মৎস্যসম্পদ নিয়ে প্রকল্প
সাইফুল মাসুম, ঢাকা

মৎস্য খাতের বড় সরকারি উদ্যোগ ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প’তে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে নেওয়া প্রকল্পটিতে অডিট অধিদপ্তর ২৫৮ কোটি টাকার গুরুতর আর্থিক অনিয়ম পেয়েছে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, অসাধু একটি চক্র মৎস্য খাতের উন্নয়নের নামে প্রকল্পটি থেকে পকেট ভারী করেছে। বঞ্চিত মৎস্যজীবীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি এ নিয়ে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) একাধিক রাষ্ট্রীয় সংস্থা।
দেশের মৎস্য খাতকে এগিয়ে নিতে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প’ শুরু করে মৎস্য অধিদপ্তর। বিশ্বব্যাংকের ঋণের টাকায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটিতে শুরু থেকেই অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ ছিল। প্রকল্পের মেয়াদ আর মাত্র দুই মাস থাকলেও অগ্রগতিও অর্ধেকের মতো। কিন্তু প্রকল্পটির অনিয়ম ও ধীরগতি নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা সব সময় অদৃশ্য কারণে নীরব ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় বসার পর প্রকল্পটি থেকে ‘অপ্রয়োজনীয় ব্যয়’ উল্লেখ করে বাদ দেওয়া হয়েছে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। সম্প্রতি দুর্নীতির তথ্য সামনে আসায় কয়েকবার প্রকল্প পরিচালক (পিডি) বদলেরও ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে প্রকল্পের মেয়াদ আরও পাঁচ মাস বাড়াতে সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
অডিটে ধরা রাজ্যের আর্থিক অনিয়ম
টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের সামুদ্রিক ও উপকূলীয় মৎস্যসম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার উন্নয়নের উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি নেওয়া হয়। কিন্তু অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সেই উদ্দেশ্য অনেকটাই ব্যাহত হয়েছে। শুধু ২০২৩-২৪ অর্থবছরেই অডিট অধিদপ্তর এতে ২৫৮ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম পেয়েছে। মৎস্য খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব অনিয়মে ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশ ছিল প্রকল্প পরিচালকের।
অডিটের তথ্যমতে, প্রকল্পের বড় আর্থিক অনিয়মগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজে ডিফর্মড বার ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে ঠিকাদারকে ৪৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা দেওয়া, খালের মাটি খননের অতিরিক্ত উচ্চতা দেখিয়ে বিল পরিশোধ করার মাধ্যমে সরকারের ১৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা ক্ষতি করা, অনুমোদন ছাড়া মূল বিশেষজ্ঞ পরিবর্তন করে আরডিপিপি বরাদ্দ থেকে অতিরিক্ত কাজ দেখিয়ে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয় করা, কাজ সম্পাদনের ভুয়া তথ্য দিয়ে ঠিকাদারকে তিন কোটি টাকা আর্থিক সুবিধা দেওয়া ইত্যাদি। এ ছাড়া অপ্রয়োজনীয় পরামর্শককে বিল পরিশোধ, একই কাজের জন্য দুবার বিল পরিশোধ, আর্থিক বিবরণীতে ৩৭ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা অতিরিক্তভাবে দেখানোর মতো নানা অনিয়ম করা হয়েছে। সমর্থনযোগ্য প্রমাণ ছাড়াই ব্যাংকের হিসাব বিবরণীতে ৪৮ কোটি ৫০ হাজার টাকার ভ্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
চিংড়িচাষিদের উন্নয়নের নামে অর্থ লোপাট
প্রকল্পে চিংড়িচাষিদের উন্নয়নে নানা কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত থাকলেও অভিযোগ রয়েছে, প্রান্তিক চাষিরা এর ছিটেফোঁটা সুবিধাও পাননি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে চাষিদের নামে বরাদ্দ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। বিদেশ থেকে উন্নত জাতের রেণু পোনার আমদানির নামে ভুয়া বিল করে দুই কোটি টাকা হাতিয়েছে একটি চক্র। এ বিষয়ে বঞ্চিত একজন চাষি প্রকল্প পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী ও মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়, ৫০ হাজার সামুদ্রিক চিংড়ির রেণু পোনা (পিপিএল) আমদানির জন্য কক্সবাজার জেলার নামসর্বস্ব এমকেএ হ্যাচারির সঙ্গে সাড়ে ৫ কোটি টাকার ভুয়া চুক্তি করে মৎস্য অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটিকে এ জন্য আড়াই কোটি টাকার বেশি অগ্রিমও দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র অথবা থাইল্যান্ড থেকে রেণু পোনা কেনার কথা থাকলেও এমকেএ হ্যাচারি উপকূল থেকে অবৈধভাবে ধরা রেণু পোনা বিদেশ থেকে আনা বলে চালিয়ে দেয়। দুদকে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, হ্যাচারিকে ভুয়া কাগজপত্র তৈরিতে সহযোগিতা করেন প্রকল্প পরিচালক ও অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক। অভিযোগটি আমলে নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে দুদক।
মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকার প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রচলিত নিয়মেই এমকেএ হ্যাচারিকে টাকা দেওয়া হয়েছে। আর তিনি ওই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।
স্পিডবোট কেনার চার বছর আগে চালক নিয়োগ
প্রকল্পে উপকূলের মাছ ধরার নৌযানগুলো পর্যবেক্ষণ করার জন্য কিছু স্পিডবোট কেনার কথা ছিল। তবে স্পিডবোট কেনার দীর্ঘ চার বছর আগে ‘রেডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিস লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১৬ জন চালক, ১৬ জন সহকারী এবং ১৬ জন মেকানিক নিয়োগ দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগপ্রাপ্তদের কাছ থেকে জনপ্রতি দেড় থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের নভেম্বরে চালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া চরমোনাইয়ের বাসিন্দা মো. রেদোয়ান খান বলেছেন, তাঁকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। রেদোয়ানের প্রথম কর্মস্থল কুতুবদিয়ায় কোনো স্পিডবোট না থাকায় তাঁকে দিয়ে পিয়নের কাজ করানো হতো। স্পিডবোটের সহকারী (ডেকহ্যান্ড) হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বরিশাল সদর এলাকার বাসিন্দা মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, তিনিও ধার করে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে চাকরি নিয়েছিলেন। একাধিক স্পিডবোটচালক অভিযোগ করেছেন, রেডিসন টেকনোলজিস তাঁদের বেতনের অ্যাকাউন্টের চেকবই নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছিল। এ বিষয়ে জানতে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আবু জাফরকে বেশ কয়েকবার কল করা হলেও তাঁর মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সম্প্রতি ভারত থেকে ৩ কোটি ৬৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা করে ছয়টি স্পিডবোট কেনা হয়েছে। নৌযানগুলো উচ্চমূল্যে কেনার অভিযোগ উঠেছে। স্পিডবোটের ব্যবস্থাপনায় যুক্ত একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ‘নিম্নমানের স্পিডবোট উচ্চমূল্য দেখিয়ে প্রকল্প কর্মকর্তারা টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রকৃত বাজারমূল্য যাচাই করলেই এই চুরি ধরা পড়বে।’
এদিকে হঠাৎ করেই চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ১০ জন স্পিডবোটচালক, আটজন সহকারী ও আটজন মেকানিককে।
গাড়ি ভাড়ায়ও অনিয়ম
প্রকল্পের আওতায় চীনের তৈরি ১৬টি চেরি গাড়ির প্রতিটি মাসে ২ লাখ ১০ হাজার টাকায় ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সরকারি অন্যান্য প্রকল্পে একই গাড়ি ভাড়া নেওয়া হয় ১ লাখ ৬০ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায়। এ বিষয়ে সম্প্রতি প্রকল্পের ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের কাছে পাঠানো অভিযোগে বলা হয়, বাড়তি টাকায় গাড়ি ভাড়া নেওয়ার পেছনে পিডি ও ডিপিডি (উপপ্রকল্প পরিচালক) মনীষ কুমার মণ্ডলের ‘কমিশন-বাণিজ্য’ রয়েছে। অভিযুক্ত মনীষ কুমার মণ্ডল বলেছেন, দরপত্রের মাধ্যমে গাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। আর এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না।
অভিযোগ রয়েছে, গাড়িগুলো ঠিকমতো প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করা হয় না। ভাড়া করা গাড়ির একটি (ঢাকা মেট্রো-ঘ-২১-৮৬৪৬) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব অঞ্জন কুমার সরকার নিয়মিত ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, এই গাড়ি মৎস্য অধিদপ্তরের, তা ঠিক আছে; তবে এই প্রকল্পের নয়। আরও অন্তত চারটি গাড়ি মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা মাঝেমধ্যে ব্যবহার করেন বলে জানা গেছে।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নিতে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. জিয়া হায়দার চৌধুরীকে কয়েক দিন একাধিকবার কল ও মেসেজ দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে মৎস্য অধিদপ্তরের প্রকল্প দপ্তরে গিয়ে জানা যায়, তিনি ওমরাহ হজ পালনের প্রস্তুতির কারণে অফিসে আসেননি। তবে ভারপ্রাপ্ত পিডি উপপ্রকল্প পরিচালক বরুণ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, অভিযোগের বিষয়গুলো সত্য নয়। একটি পক্ষ বিশেষ উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
১ মে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফকে ফোন করলে তিনি বলেন, অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নেবেন। হালনাগাদ তথ্য জানতে এক সপ্তাহ পরে আবার ফোন করা হলে মহাপরিচালক জানান, ব্যস্ততার কারণে খোঁজ নিতে পারেননি।
প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমার কাছে তথ্য নেই। জেনে পরে কথা বলব।’

মৎস্য খাতের বড় সরকারি উদ্যোগ ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প’তে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে নেওয়া প্রকল্পটিতে অডিট অধিদপ্তর ২৫৮ কোটি টাকার গুরুতর আর্থিক অনিয়ম পেয়েছে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, অসাধু একটি চক্র মৎস্য খাতের উন্নয়নের নামে প্রকল্পটি থেকে পকেট ভারী করেছে। বঞ্চিত মৎস্যজীবীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি এ নিয়ে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) একাধিক রাষ্ট্রীয় সংস্থা।
দেশের মৎস্য খাতকে এগিয়ে নিতে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প’ শুরু করে মৎস্য অধিদপ্তর। বিশ্বব্যাংকের ঋণের টাকায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটিতে শুরু থেকেই অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ ছিল। প্রকল্পের মেয়াদ আর মাত্র দুই মাস থাকলেও অগ্রগতিও অর্ধেকের মতো। কিন্তু প্রকল্পটির অনিয়ম ও ধীরগতি নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা সব সময় অদৃশ্য কারণে নীরব ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় বসার পর প্রকল্পটি থেকে ‘অপ্রয়োজনীয় ব্যয়’ উল্লেখ করে বাদ দেওয়া হয়েছে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। সম্প্রতি দুর্নীতির তথ্য সামনে আসায় কয়েকবার প্রকল্প পরিচালক (পিডি) বদলেরও ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে প্রকল্পের মেয়াদ আরও পাঁচ মাস বাড়াতে সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
অডিটে ধরা রাজ্যের আর্থিক অনিয়ম
টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের সামুদ্রিক ও উপকূলীয় মৎস্যসম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার উন্নয়নের উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি নেওয়া হয়। কিন্তু অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সেই উদ্দেশ্য অনেকটাই ব্যাহত হয়েছে। শুধু ২০২৩-২৪ অর্থবছরেই অডিট অধিদপ্তর এতে ২৫৮ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম পেয়েছে। মৎস্য খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব অনিয়মে ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশ ছিল প্রকল্প পরিচালকের।
অডিটের তথ্যমতে, প্রকল্পের বড় আর্থিক অনিয়মগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজে ডিফর্মড বার ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে ঠিকাদারকে ৪৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা দেওয়া, খালের মাটি খননের অতিরিক্ত উচ্চতা দেখিয়ে বিল পরিশোধ করার মাধ্যমে সরকারের ১৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা ক্ষতি করা, অনুমোদন ছাড়া মূল বিশেষজ্ঞ পরিবর্তন করে আরডিপিপি বরাদ্দ থেকে অতিরিক্ত কাজ দেখিয়ে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয় করা, কাজ সম্পাদনের ভুয়া তথ্য দিয়ে ঠিকাদারকে তিন কোটি টাকা আর্থিক সুবিধা দেওয়া ইত্যাদি। এ ছাড়া অপ্রয়োজনীয় পরামর্শককে বিল পরিশোধ, একই কাজের জন্য দুবার বিল পরিশোধ, আর্থিক বিবরণীতে ৩৭ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা অতিরিক্তভাবে দেখানোর মতো নানা অনিয়ম করা হয়েছে। সমর্থনযোগ্য প্রমাণ ছাড়াই ব্যাংকের হিসাব বিবরণীতে ৪৮ কোটি ৫০ হাজার টাকার ভ্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
চিংড়িচাষিদের উন্নয়নের নামে অর্থ লোপাট
প্রকল্পে চিংড়িচাষিদের উন্নয়নে নানা কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত থাকলেও অভিযোগ রয়েছে, প্রান্তিক চাষিরা এর ছিটেফোঁটা সুবিধাও পাননি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে চাষিদের নামে বরাদ্দ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। বিদেশ থেকে উন্নত জাতের রেণু পোনার আমদানির নামে ভুয়া বিল করে দুই কোটি টাকা হাতিয়েছে একটি চক্র। এ বিষয়ে বঞ্চিত একজন চাষি প্রকল্প পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী ও মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়, ৫০ হাজার সামুদ্রিক চিংড়ির রেণু পোনা (পিপিএল) আমদানির জন্য কক্সবাজার জেলার নামসর্বস্ব এমকেএ হ্যাচারির সঙ্গে সাড়ে ৫ কোটি টাকার ভুয়া চুক্তি করে মৎস্য অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটিকে এ জন্য আড়াই কোটি টাকার বেশি অগ্রিমও দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র অথবা থাইল্যান্ড থেকে রেণু পোনা কেনার কথা থাকলেও এমকেএ হ্যাচারি উপকূল থেকে অবৈধভাবে ধরা রেণু পোনা বিদেশ থেকে আনা বলে চালিয়ে দেয়। দুদকে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, হ্যাচারিকে ভুয়া কাগজপত্র তৈরিতে সহযোগিতা করেন প্রকল্প পরিচালক ও অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক। অভিযোগটি আমলে নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে দুদক।
মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকার প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রচলিত নিয়মেই এমকেএ হ্যাচারিকে টাকা দেওয়া হয়েছে। আর তিনি ওই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।
স্পিডবোট কেনার চার বছর আগে চালক নিয়োগ
প্রকল্পে উপকূলের মাছ ধরার নৌযানগুলো পর্যবেক্ষণ করার জন্য কিছু স্পিডবোট কেনার কথা ছিল। তবে স্পিডবোট কেনার দীর্ঘ চার বছর আগে ‘রেডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিস লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১৬ জন চালক, ১৬ জন সহকারী এবং ১৬ জন মেকানিক নিয়োগ দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগপ্রাপ্তদের কাছ থেকে জনপ্রতি দেড় থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের নভেম্বরে চালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া চরমোনাইয়ের বাসিন্দা মো. রেদোয়ান খান বলেছেন, তাঁকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। রেদোয়ানের প্রথম কর্মস্থল কুতুবদিয়ায় কোনো স্পিডবোট না থাকায় তাঁকে দিয়ে পিয়নের কাজ করানো হতো। স্পিডবোটের সহকারী (ডেকহ্যান্ড) হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বরিশাল সদর এলাকার বাসিন্দা মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, তিনিও ধার করে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে চাকরি নিয়েছিলেন। একাধিক স্পিডবোটচালক অভিযোগ করেছেন, রেডিসন টেকনোলজিস তাঁদের বেতনের অ্যাকাউন্টের চেকবই নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছিল। এ বিষয়ে জানতে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আবু জাফরকে বেশ কয়েকবার কল করা হলেও তাঁর মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সম্প্রতি ভারত থেকে ৩ কোটি ৬৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা করে ছয়টি স্পিডবোট কেনা হয়েছে। নৌযানগুলো উচ্চমূল্যে কেনার অভিযোগ উঠেছে। স্পিডবোটের ব্যবস্থাপনায় যুক্ত একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ‘নিম্নমানের স্পিডবোট উচ্চমূল্য দেখিয়ে প্রকল্প কর্মকর্তারা টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রকৃত বাজারমূল্য যাচাই করলেই এই চুরি ধরা পড়বে।’
এদিকে হঠাৎ করেই চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ১০ জন স্পিডবোটচালক, আটজন সহকারী ও আটজন মেকানিককে।
গাড়ি ভাড়ায়ও অনিয়ম
প্রকল্পের আওতায় চীনের তৈরি ১৬টি চেরি গাড়ির প্রতিটি মাসে ২ লাখ ১০ হাজার টাকায় ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সরকারি অন্যান্য প্রকল্পে একই গাড়ি ভাড়া নেওয়া হয় ১ লাখ ৬০ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায়। এ বিষয়ে সম্প্রতি প্রকল্পের ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের কাছে পাঠানো অভিযোগে বলা হয়, বাড়তি টাকায় গাড়ি ভাড়া নেওয়ার পেছনে পিডি ও ডিপিডি (উপপ্রকল্প পরিচালক) মনীষ কুমার মণ্ডলের ‘কমিশন-বাণিজ্য’ রয়েছে। অভিযুক্ত মনীষ কুমার মণ্ডল বলেছেন, দরপত্রের মাধ্যমে গাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। আর এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না।
অভিযোগ রয়েছে, গাড়িগুলো ঠিকমতো প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করা হয় না। ভাড়া করা গাড়ির একটি (ঢাকা মেট্রো-ঘ-২১-৮৬৪৬) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব অঞ্জন কুমার সরকার নিয়মিত ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, এই গাড়ি মৎস্য অধিদপ্তরের, তা ঠিক আছে; তবে এই প্রকল্পের নয়। আরও অন্তত চারটি গাড়ি মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা মাঝেমধ্যে ব্যবহার করেন বলে জানা গেছে।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নিতে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. জিয়া হায়দার চৌধুরীকে কয়েক দিন একাধিকবার কল ও মেসেজ দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে মৎস্য অধিদপ্তরের প্রকল্প দপ্তরে গিয়ে জানা যায়, তিনি ওমরাহ হজ পালনের প্রস্তুতির কারণে অফিসে আসেননি। তবে ভারপ্রাপ্ত পিডি উপপ্রকল্প পরিচালক বরুণ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, অভিযোগের বিষয়গুলো সত্য নয়। একটি পক্ষ বিশেষ উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
১ মে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফকে ফোন করলে তিনি বলেন, অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নেবেন। হালনাগাদ তথ্য জানতে এক সপ্তাহ পরে আবার ফোন করা হলে মহাপরিচালক জানান, ব্যস্ততার কারণে খোঁজ নিতে পারেননি।
প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমার কাছে তথ্য নেই। জেনে পরে কথা বলব।’
মৎস্যসম্পদ নিয়ে প্রকল্প
সাইফুল মাসুম, ঢাকা

মৎস্য খাতের বড় সরকারি উদ্যোগ ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প’তে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে নেওয়া প্রকল্পটিতে অডিট অধিদপ্তর ২৫৮ কোটি টাকার গুরুতর আর্থিক অনিয়ম পেয়েছে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, অসাধু একটি চক্র মৎস্য খাতের উন্নয়নের নামে প্রকল্পটি থেকে পকেট ভারী করেছে। বঞ্চিত মৎস্যজীবীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি এ নিয়ে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) একাধিক রাষ্ট্রীয় সংস্থা।
দেশের মৎস্য খাতকে এগিয়ে নিতে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প’ শুরু করে মৎস্য অধিদপ্তর। বিশ্বব্যাংকের ঋণের টাকায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটিতে শুরু থেকেই অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ ছিল। প্রকল্পের মেয়াদ আর মাত্র দুই মাস থাকলেও অগ্রগতিও অর্ধেকের মতো। কিন্তু প্রকল্পটির অনিয়ম ও ধীরগতি নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা সব সময় অদৃশ্য কারণে নীরব ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় বসার পর প্রকল্পটি থেকে ‘অপ্রয়োজনীয় ব্যয়’ উল্লেখ করে বাদ দেওয়া হয়েছে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। সম্প্রতি দুর্নীতির তথ্য সামনে আসায় কয়েকবার প্রকল্প পরিচালক (পিডি) বদলেরও ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে প্রকল্পের মেয়াদ আরও পাঁচ মাস বাড়াতে সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
অডিটে ধরা রাজ্যের আর্থিক অনিয়ম
টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের সামুদ্রিক ও উপকূলীয় মৎস্যসম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার উন্নয়নের উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি নেওয়া হয়। কিন্তু অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সেই উদ্দেশ্য অনেকটাই ব্যাহত হয়েছে। শুধু ২০২৩-২৪ অর্থবছরেই অডিট অধিদপ্তর এতে ২৫৮ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম পেয়েছে। মৎস্য খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব অনিয়মে ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশ ছিল প্রকল্প পরিচালকের।
অডিটের তথ্যমতে, প্রকল্পের বড় আর্থিক অনিয়মগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজে ডিফর্মড বার ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে ঠিকাদারকে ৪৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা দেওয়া, খালের মাটি খননের অতিরিক্ত উচ্চতা দেখিয়ে বিল পরিশোধ করার মাধ্যমে সরকারের ১৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা ক্ষতি করা, অনুমোদন ছাড়া মূল বিশেষজ্ঞ পরিবর্তন করে আরডিপিপি বরাদ্দ থেকে অতিরিক্ত কাজ দেখিয়ে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয় করা, কাজ সম্পাদনের ভুয়া তথ্য দিয়ে ঠিকাদারকে তিন কোটি টাকা আর্থিক সুবিধা দেওয়া ইত্যাদি। এ ছাড়া অপ্রয়োজনীয় পরামর্শককে বিল পরিশোধ, একই কাজের জন্য দুবার বিল পরিশোধ, আর্থিক বিবরণীতে ৩৭ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা অতিরিক্তভাবে দেখানোর মতো নানা অনিয়ম করা হয়েছে। সমর্থনযোগ্য প্রমাণ ছাড়াই ব্যাংকের হিসাব বিবরণীতে ৪৮ কোটি ৫০ হাজার টাকার ভ্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
চিংড়িচাষিদের উন্নয়নের নামে অর্থ লোপাট
প্রকল্পে চিংড়িচাষিদের উন্নয়নে নানা কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত থাকলেও অভিযোগ রয়েছে, প্রান্তিক চাষিরা এর ছিটেফোঁটা সুবিধাও পাননি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে চাষিদের নামে বরাদ্দ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। বিদেশ থেকে উন্নত জাতের রেণু পোনার আমদানির নামে ভুয়া বিল করে দুই কোটি টাকা হাতিয়েছে একটি চক্র। এ বিষয়ে বঞ্চিত একজন চাষি প্রকল্প পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী ও মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়, ৫০ হাজার সামুদ্রিক চিংড়ির রেণু পোনা (পিপিএল) আমদানির জন্য কক্সবাজার জেলার নামসর্বস্ব এমকেএ হ্যাচারির সঙ্গে সাড়ে ৫ কোটি টাকার ভুয়া চুক্তি করে মৎস্য অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটিকে এ জন্য আড়াই কোটি টাকার বেশি অগ্রিমও দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র অথবা থাইল্যান্ড থেকে রেণু পোনা কেনার কথা থাকলেও এমকেএ হ্যাচারি উপকূল থেকে অবৈধভাবে ধরা রেণু পোনা বিদেশ থেকে আনা বলে চালিয়ে দেয়। দুদকে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, হ্যাচারিকে ভুয়া কাগজপত্র তৈরিতে সহযোগিতা করেন প্রকল্প পরিচালক ও অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক। অভিযোগটি আমলে নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে দুদক।
মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকার প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রচলিত নিয়মেই এমকেএ হ্যাচারিকে টাকা দেওয়া হয়েছে। আর তিনি ওই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।
স্পিডবোট কেনার চার বছর আগে চালক নিয়োগ
প্রকল্পে উপকূলের মাছ ধরার নৌযানগুলো পর্যবেক্ষণ করার জন্য কিছু স্পিডবোট কেনার কথা ছিল। তবে স্পিডবোট কেনার দীর্ঘ চার বছর আগে ‘রেডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিস লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১৬ জন চালক, ১৬ জন সহকারী এবং ১৬ জন মেকানিক নিয়োগ দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগপ্রাপ্তদের কাছ থেকে জনপ্রতি দেড় থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের নভেম্বরে চালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া চরমোনাইয়ের বাসিন্দা মো. রেদোয়ান খান বলেছেন, তাঁকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। রেদোয়ানের প্রথম কর্মস্থল কুতুবদিয়ায় কোনো স্পিডবোট না থাকায় তাঁকে দিয়ে পিয়নের কাজ করানো হতো। স্পিডবোটের সহকারী (ডেকহ্যান্ড) হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বরিশাল সদর এলাকার বাসিন্দা মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, তিনিও ধার করে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে চাকরি নিয়েছিলেন। একাধিক স্পিডবোটচালক অভিযোগ করেছেন, রেডিসন টেকনোলজিস তাঁদের বেতনের অ্যাকাউন্টের চেকবই নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছিল। এ বিষয়ে জানতে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আবু জাফরকে বেশ কয়েকবার কল করা হলেও তাঁর মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সম্প্রতি ভারত থেকে ৩ কোটি ৬৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা করে ছয়টি স্পিডবোট কেনা হয়েছে। নৌযানগুলো উচ্চমূল্যে কেনার অভিযোগ উঠেছে। স্পিডবোটের ব্যবস্থাপনায় যুক্ত একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ‘নিম্নমানের স্পিডবোট উচ্চমূল্য দেখিয়ে প্রকল্প কর্মকর্তারা টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রকৃত বাজারমূল্য যাচাই করলেই এই চুরি ধরা পড়বে।’
এদিকে হঠাৎ করেই চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ১০ জন স্পিডবোটচালক, আটজন সহকারী ও আটজন মেকানিককে।
গাড়ি ভাড়ায়ও অনিয়ম
প্রকল্পের আওতায় চীনের তৈরি ১৬টি চেরি গাড়ির প্রতিটি মাসে ২ লাখ ১০ হাজার টাকায় ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সরকারি অন্যান্য প্রকল্পে একই গাড়ি ভাড়া নেওয়া হয় ১ লাখ ৬০ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায়। এ বিষয়ে সম্প্রতি প্রকল্পের ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের কাছে পাঠানো অভিযোগে বলা হয়, বাড়তি টাকায় গাড়ি ভাড়া নেওয়ার পেছনে পিডি ও ডিপিডি (উপপ্রকল্প পরিচালক) মনীষ কুমার মণ্ডলের ‘কমিশন-বাণিজ্য’ রয়েছে। অভিযুক্ত মনীষ কুমার মণ্ডল বলেছেন, দরপত্রের মাধ্যমে গাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। আর এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না।
অভিযোগ রয়েছে, গাড়িগুলো ঠিকমতো প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করা হয় না। ভাড়া করা গাড়ির একটি (ঢাকা মেট্রো-ঘ-২১-৮৬৪৬) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব অঞ্জন কুমার সরকার নিয়মিত ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, এই গাড়ি মৎস্য অধিদপ্তরের, তা ঠিক আছে; তবে এই প্রকল্পের নয়। আরও অন্তত চারটি গাড়ি মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা মাঝেমধ্যে ব্যবহার করেন বলে জানা গেছে।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নিতে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. জিয়া হায়দার চৌধুরীকে কয়েক দিন একাধিকবার কল ও মেসেজ দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে মৎস্য অধিদপ্তরের প্রকল্প দপ্তরে গিয়ে জানা যায়, তিনি ওমরাহ হজ পালনের প্রস্তুতির কারণে অফিসে আসেননি। তবে ভারপ্রাপ্ত পিডি উপপ্রকল্প পরিচালক বরুণ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, অভিযোগের বিষয়গুলো সত্য নয়। একটি পক্ষ বিশেষ উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
১ মে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফকে ফোন করলে তিনি বলেন, অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নেবেন। হালনাগাদ তথ্য জানতে এক সপ্তাহ পরে আবার ফোন করা হলে মহাপরিচালক জানান, ব্যস্ততার কারণে খোঁজ নিতে পারেননি।
প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমার কাছে তথ্য নেই। জেনে পরে কথা বলব।’

মৎস্য খাতের বড় সরকারি উদ্যোগ ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প’তে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে নেওয়া প্রকল্পটিতে অডিট অধিদপ্তর ২৫৮ কোটি টাকার গুরুতর আর্থিক অনিয়ম পেয়েছে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, অসাধু একটি চক্র মৎস্য খাতের উন্নয়নের নামে প্রকল্পটি থেকে পকেট ভারী করেছে। বঞ্চিত মৎস্যজীবীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি এ নিয়ে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) একাধিক রাষ্ট্রীয় সংস্থা।
দেশের মৎস্য খাতকে এগিয়ে নিতে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প’ শুরু করে মৎস্য অধিদপ্তর। বিশ্বব্যাংকের ঋণের টাকায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটিতে শুরু থেকেই অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ ছিল। প্রকল্পের মেয়াদ আর মাত্র দুই মাস থাকলেও অগ্রগতিও অর্ধেকের মতো। কিন্তু প্রকল্পটির অনিয়ম ও ধীরগতি নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা সব সময় অদৃশ্য কারণে নীরব ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় বসার পর প্রকল্পটি থেকে ‘অপ্রয়োজনীয় ব্যয়’ উল্লেখ করে বাদ দেওয়া হয়েছে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। সম্প্রতি দুর্নীতির তথ্য সামনে আসায় কয়েকবার প্রকল্প পরিচালক (পিডি) বদলেরও ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে প্রকল্পের মেয়াদ আরও পাঁচ মাস বাড়াতে সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
অডিটে ধরা রাজ্যের আর্থিক অনিয়ম
টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের সামুদ্রিক ও উপকূলীয় মৎস্যসম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার উন্নয়নের উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি নেওয়া হয়। কিন্তু অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সেই উদ্দেশ্য অনেকটাই ব্যাহত হয়েছে। শুধু ২০২৩-২৪ অর্থবছরেই অডিট অধিদপ্তর এতে ২৫৮ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম পেয়েছে। মৎস্য খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব অনিয়মে ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশ ছিল প্রকল্প পরিচালকের।
অডিটের তথ্যমতে, প্রকল্পের বড় আর্থিক অনিয়মগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজে ডিফর্মড বার ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে ঠিকাদারকে ৪৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা দেওয়া, খালের মাটি খননের অতিরিক্ত উচ্চতা দেখিয়ে বিল পরিশোধ করার মাধ্যমে সরকারের ১৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা ক্ষতি করা, অনুমোদন ছাড়া মূল বিশেষজ্ঞ পরিবর্তন করে আরডিপিপি বরাদ্দ থেকে অতিরিক্ত কাজ দেখিয়ে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয় করা, কাজ সম্পাদনের ভুয়া তথ্য দিয়ে ঠিকাদারকে তিন কোটি টাকা আর্থিক সুবিধা দেওয়া ইত্যাদি। এ ছাড়া অপ্রয়োজনীয় পরামর্শককে বিল পরিশোধ, একই কাজের জন্য দুবার বিল পরিশোধ, আর্থিক বিবরণীতে ৩৭ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা অতিরিক্তভাবে দেখানোর মতো নানা অনিয়ম করা হয়েছে। সমর্থনযোগ্য প্রমাণ ছাড়াই ব্যাংকের হিসাব বিবরণীতে ৪৮ কোটি ৫০ হাজার টাকার ভ্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
চিংড়িচাষিদের উন্নয়নের নামে অর্থ লোপাট
প্রকল্পে চিংড়িচাষিদের উন্নয়নে নানা কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত থাকলেও অভিযোগ রয়েছে, প্রান্তিক চাষিরা এর ছিটেফোঁটা সুবিধাও পাননি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে চাষিদের নামে বরাদ্দ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। বিদেশ থেকে উন্নত জাতের রেণু পোনার আমদানির নামে ভুয়া বিল করে দুই কোটি টাকা হাতিয়েছে একটি চক্র। এ বিষয়ে বঞ্চিত একজন চাষি প্রকল্প পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী ও মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়, ৫০ হাজার সামুদ্রিক চিংড়ির রেণু পোনা (পিপিএল) আমদানির জন্য কক্সবাজার জেলার নামসর্বস্ব এমকেএ হ্যাচারির সঙ্গে সাড়ে ৫ কোটি টাকার ভুয়া চুক্তি করে মৎস্য অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটিকে এ জন্য আড়াই কোটি টাকার বেশি অগ্রিমও দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র অথবা থাইল্যান্ড থেকে রেণু পোনা কেনার কথা থাকলেও এমকেএ হ্যাচারি উপকূল থেকে অবৈধভাবে ধরা রেণু পোনা বিদেশ থেকে আনা বলে চালিয়ে দেয়। দুদকে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, হ্যাচারিকে ভুয়া কাগজপত্র তৈরিতে সহযোগিতা করেন প্রকল্প পরিচালক ও অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক। অভিযোগটি আমলে নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে দুদক।
মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকার প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রচলিত নিয়মেই এমকেএ হ্যাচারিকে টাকা দেওয়া হয়েছে। আর তিনি ওই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।
স্পিডবোট কেনার চার বছর আগে চালক নিয়োগ
প্রকল্পে উপকূলের মাছ ধরার নৌযানগুলো পর্যবেক্ষণ করার জন্য কিছু স্পিডবোট কেনার কথা ছিল। তবে স্পিডবোট কেনার দীর্ঘ চার বছর আগে ‘রেডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিস লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১৬ জন চালক, ১৬ জন সহকারী এবং ১৬ জন মেকানিক নিয়োগ দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগপ্রাপ্তদের কাছ থেকে জনপ্রতি দেড় থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের নভেম্বরে চালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া চরমোনাইয়ের বাসিন্দা মো. রেদোয়ান খান বলেছেন, তাঁকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। রেদোয়ানের প্রথম কর্মস্থল কুতুবদিয়ায় কোনো স্পিডবোট না থাকায় তাঁকে দিয়ে পিয়নের কাজ করানো হতো। স্পিডবোটের সহকারী (ডেকহ্যান্ড) হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বরিশাল সদর এলাকার বাসিন্দা মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, তিনিও ধার করে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে চাকরি নিয়েছিলেন। একাধিক স্পিডবোটচালক অভিযোগ করেছেন, রেডিসন টেকনোলজিস তাঁদের বেতনের অ্যাকাউন্টের চেকবই নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছিল। এ বিষয়ে জানতে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আবু জাফরকে বেশ কয়েকবার কল করা হলেও তাঁর মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সম্প্রতি ভারত থেকে ৩ কোটি ৬৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা করে ছয়টি স্পিডবোট কেনা হয়েছে। নৌযানগুলো উচ্চমূল্যে কেনার অভিযোগ উঠেছে। স্পিডবোটের ব্যবস্থাপনায় যুক্ত একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ‘নিম্নমানের স্পিডবোট উচ্চমূল্য দেখিয়ে প্রকল্প কর্মকর্তারা টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রকৃত বাজারমূল্য যাচাই করলেই এই চুরি ধরা পড়বে।’
এদিকে হঠাৎ করেই চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ১০ জন স্পিডবোটচালক, আটজন সহকারী ও আটজন মেকানিককে।
গাড়ি ভাড়ায়ও অনিয়ম
প্রকল্পের আওতায় চীনের তৈরি ১৬টি চেরি গাড়ির প্রতিটি মাসে ২ লাখ ১০ হাজার টাকায় ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সরকারি অন্যান্য প্রকল্পে একই গাড়ি ভাড়া নেওয়া হয় ১ লাখ ৬০ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায়। এ বিষয়ে সম্প্রতি প্রকল্পের ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের কাছে পাঠানো অভিযোগে বলা হয়, বাড়তি টাকায় গাড়ি ভাড়া নেওয়ার পেছনে পিডি ও ডিপিডি (উপপ্রকল্প পরিচালক) মনীষ কুমার মণ্ডলের ‘কমিশন-বাণিজ্য’ রয়েছে। অভিযুক্ত মনীষ কুমার মণ্ডল বলেছেন, দরপত্রের মাধ্যমে গাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। আর এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না।
অভিযোগ রয়েছে, গাড়িগুলো ঠিকমতো প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করা হয় না। ভাড়া করা গাড়ির একটি (ঢাকা মেট্রো-ঘ-২১-৮৬৪৬) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব অঞ্জন কুমার সরকার নিয়মিত ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, এই গাড়ি মৎস্য অধিদপ্তরের, তা ঠিক আছে; তবে এই প্রকল্পের নয়। আরও অন্তত চারটি গাড়ি মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা মাঝেমধ্যে ব্যবহার করেন বলে জানা গেছে।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নিতে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. জিয়া হায়দার চৌধুরীকে কয়েক দিন একাধিকবার কল ও মেসেজ দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে মৎস্য অধিদপ্তরের প্রকল্প দপ্তরে গিয়ে জানা যায়, তিনি ওমরাহ হজ পালনের প্রস্তুতির কারণে অফিসে আসেননি। তবে ভারপ্রাপ্ত পিডি উপপ্রকল্প পরিচালক বরুণ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, অভিযোগের বিষয়গুলো সত্য নয়। একটি পক্ষ বিশেষ উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
১ মে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফকে ফোন করলে তিনি বলেন, অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নেবেন। হালনাগাদ তথ্য জানতে এক সপ্তাহ পরে আবার ফোন করা হলে মহাপরিচালক জানান, ব্যস্ততার কারণে খোঁজ নিতে পারেননি।
প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমার কাছে তথ্য নেই। জেনে পরে কথা বলব।’

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১৭ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
২০ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
২০ ঘণ্টা আগেঅষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) ও রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

মৎস্য খাতের বড় সরকারি উদ্যোগ ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প’তে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে নেওয়া প্রকল্পটিতে অডিট অধিদপ্তর ২৫৮ কোটি টাকার গুরুতর আর্থিক অনিয়ম পেয়েছে।
০৯ মে ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১৭ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
২০ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও তাঁদের পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে যমুনা অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। শাহবাগ থানার সামনে মিছিলটি পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সদস্যসচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়। সেদিন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানানো হয়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বেশ কয়েকবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি, কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।’
আলিফ হোসেন আরও বলেন, ‘আজও শাহবাগ থানার সামনে আমাদের পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষেধ। তাই চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতিলেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবেন—এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও তাঁদের পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে যমুনা অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। শাহবাগ থানার সামনে মিছিলটি পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সদস্যসচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়। সেদিন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানানো হয়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বেশ কয়েকবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি, কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।’
আলিফ হোসেন আরও বলেন, ‘আজও শাহবাগ থানার সামনে আমাদের পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষেধ। তাই চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতিলেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবেন—এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

মৎস্য খাতের বড় সরকারি উদ্যোগ ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প’তে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে নেওয়া প্রকল্পটিতে অডিট অধিদপ্তর ২৫৮ কোটি টাকার গুরুতর আর্থিক অনিয়ম পেয়েছে।
০৯ মে ২০২৫
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
২০ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
২০ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

মৎস্য খাতের বড় সরকারি উদ্যোগ ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প’তে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে নেওয়া প্রকল্পটিতে অডিট অধিদপ্তর ২৫৮ কোটি টাকার গুরুতর আর্থিক অনিয়ম পেয়েছে।
০৯ মে ২০২৫
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১৭ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
২০ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট।
তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণকে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট।
তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণকে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

মৎস্য খাতের বড় সরকারি উদ্যোগ ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প’তে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে নেওয়া প্রকল্পটিতে অডিট অধিদপ্তর ২৫৮ কোটি টাকার গুরুতর আর্থিক অনিয়ম পেয়েছে।
০৯ মে ২০২৫
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১৭ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
২০ ঘণ্টা আগে