Ajker Patrika

পড়াশোনা লাটে উঠেছে

রবিউল আলম, ঢাকা
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ২০: ৫০
পড়াশোনা লাটে উঠেছে

করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সময় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল পুরোপুরি নিস্তব্ধ। বছরজুড়েই করোনার সামনে অসহায় দাঁড়িয়ে ছিল দেশের শিক্ষা খাত। সেশনজট, এলোমেলো শিক্ষাপঞ্জি, অর্থের অভাবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গুটিয়ে যাওয়া, শিক্ষকদের চাকরি হারানো ইত্যাদি কারণে বিদায়ী বছরে লাটে উঠেছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও নানা চাপে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খোলার মধ্য দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাণ ফিরে আসে। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, এই সময়ে করোনায় অন্যান্য খাতের ক্ষতি পরিমাপ করা গেলেও শিক্ষা খাতে তা অসম্ভব।

শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী প্রতিবছরের এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও করোনার কারণে ২০২০ সালের এই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসিতে এ বছরের শুরুতে অটো পাস দেওয়া হয়। এতে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করে এবং আগের বছরের চেয়ে তিন গুণের বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পান। এই সময়ে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা বাতিল এবং অন্যান্য ক্লাসের পরীক্ষা না নিয়ে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে প্রমোশন দেওয়া হয়। পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের তিন লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে অটো পাস দেওয়া হয় এবং স্কুল বন্ধ থাকায় ৩ কোটি ৭০ লাখ শিশুর পড়াশোনা ব্যাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনেসকো। দেড় থেকে দুই বছরের শিক্ষাজটের কারণে চাকরির আবেদন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন কয়েক লাখ শিক্ষার্থী।

 এ সময়ে ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশা, নিঃসঙ্গতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের ৩৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তরুণদের ৬১ দশমিক ২ শতাংশ বিষণ্নতায় ভুগছেন এবং ৩ দশমিক ৭ শতাংশ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে এক জরিপে উঠে এসেছে। তবে শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ বলছে, বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হলেও গ্রামের ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থীই ছিল অনলাইন ক্লাসে ও ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী টেলিভিশনে সম্প্রচারিত পাঠ কার্যক্রমের বাইরে ছিল।

এদিকে সেশনজট নিরসনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হল খোলা, ভর্তি পরীক্ষার ফি কমানো, রুটিন প্রকাশ, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের বিচার, বাসে হাফ ভাড়া চালু, সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী হত্যার বিচারের দাবিসহ নানা দাবিতে বছরজুড়ে দফায় দফায় রাস্তায় নেমেছে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে কিছু আন্দোলনে সফলতা পায় তারা। তাদের দাবির মুখে খোলা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সব শহরে গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া কার্যকর করা হয়। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার ছিলেন শিক্ষকেরাও। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। তবে করোনায় প্রায় ৪ হাজার কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর সঙ্গে জড়িত প্রায় অর্ধলাখ শিক্ষক ও কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েন।

করোনার এ সময়েও বছরজুড়ে নানা পরিবর্তনের মুখোমুখি হয় শিক্ষা খাত। শুধু নৈর্ব্যক্তিক বিষয়গুলোতে এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিতেও আনা হয় পরিবর্তন। ২০২৩ সাল থেকে শুধু দশম শ্রেণির কারিকুলামেই এসএসসি পরীক্ষা হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা এবং নবম-দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্যের মতো বিভাজন থাকবে না, যা ২০২৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে, পাশাপাশি ‘শিক্ষা আইন, ২০২১’-এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।

আন্তশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিশুদের চাপমুক্ত রাখতে নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সারা বিশ্বেই এ নিয়ম প্রচলিত। এটা এই সময়ের জন্য ইতিবাচক দিক।

 প্রথমবারের মতো ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে। ফলাফলে গরমিল এবং নানা অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে এই পরীক্ষা শেষ হয়। আগামী বছর বেসরকারি স্কুলগুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। কোনো শিশু যাতে বিদ্যালয়ে ভর্তির বাইরে না থাকে, সে জন্য শূন্য থেকে ৫ বছর পর্যন্ত সব শিশুকে জরিপের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

করোনা সব আয়োজন থমকে দিলেও ১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত শতবর্ষপূর্তি উদ্‌যাপন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই উদ্‌যাপনের মধ্যেই বহুল আলোচিত বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষিত হয়েছে। রায়ে বুয়েট ছাত্রলীগের ২০ জনকে ফাঁসি ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এ সময়ে দেশের সব কওমি মাদ্রাসায় ছাত্র-শিক্ষকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয় এবং স্থায়ী সনদ না নেওয়া ২৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে শোকজ করে ইউজিসি।

 এদিকে ৫৪৪ দিনের বন্ধ শেষে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব স্কুল-কলেজ খোলার মাধ্যমে ক্লাসে ফেরে প্রায় সোয়া তিন কোটি শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের পদচারণে আবারও মুখর হয় সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। খোলার পর ৮ মাস বিলম্বে ১৪ নভেম্বর এসএসসি এবং ২ ডিসেম্বর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর করোনার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইতিমধ্যেই শিক্ষাবর্ষের সময় কমিয়ে ছয়-আট মাস করছে। পাশাপাশি বাতিল করছে বিভিন্ন ধরনের ছুটি।

শিক্ষাবিদেরা বলছে, করোনা নামক এই চ্যালেঞ্জে যতটুকু ক্ষতি হয়েছে, তা পোষানোর চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই সময়ে করোনা আমাদের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে ছিল। অনলাইন ক্লাসে আমরা অভ্যস্ত না থাকলেও শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের আন্তরিকতায় করোনার চ্যালেঞ্জ ভালোভাবেই মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। তা-ও এই সময়ে যে ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জরুরি অবতরণও করা যাবে না

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক শিডিউলড ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ (ইমার্জেন্সি/ডাইভারশন) বা নন-শিডিউলড আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রেও বিমানবন্দরটি ব্যবহার না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সিভিল অ্যাভিয়েশন–১ শাখা থেকে গতকাল (২৭ অক্টোবর) জারি করা এক সরকারি পত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।

নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক শিডিউল ফ্লাইটের পাশাপাশি নন-শিডিউল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ও জরুরি অবতরণের ক্ষেত্রেও ব্যবহার না করার অনুরোধ করা হলো।’

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বিষয়টি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে।

এর আগে গত সপ্তাহে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপনটি সরকার স্থগিত করে। এর ফলে বিমানবন্দরটিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্যক্রম আপাতত বন্ধ থাকছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশে যা বলা আছে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ৩৭
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তুলে ধরেন আলী রীয়াজ। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তুলে ধরেন আলী রীয়াজ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গভীর ও মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত করতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন’ পদ্ধতির চূড়ান্ত সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।

প্রস্তাবিত আদেশের প্রারম্ভিক ঘোষণায় স্পষ্ট করা হয়েছে, এই পদক্ষেপের মূল ভিত্তি হলো ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সফল গণ-অভ্যুত্থান। এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে।

৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনার পর সংবিধান সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কারের সুপারিশসংবলিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রধান রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো সম্মিলিতভাবে ওই সনদে স্বাক্ষর করে এবং তা দ্রুত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য জনগণের সর্বোচ্চ অনুমোদন প্রয়োজন। এই অনুমোদনপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে: সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন নেওয়ার উদ্দেশ্যে গণভোট অনুষ্ঠান অপরিহার্য। সংবিধান সংস্কারের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন ও উক্ত পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করা অত্যাবশ্যক।

ঐকমত্য কমিশন মনে করে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আইনি দলিল আবশ্যক ছিল। সে কারণেই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে এই বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবে।

প্রস্তাবিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’-এ যা বলা হয়েছে:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ ড. ইউনূসের কাছে হস্তান্তর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ৫৪
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ মঙ্গলবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ মঙ্গলবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেওয়ার পরে বেলা ২টার দিকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

সেখানে আলী রীয়াজ বলেন, ‘সুপারিশের তিনটি ভাগ আছে। অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশের বাস্তবায়ন দ্রুততার সঙ্গে করা সম্ভব। সংবিধান-সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে দুটো বিকল্প প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। প্রস্তাবগুলো হচ্ছে—সরকার যেন অবিলম্বে একটি আদেশ জারি করে। এ আদেশের বিষয় হবে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ। আদেশের অধীনে একটি গণভোট হবে।’

আলী রীয়াজ আরও বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ একই সঙ্গে সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করবে। তারা ২৭০ দিন এমন দায়িত্ব পালন করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে থাকবেন সশস্ত্র আনসার সদস্য: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ৪৭
খিলগাঁওয়ে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি : আজকের পত্রিকা
খিলগাঁওয়ে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি : আজকের পত্রিকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে আনসারদের অবদান সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৩ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এই ১৩ জনের মধ্যে তিনজন থাকবেন অস্ত্রসহ আর বাকি ১০ জন অস্ত্রবিহীন। অস্ত্রবিহীন ১০ জনের মধ্যে ছয়জন পুরুষ আর চারজন থাকবেন নারী। তা ছাড়া এবারই প্রথম প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে অস্ত্রসহ একজন আনসার সদস্য থাকবেন।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে মোট ৯ দিন আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আনসার সদস্যরা।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি বাহিনী দেশের নিরাপত্তা, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি পর্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নিজেদের জীবন ও স্বার্থের পরোয়া না করে তারা নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেমের সঙ্গে জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকে। তাই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের কর্মজীবনের মানোন্নয়ন ও কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকারের অংশ। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের নিজস্ব অর্থায়নে মোট ৩১টি যানবাহন কেনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৯টি ট্রুপস ক্যারিয়ার, ১৪টি কাভার্ড ভ্যান, ৪২ আসনবিশিষ্ট চারটি বড় বাস, ২৪ আসনবিশিষ্ট দুটি মিনিবাস এবং দুটি অ্যাম্বুলেন্স।’

দেশের সর্ববৃহৎ এই বাহিনীর সদস্যদের ছুটি, বিনোদন ভ্রমণ এবং অন্য বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রায়ই নানা ধরনের যাতায়াতের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের এই ভোগান্তি লাঘব ও সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই আজকের এই ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস চালু করা হয়েছে।

উপদেষ্টা এ সময় ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসটি সর্বোচ্চ পেশাদারি ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হবে এবং বাহিনীর বৈধ পরিচয়পত্রধারী সব সদস্যের জন্য নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাইরে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতিদিনই অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। গত পরশুদিনও আটটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এ রকম উদ্ধার হতেই থাকবে এবং নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, অস্ত্র উদ্ধার আরও বাড়তে থাকবে এবং একসময় দেখবেন যে বাইরে আর কোনো অস্ত্র বা হাতিয়ার নেই।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত