ছাত্রলীগের নির্যাতনে প্রাণ হারানো বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেবে সরকার। আজ সোমবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহসিকতার প্রতীক, মুক্ত চিন্তার এক প্রতিচ্ছবি—আবরার ফাহাদ। মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৫-এ ভূষিত হওয়া তার আত্মত্যাগের স্বীকৃতি। তার আদর্শ আমাদের আলোকিত করে, ন্যায়বিচারের পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দেয়। জাতি তোমাকে ভুলবে না, আবরার!’
আবরার ফাহাদ ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থী। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের হলেই তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা–কর্মী। সেখানে তাঁকে দীর্ঘ সময় ধরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ভারত–বাংলাদেশ চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা করায় আবরার ফাহাদকে হত্যা করে ছাত্রলীগ। এই হত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের জন্ম দেয়। শিক্ষার্থীরা বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে।
পরে এ ঘটনায় মামলা হয়। পুলিশ ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয়, যার মধ্যে অধিকাংশই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা–কর্মী। ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর আদালত ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েট প্রশাসন ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে। পরবর্তীতে আবরারের পরিবার ও সাধারণ জনগণ তাঁর স্মৃতিকে ন্যায়বিচারের প্রতীকে পরিণত করেছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা আরও জোরালো হয়েছে।
আবরার ফাহাদের মৃত্যু বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে সহিংস রাজনীতির ভয়াবহ দিককে উন্মোচিত করেছে। ন্যায়বিচারের দাবিতে সাধারণ মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের প্রতীকও হয়ে উঠেছে এই ঘটনা।
আরও খবর পড়ুন:
ছাত্রলীগের নির্যাতনে প্রাণ হারানো বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেবে সরকার। আজ সোমবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহসিকতার প্রতীক, মুক্ত চিন্তার এক প্রতিচ্ছবি—আবরার ফাহাদ। মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৫-এ ভূষিত হওয়া তার আত্মত্যাগের স্বীকৃতি। তার আদর্শ আমাদের আলোকিত করে, ন্যায়বিচারের পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দেয়। জাতি তোমাকে ভুলবে না, আবরার!’
আবরার ফাহাদ ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থী। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের হলেই তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা–কর্মী। সেখানে তাঁকে দীর্ঘ সময় ধরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ভারত–বাংলাদেশ চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা করায় আবরার ফাহাদকে হত্যা করে ছাত্রলীগ। এই হত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের জন্ম দেয়। শিক্ষার্থীরা বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে।
পরে এ ঘটনায় মামলা হয়। পুলিশ ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয়, যার মধ্যে অধিকাংশই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা–কর্মী। ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর আদালত ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েট প্রশাসন ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে। পরবর্তীতে আবরারের পরিবার ও সাধারণ জনগণ তাঁর স্মৃতিকে ন্যায়বিচারের প্রতীকে পরিণত করেছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা আরও জোরালো হয়েছে।
আবরার ফাহাদের মৃত্যু বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে সহিংস রাজনীতির ভয়াবহ দিককে উন্মোচিত করেছে। ন্যায়বিচারের দাবিতে সাধারণ মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের প্রতীকও হয়ে উঠেছে এই ঘটনা।
আরও খবর পড়ুন:
কোরবানির ঈদ উপলক্ষে সীমান্তপথে কুরবানির পশুর চামড়া পাচারের আশঙ্কায় কড়া অবস্থান নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্তের নিরাপত্তা বিধান ও দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি এবার বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে চামড়া পাচার প্রতিরোধে।
২০ মিনিট আগেপবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ শনিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।
৩ ঘণ্টা আগেমুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে একটি হলো ঈদুল আজহা। যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং ত্যাগের মহিমায় সারা দেশে এবারের ঈদ উদ্যাপিত হচ্ছে। বাংলাদেশে এটি কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের আদর্শে উদ্ভাসিত করে আসছে।
৫ ঘণ্টা আগে‘পশু নয়, কোরবানি হোক অহংকার, হিংসা ও অবিচারের।’ ঈদুল আজহা উপলক্ষে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
৫ ঘণ্টা আগে