Ajker Patrika

গোপালগঞ্জে সহিংসতা: নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি ২১ নাগরিকের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচি ঘিরে হতাহতের ঘটনায় নিন্দা এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন শিক্ষক, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মীসহ ২১ বিশিষ্ট নাগরিক। আজ শনিবার (১৯ জুলাই) গণমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠানো হয়।

সংবাদমাধ্যমে সূত্র উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি নামের রাজনৈতিক দলের এক কর্মসূচিকে ঘিরে ১৬ জুলাই, ২০২৫ গোপালগঞ্জে তাদের ওপর হামলা এবং দিনভর সহিংসতা চলেছে। এই সহিংসতায় ইতিমধ্যে পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন দীপ্ত সাহা (২৫), রমজান কাজী (১৮), সোহেল মোল্লা (৪১), ইমন তালুকদার (২৪) ও রমজান মুন্সী (৩২)। আরও অনেকে গুলিবিদ্ধসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন বলে খবরে প্রকাশ পায়। এতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’

বিবৃতিতে তাঁরা জানায়, ‘এ ঘটনার ব্যাপারে আমরা তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানাই। এই ব্যাপারে অবিলম্বে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি ভুক্তভোগীদের জরুরি সেবা এবং ক্ষতিপূরণের দাবিও জানাচ্ছি।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘যত দূর জানা যায়, ওই রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে এক দিন আগে থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ প্রচারণা, বিদ্বেষ এবং উত্তেজনামূলক বক্তব্য চালানো হয়েছিল। জেলা ও স্থানীয় প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পূর্ব থেকেই বিষয়টি অবহিত ছিলেন বলে সংগত কারণেই আমরা ধরে নিতে পারি। পতিত স্বৈরশাসকদের সহিংস দোসরদের যে ইন্ধন থাকতে পারে তা-ও তাদের স্পষ্টই জানা থাকার কথা। কিন্তু কেন এ বিষয়ে তখন থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো না, তা তদন্তের মাধ্যমে উদ্ঘাটন করতে হবে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ওই দিন সকালে পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়া হয় এবং গোপালগঞ্জ সদর থানার ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এসব ঘটনার পরও এনসিপির সমাবেশ ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। একদল লোক লাঠিসোঁটা এবং অন্যান্য অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এনসিপির সমাবেশস্থলে হামলা চালায়। ২০০ থেকে ৩০০ লোক এই হামলায় অংশ নিয়েছিল বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। সে সময় মঞ্চের আশপাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা নির্বিকার ছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে। সহিংসতার তাণ্ডব চলাকালে একপর্যায়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় সহিংস অস্ত্রধারী এবং বিক্ষুব্ধ কিছু মানুষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে কয়েকজনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।’

হাসপাতাল সূত্র উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিহত ব্যক্তিরা বাদে আরও ৯ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাঁদের কর্তব্যে অবহেলা, গুলিবর্ষণের ক্ষমতার অপব্যবহার কিংবা অন্য ধরনের বাড়াবাড়ি হয়েছিল কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।’

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে কয়েকজন হলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ড. সামিনা লুৎফা, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, মানবাধিকারকর্মী রেজাউর রহমান লেলিন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কাও ঢাকায় এসিসির সভা বর্জন করল

মুক্তি পেয়ে আ.লীগ নেতার ভিডিও বার্তা, বেআইনি বলল বিএনপি

গাড়ি কেনার টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে মারধর, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে মামলা

যুদ্ধবিমানের ২৫০ ইঞ্জিন কিনছে ভারত, ফ্রান্সের সঙ্গে ৬১ হাজার কোটি রুপির চুক্তি

সালাহউদ্দিনকে নিয়ে বিষোদ্‌গার: চকরিয়ায় এনসিপির পথসভার মঞ্চে বিএনপির হামলা-ভাঙচুর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত