Ajker Patrika

ঘুষের পরিমাণ নির্ধারণ করা এসি ল্যান্ড মাসুদ বরখাস্ত

আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১: ০৮
ঘুষের পরিমাণ নির্ধারণ করা এসি ল্যান্ড মাসুদ বরখাস্ত

ঘুষের রেট নির্ধারণ করে দিয়ে সমালোচিত পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার এসি ল্যান্ড মাসুদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে তাঁর সহকর্মীদের নামজারি মামলায় অবৈধ অর্থ লেনদেন-সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়ার অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি অডিও ক্লিপের কথোপকথনের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন এবং তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন। বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার এমন আচরণকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩ (খ) বিধি মোতাবেক অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব করেছেন বলেও এতে জানানো হয়। 

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত মাসুদুর রহমানকে তাঁর দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা আবশ্যক। সে জন্য সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী তাঁকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। তিনি সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা পাবেন বলেও এতে জানানো হয়েছে।

বরখাস্ত হওয়া বিসিএস ৩৭তম ব্যাচের কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান সর্বশেষ পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় এসি ল্যান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত জুলাইয়ে উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ের ভূমি সহকারী কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। সেখানে ভূমি কর্মকর্তারা কোন রেটে ঘুষ গ্রহণ করবেন, তা ঠিক করে দেন এ কর্মকর্তা। ওই বৈঠকের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। যা পরবর্তী সময় ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। 

সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী ও উপসহকারী কর্মকর্তাদের (তহশিলদার) নিয়ে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে এসি ল্যান্ড ও তহশিলদারদের মধ্যে ঘুষ নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়। অডিওতে মো. মাসুদুর রহমানকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা যে অভিযোগ বা মোকদ্দমা নিয়ে কাজ করেন, তা এনসিওর করার কোনো নিয়ম আছে?’ খোলামেলা কথা বলার জন্য এসি ল্যান্ড তহসিলদারদের বলেন, ‘আপনাদের মতামত শুনি যে আপনারা কী চাচ্ছেন?’ আলোচনার পর এসি ল্যান্ড বলেন, ‘প্রতিটি নামজারির জন্য আমাকে চার হাজার, আপনারা দুই হাজারসহ মোট ছয় হাজার নেবেন’ বলে চূড়ান্ত করে দেন। এসি ল্যান্ড আরও বলেন, ‘আমাকে “ক” তফসিলের প্রতিটি কেসের জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেবেন আর আপনারা পাঁচ হাজার টাকা করে নেবেন। মোট ১৫ হাজার টাকা নেবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত