শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

সরকারি চাকরিতে পার্বত্য অঞ্চল ও সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদেরও নিয়োগের বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করতে পারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়েও ভাবছে মন্ত্রণালয়।
এদিকে সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগ নিয়ে জটিলতা এড়াতে প্রতিবন্ধী হিসেবে নিয়োগের যোগ্যদের বিষয়ে গাইডলাইন জারি করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকার সময় ৫ শতাংশ কোটা ছিল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য। আন্দোলনের মুখে গত বছরের ২৩ জুলাই সরকারি চাকরিতে মেধায় ৯৩ শতাংশ এবং বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ কোটায় রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। এসব কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে কোটার শূন্যপদ সাধারণ মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা যাবে।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটাপদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ দিতে গত ২৫ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি করে সরকার। এই কমিটি তাদের সুপারিশ প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। তবে সুপারিশ চূড়ান্ত না হওয়ায় কমিটির কোনো সদস্যই নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি।
কমিটির একজন সদস্য বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের বাইরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বিষয়টি তাঁরা সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা প্রয়োগের ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করে দেবেন। কোটায় সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের প্রত্যয়নপত্র দেন সার্কেল প্রধান। সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের এই সনদ নিতে হবে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছ থেকে। তাঁরা এই সনদ পাওয়ার পদ্ধতি সহজ করার সুপারিশ করবেন।
পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে কমিটি সরকারকে পরামর্শ দেবে।
কমিটির আরেক সদস্য বলেন, প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগ নিয়ে অনেক সময় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। জন্মগত প্রতিবন্ধীদের বাইরেও নানা কারণে অনেকে প্রতিবন্ধী হন এবং তাঁদের সংখ্যা অনেক বেশি। চাকরিতে প্রতিবন্ধী হিসেবে কারা নিয়োগ পাওয়ায় যোগ্য, সে বিষয়ে তাঁরা বিস্তারিত নির্দেশনা জারির সুপারিশ করবেন। যাতে প্রকৃত প্রতিবন্ধী কেউ বাদ না পড়েন, আবার কেউ এ সুযোগ নিয়ে চাকরি না নিতে পারেন।
সূত্র জানায়, সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষকে প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার আগে ইউএনওর কাছে প্রতিবেদন চান ডিসি। ইউএনও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিষয়টি যাচাই করেন। এ প্রক্রিয়া শেষ করতে অনেক সময় লাগে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একজন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বাররা অনেক সময় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নন, এমন ব্যক্তিকেও অনৈতিকভাবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে সনদ দিতে সুপারিশ করে ইউএনওর কাছে প্রতিবেদন দেন। এই প্রতিবেদনের আলোকে কেউ কেউ সনদ নিয়ে চাকরিও পেয়েছেন।
এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সহসাংগঠনিক সম্পাদক সতেজ চাকমা বলেন, ‘কে আমাদের সম্প্রদায়ের, সে সনদ দেওয়ার এখতিয়ার আদিবাসীদের নিবন্ধিত সংগঠনগুলোকে দিতে হবে। কারণ, আমরাই জানি কে আমাদের সম্প্রদায়ের, আর কে বাইরের।’
সমতল আদিবাসী অধিকার আন্দোলনের সদস্যসচিব রিপন চন্দ্র বানাই আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সমতলের আদিবাসীদের ডিসির কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র পেতে অনেক সময় লেগে যায়। কারণ, চাকরির ক্ষেত্রে শুধু ডিসি এই প্রত্যয়নপত্র দেন। বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম এবং আদিবাসীদের সংগঠনের হাতে এই সনদ দেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া হলে সহজেই তাঁরা সনদ পাবেন।’
১ শতাংশ কোটাও ফাঁকা!
সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা থাকার সময় কখনোই ১ শতাংশ পদের বেশি তাঁরা নিয়োগ পাননি। কোটা কমিয়ে এখন ১ শতাংশ করা হলেও হিসাবের মারপ্যাঁচে তাও ফাঁকা থাকছে।
সূত্র জানায়, ৪০, ৪১ ও ৪২তম বিসিএসের সাধারণ ক্যাডারে নিয়োগের জন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর চার প্রার্থী সুপারিশ পেয়েছেন, যা মোট সুপারিশপ্রাপ্তদের ০.০৫ শতাংশ। নন-ক্যাডার এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগে পদস্বল্পতায় কোটা পাচ্ছেন না ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীরা।
তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে কোন কোন এলাকার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন, তা বলে দেওয়া হয়। অনেক সময় দেখা যায়, এসব এলাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস নেই।
রিপন চন্দ্র বানাই বলেন, ১০০ জনের বেশি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিলে এখন কোটা পাওয়া যায় না। আবার কোটায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা সংরক্ষণ না করে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে থেকে পূরণ করা হচ্ছে। তিনি কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা সংরক্ষণের দাবি জানান।
এদিকে কোটাপদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ প্রণয়ন কমিটির কাছে সম্প্রতি যৌথ স্মারকলিপি দিয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের পাঁচটি সংগঠন। এতে কোটায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীদের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণের নম্বর প্রচলিত নম্বরের ৮০ শতাংশ করা; লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই মৌখিক পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া; এই কোটাকে বিভাগ, জেলা বা জনসংখ্যার ভিত্তিতে বিবেচনা না করে জাতীয় পর্যায়ে বিবেচনা করা; কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেসব পদ সংরক্ষণ করা এবং সার্কেলপ্রধান ও ডিসিদের বাইরে আদিবাসী ফোরামের হাতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার এখতিয়ার দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

সরকারি চাকরিতে পার্বত্য অঞ্চল ও সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদেরও নিয়োগের বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করতে পারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়েও ভাবছে মন্ত্রণালয়।
এদিকে সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগ নিয়ে জটিলতা এড়াতে প্রতিবন্ধী হিসেবে নিয়োগের যোগ্যদের বিষয়ে গাইডলাইন জারি করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকার সময় ৫ শতাংশ কোটা ছিল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য। আন্দোলনের মুখে গত বছরের ২৩ জুলাই সরকারি চাকরিতে মেধায় ৯৩ শতাংশ এবং বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ কোটায় রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। এসব কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে কোটার শূন্যপদ সাধারণ মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা যাবে।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটাপদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ দিতে গত ২৫ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি করে সরকার। এই কমিটি তাদের সুপারিশ প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। তবে সুপারিশ চূড়ান্ত না হওয়ায় কমিটির কোনো সদস্যই নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি।
কমিটির একজন সদস্য বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের বাইরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বিষয়টি তাঁরা সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা প্রয়োগের ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করে দেবেন। কোটায় সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের প্রত্যয়নপত্র দেন সার্কেল প্রধান। সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের এই সনদ নিতে হবে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছ থেকে। তাঁরা এই সনদ পাওয়ার পদ্ধতি সহজ করার সুপারিশ করবেন।
পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে কমিটি সরকারকে পরামর্শ দেবে।
কমিটির আরেক সদস্য বলেন, প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগ নিয়ে অনেক সময় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। জন্মগত প্রতিবন্ধীদের বাইরেও নানা কারণে অনেকে প্রতিবন্ধী হন এবং তাঁদের সংখ্যা অনেক বেশি। চাকরিতে প্রতিবন্ধী হিসেবে কারা নিয়োগ পাওয়ায় যোগ্য, সে বিষয়ে তাঁরা বিস্তারিত নির্দেশনা জারির সুপারিশ করবেন। যাতে প্রকৃত প্রতিবন্ধী কেউ বাদ না পড়েন, আবার কেউ এ সুযোগ নিয়ে চাকরি না নিতে পারেন।
সূত্র জানায়, সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষকে প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার আগে ইউএনওর কাছে প্রতিবেদন চান ডিসি। ইউএনও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিষয়টি যাচাই করেন। এ প্রক্রিয়া শেষ করতে অনেক সময় লাগে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একজন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বাররা অনেক সময় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নন, এমন ব্যক্তিকেও অনৈতিকভাবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে সনদ দিতে সুপারিশ করে ইউএনওর কাছে প্রতিবেদন দেন। এই প্রতিবেদনের আলোকে কেউ কেউ সনদ নিয়ে চাকরিও পেয়েছেন।
এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সহসাংগঠনিক সম্পাদক সতেজ চাকমা বলেন, ‘কে আমাদের সম্প্রদায়ের, সে সনদ দেওয়ার এখতিয়ার আদিবাসীদের নিবন্ধিত সংগঠনগুলোকে দিতে হবে। কারণ, আমরাই জানি কে আমাদের সম্প্রদায়ের, আর কে বাইরের।’
সমতল আদিবাসী অধিকার আন্দোলনের সদস্যসচিব রিপন চন্দ্র বানাই আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সমতলের আদিবাসীদের ডিসির কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র পেতে অনেক সময় লেগে যায়। কারণ, চাকরির ক্ষেত্রে শুধু ডিসি এই প্রত্যয়নপত্র দেন। বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম এবং আদিবাসীদের সংগঠনের হাতে এই সনদ দেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া হলে সহজেই তাঁরা সনদ পাবেন।’
১ শতাংশ কোটাও ফাঁকা!
সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা থাকার সময় কখনোই ১ শতাংশ পদের বেশি তাঁরা নিয়োগ পাননি। কোটা কমিয়ে এখন ১ শতাংশ করা হলেও হিসাবের মারপ্যাঁচে তাও ফাঁকা থাকছে।
সূত্র জানায়, ৪০, ৪১ ও ৪২তম বিসিএসের সাধারণ ক্যাডারে নিয়োগের জন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর চার প্রার্থী সুপারিশ পেয়েছেন, যা মোট সুপারিশপ্রাপ্তদের ০.০৫ শতাংশ। নন-ক্যাডার এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগে পদস্বল্পতায় কোটা পাচ্ছেন না ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীরা।
তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে কোন কোন এলাকার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন, তা বলে দেওয়া হয়। অনেক সময় দেখা যায়, এসব এলাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস নেই।
রিপন চন্দ্র বানাই বলেন, ১০০ জনের বেশি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিলে এখন কোটা পাওয়া যায় না। আবার কোটায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা সংরক্ষণ না করে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে থেকে পূরণ করা হচ্ছে। তিনি কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা সংরক্ষণের দাবি জানান।
এদিকে কোটাপদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ প্রণয়ন কমিটির কাছে সম্প্রতি যৌথ স্মারকলিপি দিয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের পাঁচটি সংগঠন। এতে কোটায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীদের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণের নম্বর প্রচলিত নম্বরের ৮০ শতাংশ করা; লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই মৌখিক পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া; এই কোটাকে বিভাগ, জেলা বা জনসংখ্যার ভিত্তিতে বিবেচনা না করে জাতীয় পর্যায়ে বিবেচনা করা; কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেসব পদ সংরক্ষণ করা এবং সার্কেলপ্রধান ও ডিসিদের বাইরে আদিবাসী ফোরামের হাতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার এখতিয়ার দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

সরকারি চাকরিতে পার্বত্য অঞ্চল ও সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদেরও নিয়োগের বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করতে পারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়েও ভাবছে মন্ত্রণালয়।
এদিকে সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগ নিয়ে জটিলতা এড়াতে প্রতিবন্ধী হিসেবে নিয়োগের যোগ্যদের বিষয়ে গাইডলাইন জারি করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকার সময় ৫ শতাংশ কোটা ছিল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য। আন্দোলনের মুখে গত বছরের ২৩ জুলাই সরকারি চাকরিতে মেধায় ৯৩ শতাংশ এবং বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ কোটায় রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। এসব কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে কোটার শূন্যপদ সাধারণ মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা যাবে।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটাপদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ দিতে গত ২৫ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি করে সরকার। এই কমিটি তাদের সুপারিশ প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। তবে সুপারিশ চূড়ান্ত না হওয়ায় কমিটির কোনো সদস্যই নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি।
কমিটির একজন সদস্য বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের বাইরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বিষয়টি তাঁরা সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা প্রয়োগের ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করে দেবেন। কোটায় সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের প্রত্যয়নপত্র দেন সার্কেল প্রধান। সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের এই সনদ নিতে হবে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছ থেকে। তাঁরা এই সনদ পাওয়ার পদ্ধতি সহজ করার সুপারিশ করবেন।
পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে কমিটি সরকারকে পরামর্শ দেবে।
কমিটির আরেক সদস্য বলেন, প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগ নিয়ে অনেক সময় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। জন্মগত প্রতিবন্ধীদের বাইরেও নানা কারণে অনেকে প্রতিবন্ধী হন এবং তাঁদের সংখ্যা অনেক বেশি। চাকরিতে প্রতিবন্ধী হিসেবে কারা নিয়োগ পাওয়ায় যোগ্য, সে বিষয়ে তাঁরা বিস্তারিত নির্দেশনা জারির সুপারিশ করবেন। যাতে প্রকৃত প্রতিবন্ধী কেউ বাদ না পড়েন, আবার কেউ এ সুযোগ নিয়ে চাকরি না নিতে পারেন।
সূত্র জানায়, সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষকে প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার আগে ইউএনওর কাছে প্রতিবেদন চান ডিসি। ইউএনও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিষয়টি যাচাই করেন। এ প্রক্রিয়া শেষ করতে অনেক সময় লাগে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একজন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বাররা অনেক সময় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নন, এমন ব্যক্তিকেও অনৈতিকভাবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে সনদ দিতে সুপারিশ করে ইউএনওর কাছে প্রতিবেদন দেন। এই প্রতিবেদনের আলোকে কেউ কেউ সনদ নিয়ে চাকরিও পেয়েছেন।
এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সহসাংগঠনিক সম্পাদক সতেজ চাকমা বলেন, ‘কে আমাদের সম্প্রদায়ের, সে সনদ দেওয়ার এখতিয়ার আদিবাসীদের নিবন্ধিত সংগঠনগুলোকে দিতে হবে। কারণ, আমরাই জানি কে আমাদের সম্প্রদায়ের, আর কে বাইরের।’
সমতল আদিবাসী অধিকার আন্দোলনের সদস্যসচিব রিপন চন্দ্র বানাই আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সমতলের আদিবাসীদের ডিসির কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র পেতে অনেক সময় লেগে যায়। কারণ, চাকরির ক্ষেত্রে শুধু ডিসি এই প্রত্যয়নপত্র দেন। বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম এবং আদিবাসীদের সংগঠনের হাতে এই সনদ দেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া হলে সহজেই তাঁরা সনদ পাবেন।’
১ শতাংশ কোটাও ফাঁকা!
সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা থাকার সময় কখনোই ১ শতাংশ পদের বেশি তাঁরা নিয়োগ পাননি। কোটা কমিয়ে এখন ১ শতাংশ করা হলেও হিসাবের মারপ্যাঁচে তাও ফাঁকা থাকছে।
সূত্র জানায়, ৪০, ৪১ ও ৪২তম বিসিএসের সাধারণ ক্যাডারে নিয়োগের জন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর চার প্রার্থী সুপারিশ পেয়েছেন, যা মোট সুপারিশপ্রাপ্তদের ০.০৫ শতাংশ। নন-ক্যাডার এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগে পদস্বল্পতায় কোটা পাচ্ছেন না ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীরা।
তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে কোন কোন এলাকার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন, তা বলে দেওয়া হয়। অনেক সময় দেখা যায়, এসব এলাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস নেই।
রিপন চন্দ্র বানাই বলেন, ১০০ জনের বেশি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিলে এখন কোটা পাওয়া যায় না। আবার কোটায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা সংরক্ষণ না করে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে থেকে পূরণ করা হচ্ছে। তিনি কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা সংরক্ষণের দাবি জানান।
এদিকে কোটাপদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ প্রণয়ন কমিটির কাছে সম্প্রতি যৌথ স্মারকলিপি দিয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের পাঁচটি সংগঠন। এতে কোটায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীদের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণের নম্বর প্রচলিত নম্বরের ৮০ শতাংশ করা; লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই মৌখিক পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া; এই কোটাকে বিভাগ, জেলা বা জনসংখ্যার ভিত্তিতে বিবেচনা না করে জাতীয় পর্যায়ে বিবেচনা করা; কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেসব পদ সংরক্ষণ করা এবং সার্কেলপ্রধান ও ডিসিদের বাইরে আদিবাসী ফোরামের হাতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার এখতিয়ার দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

সরকারি চাকরিতে পার্বত্য অঞ্চল ও সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদেরও নিয়োগের বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করতে পারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়েও ভাবছে মন্ত্রণালয়।
এদিকে সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগ নিয়ে জটিলতা এড়াতে প্রতিবন্ধী হিসেবে নিয়োগের যোগ্যদের বিষয়ে গাইডলাইন জারি করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকার সময় ৫ শতাংশ কোটা ছিল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য। আন্দোলনের মুখে গত বছরের ২৩ জুলাই সরকারি চাকরিতে মেধায় ৯৩ শতাংশ এবং বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ কোটায় রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। এসব কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে কোটার শূন্যপদ সাধারণ মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা যাবে।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটাপদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ দিতে গত ২৫ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি করে সরকার। এই কমিটি তাদের সুপারিশ প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। তবে সুপারিশ চূড়ান্ত না হওয়ায় কমিটির কোনো সদস্যই নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি।
কমিটির একজন সদস্য বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের বাইরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বিষয়টি তাঁরা সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা প্রয়োগের ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করে দেবেন। কোটায় সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের প্রত্যয়নপত্র দেন সার্কেল প্রধান। সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের এই সনদ নিতে হবে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছ থেকে। তাঁরা এই সনদ পাওয়ার পদ্ধতি সহজ করার সুপারিশ করবেন।
পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে কমিটি সরকারকে পরামর্শ দেবে।
কমিটির আরেক সদস্য বলেন, প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগ নিয়ে অনেক সময় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। জন্মগত প্রতিবন্ধীদের বাইরেও নানা কারণে অনেকে প্রতিবন্ধী হন এবং তাঁদের সংখ্যা অনেক বেশি। চাকরিতে প্রতিবন্ধী হিসেবে কারা নিয়োগ পাওয়ায় যোগ্য, সে বিষয়ে তাঁরা বিস্তারিত নির্দেশনা জারির সুপারিশ করবেন। যাতে প্রকৃত প্রতিবন্ধী কেউ বাদ না পড়েন, আবার কেউ এ সুযোগ নিয়ে চাকরি না নিতে পারেন।
সূত্র জানায়, সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষকে প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার আগে ইউএনওর কাছে প্রতিবেদন চান ডিসি। ইউএনও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিষয়টি যাচাই করেন। এ প্রক্রিয়া শেষ করতে অনেক সময় লাগে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একজন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বাররা অনেক সময় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নন, এমন ব্যক্তিকেও অনৈতিকভাবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে সনদ দিতে সুপারিশ করে ইউএনওর কাছে প্রতিবেদন দেন। এই প্রতিবেদনের আলোকে কেউ কেউ সনদ নিয়ে চাকরিও পেয়েছেন।
এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সহসাংগঠনিক সম্পাদক সতেজ চাকমা বলেন, ‘কে আমাদের সম্প্রদায়ের, সে সনদ দেওয়ার এখতিয়ার আদিবাসীদের নিবন্ধিত সংগঠনগুলোকে দিতে হবে। কারণ, আমরাই জানি কে আমাদের সম্প্রদায়ের, আর কে বাইরের।’
সমতল আদিবাসী অধিকার আন্দোলনের সদস্যসচিব রিপন চন্দ্র বানাই আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সমতলের আদিবাসীদের ডিসির কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র পেতে অনেক সময় লেগে যায়। কারণ, চাকরির ক্ষেত্রে শুধু ডিসি এই প্রত্যয়নপত্র দেন। বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম এবং আদিবাসীদের সংগঠনের হাতে এই সনদ দেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া হলে সহজেই তাঁরা সনদ পাবেন।’
১ শতাংশ কোটাও ফাঁকা!
সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা থাকার সময় কখনোই ১ শতাংশ পদের বেশি তাঁরা নিয়োগ পাননি। কোটা কমিয়ে এখন ১ শতাংশ করা হলেও হিসাবের মারপ্যাঁচে তাও ফাঁকা থাকছে।
সূত্র জানায়, ৪০, ৪১ ও ৪২তম বিসিএসের সাধারণ ক্যাডারে নিয়োগের জন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর চার প্রার্থী সুপারিশ পেয়েছেন, যা মোট সুপারিশপ্রাপ্তদের ০.০৫ শতাংশ। নন-ক্যাডার এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগে পদস্বল্পতায় কোটা পাচ্ছেন না ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীরা।
তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে কোন কোন এলাকার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন, তা বলে দেওয়া হয়। অনেক সময় দেখা যায়, এসব এলাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস নেই।
রিপন চন্দ্র বানাই বলেন, ১০০ জনের বেশি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিলে এখন কোটা পাওয়া যায় না। আবার কোটায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা সংরক্ষণ না করে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে থেকে পূরণ করা হচ্ছে। তিনি কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা সংরক্ষণের দাবি জানান।
এদিকে কোটাপদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ প্রণয়ন কমিটির কাছে সম্প্রতি যৌথ স্মারকলিপি দিয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের পাঁচটি সংগঠন। এতে কোটায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীদের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণের নম্বর প্রচলিত নম্বরের ৮০ শতাংশ করা; লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই মৌখিক পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া; এই কোটাকে বিভাগ, জেলা বা জনসংখ্যার ভিত্তিতে বিবেচনা না করে জাতীয় পর্যায়ে বিবেচনা করা; কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেসব পদ সংরক্ষণ করা এবং সার্কেলপ্রধান ও ডিসিদের বাইরে আদিবাসী ফোরামের হাতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার এখতিয়ার দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১৮ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
২১ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
২১ ঘণ্টা আগেঅষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) ও রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

সরকারি চাকরিতে পার্বত্য অঞ্চল ও সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদেরও নিয়োগের বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করতে পারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সরকারি চাকরিতে...
১২ মে ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১৮ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
২১ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও তাঁদের পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে যমুনা অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। শাহবাগ থানার সামনে মিছিলটি পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সদস্যসচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়। সেদিন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানানো হয়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বেশ কয়েকবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি, কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।’
আলিফ হোসেন আরও বলেন, ‘আজও শাহবাগ থানার সামনে আমাদের পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষেধ। তাই চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতিলেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবেন—এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও তাঁদের পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে যমুনা অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। শাহবাগ থানার সামনে মিছিলটি পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সদস্যসচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়। সেদিন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানানো হয়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বেশ কয়েকবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি, কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।’
আলিফ হোসেন আরও বলেন, ‘আজও শাহবাগ থানার সামনে আমাদের পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষেধ। তাই চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতিলেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবেন—এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

সরকারি চাকরিতে পার্বত্য অঞ্চল ও সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদেরও নিয়োগের বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করতে পারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সরকারি চাকরিতে...
১২ মে ২০২৫
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
২১ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
২১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

সরকারি চাকরিতে পার্বত্য অঞ্চল ও সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদেরও নিয়োগের বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করতে পারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সরকারি চাকরিতে...
১২ মে ২০২৫
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১৮ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
২১ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট।
তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণকে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট।
তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণকে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

সরকারি চাকরিতে পার্বত্য অঞ্চল ও সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদেরও নিয়োগের বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করতে পারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সরকারি চাকরিতে...
১২ মে ২০২৫
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১৮ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
২১ ঘণ্টা আগে