নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কঠোর নির্দেশনার পরেও রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলন মোকাবিলায় মাঠে ছিলেন না আওয়ামী লীগসহ দলটির সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সহিংসতা বেশি হওয়া এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এরই মধ্যে সমন্বয় সভা করেছে দলটি। এর অংশ হিসেবে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে যৌথ সভাও ডাকা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাদের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আন্দোলন-পরবর্তী পরিস্থিতিতে দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গত মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতা, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাদের ব্রিফ করেন ওবায়দুল কাদের। সেখানে সহিংসতা মোকাবিলায় নেতা-কর্মীদের মাঠে রাখতে না পারাটাই সাংগঠনিক ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
এরপর বুধ ও বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় আন্দোলন মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে, তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করে আওয়ামী লীগ। সেখানে দলের বিভিন্ন সমস্যার কথা উঠে আসে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ১৮ ও ১৯ জুলাই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা হয়। এসব এলাকায় আন্দোলনকারীদের মোকাবিলায় পুলিশকে দেখা গেলেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের তেমন দেখা যায়নি। ১৮ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে চলে আসে দুষ্কৃতকারীরা।
সে সময় কার্যালয়টির সামনে শতাধিক নেতা-কর্মী ছিলেন। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ধাওয়া দেন। ওই দিন দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য ধানমন্ডি ৩/এ সড়কের মাথায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
১৯ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডি ৩/এ ও শাহবাগ এলাকায় আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সংঘবদ্ধ অবস্থান দেখা গিয়েছিল। এ ছাড়া অন্যান্য এলাকায় আওয়ামী লীগ ছিল অনেকটাই ছন্নছাড়া। আন্দোলন মোকাবিলায় রাজপথে নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতি না থাকায় ক্ষমতাসীন দলে তোলপাড় শুরু হয়। দলটির অনেক নেতাই অভিযোগ করছেন, দলের মধ্যে সুবিধাবাদী শ্রেণি তৈরি হওয়ায় কঠিন সময়ে তাঁরা মাঠে নামেননি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের হতশ্রী চেহারা সামনে এসেছে বলে মনে করছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। তাঁরা বলছেন, ক্যাম্পাসভিত্তিক ছাত্রলীগের অজনপ্রিয়তা তাঁদের ভাবাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল রাখার হুংকার দিলেও বাস্তবে সেটা আষাঢ়ের তর্জন-গর্জনই ছিল। শেষ পর্যন্ত তাঁদের ক্যাম্পাসছাড়া হতে হয়।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, আন্দোলন-সংগ্রামে সম্মুখ সারির সৈনিক হিসেবে যুবলীগকে বিবেচনা করা হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে সংগঠনটির ভূমিকা ছিল। কিন্তু চলমান আন্দোলনে তাদের ব্যর্থতাও বেশ চোখে পড়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগ দীর্ঘদিন ধরে চলছে ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে। এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদেরও নির্দিষ্ট একটি এলাকার বাইরে দেখা যায়নি।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিভিন্ন দুর্বলতা সামনে এসেছে। সেগুলো নিয়ে মঙ্গলবারের বৈঠকে খোলামেলা আলোচনা হবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে সংগঠন গোছাতে দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।
কঠোর নির্দেশনার পরেও রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলন মোকাবিলায় মাঠে ছিলেন না আওয়ামী লীগসহ দলটির সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সহিংসতা বেশি হওয়া এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এরই মধ্যে সমন্বয় সভা করেছে দলটি। এর অংশ হিসেবে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে যৌথ সভাও ডাকা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাদের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আন্দোলন-পরবর্তী পরিস্থিতিতে দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গত মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতা, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাদের ব্রিফ করেন ওবায়দুল কাদের। সেখানে সহিংসতা মোকাবিলায় নেতা-কর্মীদের মাঠে রাখতে না পারাটাই সাংগঠনিক ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
এরপর বুধ ও বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় আন্দোলন মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে, তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করে আওয়ামী লীগ। সেখানে দলের বিভিন্ন সমস্যার কথা উঠে আসে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ১৮ ও ১৯ জুলাই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা হয়। এসব এলাকায় আন্দোলনকারীদের মোকাবিলায় পুলিশকে দেখা গেলেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের তেমন দেখা যায়নি। ১৮ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে চলে আসে দুষ্কৃতকারীরা।
সে সময় কার্যালয়টির সামনে শতাধিক নেতা-কর্মী ছিলেন। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ধাওয়া দেন। ওই দিন দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য ধানমন্ডি ৩/এ সড়কের মাথায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
১৯ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডি ৩/এ ও শাহবাগ এলাকায় আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সংঘবদ্ধ অবস্থান দেখা গিয়েছিল। এ ছাড়া অন্যান্য এলাকায় আওয়ামী লীগ ছিল অনেকটাই ছন্নছাড়া। আন্দোলন মোকাবিলায় রাজপথে নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতি না থাকায় ক্ষমতাসীন দলে তোলপাড় শুরু হয়। দলটির অনেক নেতাই অভিযোগ করছেন, দলের মধ্যে সুবিধাবাদী শ্রেণি তৈরি হওয়ায় কঠিন সময়ে তাঁরা মাঠে নামেননি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের হতশ্রী চেহারা সামনে এসেছে বলে মনে করছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। তাঁরা বলছেন, ক্যাম্পাসভিত্তিক ছাত্রলীগের অজনপ্রিয়তা তাঁদের ভাবাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল রাখার হুংকার দিলেও বাস্তবে সেটা আষাঢ়ের তর্জন-গর্জনই ছিল। শেষ পর্যন্ত তাঁদের ক্যাম্পাসছাড়া হতে হয়।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, আন্দোলন-সংগ্রামে সম্মুখ সারির সৈনিক হিসেবে যুবলীগকে বিবেচনা করা হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে সংগঠনটির ভূমিকা ছিল। কিন্তু চলমান আন্দোলনে তাদের ব্যর্থতাও বেশ চোখে পড়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগ দীর্ঘদিন ধরে চলছে ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে। এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদেরও নির্দিষ্ট একটি এলাকার বাইরে দেখা যায়নি।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিভিন্ন দুর্বলতা সামনে এসেছে। সেগুলো নিয়ে মঙ্গলবারের বৈঠকে খোলামেলা আলোচনা হবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে সংগঠন গোছাতে দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় ধরনের ব্যর্থতা দেখিয়েছে বলে মনে করে রাজনৈতিক দলের নেতারা। মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে বহু শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবার দিনভর রাজধানীতে বিক্ষোভ ছিল।
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হওয়ার আগমুহূর্তেও কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন যুদ্ধবিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর। কন্ট্রোল রুমকে তিনি বলেছিলেন, ‘বিমান ভাসছে না...মনে হচ্ছে নিচে পড়ছে।’
৭ ঘণ্টা আগেবিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ৪টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় আধঘণ্টার বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক রাত সাড়ে ৯টার পর শেষ হয়।
৯ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অর্থসহায়তা চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সেটিকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠলে আজ মঙ্গলবার দুপুরে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়
১০ ঘণ্টা আগে