কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনা মহামারিকালে চাকরি হারিয়ে নিঃস্ব অবস্থায় দেশে ফিরেছেন ৫৩ শতাংশ প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী। এ সময় তাঁদের অনেকে এক বছর পর্যন্ত বেতন হারিয়েছেন। সেই সঙ্গে বোনাস, ওভারটাইম এবং চাকরিকালীন অন্যান্য আর্থিক সুবিধাও পাননি। অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রামের (ওকাপ) এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়।
রাজধানীর গুলশানে একটি কনভেনশন সেন্টারে আজ বৃহস্পতিবার ‘কোভিড-১৯: হাও দ্য প্যান্ডেমিক হ্যাজ এক্সাসারবেটেড সিচুয়েশনস অব ভালনার্যাবিলিটি ফর বাংলাদেশি মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স’ শীর্ষক গবেষণা প্রকাশ করে ওকাপ।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএমইটির মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলম। আলোচক ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এবিএম আবদুল হালিম, বিআইআইএসএসের রিসার্চ ফেলো বেনুকা ফেরদৌসী, ব্র্যাকের অভিবাসন প্রধান শরিফুল ইসলাম হাসান, বিএনএসকের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম এসডিসির নিরাপদ অভিবাসন প্রোগ্রামের ব্যবস্থাপক নাজিয়া হায়দার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ওকাপের চেয়ারম্যান শাকিরুল ইসলাম।
গবেষণায় জানানো হয়, ৫৪ শতাংশ বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিককে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়। আর তাঁদের মধ্যে ২৭ শতাংশ কর্মীর ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন করা হয়নি। ফেরত আসা শ্রমিকদের ৮ শতাংশকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই কাজ করতে হয়েছে। বাংলাদেশে ফেরত আসা ৭৪ শতাংশ শ্রমিকের কোনো সঞ্চয় নেই। তাঁদের আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ঋণ করে দিন পার করতে হচ্ছে। আর ৭ শতাংশের তিন বেলা খাওয়ার টাকা পর্যন্ত নেই।
বাংলাদেশে ফেরত আসা প্রবাসী শ্রমিকদের মাত্র ৬ শতাংশ স্থানীয় বাজারে কাজ পেয়েছেন। বাকিদের অর্থনীতিতে অন্তর্ভুক্তিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
৫৩ শতাংশ প্রবাসী শ্রমিক খালি হাতে এলে বাংলাদেশের রেমিট্যান্সে কেন বাড়ছে? গবেষণা নিয়ে মুক্ত আলোচনায় এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ওকাপের চেয়ারম্যান শাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘এটি একটি অলৌকিক বিষয়। এ নিয়ে এখনো কোনো গবেষণা হয়নি। তবে করোনাকালে হুন্ডি কম হয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ আসা, রেমিট্যান্সে প্রণোদনাসহ আরও কিছু বিষয় হয়তো রেমিট্যান্স বাড়তে সহযোগিতা করেছে।’
গবেষণায় জানানো হয়, করোনার সময়ে আসা ১০ শতাংশ অভিবাসী শ্রমিক আবার কর্মস্থলে যেতে প্রস্তুত। আর ৪৪ শতাংশ ফ্লাইটের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। ৪৪ শতাংশ অভিবাসী শ্রমিকের ভিসা প্রক্রিয়াধীন। আর ৮২ শতাংশ অভিবাসন প্রত্যাশী এজেন্ট বা সাব এজেন্টকে করোনার আগেই অর্থ দিয়ে রেখেছেন। এ টাকা ফেরত পেতে তাঁদের বেগ পেতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে ৬৯ শতাংশ অভিবাসন প্রত্যাশী উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে রেখেছেন।
প্রবাসী সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
করোনা মহামারিকালে চাকরি হারিয়ে নিঃস্ব অবস্থায় দেশে ফিরেছেন ৫৩ শতাংশ প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী। এ সময় তাঁদের অনেকে এক বছর পর্যন্ত বেতন হারিয়েছেন। সেই সঙ্গে বোনাস, ওভারটাইম এবং চাকরিকালীন অন্যান্য আর্থিক সুবিধাও পাননি। অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রামের (ওকাপ) এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়।
রাজধানীর গুলশানে একটি কনভেনশন সেন্টারে আজ বৃহস্পতিবার ‘কোভিড-১৯: হাও দ্য প্যান্ডেমিক হ্যাজ এক্সাসারবেটেড সিচুয়েশনস অব ভালনার্যাবিলিটি ফর বাংলাদেশি মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স’ শীর্ষক গবেষণা প্রকাশ করে ওকাপ।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএমইটির মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলম। আলোচক ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এবিএম আবদুল হালিম, বিআইআইএসএসের রিসার্চ ফেলো বেনুকা ফেরদৌসী, ব্র্যাকের অভিবাসন প্রধান শরিফুল ইসলাম হাসান, বিএনএসকের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম এসডিসির নিরাপদ অভিবাসন প্রোগ্রামের ব্যবস্থাপক নাজিয়া হায়দার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ওকাপের চেয়ারম্যান শাকিরুল ইসলাম।
গবেষণায় জানানো হয়, ৫৪ শতাংশ বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিককে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়। আর তাঁদের মধ্যে ২৭ শতাংশ কর্মীর ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন করা হয়নি। ফেরত আসা শ্রমিকদের ৮ শতাংশকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই কাজ করতে হয়েছে। বাংলাদেশে ফেরত আসা ৭৪ শতাংশ শ্রমিকের কোনো সঞ্চয় নেই। তাঁদের আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ঋণ করে দিন পার করতে হচ্ছে। আর ৭ শতাংশের তিন বেলা খাওয়ার টাকা পর্যন্ত নেই।
বাংলাদেশে ফেরত আসা প্রবাসী শ্রমিকদের মাত্র ৬ শতাংশ স্থানীয় বাজারে কাজ পেয়েছেন। বাকিদের অর্থনীতিতে অন্তর্ভুক্তিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
৫৩ শতাংশ প্রবাসী শ্রমিক খালি হাতে এলে বাংলাদেশের রেমিট্যান্সে কেন বাড়ছে? গবেষণা নিয়ে মুক্ত আলোচনায় এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ওকাপের চেয়ারম্যান শাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘এটি একটি অলৌকিক বিষয়। এ নিয়ে এখনো কোনো গবেষণা হয়নি। তবে করোনাকালে হুন্ডি কম হয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ আসা, রেমিট্যান্সে প্রণোদনাসহ আরও কিছু বিষয় হয়তো রেমিট্যান্স বাড়তে সহযোগিতা করেছে।’
গবেষণায় জানানো হয়, করোনার সময়ে আসা ১০ শতাংশ অভিবাসী শ্রমিক আবার কর্মস্থলে যেতে প্রস্তুত। আর ৪৪ শতাংশ ফ্লাইটের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। ৪৪ শতাংশ অভিবাসী শ্রমিকের ভিসা প্রক্রিয়াধীন। আর ৮২ শতাংশ অভিবাসন প্রত্যাশী এজেন্ট বা সাব এজেন্টকে করোনার আগেই অর্থ দিয়ে রেখেছেন। এ টাকা ফেরত পেতে তাঁদের বেগ পেতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে ৬৯ শতাংশ অভিবাসন প্রত্যাশী উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে রেখেছেন।
প্রবাসী সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতি বিনষ্টের যেকোনো চেষ্টা রোধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
৬ ঘণ্টা আগেবিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান।
৮ ঘণ্টা আগেএকজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা নারী নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই কর্মকর্তার নারী নির্যাতন-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ প্রচার হয়েছে। তবে বিষয়টি প্রচারিত হওয়ার আগেই সেনাবাহিনী জানতে পেরে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম
৯ ঘণ্টা আগেআগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাপক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এক বছরেরও বেশি সময় আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এটিই হবে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে প্রথম নির্বাচন।
১৬ ঘণ্টা আগে