দ্য ডিপ্লোম্যাটের সঙ্গে সাক্ষাৎকার

ছাত্র–জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এসব কমিশনের একটি হলো সংবিধান সংস্কার কমিশন। গত ১৫ জানুয়ারি এই কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। কমিশন এমন সুপারিশ করেছে, যাতে প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা চর্চার সুযোগ না থাকে এবং বাংলাদেশে যেন স্বৈরশাসন ফিরে না আসে।
সংবিধানের প্রস্তাবনায় গণতন্ত্রকে মৌলিক নীতিরূপে বজায় রেখে কমিশন সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও বহুত্ববাদ অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে। পাশাপাশি তিনটি নীতি বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কমিশনের অন্যতম সুপারিশ ছিল ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’কে মৌলিক নীতির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া। এই বিষয়টি কিছু মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
সম্প্রতি জাপানভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সাময়িকী দ্য ডিপ্লোম্যাটের সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলেছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজ। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দ্য ডিপ্লোম্যাটের দক্ষিণ এশিয়া সম্পাদক সুধা রামাচন্দ্রন। সাক্ষাৎকারে আলী রীয়াজ যুক্তি দেন, শেখ হাসিনা সরকারের ঘোষিত ও চর্চিত ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল শুধু ধর্মীয় বৈচিত্র্যের সহনশীলতার মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাঁর মতে, কমিশন যে বহুত্ববাদের সুপারিশ করেছে তার পরিধি অনেক বিস্তৃত ও ব্যাপক।
সাক্ষাৎকারটি আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—
দ্য ডিপ্লোম্যাট: সংবিধান সংস্কার কমিশন বর্তমান সংবিধানের চার মূলনীতি—সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্র থেকে কেবল ‘গণতন্ত্র’ বহাল রাখার সুপারিশ করেছে। এর পেছনে যুক্তি কী?
আলী রীয়াজ: কমিশন সুপারিশ করেছে যে, সংবিধানে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল ঘোষিত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বর্ণিত দেশের প্রতিষ্ঠাকালীন মূলনীতিগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হোক। ওই ঘোষণাপত্রে তিন মূলনীতি ছিল—সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার। মুক্তিযুদ্ধের কয়েক মাস পরই ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণেতারা এসব মূলনীতি উপেক্ষা করেন। এটি বিস্ময়কর যে, প্রতিষ্ঠাকালীন মূলনীতিগুলো বিস্মৃতির অতলে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল এবং এর পরিবর্তে সংবিধান প্রণয়ন প্রক্রিয়া শুরুর আগে আওয়ামী লীগ ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যে দলীয় চারটি মূলনীতি নির্ধারণ করেছিল, সেগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কমিশন এবং অনেক অংশীজনের মতামত ছিল যে, দেশ যেন প্রতিষ্ঠাকালীন মূলনীতিতে ফিরে যায়, যা লক্ষ–কোটি শহীদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা নিবেদনের উপযুক্ত উপায়।
আগে ছিল বলে (প্রস্তাবে) গণতন্ত্রকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এমন নয়, বরং বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের সংগ্রাম আকাঙ্ক্ষা বিশেষ করে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে শেখ হাসিনার ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা গণজাগরণের প্রতিফলন হিসেবে গণতন্ত্রকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে পদদলিত করেছেন।
পঞ্চম মূলনীতি (বহুত্ববাদ) সংযোজন করা হয়েছে দেশের বৈচিত্র্যকে প্রতিফলিত করতে। বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক, ভাষাগত, ধর্মীয় ও জাতিগত বহুত্ববাদী ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন এবং সেটিকে রাষ্ট্রের মৌলিক নীতির অংশ করা উচিত। শেখ হাসিনা তাঁর বাবা মুজিবের মতোই স্বৈরাচারী শাসনকে চার রাষ্ট্রীয় মূলনীতির মোড়কে বৈধতা দিয়েছেন। গণ–অভ্যুত্থান এই মতাদর্শকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমাদের সুপারিশ কেবল জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
দ্য ডিপ্লোম্যাট: প্রস্তাবনা থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ কেন বাদ দেওয়া হয়েছে?
আলী রীয়াজ: আমাদের সুপারিশে ধর্মনিরপেক্ষতার (সেক্যুলারিজম অর্থে) পরিবর্তে আরও বিস্তৃত নীতি হিসেবে বহুত্ববাদকে গ্রহণ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক দশকগুলোতে ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণা সংশোধিত বা পরিত্যক্ত হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষতার তত্ত্ব ও এর বিভিন্ন রূপকে বিভিন্ন কারণে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। বিশেষ করে, এটি অপশ্চিমা সমাজগুলোর বৈচিত্র্য ধারণে কতটা কার্যকর সে প্রশ্ন তুলেছেন গবেষকেরা। তালাল আসাদ, সাবা মাহমুদ, চার্লস টেলর এবং আশীষ নন্দীর মতো সমাজবিজ্ঞানীদের কাজ স্পষ্টভাবে দেখিয়েছে যে, ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাটি সমস্যাযুক্ত।
এই শব্দটির ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না। রাষ্ট্রের নীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতার উদ্ভব হয় ইউরোপের ধর্মযুদ্ধের (ক্রুসেড) পর। সে সময় থেকেই ধর্ম ও সমাজ এই পৃথক্করণ ক্রমশ মেনে নিতে শুরু করেছে। এর ফলে এই ‘পবিত্রতা’ বা খ্রিষ্টধর্মের প্রভাবমুক্ত হয়ে রাষ্ট্রের বৈষয়ীকরণের মধ্য দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা একধরনের রাজনৈতিক মতাদর্শ হিসেবে আবির্ভূত হয়।
তবে এসব তাত্ত্বিক বিতর্কের বাইরেও বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতাকে জাতিকে বিভক্ত করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষ করে, গত এক দশকে এক স্বৈরাচারী সরকার এটিকে অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগ করেছে। বাংলাদেশে পূর্ববর্তী শাসকগোষ্ঠী ও তাদের সমর্থকেরা ধর্মনিরপেক্ষতাকে মূলত ধর্মীয় বৈচিত্র্যের সহনশীলতা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছে। আমাদের কমিশনের সুপারিশ হলো, বহুত্ববাদ গ্রহণ করা। বহুত্ববাদ এমন এক নীতি যা শুধু ধর্মীয় বৈচিত্র্য—হিন্দু, বৌদ্ধ, আহমদিয়া, বাহাই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করবে না, বরং দলিত ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের মতো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকেও সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে সমানভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ দেবে। লক্ষণীয় যে, রাষ্ট্রের মৌলিক নীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতা থাকা সত্ত্বেও সংখ্যালঘু নির্যাতন দীর্ঘকাল ধরে অব্যাহত ছিল।
বাংলাদেশের সংবিধানের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, গত ৫২ বছরের মধ্যে মাত্র ১৮ বছর ৬ মাস সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল। বাকি ৩৩ বছর জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও আওয়ামী লীগ সরকারে থেকেও এটি পুনঃপ্রবর্তনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এরপর ২০১১ সালে শেখ হাসিনা এটি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে তাঁর স্বৈরাচারী শাসনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার পথে এগিয়ে যান। এমনকি এই ইস্যুতে উচ্চ আদালতও কোনো হস্তক্ষেপ করেনি।
দ্য ডিপ্লোম্যাট: বর্তমান সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলাম সহাবস্থান করছে। কমিশনের প্রস্তাবে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দেওয়া হয়েছে এবং ইসলামকে আগের জায়গাতেই রাখা হয়েছে। ধর্মের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক কী হবে?
আলী রীয়াজ: ইসলাম ১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি একাধিকবার ক্ষমতায় এসেছে এবং এই সময়ে আটবার সংবিধান সংশোধন হয়েছে, কিন্তু এরপরও তারা এটি বাতিলে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ২০২৪ সালের এপ্রিলে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম বহাল রাখা সংবিধানিক স্ববিরোধ সৃষ্টি করে না। আমরা যখন সমাজের বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শ করেছি তখন বিপুলসংখ্যক মানুষ ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন। আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ৫০ হাজারেরও বেশি মতামত নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে বিপুলসংখ্যক মত ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে সংবিধানে রাখার পক্ষে ছিল।
আমরা আমাদের পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ১২১টি দেশের সংবিধান পর্যালোচনা করেছি, যার মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধানও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই পর্যালোচনা থেকে আমরা দেখেছি যে, ১৯টি দেশে রাষ্ট্রধর্ম আছে এবং ৭৫টি দেশের সংবিধানে ‘পরমেশ্বরের প্রতি বিশ্বাস’–এর কথা উল্লেখ আছে। অনেক পশ্চিমা দেশেও একটি রাষ্ট্রধর্ম বা একক ধর্মের সরকারি স্বীকৃতি রয়েছে। ২০১৭ সালে ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টার জানিয়েছিল, ৮০টিরও বেশি দেশ একটি ধর্মকে সরকারিভাবে অনুমোদন দিয়ে অথবা একটি ধর্মকে অন্য ধর্মের তুলনায় অগ্রাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে সমর্থন দিয়ে থাকে। এতে বলা হয়েছে, ১৯৯টি দেশের মধ্যে ২২ শতাংশ দেশের রাষ্ট্রধর্ম রয়েছে এবং ২০ শতাংশ দেশ একটি ধর্মকে প্রাধান্য দেয়। সুতরাং, বাংলাদেশ কোনোভাবেই ব্যতিক্রম নয়।
রাষ্ট্র অনুমোদিত ধর্ম থাকলেও রাষ্ট্র এবং ধর্মের ভূমিকা আলাদা হতে পারে। ইসরায়েলের বার এলান ইউনিভার্সিটির ধর্ম ও রাষ্ট্র (আরএসএস) সংক্রান্ত গবেষণার তথ্য–উপাত্তের ভিত্তিতে জনাথন ফক্স বলেছিলেন যে, এ ধরনের পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে ভিন্ন হতে পারে। তিনি যুক্তরাজ্য এবং ইরানকে উদাহরণ হিসেবে দিয়েছেন। উভয় দেশেই রাষ্ট্রধর্ম বা সরকারি গির্জা আছে, তবে এই দুই রাষ্ট্রের কার্যক্রমে ধর্মের ভূমিকা একেবারে বিপরীত।
সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও ধর্মের সম্পর্ক গত কয়েক দশকের মতোই থাকবে। যতক্ষণ না ধর্ম আইনগত ব্যবস্থার উৎস হিসেবে কাজ করছে অথবা রাজনৈতিক–আইনি প্রতিষ্ঠানগুলোকে চ্যালেঞ্জ করছে, ততক্ষণ উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। অনেক সময় রাষ্ট্রধর্মগুলো প্রতীকীভাবে বেশি দেখা যায়, এর বাস্তবিক প্রভাব থাকে কম।
দ্য ডিপ্লোম্যাট: স্বৈরশাসন যে আর ফিরবে না, সংবিধান সংস্কার কমিটি এটি কীভাবে নিশ্চিত করতে চায়?
আলী রীয়াজ: আমরা বেশ কিছু সুপারিশ করেছি। যা বাস্তবায়িত হলে ক্ষমতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মধ্যে বিতরণ হয়ে যাবে এবং বর্তমানের মতো প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ ঠেকাবে। উদাহরণস্বরূপ, আমরা জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদ (এনসিসি) গঠনের সুপারিশ করেছি। এই পরিষদ সাংবিধানিক পদগুলোতে নিয়োগ এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানদের নিয়োগের বিষয়ে সুপারিশ করবে। বর্তমানে এই ক্ষমতা শুধু প্রধানমন্ত্রীর হাতে। আমরা কিছু ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে স্থানান্তরের প্রস্তাবও দিয়েছি। বর্তমান সংবিধানের ৪৮ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া কোনো নিয়োগ দিতে পারেন না; আমরা সুপারিশ করেছি এটি সীমিত করা উচিত।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, শাসক দলের সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুগত। কারণ, তাঁরা দলের প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিতে পারেন না। এর ফলে খোদ শাসক দলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন করতে চাইলেও প্রধানমন্ত্রীর অপসারণের জন্য কোনো প্রস্তাব আনা সম্ভব হয় না। আমরা সুপারিশ করেছি, প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে দলীয় প্রধান এবং সংসদ নেতা থাকতে পারবেন না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর জন্য সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনের প্রস্তাবও দিয়েছি।
আমরা সুপারিশ করেছি, বিচার বিভাগ স্বাধীন হওয়া উচিত এবং সুপ্রিম কোর্টের অধীনে একটি আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিত। এই সুপারিশগুলো দায়িত্বশীলতা, ক্ষমতার ভারসাম্য এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যেই করা, যাতে স্বৈরশাসনের সম্ভাবনা রোধ করা সম্ভব হয়।
দ্য ডিপ্লোম্যাট: রাজনৈতিক দলগুলো কোন ধরনের পরিবর্তনের বিরোধিতা করতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
আলী রীয়াজ: আমাদের সুপারিশের সারাংশ প্রকাশের পর রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে কোনো গুরুতর সমালোচনা বা পুরোপুরি প্রত্যাখ্যানের মতো কিছু শোনা যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই, তারা পুরো প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছে। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষেই জনসমক্ষে আনা হবে।
এসব সুপারিশের অনেকগুলোই রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে এসেছে। যেমন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠার সুপারিশ। এই প্রস্তাবটি রাজনৈতিক দলগুলো এবং সাধারণ জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে। তবে আমি বুঝি যে, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব প্রস্তাব রয়েছে এবং আমাদের কিছু সুপারিশ তাদের প্রস্তাবের সঙ্গে মেলে না। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। আমি মনে করি, তেমন কোনো পার্থক্য নেই যা নিয়ে কোনো ধরনের সমঝোতা সম্ভব হবে না।
সবাই এবং আমি বলতে চাচ্ছি, সবারই কিছু পরিবর্তন চাওয়ার রয়েছে। গত ১৬ বছরের গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার অভিজ্ঞতা সবাইকেই বুঝিয়ে দিয়েছে যে, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে পরিবর্তন প্রয়োজন। বাংলাদেশে নজিরবিহীন মাত্রার সহিংসতা হয়েছে। কেবল মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধও হয়েছে। শত শত মানুষের মৃত্যু এবং ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হওয়ার ঘটনা বৃথা যেতে পারে না।
দ্য ডিপ্লোম্যাট: পরবর্তী প্রক্রিয়া কী হবে? নির্বাচিত কোনো সরকারই কী এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাবে?
আলী রীয়াজ: প্রাথমিকভাবে অন্তর্বর্তী সরকার যেসব সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল, সেগুলো প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। যখন পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তখন এগুলো রাজনৈতিক দলগুলো যাচাই–বাছাই করে দেখবে। এরপর সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে। অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, শিগগিরই তাঁর নেতৃত্বে একটি ‘কনসেনসাস কমিশন’ গঠন করা হবে, যার মাধ্যমে আলোচনা এগিয়ে নেওয়া হবে। আশা করছি, একটি ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন করা হবে। এটি রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তায় দেশের গণতান্ত্রিক পুনর্নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার ব্যবস্থা চিহ্নিত করবে। প্রক্রিয়াটি এই ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে। এই আলোচনা থেকে একটি বাস্তবায়নের পথ বের হবে।
অনুবাদ করেছে আব্দুর রহমান

ছাত্র–জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এসব কমিশনের একটি হলো সংবিধান সংস্কার কমিশন। গত ১৫ জানুয়ারি এই কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। কমিশন এমন সুপারিশ করেছে, যাতে প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা চর্চার সুযোগ না থাকে এবং বাংলাদেশে যেন স্বৈরশাসন ফিরে না আসে।
সংবিধানের প্রস্তাবনায় গণতন্ত্রকে মৌলিক নীতিরূপে বজায় রেখে কমিশন সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও বহুত্ববাদ অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে। পাশাপাশি তিনটি নীতি বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কমিশনের অন্যতম সুপারিশ ছিল ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’কে মৌলিক নীতির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া। এই বিষয়টি কিছু মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
সম্প্রতি জাপানভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সাময়িকী দ্য ডিপ্লোম্যাটের সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলেছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজ। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দ্য ডিপ্লোম্যাটের দক্ষিণ এশিয়া সম্পাদক সুধা রামাচন্দ্রন। সাক্ষাৎকারে আলী রীয়াজ যুক্তি দেন, শেখ হাসিনা সরকারের ঘোষিত ও চর্চিত ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল শুধু ধর্মীয় বৈচিত্র্যের সহনশীলতার মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাঁর মতে, কমিশন যে বহুত্ববাদের সুপারিশ করেছে তার পরিধি অনেক বিস্তৃত ও ব্যাপক।
সাক্ষাৎকারটি আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—
দ্য ডিপ্লোম্যাট: সংবিধান সংস্কার কমিশন বর্তমান সংবিধানের চার মূলনীতি—সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্র থেকে কেবল ‘গণতন্ত্র’ বহাল রাখার সুপারিশ করেছে। এর পেছনে যুক্তি কী?
আলী রীয়াজ: কমিশন সুপারিশ করেছে যে, সংবিধানে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল ঘোষিত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বর্ণিত দেশের প্রতিষ্ঠাকালীন মূলনীতিগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হোক। ওই ঘোষণাপত্রে তিন মূলনীতি ছিল—সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার। মুক্তিযুদ্ধের কয়েক মাস পরই ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণেতারা এসব মূলনীতি উপেক্ষা করেন। এটি বিস্ময়কর যে, প্রতিষ্ঠাকালীন মূলনীতিগুলো বিস্মৃতির অতলে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল এবং এর পরিবর্তে সংবিধান প্রণয়ন প্রক্রিয়া শুরুর আগে আওয়ামী লীগ ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যে দলীয় চারটি মূলনীতি নির্ধারণ করেছিল, সেগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কমিশন এবং অনেক অংশীজনের মতামত ছিল যে, দেশ যেন প্রতিষ্ঠাকালীন মূলনীতিতে ফিরে যায়, যা লক্ষ–কোটি শহীদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা নিবেদনের উপযুক্ত উপায়।
আগে ছিল বলে (প্রস্তাবে) গণতন্ত্রকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এমন নয়, বরং বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের সংগ্রাম আকাঙ্ক্ষা বিশেষ করে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে শেখ হাসিনার ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা গণজাগরণের প্রতিফলন হিসেবে গণতন্ত্রকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে পদদলিত করেছেন।
পঞ্চম মূলনীতি (বহুত্ববাদ) সংযোজন করা হয়েছে দেশের বৈচিত্র্যকে প্রতিফলিত করতে। বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক, ভাষাগত, ধর্মীয় ও জাতিগত বহুত্ববাদী ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন এবং সেটিকে রাষ্ট্রের মৌলিক নীতির অংশ করা উচিত। শেখ হাসিনা তাঁর বাবা মুজিবের মতোই স্বৈরাচারী শাসনকে চার রাষ্ট্রীয় মূলনীতির মোড়কে বৈধতা দিয়েছেন। গণ–অভ্যুত্থান এই মতাদর্শকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমাদের সুপারিশ কেবল জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
দ্য ডিপ্লোম্যাট: প্রস্তাবনা থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ কেন বাদ দেওয়া হয়েছে?
আলী রীয়াজ: আমাদের সুপারিশে ধর্মনিরপেক্ষতার (সেক্যুলারিজম অর্থে) পরিবর্তে আরও বিস্তৃত নীতি হিসেবে বহুত্ববাদকে গ্রহণ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক দশকগুলোতে ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণা সংশোধিত বা পরিত্যক্ত হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষতার তত্ত্ব ও এর বিভিন্ন রূপকে বিভিন্ন কারণে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। বিশেষ করে, এটি অপশ্চিমা সমাজগুলোর বৈচিত্র্য ধারণে কতটা কার্যকর সে প্রশ্ন তুলেছেন গবেষকেরা। তালাল আসাদ, সাবা মাহমুদ, চার্লস টেলর এবং আশীষ নন্দীর মতো সমাজবিজ্ঞানীদের কাজ স্পষ্টভাবে দেখিয়েছে যে, ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাটি সমস্যাযুক্ত।
এই শব্দটির ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না। রাষ্ট্রের নীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতার উদ্ভব হয় ইউরোপের ধর্মযুদ্ধের (ক্রুসেড) পর। সে সময় থেকেই ধর্ম ও সমাজ এই পৃথক্করণ ক্রমশ মেনে নিতে শুরু করেছে। এর ফলে এই ‘পবিত্রতা’ বা খ্রিষ্টধর্মের প্রভাবমুক্ত হয়ে রাষ্ট্রের বৈষয়ীকরণের মধ্য দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা একধরনের রাজনৈতিক মতাদর্শ হিসেবে আবির্ভূত হয়।
তবে এসব তাত্ত্বিক বিতর্কের বাইরেও বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতাকে জাতিকে বিভক্ত করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষ করে, গত এক দশকে এক স্বৈরাচারী সরকার এটিকে অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগ করেছে। বাংলাদেশে পূর্ববর্তী শাসকগোষ্ঠী ও তাদের সমর্থকেরা ধর্মনিরপেক্ষতাকে মূলত ধর্মীয় বৈচিত্র্যের সহনশীলতা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছে। আমাদের কমিশনের সুপারিশ হলো, বহুত্ববাদ গ্রহণ করা। বহুত্ববাদ এমন এক নীতি যা শুধু ধর্মীয় বৈচিত্র্য—হিন্দু, বৌদ্ধ, আহমদিয়া, বাহাই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করবে না, বরং দলিত ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের মতো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকেও সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে সমানভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ দেবে। লক্ষণীয় যে, রাষ্ট্রের মৌলিক নীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতা থাকা সত্ত্বেও সংখ্যালঘু নির্যাতন দীর্ঘকাল ধরে অব্যাহত ছিল।
বাংলাদেশের সংবিধানের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, গত ৫২ বছরের মধ্যে মাত্র ১৮ বছর ৬ মাস সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল। বাকি ৩৩ বছর জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও আওয়ামী লীগ সরকারে থেকেও এটি পুনঃপ্রবর্তনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এরপর ২০১১ সালে শেখ হাসিনা এটি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে তাঁর স্বৈরাচারী শাসনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার পথে এগিয়ে যান। এমনকি এই ইস্যুতে উচ্চ আদালতও কোনো হস্তক্ষেপ করেনি।
দ্য ডিপ্লোম্যাট: বর্তমান সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলাম সহাবস্থান করছে। কমিশনের প্রস্তাবে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দেওয়া হয়েছে এবং ইসলামকে আগের জায়গাতেই রাখা হয়েছে। ধর্মের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক কী হবে?
আলী রীয়াজ: ইসলাম ১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি একাধিকবার ক্ষমতায় এসেছে এবং এই সময়ে আটবার সংবিধান সংশোধন হয়েছে, কিন্তু এরপরও তারা এটি বাতিলে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ২০২৪ সালের এপ্রিলে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম বহাল রাখা সংবিধানিক স্ববিরোধ সৃষ্টি করে না। আমরা যখন সমাজের বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শ করেছি তখন বিপুলসংখ্যক মানুষ ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন। আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ৫০ হাজারেরও বেশি মতামত নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে বিপুলসংখ্যক মত ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে সংবিধানে রাখার পক্ষে ছিল।
আমরা আমাদের পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ১২১টি দেশের সংবিধান পর্যালোচনা করেছি, যার মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধানও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই পর্যালোচনা থেকে আমরা দেখেছি যে, ১৯টি দেশে রাষ্ট্রধর্ম আছে এবং ৭৫টি দেশের সংবিধানে ‘পরমেশ্বরের প্রতি বিশ্বাস’–এর কথা উল্লেখ আছে। অনেক পশ্চিমা দেশেও একটি রাষ্ট্রধর্ম বা একক ধর্মের সরকারি স্বীকৃতি রয়েছে। ২০১৭ সালে ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টার জানিয়েছিল, ৮০টিরও বেশি দেশ একটি ধর্মকে সরকারিভাবে অনুমোদন দিয়ে অথবা একটি ধর্মকে অন্য ধর্মের তুলনায় অগ্রাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে সমর্থন দিয়ে থাকে। এতে বলা হয়েছে, ১৯৯টি দেশের মধ্যে ২২ শতাংশ দেশের রাষ্ট্রধর্ম রয়েছে এবং ২০ শতাংশ দেশ একটি ধর্মকে প্রাধান্য দেয়। সুতরাং, বাংলাদেশ কোনোভাবেই ব্যতিক্রম নয়।
রাষ্ট্র অনুমোদিত ধর্ম থাকলেও রাষ্ট্র এবং ধর্মের ভূমিকা আলাদা হতে পারে। ইসরায়েলের বার এলান ইউনিভার্সিটির ধর্ম ও রাষ্ট্র (আরএসএস) সংক্রান্ত গবেষণার তথ্য–উপাত্তের ভিত্তিতে জনাথন ফক্স বলেছিলেন যে, এ ধরনের পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে ভিন্ন হতে পারে। তিনি যুক্তরাজ্য এবং ইরানকে উদাহরণ হিসেবে দিয়েছেন। উভয় দেশেই রাষ্ট্রধর্ম বা সরকারি গির্জা আছে, তবে এই দুই রাষ্ট্রের কার্যক্রমে ধর্মের ভূমিকা একেবারে বিপরীত।
সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও ধর্মের সম্পর্ক গত কয়েক দশকের মতোই থাকবে। যতক্ষণ না ধর্ম আইনগত ব্যবস্থার উৎস হিসেবে কাজ করছে অথবা রাজনৈতিক–আইনি প্রতিষ্ঠানগুলোকে চ্যালেঞ্জ করছে, ততক্ষণ উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। অনেক সময় রাষ্ট্রধর্মগুলো প্রতীকীভাবে বেশি দেখা যায়, এর বাস্তবিক প্রভাব থাকে কম।
দ্য ডিপ্লোম্যাট: স্বৈরশাসন যে আর ফিরবে না, সংবিধান সংস্কার কমিটি এটি কীভাবে নিশ্চিত করতে চায়?
আলী রীয়াজ: আমরা বেশ কিছু সুপারিশ করেছি। যা বাস্তবায়িত হলে ক্ষমতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মধ্যে বিতরণ হয়ে যাবে এবং বর্তমানের মতো প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ ঠেকাবে। উদাহরণস্বরূপ, আমরা জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদ (এনসিসি) গঠনের সুপারিশ করেছি। এই পরিষদ সাংবিধানিক পদগুলোতে নিয়োগ এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানদের নিয়োগের বিষয়ে সুপারিশ করবে। বর্তমানে এই ক্ষমতা শুধু প্রধানমন্ত্রীর হাতে। আমরা কিছু ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে স্থানান্তরের প্রস্তাবও দিয়েছি। বর্তমান সংবিধানের ৪৮ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া কোনো নিয়োগ দিতে পারেন না; আমরা সুপারিশ করেছি এটি সীমিত করা উচিত।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, শাসক দলের সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুগত। কারণ, তাঁরা দলের প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিতে পারেন না। এর ফলে খোদ শাসক দলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন করতে চাইলেও প্রধানমন্ত্রীর অপসারণের জন্য কোনো প্রস্তাব আনা সম্ভব হয় না। আমরা সুপারিশ করেছি, প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে দলীয় প্রধান এবং সংসদ নেতা থাকতে পারবেন না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর জন্য সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনের প্রস্তাবও দিয়েছি।
আমরা সুপারিশ করেছি, বিচার বিভাগ স্বাধীন হওয়া উচিত এবং সুপ্রিম কোর্টের অধীনে একটি আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিত। এই সুপারিশগুলো দায়িত্বশীলতা, ক্ষমতার ভারসাম্য এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যেই করা, যাতে স্বৈরশাসনের সম্ভাবনা রোধ করা সম্ভব হয়।
দ্য ডিপ্লোম্যাট: রাজনৈতিক দলগুলো কোন ধরনের পরিবর্তনের বিরোধিতা করতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
আলী রীয়াজ: আমাদের সুপারিশের সারাংশ প্রকাশের পর রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে কোনো গুরুতর সমালোচনা বা পুরোপুরি প্রত্যাখ্যানের মতো কিছু শোনা যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই, তারা পুরো প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছে। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষেই জনসমক্ষে আনা হবে।
এসব সুপারিশের অনেকগুলোই রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে এসেছে। যেমন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠার সুপারিশ। এই প্রস্তাবটি রাজনৈতিক দলগুলো এবং সাধারণ জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে। তবে আমি বুঝি যে, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব প্রস্তাব রয়েছে এবং আমাদের কিছু সুপারিশ তাদের প্রস্তাবের সঙ্গে মেলে না। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। আমি মনে করি, তেমন কোনো পার্থক্য নেই যা নিয়ে কোনো ধরনের সমঝোতা সম্ভব হবে না।
সবাই এবং আমি বলতে চাচ্ছি, সবারই কিছু পরিবর্তন চাওয়ার রয়েছে। গত ১৬ বছরের গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার অভিজ্ঞতা সবাইকেই বুঝিয়ে দিয়েছে যে, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে পরিবর্তন প্রয়োজন। বাংলাদেশে নজিরবিহীন মাত্রার সহিংসতা হয়েছে। কেবল মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধও হয়েছে। শত শত মানুষের মৃত্যু এবং ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হওয়ার ঘটনা বৃথা যেতে পারে না।
দ্য ডিপ্লোম্যাট: পরবর্তী প্রক্রিয়া কী হবে? নির্বাচিত কোনো সরকারই কী এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাবে?
আলী রীয়াজ: প্রাথমিকভাবে অন্তর্বর্তী সরকার যেসব সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল, সেগুলো প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। যখন পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তখন এগুলো রাজনৈতিক দলগুলো যাচাই–বাছাই করে দেখবে। এরপর সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে। অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, শিগগিরই তাঁর নেতৃত্বে একটি ‘কনসেনসাস কমিশন’ গঠন করা হবে, যার মাধ্যমে আলোচনা এগিয়ে নেওয়া হবে। আশা করছি, একটি ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন করা হবে। এটি রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তায় দেশের গণতান্ত্রিক পুনর্নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার ব্যবস্থা চিহ্নিত করবে। প্রক্রিয়াটি এই ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে। এই আলোচনা থেকে একটি বাস্তবায়নের পথ বের হবে।
অনুবাদ করেছে আব্দুর রহমান

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আছে। মোট ২৩টি প্রস্তাব ছিল আশু করণীয়, যেটা এই সরকারের যে সময়সীমা, এর মধ্যে করা সম্ভব। মন্ত্রণালয়ের আমলা ও কর্মকর্তারা পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। খুব শীঘ্রই আপনারা দেখতে পাবেন।’
২ মিনিট আগে
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই সময়সীমা ধার্য করা হয়। গুমের এই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদও আসামি।
১৮ মিনিট আগে
বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মর্যাদার ১৩ কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩০ মিনিট আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে ঢাকায় এসেছে তুরস্কের আট সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। আজ রোববার সকালে তাঁরা সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
৩৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের আশু করণীয় ২৩টি প্রস্তাবের মধ্যে ১৩টি আগামী নভেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, ‘সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন যাতে অন্তত নবম গ্রেডের কাছাকাছি হয়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমি গণমাধ্যমের সক্ষমতা বাড়াতে পত্রিকার প্রচারসংখ্যা কমিয়ে বিজ্ঞাপনের হার বাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে।’
আজ রোববার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আছে। মোট ২৩টি প্রস্তাব ছিল আশু করণীয়, যেটা এই সরকারের যে সময়সীমা, এর মধ্যে করা সম্ভব। মন্ত্রণালয়ের আমলা ও কর্মকর্তারা পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। খুব শীঘ্রই আপনারা দেখতে পাবেন।’
তিনি বলেন, ‘এগুলো খুব বড় কিছু, এ রকম না। কিন্তু আমাদের সময়সীমা আগে ছিল তিন মাস, এখন আছে এক মাস। এই জিনিসগুলো কেবিনেটেই করতে হবে অথবা নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। যেগুলো নভেম্বরের পরে আর করতে পারব না। কারণ, নভেম্বরে কেবিনেট মিটিং ক্লোজ হয়ে যাবে। এরপরে নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেবে। আইন প্রণয়নের যে জায়গাগুলো আছে, সেগুলো আগামী মাসের মধ্যে সমাধান করতে চাই। আর যেগুলো আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনার মাধ্যমে করা সম্ভব, সেগুলো আমরা করে ফেলব।’
সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন প্রসঙ্গে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তত নবম গ্রেডের কাছাকাছি যেন বেতন হয়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমি গণমাধ্যমের সক্ষমতা বাড়াতে প্রচারসংখ্যা কমিয়ে বিজ্ঞাপনের হার বাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে। কিন্তু প্রচারসংখ্যার সঠিক তথ্যটা আসতে হবে। স্থানীয় পত্রিকার প্রচারসংখ্যা, ইংরেজি পত্রিকার প্রচারসংখ্যা কমিয়ে দেব। কেন আমরা এগুলো করব? আমরা সাংবাদিকদের একটা বেসিক সেলারি প্রস্তাব করে যেতে চাই। যারা সুবিধা দিতে পারবে না, তারা এসব সুবিধা পাবে না।’
নবম ওয়েজ বোর্ড নিয়ে নোয়াব (নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) ও পত্রিকার মালিকদের সঙ্গে গত এক বছরে তিনবার বসে চেষ্টা করেছেন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি। মালিকেরা রাজি না হলে বিজ্ঞাপনের হার কমিয়ে দেব। যারা প্রতিযোগিতায় মাঠে থাকতে পারবে না, তারা চলে যাবে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোকেও একটা নীতিমালার অধীনে নিয়ে আসা হবে।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘ওয়ান হাউস, ওয়ান মিডিয়া পলিসি, সাংবাদিক সুরক্ষা আইন অচিরেই কেবিনেটে তুলতে পারব। অনলাইন পোর্টালের জন্য নীতিমালা করে রেখে যাব। যেসব পত্রিকা ছাপা হয় না, ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
বেসরকারি টেলিভিশন নিয়ে কোনো আইন নেই—স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, টিভির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট গ্রুপ অব কোম্পানির মালিকদের। তাঁরা এখনো এগুলোর মালিক হিসেবে আছে। বিদেশে বসে বসে লাভের হিসাব গুনছে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘একটা বেসিক সেলারি যাতে সব সাংবাদিক পায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। ভালো জার্নালিজম যাতে করা হয়, সে ব্যবস্থাও করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল প্রমুখ।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের আশু করণীয় ২৩টি প্রস্তাবের মধ্যে ১৩টি আগামী নভেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, ‘সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন যাতে অন্তত নবম গ্রেডের কাছাকাছি হয়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমি গণমাধ্যমের সক্ষমতা বাড়াতে পত্রিকার প্রচারসংখ্যা কমিয়ে বিজ্ঞাপনের হার বাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে।’
আজ রোববার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আছে। মোট ২৩টি প্রস্তাব ছিল আশু করণীয়, যেটা এই সরকারের যে সময়সীমা, এর মধ্যে করা সম্ভব। মন্ত্রণালয়ের আমলা ও কর্মকর্তারা পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। খুব শীঘ্রই আপনারা দেখতে পাবেন।’
তিনি বলেন, ‘এগুলো খুব বড় কিছু, এ রকম না। কিন্তু আমাদের সময়সীমা আগে ছিল তিন মাস, এখন আছে এক মাস। এই জিনিসগুলো কেবিনেটেই করতে হবে অথবা নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। যেগুলো নভেম্বরের পরে আর করতে পারব না। কারণ, নভেম্বরে কেবিনেট মিটিং ক্লোজ হয়ে যাবে। এরপরে নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেবে। আইন প্রণয়নের যে জায়গাগুলো আছে, সেগুলো আগামী মাসের মধ্যে সমাধান করতে চাই। আর যেগুলো আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনার মাধ্যমে করা সম্ভব, সেগুলো আমরা করে ফেলব।’
সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন প্রসঙ্গে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তত নবম গ্রেডের কাছাকাছি যেন বেতন হয়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমি গণমাধ্যমের সক্ষমতা বাড়াতে প্রচারসংখ্যা কমিয়ে বিজ্ঞাপনের হার বাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে। কিন্তু প্রচারসংখ্যার সঠিক তথ্যটা আসতে হবে। স্থানীয় পত্রিকার প্রচারসংখ্যা, ইংরেজি পত্রিকার প্রচারসংখ্যা কমিয়ে দেব। কেন আমরা এগুলো করব? আমরা সাংবাদিকদের একটা বেসিক সেলারি প্রস্তাব করে যেতে চাই। যারা সুবিধা দিতে পারবে না, তারা এসব সুবিধা পাবে না।’
নবম ওয়েজ বোর্ড নিয়ে নোয়াব (নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) ও পত্রিকার মালিকদের সঙ্গে গত এক বছরে তিনবার বসে চেষ্টা করেছেন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি। মালিকেরা রাজি না হলে বিজ্ঞাপনের হার কমিয়ে দেব। যারা প্রতিযোগিতায় মাঠে থাকতে পারবে না, তারা চলে যাবে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোকেও একটা নীতিমালার অধীনে নিয়ে আসা হবে।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘ওয়ান হাউস, ওয়ান মিডিয়া পলিসি, সাংবাদিক সুরক্ষা আইন অচিরেই কেবিনেটে তুলতে পারব। অনলাইন পোর্টালের জন্য নীতিমালা করে রেখে যাব। যেসব পত্রিকা ছাপা হয় না, ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
বেসরকারি টেলিভিশন নিয়ে কোনো আইন নেই—স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, টিভির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট গ্রুপ অব কোম্পানির মালিকদের। তাঁরা এখনো এগুলোর মালিক হিসেবে আছে। বিদেশে বসে বসে লাভের হিসাব গুনছে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘একটা বেসিক সেলারি যাতে সব সাংবাদিক পায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। ভালো জার্নালিজম যাতে করা হয়, সে ব্যবস্থাও করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল প্রমুখ।

ছাত্র–জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এসব কমিশনের একটি হলো সংবিধান সংস্কার কমিশন। গত ১৫ জানুয়ারি এই কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই সময়সীমা ধার্য করা হয়। গুমের এই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদও আসামি।
১৮ মিনিট আগে
বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মর্যাদার ১৩ কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩০ মিনিট আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে ঢাকায় এসেছে তুরস্কের আট সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। আজ রোববার সকালে তাঁরা সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
৩৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুমের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করতে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই সময়সীমা ধার্য করা হয়।
গুমের এই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদও আসামি।
আজ শুনানির সময় জিয়াউল আহসানকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এদিকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ নভেম্বর থেকে পিছিয়ে ২৩ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে। আজ প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন তারিখ ঠিক করে দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই সেনা কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ নভেম্বরের পরিবর্তে ২৪ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় ও জুলাই অভ্যুত্থানের সময় রামপুরায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা একটি মামলায় ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এর মধ্যে ১৫ জন সেনা কর্মকর্তা কর্মরত রয়েছেন। একজন অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর)) আছেন, আর ৯ জন কর্মকর্তা অবসরে।
সেদিনই এই তিন মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছিল প্রসিকিউশন।
তিন মামলার আসামি ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। ট্রাইব্যুনালে শুনানি শেষে তাঁদের ঢাকা সেনানিবাসের সাবজেলে পাঠানো হয়।
আজ আদালত থেকে বের হয়ে এক ব্রিফিংয়ে ওই ১৫ সেনা কর্মকর্তা বাহিনীতে ‘সার্ভিং (কর্মরত)’ বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশোধিত আইন অনুযায়ী কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলেই তাঁর চাকরি থাকে না।
সে ক্ষেত্রে ওই সেনা কর্মকর্তারা চাকরিচ্যুত নাকি চাকরিরত—এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজী তামিম বলেন, ‘যেটা আইনে বলা আছে, সেটাই আইনের ব্যাখ্যা। এখন সেনা সদর দপ্তর সিদ্ধান্ত নেবে এই আইন কবে তাঁদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ হবে। যতক্ষণ প্রয়োগ না করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সার্ভিং বলা যেতেই পারে।’

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুমের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করতে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই সময়সীমা ধার্য করা হয়।
গুমের এই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদও আসামি।
আজ শুনানির সময় জিয়াউল আহসানকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এদিকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ নভেম্বর থেকে পিছিয়ে ২৩ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে। আজ প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন তারিখ ঠিক করে দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই সেনা কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ নভেম্বরের পরিবর্তে ২৪ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় ও জুলাই অভ্যুত্থানের সময় রামপুরায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা একটি মামলায় ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এর মধ্যে ১৫ জন সেনা কর্মকর্তা কর্মরত রয়েছেন। একজন অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর)) আছেন, আর ৯ জন কর্মকর্তা অবসরে।
সেদিনই এই তিন মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছিল প্রসিকিউশন।
তিন মামলার আসামি ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। ট্রাইব্যুনালে শুনানি শেষে তাঁদের ঢাকা সেনানিবাসের সাবজেলে পাঠানো হয়।
আজ আদালত থেকে বের হয়ে এক ব্রিফিংয়ে ওই ১৫ সেনা কর্মকর্তা বাহিনীতে ‘সার্ভিং (কর্মরত)’ বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশোধিত আইন অনুযায়ী কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলেই তাঁর চাকরি থাকে না।
সে ক্ষেত্রে ওই সেনা কর্মকর্তারা চাকরিচ্যুত নাকি চাকরিরত—এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজী তামিম বলেন, ‘যেটা আইনে বলা আছে, সেটাই আইনের ব্যাখ্যা। এখন সেনা সদর দপ্তর সিদ্ধান্ত নেবে এই আইন কবে তাঁদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ হবে। যতক্ষণ প্রয়োগ না করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সার্ভিং বলা যেতেই পারে।’

ছাত্র–জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এসব কমিশনের একটি হলো সংবিধান সংস্কার কমিশন। গত ১৫ জানুয়ারি এই কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আছে। মোট ২৩টি প্রস্তাব ছিল আশু করণীয়, যেটা এই সরকারের যে সময়সীমা, এর মধ্যে করা সম্ভব। মন্ত্রণালয়ের আমলা ও কর্মকর্তারা পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। খুব শীঘ্রই আপনারা দেখতে পাবেন।’
২ মিনিট আগে
বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মর্যাদার ১৩ কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩০ মিনিট আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে ঢাকায় এসেছে তুরস্কের আট সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। আজ রোববার সকালে তাঁরা সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
৩৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুলিশ সুপার (এসপি) মর্যাদার ১৩ কর্মকর্তাকে বদলি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পুলিশ সুপার এস এম হাসানুল জাহীদকে সারদা রাজশাহীতে বদলি করা হয়েছে; পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন তালুকদারকে ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশে বদলি করা হয়েছে; টাঙ্গাইল পিটিসির পুলিশ সুপার আ ফ ম আল কিবরিয়াকে সিআইডির পুলিশ সুপার, গাইবান্দার কমান্ড্যান্ট আবু সায়েম প্রধানকে রংপুর পিটিসির পুলিশ সুপার, ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামকে পুলিশ অধিদপ্তরের এআইজি, পুলিশ স্টাফ কলেজের এসপি মুহাম্মদ শফি ইকবালকে সিআইডির পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ কামাল হোসেনকে গাইবান্দা ইন সার্ভিস সেন্টারে, এপিবিএনের এসপি উক্য সিংকে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার, সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত রংপুর রেঞ্জ পুলিশের এসপি সনাতন চক্রবর্তীকে রংপুর মহানগরে, শিল্প পুলিশের এসপি মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েলকে শেরপুর ইন সার্ভিস সেন্টারের এসপি, পুলিশ অধিদপ্তরের এসপি মুহাম্মদ ইসমাইল হুসাইনকে পুলিশ অধিদপ্তরের এআইজিতে বদলি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, পিবিআইয়ের এসপি মো. আবু ইউসুফের ও র্যাবে কর্মরত পুলিশ সুপার জাহিদুর রহমানের পুলিশ অধিদপ্তরে বদলির আদেশ বাতিল করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

পুলিশ সুপার (এসপি) মর্যাদার ১৩ কর্মকর্তাকে বদলি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পুলিশ সুপার এস এম হাসানুল জাহীদকে সারদা রাজশাহীতে বদলি করা হয়েছে; পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন তালুকদারকে ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশে বদলি করা হয়েছে; টাঙ্গাইল পিটিসির পুলিশ সুপার আ ফ ম আল কিবরিয়াকে সিআইডির পুলিশ সুপার, গাইবান্দার কমান্ড্যান্ট আবু সায়েম প্রধানকে রংপুর পিটিসির পুলিশ সুপার, ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামকে পুলিশ অধিদপ্তরের এআইজি, পুলিশ স্টাফ কলেজের এসপি মুহাম্মদ শফি ইকবালকে সিআইডির পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ কামাল হোসেনকে গাইবান্দা ইন সার্ভিস সেন্টারে, এপিবিএনের এসপি উক্য সিংকে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার, সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত রংপুর রেঞ্জ পুলিশের এসপি সনাতন চক্রবর্তীকে রংপুর মহানগরে, শিল্প পুলিশের এসপি মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েলকে শেরপুর ইন সার্ভিস সেন্টারের এসপি, পুলিশ অধিদপ্তরের এসপি মুহাম্মদ ইসমাইল হুসাইনকে পুলিশ অধিদপ্তরের এআইজিতে বদলি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, পিবিআইয়ের এসপি মো. আবু ইউসুফের ও র্যাবে কর্মরত পুলিশ সুপার জাহিদুর রহমানের পুলিশ অধিদপ্তরে বদলির আদেশ বাতিল করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

ছাত্র–জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এসব কমিশনের একটি হলো সংবিধান সংস্কার কমিশন। গত ১৫ জানুয়ারি এই কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আছে। মোট ২৩টি প্রস্তাব ছিল আশু করণীয়, যেটা এই সরকারের যে সময়সীমা, এর মধ্যে করা সম্ভব। মন্ত্রণালয়ের আমলা ও কর্মকর্তারা পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। খুব শীঘ্রই আপনারা দেখতে পাবেন।’
২ মিনিট আগে
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই সময়সীমা ধার্য করা হয়। গুমের এই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদও আসামি।
১৮ মিনিট আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে ঢাকায় এসেছে তুরস্কের আট সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। আজ রোববার সকালে তাঁরা সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
৩৪ মিনিট আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে ঢাকায় এসেছে তুরস্কের আট সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। আজ রোববার সকালে তাঁরা সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। তুরস্কের বিশেষজ্ঞ দল তদন্তে কারিগরি সহায়তা, প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয় এবং যৌথভাবে কাজ করার নিশ্চয়তা দেয়।
বৈঠক শেষে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এ সহযোগিতা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে। পাশাপাশি তুরস্কের বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা তদন্ত কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
তুরস্কের বিশেষজ্ঞ দলের নেতৃত্ব দেন ফার্স্ট ডিগ্রি চিফ সুপারিনটেনডেন্ট ওইকুন ইলগুন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন।
এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, অতিরিক্ত সচিব ড. হুমায়রা সুলতানা এবং বিমান ও সিভিল এভিয়েশন অনুবিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে ঢাকায় এসেছে তুরস্কের আট সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। আজ রোববার সকালে তাঁরা সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। তুরস্কের বিশেষজ্ঞ দল তদন্তে কারিগরি সহায়তা, প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয় এবং যৌথভাবে কাজ করার নিশ্চয়তা দেয়।
বৈঠক শেষে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এ সহযোগিতা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে। পাশাপাশি তুরস্কের বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা তদন্ত কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
তুরস্কের বিশেষজ্ঞ দলের নেতৃত্ব দেন ফার্স্ট ডিগ্রি চিফ সুপারিনটেনডেন্ট ওইকুন ইলগুন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন।
এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, অতিরিক্ত সচিব ড. হুমায়রা সুলতানা এবং বিমান ও সিভিল এভিয়েশন অনুবিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্র–জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এসব কমিশনের একটি হলো সংবিধান সংস্কার কমিশন। গত ১৫ জানুয়ারি এই কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আছে। মোট ২৩টি প্রস্তাব ছিল আশু করণীয়, যেটা এই সরকারের যে সময়সীমা, এর মধ্যে করা সম্ভব। মন্ত্রণালয়ের আমলা ও কর্মকর্তারা পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। খুব শীঘ্রই আপনারা দেখতে পাবেন।’
২ মিনিট আগে
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই সময়সীমা ধার্য করা হয়। গুমের এই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদও আসামি।
১৮ মিনিট আগে
বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মর্যাদার ১৩ কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩০ মিনিট আগে