Ajker Patrika

প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণ করলে ঋণ দেবে সরকার: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণ করলে ঋণ দেবে সরকার: তথ্যমন্ত্রী

সারা দেশে বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হল পুনরায় চালু, পুরোনো হলগুলো সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা এবং নতুন সিনেমা হল নির্মাণ করতে চাইলে স্বল্প সুদে ঋণ দেবে সরকার। এ জন্য সরকার ১ হাজার কোটি টাকার একটি পূর্ণ তহবিল তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে আজ রোববার বিকেলে ২০ তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সমাপনী অনুষ্ঠান হয়। এতে দেওয়া বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মেট্রোপলিটন শহরের বাইরে যারা সিনেমা হল বানাতে চান, বন্ধ হয়ে যাওয়া পুরোনো সিনেমা হল চালু করতে চান কিংবা মৃতপ্রায় সিনেমা হলগুলোর আধুনিকায়ন করতে চান, তাঁরা সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন। আর মেট্রোপলিটন শহরের উদ্যোক্তারা ৫ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন। প্রচলিত ঋণের যে সুদ, তার থেকে অর্ধেক সুদে এসব উদ্যোক্তারা ঋণ পাবেন। এ ক্ষেত্রে একজন উদ্যোক্তা একটি স্থাপনার জন্য সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই বার্তা উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি একটি মার্কেট বা শপিং মল বানায়, সেখানে যদি সিনেমা হল বা মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল রাখেন, তাহলে পুরো স্থাপনার জন্যও তিনি ১০ কোটি টাকা ঋণ পাবেন। এতে যেটি সুবিধা হবে, সেটা হলো কেউ যদি মার্কেট বা শপিংমল বানাতে কোনো ব্যাংক থেকে ঋণ নেন, তাহলে তাঁকে সর্বনিম্ন ৯ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। কিন্তু এই স্থাপনার সাথেই যদি একটা সিনেমাহল বা সিনেপ্লেক্স রাখেন, তাহলে সাড়ে ৪ বা ৫ শতাংশ সুদহারে ঋণ পাবেন।’ 

আহমেদ মুজতবা জামালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, ঢাকা ক্লাবের সভাপতি খন্দকার মশিউজ্জামান (রোমেল), রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির সদস্য মফিদুল হক প্রমুখ। 

‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক আলোকিত সমাজ’ স্লোগানে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল ২০ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের উৎসবে এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, ট্রিবিউট, বাংলাদেশ প্যানারোমা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, চিলড্রেনস ফিল্ম, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম ও উইমেন্স ফিল্ম সেশনে বাংলাদেশসহ ৭০টি দেশের মোট ২২৫টি চলচ্চিত্র নিয়ে অংশগ্রহণ করেন নির্মাতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত