কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারত থেকে দলে দলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এ পরিস্থিতিতে আরও রোহিঙ্গা পাঠিয়ে বাংলাদেশকে চাপ না দিতে ভারতকে অনুরোধ করেছেন ঢাকা সফররত জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
ভারত থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের প্রবেশের বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনএইচসিআর হাইকমিশনার বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি অবগত। প্রায় হাজারের মতো রোহিঙ্গা ভারত থেকে এসেছে। বাংলাদেশ সরকারের মতো আমরা ভারতকে অনুরোধ করতে চাই যে, ইতিমধ্যে এখানে প্রচুর রোহিঙ্গা রয়েছে। আরও রোহিঙ্গা পাঠিয়ে বাংলাদেশের ওপর চাপ দেবেন না।’
ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, ‘মালয়েশিয়াতে ২ লাখ, ভারতে ৪০ হাজার এবং ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা রয়েছে। তাদের উচিত নিজ দেশে রোহিঙ্গাদের ভালোভাবে দেখভাল করা। আরও রোহিঙ্গা পাঠিয়ে বাংলাদেশকে যেন অতিরিক্ত চাপ দেওয়া না হয়। এ বার্তা আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোতে পৌঁছে দেব।’
ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, মিয়ানমার যেহেতু আশিয়ানের সদস্য। তাই আশিয়ানের দেশগুলো যেন মানবিক সহায়তার পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভূমিকা রাখে এই আহ্বান জানাই।
ভাসানচর নিয়ে দাতা সংস্থাদের অবস্থা জানতে চাইলে ইউএনএইচসিআর হাইকমিশনার বলেন, ‘ভাসানচরে সহায়তার জন্য দাতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে এটি যাতে টেকসই হয়, সে বিষয়ে নিশ্চয়তা চেয়েছে। এমন স্থানে তারা অর্থ দেবে না যা টেকসই নয়। কারণ, সেই দেশের সরকারকে এ বিষয়ে দূতাবাসগুলোর জবাবদিহি করতে হবে।’
ভাসানচরের চ্যালেঞ্জগুলো জানতে চাইলে ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, চরটিতে ১ লাখ লোক রাখা সহজ নয়। বাংলাদেশের নীতি হচ্ছে সাময়িক সময়ের জন্য সেখানে আশ্রয় দেওয়া। আর এটাই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া সেখানে নিরাপত্তাজনিত চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সরকারের দৃঢ় নেতৃত্ব বর্ধিত আকারের শিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি ও জীবিকামূলক কার্যক্রম ভাসানচরের শরণার্থীদের জন্য পরিচালনা করবে বলে আশা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা অর্থায়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি।
ফিলিপ্পো বলেন, ‘আফগানিস্তান ও ইউক্রেন-সংকটের মধ্যে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রোহিঙ্গাদের প্রতি বিশ্বের মনোযোগ বজায় রাখা। আর এ কারণেই আমার বাংলাদেশ সফর।’
কক্সবাজার ও ভাসানচরের শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের পর ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনার বলেন, ‘গত পাঁচ বছর রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠী যে সংকট মোকাবিলা করছে, তা বিশ্বকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে। শরণার্থীদের জীবন নির্ভর করে তাদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আচরণের ওপর।’
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই ও পরিকল্পিত সহায়তার আবেদন করেছেন। অনুকূল পরিবেশে শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার যে আশা রয়েছে, তা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তাও তিনি তুলে ধরেন।
মিয়ানমারের সঙ্গে জাতিসংঘের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে গ্র্যান্ডি বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। তবে বেশ স্বল্পপরিসরে। মিয়ানমারের সঙ্গে করা সমঝোতাটির মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে। আমরা এটিকে বাড়াতে চাই। আর এ বিষয়ে মিয়ানমার সম্মতি দিয়েছে। তবে আমরা আমাদের আলোচনার পরিধি বাড়াতে চাই। যাতে পরিস্থিতির সমাধান করা যায়।’
ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনার বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকটটি হচ্ছে মানবিক বিষয়। আামাদের মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আর এ সংকট সমাধানের জন্য প্রয়োজন সময় ও ধৈর্য।’
রোহিঙ্গা বিষয়ক সংবাদ পেতে - এখানে ক্লিক করুন
বুধবার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বাংলাদেশে তাঁর পাঁচ দিনের সফর শেষ করছেন।
ভারত থেকে দলে দলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এ পরিস্থিতিতে আরও রোহিঙ্গা পাঠিয়ে বাংলাদেশকে চাপ না দিতে ভারতকে অনুরোধ করেছেন ঢাকা সফররত জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
ভারত থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের প্রবেশের বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনএইচসিআর হাইকমিশনার বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি অবগত। প্রায় হাজারের মতো রোহিঙ্গা ভারত থেকে এসেছে। বাংলাদেশ সরকারের মতো আমরা ভারতকে অনুরোধ করতে চাই যে, ইতিমধ্যে এখানে প্রচুর রোহিঙ্গা রয়েছে। আরও রোহিঙ্গা পাঠিয়ে বাংলাদেশের ওপর চাপ দেবেন না।’
ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, ‘মালয়েশিয়াতে ২ লাখ, ভারতে ৪০ হাজার এবং ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা রয়েছে। তাদের উচিত নিজ দেশে রোহিঙ্গাদের ভালোভাবে দেখভাল করা। আরও রোহিঙ্গা পাঠিয়ে বাংলাদেশকে যেন অতিরিক্ত চাপ দেওয়া না হয়। এ বার্তা আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোতে পৌঁছে দেব।’
ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, মিয়ানমার যেহেতু আশিয়ানের সদস্য। তাই আশিয়ানের দেশগুলো যেন মানবিক সহায়তার পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভূমিকা রাখে এই আহ্বান জানাই।
ভাসানচর নিয়ে দাতা সংস্থাদের অবস্থা জানতে চাইলে ইউএনএইচসিআর হাইকমিশনার বলেন, ‘ভাসানচরে সহায়তার জন্য দাতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে এটি যাতে টেকসই হয়, সে বিষয়ে নিশ্চয়তা চেয়েছে। এমন স্থানে তারা অর্থ দেবে না যা টেকসই নয়। কারণ, সেই দেশের সরকারকে এ বিষয়ে দূতাবাসগুলোর জবাবদিহি করতে হবে।’
ভাসানচরের চ্যালেঞ্জগুলো জানতে চাইলে ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, চরটিতে ১ লাখ লোক রাখা সহজ নয়। বাংলাদেশের নীতি হচ্ছে সাময়িক সময়ের জন্য সেখানে আশ্রয় দেওয়া। আর এটাই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া সেখানে নিরাপত্তাজনিত চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সরকারের দৃঢ় নেতৃত্ব বর্ধিত আকারের শিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি ও জীবিকামূলক কার্যক্রম ভাসানচরের শরণার্থীদের জন্য পরিচালনা করবে বলে আশা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা অর্থায়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি।
ফিলিপ্পো বলেন, ‘আফগানিস্তান ও ইউক্রেন-সংকটের মধ্যে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রোহিঙ্গাদের প্রতি বিশ্বের মনোযোগ বজায় রাখা। আর এ কারণেই আমার বাংলাদেশ সফর।’
কক্সবাজার ও ভাসানচরের শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের পর ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনার বলেন, ‘গত পাঁচ বছর রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠী যে সংকট মোকাবিলা করছে, তা বিশ্বকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে। শরণার্থীদের জীবন নির্ভর করে তাদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আচরণের ওপর।’
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই ও পরিকল্পিত সহায়তার আবেদন করেছেন। অনুকূল পরিবেশে শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার যে আশা রয়েছে, তা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তাও তিনি তুলে ধরেন।
মিয়ানমারের সঙ্গে জাতিসংঘের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে গ্র্যান্ডি বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। তবে বেশ স্বল্পপরিসরে। মিয়ানমারের সঙ্গে করা সমঝোতাটির মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে। আমরা এটিকে বাড়াতে চাই। আর এ বিষয়ে মিয়ানমার সম্মতি দিয়েছে। তবে আমরা আমাদের আলোচনার পরিধি বাড়াতে চাই। যাতে পরিস্থিতির সমাধান করা যায়।’
ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনার বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকটটি হচ্ছে মানবিক বিষয়। আামাদের মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আর এ সংকট সমাধানের জন্য প্রয়োজন সময় ও ধৈর্য।’
রোহিঙ্গা বিষয়ক সংবাদ পেতে - এখানে ক্লিক করুন
বুধবার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বাংলাদেশে তাঁর পাঁচ দিনের সফর শেষ করছেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ তালিকা থেকে আটজনের নাম বাতিল করেছে সরকার। আজ রোববার (৩ আগস্ট) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেট অধিশাখা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানায়। তবে কেন এই আটজনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
১৬ মিনিট আগেঅ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, যদি স্বৈরাচারদের কোনো সমিতি করা হতো, তাহলে শেখ হাসিনা সমিতির সভাপতি হতে পারতেন। জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যের আগে এসব কথা বলেন তিনি।
২৮ মিনিট আগেস্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রধান উপদেষ্টার পদক্ষেপ কামনা করেছেন কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান। আজ রোববার (৩ আগস্ট) বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির অফিশিয়াল প্যাডে তাঁর স্বাক্ষরিত একটি চিঠি প্রধান উপদেষ্টাকে পাঠানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রথম সাক্ষী আন্দোলনে আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ। জবানবন্দিতে তিনি বলেছেন, যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশ পাখির মতো গুলি করেছে।
৪ ঘণ্টা আগে