বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
অমর এক কবিতায় আছে, যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদারেরা এক তরুণকে সার্চ করছে। পকেট উল্টেপাল্টে দেখছে বোমা বা অন্য কোনো অস্ত্র আছে কি না। কিছুই খুঁজে পেল না তারা। তাই হত্যাও করতে পারল না তরুণকে। ছেড়ে দিতে বাধ্য হলো। তরুণটি হাসতে হাসতে পথ চলতে থাকল। হানাদারেরা জানতেও পারল না, ছেলেটির অস্তিত্বে লুকানো ছিল সবচেয়ে বড় অস্ত্র—সে অস্ত্র ধুকধুক করে স্পন্দিত হচ্ছিল এবং হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দনেই ধ্বনিত হচ্ছিল ‘স্বাধীনতা’ শব্দটি।
আজ ২৬ মার্চ, আমাদের স্বাধীনতা দিবস। পৃথিবীর যে দেশগুলো সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে এনেছে, বাংলাদেশ সে দেশগুলোর অন্যতম। ২৫ মার্চ বাংলাকে নারকীয় নৃশংসতায় জাহান্নামে পরিণত করেছিল ইয়াহিয়ার অনুগত সেনা নামক হত্যাকারীরা। বাঙালি ‘যার যা আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা’ করেছিল।
তাদের হৃদয়ে তখন ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বাক্যটি।
স্বাধীনতার মাধ্যমে মুক্তির যে আকাঙ্ক্ষা ছিল দেশবাসীর, সে মুক্তির সন্ধান মেলেনি। নানা সময় নানাভাবে সে পথে তৈরি করা হয়েছে প্রতিবন্ধকতা। কিন্তু কে না জানে, ১৯৭১ সালের প্রতিটি মানুষের হৃদয়েই স্পন্দিত হয়েছিল ‘স্বাধীনতা’ শব্দটি। গুটিকয় পাকিস্তানি দালাল ছাড়া সারা দেশই সে সময় ছিল মুক্তির সৈনিক।
এই ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না। নতুন যুগের মানুষেরা যখন পেছন ফিরে সেই সময়টিকে অনুধাবন করবে, তখন তারা বুঝবে জাতীয় ঐক্যের সীমাহীন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল সেদিন। আর যে মানুষটিকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছিল সে সম্ভাবনা, তিনি অবশ্যই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর আপসহীন নেতৃত্বে বাঙালি জাতি মেলে দিতে পেরেছিল তার স্বপ্নের ডানা। গুটিকয় দালাল ছাড়া সবাই ছিল নতুন এক দেশের সঙ্গে মিতালি পাতানোর জন্য উদ্গ্রীব।
স্বাধীনতার জন্য ১৯৭১ সালের মহান লড়াই বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন। এই বিশাল কীর্তির সঙ্গে আর কিছুই তুলনীয় নয়। নতুন নতুন সংকটে নতুন নতুন বিজয় আসে ঠিকই, তাতে জাতি আবার স্বপ্ন দেখে নতুন করে, কিন্তু সে বিজয় ৩০ লাখ জীবনের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সঙ্গে তুলনীয় হতে পারে না।
যেকোনো কারণেই হঠাৎ করে উগ্রতা ও মব ভায়োলেন্সের জন্ম হচ্ছে আজকাল। এটা স্বাধীনতা দিবসের অঙ্গীকারকে বিদ্রূপ করে। এই ভয়াবহতা থেকে মুক্ত হতে হবে। সহনশীলতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, পরধর্মকে সম্মান করা, নারীকে অসম্মান না করা, আইন মেনে চলার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। এই দেশে কেউ যেন ভয়ের সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে না ওঠে, তা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু টেন্ডারবাজি, হঠকারিতা, পেশিশক্তি প্রদর্শন, শিষ্টাচার-বহির্ভূত ফেসবুক স্ট্যাটাসসহ যাবতীয় অস্বচ্ছতা থেকে মুক্ত হতে হবে।
২৬ মার্চ মনের মধ্যে যে দ্যোতনার সৃষ্টি করে, তা যেন প্রজন্মের পর প্রজন্মকে সত্য পথের দিশা দেয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি। বারবার একইভাবে প্রতারিত হওয়ার দিন শেষ হতে হবে। একটি মুক্ত, শঙ্কাহীন দেশ স্বাধীনতা দিবসের অঙ্গীকারকে মহিমান্বিত করে তুলবে। যুগের পর যুগ এ দেশের জনগণ তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন নিয়ে গর্ব করতে পারবে—এটাই হতে পারে এই দিবসটির সবচেয়ে জরুরি চাওয়া।
অমর এক কবিতায় আছে, যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদারেরা এক তরুণকে সার্চ করছে। পকেট উল্টেপাল্টে দেখছে বোমা বা অন্য কোনো অস্ত্র আছে কি না। কিছুই খুঁজে পেল না তারা। তাই হত্যাও করতে পারল না তরুণকে। ছেড়ে দিতে বাধ্য হলো। তরুণটি হাসতে হাসতে পথ চলতে থাকল। হানাদারেরা জানতেও পারল না, ছেলেটির অস্তিত্বে লুকানো ছিল সবচেয়ে বড় অস্ত্র—সে অস্ত্র ধুকধুক করে স্পন্দিত হচ্ছিল এবং হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দনেই ধ্বনিত হচ্ছিল ‘স্বাধীনতা’ শব্দটি।
আজ ২৬ মার্চ, আমাদের স্বাধীনতা দিবস। পৃথিবীর যে দেশগুলো সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে এনেছে, বাংলাদেশ সে দেশগুলোর অন্যতম। ২৫ মার্চ বাংলাকে নারকীয় নৃশংসতায় জাহান্নামে পরিণত করেছিল ইয়াহিয়ার অনুগত সেনা নামক হত্যাকারীরা। বাঙালি ‘যার যা আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা’ করেছিল।
তাদের হৃদয়ে তখন ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বাক্যটি।
স্বাধীনতার মাধ্যমে মুক্তির যে আকাঙ্ক্ষা ছিল দেশবাসীর, সে মুক্তির সন্ধান মেলেনি। নানা সময় নানাভাবে সে পথে তৈরি করা হয়েছে প্রতিবন্ধকতা। কিন্তু কে না জানে, ১৯৭১ সালের প্রতিটি মানুষের হৃদয়েই স্পন্দিত হয়েছিল ‘স্বাধীনতা’ শব্দটি। গুটিকয় পাকিস্তানি দালাল ছাড়া সারা দেশই সে সময় ছিল মুক্তির সৈনিক।
এই ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না। নতুন যুগের মানুষেরা যখন পেছন ফিরে সেই সময়টিকে অনুধাবন করবে, তখন তারা বুঝবে জাতীয় ঐক্যের সীমাহীন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল সেদিন। আর যে মানুষটিকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছিল সে সম্ভাবনা, তিনি অবশ্যই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর আপসহীন নেতৃত্বে বাঙালি জাতি মেলে দিতে পেরেছিল তার স্বপ্নের ডানা। গুটিকয় দালাল ছাড়া সবাই ছিল নতুন এক দেশের সঙ্গে মিতালি পাতানোর জন্য উদ্গ্রীব।
স্বাধীনতার জন্য ১৯৭১ সালের মহান লড়াই বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন। এই বিশাল কীর্তির সঙ্গে আর কিছুই তুলনীয় নয়। নতুন নতুন সংকটে নতুন নতুন বিজয় আসে ঠিকই, তাতে জাতি আবার স্বপ্ন দেখে নতুন করে, কিন্তু সে বিজয় ৩০ লাখ জীবনের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সঙ্গে তুলনীয় হতে পারে না।
যেকোনো কারণেই হঠাৎ করে উগ্রতা ও মব ভায়োলেন্সের জন্ম হচ্ছে আজকাল। এটা স্বাধীনতা দিবসের অঙ্গীকারকে বিদ্রূপ করে। এই ভয়াবহতা থেকে মুক্ত হতে হবে। সহনশীলতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, পরধর্মকে সম্মান করা, নারীকে অসম্মান না করা, আইন মেনে চলার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। এই দেশে কেউ যেন ভয়ের সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে না ওঠে, তা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু টেন্ডারবাজি, হঠকারিতা, পেশিশক্তি প্রদর্শন, শিষ্টাচার-বহির্ভূত ফেসবুক স্ট্যাটাসসহ যাবতীয় অস্বচ্ছতা থেকে মুক্ত হতে হবে।
২৬ মার্চ মনের মধ্যে যে দ্যোতনার সৃষ্টি করে, তা যেন প্রজন্মের পর প্রজন্মকে সত্য পথের দিশা দেয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি। বারবার একইভাবে প্রতারিত হওয়ার দিন শেষ হতে হবে। একটি মুক্ত, শঙ্কাহীন দেশ স্বাধীনতা দিবসের অঙ্গীকারকে মহিমান্বিত করে তুলবে। যুগের পর যুগ এ দেশের জনগণ তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন নিয়ে গর্ব করতে পারবে—এটাই হতে পারে এই দিবসটির সবচেয়ে জরুরি চাওয়া।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বলপ্রয়োগের প্রতিবাদ জানিয়েছে সিপিবি, বাসদ ও বাংলাদেশ জাসদ। আজ বুধবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে ১০ মিনিটের প্রতীকী ওয়াকআউট করে দলগুলো।
১৫ মিনিট আগেউত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় ধরনের ব্যর্থতা দেখিয়েছে বলে মনে করে রাজনৈতিক দলের নেতারা। মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে বহু শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবার দিনভর রাজধানীতে বিক্ষোভ ছিল।
১১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হওয়ার আগমুহূর্তেও কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন যুদ্ধবিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর। কন্ট্রোল রুমকে তিনি বলেছিলেন, ‘বিমান ভাসছে না...মনে হচ্ছে নিচে পড়ছে।’
১২ ঘণ্টা আগেবিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ৪টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় আধঘণ্টার বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক রাত সাড়ে ৯টার পর শেষ হয়।
১৫ ঘণ্টা আগে