Ajker Patrika

মদের কারণে পরীমণিকে ধরা হলে অনেক মন্ত্রী-মিনিস্টারকেও গ্রেপ্তার করা উচিত: আনু মোহাম্মদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মদের কারণে পরীমণিকে ধরা হলে অনেক মন্ত্রী-মিনিস্টারকেও গ্রেপ্তার করা উচিত: আনু মোহাম্মদ

মদের কারণে যদি পরীমণিকে গ্রেপ্তার করা হয়, তাহলে অনেক মন্ত্রী মিনিস্টারকেও তো ধরতে হবে। শুধু মদের কারণে পরীমণি গ্রেপ্তার হয়নি। তাকে অন্য কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এমন মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ। 

‘নারীর বিরুদ্ধে মোরাল পুলিশিং, গণমাধ্যমের অসংবেদনশীলতা এবং আইন ও বিচার বিভাগের পক্ষপাতিত্বের বিরুদ্ধে আমরা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। আজ শনিবার রাজধানীর পল্টনে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মানবাধিকার সংগঠন স্ফুলিঙ্গের আয়োজনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। 

আনু মোহাম্মদ বলেন, দেশে এখন আইন চলে ক্ষমতার ইশারায়। যেখানে ক্ষমতা আছে, সেখানে আইন চলে, ক্ষমতা না থাকলে আইন চলে না। আইন-আদালত বলতে কোনো কিছু এখন দেশে নেই। আমরা দেখলাম, পরীমণির জামিন আবেদনের শুনানিই হচ্ছে না। আর ক্ষমতাধরেরা মামলা থেকে খালাস পেয়ে যাচ্ছেন। মোশতাকের বেলাতেও আমরা দেখেছিলাম কেবলমাত্র একটা লেখার জন্য দিনের পর দিন তাকে বন্দী থাকতে হয়েছে। জামিন আবেদন নাকচ হয়েছে। অবশেষে তো তাঁকে মরেই যেতে হলো। অথচ বসুন্ধরা গ্রুপের আনভীর আহমেদ মুনিয়া মৃত্যু মামলা থেকে খালাস পান। এস আলম গ্রুপের জায়গায় ১২ জনকে খুন করা হলো, পুলিশ সেই মামলাই নিল না। 

সভায় আইনজীবী সুলতানা আক্তার রুবি বলেন, রাষ্ট্র এবং অত্যাচারীর পক্ষে আর জনগণের বিপক্ষে। কথায় আছে রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার জীবন যায়। পরীমণিকে আমার সেরকম উলুখাগড়ার মতোই মনে হচ্ছে। 

সভায় বক্তারা বলেন, নারী সহিংসতার শিকার হোক বা নারী অভিযুক্ত হোক প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে গণমাধ্যমগুলোতে সংবাদ পরিবেশনের নামে নারীর ব্যক্তিগত জীবনকে নষ্ট করার প্রবণতা দেখা যায়। অন্যদিকে নারীর বিরুদ্ধে এই সমাজ রীতিনীতি অলিখিতভাবে তৈরি করে রেখেছে যার জন্য তাঁর নাগরিক অধিকার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। 

সভায় নারীর বিরুদ্ধে নীতি পুলিশি, গণমাধ্যমের অসংবেদনশীলতা এবং আইন ও বিচার বিভাগের পক্ষপাতিত্বের বিরুদ্ধে আট দফা দাবি তুলে ধরে হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-গণমাধ্যম ও বিচারবিভাগকে স্বাধীন, মুক্ত ও নিরপেক্ষ করা, গণমাধ্যমে নারীর বিরুদ্ধে অসংবেদনশীল সংবাদ পরিবেশন ও শব্দচয়ন এবং ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করা। 

সভায় স্ফুলিঙ্গের সদস্যরা ছাড়া সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত