ঢাবি সংবাদদাতা

‘একুশ আমাদের চেতনা, আমাদের দায়। একুশের মাঝেই লুকিয়ে আছে আমাদের অস্তিত্বের বীজ। যত দিন পৃথিবীতে বাঙালি জাতি বেঁচে থাকবে, তত দিন একুশের এই উদযাপন অনিবার্য। একুশ হারিয়ে গেলে হারিয়ে যাবে আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়। রাজনৈতিক-সামাজিক নানা উত্থান-পতনের মাঝে এই একুশের মাঝেই আমরা নিজেদের পরিচয় খুঁজে পাই।’ বলছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মেডিকেল বিভাগের চাকরিজীবী ইফতেখারুল ইসলাম। আজ শুক্রবার একুশে ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন তিনি।
একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে একুশের এ দায় থেকে মুক্ত হতে ছুটে আসে দেশ-বিদেশের লাখো মানুষ। নানা শ্রেণি-পেশা ধর্ম-বর্ণের মানুষের কোলাহলে জীবন্ত হয়ে উঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। মানুষ হৃদয়ের গহিনে লুকিয়ে থাকার শ্রদ্ধার সামান্য বহিঃপ্রকাশ ঘটান পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে। শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ মানুষের সংমিশ্রণ ঘটে একুশের এই আয়োজনে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে একুশের চেতনাকে হস্তান্তর করতে উদ্যোগী সবাই।
সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা বিকল হয়ে যায় কুমিল্লার কমার্শিয়াল আর্টিস্ট আব্দুর রশিদের। শহীদদের প্রতি হৃদয়ে লুকিয়ে থাকা শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে কারও সহায়তা ছাড়া নিজেই চলে এসেছেন শহীদ মিনারে। তিনি বলেন, ‘আমার পরিচয়, আমি বাঙালি। আমার এই পরিচয়ের সূচনা এই দিবসে। জাতিগত স্বাতন্ত্র্য রক্ষায় নিজেদের বিসর্জন দিয়েছেন ভাষাশহীদেরা। বাঙালি হিসেবে আমার নৈতিক দায়িত্ব, তাঁদের ইতিহাসকে জীবন্ত রাখা। সেই দায়িত্ব পালন করতে ছুটে এসেছি শহীদ মিনারে।’
তিনি বলেন, ‘আমার কিছু আক্ষেপ আছে। আমরা এখানে শ্রদ্ধা জানালেও বাংলা ভাষার মর্যাদা নানাভাবে ভূলুণ্ঠিত করছি। ৮ ফাল্গুন না বলে একুশের পরিচয়ে দিবসটি আয়োজন করছি। ফলে আন্তর্জাতিক মহলে আমার স্বতন্ত্র সংস্কৃতি আর পঞ্জিকা পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। শহীদদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধাকে সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য এ বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরও ভাবা উচিত।’
রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে এসেছেন গৃহিণী মাহমুদা আক্তার। তিনি বলেন, ‘একুশকে ঘিরে আমাদের আনন্দ একটু বেশিই। কারণ দীর্ঘ সাত বছর পর দেশে এসেছি। স্বামীর চাকরির সুবাদে মিশর এবং স্পেনে থাকতে হয়েছে এই সাত বছর। যখন দেশ ছাড়ি তখন বড় মেয়ের বয়স আট। এখন সে পঞ্চম শ্রেণিতে এবং তাঁর ছোট বোন প্রথম শ্রেণিতে শ্রেণিতে পড়ে। দেশে না থাকার কারণে তারা ভাষা আন্দোলন নিয়ে জানতে পারেনি। আমাদের মুখ থেকে শুনে কৌতূহলী হয়ে উঠত। আজ বাঙালির গৌরবগাথার সঙ্গে তাদের পরিচয় করাতে এনেছি। মেয়েরাও জানার সুযোগ পাচ্ছে।’
নারায়ণগঞ্জ পাঠ অধিদপ্তরে চাকরি করেন শেমন্তী পাল। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুনরায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বড় আয়োজনের অংশ হতে এসেছেন। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন নিজের ছেলেকে। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের এমন পরিবেশ না দেখালে তাদের ভেতরে দেশ প্রেম জন্মাবে না। শহীদদের প্রতি মনের গভীর থেকে শ্রদ্ধা আসবে না। সে জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে ছুটে এসেছি এখানে।’
সাভার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন কৃষক আলমগীর হোসেন। সেখান থেকে তিনি এসেছেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। তিনি বলেন, পাশেই শহীদ মিনার। হাজার হাজার মানুষ আসছে শ্রদ্ধা জানাতে। আমি এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।
নরসিংদী থেকে বন্ধুদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন ব্যবসায়ী কবির হোসেন মোল্লা। তিনি বলেন, বাংলা ভাষার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের সারা বিশ্বে মানুষ স্যালুট জানায়। আমাদের গর্বের এই জায়গাগুলো পথ চলতে শেখায়। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম দেশপ্রেম আর সাহস ছড়িয়ে দিতে উৎসাহ জোগায়। মাতৃভাষার মর্যাদা পেলাম যাঁদের জন্য, তাঁদের প্রতি এই শ্রদ্ধা চিরকাল থাকুক।’
শহীদদের প্রতি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের হৃদয়ে থাকা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। একুশের প্রথম প্রহর থেকে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন। ১২টা ১ মিনিটে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তারপর ক্রমান্বয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনুস, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রিফাত আহমেদ, উপদেষ্টা পরিষদের সকল সদস্য, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও হাইকমিশনাররা।
এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসিরুদ্দিন, সেনা-নৌ-বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে তিন বাহিনীর প্রধান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল, ডিএমপি পুলিশ কমিশনার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
১২টা ৪০ মিনিটে শহীদ মিনার সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। একুশের শহীদদের ত্যাগের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল নামে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। নানা সংগঠন, সমিতি ও রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ক্রমান্বয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন মানুষ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক দলের উপস্থিতি ছিল দিনভর। বিভিন্ন ব্যানারে দিনভর শহীদ মিনার এলাকায় শ্রদ্ধা জানান এ সংগঠনগুলোর বিভিন্ন শাখা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ নানা রাজনৈতিক সংগঠন ব্যস্ত থাকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণে। এ ছাড়া দেশের পরিচিত-অপরিচিত, রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক বহু শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি ছিল শহীদ মিনারে।
কালো ব্যাজ, কালো পতাকা ও ব্যানার নিয়ে পলাশী হয়ে জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে সবাই ধীর লয়ে এগিয়ে যান শহীদ মিনারের দিকে। অনেকের পোশাক-সাজসজ্জায় রয়েছে শোকের কালো রং। কণ্ঠে বেদনাবিধুর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে রাজপথে নামে বাংলার আপসহীন ছাত্র-জনতা। মিছিল নিয়ে বের হলে ১৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে পুলিশ। গুলিতে শহীদ হন রফিক, সালাম, বরকত ও আব্দুল জব্বারসহ আরও অনেকে। আহত হন ১৭ জন ছাত্র-যুবক। শহীদদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়ে ওঠে। শোকাবহ এ ঘটনায় সমগ্র পূর্ব বাংলায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৫৩ সাল থেকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয় একুশের আত্মত্যাগী শহীদদের। ইউনেসকো ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর বাংলা ভাষা আন্দোলন, মানুষের ভাষা এবং কৃষ্টির অধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। একুশের এই দিনটি বৈশ্বিক পর্যায়ে গভীর শ্রদ্ধা এবং মর্যাদার সঙ্গে উদযাপন করা হয়।

‘একুশ আমাদের চেতনা, আমাদের দায়। একুশের মাঝেই লুকিয়ে আছে আমাদের অস্তিত্বের বীজ। যত দিন পৃথিবীতে বাঙালি জাতি বেঁচে থাকবে, তত দিন একুশের এই উদযাপন অনিবার্য। একুশ হারিয়ে গেলে হারিয়ে যাবে আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়। রাজনৈতিক-সামাজিক নানা উত্থান-পতনের মাঝে এই একুশের মাঝেই আমরা নিজেদের পরিচয় খুঁজে পাই।’ বলছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মেডিকেল বিভাগের চাকরিজীবী ইফতেখারুল ইসলাম। আজ শুক্রবার একুশে ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন তিনি।
একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে একুশের এ দায় থেকে মুক্ত হতে ছুটে আসে দেশ-বিদেশের লাখো মানুষ। নানা শ্রেণি-পেশা ধর্ম-বর্ণের মানুষের কোলাহলে জীবন্ত হয়ে উঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। মানুষ হৃদয়ের গহিনে লুকিয়ে থাকার শ্রদ্ধার সামান্য বহিঃপ্রকাশ ঘটান পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে। শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ মানুষের সংমিশ্রণ ঘটে একুশের এই আয়োজনে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে একুশের চেতনাকে হস্তান্তর করতে উদ্যোগী সবাই।
সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা বিকল হয়ে যায় কুমিল্লার কমার্শিয়াল আর্টিস্ট আব্দুর রশিদের। শহীদদের প্রতি হৃদয়ে লুকিয়ে থাকা শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে কারও সহায়তা ছাড়া নিজেই চলে এসেছেন শহীদ মিনারে। তিনি বলেন, ‘আমার পরিচয়, আমি বাঙালি। আমার এই পরিচয়ের সূচনা এই দিবসে। জাতিগত স্বাতন্ত্র্য রক্ষায় নিজেদের বিসর্জন দিয়েছেন ভাষাশহীদেরা। বাঙালি হিসেবে আমার নৈতিক দায়িত্ব, তাঁদের ইতিহাসকে জীবন্ত রাখা। সেই দায়িত্ব পালন করতে ছুটে এসেছি শহীদ মিনারে।’
তিনি বলেন, ‘আমার কিছু আক্ষেপ আছে। আমরা এখানে শ্রদ্ধা জানালেও বাংলা ভাষার মর্যাদা নানাভাবে ভূলুণ্ঠিত করছি। ৮ ফাল্গুন না বলে একুশের পরিচয়ে দিবসটি আয়োজন করছি। ফলে আন্তর্জাতিক মহলে আমার স্বতন্ত্র সংস্কৃতি আর পঞ্জিকা পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। শহীদদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধাকে সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য এ বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরও ভাবা উচিত।’
রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে এসেছেন গৃহিণী মাহমুদা আক্তার। তিনি বলেন, ‘একুশকে ঘিরে আমাদের আনন্দ একটু বেশিই। কারণ দীর্ঘ সাত বছর পর দেশে এসেছি। স্বামীর চাকরির সুবাদে মিশর এবং স্পেনে থাকতে হয়েছে এই সাত বছর। যখন দেশ ছাড়ি তখন বড় মেয়ের বয়স আট। এখন সে পঞ্চম শ্রেণিতে এবং তাঁর ছোট বোন প্রথম শ্রেণিতে শ্রেণিতে পড়ে। দেশে না থাকার কারণে তারা ভাষা আন্দোলন নিয়ে জানতে পারেনি। আমাদের মুখ থেকে শুনে কৌতূহলী হয়ে উঠত। আজ বাঙালির গৌরবগাথার সঙ্গে তাদের পরিচয় করাতে এনেছি। মেয়েরাও জানার সুযোগ পাচ্ছে।’
নারায়ণগঞ্জ পাঠ অধিদপ্তরে চাকরি করেন শেমন্তী পাল। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুনরায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বড় আয়োজনের অংশ হতে এসেছেন। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন নিজের ছেলেকে। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের এমন পরিবেশ না দেখালে তাদের ভেতরে দেশ প্রেম জন্মাবে না। শহীদদের প্রতি মনের গভীর থেকে শ্রদ্ধা আসবে না। সে জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে ছুটে এসেছি এখানে।’
সাভার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন কৃষক আলমগীর হোসেন। সেখান থেকে তিনি এসেছেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। তিনি বলেন, পাশেই শহীদ মিনার। হাজার হাজার মানুষ আসছে শ্রদ্ধা জানাতে। আমি এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।
নরসিংদী থেকে বন্ধুদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন ব্যবসায়ী কবির হোসেন মোল্লা। তিনি বলেন, বাংলা ভাষার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের সারা বিশ্বে মানুষ স্যালুট জানায়। আমাদের গর্বের এই জায়গাগুলো পথ চলতে শেখায়। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম দেশপ্রেম আর সাহস ছড়িয়ে দিতে উৎসাহ জোগায়। মাতৃভাষার মর্যাদা পেলাম যাঁদের জন্য, তাঁদের প্রতি এই শ্রদ্ধা চিরকাল থাকুক।’
শহীদদের প্রতি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের হৃদয়ে থাকা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। একুশের প্রথম প্রহর থেকে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন। ১২টা ১ মিনিটে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তারপর ক্রমান্বয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনুস, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রিফাত আহমেদ, উপদেষ্টা পরিষদের সকল সদস্য, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও হাইকমিশনাররা।
এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসিরুদ্দিন, সেনা-নৌ-বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে তিন বাহিনীর প্রধান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল, ডিএমপি পুলিশ কমিশনার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
১২টা ৪০ মিনিটে শহীদ মিনার সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। একুশের শহীদদের ত্যাগের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল নামে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। নানা সংগঠন, সমিতি ও রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ক্রমান্বয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন মানুষ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক দলের উপস্থিতি ছিল দিনভর। বিভিন্ন ব্যানারে দিনভর শহীদ মিনার এলাকায় শ্রদ্ধা জানান এ সংগঠনগুলোর বিভিন্ন শাখা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ নানা রাজনৈতিক সংগঠন ব্যস্ত থাকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণে। এ ছাড়া দেশের পরিচিত-অপরিচিত, রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক বহু শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি ছিল শহীদ মিনারে।
কালো ব্যাজ, কালো পতাকা ও ব্যানার নিয়ে পলাশী হয়ে জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে সবাই ধীর লয়ে এগিয়ে যান শহীদ মিনারের দিকে। অনেকের পোশাক-সাজসজ্জায় রয়েছে শোকের কালো রং। কণ্ঠে বেদনাবিধুর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে রাজপথে নামে বাংলার আপসহীন ছাত্র-জনতা। মিছিল নিয়ে বের হলে ১৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে পুলিশ। গুলিতে শহীদ হন রফিক, সালাম, বরকত ও আব্দুল জব্বারসহ আরও অনেকে। আহত হন ১৭ জন ছাত্র-যুবক। শহীদদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়ে ওঠে। শোকাবহ এ ঘটনায় সমগ্র পূর্ব বাংলায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৫৩ সাল থেকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয় একুশের আত্মত্যাগী শহীদদের। ইউনেসকো ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর বাংলা ভাষা আন্দোলন, মানুষের ভাষা এবং কৃষ্টির অধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। একুশের এই দিনটি বৈশ্বিক পর্যায়ে গভীর শ্রদ্ধা এবং মর্যাদার সঙ্গে উদযাপন করা হয়।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
১৮ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ।
২ ঘণ্টা আগে
মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন।
বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন।
বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।

‘একুশ আমাদের চেতনা, আমাদের দায়। একুশের মাঝেই লুকিয়ে আছে আমাদের অস্তিত্বের বীজ। যত দিন পৃথিবীতে বাঙালি জাতি বেঁচে থাকবে, তত দিন একুশের এই উদযাপন অনিবার্য। একুশ হারিয়ে গেলে হারিয়ে যাবে আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়। রাজনৈতিক-সামাজিক নানা উত্থান-পতনের মাঝে এই একুশের মাঝেই আমরা নিজেদের পরিচয় খুঁজে পাই...
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ।
২ ঘণ্টা আগে
মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। সভায় প্রথমবারের মতো সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত চার বছরে এটি দ্বিতীয় নিবন্ধন।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং ইউনেসকো সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অসামান্য গৌরবের বিষয়। দীর্ঘ দুই শতকের বেশি সময় ধরে টাঙ্গাইলের তাঁতিদের অনবদ্য শিল্পকর্মের বৈশ্বিক স্বীকৃতি এটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সকল নারীর নিত্য পরিধেয়, যা এই শাড়ি বুনন শিল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।’
এই অর্জনকে বাংলাদেশের সকল তাঁতি ও নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা।
বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সামগ্রিক সুরক্ষায় এই স্বীকৃতি নতুন মাত্রা যোগ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তালহা বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি অর্জনের মতো বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক উপাদান রয়েছে।
নথি প্রস্তুত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কনভেনশন সংক্রান্ত অভিজ্ঞ জনবল তৈরি করার মাধ্যমে আরও অনেক ঐতিহ্যের ইউনেসকো-স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের চলমান ২০তম সভা উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক খালেদ এল. এনানি উপস্থিত ছিলেন।

টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। সভায় প্রথমবারের মতো সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত চার বছরে এটি দ্বিতীয় নিবন্ধন।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং ইউনেসকো সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অসামান্য গৌরবের বিষয়। দীর্ঘ দুই শতকের বেশি সময় ধরে টাঙ্গাইলের তাঁতিদের অনবদ্য শিল্পকর্মের বৈশ্বিক স্বীকৃতি এটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সকল নারীর নিত্য পরিধেয়, যা এই শাড়ি বুনন শিল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।’
এই অর্জনকে বাংলাদেশের সকল তাঁতি ও নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা।
বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সামগ্রিক সুরক্ষায় এই স্বীকৃতি নতুন মাত্রা যোগ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তালহা বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি অর্জনের মতো বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক উপাদান রয়েছে।
নথি প্রস্তুত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কনভেনশন সংক্রান্ত অভিজ্ঞ জনবল তৈরি করার মাধ্যমে আরও অনেক ঐতিহ্যের ইউনেসকো-স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের চলমান ২০তম সভা উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক খালেদ এল. এনানি উপস্থিত ছিলেন।

‘একুশ আমাদের চেতনা, আমাদের দায়। একুশের মাঝেই লুকিয়ে আছে আমাদের অস্তিত্বের বীজ। যত দিন পৃথিবীতে বাঙালি জাতি বেঁচে থাকবে, তত দিন একুশের এই উদযাপন অনিবার্য। একুশ হারিয়ে গেলে হারিয়ে যাবে আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়। রাজনৈতিক-সামাজিক নানা উত্থান-পতনের মাঝে এই একুশের মাঝেই আমরা নিজেদের পরিচয় খুঁজে পাই...
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
১৮ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ।
২ ঘণ্টা আগে
মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তোড়জোড়ের মধ্যে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সমসাময়িক বিষয়ে আজ বুধবার বেলা ৩টায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আসিফ মাহমুদের সংবাদ সম্মেলন হবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
সমসাময়িক কোন বিষয়ে আসিফ মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন, মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণপত্রে তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন তিনি।
আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার পর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য ভাষণের রেকর্ড করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আজ সন্ধ্যায় বা আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও আজ পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে।
উপদেষ্টার পদে থেকে নির্বাচন করতে আইনি বাধা না থাকলেও তফসিল ঘোষণার আগে সরকারে থাকা দুজন ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ। তাঁদের আন্দোলন একপর্যায়ে সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে রূপ নেয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর ওই বছরের ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন আসিফ মাহমুদ।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তোড়জোড়ের মধ্যে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সমসাময়িক বিষয়ে আজ বুধবার বেলা ৩টায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আসিফ মাহমুদের সংবাদ সম্মেলন হবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
সমসাময়িক কোন বিষয়ে আসিফ মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন, মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণপত্রে তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন তিনি।
আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার পর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য ভাষণের রেকর্ড করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আজ সন্ধ্যায় বা আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও আজ পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে।
উপদেষ্টার পদে থেকে নির্বাচন করতে আইনি বাধা না থাকলেও তফসিল ঘোষণার আগে সরকারে থাকা দুজন ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ। তাঁদের আন্দোলন একপর্যায়ে সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে রূপ নেয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর ওই বছরের ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন আসিফ মাহমুদ।

‘একুশ আমাদের চেতনা, আমাদের দায়। একুশের মাঝেই লুকিয়ে আছে আমাদের অস্তিত্বের বীজ। যত দিন পৃথিবীতে বাঙালি জাতি বেঁচে থাকবে, তত দিন একুশের এই উদযাপন অনিবার্য। একুশ হারিয়ে গেলে হারিয়ে যাবে আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়। রাজনৈতিক-সামাজিক নানা উত্থান-পতনের মাঝে এই একুশের মাঝেই আমরা নিজেদের পরিচয় খুঁজে পাই...
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
১৮ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
সেতু বিধ্বস্ত হওয়ায় ১০ ডিসেম্বর রায়পুরা অঞ্চলে ১৪টি হেলিকপ্টারের সাহায্যে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর অগ্রবর্তী অংশ তখনকার বিশাল, প্রশস্ত মেঘনা পার হয়। স্থানীয় জনসাধারণ ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় শত শত নৌকার সাহায্যে অবশিষ্ট সেনা ও যুদ্ধ-সরঞ্জাম পরিবহনে সহায়তা করে।
প্রচণ্ড চাপে পড়ে আগের দিন ঢাকায় পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্ব ও গভর্নর মালেক সৈন্যসহ পূর্ব পাকিস্তান ত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেদিন দাউদকান্দির পতনের পর তাঁরা বুঝে গিয়েছিলেন, ঢাকাই যৌথ বাহিনীর পরবর্তী লক্ষ্য। পাকিস্তানিদের সম্পূর্ণ পশ্চাদপসরণের সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের পূর্ণ অনুমোদন লাভ করে।
সহায়তাকারী ভারতীয় বাহিনীর রায়পুরায় অবতরণের পর প্রায় ৩ ঘণ্টা ঢাকার পাকিস্তানি সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলোর ওপর বিমান হামলা চলে। তখন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা, গণহত্যার অন্যতম সহযোগী রাও ফরমান আলী ঢাকায় অবস্থানকারী জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব পল মার্ক হেনরিকে ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির’ আয়োজন করার আবেদন জানান। বাঙালিদের ওপর ৯ মাস হত্যাযজ্ঞ চলার পর এত দিনে এসে তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা এবং এই অঞ্চলে থাকা পাকিস্তানি বাহিনীকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা সম্পন্ন করার আহ্বান জানান। জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এ প্রস্তাব জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পাঠিয়ে দেন।
নিরাপত্তা পরিষদে রাও ফরমান আলীর এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ চলার সময় হঠাৎ খবর আসে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া প্রস্তাবটি নাকচ করে দিয়েছেন। ঘটনা হচ্ছে, খবরটি ওয়াশিংটনে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন সরকার ইয়াহিয়াকে জানান, পাকিস্তানি বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য সপ্তম নৌবহর ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরের দিকে রওনা হয়েছে। এ কারণেই ইয়াহিয়ার মত বদলে যায়। পাকিস্তান নিজে থেকে ‘সম্মানজনকভাবে’ সেনা প্রত্যাহারের জন্য উদ্যোগী হলেও সেই উদ্যোগকে সমর্থন না করে মার্কিন সরকার বরং তা রদ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তার ওপর ভারতকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত করানোর তাগিদ দিয়ে ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট নিক্সন সোভিয়েত নেতা ব্রেজনেভকে দুই দফা বার্তা পাঠান। যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ব্যাপারে ভারতকে সম্মত করতে ব্রেজনেভের ওপর চাপের মাত্রা বাড়ানো হয়। তাঁকে জানানো হয়, ভারত যদি এরপরও সম্মত না হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র নিজে এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে।
উপমহাদেশের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ‘শক্ত ব্যবস্থা’ গ্রহণ করতে পারে, তা সোভিয়েত ইউনিয়নের ভালো করেই জানা ছিল। সোভিয়েত সরকার তাদের নৌবাহিনীকে সতর্ক রাখে। মার্কিন সপ্তম নৌবহরের যাত্রারম্ভের আগেই সোভিয়েতরা তাদের ভারত মহাসাগরীয় নৌবহরের শক্তি বৃদ্ধি শুরু করে।
১০ ডিসেম্বর মার্কিন সপ্তম নৌবহর চীন সাগর ও ভারত মহাসাগরকে সংযোগকারী পাঁচ শ’ মাইল দীর্ঘ মালাক্কা প্রণালির ওপারে ছিল। ভারত মহাসাগরে সোভিয়েত নৌবহরের সমাবেশ তখন সম্পূর্ণ হয়নি। এই অবস্থায় জানা যায়, মার্কিন সপ্তম নৌবহরের গতিবিধি জানার জন্যই সোভিয়েত সরকার কসমস নামের নজরদারি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে।
এদিকে চূড়ান্ত পর্বের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের আশঙ্কায় ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে থাকেন অনেক সাধারণ মানুষ। আগের দিন সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছিল। গুজব ছড়িয়ে পড়ে, রাস্তায় রাস্তায় পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে লড়াই হবে বলে মুক্তিযোদ্ধারা লোকজনকে শহর ছেড়ে চলে যেতে বলেছেন। অনেক লোককে দেখা যায়, পরিবার-পরিজন, পোঁটলাপুঁটলি নিয়ে রিকশা বা বেবিট্যাক্সিতে (সিএনজি অটোর আগের সংস্করণ) করে শহর থেকে বাইরে চলে যাচ্ছে। কেউ কেউ লটবহর মাথায় নিয়ে হেঁটেই চলেছেন। এ যেন ২৫ মার্চের গণহত্যার পর ঢাকা ছাড়ার যে ঢল নেমেছিল কিছুটা প্রতিচ্ছবি।

মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
সেতু বিধ্বস্ত হওয়ায় ১০ ডিসেম্বর রায়পুরা অঞ্চলে ১৪টি হেলিকপ্টারের সাহায্যে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর অগ্রবর্তী অংশ তখনকার বিশাল, প্রশস্ত মেঘনা পার হয়। স্থানীয় জনসাধারণ ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় শত শত নৌকার সাহায্যে অবশিষ্ট সেনা ও যুদ্ধ-সরঞ্জাম পরিবহনে সহায়তা করে।
প্রচণ্ড চাপে পড়ে আগের দিন ঢাকায় পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্ব ও গভর্নর মালেক সৈন্যসহ পূর্ব পাকিস্তান ত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেদিন দাউদকান্দির পতনের পর তাঁরা বুঝে গিয়েছিলেন, ঢাকাই যৌথ বাহিনীর পরবর্তী লক্ষ্য। পাকিস্তানিদের সম্পূর্ণ পশ্চাদপসরণের সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের পূর্ণ অনুমোদন লাভ করে।
সহায়তাকারী ভারতীয় বাহিনীর রায়পুরায় অবতরণের পর প্রায় ৩ ঘণ্টা ঢাকার পাকিস্তানি সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলোর ওপর বিমান হামলা চলে। তখন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা, গণহত্যার অন্যতম সহযোগী রাও ফরমান আলী ঢাকায় অবস্থানকারী জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব পল মার্ক হেনরিকে ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির’ আয়োজন করার আবেদন জানান। বাঙালিদের ওপর ৯ মাস হত্যাযজ্ঞ চলার পর এত দিনে এসে তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা এবং এই অঞ্চলে থাকা পাকিস্তানি বাহিনীকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা সম্পন্ন করার আহ্বান জানান। জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এ প্রস্তাব জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পাঠিয়ে দেন।
নিরাপত্তা পরিষদে রাও ফরমান আলীর এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ চলার সময় হঠাৎ খবর আসে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া প্রস্তাবটি নাকচ করে দিয়েছেন। ঘটনা হচ্ছে, খবরটি ওয়াশিংটনে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন সরকার ইয়াহিয়াকে জানান, পাকিস্তানি বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য সপ্তম নৌবহর ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরের দিকে রওনা হয়েছে। এ কারণেই ইয়াহিয়ার মত বদলে যায়। পাকিস্তান নিজে থেকে ‘সম্মানজনকভাবে’ সেনা প্রত্যাহারের জন্য উদ্যোগী হলেও সেই উদ্যোগকে সমর্থন না করে মার্কিন সরকার বরং তা রদ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তার ওপর ভারতকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত করানোর তাগিদ দিয়ে ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট নিক্সন সোভিয়েত নেতা ব্রেজনেভকে দুই দফা বার্তা পাঠান। যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ব্যাপারে ভারতকে সম্মত করতে ব্রেজনেভের ওপর চাপের মাত্রা বাড়ানো হয়। তাঁকে জানানো হয়, ভারত যদি এরপরও সম্মত না হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র নিজে এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে।
উপমহাদেশের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ‘শক্ত ব্যবস্থা’ গ্রহণ করতে পারে, তা সোভিয়েত ইউনিয়নের ভালো করেই জানা ছিল। সোভিয়েত সরকার তাদের নৌবাহিনীকে সতর্ক রাখে। মার্কিন সপ্তম নৌবহরের যাত্রারম্ভের আগেই সোভিয়েতরা তাদের ভারত মহাসাগরীয় নৌবহরের শক্তি বৃদ্ধি শুরু করে।
১০ ডিসেম্বর মার্কিন সপ্তম নৌবহর চীন সাগর ও ভারত মহাসাগরকে সংযোগকারী পাঁচ শ’ মাইল দীর্ঘ মালাক্কা প্রণালির ওপারে ছিল। ভারত মহাসাগরে সোভিয়েত নৌবহরের সমাবেশ তখন সম্পূর্ণ হয়নি। এই অবস্থায় জানা যায়, মার্কিন সপ্তম নৌবহরের গতিবিধি জানার জন্যই সোভিয়েত সরকার কসমস নামের নজরদারি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে।
এদিকে চূড়ান্ত পর্বের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের আশঙ্কায় ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে থাকেন অনেক সাধারণ মানুষ। আগের দিন সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছিল। গুজব ছড়িয়ে পড়ে, রাস্তায় রাস্তায় পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে লড়াই হবে বলে মুক্তিযোদ্ধারা লোকজনকে শহর ছেড়ে চলে যেতে বলেছেন। অনেক লোককে দেখা যায়, পরিবার-পরিজন, পোঁটলাপুঁটলি নিয়ে রিকশা বা বেবিট্যাক্সিতে (সিএনজি অটোর আগের সংস্করণ) করে শহর থেকে বাইরে চলে যাচ্ছে। কেউ কেউ লটবহর মাথায় নিয়ে হেঁটেই চলেছেন। এ যেন ২৫ মার্চের গণহত্যার পর ঢাকা ছাড়ার যে ঢল নেমেছিল কিছুটা প্রতিচ্ছবি।

‘একুশ আমাদের চেতনা, আমাদের দায়। একুশের মাঝেই লুকিয়ে আছে আমাদের অস্তিত্বের বীজ। যত দিন পৃথিবীতে বাঙালি জাতি বেঁচে থাকবে, তত দিন একুশের এই উদযাপন অনিবার্য। একুশ হারিয়ে গেলে হারিয়ে যাবে আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়। রাজনৈতিক-সামাজিক নানা উত্থান-পতনের মাঝে এই একুশের মাঝেই আমরা নিজেদের পরিচয় খুঁজে পাই...
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
১৮ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ।
২ ঘণ্টা আগে