নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত লাভ না থাকায় ও নিম্নমানের সেবা নিয়ে সংসদীয় কমিটির তোপের মুখে পড়েছে সরকারি টেলিসেবা প্রতিষ্ঠান টেলিটক। বছরের পর বছর সরকারি সেবা প্রদানকারী সংস্থাটি কেন লোকসান এবং নিম্নমানের সেবা দিচ্ছে—তা জানতে চান কমিটির সদস্যরা।
একই সঙ্গে বর্তমান সরকারের ২০১৪-১৮ মেয়াদে টেলিটক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সরকারের ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ কোন কোন খাতে ব্যবহার হয়েছে তাও জানতে চেয়েছে। আগামী বৈঠকে আয় ও ব্যয়ের হিসাব ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি উপস্থাপনের সুপারিশ করে।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম হাবিবুর রহমান সদস্যদের তোপের মুখে পড়েছেন বলে উপস্থিত একাধিক সদস্য আজকের পত্রিকাকে জানান। বিষয়টি জানতে টেলিটকের এমডিকে কল দেওয়া হলে তিনি ধরেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংসদীয় কমিটির এক সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান টেলিটকে বিনিয়োগের পরেও কি কারণে গ্রাহক বাড়ছে না— নিয়ে সংসদীয় কমিটির অধিকাংশ সদস্যই কথা বলেছেন। কমিটির বেশির ভাগ সদস্যই টেলিটকের নিম্নমানের নেটওয়ার্ক নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। টেলিটকসহ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সংস্থাগুলো কীভাবে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে দাঁড় করানো যায় এ জন্য কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুকে প্রধান করে আহ্বায়ক কমিটি এবং আইন প্রণয়নের বিষয়ে তারানা হালিমকে প্রধান করে একটি আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের ২০১৪-১৮ সালের মেয়াদের সরকারের টেলিটকের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। সেখানে গ্রাহক সেবা বাড়াতে টাওয়ার নির্মাণ, কাস্টমার কেয়ার, রিটেইল শপ তৈরি কথা ছিল। সেই প্রকল্পের পরে টেলিটকের সেবার উন্নতি না হওয়ার কারণ কেন তা জানতে চেয়েছে সংসদীয় কমিটি। আগামী বৈঠকে প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে বলেছে কমিটি। বৈঠকে এক সদস্য বলেন, প্রতিষ্ঠান লোকসানে থাকায় সেখানে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা পেশাদারির সঙ্গে কাজ করছে না। সবার মধ্যে ঢিলেঢালা ভাব মনে হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটিকে লাভজনক করার চেষ্টার জন্য বলে। তা না হলে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) দেওয়ার কথাও উঠে বৈঠকে। তবে এ নিয়ে কোনো সুপারিশ করা হয়নি।
এদিকে কমিটির কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, সংসদীয় কমিটির প্রথম বৈঠকে টেলিটকের তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেছিলেন এমডি। সেখানে বলা হয়, ২০০৪ সালের ৩১ মার্চ বাণিজ্যিকভাবে টেলিটক চালু করা হয়। আগামী জুনের মধ্যে টেলিটককে লাভজনক করতে উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘টেলিটকের সঙ্গে বহুবার বৈঠক করা হয়েছে। সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে সরকার বিনিয়োগ করলে লাভ করেনি। টেলিটক প্রতিনিয়তই প্রধানমন্ত্রীর নিকট ভুল তথ্য দিয়ে আসছে। এ বিষয়ে আমি কমিটির সহযোগিতা কামনা করছি।’ প্রতিমন্ত্রী টেলিটককে বাংলালিংকের সঙ্গে অ্যাকটিভ নেটওয়ার্ক শেয়ারিং/অ্যাকটিভ টাওয়ার শেয়ারিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করার পক্ষে মত দেন। এতে প্রতিষ্ঠানটি লোকসান হতে রক্ষা পাবে বলেও মনে করেন তিনি।
জানতে চাইলে কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈঠকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, এটা লাভজনক প্রকল্প না। প্রতিযোগিতায় ভালো না। কীভাবে প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক করা যায় এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আর এ প্রতিষ্ঠানসহ মন্ত্রণালয়ের অধীনে যেসব বিভাগ রয়েছে সেগুলোকে লাভজনক করা যায়— সে জন্য একটি কমিটি করে আমাকে আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
কমিটির সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বি এম কবিরুল হক, নজরুল ইসলাম বাবু, আবদুল্লাহ নাহিদ নিগার, আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক, তারানা হালিম এবং সিদ্দিকুল আলম।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত লাভ না থাকায় ও নিম্নমানের সেবা নিয়ে সংসদীয় কমিটির তোপের মুখে পড়েছে সরকারি টেলিসেবা প্রতিষ্ঠান টেলিটক। বছরের পর বছর সরকারি সেবা প্রদানকারী সংস্থাটি কেন লোকসান এবং নিম্নমানের সেবা দিচ্ছে—তা জানতে চান কমিটির সদস্যরা।
একই সঙ্গে বর্তমান সরকারের ২০১৪-১৮ মেয়াদে টেলিটক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সরকারের ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ কোন কোন খাতে ব্যবহার হয়েছে তাও জানতে চেয়েছে। আগামী বৈঠকে আয় ও ব্যয়ের হিসাব ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি উপস্থাপনের সুপারিশ করে।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম হাবিবুর রহমান সদস্যদের তোপের মুখে পড়েছেন বলে উপস্থিত একাধিক সদস্য আজকের পত্রিকাকে জানান। বিষয়টি জানতে টেলিটকের এমডিকে কল দেওয়া হলে তিনি ধরেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংসদীয় কমিটির এক সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান টেলিটকে বিনিয়োগের পরেও কি কারণে গ্রাহক বাড়ছে না— নিয়ে সংসদীয় কমিটির অধিকাংশ সদস্যই কথা বলেছেন। কমিটির বেশির ভাগ সদস্যই টেলিটকের নিম্নমানের নেটওয়ার্ক নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। টেলিটকসহ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সংস্থাগুলো কীভাবে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে দাঁড় করানো যায় এ জন্য কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুকে প্রধান করে আহ্বায়ক কমিটি এবং আইন প্রণয়নের বিষয়ে তারানা হালিমকে প্রধান করে একটি আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের ২০১৪-১৮ সালের মেয়াদের সরকারের টেলিটকের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। সেখানে গ্রাহক সেবা বাড়াতে টাওয়ার নির্মাণ, কাস্টমার কেয়ার, রিটেইল শপ তৈরি কথা ছিল। সেই প্রকল্পের পরে টেলিটকের সেবার উন্নতি না হওয়ার কারণ কেন তা জানতে চেয়েছে সংসদীয় কমিটি। আগামী বৈঠকে প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে বলেছে কমিটি। বৈঠকে এক সদস্য বলেন, প্রতিষ্ঠান লোকসানে থাকায় সেখানে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা পেশাদারির সঙ্গে কাজ করছে না। সবার মধ্যে ঢিলেঢালা ভাব মনে হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটিকে লাভজনক করার চেষ্টার জন্য বলে। তা না হলে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) দেওয়ার কথাও উঠে বৈঠকে। তবে এ নিয়ে কোনো সুপারিশ করা হয়নি।
এদিকে কমিটির কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, সংসদীয় কমিটির প্রথম বৈঠকে টেলিটকের তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেছিলেন এমডি। সেখানে বলা হয়, ২০০৪ সালের ৩১ মার্চ বাণিজ্যিকভাবে টেলিটক চালু করা হয়। আগামী জুনের মধ্যে টেলিটককে লাভজনক করতে উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘টেলিটকের সঙ্গে বহুবার বৈঠক করা হয়েছে। সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে সরকার বিনিয়োগ করলে লাভ করেনি। টেলিটক প্রতিনিয়তই প্রধানমন্ত্রীর নিকট ভুল তথ্য দিয়ে আসছে। এ বিষয়ে আমি কমিটির সহযোগিতা কামনা করছি।’ প্রতিমন্ত্রী টেলিটককে বাংলালিংকের সঙ্গে অ্যাকটিভ নেটওয়ার্ক শেয়ারিং/অ্যাকটিভ টাওয়ার শেয়ারিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করার পক্ষে মত দেন। এতে প্রতিষ্ঠানটি লোকসান হতে রক্ষা পাবে বলেও মনে করেন তিনি।
জানতে চাইলে কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈঠকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, এটা লাভজনক প্রকল্প না। প্রতিযোগিতায় ভালো না। কীভাবে প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক করা যায় এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আর এ প্রতিষ্ঠানসহ মন্ত্রণালয়ের অধীনে যেসব বিভাগ রয়েছে সেগুলোকে লাভজনক করা যায়— সে জন্য একটি কমিটি করে আমাকে আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
কমিটির সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বি এম কবিরুল হক, নজরুল ইসলাম বাবু, আবদুল্লাহ নাহিদ নিগার, আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক, তারানা হালিম এবং সিদ্দিকুল আলম।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখতে পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশব্যাপী কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জনসাধারণের জানমাল রক্ষা এবং ঈদের ছুটি চলাকালীন যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর সঙ
৬ ঘণ্টা আগেপবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে দেশের জনগণের জানমাল রক্ষাসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ঈদের ছুটি চলাকালীন সময়ে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
১১ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারকে করিডোর দিয়েছে বলে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা সর্বৈব মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১৩ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে যে সময়সীমা ঘোষণা করেছেন, সে বিষয়ে ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মিশন একটি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। আজ শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিশন নিজের ফেসবুক পেজে এ প্রতিক্রিয়া জানায়।
১৩ ঘণ্টা আগে