ঢাবি সংবাদদাতা

‘একুশ আমাদের চেতনা, আমাদের দায়। একুশের মাঝেই লুকিয়ে আছে আমাদের অস্তিত্বের বীজ। যত দিন পৃথিবীতে বাঙালি জাতি বেঁচে থাকবে, তত দিন একুশের এই উদযাপন অনিবার্য। একুশ হারিয়ে গেলে হারিয়ে যাবে আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়। রাজনৈতিক-সামাজিক নানা উত্থান-পতনের মাঝে এই একুশের মাঝেই আমরা নিজেদের পরিচয় খুঁজে পাই।’ বলছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মেডিকেল বিভাগের চাকরিজীবী ইফতেখারুল ইসলাম। আজ শুক্রবার একুশে ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন তিনি।
একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে একুশের এ দায় থেকে মুক্ত হতে ছুটে আসে দেশ-বিদেশের লাখো মানুষ। নানা শ্রেণি-পেশা ধর্ম-বর্ণের মানুষের কোলাহলে জীবন্ত হয়ে উঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। মানুষ হৃদয়ের গহিনে লুকিয়ে থাকার শ্রদ্ধার সামান্য বহিঃপ্রকাশ ঘটান পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে। শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ মানুষের সংমিশ্রণ ঘটে একুশের এই আয়োজনে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে একুশের চেতনাকে হস্তান্তর করতে উদ্যোগী সবাই।
সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা বিকল হয়ে যায় কুমিল্লার কমার্শিয়াল আর্টিস্ট আব্দুর রশিদের। শহীদদের প্রতি হৃদয়ে লুকিয়ে থাকা শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে কারও সহায়তা ছাড়া নিজেই চলে এসেছেন শহীদ মিনারে। তিনি বলেন, ‘আমার পরিচয়, আমি বাঙালি। আমার এই পরিচয়ের সূচনা এই দিবসে। জাতিগত স্বাতন্ত্র্য রক্ষায় নিজেদের বিসর্জন দিয়েছেন ভাষাশহীদেরা। বাঙালি হিসেবে আমার নৈতিক দায়িত্ব, তাঁদের ইতিহাসকে জীবন্ত রাখা। সেই দায়িত্ব পালন করতে ছুটে এসেছি শহীদ মিনারে।’
তিনি বলেন, ‘আমার কিছু আক্ষেপ আছে। আমরা এখানে শ্রদ্ধা জানালেও বাংলা ভাষার মর্যাদা নানাভাবে ভূলুণ্ঠিত করছি। ৮ ফাল্গুন না বলে একুশের পরিচয়ে দিবসটি আয়োজন করছি। ফলে আন্তর্জাতিক মহলে আমার স্বতন্ত্র সংস্কৃতি আর পঞ্জিকা পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। শহীদদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধাকে সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য এ বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরও ভাবা উচিত।’
রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে এসেছেন গৃহিণী মাহমুদা আক্তার। তিনি বলেন, ‘একুশকে ঘিরে আমাদের আনন্দ একটু বেশিই। কারণ দীর্ঘ সাত বছর পর দেশে এসেছি। স্বামীর চাকরির সুবাদে মিশর এবং স্পেনে থাকতে হয়েছে এই সাত বছর। যখন দেশ ছাড়ি তখন বড় মেয়ের বয়স আট। এখন সে পঞ্চম শ্রেণিতে এবং তাঁর ছোট বোন প্রথম শ্রেণিতে শ্রেণিতে পড়ে। দেশে না থাকার কারণে তারা ভাষা আন্দোলন নিয়ে জানতে পারেনি। আমাদের মুখ থেকে শুনে কৌতূহলী হয়ে উঠত। আজ বাঙালির গৌরবগাথার সঙ্গে তাদের পরিচয় করাতে এনেছি। মেয়েরাও জানার সুযোগ পাচ্ছে।’
নারায়ণগঞ্জ পাঠ অধিদপ্তরে চাকরি করেন শেমন্তী পাল। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুনরায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বড় আয়োজনের অংশ হতে এসেছেন। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন নিজের ছেলেকে। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের এমন পরিবেশ না দেখালে তাদের ভেতরে দেশ প্রেম জন্মাবে না। শহীদদের প্রতি মনের গভীর থেকে শ্রদ্ধা আসবে না। সে জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে ছুটে এসেছি এখানে।’
সাভার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন কৃষক আলমগীর হোসেন। সেখান থেকে তিনি এসেছেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। তিনি বলেন, পাশেই শহীদ মিনার। হাজার হাজার মানুষ আসছে শ্রদ্ধা জানাতে। আমি এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।
নরসিংদী থেকে বন্ধুদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন ব্যবসায়ী কবির হোসেন মোল্লা। তিনি বলেন, বাংলা ভাষার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের সারা বিশ্বে মানুষ স্যালুট জানায়। আমাদের গর্বের এই জায়গাগুলো পথ চলতে শেখায়। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম দেশপ্রেম আর সাহস ছড়িয়ে দিতে উৎসাহ জোগায়। মাতৃভাষার মর্যাদা পেলাম যাঁদের জন্য, তাঁদের প্রতি এই শ্রদ্ধা চিরকাল থাকুক।’
শহীদদের প্রতি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের হৃদয়ে থাকা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। একুশের প্রথম প্রহর থেকে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন। ১২টা ১ মিনিটে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তারপর ক্রমান্বয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনুস, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রিফাত আহমেদ, উপদেষ্টা পরিষদের সকল সদস্য, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও হাইকমিশনাররা।
এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসিরুদ্দিন, সেনা-নৌ-বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে তিন বাহিনীর প্রধান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল, ডিএমপি পুলিশ কমিশনার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
১২টা ৪০ মিনিটে শহীদ মিনার সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। একুশের শহীদদের ত্যাগের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল নামে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। নানা সংগঠন, সমিতি ও রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ক্রমান্বয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন মানুষ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক দলের উপস্থিতি ছিল দিনভর। বিভিন্ন ব্যানারে দিনভর শহীদ মিনার এলাকায় শ্রদ্ধা জানান এ সংগঠনগুলোর বিভিন্ন শাখা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ নানা রাজনৈতিক সংগঠন ব্যস্ত থাকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণে। এ ছাড়া দেশের পরিচিত-অপরিচিত, রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক বহু শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি ছিল শহীদ মিনারে।
কালো ব্যাজ, কালো পতাকা ও ব্যানার নিয়ে পলাশী হয়ে জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে সবাই ধীর লয়ে এগিয়ে যান শহীদ মিনারের দিকে। অনেকের পোশাক-সাজসজ্জায় রয়েছে শোকের কালো রং। কণ্ঠে বেদনাবিধুর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে রাজপথে নামে বাংলার আপসহীন ছাত্র-জনতা। মিছিল নিয়ে বের হলে ১৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে পুলিশ। গুলিতে শহীদ হন রফিক, সালাম, বরকত ও আব্দুল জব্বারসহ আরও অনেকে। আহত হন ১৭ জন ছাত্র-যুবক। শহীদদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়ে ওঠে। শোকাবহ এ ঘটনায় সমগ্র পূর্ব বাংলায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৫৩ সাল থেকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয় একুশের আত্মত্যাগী শহীদদের। ইউনেসকো ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর বাংলা ভাষা আন্দোলন, মানুষের ভাষা এবং কৃষ্টির অধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। একুশের এই দিনটি বৈশ্বিক পর্যায়ে গভীর শ্রদ্ধা এবং মর্যাদার সঙ্গে উদযাপন করা হয়।

‘একুশ আমাদের চেতনা, আমাদের দায়। একুশের মাঝেই লুকিয়ে আছে আমাদের অস্তিত্বের বীজ। যত দিন পৃথিবীতে বাঙালি জাতি বেঁচে থাকবে, তত দিন একুশের এই উদযাপন অনিবার্য। একুশ হারিয়ে গেলে হারিয়ে যাবে আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়। রাজনৈতিক-সামাজিক নানা উত্থান-পতনের মাঝে এই একুশের মাঝেই আমরা নিজেদের পরিচয় খুঁজে পাই।’ বলছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মেডিকেল বিভাগের চাকরিজীবী ইফতেখারুল ইসলাম। আজ শুক্রবার একুশে ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন তিনি।
একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে একুশের এ দায় থেকে মুক্ত হতে ছুটে আসে দেশ-বিদেশের লাখো মানুষ। নানা শ্রেণি-পেশা ধর্ম-বর্ণের মানুষের কোলাহলে জীবন্ত হয়ে উঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। মানুষ হৃদয়ের গহিনে লুকিয়ে থাকার শ্রদ্ধার সামান্য বহিঃপ্রকাশ ঘটান পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে। শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ মানুষের সংমিশ্রণ ঘটে একুশের এই আয়োজনে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে একুশের চেতনাকে হস্তান্তর করতে উদ্যোগী সবাই।
সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা বিকল হয়ে যায় কুমিল্লার কমার্শিয়াল আর্টিস্ট আব্দুর রশিদের। শহীদদের প্রতি হৃদয়ে লুকিয়ে থাকা শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে কারও সহায়তা ছাড়া নিজেই চলে এসেছেন শহীদ মিনারে। তিনি বলেন, ‘আমার পরিচয়, আমি বাঙালি। আমার এই পরিচয়ের সূচনা এই দিবসে। জাতিগত স্বাতন্ত্র্য রক্ষায় নিজেদের বিসর্জন দিয়েছেন ভাষাশহীদেরা। বাঙালি হিসেবে আমার নৈতিক দায়িত্ব, তাঁদের ইতিহাসকে জীবন্ত রাখা। সেই দায়িত্ব পালন করতে ছুটে এসেছি শহীদ মিনারে।’
তিনি বলেন, ‘আমার কিছু আক্ষেপ আছে। আমরা এখানে শ্রদ্ধা জানালেও বাংলা ভাষার মর্যাদা নানাভাবে ভূলুণ্ঠিত করছি। ৮ ফাল্গুন না বলে একুশের পরিচয়ে দিবসটি আয়োজন করছি। ফলে আন্তর্জাতিক মহলে আমার স্বতন্ত্র সংস্কৃতি আর পঞ্জিকা পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। শহীদদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধাকে সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য এ বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরও ভাবা উচিত।’
রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে এসেছেন গৃহিণী মাহমুদা আক্তার। তিনি বলেন, ‘একুশকে ঘিরে আমাদের আনন্দ একটু বেশিই। কারণ দীর্ঘ সাত বছর পর দেশে এসেছি। স্বামীর চাকরির সুবাদে মিশর এবং স্পেনে থাকতে হয়েছে এই সাত বছর। যখন দেশ ছাড়ি তখন বড় মেয়ের বয়স আট। এখন সে পঞ্চম শ্রেণিতে এবং তাঁর ছোট বোন প্রথম শ্রেণিতে শ্রেণিতে পড়ে। দেশে না থাকার কারণে তারা ভাষা আন্দোলন নিয়ে জানতে পারেনি। আমাদের মুখ থেকে শুনে কৌতূহলী হয়ে উঠত। আজ বাঙালির গৌরবগাথার সঙ্গে তাদের পরিচয় করাতে এনেছি। মেয়েরাও জানার সুযোগ পাচ্ছে।’
নারায়ণগঞ্জ পাঠ অধিদপ্তরে চাকরি করেন শেমন্তী পাল। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুনরায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বড় আয়োজনের অংশ হতে এসেছেন। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন নিজের ছেলেকে। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের এমন পরিবেশ না দেখালে তাদের ভেতরে দেশ প্রেম জন্মাবে না। শহীদদের প্রতি মনের গভীর থেকে শ্রদ্ধা আসবে না। সে জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে ছুটে এসেছি এখানে।’
সাভার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন কৃষক আলমগীর হোসেন। সেখান থেকে তিনি এসেছেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। তিনি বলেন, পাশেই শহীদ মিনার। হাজার হাজার মানুষ আসছে শ্রদ্ধা জানাতে। আমি এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।
নরসিংদী থেকে বন্ধুদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন ব্যবসায়ী কবির হোসেন মোল্লা। তিনি বলেন, বাংলা ভাষার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের সারা বিশ্বে মানুষ স্যালুট জানায়। আমাদের গর্বের এই জায়গাগুলো পথ চলতে শেখায়। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম দেশপ্রেম আর সাহস ছড়িয়ে দিতে উৎসাহ জোগায়। মাতৃভাষার মর্যাদা পেলাম যাঁদের জন্য, তাঁদের প্রতি এই শ্রদ্ধা চিরকাল থাকুক।’
শহীদদের প্রতি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের হৃদয়ে থাকা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। একুশের প্রথম প্রহর থেকে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন। ১২টা ১ মিনিটে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তারপর ক্রমান্বয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনুস, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রিফাত আহমেদ, উপদেষ্টা পরিষদের সকল সদস্য, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও হাইকমিশনাররা।
এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসিরুদ্দিন, সেনা-নৌ-বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে তিন বাহিনীর প্রধান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল, ডিএমপি পুলিশ কমিশনার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
১২টা ৪০ মিনিটে শহীদ মিনার সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। একুশের শহীদদের ত্যাগের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল নামে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। নানা সংগঠন, সমিতি ও রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ক্রমান্বয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন মানুষ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক দলের উপস্থিতি ছিল দিনভর। বিভিন্ন ব্যানারে দিনভর শহীদ মিনার এলাকায় শ্রদ্ধা জানান এ সংগঠনগুলোর বিভিন্ন শাখা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ নানা রাজনৈতিক সংগঠন ব্যস্ত থাকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণে। এ ছাড়া দেশের পরিচিত-অপরিচিত, রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক বহু শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি ছিল শহীদ মিনারে।
কালো ব্যাজ, কালো পতাকা ও ব্যানার নিয়ে পলাশী হয়ে জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে সবাই ধীর লয়ে এগিয়ে যান শহীদ মিনারের দিকে। অনেকের পোশাক-সাজসজ্জায় রয়েছে শোকের কালো রং। কণ্ঠে বেদনাবিধুর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে রাজপথে নামে বাংলার আপসহীন ছাত্র-জনতা। মিছিল নিয়ে বের হলে ১৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে পুলিশ। গুলিতে শহীদ হন রফিক, সালাম, বরকত ও আব্দুল জব্বারসহ আরও অনেকে। আহত হন ১৭ জন ছাত্র-যুবক। শহীদদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়ে ওঠে। শোকাবহ এ ঘটনায় সমগ্র পূর্ব বাংলায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৫৩ সাল থেকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয় একুশের আত্মত্যাগী শহীদদের। ইউনেসকো ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর বাংলা ভাষা আন্দোলন, মানুষের ভাষা এবং কৃষ্টির অধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। একুশের এই দিনটি বৈশ্বিক পর্যায়ে গভীর শ্রদ্ধা এবং মর্যাদার সঙ্গে উদযাপন করা হয়।
ঢাবি সংবাদদাতা

‘একুশ আমাদের চেতনা, আমাদের দায়। একুশের মাঝেই লুকিয়ে আছে আমাদের অস্তিত্বের বীজ। যত দিন পৃথিবীতে বাঙালি জাতি বেঁচে থাকবে, তত দিন একুশের এই উদযাপন অনিবার্য। একুশ হারিয়ে গেলে হারিয়ে যাবে আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়। রাজনৈতিক-সামাজিক নানা উত্থান-পতনের মাঝে এই একুশের মাঝেই আমরা নিজেদের পরিচয় খুঁজে পাই।’ বলছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মেডিকেল বিভাগের চাকরিজীবী ইফতেখারুল ইসলাম। আজ শুক্রবার একুশে ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন তিনি।
একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে একুশের এ দায় থেকে মুক্ত হতে ছুটে আসে দেশ-বিদেশের লাখো মানুষ। নানা শ্রেণি-পেশা ধর্ম-বর্ণের মানুষের কোলাহলে জীবন্ত হয়ে উঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। মানুষ হৃদয়ের গহিনে লুকিয়ে থাকার শ্রদ্ধার সামান্য বহিঃপ্রকাশ ঘটান পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে। শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ মানুষের সংমিশ্রণ ঘটে একুশের এই আয়োজনে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে একুশের চেতনাকে হস্তান্তর করতে উদ্যোগী সবাই।
সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা বিকল হয়ে যায় কুমিল্লার কমার্শিয়াল আর্টিস্ট আব্দুর রশিদের। শহীদদের প্রতি হৃদয়ে লুকিয়ে থাকা শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে কারও সহায়তা ছাড়া নিজেই চলে এসেছেন শহীদ মিনারে। তিনি বলেন, ‘আমার পরিচয়, আমি বাঙালি। আমার এই পরিচয়ের সূচনা এই দিবসে। জাতিগত স্বাতন্ত্র্য রক্ষায় নিজেদের বিসর্জন দিয়েছেন ভাষাশহীদেরা। বাঙালি হিসেবে আমার নৈতিক দায়িত্ব, তাঁদের ইতিহাসকে জীবন্ত রাখা। সেই দায়িত্ব পালন করতে ছুটে এসেছি শহীদ মিনারে।’
তিনি বলেন, ‘আমার কিছু আক্ষেপ আছে। আমরা এখানে শ্রদ্ধা জানালেও বাংলা ভাষার মর্যাদা নানাভাবে ভূলুণ্ঠিত করছি। ৮ ফাল্গুন না বলে একুশের পরিচয়ে দিবসটি আয়োজন করছি। ফলে আন্তর্জাতিক মহলে আমার স্বতন্ত্র সংস্কৃতি আর পঞ্জিকা পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। শহীদদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধাকে সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য এ বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরও ভাবা উচিত।’
রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে এসেছেন গৃহিণী মাহমুদা আক্তার। তিনি বলেন, ‘একুশকে ঘিরে আমাদের আনন্দ একটু বেশিই। কারণ দীর্ঘ সাত বছর পর দেশে এসেছি। স্বামীর চাকরির সুবাদে মিশর এবং স্পেনে থাকতে হয়েছে এই সাত বছর। যখন দেশ ছাড়ি তখন বড় মেয়ের বয়স আট। এখন সে পঞ্চম শ্রেণিতে এবং তাঁর ছোট বোন প্রথম শ্রেণিতে শ্রেণিতে পড়ে। দেশে না থাকার কারণে তারা ভাষা আন্দোলন নিয়ে জানতে পারেনি। আমাদের মুখ থেকে শুনে কৌতূহলী হয়ে উঠত। আজ বাঙালির গৌরবগাথার সঙ্গে তাদের পরিচয় করাতে এনেছি। মেয়েরাও জানার সুযোগ পাচ্ছে।’
নারায়ণগঞ্জ পাঠ অধিদপ্তরে চাকরি করেন শেমন্তী পাল। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুনরায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বড় আয়োজনের অংশ হতে এসেছেন। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন নিজের ছেলেকে। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের এমন পরিবেশ না দেখালে তাদের ভেতরে দেশ প্রেম জন্মাবে না। শহীদদের প্রতি মনের গভীর থেকে শ্রদ্ধা আসবে না। সে জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে ছুটে এসেছি এখানে।’
সাভার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন কৃষক আলমগীর হোসেন। সেখান থেকে তিনি এসেছেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। তিনি বলেন, পাশেই শহীদ মিনার। হাজার হাজার মানুষ আসছে শ্রদ্ধা জানাতে। আমি এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।
নরসিংদী থেকে বন্ধুদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন ব্যবসায়ী কবির হোসেন মোল্লা। তিনি বলেন, বাংলা ভাষার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের সারা বিশ্বে মানুষ স্যালুট জানায়। আমাদের গর্বের এই জায়গাগুলো পথ চলতে শেখায়। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম দেশপ্রেম আর সাহস ছড়িয়ে দিতে উৎসাহ জোগায়। মাতৃভাষার মর্যাদা পেলাম যাঁদের জন্য, তাঁদের প্রতি এই শ্রদ্ধা চিরকাল থাকুক।’
শহীদদের প্রতি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের হৃদয়ে থাকা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। একুশের প্রথম প্রহর থেকে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন। ১২টা ১ মিনিটে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তারপর ক্রমান্বয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনুস, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রিফাত আহমেদ, উপদেষ্টা পরিষদের সকল সদস্য, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও হাইকমিশনাররা।
এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসিরুদ্দিন, সেনা-নৌ-বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে তিন বাহিনীর প্রধান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল, ডিএমপি পুলিশ কমিশনার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
১২টা ৪০ মিনিটে শহীদ মিনার সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। একুশের শহীদদের ত্যাগের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল নামে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। নানা সংগঠন, সমিতি ও রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ক্রমান্বয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন মানুষ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক দলের উপস্থিতি ছিল দিনভর। বিভিন্ন ব্যানারে দিনভর শহীদ মিনার এলাকায় শ্রদ্ধা জানান এ সংগঠনগুলোর বিভিন্ন শাখা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ নানা রাজনৈতিক সংগঠন ব্যস্ত থাকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণে। এ ছাড়া দেশের পরিচিত-অপরিচিত, রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক বহু শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি ছিল শহীদ মিনারে।
কালো ব্যাজ, কালো পতাকা ও ব্যানার নিয়ে পলাশী হয়ে জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে সবাই ধীর লয়ে এগিয়ে যান শহীদ মিনারের দিকে। অনেকের পোশাক-সাজসজ্জায় রয়েছে শোকের কালো রং। কণ্ঠে বেদনাবিধুর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে রাজপথে নামে বাংলার আপসহীন ছাত্র-জনতা। মিছিল নিয়ে বের হলে ১৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে পুলিশ। গুলিতে শহীদ হন রফিক, সালাম, বরকত ও আব্দুল জব্বারসহ আরও অনেকে। আহত হন ১৭ জন ছাত্র-যুবক। শহীদদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়ে ওঠে। শোকাবহ এ ঘটনায় সমগ্র পূর্ব বাংলায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৫৩ সাল থেকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয় একুশের আত্মত্যাগী শহীদদের। ইউনেসকো ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর বাংলা ভাষা আন্দোলন, মানুষের ভাষা এবং কৃষ্টির অধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। একুশের এই দিনটি বৈশ্বিক পর্যায়ে গভীর শ্রদ্ধা এবং মর্যাদার সঙ্গে উদযাপন করা হয়।

‘একুশ আমাদের চেতনা, আমাদের দায়। একুশের মাঝেই লুকিয়ে আছে আমাদের অস্তিত্বের বীজ। যত দিন পৃথিবীতে বাঙালি জাতি বেঁচে থাকবে, তত দিন একুশের এই উদযাপন অনিবার্য। একুশ হারিয়ে গেলে হারিয়ে যাবে আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়। রাজনৈতিক-সামাজিক নানা উত্থান-পতনের মাঝে এই একুশের মাঝেই আমরা নিজেদের পরিচয় খুঁজে পাই।’ বলছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মেডিকেল বিভাগের চাকরিজীবী ইফতেখারুল ইসলাম। আজ শুক্রবার একুশে ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন তিনি।
একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে একুশের এ দায় থেকে মুক্ত হতে ছুটে আসে দেশ-বিদেশের লাখো মানুষ। নানা শ্রেণি-পেশা ধর্ম-বর্ণের মানুষের কোলাহলে জীবন্ত হয়ে উঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। মানুষ হৃদয়ের গহিনে লুকিয়ে থাকার শ্রদ্ধার সামান্য বহিঃপ্রকাশ ঘটান পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে। শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ মানুষের সংমিশ্রণ ঘটে একুশের এই আয়োজনে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে একুশের চেতনাকে হস্তান্তর করতে উদ্যোগী সবাই।
সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা বিকল হয়ে যায় কুমিল্লার কমার্শিয়াল আর্টিস্ট আব্দুর রশিদের। শহীদদের প্রতি হৃদয়ে লুকিয়ে থাকা শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে কারও সহায়তা ছাড়া নিজেই চলে এসেছেন শহীদ মিনারে। তিনি বলেন, ‘আমার পরিচয়, আমি বাঙালি। আমার এই পরিচয়ের সূচনা এই দিবসে। জাতিগত স্বাতন্ত্র্য রক্ষায় নিজেদের বিসর্জন দিয়েছেন ভাষাশহীদেরা। বাঙালি হিসেবে আমার নৈতিক দায়িত্ব, তাঁদের ইতিহাসকে জীবন্ত রাখা। সেই দায়িত্ব পালন করতে ছুটে এসেছি শহীদ মিনারে।’
তিনি বলেন, ‘আমার কিছু আক্ষেপ আছে। আমরা এখানে শ্রদ্ধা জানালেও বাংলা ভাষার মর্যাদা নানাভাবে ভূলুণ্ঠিত করছি। ৮ ফাল্গুন না বলে একুশের পরিচয়ে দিবসটি আয়োজন করছি। ফলে আন্তর্জাতিক মহলে আমার স্বতন্ত্র সংস্কৃতি আর পঞ্জিকা পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। শহীদদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধাকে সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য এ বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরও ভাবা উচিত।’
রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে এসেছেন গৃহিণী মাহমুদা আক্তার। তিনি বলেন, ‘একুশকে ঘিরে আমাদের আনন্দ একটু বেশিই। কারণ দীর্ঘ সাত বছর পর দেশে এসেছি। স্বামীর চাকরির সুবাদে মিশর এবং স্পেনে থাকতে হয়েছে এই সাত বছর। যখন দেশ ছাড়ি তখন বড় মেয়ের বয়স আট। এখন সে পঞ্চম শ্রেণিতে এবং তাঁর ছোট বোন প্রথম শ্রেণিতে শ্রেণিতে পড়ে। দেশে না থাকার কারণে তারা ভাষা আন্দোলন নিয়ে জানতে পারেনি। আমাদের মুখ থেকে শুনে কৌতূহলী হয়ে উঠত। আজ বাঙালির গৌরবগাথার সঙ্গে তাদের পরিচয় করাতে এনেছি। মেয়েরাও জানার সুযোগ পাচ্ছে।’
নারায়ণগঞ্জ পাঠ অধিদপ্তরে চাকরি করেন শেমন্তী পাল। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুনরায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বড় আয়োজনের অংশ হতে এসেছেন। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন নিজের ছেলেকে। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের এমন পরিবেশ না দেখালে তাদের ভেতরে দেশ প্রেম জন্মাবে না। শহীদদের প্রতি মনের গভীর থেকে শ্রদ্ধা আসবে না। সে জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে ছুটে এসেছি এখানে।’
সাভার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন কৃষক আলমগীর হোসেন। সেখান থেকে তিনি এসেছেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। তিনি বলেন, পাশেই শহীদ মিনার। হাজার হাজার মানুষ আসছে শ্রদ্ধা জানাতে। আমি এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।
নরসিংদী থেকে বন্ধুদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন ব্যবসায়ী কবির হোসেন মোল্লা। তিনি বলেন, বাংলা ভাষার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের সারা বিশ্বে মানুষ স্যালুট জানায়। আমাদের গর্বের এই জায়গাগুলো পথ চলতে শেখায়। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম দেশপ্রেম আর সাহস ছড়িয়ে দিতে উৎসাহ জোগায়। মাতৃভাষার মর্যাদা পেলাম যাঁদের জন্য, তাঁদের প্রতি এই শ্রদ্ধা চিরকাল থাকুক।’
শহীদদের প্রতি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের হৃদয়ে থাকা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। একুশের প্রথম প্রহর থেকে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন। ১২টা ১ মিনিটে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তারপর ক্রমান্বয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনুস, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রিফাত আহমেদ, উপদেষ্টা পরিষদের সকল সদস্য, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও হাইকমিশনাররা।
এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসিরুদ্দিন, সেনা-নৌ-বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে তিন বাহিনীর প্রধান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল, ডিএমপি পুলিশ কমিশনার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
১২টা ৪০ মিনিটে শহীদ মিনার সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। একুশের শহীদদের ত্যাগের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল নামে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। নানা সংগঠন, সমিতি ও রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ক্রমান্বয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন মানুষ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক দলের উপস্থিতি ছিল দিনভর। বিভিন্ন ব্যানারে দিনভর শহীদ মিনার এলাকায় শ্রদ্ধা জানান এ সংগঠনগুলোর বিভিন্ন শাখা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ নানা রাজনৈতিক সংগঠন ব্যস্ত থাকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণে। এ ছাড়া দেশের পরিচিত-অপরিচিত, রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক বহু শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি ছিল শহীদ মিনারে।
কালো ব্যাজ, কালো পতাকা ও ব্যানার নিয়ে পলাশী হয়ে জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে সবাই ধীর লয়ে এগিয়ে যান শহীদ মিনারের দিকে। অনেকের পোশাক-সাজসজ্জায় রয়েছে শোকের কালো রং। কণ্ঠে বেদনাবিধুর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে রাজপথে নামে বাংলার আপসহীন ছাত্র-জনতা। মিছিল নিয়ে বের হলে ১৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে পুলিশ। গুলিতে শহীদ হন রফিক, সালাম, বরকত ও আব্দুল জব্বারসহ আরও অনেকে। আহত হন ১৭ জন ছাত্র-যুবক। শহীদদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়ে ওঠে। শোকাবহ এ ঘটনায় সমগ্র পূর্ব বাংলায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৫৩ সাল থেকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয় একুশের আত্মত্যাগী শহীদদের। ইউনেসকো ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর বাংলা ভাষা আন্দোলন, মানুষের ভাষা এবং কৃষ্টির অধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। একুশের এই দিনটি বৈশ্বিক পর্যায়ে গভীর শ্রদ্ধা এবং মর্যাদার সঙ্গে উদযাপন করা হয়।

বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
২ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৯ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

‘একুশ আমাদের চেতনা, আমাদের দায়। একুশের মাঝেই লুকিয়ে আছে আমাদের অস্তিত্বের বীজ। যত দিন পৃথিবীতে বাঙালি জাতি বেঁচে থাকবে, তত দিন একুশের এই উদযাপন অনিবার্য। একুশ হারিয়ে গেলে হারিয়ে যাবে আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়। রাজনৈতিক-সামাজিক নানা উত্থান-পতনের মাঝে এই একুশের মাঝেই আমরা নিজেদের পরিচয় খুঁজে পাই...
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
২ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৯ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগেসিনেটে শুনানিতে ট্রাম্প–মনোনীত রাষ্ট্রদূত
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

‘একুশ আমাদের চেতনা, আমাদের দায়। একুশের মাঝেই লুকিয়ে আছে আমাদের অস্তিত্বের বীজ। যত দিন পৃথিবীতে বাঙালি জাতি বেঁচে থাকবে, তত দিন একুশের এই উদযাপন অনিবার্য। একুশ হারিয়ে গেলে হারিয়ে যাবে আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়। রাজনৈতিক-সামাজিক নানা উত্থান-পতনের মাঝে এই একুশের মাঝেই আমরা নিজেদের পরিচয় খুঁজে পাই...
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
২ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৯ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

‘একুশ আমাদের চেতনা, আমাদের দায়। একুশের মাঝেই লুকিয়ে আছে আমাদের অস্তিত্বের বীজ। যত দিন পৃথিবীতে বাঙালি জাতি বেঁচে থাকবে, তত দিন একুশের এই উদযাপন অনিবার্য। একুশ হারিয়ে গেলে হারিয়ে যাবে আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়। রাজনৈতিক-সামাজিক নানা উত্থান-পতনের মাঝে এই একুশের মাঝেই আমরা নিজেদের পরিচয় খুঁজে পাই...
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
২ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগেঅষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) ও রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

‘একুশ আমাদের চেতনা, আমাদের দায়। একুশের মাঝেই লুকিয়ে আছে আমাদের অস্তিত্বের বীজ। যত দিন পৃথিবীতে বাঙালি জাতি বেঁচে থাকবে, তত দিন একুশের এই উদযাপন অনিবার্য। একুশ হারিয়ে গেলে হারিয়ে যাবে আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়। রাজনৈতিক-সামাজিক নানা উত্থান-পতনের মাঝে এই একুশের মাঝেই আমরা নিজেদের পরিচয় খুঁজে পাই...
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
২ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৯ ঘণ্টা আগে