বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
জনপ্রশাসন সংস্কারের জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই একটি স্থায়ী কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এই কমিশন হবে পাঁচ কমিশনারের। কমিশনের কাজে সহায়তার জন্য একটি সচিব কমিটি গঠনের পক্ষেও মত দিয়েছে সংস্কার কমিশন।
আজ শনিবার প্রকাশিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন সংস্কারের কাজ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এর কিছু বিষয় স্বল্পমেয়াদি, কিছু মধ্যমেয়াদি এবং কিছু বিষয় দীর্ঘমেয়াদে বাস্তবায়ন করতে হয়। বিভিন্ন সরকারের নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যের কারণে কোনো কোনো সংস্কার কার্যক্রমে শ্লথগতি বা পরিবর্তন আসতে পারে। এ ছাড়া জনপ্রশাসনে নতুন নতুন উদ্ভাবন প্রচেষ্টাও অব্যাহত থাকা উচিত, নয়তো জনপ্রশাসন তার গতি হারাতে পারে। এ বিবেচনায় কমিশন মনে করে, একটি স্থায়ী জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠনের বিষয়টি বিবেচনা করা অত্যন্ত জরুরি।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে স্থায়ী সংস্কার কমিশন গঠনের কাজ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই সম্পন্ন করা সমীচীন। পাঁচজন কমিশনার নিয়ে স্থায়ী কমিশনে চেয়ারম্যানের পদমর্যাদা আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং কমিশনারের পদমর্যাদা হবে মুখ্য সচিবের। কমিশনের কাজে সহায়তার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি সচিব কমিটি গঠন করা যেতে পারে। প্রতিবেদনে একটি সিভিল সার্ভিস কোড ডিজাইন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক ও সামরিক সরকার কমবেশি স্বৈরতান্ত্রিক বা কর্তৃত্ববাদী আচরণ করেছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব সরকারের বিরুদ্ধেই কমবেশি দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। এ ক্ষেত্রে আমলারাও পিছিয়ে ছিলেন না। জনবিরোধী সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণের ক্ষেত্রে তাঁদেরও সম্পৃক্ততা ছিল। সরকারি কর্মচারীরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে জিম্মি ছিলেন।
কমিশন প্রতিবেদনে বলেছে, দুর্নীতির বিস্তার হওয়ায় জনপ্রশাসনকে নাগরিকদের স্বার্থে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। সরকারি কর্মকর্তারা কখনো কখনো এমন একচ্ছত্র ক্ষমতা পেয়ে যান, যার মধ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার কোনো ব্যবস্থা থাকে না। কর্মকর্তাদের কোন বিষয়ে কতটুকু ক্ষমতা দেওয়া হবে, তা সুনির্দিষ্ট করে যুক্তিসংগতভাবে দেওয়া উচিত। দীর্ঘ সময়ব্যাপী ঢালাওভাবে রাজনীতিকীকরণের কারণে দেশের জনপ্রশাসন তার গণমুখিতা, জবাবদিহিতা ও নিরপেক্ষতার চরিত্র হারিয়ে ফেলেছে।
আগের কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়িত না হওয়ার জন্য সুপারিশ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক নেতৃত্বের আন্তরিক না থাকা এবং স্বার্থগত দ্বন্দ্বের জন্য আমলারা সেগুলো বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেননি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
জনপ্রশাসন সংস্কারের জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই একটি স্থায়ী কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এই কমিশন হবে পাঁচ কমিশনারের। কমিশনের কাজে সহায়তার জন্য একটি সচিব কমিটি গঠনের পক্ষেও মত দিয়েছে সংস্কার কমিশন।
আজ শনিবার প্রকাশিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন সংস্কারের কাজ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এর কিছু বিষয় স্বল্পমেয়াদি, কিছু মধ্যমেয়াদি এবং কিছু বিষয় দীর্ঘমেয়াদে বাস্তবায়ন করতে হয়। বিভিন্ন সরকারের নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যের কারণে কোনো কোনো সংস্কার কার্যক্রমে শ্লথগতি বা পরিবর্তন আসতে পারে। এ ছাড়া জনপ্রশাসনে নতুন নতুন উদ্ভাবন প্রচেষ্টাও অব্যাহত থাকা উচিত, নয়তো জনপ্রশাসন তার গতি হারাতে পারে। এ বিবেচনায় কমিশন মনে করে, একটি স্থায়ী জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠনের বিষয়টি বিবেচনা করা অত্যন্ত জরুরি।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে স্থায়ী সংস্কার কমিশন গঠনের কাজ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই সম্পন্ন করা সমীচীন। পাঁচজন কমিশনার নিয়ে স্থায়ী কমিশনে চেয়ারম্যানের পদমর্যাদা আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং কমিশনারের পদমর্যাদা হবে মুখ্য সচিবের। কমিশনের কাজে সহায়তার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি সচিব কমিটি গঠন করা যেতে পারে। প্রতিবেদনে একটি সিভিল সার্ভিস কোড ডিজাইন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক ও সামরিক সরকার কমবেশি স্বৈরতান্ত্রিক বা কর্তৃত্ববাদী আচরণ করেছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব সরকারের বিরুদ্ধেই কমবেশি দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। এ ক্ষেত্রে আমলারাও পিছিয়ে ছিলেন না। জনবিরোধী সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণের ক্ষেত্রে তাঁদেরও সম্পৃক্ততা ছিল। সরকারি কর্মচারীরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে জিম্মি ছিলেন।
কমিশন প্রতিবেদনে বলেছে, দুর্নীতির বিস্তার হওয়ায় জনপ্রশাসনকে নাগরিকদের স্বার্থে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। সরকারি কর্মকর্তারা কখনো কখনো এমন একচ্ছত্র ক্ষমতা পেয়ে যান, যার মধ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার কোনো ব্যবস্থা থাকে না। কর্মকর্তাদের কোন বিষয়ে কতটুকু ক্ষমতা দেওয়া হবে, তা সুনির্দিষ্ট করে যুক্তিসংগতভাবে দেওয়া উচিত। দীর্ঘ সময়ব্যাপী ঢালাওভাবে রাজনীতিকীকরণের কারণে দেশের জনপ্রশাসন তার গণমুখিতা, জবাবদিহিতা ও নিরপেক্ষতার চরিত্র হারিয়ে ফেলেছে।
আগের কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়িত না হওয়ার জন্য সুপারিশ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক নেতৃত্বের আন্তরিক না থাকা এবং স্বার্থগত দ্বন্দ্বের জন্য আমলারা সেগুলো বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেননি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই পুলিশকে স্বাধীন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য পদক্ষেপ নিতে প্রস্তাব দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এ জন্য তাঁরা দ্রুত স্বাধীন কমিশন গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জোর দাবি জানান। পুলিশ সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ‘স্বাধীন কমিশন’ গঠনের...
১ মিনিট আগেতিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতিতে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।
২৮ মিনিট আগেপ্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন এবং গবেষণার মাধ্যমে শ্রম অধিকার, শ্রম নীতিমালা, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক, শ্রম অসন্তোষ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের...
২ ঘণ্টা আগেবিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডন থেকে ঢাকায় আনার জন্য কাতার সরকারের কাছে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছে সরকার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত করা হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে