নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পড়াশোনা নিয়ে বেশ মানসিক চাপে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রায় ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। করোনার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পড়াশোনায় যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে।
আজ শনিবার আঁচল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর অ্যাকাডেমিক চাপের প্রভাব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
জরিপের তথ্যে দেখা যায়, ৭৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী করোনা পরবর্তী অ্যাকাডেমিক চাপের কারণে বিভিন্ন ধরনের মানসিক এবং গঠনমূলক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। সামগ্রিকভাবে যা মোট শিক্ষার্থীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। ৪৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী করোনার আগের তুলনায় পড়াশোনার প্রতি মনযোগ কমে গেছে। ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী ঘন ঘন পরীক্ষার সম্মুখীন হচ্ছেন। পরীক্ষার সময়ের চেয়ে সিলেবাসের আধিক্য সমস্যায় পড়েছেন ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। ২০ দশমিক ৭৩ শতাংশ শিক্ষার্থী স্বল্প সময়ে বড় কোর্স শেষ করার ফলে পড়া বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছেন এবং ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ পড়াশোনার চাপে পরিবারকে সময় দিতে পারছেন না।
করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ভয় ও উদ্বেগ বেড়েছে বলেও জরিপে উঠে আসে। বলা হয়, ৫৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অতিরিক্ত ভয় ও উদ্বেগ তাদের জীবনকে প্রভাবিত করেছে। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ডিভাইস আসক্তির কারণে মানসিক সমস্যা বাড়ছে ৭০ দশমিক ৭৩ শিক্ষার্থীর। আর হঠাৎ চুপচাপ হয়ে যাওয়া, নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার প্রবণতার ফলে শিক্ষাজীবন প্রভাবিত করছে ৪৭ দশমিক ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থীর।
জরিপে অভিভাবকদের অযাচিত চাপের কথা জানিয়েছেন ৫৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ শিক্ষার্থী, অ্যাকাডেমিক চাপের কথা জানিয়েছেন ৭৭ দশমিক ১ শতাংশ শিক্ষার্থী। ৭৬ দশমিক ৬ শতাংশ জানিয়েছেন চাকরি ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তা এবং অনিশ্চয়তার কথা।
এ ছাড়া জরিপে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ৬৩ দশমিক ৪১ শতাংশ শিক্ষার্থী বিভিন্ন মেয়াদে সেশনজটের শিকার হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
জরিপে আরও বলা হয়, শতকরা ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তারা আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। আত্মহত্যার উপকরণ জোগাড় করেও শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছেন ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। করোনা পরবর্তী সময়ে আত্মহত্যার করার কথা মাথায় এসেছে ৩৪ দশমিক ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর।
জরিপে ৩৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৭ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট ১৬৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পুরুষ শিক্ষার্থী ছিলেন ৪৩.৯ শতাংশ ও নারী শিক্ষার্থী ৫৬.১ শতাংশ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ধরন বিবেচনায় জরিপে মোট অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ৬৭.৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের, ২৩. ৪১ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের, অন্যান্য ২.২৬ শতাংশ শিক্ষার্থী।
পড়াশোনা নিয়ে বেশ মানসিক চাপে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রায় ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। করোনার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পড়াশোনায় যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে।
আজ শনিবার আঁচল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর অ্যাকাডেমিক চাপের প্রভাব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
জরিপের তথ্যে দেখা যায়, ৭৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী করোনা পরবর্তী অ্যাকাডেমিক চাপের কারণে বিভিন্ন ধরনের মানসিক এবং গঠনমূলক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। সামগ্রিকভাবে যা মোট শিক্ষার্থীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। ৪৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী করোনার আগের তুলনায় পড়াশোনার প্রতি মনযোগ কমে গেছে। ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী ঘন ঘন পরীক্ষার সম্মুখীন হচ্ছেন। পরীক্ষার সময়ের চেয়ে সিলেবাসের আধিক্য সমস্যায় পড়েছেন ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। ২০ দশমিক ৭৩ শতাংশ শিক্ষার্থী স্বল্প সময়ে বড় কোর্স শেষ করার ফলে পড়া বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছেন এবং ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ পড়াশোনার চাপে পরিবারকে সময় দিতে পারছেন না।
করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ভয় ও উদ্বেগ বেড়েছে বলেও জরিপে উঠে আসে। বলা হয়, ৫৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অতিরিক্ত ভয় ও উদ্বেগ তাদের জীবনকে প্রভাবিত করেছে। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ডিভাইস আসক্তির কারণে মানসিক সমস্যা বাড়ছে ৭০ দশমিক ৭৩ শিক্ষার্থীর। আর হঠাৎ চুপচাপ হয়ে যাওয়া, নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার প্রবণতার ফলে শিক্ষাজীবন প্রভাবিত করছে ৪৭ দশমিক ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থীর।
জরিপে অভিভাবকদের অযাচিত চাপের কথা জানিয়েছেন ৫৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ শিক্ষার্থী, অ্যাকাডেমিক চাপের কথা জানিয়েছেন ৭৭ দশমিক ১ শতাংশ শিক্ষার্থী। ৭৬ দশমিক ৬ শতাংশ জানিয়েছেন চাকরি ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তা এবং অনিশ্চয়তার কথা।
এ ছাড়া জরিপে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ৬৩ দশমিক ৪১ শতাংশ শিক্ষার্থী বিভিন্ন মেয়াদে সেশনজটের শিকার হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
জরিপে আরও বলা হয়, শতকরা ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তারা আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। আত্মহত্যার উপকরণ জোগাড় করেও শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছেন ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। করোনা পরবর্তী সময়ে আত্মহত্যার করার কথা মাথায় এসেছে ৩৪ দশমিক ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর।
জরিপে ৩৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৭ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট ১৬৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পুরুষ শিক্ষার্থী ছিলেন ৪৩.৯ শতাংশ ও নারী শিক্ষার্থী ৫৬.১ শতাংশ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ধরন বিবেচনায় জরিপে মোট অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ৬৭.৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের, ২৩. ৪১ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের, অন্যান্য ২.২৬ শতাংশ শিক্ষার্থী।
কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর অভিযানে যুবদল নেতাকে আটকের পর মৃত্যুর ঘটনায় জরুরি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যেকোনো ধরনের হেফাজতে নির্যাতন ও হত্যার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন।
৯ মিনিট আগেসেন্টমার্টিনে যে কোনো প্রকার পর্যটক যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা আজ শনিবার থেকে কার্যকর হয়েছে। দেশের একমাত্র প্রবাল সমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিনে আগামী ৯ মাস কোনো পর্যটক যেতে পারবেন না। পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলও বন্ধ থাকবে...
২০ মিনিট আগেকুমিল্লায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতা মো. তৌহিদুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনা সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পের কমান্ডারকে প্রত্যাহার করেছে সেনাবাহিনী। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪০ মিনিট আগেকৃষি খাতে রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি বিতরণে স্বচ্ছতার জন্য কৃষকদের স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) ইতিমধ্যে পার্টনার প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষক স্মার্ট কার্ড নীতিমালা, ২০২৫’-এর খসড়া তৈরি করেছে। গত ৩০ জানুয়ারি ছিল এ বিষয়ে অংশীজনদের মতামত জানানোর শেষ দিন।
৫ ঘণ্টা আগে