শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা
অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ উদ্বোধন করা হয়েছে গতকাল শনিবার বিকেল ৩টায়। প্রধান উপদেষ্টা মেলা দেখে যেতে যেতে সাড়ে ৪টা। কিন্তু দর্শনার্থী আর পাঠক আগেই হাজির মেলা ফটকে। নতুন বইয়ের গন্ধ নিতে আর যেন তর সইছিল না। অনুমতি মিলতেই হুড়মুড় করে ঢুকে পড়লেন সবাই।
সাহিল হোসেন পেশায় বেসরকারি চাকরিজীবী। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মেলায় এসেছেন। শুধু বই কেনাই নয়, একটু উৎসবমুখর পরিবেশ পেতে এসেছেন তিনি। বললেন, ‘অভ্যুত্থানের পরের দিনগুলো এখনো দাবি-দাওয়ায় ব্যস্ত পার করছে বাংলাদেশ। আমাদের দেশের মানুষ উৎসব আনন্দ পছন্দ করে। কিন্তু সেই পরিবেশ খুব একটা পাওয়া যায়নি। তাই চলে এলাম প্রথম দিনেই।’
মিতা চৌধুরী দাঁড়িয়ে ছিলেন শিকড় প্রকাশনীর সামনে। এই সরকারি চাকরিজীবী কিনেছেন কবিতা ও গল্পের বই। বললেন, ‘আজকে ছুটির দিন ছিল, তাই চলে এলাম। ভালো লাগছে প্রথম দিনেই অনেক লোক দেখছি।’
বেসরকারি চাকরিজীবী তানভীর আহামেদ সুমনের হাতে বেশ কয়েকটি বইয়ের ব্যাগ। ঐতিহ্য প্রকাশনী থেকে বই কিনেছেন তিনি। আছে লালন ও কবি রুমিকে নিয়ে বই। তিনি অবশ্য বললেন, ‘লোক সমাগম বেশি হলেও নিরাপত্তা নিয়ে একটু চিন্তা আছে। কী হয় না হয় বোঝা যাচ্ছে না। তবে ভালো লাগছে, প্রথম দিনেই লোকজন বেশ। বইও কিনছেন সবাই।’
প্রকাশকদের কাছেও প্রথম দিন হিসেবে পাঠক বেশি বলে মনে হচ্ছে। কথাপ্রকাশের ব্যবস্থাপক ইউনুস আলী বলেন, প্রথম দিন হিসেবে ভালো মনে হচ্ছে। কারণ ভাসমান পাঠক কম। যাঁরা আসছেন ভালো বই চাচ্ছেন এবং কিনছেন।
অবসর প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক মাসুদ রানাও ভালো বিক্রির ইঙ্গিত দিলেন। তবে প্রথম দিন হিসেবে মেলার পরিবেশ খুব একটা ভালো নয় বলে জানালেন তিনি। বললেন, মেলার আগের দিনেই সব আবর্জনা সরিয়ে ফেলা হয়, কিন্তু এখনো অনেক আবর্জনা রয়ে গেছে। ধুলা তো আছেই।
তাঁর কথার বেশ প্রমাণ মিলল। এখনো অনেক স্টল তৈরি হয়নি। হাতুড়ির আঘাত চলছে। ময়লা আবর্জনা পড়ে আছে। রাস্তায় সব জায়গায় এখনো ইট বিছানো হয়নি। ধুলা উড়ছে। স্টল বিন্যাসের ক্ষেত্রেও কিছু অসামঞ্জস্য দেখা গেছে। কোথাও স্টল ও প্যাভিলিয়নের মাঝে অনেক ফাঁকা কোথাও আবার ঘিঞ্জি।
আদর্শ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মাহবুব রহমান বলেন, এবার অনেক বেশি প্রকাশনী অংশগ্রহণ করছে, যে কারণে ঘিঞ্জি হয়ে গেছে।
বরং বাংলা একাডেমির অংশ বেশ গোছালো ও ছিমছাম। এ প্রসঙ্গে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ড. সরকার আমিন বলেন, উদ্বোধনী আয়োজন নিয়ে একটু ব্যস্ততা ছিল। তবে দু-এক দিনেই সব ঠিক হয়ে যাবে। অনেকে স্টল তৈরি শেষ করতে পারেননি, তাই কিছু ময়লা সরিয়ে ফেলা যায়নি। পুরো বিষয়টা ঠিক হতে দুই-তিন দিন লাগে।
বইমেলা নিয়ে একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মুক্তির পথে বাংলাদেশের নবযাত্রা শুরু হয়েছে। আমরা একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অন্তর্ভুক্তিমূলক বইমেলা আয়োজনের চেষ্টা করছি।’
‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ এই প্রতিপাদ্যে শুরু হয়েছে বইমেলা। মেলায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে বিভিন্ন গ্রাফিতি চোখে পড়ে। বাংলা একাডেমি অংশে রয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্টলও।
প্রথম দিনে নতুন বইও এসেছে মেলায়। অনন্যা প্রকাশনী এনেছে আব্দুল হাই শিকদারের ‘আমরা মানুষ আমরা এসেছি’, কথাপ্রকাশ নিয়ে এসেছে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ‘উন্নতি উত্থান অভ্যুত্থান’, মশিউল আলমের সঞ্চয়ন ও অনুবাদে মাওলা ব্রাদার্স বের করেছে ‘বিষয় দস্তইয়েফস্কি’। এ ছাড়া ঐতিহ্য প্রকাশনী ২৫ জন নতুন লেখকের ২৫টি নতুন বই নিয়ে এসেছে।
আজ রোববার বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে কবি হেলাল হাফিজ স্মরণে আলোচনা। আজ মেলা শুরু হবে বিকেল ৩টায় এবং শেষ হবে রাত ৯টায়।
অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ উদ্বোধন করা হয়েছে গতকাল শনিবার বিকেল ৩টায়। প্রধান উপদেষ্টা মেলা দেখে যেতে যেতে সাড়ে ৪টা। কিন্তু দর্শনার্থী আর পাঠক আগেই হাজির মেলা ফটকে। নতুন বইয়ের গন্ধ নিতে আর যেন তর সইছিল না। অনুমতি মিলতেই হুড়মুড় করে ঢুকে পড়লেন সবাই।
সাহিল হোসেন পেশায় বেসরকারি চাকরিজীবী। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মেলায় এসেছেন। শুধু বই কেনাই নয়, একটু উৎসবমুখর পরিবেশ পেতে এসেছেন তিনি। বললেন, ‘অভ্যুত্থানের পরের দিনগুলো এখনো দাবি-দাওয়ায় ব্যস্ত পার করছে বাংলাদেশ। আমাদের দেশের মানুষ উৎসব আনন্দ পছন্দ করে। কিন্তু সেই পরিবেশ খুব একটা পাওয়া যায়নি। তাই চলে এলাম প্রথম দিনেই।’
মিতা চৌধুরী দাঁড়িয়ে ছিলেন শিকড় প্রকাশনীর সামনে। এই সরকারি চাকরিজীবী কিনেছেন কবিতা ও গল্পের বই। বললেন, ‘আজকে ছুটির দিন ছিল, তাই চলে এলাম। ভালো লাগছে প্রথম দিনেই অনেক লোক দেখছি।’
বেসরকারি চাকরিজীবী তানভীর আহামেদ সুমনের হাতে বেশ কয়েকটি বইয়ের ব্যাগ। ঐতিহ্য প্রকাশনী থেকে বই কিনেছেন তিনি। আছে লালন ও কবি রুমিকে নিয়ে বই। তিনি অবশ্য বললেন, ‘লোক সমাগম বেশি হলেও নিরাপত্তা নিয়ে একটু চিন্তা আছে। কী হয় না হয় বোঝা যাচ্ছে না। তবে ভালো লাগছে, প্রথম দিনেই লোকজন বেশ। বইও কিনছেন সবাই।’
প্রকাশকদের কাছেও প্রথম দিন হিসেবে পাঠক বেশি বলে মনে হচ্ছে। কথাপ্রকাশের ব্যবস্থাপক ইউনুস আলী বলেন, প্রথম দিন হিসেবে ভালো মনে হচ্ছে। কারণ ভাসমান পাঠক কম। যাঁরা আসছেন ভালো বই চাচ্ছেন এবং কিনছেন।
অবসর প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক মাসুদ রানাও ভালো বিক্রির ইঙ্গিত দিলেন। তবে প্রথম দিন হিসেবে মেলার পরিবেশ খুব একটা ভালো নয় বলে জানালেন তিনি। বললেন, মেলার আগের দিনেই সব আবর্জনা সরিয়ে ফেলা হয়, কিন্তু এখনো অনেক আবর্জনা রয়ে গেছে। ধুলা তো আছেই।
তাঁর কথার বেশ প্রমাণ মিলল। এখনো অনেক স্টল তৈরি হয়নি। হাতুড়ির আঘাত চলছে। ময়লা আবর্জনা পড়ে আছে। রাস্তায় সব জায়গায় এখনো ইট বিছানো হয়নি। ধুলা উড়ছে। স্টল বিন্যাসের ক্ষেত্রেও কিছু অসামঞ্জস্য দেখা গেছে। কোথাও স্টল ও প্যাভিলিয়নের মাঝে অনেক ফাঁকা কোথাও আবার ঘিঞ্জি।
আদর্শ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মাহবুব রহমান বলেন, এবার অনেক বেশি প্রকাশনী অংশগ্রহণ করছে, যে কারণে ঘিঞ্জি হয়ে গেছে।
বরং বাংলা একাডেমির অংশ বেশ গোছালো ও ছিমছাম। এ প্রসঙ্গে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ড. সরকার আমিন বলেন, উদ্বোধনী আয়োজন নিয়ে একটু ব্যস্ততা ছিল। তবে দু-এক দিনেই সব ঠিক হয়ে যাবে। অনেকে স্টল তৈরি শেষ করতে পারেননি, তাই কিছু ময়লা সরিয়ে ফেলা যায়নি। পুরো বিষয়টা ঠিক হতে দুই-তিন দিন লাগে।
বইমেলা নিয়ে একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মুক্তির পথে বাংলাদেশের নবযাত্রা শুরু হয়েছে। আমরা একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অন্তর্ভুক্তিমূলক বইমেলা আয়োজনের চেষ্টা করছি।’
‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ এই প্রতিপাদ্যে শুরু হয়েছে বইমেলা। মেলায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে বিভিন্ন গ্রাফিতি চোখে পড়ে। বাংলা একাডেমি অংশে রয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্টলও।
প্রথম দিনে নতুন বইও এসেছে মেলায়। অনন্যা প্রকাশনী এনেছে আব্দুল হাই শিকদারের ‘আমরা মানুষ আমরা এসেছি’, কথাপ্রকাশ নিয়ে এসেছে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ‘উন্নতি উত্থান অভ্যুত্থান’, মশিউল আলমের সঞ্চয়ন ও অনুবাদে মাওলা ব্রাদার্স বের করেছে ‘বিষয় দস্তইয়েফস্কি’। এ ছাড়া ঐতিহ্য প্রকাশনী ২৫ জন নতুন লেখকের ২৫টি নতুন বই নিয়ে এসেছে।
আজ রোববার বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে কবি হেলাল হাফিজ স্মরণে আলোচনা। আজ মেলা শুরু হবে বিকেল ৩টায় এবং শেষ হবে রাত ৯টায়।
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় ধরনের ব্যর্থতা দেখিয়েছে বলে মনে করে রাজনৈতিক দলের নেতারা। মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে বহু শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবার দিনভর রাজধানীতে বিক্ষোভ ছিল।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হওয়ার আগমুহূর্তেও কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন যুদ্ধবিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর। কন্ট্রোল রুমকে তিনি বলেছিলেন, ‘বিমান ভাসছে না...মনে হচ্ছে নিচে পড়ছে।’
৪ ঘণ্টা আগেবিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ৪টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় আধঘণ্টার বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক রাত সাড়ে ৯টার পর শেষ হয়।
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অর্থসহায়তা চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সেটিকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠলে আজ মঙ্গলবার দুপুরে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়
৭ ঘণ্টা আগে