ফিচার ডেস্ক
ওমর লতিফ যুক্তরাজ্যের অধিবাসী। ১৮ বছর বয়সে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভ্রমণের নেশা ছিল তাঁর। দৃষ্টিশক্তিহীন মানুষ হিসেবে ভ্রমণে গিয়ে অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল তাঁকে। অধিকাংশ ট্যুর কোম্পানি বলত, কোনো সহকারী ছাড়া তারা দৃষ্টিহীন যাত্রী নিতে পারবে না। এরপর ভ্রমণের ইচ্ছা থাকলেও ভ্রমণ প্রতিষ্ঠানগুলো তাঁকে ফিরিয়ে দিত। কিন্তু লতিফ দমে যাননি; বরং তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ২০০৪ সালে গড়ে তোলেন ট্রাভেলআইস। এই প্ল্যাটফর্মে কোনো দৃষ্টিশক্তিহীন মানুষ ভ্রমণ থেকে বঞ্চিত হয় না।
ট্রাভেলআইসের ওয়েবসাইটে গেলে চোখে পড়বে কোস্টারিকার জঙ্গল থেকে স্পেনের আগ্নেয়গিরি পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে তাদের ভ্রমণ গন্তব্য। দৃষ্টিহীনেরাও যেন ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিতে পারেন, সে জন্য ট্রাভেলআইসের রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এর মধ্যে রয়েছে লাইভ বর্ণনা। ট্রাভেলআইস থেকে প্রতিটি জায়গা এবং বস্তু সম্পর্কে লাইভ বর্ণনা করা হয়। ভ্রমণকালে প্রতিটি গ্রুপে থাকা স্বাভাবিক দৃষ্টিসম্পন্ন সহযাত্রীরা বন্ধুত্বপূর্ণ ও স্বতঃস্ফূর্ত ভঙ্গিতে আশপাশের দৃশ্যপট, স্থাপত্য, প্রকৃতি ও সংস্কৃতির নানা দিক বর্ণনা করে থাকেন দৃষ্টিহীন ভ্রমণকারীদের জন্য। দৃষ্টিশক্তিহীন ব্যক্তিও প্রশ্ন করতে পারেন, মতামত জানাতে পারেন।
এ ধরনের বাস্তবভিত্তিক বর্ণনা একজন দৃষ্টিহীন ভ্রমণকারীর কল্পনার জগতে এক নতুন মাত্রা যোগ করে। তাঁরা চোখে না দেখেও শব্দের মাধ্যমে অনুভব করতে পারেন চারপাশের সৌন্দর্য ও পরিবেশের সূক্ষ্ম বৈচিত্র্য। ফলে পুরো ভ্রমণ অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে অর্থবহ।
ট্রাভেলআইসের সঙ্গে একই ট্রিপে স্বাভাবিক দৃষ্টিসম্পন্ন পর্যটকেরা থাকেন। গ্লিন এভান্স নামের এক দৃষ্টিসম্পন্ন ব্রিটিশ ভ্রমণকারী ট্রাভেলআইসের সঙ্গে ৩০ বার ভ্রমণ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটা দারুণ উদ্যোগ। এতে করে এখানে সবার সঙ্গে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। ভ্রমণটা আরও আনন্দময় হয়ে ওঠে। ভ্রমণের মুহূর্ত প্রতি রাতে আমরা গল্প করি, আড্ডা দিই। এতে আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়।’
ট্রাভেলআইসের অন্যতম দিক হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানটি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভ্রমণে সহায়তায় অতিরিক্ত অর্থ নেয় না। ভ্রমণের খরচ সবার এক। এ ছাড়া দৃষ্টিসম্পন্ন পর্যটকেরা দৃষ্টিহীনদের সহচর হিসেবে কাজ করলে ভ্রমণ খরচ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়। সে ব্যয় ভ্রমণ সংস্থা বহন করে।
এই বিশেষ কারণে ট্রাভেলআইসের ৮০ শতাংশ দৃষ্টিহীন পর্যটক বারবার তাদের সেবা নিতে ফিরে আসেন।
ট্রাভেলআইস শুধু একটি ভ্রমণ সংস্থা নয়, একটি সামাজিক উদ্যোগ। যাঁরা দৃষ্টিহীন ও দৃষ্টিসম্পন্ন মানুষের মধ্যে বন্ধুত্ব, বোঝাপড়া এবং পারস্পরিক সহযোগিতার এক অনন্য উদাহরণ গড়ে তুলেছে।
সূত্র: সিএনবিসি
ওমর লতিফ যুক্তরাজ্যের অধিবাসী। ১৮ বছর বয়সে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভ্রমণের নেশা ছিল তাঁর। দৃষ্টিশক্তিহীন মানুষ হিসেবে ভ্রমণে গিয়ে অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল তাঁকে। অধিকাংশ ট্যুর কোম্পানি বলত, কোনো সহকারী ছাড়া তারা দৃষ্টিহীন যাত্রী নিতে পারবে না। এরপর ভ্রমণের ইচ্ছা থাকলেও ভ্রমণ প্রতিষ্ঠানগুলো তাঁকে ফিরিয়ে দিত। কিন্তু লতিফ দমে যাননি; বরং তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ২০০৪ সালে গড়ে তোলেন ট্রাভেলআইস। এই প্ল্যাটফর্মে কোনো দৃষ্টিশক্তিহীন মানুষ ভ্রমণ থেকে বঞ্চিত হয় না।
ট্রাভেলআইসের ওয়েবসাইটে গেলে চোখে পড়বে কোস্টারিকার জঙ্গল থেকে স্পেনের আগ্নেয়গিরি পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে তাদের ভ্রমণ গন্তব্য। দৃষ্টিহীনেরাও যেন ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিতে পারেন, সে জন্য ট্রাভেলআইসের রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এর মধ্যে রয়েছে লাইভ বর্ণনা। ট্রাভেলআইস থেকে প্রতিটি জায়গা এবং বস্তু সম্পর্কে লাইভ বর্ণনা করা হয়। ভ্রমণকালে প্রতিটি গ্রুপে থাকা স্বাভাবিক দৃষ্টিসম্পন্ন সহযাত্রীরা বন্ধুত্বপূর্ণ ও স্বতঃস্ফূর্ত ভঙ্গিতে আশপাশের দৃশ্যপট, স্থাপত্য, প্রকৃতি ও সংস্কৃতির নানা দিক বর্ণনা করে থাকেন দৃষ্টিহীন ভ্রমণকারীদের জন্য। দৃষ্টিশক্তিহীন ব্যক্তিও প্রশ্ন করতে পারেন, মতামত জানাতে পারেন।
এ ধরনের বাস্তবভিত্তিক বর্ণনা একজন দৃষ্টিহীন ভ্রমণকারীর কল্পনার জগতে এক নতুন মাত্রা যোগ করে। তাঁরা চোখে না দেখেও শব্দের মাধ্যমে অনুভব করতে পারেন চারপাশের সৌন্দর্য ও পরিবেশের সূক্ষ্ম বৈচিত্র্য। ফলে পুরো ভ্রমণ অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে অর্থবহ।
ট্রাভেলআইসের সঙ্গে একই ট্রিপে স্বাভাবিক দৃষ্টিসম্পন্ন পর্যটকেরা থাকেন। গ্লিন এভান্স নামের এক দৃষ্টিসম্পন্ন ব্রিটিশ ভ্রমণকারী ট্রাভেলআইসের সঙ্গে ৩০ বার ভ্রমণ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটা দারুণ উদ্যোগ। এতে করে এখানে সবার সঙ্গে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। ভ্রমণটা আরও আনন্দময় হয়ে ওঠে। ভ্রমণের মুহূর্ত প্রতি রাতে আমরা গল্প করি, আড্ডা দিই। এতে আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়।’
ট্রাভেলআইসের অন্যতম দিক হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানটি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভ্রমণে সহায়তায় অতিরিক্ত অর্থ নেয় না। ভ্রমণের খরচ সবার এক। এ ছাড়া দৃষ্টিসম্পন্ন পর্যটকেরা দৃষ্টিহীনদের সহচর হিসেবে কাজ করলে ভ্রমণ খরচ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়। সে ব্যয় ভ্রমণ সংস্থা বহন করে।
এই বিশেষ কারণে ট্রাভেলআইসের ৮০ শতাংশ দৃষ্টিহীন পর্যটক বারবার তাদের সেবা নিতে ফিরে আসেন।
ট্রাভেলআইস শুধু একটি ভ্রমণ সংস্থা নয়, একটি সামাজিক উদ্যোগ। যাঁরা দৃষ্টিহীন ও দৃষ্টিসম্পন্ন মানুষের মধ্যে বন্ধুত্ব, বোঝাপড়া এবং পারস্পরিক সহযোগিতার এক অনন্য উদাহরণ গড়ে তুলেছে।
সূত্র: সিএনবিসি
বাজারে আমড়া উঠেছে। ভর্তা করে বা ডালে আমড়া দিয়ে তো খাবেনই, আচারও বানাবেন নিশ্চয়ই। কিন্তু আমড়ার ঝাল রসগোল্লা? আপনাদের জন্য আস্ত আমড়ার ঝাল রসগোল্লার রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই এমনই এক জায়গা, যেখানে আছে অনেক প্রাকৃতিক ঝরনা আর বৈচিত্র্যময় প্রকৃতি। ফলে এই বর্ষাকালে সেখানে না গিয়ে উপায় কি!
৪ ঘণ্টা আগেছোটবেলা থেকে এক বিশেষ মানসিক সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছিলেন ক্যামেরুন মোফিড। সমস্যার নাম অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার (ওসিডি)। এ ধরনের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা একই চিন্তা বা আচরণে বারবার আটকে যান। এটি তাঁদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তোলে। এমনই এক বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছিলেন ইরানি-মিসরীয় বং
৫ ঘণ্টা আগেজাপান বরাবরই ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে জনপ্রিয় দেশ। দেশটির মানুষের আন্তরিক ব্যবহার এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা এত শোনা যায় যে ভ্রমণকারীদের স্বপ্নই থাকে জীবনে একবার না একবার সে দেশে যাওয়ার। তবে বেশির ভাগ পর্যটক টোকিও বা ওসাকার মতো জনপ্রিয় জায়গাগুলোয় ভ্রমণ করতে আগ্রহী থাকেন। কিন্তু জাপান সরকার পর্যটকদের
৭ ঘণ্টা আগে