Ajker Patrika

আরপিও সংশোধনী বিল পাস হলে ইসির ক্ষমতা আরও খর্ব হবে: টিআইবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৯ জুন ২০২৩, ২১: ০৭
আরপিও সংশোধনী বিল পাস হলে ইসির ক্ষমতা আরও খর্ব হবে: টিআইবি

জাতীয় সংসদে উত্থাপিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনী বিল পাস হলে তা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা আরও খর্ব করবে বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ বিষয়ে আজ শুক্রবার উদ্বেগ প্রকাশ করে টিআইবি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, প্রস্তাবিত সংশোধনী পাস করা হলে কমিশনের কাছে নির্বাচনী আইনের লঙ্ঘনের কারণে যৌক্তিক বিবেচিত হলে, যেকোনো নির্বাচনী এলাকায় চলমান নির্বাচন বাতিলের যে ক্ষমতা বিদ্যমান আইনে রয়েছে, তা কেড়ে নেওয়া হবে।

টিআইবি বলছে, বিদ্যমান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯১ (ক) ধারায় বলা আছে, নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে যে নির্বাচনে বলপ্রয়োগ, ভীতি প্রদর্শন এবং চাপ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন অপকর্মের কারণে ন্যায়সংগত এবং আইনানুগভাবে নির্বাচন পরিচালনা নিশ্চিত করা যাবে না, তাহলে যেকোনো ভোটকেন্দ্র এবং ক্ষেত্রমতো সম্পূর্ণ নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনের যেকোনো পর্যায়ে ভোট গ্রহণসহ নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবে।

প্রস্তাবিত সংশোধনীতে এই বিধানটি সুকৌশলে বাতিল করে শুধু সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ (পোলিং) বাতিল করার মধ্যে কমিশনের ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে এই সংশোধনীটি আইনে পরিণত হলে কমিশনের এলাকাভিত্তিক নির্বাচন বন্ধ করার ক্ষমতা থাকবে না।

বিষয়টিকে নির্বাচনী ব্যবস্থায় ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সংশোধনীতে ‘নির্বাচনের’ স্থলে ‘ভোট গ্রহণ’ শুধু শব্দগত পরিবর্তন নয়, এর ব্যাপকতা আরও অনেক বেশি। এই বিল পাসের মাধ্যমে কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করা হলে তা দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সম্ভাবনা সম্পর্কে আস্থাহীনতার সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিরপেক্ষ ও স্বার্থের দ্বন্দ্বমুক্ত ভূমিকার সম্ভাবনা যেখানে মরীচিকার মতো, সেখানে এই সংশোধনী কমিশনের বিদ্যমান আইনগত সক্ষমতা যতটুকুই রয়েছে তাকেও নিজেদের স্বার্থে আরও গণ্ডিবদ্ধ করার উদ্যোগ ছাড়া কিছুই নয়। নির্বাচনী অনিয়ম রোধে কমিশনের ক্ষমতা এভাবে খর্ব করা অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক।

প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ঋণখেলাপি ও বিলখেলাপিদের জন্য সুযোগ বাড়ানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ইফতেখার। তিনি বলেন, বিদ্যমান আদেশে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সাত দিন আগে ব্যাংকঋণ ও বিভিন্ন পরিষেবার বিল পরিশোধের অনুলিপি জমা দেওয়ার বিধান থাকলেও, সংশোধনীতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগের দিন পর্যন্ত সে সুযোগ রাখা হয়েছে।

এতে, ঋণখেলাপি ও বিলখেলাপিদের নির্বাচনে উৎসাহিত করা হচ্ছে, এমন ধারণা জোরালো হওয়া মোটেই অমূলক নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত