মো. মাসুদ হোসেন
এখন ইলিশের জন্য বিখ্যাত হলেও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এককালে চাঁদপুর নৌবন্দরের ছিল ব্যাপক খ্যাতি। দেশের অন্যতম প্রাচীন বাণিজ্য নগর চাঁদপুর। কালের পরিক্রমায় সেসব এখন ইতিহাস। পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় চাঁদপুর জেলা। বালুকাময় নদীতীরে দাঁড়িয়ে সমুদ্রসৈকতের আবহ, তপ্ত দুপুরে খোলা আকাশের নিচে নদীতে সূর্যের ঝলকানি, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার অপূর্ব সুযোগ—এসবই উপভোগ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে চাঁদপুরের মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্রে। চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা নদীতীরে সমুদ্রসৈকতের আদলে গড়ে ওঠা এই পর্যটনকেন্দ্রে প্রতিদিনই ভিড় করছেন ভ্রমণপিয়াসি হাজারো দর্শনার্থী। মোহনপুর লঞ্চঘাট এলাকায় ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত মিঠাপানির এই সৈকত এরই মধ্যে ‘মিনি কক্সবাজার’ হিসেবে সবার কাছে সমাদৃত হয়েছে।
কী আছে এখানে
এটি মিঠাপানির বিচ। এখানে বসে প্রতিদিন জোয়ার-ভাটা দেখা যায়। নদীতে চলে সারি সারি নৌযান। দেখা যায় জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য। মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্রে আছে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য পার্ক, বিভিন্ন রাইড, থ্রিস্টার মানের হোটেল, রেস্টহাউস, ক্যানটিন, পিকনিক স্পট, নৌকাভ্রমণের সুযোগ, মিনি শিশুপার্ক, রিভার ড্রাইভসহ খেলার মাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উন্মুক্ত মঞ্চ, মার্কেট, ওয়াচ টাওয়ার, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাসহ ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার ব্যবস্থা। আছে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত তারকা রেস্টুরেন্ট ও কটেজ।
টিকিট ও কার পার্কিং মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্রের প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরের বাঁ পাশেই রয়েছে টিকিট কাউন্টার। এখানে জনপ্রতি প্রবেশমূল্য ১০০ টাকা। কার পার্কিংয়ের জন্য কেন্দ্রের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে বিশাল জায়গা। গাড়ি পার্কিংয়ের ফি জমা দিয়ে টোকেন নিতে হবে।
কীভাবে যাবেন এবং থাকবেন
ঢাকাসহ দেশের যেকোনো জায়গা থেকে চাঁদপুরের মোহনপুরে নৌ ও সড়কপথ– দুভাবেই যাওয়া যাবে। ঢাকা থেকে সকাল ৭টায় চাঁদপুরগামী লঞ্চে চড়ে সাড়ে ৩ ঘণ্টার মধ্যে চাঁদপুরে পৌঁছানো যায়। চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে বাবুরহাট বা মতলব সেতু; সেখান থেকে মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্রের সামনে নামা যায়। সড়কপথে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে কুমিল্লাগামী বাসে দাউদকান্দি যেতে হবে। ভাড়া ৬০ থেকে ২০০ টাকা। দাউদকান্দিতে নেমে অটোরিকশায় যেতে হবে সিরারচর। ভাড়া মাত্র ৫০ টাকা।
সেখান থেকে আবার অটোরিকশায় উঠে মতলবে যেতে ভাড়া লাগবে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। তারপর মতলব থেকে অটোরিকশা অথবা মোটরসাইকেলে করে মোহনপুর পর্যন্ত যাওয়া যাবে। ভাড়া ৫০ থেকে ১৫০ টাকা।
এ ছাড়া রেলপথে আসতে চাইলে লাকসাম রেল জংশনে এসে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা বেলা ১১টায় চাঁদপুরগামী সাগরিকা এক্সপ্রেস ও রাত ৮টায় আন্তনগর মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে চাঁদপুর কালীবাড়ি কোর্ট স্টেশনে নেমে অটোরিকশায় মতলব সেতু এবং সেখান থেকে মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়া যায়। চাঁদপুর শহরে ছোট-বড় আবাসিক হোটেলসহ মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্রেও রয়েছে অত্যাধুনিক থাকার ব্যবস্থা।
এখন ইলিশের জন্য বিখ্যাত হলেও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এককালে চাঁদপুর নৌবন্দরের ছিল ব্যাপক খ্যাতি। দেশের অন্যতম প্রাচীন বাণিজ্য নগর চাঁদপুর। কালের পরিক্রমায় সেসব এখন ইতিহাস। পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় চাঁদপুর জেলা। বালুকাময় নদীতীরে দাঁড়িয়ে সমুদ্রসৈকতের আবহ, তপ্ত দুপুরে খোলা আকাশের নিচে নদীতে সূর্যের ঝলকানি, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার অপূর্ব সুযোগ—এসবই উপভোগ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে চাঁদপুরের মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্রে। চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা নদীতীরে সমুদ্রসৈকতের আদলে গড়ে ওঠা এই পর্যটনকেন্দ্রে প্রতিদিনই ভিড় করছেন ভ্রমণপিয়াসি হাজারো দর্শনার্থী। মোহনপুর লঞ্চঘাট এলাকায় ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত মিঠাপানির এই সৈকত এরই মধ্যে ‘মিনি কক্সবাজার’ হিসেবে সবার কাছে সমাদৃত হয়েছে।
কী আছে এখানে
এটি মিঠাপানির বিচ। এখানে বসে প্রতিদিন জোয়ার-ভাটা দেখা যায়। নদীতে চলে সারি সারি নৌযান। দেখা যায় জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য। মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্রে আছে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য পার্ক, বিভিন্ন রাইড, থ্রিস্টার মানের হোটেল, রেস্টহাউস, ক্যানটিন, পিকনিক স্পট, নৌকাভ্রমণের সুযোগ, মিনি শিশুপার্ক, রিভার ড্রাইভসহ খেলার মাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উন্মুক্ত মঞ্চ, মার্কেট, ওয়াচ টাওয়ার, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাসহ ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার ব্যবস্থা। আছে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত তারকা রেস্টুরেন্ট ও কটেজ।
টিকিট ও কার পার্কিং মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্রের প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরের বাঁ পাশেই রয়েছে টিকিট কাউন্টার। এখানে জনপ্রতি প্রবেশমূল্য ১০০ টাকা। কার পার্কিংয়ের জন্য কেন্দ্রের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে বিশাল জায়গা। গাড়ি পার্কিংয়ের ফি জমা দিয়ে টোকেন নিতে হবে।
কীভাবে যাবেন এবং থাকবেন
ঢাকাসহ দেশের যেকোনো জায়গা থেকে চাঁদপুরের মোহনপুরে নৌ ও সড়কপথ– দুভাবেই যাওয়া যাবে। ঢাকা থেকে সকাল ৭টায় চাঁদপুরগামী লঞ্চে চড়ে সাড়ে ৩ ঘণ্টার মধ্যে চাঁদপুরে পৌঁছানো যায়। চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে বাবুরহাট বা মতলব সেতু; সেখান থেকে মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্রের সামনে নামা যায়। সড়কপথে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে কুমিল্লাগামী বাসে দাউদকান্দি যেতে হবে। ভাড়া ৬০ থেকে ২০০ টাকা। দাউদকান্দিতে নেমে অটোরিকশায় যেতে হবে সিরারচর। ভাড়া মাত্র ৫০ টাকা।
সেখান থেকে আবার অটোরিকশায় উঠে মতলবে যেতে ভাড়া লাগবে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। তারপর মতলব থেকে অটোরিকশা অথবা মোটরসাইকেলে করে মোহনপুর পর্যন্ত যাওয়া যাবে। ভাড়া ৫০ থেকে ১৫০ টাকা।
এ ছাড়া রেলপথে আসতে চাইলে লাকসাম রেল জংশনে এসে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা বেলা ১১টায় চাঁদপুরগামী সাগরিকা এক্সপ্রেস ও রাত ৮টায় আন্তনগর মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে চাঁদপুর কালীবাড়ি কোর্ট স্টেশনে নেমে অটোরিকশায় মতলব সেতু এবং সেখান থেকে মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়া যায়। চাঁদপুর শহরে ছোট-বড় আবাসিক হোটেলসহ মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্রেও রয়েছে অত্যাধুনিক থাকার ব্যবস্থা।
শহরের বাসাগুলোর একফালি বারান্দায় বিভিন্ন প্রজাতির রংবেরঙের গাছ চোখ জুড়িয়ে দেয় এখন। দিন দিন এই শখের বাগানিদের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু গাছ লাগানো আর সেটিকে টিকিয়ে রাখা—দুটো এক নয়। অনেকে ভালোবাসা থেকে গাছ রোপণ করলেও পরিচর্যার কিছু সাধারণ ভুলে কাঙ্ক্ষিত ফল পান না। জেনে নিতে পারেন যত্নের নিয়মগুলো।
১০ ঘণ্টা আগেআজ বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর একজন সুস্থ মানুষ ৩ থেকে ৪ বার রক্ত দিতে পারেন কোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকি ছাড়া। তবে নিয়মিত রক্তদানের জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি, যাতে দাতার শরীরও সুস্থ থাকে, আর রক্তের মানও থাকে ভালো।
১৪ ঘণ্টা আগেগত কয়েক বছর ধরে আমাদের দেশে নবাবী সেমাই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ছুটির দিনের বিকেলে মজাদার এই সেমাই যাঁরা প্রথমবারের মতো তৈরি করার কথা ভাবছেন তাদের জন্য...
২ দিন আগেত্বকের যত্নে মানুষ কী না করে? শতভাগ বিশুদ্ধ অক্সিজেন ট্রিটমেন্ট থেকে শুরু করে হারবাল উপকরণে এর যত্ন নেওয়া, খানা খাদ্যে বিধিনিষেধ সবই আছে এর মধ্যে। ত্বকের এত যত্ন কেন? কারণ ত্বক শরীরের বাইরের দৃশ্যমান সবচেয়ে বড় অংশ। এটি যত সতেজ থাকবে, যত নীরোগ থাকবে নিজেকে ততই সুন্দর দেখাবে।
২ দিন আগে