Ajker Patrika

পাহাড়ে উৎসব

বান্দরবানজুড়ে পর্যটকের ভিড়

ফিচার ডেস্ক
বান্দরবানজুড়ে পর্যটকের ভিড়

আষাঢ় শুরু না হলেও বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে ঈদুল আজহার টানা ছুটি। এই দুইয়ের মিশ্রণে পর্যটকদের ঢল নেমেছে পাহাড়ের রানি বান্দরবানে। সবুজ পাহাড়, মেঘে মোড়ানো চূড়া, ছুটে চলা ঝরনা আর শান্ত নদীর টানে হাজারো পর্যটকের ভিড় জমেছে এই জেলায়।

সম্প্রতি প্রায় ৩৩ মাস পর ৫ জুন স্থানীয় প্রশাসন রুমা উপজেলার বগা লেক, থানচি উপজেলার তামাতুঙ্গীসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পর্যটন স্পট ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আদেশ জারি করা হয়। এরপর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন পর্যটকেরা। পাহাড়ি পথ পেরিয়ে তাঁরা পৌঁছাচ্ছেন দুর্গম মনোমুগ্ধকর এই জায়গাগুলোতে।

তবে নিরাপদ ভ্রমণের জন্য প্রশাসন তিনটি

শর্ত জুড়ে দিয়েছে। সেগুলো হলো—

  • সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় উপযুক্ত স্থানগুলো ছাড়া রুমা ও থানচি উপজেলার অন্য জায়গায় পর্যটকদের গমনাগমন নিষিদ্ধ থাকবে।
  • জেলা-উপজেলা প্রশাসনের নিবন্ধিত ট্যুরিস্ট গাইড ছাড়া ভ্রমণ করা যাবে না।
  • পর্যটনকেন্দ্র-সংশ্লিষ্ট চেকপোস্ট/পর্যটক তথ্যসেবা কেন্দ্রে চাওয়া তথ্য অবশ্যইসরবরাহ করতে হবে।

ঈদের তৃতীয় দিন বান্দরবানের থানচিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। পর্যটক পথপ্রদর্শক মো. মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, শনিবার ঈদের দুই দিন পর্যটক খুবই কম ছিল, কিন্তু তৃতীয় দিনে প্রায় ১ হাজার ২০০ পর্যটক থানচিতে প্রবেশ করেছেন।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন মজুমদার বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে আমরা প্রস্তুত। ট্যুরিস্ট গাইডদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া সব পর্যটকের মোবাইল নম্বর ও ঠিকানা আমাদের হাতে আছে। থানা-পুলিশের কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা রয়েছে।’

বান্দারবান.jpg1

বান্দরবানের উল্লেখযোগ্য স্পট মেঘলা, নীলাচল, চিম্বুক, নীলগিরি, শৈলপ্রপাত, দেবতাখুম, নাফাখুম, রেমাক্রী ও তামাতুঙ্গীতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। চাঁদের গাড়ি করে এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে ভ্রমণ করছেন অনেকে। কেউবা ব্যস্ত ঝরনায় গা ভেজাতে, আবার কেউ ছুটে যাচ্ছেন পাহাড়ি পল্লির সংস্কৃতির স্বাদ নিতে।

পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, শুধু বান্দরবান সদর নয়, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদমেও গড়ে উঠেছে নতুন নতুন রিসোর্ট। ঈদের ছুটিতে এসব জায়গায় পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে আবহাওয়ার কিছুটা বৈরী আচরণে মাঝে মাঝে ভ্রমণে বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানান তাঁরা।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু হলে রুমা ও থানচি উপজেলায় পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর আবারও পর্যটকদের উপস্থিতি বাড়ছে। এতে খুশি স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত