নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দীর্ঘদিন যাবত জমে থাকা ভিসা আবেদনসমূহ দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তির আশ্বাস দিয়েছে ঢাকাস্থ ইতালি দূতাবাস। এ লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে দূতাবাসটি কনস্যুলার শাখার লোকবল বৃদ্ধিসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।
ইতালি দূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, দূতাবাসটিতে বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজারের অধিক কাজসংক্রান্ত ভিসার আবেদন বিবেচনাধীন রয়েছে। দূতাবাস সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পাদন করে এরই মধ্যে স্ব-স্ব আবেদনকারীর কাছে পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায়, আগামী দুই মাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক (অন্তত ২০ হাজার) আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণপূর্বক পাসপোর্ট ফেরত প্রদানের বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে ঢাকাস্থ ইতালি দূতাবাস।
তবে এই মর্মে ইতালি দূতাবাস অবহিত করেছে, জাল কাগজপত্র শনাক্তকরণ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে জমাকৃত সব ডকুমেন্ট বিশেষভাবে যাচাই করা অত্যাবশ্যকীয়। ফলে শুধু কাজের অনুমতিপত্র বা ‘nulla osta’ জমা দিলেই ভিসা প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত নয়। কাজ ছাড়াও অধ্যয়ন, ব্যবসা, পর্যটন, পারিবারিক ভিসা ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে ইতালি দূতাবাসে জমাকৃত ভিসা আবেদনের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, ভিসা প্রদানে প্রয়োজনীয় সময় বা ভিসার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এবং তাঁর পরিপ্রেক্ষিতে আপিলসংক্রান্ত বিষয়সমূহ শুধু ইতালির প্রযোজ্য আইন ও প্রবিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং দূতাবাসও তা প্রয়োগ করতে বাধ্য। অগ্রাধিকারভিত্তিতে ভিসাসংক্রান্ত এ জটিলতা নিরসনে সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ঢাকাস্থ ইতালি দূতাবাস। এ বিষয়ে আবেদনকারীসহ সবার সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।

দীর্ঘদিন যাবত জমে থাকা ভিসা আবেদনসমূহ দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তির আশ্বাস দিয়েছে ঢাকাস্থ ইতালি দূতাবাস। এ লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে দূতাবাসটি কনস্যুলার শাখার লোকবল বৃদ্ধিসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।
ইতালি দূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, দূতাবাসটিতে বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজারের অধিক কাজসংক্রান্ত ভিসার আবেদন বিবেচনাধীন রয়েছে। দূতাবাস সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পাদন করে এরই মধ্যে স্ব-স্ব আবেদনকারীর কাছে পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায়, আগামী দুই মাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক (অন্তত ২০ হাজার) আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণপূর্বক পাসপোর্ট ফেরত প্রদানের বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে ঢাকাস্থ ইতালি দূতাবাস।
তবে এই মর্মে ইতালি দূতাবাস অবহিত করেছে, জাল কাগজপত্র শনাক্তকরণ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে জমাকৃত সব ডকুমেন্ট বিশেষভাবে যাচাই করা অত্যাবশ্যকীয়। ফলে শুধু কাজের অনুমতিপত্র বা ‘nulla osta’ জমা দিলেই ভিসা প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত নয়। কাজ ছাড়াও অধ্যয়ন, ব্যবসা, পর্যটন, পারিবারিক ভিসা ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে ইতালি দূতাবাসে জমাকৃত ভিসা আবেদনের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, ভিসা প্রদানে প্রয়োজনীয় সময় বা ভিসার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এবং তাঁর পরিপ্রেক্ষিতে আপিলসংক্রান্ত বিষয়সমূহ শুধু ইতালির প্রযোজ্য আইন ও প্রবিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং দূতাবাসও তা প্রয়োগ করতে বাধ্য। অগ্রাধিকারভিত্তিতে ভিসাসংক্রান্ত এ জটিলতা নিরসনে সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ঢাকাস্থ ইতালি দূতাবাস। এ বিষয়ে আবেদনকারীসহ সবার সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।


শফিকুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মত জানিয়েছে। আমরা এটিকে হুমকি হিসেবে দেখছি না। যেটা সবচেয়ে উত্তম, প্রধান উপদেষ্টা সেটাই করবেন। আগামী ১৩ নভেম্বর আদালত শেখ হাসিনার বিচারের দিন জানাবেন।’
২ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৪০ জন। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ (Odhikar) জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৪ মাস
৪ ঘণ্টা আগে
বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করার সরকারের সিদ্ধান্তে বিআরটি পরিচালনার জন্য গঠিত ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (পিএলসি) ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি চালু না হলে কার্যত এই কোম্পানির কোনো কাজ থাকছে না।
১৫ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে আদেশ জারি ও গণভোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন সংকট। গণভোটের সময় এবং আদেশ জারির এখতিয়ার প্রশ্নে আবারও বিভক্ত হয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো। দলগুলোর এমন অনৈক্য অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

গণভোট ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা সিদ্ধান্ত নেবেন। যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, নির্বাচন ১৫ ফেব্রুয়ারির আগে হবে। কোনো শক্তি এটিকে পেছাতে পারবে না। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব কথা বলেছেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মত জানিয়েছে। আমরা এটিকে হুমকি হিসেবে দেখছি না। যেটা সবচেয়ে উত্তম, প্রধান উপদেষ্টা সেটাই করবেন। আগামী ১৩ নভেম্বর আদালত শেখ হাসিনার বিচারের দিন জানাবেন।’
চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে নারীর ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বৈরাচার পতন ও গণ-অভ্যুত্থানে পুরুষ ও নারীরা রাজপথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করেছেন। এখন নারীরা পিছিয়ে নেই। সব ক্ষেত্রেই তাঁরা প্রতিনিধিত্ব করছেন।
উল্লেখ্য, তরুণদের জ্ঞান ও মেধার বিকাশকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘মাইন্ডব্রিজ ও নলেজ কম্পিটিশন ২০২৫’-এর আয়োজন করা হয়।
নোবিপ্রবি কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে ফাউন্ডেশনের সভাপতি জান্নাতুল নাঈম প্রমির সভাপতিত্বে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। বিশেষ অতিথি ছিলেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ইসমাঈল।

গণভোট ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা সিদ্ধান্ত নেবেন। যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, নির্বাচন ১৫ ফেব্রুয়ারির আগে হবে। কোনো শক্তি এটিকে পেছাতে পারবে না। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব কথা বলেছেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মত জানিয়েছে। আমরা এটিকে হুমকি হিসেবে দেখছি না। যেটা সবচেয়ে উত্তম, প্রধান উপদেষ্টা সেটাই করবেন। আগামী ১৩ নভেম্বর আদালত শেখ হাসিনার বিচারের দিন জানাবেন।’
চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে নারীর ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বৈরাচার পতন ও গণ-অভ্যুত্থানে পুরুষ ও নারীরা রাজপথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করেছেন। এখন নারীরা পিছিয়ে নেই। সব ক্ষেত্রেই তাঁরা প্রতিনিধিত্ব করছেন।
উল্লেখ্য, তরুণদের জ্ঞান ও মেধার বিকাশকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘মাইন্ডব্রিজ ও নলেজ কম্পিটিশন ২০২৫’-এর আয়োজন করা হয়।
নোবিপ্রবি কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে ফাউন্ডেশনের সভাপতি জান্নাতুল নাঈম প্রমির সভাপতিত্বে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। বিশেষ অতিথি ছিলেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ইসমাঈল।


দীর্ঘদিন যাবত জমে থাকা ভিসা আবেদনসমূহ দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তির আশ্বাস দিয়েছে ঢাকাস্থ ইতালি দূতাবাস। এ লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে দূতাবাসটি কনস্যুলার শাখার লোকবল বৃদ্ধিসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।
০৩ অক্টোবর ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৪০ জন। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ (Odhikar) জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৪ মাস
৪ ঘণ্টা আগে
বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করার সরকারের সিদ্ধান্তে বিআরটি পরিচালনার জন্য গঠিত ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (পিএলসি) ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি চালু না হলে কার্যত এই কোম্পানির কোনো কাজ থাকছে না।
১৫ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে আদেশ জারি ও গণভোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন সংকট। গণভোটের সময় এবং আদেশ জারির এখতিয়ার প্রশ্নে আবারও বিভক্ত হয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো। দলগুলোর এমন অনৈক্য অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৪০ জন। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ (Odhikar) জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৪ মাস অতিক্রম করলেও, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
অধিকারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড মোট ৪০টি। এর মধ্যে নির্যাতনে মৃত্যু ১৪, গুলিতে নিহত ১৯ এবং পিটিয়ে হত্যার শিকার হয়েছেন সাতজন।
অধিকার বলেছে, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে ১১ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন পুলিশের হাতে, একজন সেনাবাহিনীর হাতে এবং সাতজন যৌথ বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনজনকে নির্যাতনে, ছয়জনকে গুলিতে এবং দুজন পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
অধিকারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের আগস্টের ৯ তারিখের পর ওই মাসে কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। সেপ্টেম্বরে ৯ জনের পর অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে একজন করে এমন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এরপর ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে মারা যান পাঁচজন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন। মার্চ ও এপ্রিল মাসে মারা যান একজন করে দুজন। এরপর মে, জুন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যকাণ্ডের শিকারের সংখ্যা যথাক্রমে ৪, ৩, ৬, ৩ ও ২।
অধিকারের হিসাব অনুযায়ী, গত ১৪ মাসে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ২৪২টি। এর মধ্যে আহত হয়েছেন ১২৯ জন, নিহত ১, লাঞ্ছিত ৪৩, আক্রমণ ৫, হুমকির শিকার ৩১ এবং মামলার শিকার ৩৩ জন।
অধিকারের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ১ জন নিহত, ৩৪ জন আহত, ১১ জন লাঞ্ছিত, ৯ জন হুমকির শিকার ও ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এ ছাড়া রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৭ হাজার ৯৭৯টি। এর মধ্যে নিহত ২৮১, আহত ৭ হাজার ৬৯৮ জন। এ ছাড়া চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে রাজনৈতিক সহিংসতায় কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত এবং ১ হাজার ৫৩৭ জন আহত হয়েছেন। এই তিন মাসে বিএনপির ৮২টি ও আওয়ামী লীগের একটি অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে আটজন নিহত ও ৭৪০ জন আহত এবং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ১২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে এ বছরের মার্চে, ৯৪৪টি। ৮৬২টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে গত বছরের সেপ্টেম্বরে। গত বছরের আগস্টে (৯–৩১ আগস্ট) সংখ্যাটি ছিল ৫০০। ৭৯৮টি ঘটনা ঘটে এ বছরের এপ্রিলে। গত জুন, জুলাই ও আগস্টে সংখ্যাটি ছিল যথাক্রমে ৪৮৯, ৫৭৯ ও ৬৫৮। গত সেপ্টেম্বরে সংখ্যাটি নেমে দাঁড়ায় ৩০০-তে।
১৪ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হন ২৮১ জন। সবচেয়ে বেশি ব্যক্তি নিহত হন এ বছরের মার্চে ৪৪ জন, এরপর এক মাসে বেশি নিহত হন গত বছরের আগস্টের ২৩ দিনে ৩৩ জন।
১৪ মাসে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে ১৫৩ জনের। এ ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে গত সেপ্টেম্বরে, ১৮টি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ ঘটনা ছিল ১৭টি। গত তিন মাসে এমন ঘটনার সংখ্যা ৪৫।
গত তিন মাসে ১৮৮ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৭৭ জন নারী এবং ১১১ জন মেয়েশিশু। ওই ৭৭ জন নারীর মধ্যে ১৮ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং দুজন ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন। ১১১ জন কন্যাশিশুর মধ্যে ১৩ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এবং ৬ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট আটজন নারী ও মেয়েশিশু যৌন হয়রানির (উত্ত্যক্তকরণ) শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া নারী ও শিশুদের ওপর সংঘটিত যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে দুজন পুরুষ আহত হয়েছেন এবং তিনজন নারী নিহত হয়েছেন।
গত তিন মাসে মোট ১২ জন নারী যৌতুক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ছয়জন নারীকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে, পাঁচজন বিভিন্নভাবে নিপীড়নের শিকার এবং একজন আত্মহত্যা করেছেন।
উল্লেখিত, এক বছরে সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহত হয়েছে ৩৫ জন বাংলাদেশি, আহত হয়েছেন ৩৪ জন এবং পুশ ইন করা হয়েছে ২ হাজার ৩৩৩ জনকে। অবশ্য পুশ ইনের ঘটনাগুলো ঘটেছে চলতি বছরের মে মাস থেকে।
এ ছাড়া চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিএসএফের গুলিতে ১০ বাংলাদেশি নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছেন। নিহত ১০ জনের মধ্যে সাতজনকে গুলি করে হত্যা এবং তিনজনকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ১০ জনকে গুলি করে এবং চারজনকে নির্যাতন করে আহত করা হয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সীমান্ত এলাকার মানবাধিকারকর্মীদের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ ৫৪৪ জনকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৪০ জন। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ (Odhikar) জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৪ মাস অতিক্রম করলেও, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
অধিকারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড মোট ৪০টি। এর মধ্যে নির্যাতনে মৃত্যু ১৪, গুলিতে নিহত ১৯ এবং পিটিয়ে হত্যার শিকার হয়েছেন সাতজন।
অধিকার বলেছে, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে ১১ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন পুলিশের হাতে, একজন সেনাবাহিনীর হাতে এবং সাতজন যৌথ বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনজনকে নির্যাতনে, ছয়জনকে গুলিতে এবং দুজন পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
অধিকারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের আগস্টের ৯ তারিখের পর ওই মাসে কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। সেপ্টেম্বরে ৯ জনের পর অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে একজন করে এমন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এরপর ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে মারা যান পাঁচজন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন। মার্চ ও এপ্রিল মাসে মারা যান একজন করে দুজন। এরপর মে, জুন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যকাণ্ডের শিকারের সংখ্যা যথাক্রমে ৪, ৩, ৬, ৩ ও ২।
অধিকারের হিসাব অনুযায়ী, গত ১৪ মাসে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ২৪২টি। এর মধ্যে আহত হয়েছেন ১২৯ জন, নিহত ১, লাঞ্ছিত ৪৩, আক্রমণ ৫, হুমকির শিকার ৩১ এবং মামলার শিকার ৩৩ জন।
অধিকারের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ১ জন নিহত, ৩৪ জন আহত, ১১ জন লাঞ্ছিত, ৯ জন হুমকির শিকার ও ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এ ছাড়া রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৭ হাজার ৯৭৯টি। এর মধ্যে নিহত ২৮১, আহত ৭ হাজার ৬৯৮ জন। এ ছাড়া চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে রাজনৈতিক সহিংসতায় কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত এবং ১ হাজার ৫৩৭ জন আহত হয়েছেন। এই তিন মাসে বিএনপির ৮২টি ও আওয়ামী লীগের একটি অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে আটজন নিহত ও ৭৪০ জন আহত এবং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ১২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে এ বছরের মার্চে, ৯৪৪টি। ৮৬২টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে গত বছরের সেপ্টেম্বরে। গত বছরের আগস্টে (৯–৩১ আগস্ট) সংখ্যাটি ছিল ৫০০। ৭৯৮টি ঘটনা ঘটে এ বছরের এপ্রিলে। গত জুন, জুলাই ও আগস্টে সংখ্যাটি ছিল যথাক্রমে ৪৮৯, ৫৭৯ ও ৬৫৮। গত সেপ্টেম্বরে সংখ্যাটি নেমে দাঁড়ায় ৩০০-তে।
১৪ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হন ২৮১ জন। সবচেয়ে বেশি ব্যক্তি নিহত হন এ বছরের মার্চে ৪৪ জন, এরপর এক মাসে বেশি নিহত হন গত বছরের আগস্টের ২৩ দিনে ৩৩ জন।
১৪ মাসে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে ১৫৩ জনের। এ ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে গত সেপ্টেম্বরে, ১৮টি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ ঘটনা ছিল ১৭টি। গত তিন মাসে এমন ঘটনার সংখ্যা ৪৫।
গত তিন মাসে ১৮৮ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৭৭ জন নারী এবং ১১১ জন মেয়েশিশু। ওই ৭৭ জন নারীর মধ্যে ১৮ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং দুজন ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন। ১১১ জন কন্যাশিশুর মধ্যে ১৩ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এবং ৬ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট আটজন নারী ও মেয়েশিশু যৌন হয়রানির (উত্ত্যক্তকরণ) শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া নারী ও শিশুদের ওপর সংঘটিত যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে দুজন পুরুষ আহত হয়েছেন এবং তিনজন নারী নিহত হয়েছেন।
গত তিন মাসে মোট ১২ জন নারী যৌতুক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ছয়জন নারীকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে, পাঁচজন বিভিন্নভাবে নিপীড়নের শিকার এবং একজন আত্মহত্যা করেছেন।
উল্লেখিত, এক বছরে সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহত হয়েছে ৩৫ জন বাংলাদেশি, আহত হয়েছেন ৩৪ জন এবং পুশ ইন করা হয়েছে ২ হাজার ৩৩৩ জনকে। অবশ্য পুশ ইনের ঘটনাগুলো ঘটেছে চলতি বছরের মে মাস থেকে।
এ ছাড়া চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিএসএফের গুলিতে ১০ বাংলাদেশি নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছেন। নিহত ১০ জনের মধ্যে সাতজনকে গুলি করে হত্যা এবং তিনজনকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ১০ জনকে গুলি করে এবং চারজনকে নির্যাতন করে আহত করা হয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সীমান্ত এলাকার মানবাধিকারকর্মীদের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ ৫৪৪ জনকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।


দীর্ঘদিন যাবত জমে থাকা ভিসা আবেদনসমূহ দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তির আশ্বাস দিয়েছে ঢাকাস্থ ইতালি দূতাবাস। এ লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে দূতাবাসটি কনস্যুলার শাখার লোকবল বৃদ্ধিসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।
০৩ অক্টোবর ২০২৪
শফিকুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মত জানিয়েছে। আমরা এটিকে হুমকি হিসেবে দেখছি না। যেটা সবচেয়ে উত্তম, প্রধান উপদেষ্টা সেটাই করবেন। আগামী ১৩ নভেম্বর আদালত শেখ হাসিনার বিচারের দিন জানাবেন।’
২ ঘণ্টা আগে
বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করার সরকারের সিদ্ধান্তে বিআরটি পরিচালনার জন্য গঠিত ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (পিএলসি) ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি চালু না হলে কার্যত এই কোম্পানির কোনো কাজ থাকছে না।
১৫ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে আদেশ জারি ও গণভোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন সংকট। গণভোটের সময় এবং আদেশ জারির এখতিয়ার প্রশ্নে আবারও বিভক্ত হয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো। দলগুলোর এমন অনৈক্য অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করার সরকারের সিদ্ধান্তে বিআরটি পরিচালনার জন্য গঠিত ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (পিএলসি) ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি চালু না হলে কার্যত এই কোম্পানির কোনো কাজ থাকছে না। প্রকল্পের তহবিল থেকে কোম্পানিটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও পরিচালন ব্যয় মেটানো হয় বলে এ নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
সূত্র বলেছে, প্রকল্প বন্ধ হলে বিআরটি কোম্পানিকে অন্য কোনো কাজে যুক্ত করার বিষয়ে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) একাধিক প্রস্তাব দিয়েছে। অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেছেন, বিআরটি কোম্পানির ক্ষেত্রে আপাতত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে। যদি কোম্পানি নিজেরা অন্য কোনো কাজে অংশ নিতে চায়, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।
রাজধানীর যানজট নিরসন ও যাত্রীদের জন্য দ্রুতগতির গণপরিবহন নিশ্চিতের লক্ষ্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। বিশেষ বাস চলাচলের জন্য এই করিডরের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার। প্রকল্পটির নির্মাণকাজের জন্য প্রকল্পসংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা ও যাত্রীদের এক যুগ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা, যা পরে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকায়। কাজ শেষ না হলেও এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের করিডরের ধারণা বাতিল হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চার লেনের সড়ক সাধারণ যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন ঢাকা বিআরটি কোম্পানি (পিএলসি) গঠিত হয়েছিল বিআরটি রুট পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। কিন্তু প্রকল্প চালু না হলে কোম্পানির কাজও কার্যত শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এই কোম্পানির মূল দায়িত্বের মধ্যে ছিল বাস কেনা, বিআরটি পরিচালনার জন্য আইটিএস সরঞ্জাম কেনা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র ও সিগন্যাল সিস্টেম স্থাপন, বিদ্যমান বাস অপারেটরদের সঙ্গে সমন্বয় এবং বিআরটি বাস অপারেটর নির্বাচন। কিন্তু গত ১২ বছরে এসব কাজের কোনোটিই সম্পন্ন করতে পারেনি কোম্পানিটি।
প্রকল্প সূত্র জানায়, একাধিকবার দরপত্র আহ্বান করলেও এখনো একটি বাসও কেনা যায়নি। বর্তমানে ঢাকা বিআরটি কোম্পানিতে একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (যুগ্ম সচিব পদমর্যাদা) নেতৃত্বে ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. নূরুল আমিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্প এগোবে কি না, সেটি আমরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানি না। যদি প্রকল্প স্থগিত হয়, তাহলে সরকার আমাদের অন্য কোনো দায়িত্ব দিতে পারে। তবে প্রকল্পের অর্থ থেকেই আমাদের বেতন ও পরিচালন ব্যয় মেটানো হতো। প্রকল্প বন্ধ হলে এই খাত থেকে অর্থ পাওয়া যাবে না, তখন কোম্পানির কার্যক্রম কীভাবে চলবে, সেটি সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।’
প্রকল্প না এগোনোর সিদ্ধান্তের পর ঢাকা বিআরটি কোম্পানি বিআরটি প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক সংস্থা ডিটিসিএর সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ডিটিসিএ সূত্র জানায়, প্রকল্প বন্ধ হলে কোম্পানিকে অন্য কোনো কাজে যুক্ত করার বিষয়ে একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ডিটিসিএর ‘ক্লিয়ারিং হাউস’ প্রকল্পে কোম্পানিকে সম্পৃক্ত করার প্রস্তাবও আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হয়েছে।
বিআরটি প্রকল্প নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন গত রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্পে আমরা কোনো বাস কিনছি না এবং টিকিট কাউন্টারগুলোও চালু করছি না। প্রকল্পের রাস্তাটি এখন চার লেনের একটি সাধারণ সড়ক হিসেবে খুলে দেওয়া হবে, যাতে অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারে। তবে প্রকল্পের অবকাঠামো যেমন আছে, তেমনই থাকবে, কোনো পরিবর্তন করা হচ্ছে না। ঢাকা বিআরটি কোম্পানির ক্ষেত্রেও আপাতত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। তারা যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে। যদি কোম্পানি নিজেরা অন্য কোনো কাজে অংশ নিতে চায়, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।’ তিনি বলেন, ভবিষ্যতে নতুন সরকার চাইলে বিআরটি সেবা চালু করতে পারবে। তাদের শুধু বাস কিনতে হবে ও টিকিট কাউন্টারগুলো চালু করতে হবে। তখন ঢাকা বিআরটি কোম্পানিকেই ব্যবহার করা যেতে পারে।
বৃহৎ কাঠামোর অসমাপ্ত পরিসমাপ্তি
অসমাপ্ত এই প্রকল্পের আওতায় ২০ দশমিক ২০ কিলোমিটার করিডর নির্মাণ করা হয়েছে। এর ১৫ দশমিক ০৭ কিলোমিটার ভূমিতে এবং ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার উড়ালসড়ক (এলিভেটেড) অংশ। রয়েছে ২৫টি স্টেশন, একটি বাস ডিপো (গাজীপুরে), দুটি টার্মিনাল (বিমানবন্দর ও গাজীপুরে), ছয়টি ফ্লাইওভার (বিমানবন্দর, জসীমউদ্দীন, কুনিয়া, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ভোগরা ও জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায়), টঙ্গী সেতু ১০ লেনে উন্নীত করা হয়েছে। আটটি অ্যাকসেস রোড, প্রায় ৫৬ কিলোমিটার নর্দমা ও ২৪ কিলোমিটার ফুটপাত করা হয়েছে।
শেখ মইনউদ্দিন বলেন, বিআরটি প্রকল্প শেষ করতে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা এবং ২০২৯ সাল পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়েছিল। সেটি অনুমোদন পায়নি। ফলে প্রকল্পটি এভাবেই শেষ করতে হচ্ছে। এখন ঠিকাদারের কিছু পাওনা ও অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়ে ডিপিপি সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্বল পরিকল্পনা, সমন্বয়ের অভাব, ঠিকাদারি বিলম্ব ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব—এসব কারণে বিআরটি প্রকল্প সফল হয়নি।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, বিআরটি প্রকল্প একটি পূর্ণাঙ্গ পরিবহনব্যবস্থার ধারণা ছিল। সেটি বাতিল হলে পুরো পরিকল্পনাই অর্থহীন হয়ে যায়। এত বড় বিনিয়োগের পরও যদি প্রকল্পটি সেবা দিতে না পারে, তাহলে এটি হবে একধরনের ‘স্ট্রাকচারাল ওয়েস্ট’। এখন জরুরি হলো ঢাকা বিআরটি কোম্পানির মানবসম্পদ ও সক্ষমতাকে অন্য পরিবহন উন্নয়ন প্রকল্পে কাজে লাগানো, যেন রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পুরোপুরি ব্যর্থ না হয়।

বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করার সরকারের সিদ্ধান্তে বিআরটি পরিচালনার জন্য গঠিত ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (পিএলসি) ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি চালু না হলে কার্যত এই কোম্পানির কোনো কাজ থাকছে না। প্রকল্পের তহবিল থেকে কোম্পানিটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও পরিচালন ব্যয় মেটানো হয় বলে এ নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
সূত্র বলেছে, প্রকল্প বন্ধ হলে বিআরটি কোম্পানিকে অন্য কোনো কাজে যুক্ত করার বিষয়ে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) একাধিক প্রস্তাব দিয়েছে। অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেছেন, বিআরটি কোম্পানির ক্ষেত্রে আপাতত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে। যদি কোম্পানি নিজেরা অন্য কোনো কাজে অংশ নিতে চায়, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।
রাজধানীর যানজট নিরসন ও যাত্রীদের জন্য দ্রুতগতির গণপরিবহন নিশ্চিতের লক্ষ্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। বিশেষ বাস চলাচলের জন্য এই করিডরের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার। প্রকল্পটির নির্মাণকাজের জন্য প্রকল্পসংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা ও যাত্রীদের এক যুগ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা, যা পরে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকায়। কাজ শেষ না হলেও এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের করিডরের ধারণা বাতিল হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চার লেনের সড়ক সাধারণ যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন ঢাকা বিআরটি কোম্পানি (পিএলসি) গঠিত হয়েছিল বিআরটি রুট পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। কিন্তু প্রকল্প চালু না হলে কোম্পানির কাজও কার্যত শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এই কোম্পানির মূল দায়িত্বের মধ্যে ছিল বাস কেনা, বিআরটি পরিচালনার জন্য আইটিএস সরঞ্জাম কেনা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র ও সিগন্যাল সিস্টেম স্থাপন, বিদ্যমান বাস অপারেটরদের সঙ্গে সমন্বয় এবং বিআরটি বাস অপারেটর নির্বাচন। কিন্তু গত ১২ বছরে এসব কাজের কোনোটিই সম্পন্ন করতে পারেনি কোম্পানিটি।
প্রকল্প সূত্র জানায়, একাধিকবার দরপত্র আহ্বান করলেও এখনো একটি বাসও কেনা যায়নি। বর্তমানে ঢাকা বিআরটি কোম্পানিতে একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (যুগ্ম সচিব পদমর্যাদা) নেতৃত্বে ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. নূরুল আমিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্প এগোবে কি না, সেটি আমরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানি না। যদি প্রকল্প স্থগিত হয়, তাহলে সরকার আমাদের অন্য কোনো দায়িত্ব দিতে পারে। তবে প্রকল্পের অর্থ থেকেই আমাদের বেতন ও পরিচালন ব্যয় মেটানো হতো। প্রকল্প বন্ধ হলে এই খাত থেকে অর্থ পাওয়া যাবে না, তখন কোম্পানির কার্যক্রম কীভাবে চলবে, সেটি সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।’
প্রকল্প না এগোনোর সিদ্ধান্তের পর ঢাকা বিআরটি কোম্পানি বিআরটি প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক সংস্থা ডিটিসিএর সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ডিটিসিএ সূত্র জানায়, প্রকল্প বন্ধ হলে কোম্পানিকে অন্য কোনো কাজে যুক্ত করার বিষয়ে একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ডিটিসিএর ‘ক্লিয়ারিং হাউস’ প্রকল্পে কোম্পানিকে সম্পৃক্ত করার প্রস্তাবও আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হয়েছে।
বিআরটি প্রকল্প নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন গত রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্পে আমরা কোনো বাস কিনছি না এবং টিকিট কাউন্টারগুলোও চালু করছি না। প্রকল্পের রাস্তাটি এখন চার লেনের একটি সাধারণ সড়ক হিসেবে খুলে দেওয়া হবে, যাতে অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারে। তবে প্রকল্পের অবকাঠামো যেমন আছে, তেমনই থাকবে, কোনো পরিবর্তন করা হচ্ছে না। ঢাকা বিআরটি কোম্পানির ক্ষেত্রেও আপাতত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। তারা যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে। যদি কোম্পানি নিজেরা অন্য কোনো কাজে অংশ নিতে চায়, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।’ তিনি বলেন, ভবিষ্যতে নতুন সরকার চাইলে বিআরটি সেবা চালু করতে পারবে। তাদের শুধু বাস কিনতে হবে ও টিকিট কাউন্টারগুলো চালু করতে হবে। তখন ঢাকা বিআরটি কোম্পানিকেই ব্যবহার করা যেতে পারে।
বৃহৎ কাঠামোর অসমাপ্ত পরিসমাপ্তি
অসমাপ্ত এই প্রকল্পের আওতায় ২০ দশমিক ২০ কিলোমিটার করিডর নির্মাণ করা হয়েছে। এর ১৫ দশমিক ০৭ কিলোমিটার ভূমিতে এবং ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার উড়ালসড়ক (এলিভেটেড) অংশ। রয়েছে ২৫টি স্টেশন, একটি বাস ডিপো (গাজীপুরে), দুটি টার্মিনাল (বিমানবন্দর ও গাজীপুরে), ছয়টি ফ্লাইওভার (বিমানবন্দর, জসীমউদ্দীন, কুনিয়া, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ভোগরা ও জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায়), টঙ্গী সেতু ১০ লেনে উন্নীত করা হয়েছে। আটটি অ্যাকসেস রোড, প্রায় ৫৬ কিলোমিটার নর্দমা ও ২৪ কিলোমিটার ফুটপাত করা হয়েছে।
শেখ মইনউদ্দিন বলেন, বিআরটি প্রকল্প শেষ করতে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা এবং ২০২৯ সাল পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়েছিল। সেটি অনুমোদন পায়নি। ফলে প্রকল্পটি এভাবেই শেষ করতে হচ্ছে। এখন ঠিকাদারের কিছু পাওনা ও অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়ে ডিপিপি সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্বল পরিকল্পনা, সমন্বয়ের অভাব, ঠিকাদারি বিলম্ব ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব—এসব কারণে বিআরটি প্রকল্প সফল হয়নি।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, বিআরটি প্রকল্প একটি পূর্ণাঙ্গ পরিবহনব্যবস্থার ধারণা ছিল। সেটি বাতিল হলে পুরো পরিকল্পনাই অর্থহীন হয়ে যায়। এত বড় বিনিয়োগের পরও যদি প্রকল্পটি সেবা দিতে না পারে, তাহলে এটি হবে একধরনের ‘স্ট্রাকচারাল ওয়েস্ট’। এখন জরুরি হলো ঢাকা বিআরটি কোম্পানির মানবসম্পদ ও সক্ষমতাকে অন্য পরিবহন উন্নয়ন প্রকল্পে কাজে লাগানো, যেন রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পুরোপুরি ব্যর্থ না হয়।


দীর্ঘদিন যাবত জমে থাকা ভিসা আবেদনসমূহ দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তির আশ্বাস দিয়েছে ঢাকাস্থ ইতালি দূতাবাস। এ লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে দূতাবাসটি কনস্যুলার শাখার লোকবল বৃদ্ধিসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।
০৩ অক্টোবর ২০২৪
শফিকুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মত জানিয়েছে। আমরা এটিকে হুমকি হিসেবে দেখছি না। যেটা সবচেয়ে উত্তম, প্রধান উপদেষ্টা সেটাই করবেন। আগামী ১৩ নভেম্বর আদালত শেখ হাসিনার বিচারের দিন জানাবেন।’
২ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৪০ জন। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ (Odhikar) জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৪ মাস
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে আদেশ জারি ও গণভোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন সংকট। গণভোটের সময় এবং আদেশ জারির এখতিয়ার প্রশ্নে আবারও বিভক্ত হয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো। দলগুলোর এমন অনৈক্য অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে আদেশ জারি ও গণভোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন সংকট। গণভোটের সময় এবং আদেশ জারির এখতিয়ার প্রশ্নে আবারও বিভক্ত হয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো। দলগুলোর এমন অনৈক্য অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। এখন কীভাবে বিষয়গুলো সামাল দিয়ে দ্রুত সনদের আদেশ জারি করা যায়, তা নিয়ে বেকায়দায় সরকার।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। গতকাল বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্যের মধ্যে যে অনৈক্যের সুর দেখছি, এটা হতাশাব্যঞ্জক। এই তীব্র বিরোধের মধ্যে কীভাবে সমঝোতার দলিল পাস হবে, এটা খুব দুরূহ একটা চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে এনে দিয়েছে।’
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গত মঙ্গলবার সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির কথা বলা হয়। পাশাপাশি তা বাস্তবায়নে দুটো বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটের আগে সরকার জাতীয় সনদের ভিত্তিতে একটি খসড়া বিল প্রস্তুত করবে, যা গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। ফলাফল ইতিবাচক হলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একযোগে এমপি ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁরা প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলে বিলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবে বিলের কথা বলা নেই। এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হলেও প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করার কথা বলা হয়।
জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ দ্রুত জারির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের মতো সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত আদেশ জারির পক্ষে জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি)। দলটির দাবি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসই এই আদেশে স্বাক্ষর করবেন, রাষ্ট্রপতি নন।
তবে বিএনপি বলেছে, সরকারের এমন আদেশ জারির এখতিয়ার নেই। এ ছাড়া গণভোট নিয়েও দলগুলোর মধ্য মতভেদ তীব্র হয়েছে। বিএনপি সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের পক্ষে। একই মত গণঅধিকার পরিষদেরও। তবে জামায়াতে ইসলামীর দাবি, নভেম্বরেই গণভোট হতে হবে।
সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তাদের সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করেছে। সেখানে যেসব বিষয়ে ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্য হয়েছে, তার উল্লেখ না রেখে দীর্ঘ আলোচনায় যেসব প্রসঙ্গ আসেনি, তা রাখা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে দলটির নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। সময়স্বল্পতা, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিপুল অঙ্কের ব্যয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ব্যাপক লোকবল নিয়োগ এবং একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো বিশাল আয়োজনের বিবেচনায় নির্বাচনের আগে গণভোট অনুষ্ঠান অপ্রয়োজনীয়, অযৌক্তিক এবং অবিবেচনাপ্রসূত। একই আয়োজনে এবং একই ব্যয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠান করা বাঞ্ছনীয়।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশকে ‘একপেশে’ও ‘জবরদস্তিমূলক’ বলে মনে করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই সুপারিশমালাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে এই সকল সুপারিশ কেবল জাতিকে বিভক্ত করবে, ঐক্যের বদলে অনৈক্য সৃষ্টি করবে। মনগড়া যেকোনো সংস্কার প্রস্তাব গ্রহণ করলে জাতীয় জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশকে বিএনপি ‘একপেশে’ ও ‘চাপিয়ে দেওয়া’ বললেও এর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছে জামায়াতে ইসলামী। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করছে দলটি। সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি নিয়ে এক মুহূর্ত দেরি করার পক্ষে নন জামায়াত নেতারা। গতকাল বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের উদ্দেশে দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘কোনো সময় ক্ষেপণ না করে আজই (বৃহস্পতিবার) ঘোষণা করুন। রাতের বেলায়ও অনেক আদেশ জারি করা যায়। না হলে আপনার সরকারের ওপর মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলবে। আর যদি আস্থা হারিয়ে ফেলে, তাহলে জাতীয় নির্বাচন করা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’
আদেশ জারিতে বিলম্ব হলে জামায়াত কী করবে জানতে চাইলে এই নেতা বলেন, ‘আমরা আন্দোলনের মধ্যেই আছি। আজকের (বৃহস্পতিবার) রাতের মধ্যেই দেখি করবে কি না। কালও (শুক্রবার) সময় আছে। বাকিটা কাল দেখা যাবে।’
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবাই এক রকম কথা বলছে, শুধু বিএনপি ভিন্ন কথা বলছে। তবে জাতীয় স্বার্থে সবার এক হওয়া উচিত। ঐকমত্য কমিশন যেহেতু জাতীয় স্বার্থে একটা সনদ করেছে, সেটি বাস্তবায়নে এখন সবার সহযোগিতা করা উচিত বলে আমরা মনে করি।’
জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মো. তাহেরও বলছেন, ‘জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে যে মতভেদ দেখা যাচ্ছে, এর ফলে রাজনীতিতে কিছুটা বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মনে করি, এই মুহূর্তে চরম পর্যায়ে না গিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে বসে এ বিষয়ে ঐকমত্যে আসা দরকার এবং সেটা খুব শিগগিরই।’
জামায়াতের মতো সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত আদেশ জারির পক্ষে এনসিপিও। এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা মনে করি, সুপারিশকৃত সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করতে হবে সরকারকে। এতে সই করার একমাত্র এখতিয়ার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ অনৈক্য তৈরি করেছে বলে বিএনপির মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন এনসিপির নেতারা। জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর বিএনপির এই অবস্থান দ্বিচারিতা বলে মনে করেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘তাঁদের এখন আর “না” বলার সুযোগ নেই। তাঁরা বিবাহে রাজি হয়েছেন, কাবিননামায় সই করেছেন। তাই “না” বলার কোনো সুযোগ নেই। তাঁদের ভেবেচিন্তে জুলাই সনদে সই করা উচিত ছিল।’
বাস্তবায়ন আদেশ জারিতে জামায়াতে ইসলামী সরকারকে আলটিমেটাম দিলেও এনসিপি আপাতত কোনো আলটিমেটাম দেবে না। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘এখনই আমরা আলটিমেটাম দিতে চাই না, তবে আমরা চাই, অবিলম্বে এই আদেশ জারি হোক।’
বিএনপির সঙ্গে একমত পোষণ করে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোটের পক্ষে অবস্থান গণঅধিকার পরিষদের। দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘নির্বাচন আর গণভোট একই দিনে এইটা আমাদের প্রস্তাব ছিল না। এইটা কমিশনেরই প্রস্তাব ছিল। আমরা তাতে রাজি হয়েছি। রাজি হওয়ার পরেও সরকার এখন জামায়াত ও এনসিপির চাওয়া অনুযায়ী গণভোট আগে করতে চাচ্ছে। নোট অব ডিসেন্ট বাদ রেখেই সনদ দিয়েছে।’
গণভোটের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত চলছে বলেও অভিযোগ করেন রাশেদ। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, দিল্লি-হাসিনার পরামর্শে, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি মহল চক্রান্ত করছে। সেই মহল মনে করছে, গণভোটের নামে রাষ্ট্র অস্থিতিশীল করে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন বানচাল করে আরেকটি এক-এগারো সৃষ্টির চক্রান্ত শুরু হয়েছে।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ কাফি রতন বলেন, ‘বাস্তবায়নের বিষয় নিয়ে জামায়াত ও এনসিপিকে খুশি করার যে চেষ্টা, তা বিপজ্জনক। গণভোটের বিষয়টা আমরা অপ্রয়োজনীয় মনে করি। আমরা মনে করি, নির্বাচনের দিনে একই দিনে হওয়া উচিত।’
দলগুলোর এমন মতবিরোধ প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘উনাদের (রাজনৈতিক দল) তো আসলে ঐকমত্য হয় নাই। কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে এর আগে আমরা জেনেছিলাম কনটেন্ট নিয়ে বিরোধ ছিল, যে সংস্কার হবে সেই বিষয়বস্তু নিয়ে বিরোধ ছিল। এখন আবার দেখলাম আরও দুই ধরনের বিরোধ তৈরি হয়েছে; একটা হচ্ছে জুলাই সনদ কী পদ্ধতিতে পাস করা হবে, আরেকটা হচ্ছে গণভোট কবে হবে।’
এই বিরোধকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে জাতির অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সরকার তো প্রত্যেকটা জায়গায় রীতিমতো জাতিকে হতাশ করল। শেষ পর্যন্ত জুলাই সনদে মন-কষাকষি হয়। সেখানে একটা দলের প্রতি কিংবা দলের বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলে সাধারণ মানুষ তো টের পাচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্ল্যাকমেলের চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা তো ভালো নয়।’

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে আদেশ জারি ও গণভোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন সংকট। গণভোটের সময় এবং আদেশ জারির এখতিয়ার প্রশ্নে আবারও বিভক্ত হয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো। দলগুলোর এমন অনৈক্য অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। এখন কীভাবে বিষয়গুলো সামাল দিয়ে দ্রুত সনদের আদেশ জারি করা যায়, তা নিয়ে বেকায়দায় সরকার।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। গতকাল বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্যের মধ্যে যে অনৈক্যের সুর দেখছি, এটা হতাশাব্যঞ্জক। এই তীব্র বিরোধের মধ্যে কীভাবে সমঝোতার দলিল পাস হবে, এটা খুব দুরূহ একটা চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে এনে দিয়েছে।’
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গত মঙ্গলবার সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির কথা বলা হয়। পাশাপাশি তা বাস্তবায়নে দুটো বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটের আগে সরকার জাতীয় সনদের ভিত্তিতে একটি খসড়া বিল প্রস্তুত করবে, যা গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। ফলাফল ইতিবাচক হলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একযোগে এমপি ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁরা প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলে বিলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবে বিলের কথা বলা নেই। এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হলেও প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করার কথা বলা হয়।
জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ দ্রুত জারির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের মতো সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত আদেশ জারির পক্ষে জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি)। দলটির দাবি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসই এই আদেশে স্বাক্ষর করবেন, রাষ্ট্রপতি নন।
তবে বিএনপি বলেছে, সরকারের এমন আদেশ জারির এখতিয়ার নেই। এ ছাড়া গণভোট নিয়েও দলগুলোর মধ্য মতভেদ তীব্র হয়েছে। বিএনপি সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের পক্ষে। একই মত গণঅধিকার পরিষদেরও। তবে জামায়াতে ইসলামীর দাবি, নভেম্বরেই গণভোট হতে হবে।
সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তাদের সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করেছে। সেখানে যেসব বিষয়ে ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্য হয়েছে, তার উল্লেখ না রেখে দীর্ঘ আলোচনায় যেসব প্রসঙ্গ আসেনি, তা রাখা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে দলটির নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। সময়স্বল্পতা, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিপুল অঙ্কের ব্যয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ব্যাপক লোকবল নিয়োগ এবং একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো বিশাল আয়োজনের বিবেচনায় নির্বাচনের আগে গণভোট অনুষ্ঠান অপ্রয়োজনীয়, অযৌক্তিক এবং অবিবেচনাপ্রসূত। একই আয়োজনে এবং একই ব্যয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠান করা বাঞ্ছনীয়।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশকে ‘একপেশে’ও ‘জবরদস্তিমূলক’ বলে মনে করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই সুপারিশমালাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে এই সকল সুপারিশ কেবল জাতিকে বিভক্ত করবে, ঐক্যের বদলে অনৈক্য সৃষ্টি করবে। মনগড়া যেকোনো সংস্কার প্রস্তাব গ্রহণ করলে জাতীয় জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশকে বিএনপি ‘একপেশে’ ও ‘চাপিয়ে দেওয়া’ বললেও এর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছে জামায়াতে ইসলামী। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করছে দলটি। সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি নিয়ে এক মুহূর্ত দেরি করার পক্ষে নন জামায়াত নেতারা। গতকাল বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের উদ্দেশে দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘কোনো সময় ক্ষেপণ না করে আজই (বৃহস্পতিবার) ঘোষণা করুন। রাতের বেলায়ও অনেক আদেশ জারি করা যায়। না হলে আপনার সরকারের ওপর মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলবে। আর যদি আস্থা হারিয়ে ফেলে, তাহলে জাতীয় নির্বাচন করা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’
আদেশ জারিতে বিলম্ব হলে জামায়াত কী করবে জানতে চাইলে এই নেতা বলেন, ‘আমরা আন্দোলনের মধ্যেই আছি। আজকের (বৃহস্পতিবার) রাতের মধ্যেই দেখি করবে কি না। কালও (শুক্রবার) সময় আছে। বাকিটা কাল দেখা যাবে।’
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবাই এক রকম কথা বলছে, শুধু বিএনপি ভিন্ন কথা বলছে। তবে জাতীয় স্বার্থে সবার এক হওয়া উচিত। ঐকমত্য কমিশন যেহেতু জাতীয় স্বার্থে একটা সনদ করেছে, সেটি বাস্তবায়নে এখন সবার সহযোগিতা করা উচিত বলে আমরা মনে করি।’
জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মো. তাহেরও বলছেন, ‘জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে যে মতভেদ দেখা যাচ্ছে, এর ফলে রাজনীতিতে কিছুটা বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মনে করি, এই মুহূর্তে চরম পর্যায়ে না গিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে বসে এ বিষয়ে ঐকমত্যে আসা দরকার এবং সেটা খুব শিগগিরই।’
জামায়াতের মতো সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত আদেশ জারির পক্ষে এনসিপিও। এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা মনে করি, সুপারিশকৃত সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করতে হবে সরকারকে। এতে সই করার একমাত্র এখতিয়ার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ অনৈক্য তৈরি করেছে বলে বিএনপির মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন এনসিপির নেতারা। জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর বিএনপির এই অবস্থান দ্বিচারিতা বলে মনে করেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘তাঁদের এখন আর “না” বলার সুযোগ নেই। তাঁরা বিবাহে রাজি হয়েছেন, কাবিননামায় সই করেছেন। তাই “না” বলার কোনো সুযোগ নেই। তাঁদের ভেবেচিন্তে জুলাই সনদে সই করা উচিত ছিল।’
বাস্তবায়ন আদেশ জারিতে জামায়াতে ইসলামী সরকারকে আলটিমেটাম দিলেও এনসিপি আপাতত কোনো আলটিমেটাম দেবে না। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘এখনই আমরা আলটিমেটাম দিতে চাই না, তবে আমরা চাই, অবিলম্বে এই আদেশ জারি হোক।’
বিএনপির সঙ্গে একমত পোষণ করে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোটের পক্ষে অবস্থান গণঅধিকার পরিষদের। দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘নির্বাচন আর গণভোট একই দিনে এইটা আমাদের প্রস্তাব ছিল না। এইটা কমিশনেরই প্রস্তাব ছিল। আমরা তাতে রাজি হয়েছি। রাজি হওয়ার পরেও সরকার এখন জামায়াত ও এনসিপির চাওয়া অনুযায়ী গণভোট আগে করতে চাচ্ছে। নোট অব ডিসেন্ট বাদ রেখেই সনদ দিয়েছে।’
গণভোটের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত চলছে বলেও অভিযোগ করেন রাশেদ। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, দিল্লি-হাসিনার পরামর্শে, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি মহল চক্রান্ত করছে। সেই মহল মনে করছে, গণভোটের নামে রাষ্ট্র অস্থিতিশীল করে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন বানচাল করে আরেকটি এক-এগারো সৃষ্টির চক্রান্ত শুরু হয়েছে।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ কাফি রতন বলেন, ‘বাস্তবায়নের বিষয় নিয়ে জামায়াত ও এনসিপিকে খুশি করার যে চেষ্টা, তা বিপজ্জনক। গণভোটের বিষয়টা আমরা অপ্রয়োজনীয় মনে করি। আমরা মনে করি, নির্বাচনের দিনে একই দিনে হওয়া উচিত।’
দলগুলোর এমন মতবিরোধ প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘উনাদের (রাজনৈতিক দল) তো আসলে ঐকমত্য হয় নাই। কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে এর আগে আমরা জেনেছিলাম কনটেন্ট নিয়ে বিরোধ ছিল, যে সংস্কার হবে সেই বিষয়বস্তু নিয়ে বিরোধ ছিল। এখন আবার দেখলাম আরও দুই ধরনের বিরোধ তৈরি হয়েছে; একটা হচ্ছে জুলাই সনদ কী পদ্ধতিতে পাস করা হবে, আরেকটা হচ্ছে গণভোট কবে হবে।’
এই বিরোধকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে জাতির অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সরকার তো প্রত্যেকটা জায়গায় রীতিমতো জাতিকে হতাশ করল। শেষ পর্যন্ত জুলাই সনদে মন-কষাকষি হয়। সেখানে একটা দলের প্রতি কিংবা দলের বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলে সাধারণ মানুষ তো টের পাচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্ল্যাকমেলের চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা তো ভালো নয়।’


দীর্ঘদিন যাবত জমে থাকা ভিসা আবেদনসমূহ দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তির আশ্বাস দিয়েছে ঢাকাস্থ ইতালি দূতাবাস। এ লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে দূতাবাসটি কনস্যুলার শাখার লোকবল বৃদ্ধিসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।
০৩ অক্টোবর ২০২৪
শফিকুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মত জানিয়েছে। আমরা এটিকে হুমকি হিসেবে দেখছি না। যেটা সবচেয়ে উত্তম, প্রধান উপদেষ্টা সেটাই করবেন। আগামী ১৩ নভেম্বর আদালত শেখ হাসিনার বিচারের দিন জানাবেন।’
২ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৪০ জন। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ (Odhikar) জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৪ মাস
৪ ঘণ্টা আগে
বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করার সরকারের সিদ্ধান্তে বিআরটি পরিচালনার জন্য গঠিত ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (পিএলসি) ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি চালু না হলে কার্যত এই কোম্পানির কোনো কাজ থাকছে না।
১৫ ঘণ্টা আগে