নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ক্রেতা থেকে নির্মাতায় পরিণত হতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড এরই মধ্যে প্যাট্রল ক্রাফট ও লার্জ প্যাট্রল ক্রাফট নির্মাণের সক্ষমতা অর্জন করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেডে আধুনিক যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ‘ক্রেতা নৌবাহিনী’ থেকে ‘নির্মাতা নৌবাহিনী’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
আজ সোমবার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ‘মিডশিপম্যান ২০১৯ আলফা’ এবং ‘ডিইও ২০২১ ব্রাভো’ ব্যাচের শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। চট্টগ্রামের বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হোন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, গত নভেম্বর ২০২১ জার্মানি থেকে নতুন একটি এমপিএ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এভিয়েশন উইংয়ে যুক্ত হয়েছে এবং অপরটি ২০২২ সালের মে মাসে যুক্ত হবে। হেলিকপ্টার এবং এমপিএ পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আধুনিক সব সুবিধাসংবলিত দ্বিতীয় হ্যাঙ্গারের নির্মাণকাজও চলমান রয়েছে।
নৌবাহিনীর সক্ষমতা আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভবিষ্যতে আরও অধিক উন্নত জাহাজ এবং আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাবমেরিন ও যুদ্ধজাহাজসমূহকে পোতাশ্রয়ে নিরাপদ জেটি সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে কক্সবাজারের পেকুয়াতে আধুনিক বেসিন সুবিধাসংবলিত স্থায়ী সাবমেরিন ঘাঁটি ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে উপকূলবর্তী এলাকায় নৌবাহিনীর জাহাজসমূহের অপারেশনাল ও যোগাযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ‘শের-ই-বাংলা ঘাঁটি’র নির্মাণ কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেশের জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সমুদ্রসম্পদের গুরুত্ব অনুধাবন করে ঐতিহাসিক ৬ দফায় নৌবাহিনী সদর দপ্তর চট্টগ্রামে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছিলেন।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট প্রণয়ন করেন, যা ছিল বাংলাদেশের সমুদ্রনীতির ভিত্তি। এরই ধারাবাহিকতায় এরই মধ্যে প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে আমাদের সমুদ্রসীমা সুনির্দিষ্টকরণ সম্ভব হয়েছে এবং ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার বিশাল সমুদ্র এলাকায় আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
১৯৯৬ সালে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর নৌবাহিনীর জন্য আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজনের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে চাই যে,২০১৭ সালে নৌবহরে ‘বানৌজা নবযাত্রা’ এবং ‘বানৌজা জয়যাত্রা’ নামক দুটি সাবমেরিন সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি সত্যিকারের পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি। এর ফলে প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ আমাদের বিশাল সমুদ্রের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি মানব পাচার ও চোরাচালান রোধ, জেলেদের নিরাপত্তা বিধান, বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিতকরণে নৌবাহিনীকে আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আমি মনে করি।’
সরকারপ্রধান বলেন, নতুন নতুন জাহাজ এবং সমরাস্ত্র সংযোজনের পাশাপাশি এসব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো বৃদ্ধি এবং সময়োপযোগী করার ক্ষেত্রেও আমাদের সরকার কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি নৌ প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ ঢাকার পদনাম পরিবর্তন করে ‘কমান্ডার ঢাকা নৌ অঞ্চল’ করা হয়েছে এবং একই সঙ্গে পদবি কমোডর থেকে রিয়ার এডমিরালে উন্নীত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নে আমাদের সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্য থেকে উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সামরিক বাহিনীর জন্য যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে যুগোপযোগী একাডেমি প্রতিষ্ঠা ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত ‘বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স’ উদ্বোধন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও অত্যন্ত সুশৃঙ্খল, দক্ষ এবং পেশাদার বাহিনী হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনসহ সকল ক্ষেত্রে তাদের আত্মত্যাগ ও কর্তব্যনিষ্ঠা বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছে বিরল সম্মান ও মর্যাদা, যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও অত্যন্ত উজ্জ্বল করেছে।
তরুণ নৌ কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে চলমান প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তোমরা তোমাদের অদম্য আগ্রহ, দৃঢ় মনোবল ও সাহসী মানসিকতার পরিচয় দিয়েছ। আমি আশা করি, চাকরি বা ব্যক্তিগত জীবনের যেকোনো সংকটে তোমরা এ ধরনের সুবিবেচনা ও নেতৃত্বসুলভ গুণাবলির পরিচয় দেবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কর্মজীবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান হয়ে দেশ মাতৃকার সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষার্থে তোমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। তোমাদের মনে রাখতে হবে, যে কঠোর প্রশিক্ষণ তোমরা শেষ করলে, তা তোমাদের উৎকর্ষ অর্জনের সূচনা মাত্র। সততা, সঠিক নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের মন্ত্রে বলীয়ান হয়ে সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের প্রয়োজনে তোমাদের সদাপ্রস্তুত থাকতে হবে। আমি আশা করব, তোমাদের দেশপ্রেম, শৃঙ্খলাবোধ ও কর্তব্যনিষ্ঠা তোমাদের অধীনস্ত্রদেরও একইভাবে দেশের প্রয়োজনে আত্মনিবেদনে অনুপ্রাণিত করবে।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ক্রেতা থেকে নির্মাতায় পরিণত হতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড এরই মধ্যে প্যাট্রল ক্রাফট ও লার্জ প্যাট্রল ক্রাফট নির্মাণের সক্ষমতা অর্জন করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেডে আধুনিক যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ‘ক্রেতা নৌবাহিনী’ থেকে ‘নির্মাতা নৌবাহিনী’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
আজ সোমবার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ‘মিডশিপম্যান ২০১৯ আলফা’ এবং ‘ডিইও ২০২১ ব্রাভো’ ব্যাচের শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। চট্টগ্রামের বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হোন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, গত নভেম্বর ২০২১ জার্মানি থেকে নতুন একটি এমপিএ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এভিয়েশন উইংয়ে যুক্ত হয়েছে এবং অপরটি ২০২২ সালের মে মাসে যুক্ত হবে। হেলিকপ্টার এবং এমপিএ পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আধুনিক সব সুবিধাসংবলিত দ্বিতীয় হ্যাঙ্গারের নির্মাণকাজও চলমান রয়েছে।
নৌবাহিনীর সক্ষমতা আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভবিষ্যতে আরও অধিক উন্নত জাহাজ এবং আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাবমেরিন ও যুদ্ধজাহাজসমূহকে পোতাশ্রয়ে নিরাপদ জেটি সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে কক্সবাজারের পেকুয়াতে আধুনিক বেসিন সুবিধাসংবলিত স্থায়ী সাবমেরিন ঘাঁটি ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে উপকূলবর্তী এলাকায় নৌবাহিনীর জাহাজসমূহের অপারেশনাল ও যোগাযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ‘শের-ই-বাংলা ঘাঁটি’র নির্মাণ কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেশের জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সমুদ্রসম্পদের গুরুত্ব অনুধাবন করে ঐতিহাসিক ৬ দফায় নৌবাহিনী সদর দপ্তর চট্টগ্রামে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছিলেন।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট প্রণয়ন করেন, যা ছিল বাংলাদেশের সমুদ্রনীতির ভিত্তি। এরই ধারাবাহিকতায় এরই মধ্যে প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে আমাদের সমুদ্রসীমা সুনির্দিষ্টকরণ সম্ভব হয়েছে এবং ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার বিশাল সমুদ্র এলাকায় আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
১৯৯৬ সালে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর নৌবাহিনীর জন্য আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজনের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে চাই যে,২০১৭ সালে নৌবহরে ‘বানৌজা নবযাত্রা’ এবং ‘বানৌজা জয়যাত্রা’ নামক দুটি সাবমেরিন সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি সত্যিকারের পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি। এর ফলে প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ আমাদের বিশাল সমুদ্রের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি মানব পাচার ও চোরাচালান রোধ, জেলেদের নিরাপত্তা বিধান, বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিতকরণে নৌবাহিনীকে আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আমি মনে করি।’
সরকারপ্রধান বলেন, নতুন নতুন জাহাজ এবং সমরাস্ত্র সংযোজনের পাশাপাশি এসব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো বৃদ্ধি এবং সময়োপযোগী করার ক্ষেত্রেও আমাদের সরকার কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি নৌ প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ ঢাকার পদনাম পরিবর্তন করে ‘কমান্ডার ঢাকা নৌ অঞ্চল’ করা হয়েছে এবং একই সঙ্গে পদবি কমোডর থেকে রিয়ার এডমিরালে উন্নীত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নে আমাদের সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্য থেকে উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সামরিক বাহিনীর জন্য যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে যুগোপযোগী একাডেমি প্রতিষ্ঠা ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত ‘বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স’ উদ্বোধন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও অত্যন্ত সুশৃঙ্খল, দক্ষ এবং পেশাদার বাহিনী হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনসহ সকল ক্ষেত্রে তাদের আত্মত্যাগ ও কর্তব্যনিষ্ঠা বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছে বিরল সম্মান ও মর্যাদা, যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও অত্যন্ত উজ্জ্বল করেছে।
তরুণ নৌ কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে চলমান প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তোমরা তোমাদের অদম্য আগ্রহ, দৃঢ় মনোবল ও সাহসী মানসিকতার পরিচয় দিয়েছ। আমি আশা করি, চাকরি বা ব্যক্তিগত জীবনের যেকোনো সংকটে তোমরা এ ধরনের সুবিবেচনা ও নেতৃত্বসুলভ গুণাবলির পরিচয় দেবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কর্মজীবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান হয়ে দেশ মাতৃকার সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষার্থে তোমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। তোমাদের মনে রাখতে হবে, যে কঠোর প্রশিক্ষণ তোমরা শেষ করলে, তা তোমাদের উৎকর্ষ অর্জনের সূচনা মাত্র। সততা, সঠিক নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের মন্ত্রে বলীয়ান হয়ে সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের প্রয়োজনে তোমাদের সদাপ্রস্তুত থাকতে হবে। আমি আশা করব, তোমাদের দেশপ্রেম, শৃঙ্খলাবোধ ও কর্তব্যনিষ্ঠা তোমাদের অধীনস্ত্রদেরও একইভাবে দেশের প্রয়োজনে আত্মনিবেদনে অনুপ্রাণিত করবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ক্রেতা থেকে নির্মাতায় পরিণত হতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড এরই মধ্যে প্যাট্রল ক্রাফট ও লার্জ প্যাট্রল ক্রাফট নির্মাণের সক্ষমতা অর্জন করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেডে আধুনিক যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ‘ক্রেতা নৌবাহিনী’ থেকে ‘নির্মাতা নৌবাহিনী’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
আজ সোমবার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ‘মিডশিপম্যান ২০১৯ আলফা’ এবং ‘ডিইও ২০২১ ব্রাভো’ ব্যাচের শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। চট্টগ্রামের বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হোন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, গত নভেম্বর ২০২১ জার্মানি থেকে নতুন একটি এমপিএ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এভিয়েশন উইংয়ে যুক্ত হয়েছে এবং অপরটি ২০২২ সালের মে মাসে যুক্ত হবে। হেলিকপ্টার এবং এমপিএ পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আধুনিক সব সুবিধাসংবলিত দ্বিতীয় হ্যাঙ্গারের নির্মাণকাজও চলমান রয়েছে।
নৌবাহিনীর সক্ষমতা আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভবিষ্যতে আরও অধিক উন্নত জাহাজ এবং আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাবমেরিন ও যুদ্ধজাহাজসমূহকে পোতাশ্রয়ে নিরাপদ জেটি সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে কক্সবাজারের পেকুয়াতে আধুনিক বেসিন সুবিধাসংবলিত স্থায়ী সাবমেরিন ঘাঁটি ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে উপকূলবর্তী এলাকায় নৌবাহিনীর জাহাজসমূহের অপারেশনাল ও যোগাযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ‘শের-ই-বাংলা ঘাঁটি’র নির্মাণ কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেশের জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সমুদ্রসম্পদের গুরুত্ব অনুধাবন করে ঐতিহাসিক ৬ দফায় নৌবাহিনী সদর দপ্তর চট্টগ্রামে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছিলেন।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট প্রণয়ন করেন, যা ছিল বাংলাদেশের সমুদ্রনীতির ভিত্তি। এরই ধারাবাহিকতায় এরই মধ্যে প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে আমাদের সমুদ্রসীমা সুনির্দিষ্টকরণ সম্ভব হয়েছে এবং ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার বিশাল সমুদ্র এলাকায় আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
১৯৯৬ সালে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর নৌবাহিনীর জন্য আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজনের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে চাই যে,২০১৭ সালে নৌবহরে ‘বানৌজা নবযাত্রা’ এবং ‘বানৌজা জয়যাত্রা’ নামক দুটি সাবমেরিন সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি সত্যিকারের পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি। এর ফলে প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ আমাদের বিশাল সমুদ্রের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি মানব পাচার ও চোরাচালান রোধ, জেলেদের নিরাপত্তা বিধান, বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিতকরণে নৌবাহিনীকে আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আমি মনে করি।’
সরকারপ্রধান বলেন, নতুন নতুন জাহাজ এবং সমরাস্ত্র সংযোজনের পাশাপাশি এসব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো বৃদ্ধি এবং সময়োপযোগী করার ক্ষেত্রেও আমাদের সরকার কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি নৌ প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ ঢাকার পদনাম পরিবর্তন করে ‘কমান্ডার ঢাকা নৌ অঞ্চল’ করা হয়েছে এবং একই সঙ্গে পদবি কমোডর থেকে রিয়ার এডমিরালে উন্নীত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নে আমাদের সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্য থেকে উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সামরিক বাহিনীর জন্য যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে যুগোপযোগী একাডেমি প্রতিষ্ঠা ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত ‘বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স’ উদ্বোধন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও অত্যন্ত সুশৃঙ্খল, দক্ষ এবং পেশাদার বাহিনী হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনসহ সকল ক্ষেত্রে তাদের আত্মত্যাগ ও কর্তব্যনিষ্ঠা বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছে বিরল সম্মান ও মর্যাদা, যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও অত্যন্ত উজ্জ্বল করেছে।
তরুণ নৌ কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে চলমান প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তোমরা তোমাদের অদম্য আগ্রহ, দৃঢ় মনোবল ও সাহসী মানসিকতার পরিচয় দিয়েছ। আমি আশা করি, চাকরি বা ব্যক্তিগত জীবনের যেকোনো সংকটে তোমরা এ ধরনের সুবিবেচনা ও নেতৃত্বসুলভ গুণাবলির পরিচয় দেবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কর্মজীবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান হয়ে দেশ মাতৃকার সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষার্থে তোমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। তোমাদের মনে রাখতে হবে, যে কঠোর প্রশিক্ষণ তোমরা শেষ করলে, তা তোমাদের উৎকর্ষ অর্জনের সূচনা মাত্র। সততা, সঠিক নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের মন্ত্রে বলীয়ান হয়ে সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের প্রয়োজনে তোমাদের সদাপ্রস্তুত থাকতে হবে। আমি আশা করব, তোমাদের দেশপ্রেম, শৃঙ্খলাবোধ ও কর্তব্যনিষ্ঠা তোমাদের অধীনস্ত্রদেরও একইভাবে দেশের প্রয়োজনে আত্মনিবেদনে অনুপ্রাণিত করবে।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ক্রেতা থেকে নির্মাতায় পরিণত হতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড এরই মধ্যে প্যাট্রল ক্রাফট ও লার্জ প্যাট্রল ক্রাফট নির্মাণের সক্ষমতা অর্জন করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেডে আধুনিক যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ‘ক্রেতা নৌবাহিনী’ থেকে ‘নির্মাতা নৌবাহিনী’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
আজ সোমবার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ‘মিডশিপম্যান ২০১৯ আলফা’ এবং ‘ডিইও ২০২১ ব্রাভো’ ব্যাচের শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। চট্টগ্রামের বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হোন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, গত নভেম্বর ২০২১ জার্মানি থেকে নতুন একটি এমপিএ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এভিয়েশন উইংয়ে যুক্ত হয়েছে এবং অপরটি ২০২২ সালের মে মাসে যুক্ত হবে। হেলিকপ্টার এবং এমপিএ পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আধুনিক সব সুবিধাসংবলিত দ্বিতীয় হ্যাঙ্গারের নির্মাণকাজও চলমান রয়েছে।
নৌবাহিনীর সক্ষমতা আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভবিষ্যতে আরও অধিক উন্নত জাহাজ এবং আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাবমেরিন ও যুদ্ধজাহাজসমূহকে পোতাশ্রয়ে নিরাপদ জেটি সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে কক্সবাজারের পেকুয়াতে আধুনিক বেসিন সুবিধাসংবলিত স্থায়ী সাবমেরিন ঘাঁটি ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে উপকূলবর্তী এলাকায় নৌবাহিনীর জাহাজসমূহের অপারেশনাল ও যোগাযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ‘শের-ই-বাংলা ঘাঁটি’র নির্মাণ কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেশের জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সমুদ্রসম্পদের গুরুত্ব অনুধাবন করে ঐতিহাসিক ৬ দফায় নৌবাহিনী সদর দপ্তর চট্টগ্রামে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছিলেন।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট প্রণয়ন করেন, যা ছিল বাংলাদেশের সমুদ্রনীতির ভিত্তি। এরই ধারাবাহিকতায় এরই মধ্যে প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে আমাদের সমুদ্রসীমা সুনির্দিষ্টকরণ সম্ভব হয়েছে এবং ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার বিশাল সমুদ্র এলাকায় আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
১৯৯৬ সালে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর নৌবাহিনীর জন্য আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজনের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে চাই যে,২০১৭ সালে নৌবহরে ‘বানৌজা নবযাত্রা’ এবং ‘বানৌজা জয়যাত্রা’ নামক দুটি সাবমেরিন সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি সত্যিকারের পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি। এর ফলে প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ আমাদের বিশাল সমুদ্রের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি মানব পাচার ও চোরাচালান রোধ, জেলেদের নিরাপত্তা বিধান, বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিতকরণে নৌবাহিনীকে আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আমি মনে করি।’
সরকারপ্রধান বলেন, নতুন নতুন জাহাজ এবং সমরাস্ত্র সংযোজনের পাশাপাশি এসব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো বৃদ্ধি এবং সময়োপযোগী করার ক্ষেত্রেও আমাদের সরকার কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি নৌ প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ ঢাকার পদনাম পরিবর্তন করে ‘কমান্ডার ঢাকা নৌ অঞ্চল’ করা হয়েছে এবং একই সঙ্গে পদবি কমোডর থেকে রিয়ার এডমিরালে উন্নীত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নে আমাদের সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্য থেকে উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সামরিক বাহিনীর জন্য যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে যুগোপযোগী একাডেমি প্রতিষ্ঠা ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত ‘বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স’ উদ্বোধন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও অত্যন্ত সুশৃঙ্খল, দক্ষ এবং পেশাদার বাহিনী হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনসহ সকল ক্ষেত্রে তাদের আত্মত্যাগ ও কর্তব্যনিষ্ঠা বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছে বিরল সম্মান ও মর্যাদা, যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও অত্যন্ত উজ্জ্বল করেছে।
তরুণ নৌ কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে চলমান প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তোমরা তোমাদের অদম্য আগ্রহ, দৃঢ় মনোবল ও সাহসী মানসিকতার পরিচয় দিয়েছ। আমি আশা করি, চাকরি বা ব্যক্তিগত জীবনের যেকোনো সংকটে তোমরা এ ধরনের সুবিবেচনা ও নেতৃত্বসুলভ গুণাবলির পরিচয় দেবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কর্মজীবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান হয়ে দেশ মাতৃকার সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষার্থে তোমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। তোমাদের মনে রাখতে হবে, যে কঠোর প্রশিক্ষণ তোমরা শেষ করলে, তা তোমাদের উৎকর্ষ অর্জনের সূচনা মাত্র। সততা, সঠিক নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের মন্ত্রে বলীয়ান হয়ে সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের প্রয়োজনে তোমাদের সদাপ্রস্তুত থাকতে হবে। আমি আশা করব, তোমাদের দেশপ্রেম, শৃঙ্খলাবোধ ও কর্তব্যনিষ্ঠা তোমাদের অধীনস্ত্রদেরও একইভাবে দেশের প্রয়োজনে আত্মনিবেদনে অনুপ্রাণিত করবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের যোগাযোগব্যবস্থা খুবই হযবরল অবস্থায় রয়েছে। এটাকে দ্রুত শৃঙ্খলার মধ্যে আনা না গেলে পুরো ব্যবস্থাটা অর্থনীতির জন্য গলার ফাঁসে পরিণত হবে। আমাদের এই কাজটা করতে হবে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে। নদীর ওপর কোনো আঘাত করা যাবে না। পানিকে শান্ত রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, পানি আমাদের
৩৫ মিনিট আগে
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৭ সালে সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রবর্তক শাখায় একটি জরুরি তহবিল হিসাব খোলা হয়। ওই হিসাব থেকে কোষাধ্যক্ষ ড. সারোয়ার জাহানের স্বাক্ষরে মোট ৬ কোটি ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩০ টাকা তোলা হয়। কিন্তু তিনি সেই উত্তোলিত টাকার ব্যয়ের কোনো বৈধ কাগজপত্র...
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর দল ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। নির্বাচনে তিনি ঢাকার একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর পল্লবী থেকে মিরপুর ১১ নম্বর অংশের মধ্যবর্তী স্থানে মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর তার পড়ে থাকার কারণে রেল চলাচল বন্ধ ছিল। আজ রোববার দুপুরে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্ত রেখে সড়ক, রেল, বিমান ও নৌপথের সম্মিলিত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘সেন্ট্রাল ইন্টিগ্রেটেড মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট সেক্টর মাস্টার প্ল্যান অব বাংলাদেশ’-সংক্রান্ত প্রান্তিক মূল্যায়ন ও কৌশলগত পরিকল্পনাবিষয়ক আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের যোগাযোগব্যবস্থা খুবই হযবরল অবস্থায় রয়েছে। এটাকে দ্রুত শৃঙ্খলার মধ্যে আনা না গেলে পুরো ব্যবস্থাটা অর্থনীতির জন্য গলার ফাঁসে পরিণত হবে। আমাদের এই কাজটা করতে হবে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে। নদীর ওপর কোনো আঘাত করা যাবে না। পানিকে শান্ত রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, পানি আমাদের জন্য বিরাট সম্পদ।’
বৈঠকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ একটি প্রাথমিক কৌশলগত পরিকল্পনা উপস্থাপন করে, যা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা পারস্পরিক সমন্বয়ের ভিত্তিতে তৈরি করেন।
পরিকল্পনায় দেখানো হয়, পুরো দেশের সব ধরনের যোগাযোগব্যবস্থা সমন্বয় এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অল্পবিস্তর সংস্কার ও সংযোজনের মাধ্যমে কীভাবে পুরো যোগাযোগব্যবস্থাকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা যায়।
এতে বলা হয়, দেশে বর্তমানে থাকা রেলপথ, নৌপথ এবং সড়কপথের যথাযথ ব্যবহার ও কিছু ক্ষেত্রে কিছুটা বাড়ানো গেলে এ ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি করা সম্ভব।
যোগাযোগ খাতের সবগুলো ব্যবস্থাকে সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা প্রণয়ন করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই পরিকল্পনার ফলে প্রাথমিকভাবে একটি শক্তিশালী ধারণা পাওয়া গেল। এখন এটিকে বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘পুরো পরিকল্পনাটা করতে হবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি মাথায় রেখে। অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক যোগাযোগব্যবস্থার ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা যখন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে নদীর কথা চিন্তা করব, তখন অবশ্যই আমাদের মাথায় রাখতে হবে নদীগুলো আমাদের প্রাণ।’
প্রাথমিক পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন বলেন, যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি সামষ্টিক মডেল দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনভাবে কাজ করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে যেন অর্থনৈতিক লাইফলাইনটা গড়ে ওঠে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, যেসব ক্ষেত্রে ছোট ছোট কিছু সড়ক নির্মাণ করে দিলেই পুরো অঞ্চলটাকে জাতীয় কানেকটিভিটির মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব, সেসব ক্ষেত্রে দ্রুত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের কাজগুলোকে আরও পরিকল্পিতভাবে করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগে একটি প্ল্যানার্স উইং গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রামে আরও তিনটি নতুন বন্দর চালু হবে। এটাকে বিবেচনায় রেখে অবশ্যই এসব বন্দর থেকে সড়ক যোগাযোগ যেন সহজ ও কার্যকর হয়, সে বিষয়ে দ্রুততার সঙ্গে উদ্যোগ নিতে হবে।

প্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্ত রেখে সড়ক, রেল, বিমান ও নৌপথের সম্মিলিত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘সেন্ট্রাল ইন্টিগ্রেটেড মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট সেক্টর মাস্টার প্ল্যান অব বাংলাদেশ’-সংক্রান্ত প্রান্তিক মূল্যায়ন ও কৌশলগত পরিকল্পনাবিষয়ক আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের যোগাযোগব্যবস্থা খুবই হযবরল অবস্থায় রয়েছে। এটাকে দ্রুত শৃঙ্খলার মধ্যে আনা না গেলে পুরো ব্যবস্থাটা অর্থনীতির জন্য গলার ফাঁসে পরিণত হবে। আমাদের এই কাজটা করতে হবে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে। নদীর ওপর কোনো আঘাত করা যাবে না। পানিকে শান্ত রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, পানি আমাদের জন্য বিরাট সম্পদ।’
বৈঠকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ একটি প্রাথমিক কৌশলগত পরিকল্পনা উপস্থাপন করে, যা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা পারস্পরিক সমন্বয়ের ভিত্তিতে তৈরি করেন।
পরিকল্পনায় দেখানো হয়, পুরো দেশের সব ধরনের যোগাযোগব্যবস্থা সমন্বয় এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অল্পবিস্তর সংস্কার ও সংযোজনের মাধ্যমে কীভাবে পুরো যোগাযোগব্যবস্থাকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা যায়।
এতে বলা হয়, দেশে বর্তমানে থাকা রেলপথ, নৌপথ এবং সড়কপথের যথাযথ ব্যবহার ও কিছু ক্ষেত্রে কিছুটা বাড়ানো গেলে এ ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি করা সম্ভব।
যোগাযোগ খাতের সবগুলো ব্যবস্থাকে সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা প্রণয়ন করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই পরিকল্পনার ফলে প্রাথমিকভাবে একটি শক্তিশালী ধারণা পাওয়া গেল। এখন এটিকে বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘পুরো পরিকল্পনাটা করতে হবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি মাথায় রেখে। অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক যোগাযোগব্যবস্থার ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা যখন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে নদীর কথা চিন্তা করব, তখন অবশ্যই আমাদের মাথায় রাখতে হবে নদীগুলো আমাদের প্রাণ।’
প্রাথমিক পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন বলেন, যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি সামষ্টিক মডেল দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনভাবে কাজ করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে যেন অর্থনৈতিক লাইফলাইনটা গড়ে ওঠে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, যেসব ক্ষেত্রে ছোট ছোট কিছু সড়ক নির্মাণ করে দিলেই পুরো অঞ্চলটাকে জাতীয় কানেকটিভিটির মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব, সেসব ক্ষেত্রে দ্রুত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের কাজগুলোকে আরও পরিকল্পিতভাবে করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগে একটি প্ল্যানার্স উইং গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রামে আরও তিনটি নতুন বন্দর চালু হবে। এটাকে বিবেচনায় রেখে অবশ্যই এসব বন্দর থেকে সড়ক যোগাযোগ যেন সহজ ও কার্যকর হয়, সে বিষয়ে দ্রুততার সঙ্গে উদ্যোগ নিতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেশের জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সমুদ্রসম্পদের গুরুত্ব অনুধাবন করে ঐতিহাসিক ৬ দফায় নৌবাহিনী সদর দপ্তর চট্টগ্রামে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছিলেন
২০ ডিসেম্বর ২০২১
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৭ সালে সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রবর্তক শাখায় একটি জরুরি তহবিল হিসাব খোলা হয়। ওই হিসাব থেকে কোষাধ্যক্ষ ড. সারোয়ার জাহানের স্বাক্ষরে মোট ৬ কোটি ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩০ টাকা তোলা হয়। কিন্তু তিনি সেই উত্তোলিত টাকার ব্যয়ের কোনো বৈধ কাগজপত্র...
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর দল ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। নির্বাচনে তিনি ঢাকার একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর পল্লবী থেকে মিরপুর ১১ নম্বর অংশের মধ্যবর্তী স্থানে মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর তার পড়ে থাকার কারণে রেল চলাচল বন্ধ ছিল। আজ রোববার দুপুরে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ সারোয়ার জাহান ও রেজিস্ট্রার মো. মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ রোববার দুদকের উপপরিচালক মো. আলমগীর হোসেন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে মামলাটি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আরেক উপপরিচালক আক্তারুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৭ সালে সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রবর্তক শাখায় একটি জরুরি তহবিল হিসাব খোলা হয়। ওই হিসাব থেকে কোষাধ্যক্ষ ড. সারোয়ার জাহানের স্বাক্ষরে মোট ৬ কোটি ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩০ টাকা তোলা হয়। কিন্তু তিনি সেই উত্তোলিত টাকার ব্যয়ের কোনো বৈধ কাগজপত্র বা প্রমাণ দিতে পারেননি।
এতে বলা হয়, ব্যাংক এশিয়ার মাধ্যমে সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে একটি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট পরিচালিত হতো। কিন্তু সেই এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম থেকে অর্জিত কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবে জমা না করে বরং ওই আউটলেটে কর্মরত একজন কর্মচারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে ৮৮ হাজার ৭৩৮ টাকা বেতন হিসেবে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া কোনো ঋণ না নেওয়া সত্ত্বেও ঋণ পরিশোধের অজুহাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে আরও ২৮ লাখ ৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি তহবিল থেকে প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ সারোয়ার জাহান ও রেজিস্ট্রার মো. মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ রোববার দুদকের উপপরিচালক মো. আলমগীর হোসেন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে মামলাটি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আরেক উপপরিচালক আক্তারুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৭ সালে সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রবর্তক শাখায় একটি জরুরি তহবিল হিসাব খোলা হয়। ওই হিসাব থেকে কোষাধ্যক্ষ ড. সারোয়ার জাহানের স্বাক্ষরে মোট ৬ কোটি ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩০ টাকা তোলা হয়। কিন্তু তিনি সেই উত্তোলিত টাকার ব্যয়ের কোনো বৈধ কাগজপত্র বা প্রমাণ দিতে পারেননি।
এতে বলা হয়, ব্যাংক এশিয়ার মাধ্যমে সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে একটি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট পরিচালিত হতো। কিন্তু সেই এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম থেকে অর্জিত কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবে জমা না করে বরং ওই আউটলেটে কর্মরত একজন কর্মচারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে ৮৮ হাজার ৭৩৮ টাকা বেতন হিসেবে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া কোনো ঋণ না নেওয়া সত্ত্বেও ঋণ পরিশোধের অজুহাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে আরও ২৮ লাখ ৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি তহবিল থেকে প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেশের জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সমুদ্রসম্পদের গুরুত্ব অনুধাবন করে ঐতিহাসিক ৬ দফায় নৌবাহিনী সদর দপ্তর চট্টগ্রামে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছিলেন
২০ ডিসেম্বর ২০২১
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের যোগাযোগব্যবস্থা খুবই হযবরল অবস্থায় রয়েছে। এটাকে দ্রুত শৃঙ্খলার মধ্যে আনা না গেলে পুরো ব্যবস্থাটা অর্থনীতির জন্য গলার ফাঁসে পরিণত হবে। আমাদের এই কাজটা করতে হবে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে। নদীর ওপর কোনো আঘাত করা যাবে না। পানিকে শান্ত রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, পানি আমাদের
৩৫ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর দল ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। নির্বাচনে তিনি ঢাকার একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর পল্লবী থেকে মিরপুর ১১ নম্বর অংশের মধ্যবর্তী স্থানে মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর তার পড়ে থাকার কারণে রেল চলাচল বন্ধ ছিল। আজ রোববার দুপুরে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর দল ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। নির্বাচনে তিনি ঢাকার একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
আজ রোববার রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা ৩০০ আসন ধরে এগোচ্ছি। প্রার্থীর তালিকা এই মাসেই দিতে পারি।’
আসন্ন নির্বাচনে কোন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন—জানতে চাইলে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমি ঢাকার ছেলে। ঢাকা থেকেই দাঁড়াব।’
সারা দেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে এনসিপি। দলটির ৫০টির বেশি জেলা কমিটি ও ৩২৩টি উপজেলা কমিটি রয়েছে। এখন পর্যন্ত যেসব জেলা ও উপজেলায় কমিটি গঠন হয়নি, সেগুলোতে এই মাসের মধ্যে কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানান দলের নেতারা।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর দল ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। নির্বাচনে তিনি ঢাকার একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
আজ রোববার রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা ৩০০ আসন ধরে এগোচ্ছি। প্রার্থীর তালিকা এই মাসেই দিতে পারি।’
আসন্ন নির্বাচনে কোন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন—জানতে চাইলে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমি ঢাকার ছেলে। ঢাকা থেকেই দাঁড়াব।’
সারা দেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে এনসিপি। দলটির ৫০টির বেশি জেলা কমিটি ও ৩২৩টি উপজেলা কমিটি রয়েছে। এখন পর্যন্ত যেসব জেলা ও উপজেলায় কমিটি গঠন হয়নি, সেগুলোতে এই মাসের মধ্যে কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানান দলের নেতারা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেশের জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সমুদ্রসম্পদের গুরুত্ব অনুধাবন করে ঐতিহাসিক ৬ দফায় নৌবাহিনী সদর দপ্তর চট্টগ্রামে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছিলেন
২০ ডিসেম্বর ২০২১
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের যোগাযোগব্যবস্থা খুবই হযবরল অবস্থায় রয়েছে। এটাকে দ্রুত শৃঙ্খলার মধ্যে আনা না গেলে পুরো ব্যবস্থাটা অর্থনীতির জন্য গলার ফাঁসে পরিণত হবে। আমাদের এই কাজটা করতে হবে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে। নদীর ওপর কোনো আঘাত করা যাবে না। পানিকে শান্ত রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, পানি আমাদের
৩৫ মিনিট আগে
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৭ সালে সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রবর্তক শাখায় একটি জরুরি তহবিল হিসাব খোলা হয়। ওই হিসাব থেকে কোষাধ্যক্ষ ড. সারোয়ার জাহানের স্বাক্ষরে মোট ৬ কোটি ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩০ টাকা তোলা হয়। কিন্তু তিনি সেই উত্তোলিত টাকার ব্যয়ের কোনো বৈধ কাগজপত্র...
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর পল্লবী থেকে মিরপুর ১১ নম্বর অংশের মধ্যবর্তী স্থানে মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর তার পড়ে থাকার কারণে রেল চলাচল বন্ধ ছিল। আজ রোববার দুপুরে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর পল্লবী থেকে মিরপুর ১১ নম্বর অংশের মধ্যবর্তী স্থানে মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর তার পড়ে থাকার কারণে রেল চলাচল বন্ধ ছিল। আজ রোববার দুপুরে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, আজ দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট থেকে ১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত প্রায় ৩০ মিনিট মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়। বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর পড়া তার অপসারণের পর চলাচল স্বাভাবিক হয়।
যাত্রীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
প্রসঙ্গত, মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইন অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ায় এর ওপর যেকোনো বস্তু নিক্ষেপ নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
এর আগেও মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর ঘুড়ি পড়ার ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে রেল চলাচল বন্ধ রাখতে হয়েছিল।
এ নিয়ে গত সাত দিনে তিনবার মেট্রোরেল চলাচল স্থগিতের ঘটনা ঘটল। গত ২৬ অক্টোবর দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেল স্থাপনার বিয়ারিং প্যাড খুলে নিচে পড়ে গেলে এক পথচারী প্রাণ হারান। এর পরপরই মতিঝিল থেকে আগারগাঁও অংশে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। প্রায় ২৩ ঘণ্টা পর ২৭ অক্টোবর বেলা ১১টা থেকে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়।
এরপর দুদিন পর গত ২৯ অক্টোবর রাত ৯টা ১০ মিনিটে বিজয় সরণি-ফার্মগেট সেকশনে ঝাঁকুনি হওয়ায় শাহবাগ থেকে আগারগাঁও অংশে মেট্রো রেল চলাচল স্থগিত রাখা হয়। তবে পরদিন ৩০ অক্টোবর সকাল থেকে মেট্রোরেল আবারও মতিঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্ত চালু হয়।

রাজধানীর পল্লবী থেকে মিরপুর ১১ নম্বর অংশের মধ্যবর্তী স্থানে মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর তার পড়ে থাকার কারণে রেল চলাচল বন্ধ ছিল। আজ রোববার দুপুরে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, আজ দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট থেকে ১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত প্রায় ৩০ মিনিট মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়। বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর পড়া তার অপসারণের পর চলাচল স্বাভাবিক হয়।
যাত্রীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
প্রসঙ্গত, মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইন অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ায় এর ওপর যেকোনো বস্তু নিক্ষেপ নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
এর আগেও মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর ঘুড়ি পড়ার ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে রেল চলাচল বন্ধ রাখতে হয়েছিল।
এ নিয়ে গত সাত দিনে তিনবার মেট্রোরেল চলাচল স্থগিতের ঘটনা ঘটল। গত ২৬ অক্টোবর দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেল স্থাপনার বিয়ারিং প্যাড খুলে নিচে পড়ে গেলে এক পথচারী প্রাণ হারান। এর পরপরই মতিঝিল থেকে আগারগাঁও অংশে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। প্রায় ২৩ ঘণ্টা পর ২৭ অক্টোবর বেলা ১১টা থেকে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়।
এরপর দুদিন পর গত ২৯ অক্টোবর রাত ৯টা ১০ মিনিটে বিজয় সরণি-ফার্মগেট সেকশনে ঝাঁকুনি হওয়ায় শাহবাগ থেকে আগারগাঁও অংশে মেট্রো রেল চলাচল স্থগিত রাখা হয়। তবে পরদিন ৩০ অক্টোবর সকাল থেকে মেট্রোরেল আবারও মতিঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্ত চালু হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেশের জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সমুদ্রসম্পদের গুরুত্ব অনুধাবন করে ঐতিহাসিক ৬ দফায় নৌবাহিনী সদর দপ্তর চট্টগ্রামে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছিলেন
২০ ডিসেম্বর ২০২১
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের যোগাযোগব্যবস্থা খুবই হযবরল অবস্থায় রয়েছে। এটাকে দ্রুত শৃঙ্খলার মধ্যে আনা না গেলে পুরো ব্যবস্থাটা অর্থনীতির জন্য গলার ফাঁসে পরিণত হবে। আমাদের এই কাজটা করতে হবে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে। নদীর ওপর কোনো আঘাত করা যাবে না। পানিকে শান্ত রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, পানি আমাদের
৩৫ মিনিট আগে
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৭ সালে সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রবর্তক শাখায় একটি জরুরি তহবিল হিসাব খোলা হয়। ওই হিসাব থেকে কোষাধ্যক্ষ ড. সারোয়ার জাহানের স্বাক্ষরে মোট ৬ কোটি ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩০ টাকা তোলা হয়। কিন্তু তিনি সেই উত্তোলিত টাকার ব্যয়ের কোনো বৈধ কাগজপত্র...
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর দল ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। নির্বাচনে তিনি ঢাকার একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
২ ঘণ্টা আগে