Ajker Patrika

৩-১০ জানুয়ারি মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১: ২৩
৩-১০ জানুয়ারি মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগামী ৩-১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে সশস্ত্র বাহিনী। ৩০০ সংসদীয় আসনে ৩-১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগের জন্য আদেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ। গত রোববার চিঠিতে সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের পক্ষে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুসাইন মুহাম্মাদ মাসীহুর রাহমান চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৯ ডিসেম্বর থেকে সশস্ত্র বাহিনী মাঠে থাকার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে ৩-১০ জানুয়ারির কথা। এর আগে ১৮ ডিসেম্বর ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ২৯ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী মাঠে সশস্ত্র বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।

সশস্ত্র বাহিনীর চিঠিতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ারের আওতায় সমগ্র বাংলাদেশের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় আগামী ৩-১০ জানুয়ারি পর্যন্ত (যাতায়াত সময়সীমা ব্যতীত) সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগের জন্য আদেশ দেওয়া হলো।

চিঠিতে আরও বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনীর নিয়োজিত দলসমূহ ফৌজদারি কার্যবিধি ও অন্যান্য আইনি বিধান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত ইনস্ট্রাকশন রিগার্ডিং এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ারের ৭ম ও ১০ম অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হবে। মোতায়েনকৃত সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনী কাজে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পরামর্শে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বেসামরিক প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করবে।

চিঠিতে সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তা বিষয়ে বলা হয়েছে—

১. সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মহানগর এলাকার নোডাল পয়েন্ট এবং সুবিধাজনক স্থানে নিয়োজিত থাকবে। 
২. রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় করে জেলা/উপজেলা/থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে। 
৩. নির্বাচনী সশস্ত্র বাহিনীর টিমের সঙ্গে রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে এবং আইন, বিধি ও পদ্ধতিগতভাবে কার্যক্রম গৃহীত হবে। 
৪. সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান চূড়ান্ত করা হবে। 
৫. বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে চাহিদামতো আইনানুগ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে। 
৬. ভোট গ্রহণের দিন, তার আগে ও পরে কার্যক্রম গ্রহণ ও মোতায়েনের সময়কালসহ বিস্তারিত পরিকল্পনা করতে হবে। 

চিঠিতে আরও বলা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর বিস্তারিত মোতায়েন নির্দেশিকা পরবর্তীতে পাঠানো হবে। সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনসংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা বিভাগ কর্তৃক সমন্বয় করা হবে। ২৯ ডিসেম্বর থেকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে একটি সমন্বয় সেল পরিচালনা করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত