তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা
সরকারি অর্থায়নে সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ প্রকল্পের কাজ কোথাও শেষ, আবার কোথাও চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে কেনা হবে ২০ পদের আসবাব। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে কাঠের তৈরি জানালা, মুর্দা বহনের খাটিয়া, কোরআন শরিফ রাখার রেহাল, টেবিল ও চেয়ার। কাঁঠাল বা সেগুন কাঠের তৈরি এসব আসবাব সরবরাহের দরপত্রে অংশ নিতে হলে পূরণ করতে হবে অভিনব নানা শর্ত। উদ্দেশ্য একটাই—যেন ২৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকার কাজটি পছন্দের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পান।
প্রকল্পের একাধিক প্রকৌশলী এবং খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে জানা যায়, ফার্নিচার সরবরাহের দরপত্রে অংশ নিতে বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে ফার্নিচার কেনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে বলে শর্ত দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য শর্তের মধ্যে রয়েছে—সারা দেশের বিভাগীয় শহরে কমপক্ষে ১২টি শোরুম থাকতে হবে। প্রতি মাসে ১০০ কর্মীকে ব্যাংকিং চ্যানেলে বেতন দেওয়া হয় এমন শিট থাকতে হবে। কাঠ সিজনিং ও কেমিক্যাল ট্রিটমেন্টের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকতে হবে। এ ছাড়া সর্বশেষ ৩ বছরে ২৫০০ ফার্নিচার উৎপাদন ও সরবরাহের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের।
মডেল মসজিদ প্রকল্প প্রস্তাবে যেসব ফার্নিচার রাখা হয়েছে, সেগুলো সরবরাহের জন্য এমন জটিল শর্ত থাকার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই বলে মনে করেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট একাধিক প্রকৌশলী। তাঁরা বলেন, মসজিদের জন্য ইতিপূর্বে যেসব আসবাব কেনা হয়েছে, সেখানে এমন জটিল বা অপ্রাসঙ্গিক শর্তগুলো ছিল না। ফলে অবাধ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে কেনাকাটা করা সম্ভব হয়েছে। এখানে যে শর্ত দেওয়া হয়েছে, তা বাংলাদেশে হাতে গোনা দু-তিনটি প্রতিষ্ঠান পূরণ করতে পারবে। তাই আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, কোনো বিশেষ মহলকে সুবিধা দেওয়ার জন্যই এসব শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মানা হয়নি পিপিআরও।
এ কাজের সঙ্গে জড়িত গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (কাঠের কারখানা) মো. ইশ্রাফিল শাহীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আগে লোকাল ঠিকাদার দিয়ে কাজ করাতাম। ইসলামিক ফাউন্ডেশন তা পছন্দ করছে না। তারাও ব্র্যান্ড চায়। তাই ব্র্যান্ডেড প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে কিছু শর্ত দিতে হয়েছে। ব্র্যান্ডেড প্রতিষ্ঠানের কাজের ফিনিশিং ভালো হয়। তাই ওপরের স্যারদের পরামর্শে আমরা দরপত্রে এমন শর্ত দিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব ফার্নিচারের জন্য এত কঠিন শর্ত দেওয়ার যৌক্তিকতা নেই। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমরা মান নিশ্চিতে অনেক সময় ‘ব্র্যান্ডেড’ প্রতিষ্ঠানের ওপর ভরসা করতে চাই। এরপরও এ বিষয়ে কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেব।’
যেসব ফার্নিচার কেনা হচ্ছে
গণপূর্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের কাজটি বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। উদ্বোধন করা এবং নির্মাণাধীন এসব মসজিদের জন্য ৮টি প্যাকেজে ফার্নিচার কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এখানে ৭টি মসজিদ নিয়ে একেকটি প্যাকেজ করা হয়। এযাত্রায় মোট ২৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকার আসবাব কেনা হচ্ছে। সেখানে আছে প্রতিটি মসজিদের জন্য সেগুন কাঠের স্টেজ টেবিল ১টি, চেয়ার ৩টি, রাইটিং প্যাড চেয়ার ৪০টি, বুকশেলফ ১২টি, রিডিং টেবিল ৬টি, হাতলওয়ালা কাঠের চেয়ার ৩৮টি, কাঠের জানালা ৪টি, ডাইনিং টেবিল ৪টি, ডাইনিং চেয়ার ৪০টি, হাতা ছাড়া কাঠের চেয়ার ৩৬টি, তিন সেট কুশন সোফা, আর্মড কুশন চেয়ার ৪টি, সেক্রেটারি টেবিল দুটি, মুর্দা খাটিয়া দুটি, কোরআন শরিফের রেহাল ২৬টি, কাঠের খাট ২টি (বড়), ড্রেসিং টেবিল ২টি, সিঙ্গেল খাট ৪টি, দুই ড্রয়ারের টেবিল ৪টি, কনফারেন্স টেবিল ১টি এবং কনফারেন্স চেয়ার ৪০টি। তবে জেলা ও উপজেলা ভিত্তিতে ফার্নিচারের পরিমাণ কম-বেশি আছে।
পাঁচ প্রতিষ্ঠানের কবজায় সব কাজ
একাধিক প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক দশক ধরে একচেটিয়া কাজ করে যাচ্ছে হাতে গোনা কয়েকটি আসবাব প্রতিষ্ঠান। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আসবাব সরবরাহ ও ইন্টেরিয়র কাজ বাগিয়ে নিচ্ছে মূলত হাতিল, কনসেপ্ট, পারটেক্স, আখতার আর লিগ্যাসি ফার্নিচার নামের পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। আকাশচুম্বী দামে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের যোগসাজশে মূলত কাজ করিয়ে থাকেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এদের কাজ দিতে পিপিআর লঙ্ঘন করে এমন সব শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়, যা অন্য প্রতিষ্ঠানের থাকে না। অথচ এক প্রতিষ্ঠান থেকে বারবার কাজ না পায়, এ ব্যাপারে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
পূর্তের কাঠের কারখানার কাজ কী
গণপূর্তের নিজেরই কাঠের কারখানা আছে। পূর্তের একাধিক প্রকৌশলী জানান, একসময় সব ফার্নিচারই এ কারখানায় তৈরি হতো। সেখানে সব ধরনের যন্ত্রপাতিও ছিল। সব ফার্নিচার বানিয়ে পরে তা সরবরাহ করা হতো। কিন্তু এখন পূর্তের কাঠের কারখানা শুধু অর্ডার নিয়ে থাকে। এরপর ঠিকাদারদের সরবরাহ করা নকশা ও ডিজাইনে দরপত্র তৈরি করে। মূলত নিজেরা এখানে তেমন কিছুই করে না। এর অন্যতম কারণ, কাঠের কারখানার কাজটি মূলত সিভিল ওয়ার্ক। দরজা, জানালাসহ ইন্টেরিয়র—সবই সিভিল প্রকৌশলীদের ভালো জানাশোনা থাকার কথা। কিন্তু সেখানে কায়দা করে ইলেকট্রো মেকানিক্যাল (ই/এম) বিভাগের প্রকৌশলী চেয়ার দখল করে রেখেছে। ফলে কাঠের কারখানা থেকে প্রকল্পের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো আসবাব এখন আর তৈরি করা হচ্ছে না।
অনিয়ম খুঁজতে কমিটি
৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের আওতায় উদ্বোধন করা এবং নির্মীয়মাণ মডেল মসজিদের নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে আগেই। এসব অভিযোগ সরেজমিন তদন্ত করার উদ্যোগ নেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ জন্য একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটিও গঠন করা হয়েছে। মডেল মসজিদের নির্মাণ বা ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত অভিযোগ সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। এ কমিটিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (উন্নয়ন) আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক; ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন); সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বা প্রতিনিধি (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নিচে নয়); সংশ্লিষ্ট জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর; সংশ্লিষ্ট জেলার উপপরিচালক (শুধু বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে পরিচালক), ইসলামিক ফাউন্ডেশন; পরিচালক (পরিকল্পনা), ইসলামিক ফাউন্ডেশন। আর কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিবকে (পরিকল্পনা-১)। এই তদন্ত কমিটি এখনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি বলে জানা গেছে।
সরকারি অর্থায়নে সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ প্রকল্পের কাজ কোথাও শেষ, আবার কোথাও চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে কেনা হবে ২০ পদের আসবাব। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে কাঠের তৈরি জানালা, মুর্দা বহনের খাটিয়া, কোরআন শরিফ রাখার রেহাল, টেবিল ও চেয়ার। কাঁঠাল বা সেগুন কাঠের তৈরি এসব আসবাব সরবরাহের দরপত্রে অংশ নিতে হলে পূরণ করতে হবে অভিনব নানা শর্ত। উদ্দেশ্য একটাই—যেন ২৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকার কাজটি পছন্দের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পান।
প্রকল্পের একাধিক প্রকৌশলী এবং খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে জানা যায়, ফার্নিচার সরবরাহের দরপত্রে অংশ নিতে বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে ফার্নিচার কেনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে বলে শর্ত দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য শর্তের মধ্যে রয়েছে—সারা দেশের বিভাগীয় শহরে কমপক্ষে ১২টি শোরুম থাকতে হবে। প্রতি মাসে ১০০ কর্মীকে ব্যাংকিং চ্যানেলে বেতন দেওয়া হয় এমন শিট থাকতে হবে। কাঠ সিজনিং ও কেমিক্যাল ট্রিটমেন্টের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকতে হবে। এ ছাড়া সর্বশেষ ৩ বছরে ২৫০০ ফার্নিচার উৎপাদন ও সরবরাহের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের।
মডেল মসজিদ প্রকল্প প্রস্তাবে যেসব ফার্নিচার রাখা হয়েছে, সেগুলো সরবরাহের জন্য এমন জটিল শর্ত থাকার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই বলে মনে করেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট একাধিক প্রকৌশলী। তাঁরা বলেন, মসজিদের জন্য ইতিপূর্বে যেসব আসবাব কেনা হয়েছে, সেখানে এমন জটিল বা অপ্রাসঙ্গিক শর্তগুলো ছিল না। ফলে অবাধ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে কেনাকাটা করা সম্ভব হয়েছে। এখানে যে শর্ত দেওয়া হয়েছে, তা বাংলাদেশে হাতে গোনা দু-তিনটি প্রতিষ্ঠান পূরণ করতে পারবে। তাই আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, কোনো বিশেষ মহলকে সুবিধা দেওয়ার জন্যই এসব শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মানা হয়নি পিপিআরও।
এ কাজের সঙ্গে জড়িত গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (কাঠের কারখানা) মো. ইশ্রাফিল শাহীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আগে লোকাল ঠিকাদার দিয়ে কাজ করাতাম। ইসলামিক ফাউন্ডেশন তা পছন্দ করছে না। তারাও ব্র্যান্ড চায়। তাই ব্র্যান্ডেড প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে কিছু শর্ত দিতে হয়েছে। ব্র্যান্ডেড প্রতিষ্ঠানের কাজের ফিনিশিং ভালো হয়। তাই ওপরের স্যারদের পরামর্শে আমরা দরপত্রে এমন শর্ত দিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব ফার্নিচারের জন্য এত কঠিন শর্ত দেওয়ার যৌক্তিকতা নেই। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমরা মান নিশ্চিতে অনেক সময় ‘ব্র্যান্ডেড’ প্রতিষ্ঠানের ওপর ভরসা করতে চাই। এরপরও এ বিষয়ে কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেব।’
যেসব ফার্নিচার কেনা হচ্ছে
গণপূর্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের কাজটি বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। উদ্বোধন করা এবং নির্মাণাধীন এসব মসজিদের জন্য ৮টি প্যাকেজে ফার্নিচার কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এখানে ৭টি মসজিদ নিয়ে একেকটি প্যাকেজ করা হয়। এযাত্রায় মোট ২৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকার আসবাব কেনা হচ্ছে। সেখানে আছে প্রতিটি মসজিদের জন্য সেগুন কাঠের স্টেজ টেবিল ১টি, চেয়ার ৩টি, রাইটিং প্যাড চেয়ার ৪০টি, বুকশেলফ ১২টি, রিডিং টেবিল ৬টি, হাতলওয়ালা কাঠের চেয়ার ৩৮টি, কাঠের জানালা ৪টি, ডাইনিং টেবিল ৪টি, ডাইনিং চেয়ার ৪০টি, হাতা ছাড়া কাঠের চেয়ার ৩৬টি, তিন সেট কুশন সোফা, আর্মড কুশন চেয়ার ৪টি, সেক্রেটারি টেবিল দুটি, মুর্দা খাটিয়া দুটি, কোরআন শরিফের রেহাল ২৬টি, কাঠের খাট ২টি (বড়), ড্রেসিং টেবিল ২টি, সিঙ্গেল খাট ৪টি, দুই ড্রয়ারের টেবিল ৪টি, কনফারেন্স টেবিল ১টি এবং কনফারেন্স চেয়ার ৪০টি। তবে জেলা ও উপজেলা ভিত্তিতে ফার্নিচারের পরিমাণ কম-বেশি আছে।
পাঁচ প্রতিষ্ঠানের কবজায় সব কাজ
একাধিক প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক দশক ধরে একচেটিয়া কাজ করে যাচ্ছে হাতে গোনা কয়েকটি আসবাব প্রতিষ্ঠান। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আসবাব সরবরাহ ও ইন্টেরিয়র কাজ বাগিয়ে নিচ্ছে মূলত হাতিল, কনসেপ্ট, পারটেক্স, আখতার আর লিগ্যাসি ফার্নিচার নামের পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। আকাশচুম্বী দামে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের যোগসাজশে মূলত কাজ করিয়ে থাকেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এদের কাজ দিতে পিপিআর লঙ্ঘন করে এমন সব শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়, যা অন্য প্রতিষ্ঠানের থাকে না। অথচ এক প্রতিষ্ঠান থেকে বারবার কাজ না পায়, এ ব্যাপারে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
পূর্তের কাঠের কারখানার কাজ কী
গণপূর্তের নিজেরই কাঠের কারখানা আছে। পূর্তের একাধিক প্রকৌশলী জানান, একসময় সব ফার্নিচারই এ কারখানায় তৈরি হতো। সেখানে সব ধরনের যন্ত্রপাতিও ছিল। সব ফার্নিচার বানিয়ে পরে তা সরবরাহ করা হতো। কিন্তু এখন পূর্তের কাঠের কারখানা শুধু অর্ডার নিয়ে থাকে। এরপর ঠিকাদারদের সরবরাহ করা নকশা ও ডিজাইনে দরপত্র তৈরি করে। মূলত নিজেরা এখানে তেমন কিছুই করে না। এর অন্যতম কারণ, কাঠের কারখানার কাজটি মূলত সিভিল ওয়ার্ক। দরজা, জানালাসহ ইন্টেরিয়র—সবই সিভিল প্রকৌশলীদের ভালো জানাশোনা থাকার কথা। কিন্তু সেখানে কায়দা করে ইলেকট্রো মেকানিক্যাল (ই/এম) বিভাগের প্রকৌশলী চেয়ার দখল করে রেখেছে। ফলে কাঠের কারখানা থেকে প্রকল্পের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো আসবাব এখন আর তৈরি করা হচ্ছে না।
অনিয়ম খুঁজতে কমিটি
৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের আওতায় উদ্বোধন করা এবং নির্মীয়মাণ মডেল মসজিদের নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে আগেই। এসব অভিযোগ সরেজমিন তদন্ত করার উদ্যোগ নেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ জন্য একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটিও গঠন করা হয়েছে। মডেল মসজিদের নির্মাণ বা ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত অভিযোগ সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। এ কমিটিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (উন্নয়ন) আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক; ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন); সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বা প্রতিনিধি (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নিচে নয়); সংশ্লিষ্ট জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর; সংশ্লিষ্ট জেলার উপপরিচালক (শুধু বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে পরিচালক), ইসলামিক ফাউন্ডেশন; পরিচালক (পরিকল্পনা), ইসলামিক ফাউন্ডেশন। আর কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিবকে (পরিকল্পনা-১)। এই তদন্ত কমিটি এখনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি বলে জানা গেছে।
গোপালগঞ্জে গতকাল বুধবার সংঘটিত সহিংস ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনৈতিক সমাবেশে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ৪ জন নিহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছে বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। পাশাপাশি, সব পক্ষকে সংযম ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহবান...
২ ঘণ্টা আগেভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ—২০২৫ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন হয়।
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে হামলার তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে ছিল, তবে হামলা যে এত বড় হবে সেই তথ্য তাদের জানা ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে