নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঈদের আগে তৃতীয় ধাপে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ঘর পেয়েছে ৩২ হাজার ৯০৪টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার। আজ মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকার উপকারভোগীদের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার সবচেয়ে ভালো লাগে একটা মানুষ ঘর পাওয়ার পর তাঁর মুখের হাসি। জাতির পিতা তো দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতেই চেয়েছিলেন।’
সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে সরকারের কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। এটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।’
ভূমিহীন-গৃহহীনদের আবাসন নিশ্চিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ইউনিক মডেলের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না পৃথিবীর কোনো দেশে এ রকম উদ্যোগ নিয়েছে কি না। কিন্তু আমরা জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক। আমার কাছে ক্ষমতাটা হচ্ছে জনগণের সেবা দেওয়া, জনগণের জন্য কাজ করা। আমি আজকে সেটাই করে যাচ্ছি।’
সমাজের বিত্তবানদের দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সময় আপনারা দেখেছেন, অর্থ-সম্পদ, টাকা-পয়সা এগুলো কাজে লাগে না। এই করোনাভাইরাসের সময় হাজার টাকার মালিক, হাজার হাজার কোটি কোটি টাকার মালিকেরও কিছুই করার ছিল না। যাঁরা বাংলাদেশে কোনো দিন চিকিৎসাই নেননি, তাঁদের কিন্তু এ দেশেই টিকা নিতে হয়েছে। কারণ টাকা থাকলেও কোথাও যেতে পারেননি তাঁরা। আগে সর্দি-কাশি হলেও তাঁরা উড়ে চলে যেতেন বিদেশে চিকিৎসার জন্য। করোনাভাইরাস মানুষকে একটা শিক্ষা দিয়ে গেছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘কাজেই সম্পদের পেছনে ছুটে নিজেকে মানুষের কাছে অসম্মানিত করার কোনো অর্থই হয় না; বরং দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারলে, একটা মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় পাওয়া।’
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে দলটির সভাপতি বলেন, ‘দলীয় নেতাকর্মীদের বলব, জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে চলবেন, দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াবেন—এটাই হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। একটা মানুষকে যদি একটু আশ্রয় দেওয়া যায়, তাঁর মুখে হাসি ফোটানো যায়, এর চেয়ে বড় পাওয়া একজন রাজনীতিবিদের জীবনে আর কী হতে পারে? এটাই সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হওয়া উচিত।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঘোষণা দিয়েছেন, বাংলাদেশের কোনো মানুষ যাতে ভূমি ও গৃহহীন না থাকে। সে জন্য তিনি দুই শতক জমির ওপর দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি ঘর উপহার দিচ্ছেন। এসব ঘরের ডিজাইন তিনিই প্রণয়ন করেন। তৃতীয় ধাপে এসব ঘর প্রদানের আগে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ঘর পেয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি পরিবার। তৃতীয় ধাপের আরও ৩২ হাজার ৭৭০টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে। আশ্রয়ণের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চেয়ে তৃতীয় ধাপের ঘরগুলো অনেক বেশি টেকসই। তৃতীয় ধাপে একেকটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা। তৃতীয় ধাপের ঘরগুলোতে আরসিসি পিলার, গ্রেড ভিম, টানা লিংকটারসহ বেশ কিছু বিষয় সংযোজন করা হয়।
এসব ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের পোড়াদিয়া বালিয়া, বরগুনা সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের খাজুরতলা, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের খোকশাবাড়ী এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারার বারখাইন ইউনিয়নের হাজিগাঁওয়ে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
ঈদের আগে তৃতীয় ধাপে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ঘর পেয়েছে ৩২ হাজার ৯০৪টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার। আজ মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকার উপকারভোগীদের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার সবচেয়ে ভালো লাগে একটা মানুষ ঘর পাওয়ার পর তাঁর মুখের হাসি। জাতির পিতা তো দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতেই চেয়েছিলেন।’
সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে সরকারের কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। এটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।’
ভূমিহীন-গৃহহীনদের আবাসন নিশ্চিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ইউনিক মডেলের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না পৃথিবীর কোনো দেশে এ রকম উদ্যোগ নিয়েছে কি না। কিন্তু আমরা জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক। আমার কাছে ক্ষমতাটা হচ্ছে জনগণের সেবা দেওয়া, জনগণের জন্য কাজ করা। আমি আজকে সেটাই করে যাচ্ছি।’
সমাজের বিত্তবানদের দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সময় আপনারা দেখেছেন, অর্থ-সম্পদ, টাকা-পয়সা এগুলো কাজে লাগে না। এই করোনাভাইরাসের সময় হাজার টাকার মালিক, হাজার হাজার কোটি কোটি টাকার মালিকেরও কিছুই করার ছিল না। যাঁরা বাংলাদেশে কোনো দিন চিকিৎসাই নেননি, তাঁদের কিন্তু এ দেশেই টিকা নিতে হয়েছে। কারণ টাকা থাকলেও কোথাও যেতে পারেননি তাঁরা। আগে সর্দি-কাশি হলেও তাঁরা উড়ে চলে যেতেন বিদেশে চিকিৎসার জন্য। করোনাভাইরাস মানুষকে একটা শিক্ষা দিয়ে গেছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘কাজেই সম্পদের পেছনে ছুটে নিজেকে মানুষের কাছে অসম্মানিত করার কোনো অর্থই হয় না; বরং দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারলে, একটা মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় পাওয়া।’
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে দলটির সভাপতি বলেন, ‘দলীয় নেতাকর্মীদের বলব, জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে চলবেন, দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াবেন—এটাই হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। একটা মানুষকে যদি একটু আশ্রয় দেওয়া যায়, তাঁর মুখে হাসি ফোটানো যায়, এর চেয়ে বড় পাওয়া একজন রাজনীতিবিদের জীবনে আর কী হতে পারে? এটাই সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হওয়া উচিত।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঘোষণা দিয়েছেন, বাংলাদেশের কোনো মানুষ যাতে ভূমি ও গৃহহীন না থাকে। সে জন্য তিনি দুই শতক জমির ওপর দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি ঘর উপহার দিচ্ছেন। এসব ঘরের ডিজাইন তিনিই প্রণয়ন করেন। তৃতীয় ধাপে এসব ঘর প্রদানের আগে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ঘর পেয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি পরিবার। তৃতীয় ধাপের আরও ৩২ হাজার ৭৭০টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে। আশ্রয়ণের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চেয়ে তৃতীয় ধাপের ঘরগুলো অনেক বেশি টেকসই। তৃতীয় ধাপে একেকটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা। তৃতীয় ধাপের ঘরগুলোতে আরসিসি পিলার, গ্রেড ভিম, টানা লিংকটারসহ বেশ কিছু বিষয় সংযোজন করা হয়।
এসব ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের পোড়াদিয়া বালিয়া, বরগুনা সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের খাজুরতলা, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের খোকশাবাড়ী এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারার বারখাইন ইউনিয়নের হাজিগাঁওয়ে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশিদের জন্য মেডিকেল ভিসাসহ অন্যান্য ভিসা সেবা স্থগিত করে ভারত। সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকার চীনে যাতে সহজে চিকিৎসা নেওয়া যায় তা নিশ্চিত করতে বেইজিংয়ের সঙ্গে চুক্তি করে। চুক্তির পর থেকেই বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সহজ করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এবার
১০ মিনিট আগে২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। যাতে দলটির ২৪ নেতা–কর্মী নিহত হয়। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০১৮ সালে বিচারিক আদালত দুটি মামলারই রায় দেন।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছাতে সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য তৈরির দায়িত্ব কেবলমাত্র শুধু জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নয়। আপনারা যারা সংগ্রামে আছেন, যারা আজ আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন, আপনারা আপনাদের...
৪ ঘণ্টা আগেবুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকে পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন; শুধু এই অভিযোগে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। কিন্তু কোনো বিবেকসম্পন্ন ব্যক্তির, এমন নির্মম নির্যাতন ও অমানবিকভাবে কাউকে হত্যা করার যুক্তি হতে...
১২ ঘণ্টা আগে