নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোশাক-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টসহ (ব্লাস্ট) মানবাধিকার ও আইনি অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন।
আজ বৃহস্পতিবার পৃথক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন পোশাকবিধি জারি করে। এতে নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ ও ওড়না বা অন্যান্য পেশাদার শালীন পোশাক পরার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর সঙ্গে ফরমাল স্যান্ডেল বা জুতা, সাদামাটা হেডস্কার্ফ বা হিজাব পরতে বলা হয়। নির্দেশিকায় শর্ট স্লিভ ও লেংথের ড্রেস (ছোট হাতা ও ছোট দৈর্ঘ্যের পোশাক) এবং লেগিংস পরিহার করার কথা বলা হয়।
আর ব্যাংকের পুরুষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফরমাল (আনুষ্ঠানিক) শার্ট (লম্বা হাতা বা হাফ হাতা) ও ফরমাল প্যান্ট পরতে বলা হয়। এর সঙ্গে ফরমাল স্যান্ডেল বা জুতা পরতে হবে। এই নির্দেশিকায় জিনস ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট পরিহার করার কথা বলা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পোশাক-সংক্রান্ত এই নির্দেশনা গতকাল বুধবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হলে এর নিন্দা জানায় বিভিন্ন মহল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
এই পরিপ্রেক্ষিতে আজ নির্দেশনাটি তুলে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এইচআরএফবির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পোশাক নিয়ে নির্দেশনাটি নারীদের প্রতি অবমাননাকর। এটি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং তাঁদের ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকারের লঙ্ঘন; যা সংবিধানের ২৮(১), ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। এ ছাড়া নির্দেশনাটি সংবিধানের সব নাগরিককে ৩৯ অনুচ্ছেদে দেওয়া চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার অধিকারের লঙ্ঘন। এই ধরনের পশ্চাৎপদ নির্দেশনা জারি ও পরে তা প্রত্যাহারের মাধ্যমে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’
এইচআরএফবির বিবৃতিতে সই করেন আইনজীবী, অধিকারকর্মীসহ ২৩ বিশিষ্ট নাগরিক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্মস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, নিজেরা করির সমন্বয়ক খুশী কবির।
অন্যদিকে ব্লাস্টের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পোশাকবিধি-সংক্রান্ত নির্দেশনা কর্মস্থলে সমতা বা পেশাদারত্ব নিশ্চিত না করে বরং নারীদের ওপর অযথা নিয়ন্ত্রণ, পর্যবেক্ষণ ও বৈষম্যের পরিবেশ তৈরি করতে পারে। কর্মস্থলে পরিধেয় পোশাকবিষয়ক নিছক অপ্রয়োজনীয় কিন্তু স্পষ্টত বৈষম্যমূলক এ ধরনের নির্দেশনা নারী কর্মীদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, মর্যাদা ও পছন্দের অধিকারকে অযথা সীমাবদ্ধ করে এবং বাংলাদেশ সংবিধানের ২৮ (ধর্ম, প্রভৃতি কারণে বৈষম্য) ও ৩২ (জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকাররক্ষণ) অনুচ্ছেদে বর্ণিত সমতা এবং জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকারের পরিপন্থী। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক স্টাফ রেগুলেশন, ২০০৩-এ আচরণবিধি নির্ধারিত থাকলেও সেখানে কর্মীদের পোশাকের ওপর কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। এ নির্দেশনা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার, বিশেষত নারীর প্রতি সব প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।’
বিবৃতিতে পোশাক নির্ধারণী-সংক্রান্ত লিঙ্গবৈষম্যমূলক বিতর্কিত নির্দেশনা প্রণয়নের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানায় ব্লাস্ট। ভবিষ্যতে এ ধরনের নির্দেশনা যেন জারি করা না হয়, সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিশ্চিত করারও আবেদন জানায় সংগঠনটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোশাক-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টসহ (ব্লাস্ট) মানবাধিকার ও আইনি অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন।
আজ বৃহস্পতিবার পৃথক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন পোশাকবিধি জারি করে। এতে নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ ও ওড়না বা অন্যান্য পেশাদার শালীন পোশাক পরার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর সঙ্গে ফরমাল স্যান্ডেল বা জুতা, সাদামাটা হেডস্কার্ফ বা হিজাব পরতে বলা হয়। নির্দেশিকায় শর্ট স্লিভ ও লেংথের ড্রেস (ছোট হাতা ও ছোট দৈর্ঘ্যের পোশাক) এবং লেগিংস পরিহার করার কথা বলা হয়।
আর ব্যাংকের পুরুষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফরমাল (আনুষ্ঠানিক) শার্ট (লম্বা হাতা বা হাফ হাতা) ও ফরমাল প্যান্ট পরতে বলা হয়। এর সঙ্গে ফরমাল স্যান্ডেল বা জুতা পরতে হবে। এই নির্দেশিকায় জিনস ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট পরিহার করার কথা বলা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পোশাক-সংক্রান্ত এই নির্দেশনা গতকাল বুধবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হলে এর নিন্দা জানায় বিভিন্ন মহল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
এই পরিপ্রেক্ষিতে আজ নির্দেশনাটি তুলে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এইচআরএফবির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পোশাক নিয়ে নির্দেশনাটি নারীদের প্রতি অবমাননাকর। এটি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং তাঁদের ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকারের লঙ্ঘন; যা সংবিধানের ২৮(১), ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। এ ছাড়া নির্দেশনাটি সংবিধানের সব নাগরিককে ৩৯ অনুচ্ছেদে দেওয়া চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার অধিকারের লঙ্ঘন। এই ধরনের পশ্চাৎপদ নির্দেশনা জারি ও পরে তা প্রত্যাহারের মাধ্যমে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’
এইচআরএফবির বিবৃতিতে সই করেন আইনজীবী, অধিকারকর্মীসহ ২৩ বিশিষ্ট নাগরিক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্মস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, নিজেরা করির সমন্বয়ক খুশী কবির।
অন্যদিকে ব্লাস্টের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পোশাকবিধি-সংক্রান্ত নির্দেশনা কর্মস্থলে সমতা বা পেশাদারত্ব নিশ্চিত না করে বরং নারীদের ওপর অযথা নিয়ন্ত্রণ, পর্যবেক্ষণ ও বৈষম্যের পরিবেশ তৈরি করতে পারে। কর্মস্থলে পরিধেয় পোশাকবিষয়ক নিছক অপ্রয়োজনীয় কিন্তু স্পষ্টত বৈষম্যমূলক এ ধরনের নির্দেশনা নারী কর্মীদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, মর্যাদা ও পছন্দের অধিকারকে অযথা সীমাবদ্ধ করে এবং বাংলাদেশ সংবিধানের ২৮ (ধর্ম, প্রভৃতি কারণে বৈষম্য) ও ৩২ (জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকাররক্ষণ) অনুচ্ছেদে বর্ণিত সমতা এবং জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকারের পরিপন্থী। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক স্টাফ রেগুলেশন, ২০০৩-এ আচরণবিধি নির্ধারিত থাকলেও সেখানে কর্মীদের পোশাকের ওপর কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। এ নির্দেশনা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার, বিশেষত নারীর প্রতি সব প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।’
বিবৃতিতে পোশাক নির্ধারণী-সংক্রান্ত লিঙ্গবৈষম্যমূলক বিতর্কিত নির্দেশনা প্রণয়নের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানায় ব্লাস্ট। ভবিষ্যতে এ ধরনের নির্দেশনা যেন জারি করা না হয়, সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিশ্চিত করারও আবেদন জানায় সংগঠনটি।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দুটি কাজের একটি হলো, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের একটি রূপরেখা দেওয়া; যেটি জাতীয় সনদ আকারে ঘোষণা করা হবে। এই লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন চলতি মাসেই ‘জুলাই সনদ’ নামে এই জাতীয় সনদ দেওয়ার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
৫ মিনিট আগেবাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য পোশাক নির্ধারণ করে যে নির্দেশনা জারি করেছে, তা ক্ষমতার অপব্যবহারের খারাপ নজির হিসেবে অভিহিত করেছেন দেশের ৫৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক। আজ শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত...
৫ ঘণ্টা আগেচুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলা হয়, এলসা (ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ স্পিচ অ্যাসিস্ট্যান্ট) একটি মোবাইল অ্যাপ, যা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইংরেজিকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ব্যবহারকারীদের উচ্চারণ ও সাবলীলভাবে কথা বলার দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই অ্যাপ...
৬ ঘণ্টা আগেআইএসপিআর জানিয়েছে, এক্সারসাইজ টাইগার লাইটনিং (টিএল)-২০২৫ মহড়ার মূল উদ্দেশ্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে দুই দেশের সেনাবাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতা ও যৌথ প্রস্তুতি জোরদার করা।
৬ ঘণ্টা আগে