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকে আক্রান্ত হয়ে কিংবা উপসর্গ বহন করলেও ঘরেই থাকছেন। শেষ সময়ে হাসপাতালে আসছেন। তাঁদের মাধ্যমে সামাজিক সংক্রমণের বিস্তার ঘটছে। ফলে শনাক্তের পরিমাণ কমলেও আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি।
বর্তমানে সংক্রমণের শীর্ষে দক্ষিণের জেলা বরিশাল। গত ২৪ ঘণ্টায় এই বিভাগে শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এরপরই চট্টগ্রামে ৩৫ দশমিক ৪১, সিলেটে ৩৪ দশমিক ৭৮, ঢাকায় ৩৩ দশমিক ৭৮, খুলনায় ২৫ দশমিক ৬৭, রাজশাহীতে ২৪ দশমিক ৪২, রংপুরে ২৫ দশমিক ২৭ ও ময়মনসিংহে ২৪ দশমিক ১৬ শতাংশ।
এ অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেয়ে নিয়ন্ত্রণের পথ খোঁজার বিকল্প নেই বলে মনে করেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, ‘এখন যে আমরা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখছি, সেটি সদ্য শেষ হওয়া লকডাউনের ফল। মানুষের সচেতনতা ছাড়া সরকারের একার পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না। হাট-বাজার ও মসজিদে এখনো মানুষের ভিড় লেগেই আছে। হাসপাতালের শয্যা বাড়ালেই শুধু হবে না, নিয়ন্ত্রণের জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে।’
বর্তমানে রাজধানীর ১৬ হাসপাতালে কোভিড রোগীর চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যে তিনটিতে কোনো আইসিইউ সুবিধা নেই। বাকি ১৩টি হাসপাতালে থাকা আইসিইউও এখন প্রায় শূন্যের কোঠায়। সংকট দেখা দিয়েছে হাই ফ্লো অক্সিজেনের। হাসপাতালে ভর্তি ও আসা রোগীদের সিংহভাগই ঢাকার বাইরের হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, করোনার আগে স্বাভাবিক সময়ে দেশে ৭০–৮০ টন অক্সিজেনের চাহিদা ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা ২০০ টন ছাড়িয়ে যাচ্ছে নিয়মিত। এর আগে এপ্রিলে সর্বোচ্চ সংক্রমণের সময়ে অক্সিজেনের চাহিদা ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টন পর্যন্ত। সেখান থেকে প্রায় তিন মাসের ব্যবধানে চাহিদা ২০০–২২০ টন দাঁড়িয়েছে; যা এপ্রিলের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি।
রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলো ঘুরে দেখা যায়, সরকারি ১৩টি হাসপাতালেই এখন আইসিইউ শয্যার সংকটে পড়েছে। শঙ্কা বাড়াচ্ছে অক্সিজেন জোগান দেওয়া নিয়ে। কুয়েত মৈত্রী, মুগদা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘুরে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।
গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউর জন্য অপেক্ষায় ছিলেন অন্তত ১০ জন রোগী। অথচ এই হাসপাতালে মোট আইসিইউর সংখ্যাই ১০টি। ৬০০ শয্যার একটিও খালি নেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। সব আইসিইউ ভর্তি।
ঢাকার বাইরের বিভাগীয় ও জেলা সদর হাসপাতালগুলোয়ও আইসিইউর কথা চিন্তা করাই কঠিন। তীব্র সংকটের পথে এখন অক্সিজেন। ঈদের প্রথম তিন দিন রোগীদের চাপ কিছুটা কম থাকলেও দুই–এক দিনের মধ্যেই আগের চেয়েও করুণ পরিস্থিতির আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
সিলেট ওসমানী ও শামসুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাড়ে ৩০০ কোভিড রোগী ভর্তি আছেন। ঈদের আগে ও পরে রোগীদের চাপ একই বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইউনুছুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অক্সিজেনের চাহিদা অনেক। কিন্তু সে অনুযায়ী পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে এই দুই হাসপাতাল মিলে দৈনিক ৬–৮ হাজার লিটার অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে।
সংকটাপন্ন এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত কমে আসছে কোভিড শয্যা। তাই নতুন করে রাজধানীর ৬টি হাসপাতালে ১ হাজার ২০০ শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪০০, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) ৩০০, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০০ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১০০টি করে। এ ছাড়া রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন কেন্দ্রে ১ হাজার ২০০ শয্যার একটি অস্থায়ী হাসপাতাল করার কথা জানিয়েছে সরকার। তবে শয্যা বাড়াতে হলে সবার আগে দরকার উপযুক্ত জনবল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাতারাতি তো আর এসব জনবল নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়। পর্যায়ক্রমে চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ দেওয়া হবে।

টানা ২৮ দিনের কঠোর লকডাউনেও থামানো যাচ্ছে না করোনার তাণ্ডব। ঈদ ঘিরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও আক্রান্তের হার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে গত এক দিনে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকে আক্রান্ত হয়ে কিংবা উপসর্গ বহন করলেও ঘরেই থাকছেন। শেষ সময়ে হাসপাতালে আসছেন। তাঁদের মাধ্যমে সামাজিক সংক্রমণের বিস্তার ঘটছে। ফলে শনাক্তের পরিমাণ কমলেও আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি।
বর্তমানে সংক্রমণের শীর্ষে দক্ষিণের জেলা বরিশাল। গত ২৪ ঘণ্টায় এই বিভাগে শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এরপরই চট্টগ্রামে ৩৫ দশমিক ৪১, সিলেটে ৩৪ দশমিক ৭৮, ঢাকায় ৩৩ দশমিক ৭৮, খুলনায় ২৫ দশমিক ৬৭, রাজশাহীতে ২৪ দশমিক ৪২, রংপুরে ২৫ দশমিক ২৭ ও ময়মনসিংহে ২৪ দশমিক ১৬ শতাংশ।
এ অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেয়ে নিয়ন্ত্রণের পথ খোঁজার বিকল্প নেই বলে মনে করেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, ‘এখন যে আমরা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখছি, সেটি সদ্য শেষ হওয়া লকডাউনের ফল। মানুষের সচেতনতা ছাড়া সরকারের একার পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না। হাট-বাজার ও মসজিদে এখনো মানুষের ভিড় লেগেই আছে। হাসপাতালের শয্যা বাড়ালেই শুধু হবে না, নিয়ন্ত্রণের জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে।’
বর্তমানে রাজধানীর ১৬ হাসপাতালে কোভিড রোগীর চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যে তিনটিতে কোনো আইসিইউ সুবিধা নেই। বাকি ১৩টি হাসপাতালে থাকা আইসিইউও এখন প্রায় শূন্যের কোঠায়। সংকট দেখা দিয়েছে হাই ফ্লো অক্সিজেনের। হাসপাতালে ভর্তি ও আসা রোগীদের সিংহভাগই ঢাকার বাইরের হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, করোনার আগে স্বাভাবিক সময়ে দেশে ৭০–৮০ টন অক্সিজেনের চাহিদা ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা ২০০ টন ছাড়িয়ে যাচ্ছে নিয়মিত। এর আগে এপ্রিলে সর্বোচ্চ সংক্রমণের সময়ে অক্সিজেনের চাহিদা ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টন পর্যন্ত। সেখান থেকে প্রায় তিন মাসের ব্যবধানে চাহিদা ২০০–২২০ টন দাঁড়িয়েছে; যা এপ্রিলের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি।
রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলো ঘুরে দেখা যায়, সরকারি ১৩টি হাসপাতালেই এখন আইসিইউ শয্যার সংকটে পড়েছে। শঙ্কা বাড়াচ্ছে অক্সিজেন জোগান দেওয়া নিয়ে। কুয়েত মৈত্রী, মুগদা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘুরে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।
গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউর জন্য অপেক্ষায় ছিলেন অন্তত ১০ জন রোগী। অথচ এই হাসপাতালে মোট আইসিইউর সংখ্যাই ১০টি। ৬০০ শয্যার একটিও খালি নেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। সব আইসিইউ ভর্তি।
ঢাকার বাইরের বিভাগীয় ও জেলা সদর হাসপাতালগুলোয়ও আইসিইউর কথা চিন্তা করাই কঠিন। তীব্র সংকটের পথে এখন অক্সিজেন। ঈদের প্রথম তিন দিন রোগীদের চাপ কিছুটা কম থাকলেও দুই–এক দিনের মধ্যেই আগের চেয়েও করুণ পরিস্থিতির আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
সিলেট ওসমানী ও শামসুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাড়ে ৩০০ কোভিড রোগী ভর্তি আছেন। ঈদের আগে ও পরে রোগীদের চাপ একই বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইউনুছুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অক্সিজেনের চাহিদা অনেক। কিন্তু সে অনুযায়ী পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে এই দুই হাসপাতাল মিলে দৈনিক ৬–৮ হাজার লিটার অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে।
সংকটাপন্ন এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত কমে আসছে কোভিড শয্যা। তাই নতুন করে রাজধানীর ৬টি হাসপাতালে ১ হাজার ২০০ শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪০০, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) ৩০০, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০০ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১০০টি করে। এ ছাড়া রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন কেন্দ্রে ১ হাজার ২০০ শয্যার একটি অস্থায়ী হাসপাতাল করার কথা জানিয়েছে সরকার। তবে শয্যা বাড়াতে হলে সবার আগে দরকার উপযুক্ত জনবল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাতারাতি তো আর এসব জনবল নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়। পর্যায়ক্রমে চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ দেওয়া হবে।


অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৪০ জন। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ (Odhikar) জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৪ মাস...
২২ মিনিট আগে
বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করার সরকারের সিদ্ধান্তে বিআরটি পরিচালনার জন্য গঠিত ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (পিএলসি) ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি চালু না হলে কার্যত এই কোম্পানির কোনো কাজ থাকছে না।
১১ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে আদেশ জারি ও গণভোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন সংকট। গণভোটের সময় এবং আদেশ জারির এখতিয়ার প্রশ্নে আবারও বিভক্ত হয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো। দলগুলোর এমন অনৈক্য অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে প্রতীকের তালিকায় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন তালিকায় বেগুন, বেলুন, খাটসহ ১৬টি প্রতীক বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শাপলা কলি, পাগড়ি, পালকিসহ ২০টি প্রতীক যুক্ত করা হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৪০ জন। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ (Odhikar) জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৪ মাস অতিক্রম করলেও, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
অধিকারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ড মোট ৪০টি। এর মধ্যে নির্যাতনে মৃত্যু ১৪, গুলিতে নিহত ১৯, পিটিয়ে হত্যার শিকার হয়েছেন ৭ জন।
অধিকার বলেছে, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে ১১ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩ জন পুলিশের হাতে, ১ জন সেনাবাহিনীর হাতে এবং ৭ জন যৌথবাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৩ জনকে নির্যাতনে, ৬ জনকে গুলিতে এবং ২ জন পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
অধিকারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের আগস্টের ৯ তারিখের পর ওই মাসে কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। সেপ্টেম্বরে ৯ জনের পর অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে একজন করে এমন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এরপর ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে মারা যান ৫ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন। মার্চ ও এপ্রিল মাসে মারা যান একজন করে দুজন। এরপর মে, জুন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যকাণ্ডের শিকারের সংখ্যা যথাক্রমে ৪,৩, ৬,৩ ও ২।
অধিকার হিসাব অনুযায়ী, গত ১৪ মাসে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ২৪২টি। এর মধ্যে আহত হয়েছেন ১২৯ জন, নিহত ১, লাঞ্ছিত ৪৩, আক্রমণ ৫, হুমকির শিকার ৩১ এবং মামলার শিকার ৩৩ জন।
অধিকার-এর সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ১ জন নিহত, ৩৪ জন আহত, ১১ জন লাঞ্ছিত, ৯ জন হুমকির শিকার ও ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এ ছাড়া রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৭ হাজার ৯৭৯টি। এর মধ্যে নিহত ২৮১, আহত ৭ হাজার ৬৯৮ জন। এ ছাড়া চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে রাজনৈতিক সহিংসতায় কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত ও ১ হাজার ৫৩৭ জন আহত হয়েছেন। এই তিন মাসে বিএনপির ৮২টি ও আওয়ামী লীগের ১টি অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ৮ জন নিহত ও ৭৪০ জন আহত এবং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ১২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে এ বছরের মার্চে, ৯৪৪ টি। ৮৬২টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে গত বছরের সেপ্টেম্বরে। গত বছরের আগস্টে (৯–৩১ আগস্ট) সংখ্যাটি ছিল ৫০০। ৭৯৮টি ঘটনা ঘটে এ বছরের এপ্রিলে। গত জুন, জুলাই ও আগস্টে সংখ্যাটি ছিল যথাক্রমে ৪৮৯,৫৭৯ ও ৬৫৮। গত সেপ্টেম্বরে সংখ্যাটি নেমে দাঁড়ায় ৩০০ টিতে।
১৪ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হন ২৮১ জন। সবচেয়ে বেশি ব্যক্তি নিহত হন এ বছরের মার্চে ৪৪ জন, এরপর এক মাসে বেশি নিহত হন গত বছরের আগস্টের ২৩ দিনে, ৩৩ জন।
১৪ মাসে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে ১৫৩ জনের। এই ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে গত সেপ্টেম্বরে, ১৮ টি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ ঘটনা ছিল ১৭ টি। গত তিন মাসে এমন ঘটনার সংখ্যা ৪৫ টি।
গত তিন মাসে ১৮৮ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৭৭ জন নারী এবং ১১১ জন মেয়ে শিশু। ওই ৭৭ জন নারীর মধ্যে ১৮ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং ২ জন ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন। ১১১ জন কন্যাশিশুর মধ্যে ১৩ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং ৬ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৮ জন নারী ও মেয়ে শিশু যৌন হয়রানির (উত্ত্যক্তকরণ) শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া নারী ও শিশুদের ওপর সংঘটিত যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে ২ জন পুরুষ আহত হয়েছেন এবং ৩ জন নারী নিহত হয়েছেন।
গত তিন মাসে মোট ১২ জন নারী যৌতুক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ০৬ জন নারীকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে, ৫ জন বিভিন্নভাবে নিপীড়নের শিকার এবং ১ জন আত্মহত্যা করেছেন।
উল্লেখিত এক বছরে সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহত হয়েছে ৩৫ জন বাংলাদেশি, আহত হয়েছেন ৩৪ জন এবং পুশইন করা হয়েছে ২ হাজার ৩৩৩ জনকে। অবশ্য পুশইনের ঘটনাগুলো ঘটেছে চলতি বছরের মে মাস থেকে।
এ ছাড়া চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিএসএফের গুলিতে ১০ বাংলাদেশী নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছেন। নিহত ১০ জনের মধ্যে ০৭ জনকে গুলি করে হত্যা ও ০৩ জনকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ১০ জনকে গুলি করে ও ০৪ জনকে নির্যাতন করে আহত করা হয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও অধিকার এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সীমান্ত এলাকার মানবাধিকার কর্মীদের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ ৫৪৪ জনকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৪০ জন। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ (Odhikar) জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৪ মাস অতিক্রম করলেও, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
অধিকারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ড মোট ৪০টি। এর মধ্যে নির্যাতনে মৃত্যু ১৪, গুলিতে নিহত ১৯, পিটিয়ে হত্যার শিকার হয়েছেন ৭ জন।
অধিকার বলেছে, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে ১১ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩ জন পুলিশের হাতে, ১ জন সেনাবাহিনীর হাতে এবং ৭ জন যৌথবাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৩ জনকে নির্যাতনে, ৬ জনকে গুলিতে এবং ২ জন পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
অধিকারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের আগস্টের ৯ তারিখের পর ওই মাসে কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। সেপ্টেম্বরে ৯ জনের পর অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে একজন করে এমন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এরপর ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে মারা যান ৫ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন। মার্চ ও এপ্রিল মাসে মারা যান একজন করে দুজন। এরপর মে, জুন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যকাণ্ডের শিকারের সংখ্যা যথাক্রমে ৪,৩, ৬,৩ ও ২।
অধিকার হিসাব অনুযায়ী, গত ১৪ মাসে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ২৪২টি। এর মধ্যে আহত হয়েছেন ১২৯ জন, নিহত ১, লাঞ্ছিত ৪৩, আক্রমণ ৫, হুমকির শিকার ৩১ এবং মামলার শিকার ৩৩ জন।
অধিকার-এর সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ১ জন নিহত, ৩৪ জন আহত, ১১ জন লাঞ্ছিত, ৯ জন হুমকির শিকার ও ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এ ছাড়া রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৭ হাজার ৯৭৯টি। এর মধ্যে নিহত ২৮১, আহত ৭ হাজার ৬৯৮ জন। এ ছাড়া চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে রাজনৈতিক সহিংসতায় কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত ও ১ হাজার ৫৩৭ জন আহত হয়েছেন। এই তিন মাসে বিএনপির ৮২টি ও আওয়ামী লীগের ১টি অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ৮ জন নিহত ও ৭৪০ জন আহত এবং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ১২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে এ বছরের মার্চে, ৯৪৪ টি। ৮৬২টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে গত বছরের সেপ্টেম্বরে। গত বছরের আগস্টে (৯–৩১ আগস্ট) সংখ্যাটি ছিল ৫০০। ৭৯৮টি ঘটনা ঘটে এ বছরের এপ্রিলে। গত জুন, জুলাই ও আগস্টে সংখ্যাটি ছিল যথাক্রমে ৪৮৯,৫৭৯ ও ৬৫৮। গত সেপ্টেম্বরে সংখ্যাটি নেমে দাঁড়ায় ৩০০ টিতে।
১৪ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হন ২৮১ জন। সবচেয়ে বেশি ব্যক্তি নিহত হন এ বছরের মার্চে ৪৪ জন, এরপর এক মাসে বেশি নিহত হন গত বছরের আগস্টের ২৩ দিনে, ৩৩ জন।
১৪ মাসে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে ১৫৩ জনের। এই ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে গত সেপ্টেম্বরে, ১৮ টি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ ঘটনা ছিল ১৭ টি। গত তিন মাসে এমন ঘটনার সংখ্যা ৪৫ টি।
গত তিন মাসে ১৮৮ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৭৭ জন নারী এবং ১১১ জন মেয়ে শিশু। ওই ৭৭ জন নারীর মধ্যে ১৮ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং ২ জন ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন। ১১১ জন কন্যাশিশুর মধ্যে ১৩ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং ৬ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৮ জন নারী ও মেয়ে শিশু যৌন হয়রানির (উত্ত্যক্তকরণ) শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া নারী ও শিশুদের ওপর সংঘটিত যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে ২ জন পুরুষ আহত হয়েছেন এবং ৩ জন নারী নিহত হয়েছেন।
গত তিন মাসে মোট ১২ জন নারী যৌতুক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ০৬ জন নারীকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে, ৫ জন বিভিন্নভাবে নিপীড়নের শিকার এবং ১ জন আত্মহত্যা করেছেন।
উল্লেখিত এক বছরে সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহত হয়েছে ৩৫ জন বাংলাদেশি, আহত হয়েছেন ৩৪ জন এবং পুশইন করা হয়েছে ২ হাজার ৩৩৩ জনকে। অবশ্য পুশইনের ঘটনাগুলো ঘটেছে চলতি বছরের মে মাস থেকে।
এ ছাড়া চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিএসএফের গুলিতে ১০ বাংলাদেশী নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছেন। নিহত ১০ জনের মধ্যে ০৭ জনকে গুলি করে হত্যা ও ০৩ জনকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ১০ জনকে গুলি করে ও ০৪ জনকে নির্যাতন করে আহত করা হয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও অধিকার এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সীমান্ত এলাকার মানবাধিকার কর্মীদের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ ৫৪৪ জনকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।


টানা ২৮ দিনের কঠোর লকডাউনেও থামানো যাচ্ছে না করোনার তাণ্ডব। ঈদকে ঘিরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও আক্রান্তের হার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে গত এক দিনে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
২৫ জুলাই ২০২১
বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করার সরকারের সিদ্ধান্তে বিআরটি পরিচালনার জন্য গঠিত ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (পিএলসি) ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি চালু না হলে কার্যত এই কোম্পানির কোনো কাজ থাকছে না।
১১ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে আদেশ জারি ও গণভোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন সংকট। গণভোটের সময় এবং আদেশ জারির এখতিয়ার প্রশ্নে আবারও বিভক্ত হয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো। দলগুলোর এমন অনৈক্য অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে প্রতীকের তালিকায় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন তালিকায় বেগুন, বেলুন, খাটসহ ১৬টি প্রতীক বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শাপলা কলি, পাগড়ি, পালকিসহ ২০টি প্রতীক যুক্ত করা হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করার সরকারের সিদ্ধান্তে বিআরটি পরিচালনার জন্য গঠিত ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (পিএলসি) ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি চালু না হলে কার্যত এই কোম্পানির কোনো কাজ থাকছে না। প্রকল্পের তহবিল থেকে কোম্পানিটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও পরিচালন ব্যয় মেটানো হয় বলে এ নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
সূত্র বলেছে, প্রকল্প বন্ধ হলে বিআরটি কোম্পানিকে অন্য কোনো কাজে যুক্ত করার বিষয়ে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) একাধিক প্রস্তাব দিয়েছে। অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেছেন, বিআরটি কোম্পানির ক্ষেত্রে আপাতত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে। যদি কোম্পানি নিজেরা অন্য কোনো কাজে অংশ নিতে চায়, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।
রাজধানীর যানজট নিরসন ও যাত্রীদের জন্য দ্রুতগতির গণপরিবহন নিশ্চিতের লক্ষ্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। বিশেষ বাস চলাচলের জন্য এই করিডরের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার। প্রকল্পটির নির্মাণকাজের জন্য প্রকল্পসংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা ও যাত্রীদের এক যুগ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা, যা পরে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকায়। কাজ শেষ না হলেও এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের করিডরের ধারণা বাতিল হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চার লেনের সড়ক সাধারণ যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন ঢাকা বিআরটি কোম্পানি (পিএলসি) গঠিত হয়েছিল বিআরটি রুট পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। কিন্তু প্রকল্প চালু না হলে কোম্পানির কাজও কার্যত শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এই কোম্পানির মূল দায়িত্বের মধ্যে ছিল বাস কেনা, বিআরটি পরিচালনার জন্য আইটিএস সরঞ্জাম কেনা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র ও সিগন্যাল সিস্টেম স্থাপন, বিদ্যমান বাস অপারেটরদের সঙ্গে সমন্বয় এবং বিআরটি বাস অপারেটর নির্বাচন। কিন্তু গত ১২ বছরে এসব কাজের কোনোটিই সম্পন্ন করতে পারেনি কোম্পানিটি।
প্রকল্প সূত্র জানায়, একাধিকবার দরপত্র আহ্বান করলেও এখনো একটি বাসও কেনা যায়নি। বর্তমানে ঢাকা বিআরটি কোম্পানিতে একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (যুগ্ম সচিব পদমর্যাদা) নেতৃত্বে ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. নূরুল আমিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্প এগোবে কি না, সেটি আমরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানি না। যদি প্রকল্প স্থগিত হয়, তাহলে সরকার আমাদের অন্য কোনো দায়িত্ব দিতে পারে। তবে প্রকল্পের অর্থ থেকেই আমাদের বেতন ও পরিচালন ব্যয় মেটানো হতো। প্রকল্প বন্ধ হলে এই খাত থেকে অর্থ পাওয়া যাবে না, তখন কোম্পানির কার্যক্রম কীভাবে চলবে, সেটি সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।’
প্রকল্প না এগোনোর সিদ্ধান্তের পর ঢাকা বিআরটি কোম্পানি বিআরটি প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক সংস্থা ডিটিসিএর সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ডিটিসিএ সূত্র জানায়, প্রকল্প বন্ধ হলে কোম্পানিকে অন্য কোনো কাজে যুক্ত করার বিষয়ে একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ডিটিসিএর ‘ক্লিয়ারিং হাউস’ প্রকল্পে কোম্পানিকে সম্পৃক্ত করার প্রস্তাবও আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হয়েছে।
বিআরটি প্রকল্প নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন গত রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্পে আমরা কোনো বাস কিনছি না এবং টিকিট কাউন্টারগুলোও চালু করছি না। প্রকল্পের রাস্তাটি এখন চার লেনের একটি সাধারণ সড়ক হিসেবে খুলে দেওয়া হবে, যাতে অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারে। তবে প্রকল্পের অবকাঠামো যেমন আছে, তেমনই থাকবে, কোনো পরিবর্তন করা হচ্ছে না। ঢাকা বিআরটি কোম্পানির ক্ষেত্রেও আপাতত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। তারা যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে। যদি কোম্পানি নিজেরা অন্য কোনো কাজে অংশ নিতে চায়, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।’ তিনি বলেন, ভবিষ্যতে নতুন সরকার চাইলে বিআরটি সেবা চালু করতে পারবে। তাদের শুধু বাস কিনতে হবে ও টিকিট কাউন্টারগুলো চালু করতে হবে। তখন ঢাকা বিআরটি কোম্পানিকেই ব্যবহার করা যেতে পারে।
বৃহৎ কাঠামোর অসমাপ্ত পরিসমাপ্তি
অসমাপ্ত এই প্রকল্পের আওতায় ২০ দশমিক ২০ কিলোমিটার করিডর নির্মাণ করা হয়েছে। এর ১৫ দশমিক ০৭ কিলোমিটার ভূমিতে এবং ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার উড়ালসড়ক (এলিভেটেড) অংশ। রয়েছে ২৫টি স্টেশন, একটি বাস ডিপো (গাজীপুরে), দুটি টার্মিনাল (বিমানবন্দর ও গাজীপুরে), ছয়টি ফ্লাইওভার (বিমানবন্দর, জসীমউদ্দীন, কুনিয়া, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ভোগরা ও জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায়), টঙ্গী সেতু ১০ লেনে উন্নীত করা হয়েছে। আটটি অ্যাকসেস রোড, প্রায় ৫৬ কিলোমিটার নর্দমা ও ২৪ কিলোমিটার ফুটপাত করা হয়েছে।
শেখ মইনউদ্দিন বলেন, বিআরটি প্রকল্প শেষ করতে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা এবং ২০২৯ সাল পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়েছিল। সেটি অনুমোদন পায়নি। ফলে প্রকল্পটি এভাবেই শেষ করতে হচ্ছে। এখন ঠিকাদারের কিছু পাওনা ও অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়ে ডিপিপি সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্বল পরিকল্পনা, সমন্বয়ের অভাব, ঠিকাদারি বিলম্ব ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব—এসব কারণে বিআরটি প্রকল্প সফল হয়নি।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, বিআরটি প্রকল্প একটি পূর্ণাঙ্গ পরিবহনব্যবস্থার ধারণা ছিল। সেটি বাতিল হলে পুরো পরিকল্পনাই অর্থহীন হয়ে যায়। এত বড় বিনিয়োগের পরও যদি প্রকল্পটি সেবা দিতে না পারে, তাহলে এটি হবে একধরনের ‘স্ট্রাকচারাল ওয়েস্ট’। এখন জরুরি হলো ঢাকা বিআরটি কোম্পানির মানবসম্পদ ও সক্ষমতাকে অন্য পরিবহন উন্নয়ন প্রকল্পে কাজে লাগানো, যেন রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পুরোপুরি ব্যর্থ না হয়।

বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করার সরকারের সিদ্ধান্তে বিআরটি পরিচালনার জন্য গঠিত ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (পিএলসি) ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি চালু না হলে কার্যত এই কোম্পানির কোনো কাজ থাকছে না। প্রকল্পের তহবিল থেকে কোম্পানিটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও পরিচালন ব্যয় মেটানো হয় বলে এ নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
সূত্র বলেছে, প্রকল্প বন্ধ হলে বিআরটি কোম্পানিকে অন্য কোনো কাজে যুক্ত করার বিষয়ে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) একাধিক প্রস্তাব দিয়েছে। অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেছেন, বিআরটি কোম্পানির ক্ষেত্রে আপাতত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে। যদি কোম্পানি নিজেরা অন্য কোনো কাজে অংশ নিতে চায়, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।
রাজধানীর যানজট নিরসন ও যাত্রীদের জন্য দ্রুতগতির গণপরিবহন নিশ্চিতের লক্ষ্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। বিশেষ বাস চলাচলের জন্য এই করিডরের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার। প্রকল্পটির নির্মাণকাজের জন্য প্রকল্পসংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা ও যাত্রীদের এক যুগ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা, যা পরে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকায়। কাজ শেষ না হলেও এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের করিডরের ধারণা বাতিল হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চার লেনের সড়ক সাধারণ যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন ঢাকা বিআরটি কোম্পানি (পিএলসি) গঠিত হয়েছিল বিআরটি রুট পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। কিন্তু প্রকল্প চালু না হলে কোম্পানির কাজও কার্যত শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এই কোম্পানির মূল দায়িত্বের মধ্যে ছিল বাস কেনা, বিআরটি পরিচালনার জন্য আইটিএস সরঞ্জাম কেনা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র ও সিগন্যাল সিস্টেম স্থাপন, বিদ্যমান বাস অপারেটরদের সঙ্গে সমন্বয় এবং বিআরটি বাস অপারেটর নির্বাচন। কিন্তু গত ১২ বছরে এসব কাজের কোনোটিই সম্পন্ন করতে পারেনি কোম্পানিটি।
প্রকল্প সূত্র জানায়, একাধিকবার দরপত্র আহ্বান করলেও এখনো একটি বাসও কেনা যায়নি। বর্তমানে ঢাকা বিআরটি কোম্পানিতে একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (যুগ্ম সচিব পদমর্যাদা) নেতৃত্বে ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. নূরুল আমিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্প এগোবে কি না, সেটি আমরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানি না। যদি প্রকল্প স্থগিত হয়, তাহলে সরকার আমাদের অন্য কোনো দায়িত্ব দিতে পারে। তবে প্রকল্পের অর্থ থেকেই আমাদের বেতন ও পরিচালন ব্যয় মেটানো হতো। প্রকল্প বন্ধ হলে এই খাত থেকে অর্থ পাওয়া যাবে না, তখন কোম্পানির কার্যক্রম কীভাবে চলবে, সেটি সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।’
প্রকল্প না এগোনোর সিদ্ধান্তের পর ঢাকা বিআরটি কোম্পানি বিআরটি প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক সংস্থা ডিটিসিএর সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ডিটিসিএ সূত্র জানায়, প্রকল্প বন্ধ হলে কোম্পানিকে অন্য কোনো কাজে যুক্ত করার বিষয়ে একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ডিটিসিএর ‘ক্লিয়ারিং হাউস’ প্রকল্পে কোম্পানিকে সম্পৃক্ত করার প্রস্তাবও আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হয়েছে।
বিআরটি প্রকল্প নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন গত রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্পে আমরা কোনো বাস কিনছি না এবং টিকিট কাউন্টারগুলোও চালু করছি না। প্রকল্পের রাস্তাটি এখন চার লেনের একটি সাধারণ সড়ক হিসেবে খুলে দেওয়া হবে, যাতে অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারে। তবে প্রকল্পের অবকাঠামো যেমন আছে, তেমনই থাকবে, কোনো পরিবর্তন করা হচ্ছে না। ঢাকা বিআরটি কোম্পানির ক্ষেত্রেও আপাতত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। তারা যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে। যদি কোম্পানি নিজেরা অন্য কোনো কাজে অংশ নিতে চায়, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।’ তিনি বলেন, ভবিষ্যতে নতুন সরকার চাইলে বিআরটি সেবা চালু করতে পারবে। তাদের শুধু বাস কিনতে হবে ও টিকিট কাউন্টারগুলো চালু করতে হবে। তখন ঢাকা বিআরটি কোম্পানিকেই ব্যবহার করা যেতে পারে।
বৃহৎ কাঠামোর অসমাপ্ত পরিসমাপ্তি
অসমাপ্ত এই প্রকল্পের আওতায় ২০ দশমিক ২০ কিলোমিটার করিডর নির্মাণ করা হয়েছে। এর ১৫ দশমিক ০৭ কিলোমিটার ভূমিতে এবং ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার উড়ালসড়ক (এলিভেটেড) অংশ। রয়েছে ২৫টি স্টেশন, একটি বাস ডিপো (গাজীপুরে), দুটি টার্মিনাল (বিমানবন্দর ও গাজীপুরে), ছয়টি ফ্লাইওভার (বিমানবন্দর, জসীমউদ্দীন, কুনিয়া, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ভোগরা ও জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায়), টঙ্গী সেতু ১০ লেনে উন্নীত করা হয়েছে। আটটি অ্যাকসেস রোড, প্রায় ৫৬ কিলোমিটার নর্দমা ও ২৪ কিলোমিটার ফুটপাত করা হয়েছে।
শেখ মইনউদ্দিন বলেন, বিআরটি প্রকল্প শেষ করতে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা এবং ২০২৯ সাল পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়েছিল। সেটি অনুমোদন পায়নি। ফলে প্রকল্পটি এভাবেই শেষ করতে হচ্ছে। এখন ঠিকাদারের কিছু পাওনা ও অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়ে ডিপিপি সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্বল পরিকল্পনা, সমন্বয়ের অভাব, ঠিকাদারি বিলম্ব ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব—এসব কারণে বিআরটি প্রকল্প সফল হয়নি।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, বিআরটি প্রকল্প একটি পূর্ণাঙ্গ পরিবহনব্যবস্থার ধারণা ছিল। সেটি বাতিল হলে পুরো পরিকল্পনাই অর্থহীন হয়ে যায়। এত বড় বিনিয়োগের পরও যদি প্রকল্পটি সেবা দিতে না পারে, তাহলে এটি হবে একধরনের ‘স্ট্রাকচারাল ওয়েস্ট’। এখন জরুরি হলো ঢাকা বিআরটি কোম্পানির মানবসম্পদ ও সক্ষমতাকে অন্য পরিবহন উন্নয়ন প্রকল্পে কাজে লাগানো, যেন রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পুরোপুরি ব্যর্থ না হয়।


টানা ২৮ দিনের কঠোর লকডাউনেও থামানো যাচ্ছে না করোনার তাণ্ডব। ঈদকে ঘিরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও আক্রান্তের হার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে গত এক দিনে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
২৫ জুলাই ২০২১
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৪০ জন। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ (Odhikar) জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৪ মাস...
২২ মিনিট আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে আদেশ জারি ও গণভোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন সংকট। গণভোটের সময় এবং আদেশ জারির এখতিয়ার প্রশ্নে আবারও বিভক্ত হয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো। দলগুলোর এমন অনৈক্য অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে প্রতীকের তালিকায় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন তালিকায় বেগুন, বেলুন, খাটসহ ১৬টি প্রতীক বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শাপলা কলি, পাগড়ি, পালকিসহ ২০টি প্রতীক যুক্ত করা হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে আদেশ জারি ও গণভোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন সংকট। গণভোটের সময় এবং আদেশ জারির এখতিয়ার প্রশ্নে আবারও বিভক্ত হয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো। দলগুলোর এমন অনৈক্য অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। এখন কীভাবে বিষয়গুলো সামাল দিয়ে দ্রুত সনদের আদেশ জারি করা যায়, তা নিয়ে বেকায়দায় সরকার।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। গতকাল বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্যের মধ্যে যে অনৈক্যের সুর দেখছি, এটা হতাশাব্যঞ্জক। এই তীব্র বিরোধের মধ্যে কীভাবে সমঝোতার দলিল পাস হবে, এটা খুব দুরূহ একটা চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে এনে দিয়েছে।’
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গত মঙ্গলবার সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির কথা বলা হয়। পাশাপাশি তা বাস্তবায়নে দুটো বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটের আগে সরকার জাতীয় সনদের ভিত্তিতে একটি খসড়া বিল প্রস্তুত করবে, যা গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। ফলাফল ইতিবাচক হলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একযোগে এমপি ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁরা প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলে বিলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবে বিলের কথা বলা নেই। এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হলেও প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করার কথা বলা হয়।
জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ দ্রুত জারির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের মতো সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত আদেশ জারির পক্ষে জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি)। দলটির দাবি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসই এই আদেশে স্বাক্ষর করবেন, রাষ্ট্রপতি নন।
তবে বিএনপি বলেছে, সরকারের এমন আদেশ জারির এখতিয়ার নেই। এ ছাড়া গণভোট নিয়েও দলগুলোর মধ্য মতভেদ তীব্র হয়েছে। বিএনপি সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের পক্ষে। একই মত গণঅধিকার পরিষদেরও। তবে জামায়াতে ইসলামীর দাবি, নভেম্বরেই গণভোট হতে হবে।
সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তাদের সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করেছে। সেখানে যেসব বিষয়ে ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্য হয়েছে, তার উল্লেখ না রেখে দীর্ঘ আলোচনায় যেসব প্রসঙ্গ আসেনি, তা রাখা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে দলটির নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। সময়স্বল্পতা, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিপুল অঙ্কের ব্যয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ব্যাপক লোকবল নিয়োগ এবং একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো বিশাল আয়োজনের বিবেচনায় নির্বাচনের আগে গণভোট অনুষ্ঠান অপ্রয়োজনীয়, অযৌক্তিক এবং অবিবেচনাপ্রসূত। একই আয়োজনে এবং একই ব্যয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠান করা বাঞ্ছনীয়।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশকে ‘একপেশে’ও ‘জবরদস্তিমূলক’ বলে মনে করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই সুপারিশমালাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে এই সকল সুপারিশ কেবল জাতিকে বিভক্ত করবে, ঐক্যের বদলে অনৈক্য সৃষ্টি করবে। মনগড়া যেকোনো সংস্কার প্রস্তাব গ্রহণ করলে জাতীয় জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশকে বিএনপি ‘একপেশে’ ও ‘চাপিয়ে দেওয়া’ বললেও এর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছে জামায়াতে ইসলামী। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করছে দলটি। সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি নিয়ে এক মুহূর্ত দেরি করার পক্ষে নন জামায়াত নেতারা। গতকাল বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের উদ্দেশে দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘কোনো সময় ক্ষেপণ না করে আজই (বৃহস্পতিবার) ঘোষণা করুন। রাতের বেলায়ও অনেক আদেশ জারি করা যায়। না হলে আপনার সরকারের ওপর মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলবে। আর যদি আস্থা হারিয়ে ফেলে, তাহলে জাতীয় নির্বাচন করা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’
আদেশ জারিতে বিলম্ব হলে জামায়াত কী করবে জানতে চাইলে এই নেতা বলেন, ‘আমরা আন্দোলনের মধ্যেই আছি। আজকের (বৃহস্পতিবার) রাতের মধ্যেই দেখি করবে কি না। কালও (শুক্রবার) সময় আছে। বাকিটা কাল দেখা যাবে।’
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবাই এক রকম কথা বলছে, শুধু বিএনপি ভিন্ন কথা বলছে। তবে জাতীয় স্বার্থে সবার এক হওয়া উচিত। ঐকমত্য কমিশন যেহেতু জাতীয় স্বার্থে একটা সনদ করেছে, সেটি বাস্তবায়নে এখন সবার সহযোগিতা করা উচিত বলে আমরা মনে করি।’
জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মো. তাহেরও বলছেন, ‘জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে যে মতভেদ দেখা যাচ্ছে, এর ফলে রাজনীতিতে কিছুটা বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মনে করি, এই মুহূর্তে চরম পর্যায়ে না গিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে বসে এ বিষয়ে ঐকমত্যে আসা দরকার এবং সেটা খুব শিগগিরই।’
জামায়াতের মতো সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত আদেশ জারির পক্ষে এনসিপিও। এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা মনে করি, সুপারিশকৃত সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করতে হবে সরকারকে। এতে সই করার একমাত্র এখতিয়ার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ অনৈক্য তৈরি করেছে বলে বিএনপির মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন এনসিপির নেতারা। জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর বিএনপির এই অবস্থান দ্বিচারিতা বলে মনে করেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘তাঁদের এখন আর “না” বলার সুযোগ নেই। তাঁরা বিবাহে রাজি হয়েছেন, কাবিননামায় সই করেছেন। তাই “না” বলার কোনো সুযোগ নেই। তাঁদের ভেবেচিন্তে জুলাই সনদে সই করা উচিত ছিল।’
বাস্তবায়ন আদেশ জারিতে জামায়াতে ইসলামী সরকারকে আলটিমেটাম দিলেও এনসিপি আপাতত কোনো আলটিমেটাম দেবে না। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘এখনই আমরা আলটিমেটাম দিতে চাই না, তবে আমরা চাই, অবিলম্বে এই আদেশ জারি হোক।’
বিএনপির সঙ্গে একমত পোষণ করে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোটের পক্ষে অবস্থান গণঅধিকার পরিষদের। দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘নির্বাচন আর গণভোট একই দিনে এইটা আমাদের প্রস্তাব ছিল না। এইটা কমিশনেরই প্রস্তাব ছিল। আমরা তাতে রাজি হয়েছি। রাজি হওয়ার পরেও সরকার এখন জামায়াত ও এনসিপির চাওয়া অনুযায়ী গণভোট আগে করতে চাচ্ছে। নোট অব ডিসেন্ট বাদ রেখেই সনদ দিয়েছে।’
গণভোটের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত চলছে বলেও অভিযোগ করেন রাশেদ। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, দিল্লি-হাসিনার পরামর্শে, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি মহল চক্রান্ত করছে। সেই মহল মনে করছে, গণভোটের নামে রাষ্ট্র অস্থিতিশীল করে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন বানচাল করে আরেকটি এক-এগারো সৃষ্টির চক্রান্ত শুরু হয়েছে।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ কাফি রতন বলেন, ‘বাস্তবায়নের বিষয় নিয়ে জামায়াত ও এনসিপিকে খুশি করার যে চেষ্টা, তা বিপজ্জনক। গণভোটের বিষয়টা আমরা অপ্রয়োজনীয় মনে করি। আমরা মনে করি, নির্বাচনের দিনে একই দিনে হওয়া উচিত।’
দলগুলোর এমন মতবিরোধ প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘উনাদের (রাজনৈতিক দল) তো আসলে ঐকমত্য হয় নাই। কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে এর আগে আমরা জেনেছিলাম কনটেন্ট নিয়ে বিরোধ ছিল, যে সংস্কার হবে সেই বিষয়বস্তু নিয়ে বিরোধ ছিল। এখন আবার দেখলাম আরও দুই ধরনের বিরোধ তৈরি হয়েছে; একটা হচ্ছে জুলাই সনদ কী পদ্ধতিতে পাস করা হবে, আরেকটা হচ্ছে গণভোট কবে হবে।’
এই বিরোধকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে জাতির অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সরকার তো প্রত্যেকটা জায়গায় রীতিমতো জাতিকে হতাশ করল। শেষ পর্যন্ত জুলাই সনদে মন-কষাকষি হয়। সেখানে একটা দলের প্রতি কিংবা দলের বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলে সাধারণ মানুষ তো টের পাচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্ল্যাকমেলের চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা তো ভালো নয়।’

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে আদেশ জারি ও গণভোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন সংকট। গণভোটের সময় এবং আদেশ জারির এখতিয়ার প্রশ্নে আবারও বিভক্ত হয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো। দলগুলোর এমন অনৈক্য অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। এখন কীভাবে বিষয়গুলো সামাল দিয়ে দ্রুত সনদের আদেশ জারি করা যায়, তা নিয়ে বেকায়দায় সরকার।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। গতকাল বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্যের মধ্যে যে অনৈক্যের সুর দেখছি, এটা হতাশাব্যঞ্জক। এই তীব্র বিরোধের মধ্যে কীভাবে সমঝোতার দলিল পাস হবে, এটা খুব দুরূহ একটা চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে এনে দিয়েছে।’
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গত মঙ্গলবার সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির কথা বলা হয়। পাশাপাশি তা বাস্তবায়নে দুটো বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটের আগে সরকার জাতীয় সনদের ভিত্তিতে একটি খসড়া বিল প্রস্তুত করবে, যা গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। ফলাফল ইতিবাচক হলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একযোগে এমপি ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁরা প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলে বিলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবে বিলের কথা বলা নেই। এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হলেও প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করার কথা বলা হয়।
জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ দ্রুত জারির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের মতো সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত আদেশ জারির পক্ষে জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি)। দলটির দাবি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসই এই আদেশে স্বাক্ষর করবেন, রাষ্ট্রপতি নন।
তবে বিএনপি বলেছে, সরকারের এমন আদেশ জারির এখতিয়ার নেই। এ ছাড়া গণভোট নিয়েও দলগুলোর মধ্য মতভেদ তীব্র হয়েছে। বিএনপি সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের পক্ষে। একই মত গণঅধিকার পরিষদেরও। তবে জামায়াতে ইসলামীর দাবি, নভেম্বরেই গণভোট হতে হবে।
সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তাদের সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করেছে। সেখানে যেসব বিষয়ে ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্য হয়েছে, তার উল্লেখ না রেখে দীর্ঘ আলোচনায় যেসব প্রসঙ্গ আসেনি, তা রাখা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে দলটির নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। সময়স্বল্পতা, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিপুল অঙ্কের ব্যয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ব্যাপক লোকবল নিয়োগ এবং একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো বিশাল আয়োজনের বিবেচনায় নির্বাচনের আগে গণভোট অনুষ্ঠান অপ্রয়োজনীয়, অযৌক্তিক এবং অবিবেচনাপ্রসূত। একই আয়োজনে এবং একই ব্যয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠান করা বাঞ্ছনীয়।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশকে ‘একপেশে’ও ‘জবরদস্তিমূলক’ বলে মনে করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই সুপারিশমালাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে এই সকল সুপারিশ কেবল জাতিকে বিভক্ত করবে, ঐক্যের বদলে অনৈক্য সৃষ্টি করবে। মনগড়া যেকোনো সংস্কার প্রস্তাব গ্রহণ করলে জাতীয় জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশকে বিএনপি ‘একপেশে’ ও ‘চাপিয়ে দেওয়া’ বললেও এর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছে জামায়াতে ইসলামী। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করছে দলটি। সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি নিয়ে এক মুহূর্ত দেরি করার পক্ষে নন জামায়াত নেতারা। গতকাল বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের উদ্দেশে দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘কোনো সময় ক্ষেপণ না করে আজই (বৃহস্পতিবার) ঘোষণা করুন। রাতের বেলায়ও অনেক আদেশ জারি করা যায়। না হলে আপনার সরকারের ওপর মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলবে। আর যদি আস্থা হারিয়ে ফেলে, তাহলে জাতীয় নির্বাচন করা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’
আদেশ জারিতে বিলম্ব হলে জামায়াত কী করবে জানতে চাইলে এই নেতা বলেন, ‘আমরা আন্দোলনের মধ্যেই আছি। আজকের (বৃহস্পতিবার) রাতের মধ্যেই দেখি করবে কি না। কালও (শুক্রবার) সময় আছে। বাকিটা কাল দেখা যাবে।’
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবাই এক রকম কথা বলছে, শুধু বিএনপি ভিন্ন কথা বলছে। তবে জাতীয় স্বার্থে সবার এক হওয়া উচিত। ঐকমত্য কমিশন যেহেতু জাতীয় স্বার্থে একটা সনদ করেছে, সেটি বাস্তবায়নে এখন সবার সহযোগিতা করা উচিত বলে আমরা মনে করি।’
জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মো. তাহেরও বলছেন, ‘জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে যে মতভেদ দেখা যাচ্ছে, এর ফলে রাজনীতিতে কিছুটা বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মনে করি, এই মুহূর্তে চরম পর্যায়ে না গিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে বসে এ বিষয়ে ঐকমত্যে আসা দরকার এবং সেটা খুব শিগগিরই।’
জামায়াতের মতো সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত আদেশ জারির পক্ষে এনসিপিও। এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা মনে করি, সুপারিশকৃত সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করতে হবে সরকারকে। এতে সই করার একমাত্র এখতিয়ার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ অনৈক্য তৈরি করেছে বলে বিএনপির মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন এনসিপির নেতারা। জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর বিএনপির এই অবস্থান দ্বিচারিতা বলে মনে করেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘তাঁদের এখন আর “না” বলার সুযোগ নেই। তাঁরা বিবাহে রাজি হয়েছেন, কাবিননামায় সই করেছেন। তাই “না” বলার কোনো সুযোগ নেই। তাঁদের ভেবেচিন্তে জুলাই সনদে সই করা উচিত ছিল।’
বাস্তবায়ন আদেশ জারিতে জামায়াতে ইসলামী সরকারকে আলটিমেটাম দিলেও এনসিপি আপাতত কোনো আলটিমেটাম দেবে না। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘এখনই আমরা আলটিমেটাম দিতে চাই না, তবে আমরা চাই, অবিলম্বে এই আদেশ জারি হোক।’
বিএনপির সঙ্গে একমত পোষণ করে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোটের পক্ষে অবস্থান গণঅধিকার পরিষদের। দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘নির্বাচন আর গণভোট একই দিনে এইটা আমাদের প্রস্তাব ছিল না। এইটা কমিশনেরই প্রস্তাব ছিল। আমরা তাতে রাজি হয়েছি। রাজি হওয়ার পরেও সরকার এখন জামায়াত ও এনসিপির চাওয়া অনুযায়ী গণভোট আগে করতে চাচ্ছে। নোট অব ডিসেন্ট বাদ রেখেই সনদ দিয়েছে।’
গণভোটের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত চলছে বলেও অভিযোগ করেন রাশেদ। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, দিল্লি-হাসিনার পরামর্শে, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি মহল চক্রান্ত করছে। সেই মহল মনে করছে, গণভোটের নামে রাষ্ট্র অস্থিতিশীল করে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন বানচাল করে আরেকটি এক-এগারো সৃষ্টির চক্রান্ত শুরু হয়েছে।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ কাফি রতন বলেন, ‘বাস্তবায়নের বিষয় নিয়ে জামায়াত ও এনসিপিকে খুশি করার যে চেষ্টা, তা বিপজ্জনক। গণভোটের বিষয়টা আমরা অপ্রয়োজনীয় মনে করি। আমরা মনে করি, নির্বাচনের দিনে একই দিনে হওয়া উচিত।’
দলগুলোর এমন মতবিরোধ প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘উনাদের (রাজনৈতিক দল) তো আসলে ঐকমত্য হয় নাই। কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে এর আগে আমরা জেনেছিলাম কনটেন্ট নিয়ে বিরোধ ছিল, যে সংস্কার হবে সেই বিষয়বস্তু নিয়ে বিরোধ ছিল। এখন আবার দেখলাম আরও দুই ধরনের বিরোধ তৈরি হয়েছে; একটা হচ্ছে জুলাই সনদ কী পদ্ধতিতে পাস করা হবে, আরেকটা হচ্ছে গণভোট কবে হবে।’
এই বিরোধকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে জাতির অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সরকার তো প্রত্যেকটা জায়গায় রীতিমতো জাতিকে হতাশ করল। শেষ পর্যন্ত জুলাই সনদে মন-কষাকষি হয়। সেখানে একটা দলের প্রতি কিংবা দলের বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলে সাধারণ মানুষ তো টের পাচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্ল্যাকমেলের চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা তো ভালো নয়।’


টানা ২৮ দিনের কঠোর লকডাউনেও থামানো যাচ্ছে না করোনার তাণ্ডব। ঈদকে ঘিরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও আক্রান্তের হার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে গত এক দিনে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
২৫ জুলাই ২০২১
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৪০ জন। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ (Odhikar) জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৪ মাস...
২২ মিনিট আগে
বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করার সরকারের সিদ্ধান্তে বিআরটি পরিচালনার জন্য গঠিত ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (পিএলসি) ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি চালু না হলে কার্যত এই কোম্পানির কোনো কাজ থাকছে না।
১১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে প্রতীকের তালিকায় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন তালিকায় বেগুন, বেলুন, খাটসহ ১৬টি প্রতীক বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শাপলা কলি, পাগড়ি, পালকিসহ ২০টি প্রতীক যুক্ত করা হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে প্রতীকের তালিকায় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন তালিকায় বেগুন, বেলুন, খাটসহ ১৬টি প্রতীক বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শাপলা কলি, পাগড়ি, পালকিসহ ২০টি প্রতীক যুক্ত করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এর আগে ১১৫টি প্রতীকের তালিকা করেছিল ইসি। সংশোধিত তালিকায় ১১৯টি প্রতীক রাখা হয়েছে।
সংশোধিত তালিকায় যেসব প্রতীক রাখা হয়েছে—
আপেল, আনারস, আম, আলমারি, ইগল, উদীয়মান সূর্য, একতারা, কাঁচি, কবুতর, কলম, কলস, কলার ছড়ি, কাঁঠাল, কাপ-পিরিচ, কাস্তে, কেটলি, কুমির, কম্পিউটার, কুড়াল, কুলা, কুঁড়েঘর, কোদাল, খেজুরগাছ, গরুর গাড়ি, গাভি, গামছা, গোলাপ ফুল, ঘণ্টা, ঘুড়ি, ঘোড়া, চাকা, চাবি, চিংড়ি, চেয়ার, চশমা, ছড়ি, ছাতা, জগ, জাহাজ, টিউবওয়েল, টেবিল, টেবিলঘড়ি, ট্রাক, টেলিফোন, টেলিভিশন। ডাব, ঢেঁকি, তারা, থালা, দাঁড়িপাল্লা, দালান, দেয়ালঘড়ি, দোয়াত কলম, দোলনা, ধানের শীষ, নোঙর, নৌকা (স্থগিত), প্রজাপতি, ফুটবল, ফুলকপি, ফুলের মালা, বই, বক, বাঘ, বটগাছ, বাইসাইকেল, বালতি, বৈদ্যুতিক পাখা, মই, মগ, মাইক, মোটরগাড়ি (কার), মশাল, ময়ূর, মাছ, মাথাল, মিনার, মোমবাতি, মোবাইল ফোন, মোড়া, মোরগ, রকেট, রিকশা, লিচু, লাঙ্গল, সোনালি আঁশ, সেলাই মেশিন, সোফা, সিংহ, হরিণ, হাত (পাঞ্জা), হাতঘড়ি, হাতপাখা, হাঁস, হাতি, হাতুড়ি, হারিকেন, হুক্কা, হেলিকপ্টার।
নতুন প্রতীক
উট, চিরুনি, টর্চ লাইট, টেবিল ল্যাম্প, ট্রাক্টর, ড্রেসিং টেবিল, তালা, দোতলা বাস, পাগড়ি, পানির ট্যাব, পালকি, ফলের ঝুড়ি, বেবি টেক্সি, বৈদ্যুতিক বাল্ব, মোটরসাইকেল, সিঁড়ি, সূর্যমুখী, রেল ইঞ্জিন, শাপলা কলি, হ্যান্ডশেক।
বাদ পড়া প্রতীক
কলা, খাট, উটপাখি, চার্জার লাইট, টিফিন ক্যারিয়ার, তবলা, তরমুজ, ফ্রিজ, বাঁশি, বেঞ্চ, বেগুন, বেলুন, লাউ, শঙ্খ, স্যুটকেস, ফুলের টব।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে প্রতীকের তালিকায় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন তালিকায় বেগুন, বেলুন, খাটসহ ১৬টি প্রতীক বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শাপলা কলি, পাগড়ি, পালকিসহ ২০টি প্রতীক যুক্ত করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এর আগে ১১৫টি প্রতীকের তালিকা করেছিল ইসি। সংশোধিত তালিকায় ১১৯টি প্রতীক রাখা হয়েছে।
সংশোধিত তালিকায় যেসব প্রতীক রাখা হয়েছে—
আপেল, আনারস, আম, আলমারি, ইগল, উদীয়মান সূর্য, একতারা, কাঁচি, কবুতর, কলম, কলস, কলার ছড়ি, কাঁঠাল, কাপ-পিরিচ, কাস্তে, কেটলি, কুমির, কম্পিউটার, কুড়াল, কুলা, কুঁড়েঘর, কোদাল, খেজুরগাছ, গরুর গাড়ি, গাভি, গামছা, গোলাপ ফুল, ঘণ্টা, ঘুড়ি, ঘোড়া, চাকা, চাবি, চিংড়ি, চেয়ার, চশমা, ছড়ি, ছাতা, জগ, জাহাজ, টিউবওয়েল, টেবিল, টেবিলঘড়ি, ট্রাক, টেলিফোন, টেলিভিশন। ডাব, ঢেঁকি, তারা, থালা, দাঁড়িপাল্লা, দালান, দেয়ালঘড়ি, দোয়াত কলম, দোলনা, ধানের শীষ, নোঙর, নৌকা (স্থগিত), প্রজাপতি, ফুটবল, ফুলকপি, ফুলের মালা, বই, বক, বাঘ, বটগাছ, বাইসাইকেল, বালতি, বৈদ্যুতিক পাখা, মই, মগ, মাইক, মোটরগাড়ি (কার), মশাল, ময়ূর, মাছ, মাথাল, মিনার, মোমবাতি, মোবাইল ফোন, মোড়া, মোরগ, রকেট, রিকশা, লিচু, লাঙ্গল, সোনালি আঁশ, সেলাই মেশিন, সোফা, সিংহ, হরিণ, হাত (পাঞ্জা), হাতঘড়ি, হাতপাখা, হাঁস, হাতি, হাতুড়ি, হারিকেন, হুক্কা, হেলিকপ্টার।
নতুন প্রতীক
উট, চিরুনি, টর্চ লাইট, টেবিল ল্যাম্প, ট্রাক্টর, ড্রেসিং টেবিল, তালা, দোতলা বাস, পাগড়ি, পানির ট্যাব, পালকি, ফলের ঝুড়ি, বেবি টেক্সি, বৈদ্যুতিক বাল্ব, মোটরসাইকেল, সিঁড়ি, সূর্যমুখী, রেল ইঞ্জিন, শাপলা কলি, হ্যান্ডশেক।
বাদ পড়া প্রতীক
কলা, খাট, উটপাখি, চার্জার লাইট, টিফিন ক্যারিয়ার, তবলা, তরমুজ, ফ্রিজ, বাঁশি, বেঞ্চ, বেগুন, বেলুন, লাউ, শঙ্খ, স্যুটকেস, ফুলের টব।


টানা ২৮ দিনের কঠোর লকডাউনেও থামানো যাচ্ছে না করোনার তাণ্ডব। ঈদকে ঘিরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও আক্রান্তের হার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে গত এক দিনে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
২৫ জুলাই ২০২১
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৪০ জন। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ (Odhikar) জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৪ মাস...
২২ মিনিট আগে
বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করার সরকারের সিদ্ধান্তে বিআরটি পরিচালনার জন্য গঠিত ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (পিএলসি) ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি চালু না হলে কার্যত এই কোম্পানির কোনো কাজ থাকছে না।
১১ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে আদেশ জারি ও গণভোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন সংকট। গণভোটের সময় এবং আদেশ জারির এখতিয়ার প্রশ্নে আবারও বিভক্ত হয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো। দলগুলোর এমন অনৈক্য অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে