নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোথাও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভোট আবার কোথাও ব্যালট এ ধরনের কোনো বৈষম্য চায় না জাতীয় পার্টি-জেপি (মঞ্জু)। প্রয়োজনে ৩০০ আসনের পুরোটায় ইভিএমে কিংবা প্রতিটি আসনের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক কেন্দ্রে মেশিনের সক্ষমতা অনুযায়ী ১০ শতাংশ অথবা ১৫ শতাংশ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট করার জন্য সুপারিশ করেছে দলটি।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে বসে এমন সুপারিশ করে দলটি। সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নেতৃত্বাধীন দল জাতীয় পার্টি (জেপি)।
গত ১৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩৯টি দলকেই সংলাপে আসার সময় জন্য দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে বিএনপিসহ নয়টি দল সংলাপে অংশ নেয়নি। ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছিল ৩০টি দল। এর মধ্যে দু’টি দল (জেপি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি) আসতে না পারার কারণ দেখিয়ে পরবর্তীতে সংলাপের জন্য সময় চেয়েছিল। পরে দল দু’টিকে সোমবার সংলাপে বসার সময় দেয় সাংবিধানিক এ সংস্থা।
দ্বাদশ ভোট অবাধ নিরপেক্ষ ও সব দলের অংশগ্রহণমূলক হয় সে বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে জেপির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম। বলেন, ‘কেবল মাত্র ইসি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ভোট করতে পারে না। দু একটি দল ভোটে অংশ না নিলেও নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়।’
নির্বাচন কমিশনকে কেবল রাজনৈতিক দলের নয় জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে বলে জানান তিনি।
শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যেন নিজেদেরকে কোনো ধরনের বিতর্কের মধ্যে না ফেলে। নির্বাচনী সীমানা যারা এমপি তারা সুদীর্ঘ কাল ধরে সে তারা তাদের সংসদীয় এলাকা তৈরি করেছে। এখন বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয় তাহলে তাদের প্রতি অবিচার করা হয়ে যায়। এ কথাও বলেছি শহরে জনসংখ্যা বেশি বলে গ্রামাঞ্চলে আসনের সংখ্যা যেন কমানো না হয়।’ মাইনর অ্যাডজাস্টমেন্ট তারা করতে পারেন বলে যোগ করেন তিনি।
ইভিএমের প্রসঙ্গ টেনে শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘৩০০ আসনে যদি ইভিএম ব্যবহার করা হয় তাহলে ইভিএম ব্যবহার করত হবে। নির্বাচন কমিশন একান্তই ইভিএম ব্যবহার করতে চান তাহলে প্রত্যেকটি আসনে সুনির্দিষ্টভাবে ইভিএম ব্যবহার করতে হবে। দেড় শ আসনে ইভিএম করবেন বাকি আসনে করবেন না তাতে দুটো এলাকাতে একটা বৈষম্যমূলক আচরণ হয়ে গেল। প্রত্যেকটা এলাকায় ১০ শতাংশ বা ১৫ শতাংশ দেন সঙ্গে এবং প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল সাপোর্ট যেন থাকে যাতে মানুষের কোনো আস্থার সংকট থাকবে না।’
সংলাপে জেপির সুপারিশগুলো হলো
১) নির্বাচন বর্জন, হরতাল, সংঘাত বা অনির্বাচিত ব্যক্তির দেশ পরিচালনায় জাতীয় পার্টি-জেপি বিশ্বাস করে না।
২) বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নির্বাচন কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠেনি। মূলত বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের বাধা সৃষ্টি করে এবং কোনো না কোনো সময় নির্বাচন কমিশনও এতে জড়িয়ে পড়ে। তাই গণতন্ত্রের চর্চা সঠিকভাবে হয় না। গণতন্ত্রকে রক্ষা বা পাহারা দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
৩) জাতীয় পার্টি জেপি নির্বাচনে প্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষে। নির্বাচন কমিশন যদি এক সঙ্গে ৩০০ আসনের সকল ভোটকেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করতে না পারে, তাহলে ইভিএম এ নির্বাচন করা সঠিক হবে না। কিছু আসনে ইভিএম হলো কিছু আসনে হলো না, যেটা ডিসক্রিমিনিশন হয়। কোথাও ব্যালট কোথাও ইভিএম এটি উচিত না। যদি ৩০০ আসনের নির্বাচন ইভিএম এ সম্পন্ন করা সম্ভব হয় তবে ইভিএম এ ভোটগ্রহণ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ৩০০ আসনের কিছু কিছু ভোটকেন্দ্রে ইভিএম এ নির্বাচন করা যেতে পারে।
৪) জাতীয় সংসদের সীমানা বর্তমানে যেভাবে আছে তা বহাল রাখা যেতে পারে। বড় কোনো পরিবর্তন না করার পক্ষে।
৫) বিতর্ক এড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে মিডিয়ার সামনে কম কথা বলা প্রয়োজন।
৬) নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু করলে সকল দলই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তবে, কোনো দলকে নির্বাচনে আনার চেষ্টা করা নির্বাচনে কমিশনের কাজ নয়।
৭) নির্বাচন কমিশনের কাজ যেনো নিরপেক্ষ হয়, এটা দৃশ্যমান হতে হবে।
৮) সকল দল ও প্রার্থীর প্রতি নির্বাচন কমিশনের সমান ও নিরপেক্ষ আচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
৯) যুদ্ধাপরাধী বা মানবতা বিরোধী অপরাধী বা যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি যাতে ভোটকেন্দ্রে ও নির্বাচনে দায়িত্ব না পায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
১০) প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্বাচনের কমিশনের অধীনে না আনলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোথাও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভোট আবার কোথাও ব্যালট এ ধরনের কোনো বৈষম্য চায় না জাতীয় পার্টি-জেপি (মঞ্জু)। প্রয়োজনে ৩০০ আসনের পুরোটায় ইভিএমে কিংবা প্রতিটি আসনের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক কেন্দ্রে মেশিনের সক্ষমতা অনুযায়ী ১০ শতাংশ অথবা ১৫ শতাংশ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট করার জন্য সুপারিশ করেছে দলটি।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে বসে এমন সুপারিশ করে দলটি। সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নেতৃত্বাধীন দল জাতীয় পার্টি (জেপি)।
গত ১৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩৯টি দলকেই সংলাপে আসার সময় জন্য দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে বিএনপিসহ নয়টি দল সংলাপে অংশ নেয়নি। ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছিল ৩০টি দল। এর মধ্যে দু’টি দল (জেপি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি) আসতে না পারার কারণ দেখিয়ে পরবর্তীতে সংলাপের জন্য সময় চেয়েছিল। পরে দল দু’টিকে সোমবার সংলাপে বসার সময় দেয় সাংবিধানিক এ সংস্থা।
দ্বাদশ ভোট অবাধ নিরপেক্ষ ও সব দলের অংশগ্রহণমূলক হয় সে বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে জেপির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম। বলেন, ‘কেবল মাত্র ইসি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ভোট করতে পারে না। দু একটি দল ভোটে অংশ না নিলেও নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়।’
নির্বাচন কমিশনকে কেবল রাজনৈতিক দলের নয় জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে বলে জানান তিনি।
শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যেন নিজেদেরকে কোনো ধরনের বিতর্কের মধ্যে না ফেলে। নির্বাচনী সীমানা যারা এমপি তারা সুদীর্ঘ কাল ধরে সে তারা তাদের সংসদীয় এলাকা তৈরি করেছে। এখন বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয় তাহলে তাদের প্রতি অবিচার করা হয়ে যায়। এ কথাও বলেছি শহরে জনসংখ্যা বেশি বলে গ্রামাঞ্চলে আসনের সংখ্যা যেন কমানো না হয়।’ মাইনর অ্যাডজাস্টমেন্ট তারা করতে পারেন বলে যোগ করেন তিনি।
ইভিএমের প্রসঙ্গ টেনে শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘৩০০ আসনে যদি ইভিএম ব্যবহার করা হয় তাহলে ইভিএম ব্যবহার করত হবে। নির্বাচন কমিশন একান্তই ইভিএম ব্যবহার করতে চান তাহলে প্রত্যেকটি আসনে সুনির্দিষ্টভাবে ইভিএম ব্যবহার করতে হবে। দেড় শ আসনে ইভিএম করবেন বাকি আসনে করবেন না তাতে দুটো এলাকাতে একটা বৈষম্যমূলক আচরণ হয়ে গেল। প্রত্যেকটা এলাকায় ১০ শতাংশ বা ১৫ শতাংশ দেন সঙ্গে এবং প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল সাপোর্ট যেন থাকে যাতে মানুষের কোনো আস্থার সংকট থাকবে না।’
সংলাপে জেপির সুপারিশগুলো হলো
১) নির্বাচন বর্জন, হরতাল, সংঘাত বা অনির্বাচিত ব্যক্তির দেশ পরিচালনায় জাতীয় পার্টি-জেপি বিশ্বাস করে না।
২) বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নির্বাচন কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠেনি। মূলত বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের বাধা সৃষ্টি করে এবং কোনো না কোনো সময় নির্বাচন কমিশনও এতে জড়িয়ে পড়ে। তাই গণতন্ত্রের চর্চা সঠিকভাবে হয় না। গণতন্ত্রকে রক্ষা বা পাহারা দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
৩) জাতীয় পার্টি জেপি নির্বাচনে প্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষে। নির্বাচন কমিশন যদি এক সঙ্গে ৩০০ আসনের সকল ভোটকেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করতে না পারে, তাহলে ইভিএম এ নির্বাচন করা সঠিক হবে না। কিছু আসনে ইভিএম হলো কিছু আসনে হলো না, যেটা ডিসক্রিমিনিশন হয়। কোথাও ব্যালট কোথাও ইভিএম এটি উচিত না। যদি ৩০০ আসনের নির্বাচন ইভিএম এ সম্পন্ন করা সম্ভব হয় তবে ইভিএম এ ভোটগ্রহণ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ৩০০ আসনের কিছু কিছু ভোটকেন্দ্রে ইভিএম এ নির্বাচন করা যেতে পারে।
৪) জাতীয় সংসদের সীমানা বর্তমানে যেভাবে আছে তা বহাল রাখা যেতে পারে। বড় কোনো পরিবর্তন না করার পক্ষে।
৫) বিতর্ক এড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে মিডিয়ার সামনে কম কথা বলা প্রয়োজন।
৬) নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু করলে সকল দলই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তবে, কোনো দলকে নির্বাচনে আনার চেষ্টা করা নির্বাচনে কমিশনের কাজ নয়।
৭) নির্বাচন কমিশনের কাজ যেনো নিরপেক্ষ হয়, এটা দৃশ্যমান হতে হবে।
৮) সকল দল ও প্রার্থীর প্রতি নির্বাচন কমিশনের সমান ও নিরপেক্ষ আচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
৯) যুদ্ধাপরাধী বা মানবতা বিরোধী অপরাধী বা যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি যাতে ভোটকেন্দ্রে ও নির্বাচনে দায়িত্ব না পায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
১০) প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্বাচনের কমিশনের অধীনে না আনলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
প্রধান উপদেষ্টার সম্প্রতি চীন সফরের ফলাফল পর্যালোচনা এবং বাংলাদেশ-চীন সহযোগিতা দ্রুততর করতে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তাঁরা এ সাক্ষাৎ করেন।
৯ ঘণ্টা আগেএজেন্সিগুলোর গাফিলতির কারণে চলতি বছর প্রায় সাড়ে ১০ হাজার ব্যক্তির হজ পালন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। এ নিয়ে ধর্ম উপদেষ্টার হুঁশিয়ারির পর তৎপরতা বাড়িয়েছে এজেন্সিগুলো। এতে অনিশ্চয়তা প্রায় কেটে গেছে। হজযাত্রীদের ভিসাপ্রক্রিয়াও প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকোর মহাপরিচালক পদে (২০২৫-২৯) মেক্সিকোর প্রার্থী গ্যাব্রিয়েলা রামোস পাটিনা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তিনি এ সাক্ষাৎ করেন। এ সময় মেক্সিকোর অনাবাসিক
৯ ঘণ্টা আগেজুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতি–সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আবেদনটি আগামী ১৮ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির...
১১ ঘণ্টা আগে