প্রশ্ন: অনার্স শেষ করার এক বছরের মাথায় একটি কনসালট্যান্ট ফার্মে চাকরি পেয়েছি। মোটামুটি বেতনে নিজে চলতে পারছি। ২০২১ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর সংসার চালাচ্ছেন মা। আর্থিকভাবে আমরা মধ্যবিত্ত। ছোট ভাই কলেজে পড়ছে। কখনোই কারও কাছে হাত পাততে হয়নি। বাবার রেখে যাওয়া টাকা মা খুব গুছিয়েই খরচ করছেন এবং আমাদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় রেখে বেশ কিছু কাজও করেছেন। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমরা তিনজন তিনটা দ্বীপ। কেউ কারও| সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি না, ঠিকমতো কথাও বলছি না। জীবনের পরিকল্পনার কথা শেয়ার করছি না। বাবা যখন ছিলেন, তখন হয়তো আমরা এমন ছিলাম না।
কিছুদিন আগে একটি ছেলের সঙ্গে আমার হুট করে কথা শুরু। সে মোটামুটি জানত আমার পরিবারের বিষয়ে। কিন্তু হঠাৎই কোনো কারণ ছাড়া সে কিছু কথা শুনিয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ছেলেটি একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে ভালো চাকরি করছে। তার হঠাৎ মনে হলো, আমি গোল্ড ডিগার টাইপ কিছু। অথচ আমার সঙ্গে তার তেমন কোনো সম্পর্কই ছিল না ফেসবুকের পরিচয় ছাড়া।
এখন আমি অবসাদে ভুগছি এটা ভেবে যে হয়তো আমি ভালো চাকরি করি না, অনার্স শেষে আর লেখাপড়া শুরু করিনি বলে আমাকে অনেকেই ছোট মানসিকতার ভাবছে। তারা আমার কথার, কাজের বা অনুভূতির মূল্য দিতে চাইছে না। এটা আমার চাকরিজীবনেও পিছিয়ে দিচ্ছে। বুঝতে পারছি না, কী করব।
বিন্দু, ঢাকা
অনার্স শেষ করে আপনি চাকরি করছেন আর মা এত সুন্দর করে আপনার বাবার মৃত্যুর পর সব দিক সামলানোর কাজটি করছেন। সে জন্য আমি আপনাকে ও আপনার পরিবারকে অভিনন্দন জানাই।
জীবনের এই কঠিন সময়ে আপনারা লড়াই করছেন। আসলেই সময়টি হয়তো প্রতিকূল। সম্ভবত সে জন্যই সবাই মিলে আর আগের মতো বসা হয় না। পরিবারের সব সদস্য হয়তো এই জীবনযুদ্ধে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।
সবাই মিলে বসার দায়িত্বটি আপনিই নিন। কোনো একদিন একটি ঘরোয়া আয়োজন করুন। মা ও ভাইকে নিয়ে কফি খেতে যান। ধীরে ধীরে জানান আপনার অনুভূতির কথা। আপনার ভাই বা মায়ের দিন কেমন কাটছে, আপনাদের পরিকল্পনা কিংবা স্বপ্নের কথা জানতে চান। কথা বলুন, তাঁদের কথা শুনুন। মন খুলে আড্ডা দিন। শুরুতেই হয়তো সব ঠিক হবে না, সময় লাগবে, কিন্তু একাত্মতা বাড়বে।
সমাজে কিছু মানুষ আছে যারা অন্যকে সম্মান জানাতে পারে না, আঘাত করে আনন্দ পায়। তাদের জন্য নিজের অর্জনকে ছোট করে দেখবেন না, হীনম্মন্যতায় ভুগবেন না। সময়-সুযোগ পেলে মাস্টার্স শেষ করবেন।
পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. ফারজানা রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
প্রশ্ন: অনার্স শেষ করার এক বছরের মাথায় একটি কনসালট্যান্ট ফার্মে চাকরি পেয়েছি। মোটামুটি বেতনে নিজে চলতে পারছি। ২০২১ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর সংসার চালাচ্ছেন মা। আর্থিকভাবে আমরা মধ্যবিত্ত। ছোট ভাই কলেজে পড়ছে। কখনোই কারও কাছে হাত পাততে হয়নি। বাবার রেখে যাওয়া টাকা মা খুব গুছিয়েই খরচ করছেন এবং আমাদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় রেখে বেশ কিছু কাজও করেছেন। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমরা তিনজন তিনটা দ্বীপ। কেউ কারও| সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি না, ঠিকমতো কথাও বলছি না। জীবনের পরিকল্পনার কথা শেয়ার করছি না। বাবা যখন ছিলেন, তখন হয়তো আমরা এমন ছিলাম না।
কিছুদিন আগে একটি ছেলের সঙ্গে আমার হুট করে কথা শুরু। সে মোটামুটি জানত আমার পরিবারের বিষয়ে। কিন্তু হঠাৎই কোনো কারণ ছাড়া সে কিছু কথা শুনিয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ছেলেটি একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে ভালো চাকরি করছে। তার হঠাৎ মনে হলো, আমি গোল্ড ডিগার টাইপ কিছু। অথচ আমার সঙ্গে তার তেমন কোনো সম্পর্কই ছিল না ফেসবুকের পরিচয় ছাড়া।
এখন আমি অবসাদে ভুগছি এটা ভেবে যে হয়তো আমি ভালো চাকরি করি না, অনার্স শেষে আর লেখাপড়া শুরু করিনি বলে আমাকে অনেকেই ছোট মানসিকতার ভাবছে। তারা আমার কথার, কাজের বা অনুভূতির মূল্য দিতে চাইছে না। এটা আমার চাকরিজীবনেও পিছিয়ে দিচ্ছে। বুঝতে পারছি না, কী করব।
বিন্দু, ঢাকা
অনার্স শেষ করে আপনি চাকরি করছেন আর মা এত সুন্দর করে আপনার বাবার মৃত্যুর পর সব দিক সামলানোর কাজটি করছেন। সে জন্য আমি আপনাকে ও আপনার পরিবারকে অভিনন্দন জানাই।
জীবনের এই কঠিন সময়ে আপনারা লড়াই করছেন। আসলেই সময়টি হয়তো প্রতিকূল। সম্ভবত সে জন্যই সবাই মিলে আর আগের মতো বসা হয় না। পরিবারের সব সদস্য হয়তো এই জীবনযুদ্ধে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।
সবাই মিলে বসার দায়িত্বটি আপনিই নিন। কোনো একদিন একটি ঘরোয়া আয়োজন করুন। মা ও ভাইকে নিয়ে কফি খেতে যান। ধীরে ধীরে জানান আপনার অনুভূতির কথা। আপনার ভাই বা মায়ের দিন কেমন কাটছে, আপনাদের পরিকল্পনা কিংবা স্বপ্নের কথা জানতে চান। কথা বলুন, তাঁদের কথা শুনুন। মন খুলে আড্ডা দিন। শুরুতেই হয়তো সব ঠিক হবে না, সময় লাগবে, কিন্তু একাত্মতা বাড়বে।
সমাজে কিছু মানুষ আছে যারা অন্যকে সম্মান জানাতে পারে না, আঘাত করে আনন্দ পায়। তাদের জন্য নিজের অর্জনকে ছোট করে দেখবেন না, হীনম্মন্যতায় ভুগবেন না। সময়-সুযোগ পেলে মাস্টার্স শেষ করবেন।
পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. ফারজানা রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
সকাল সকাল স্মার্টফোনে অ্যালার্ম বাজতেই তড়িঘড়ি করে গোসল করতে দৌড়। এরপর আলমারি খুলে হাতের কাছে যা পাওয়া যায়, তাই পরে ব্যাগটা কাঁধে নিয়েই চম্পট। পাঁচ মিনিট দেরি হলেই বাস পাওয়া যাবে না। মেট্রো তো না-ই। যে মেয়েটার রোজ ক্লাস বা অফিস ধরতে এমনভাবে সকালটা যায়, বিশেষ দিনগুলোয় তার হালটা বোঝেন...
১ দিন আগেগরম মানেই প্রচণ্ড তাপ আর ঘাম। কিন্তু রোদে বের হলে ত্বক কেমন যেন শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। আঙুলের ডগা, গোড়ালি এমনকি ঠোঁটও ফাটে এখনকার গ্রীষ্মকালে। ভাবা যায়? এর কারণ হলো, গরম পড়লেও বাতাসে আর্দ্রতা কম, ফলে ত্বকে টান টান অনুভব হয়, অতিরিক্ত শুষ্কতাও দেখা দেয়। গরমে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে বাড়তি যত্ন নেওয়া চাই।
১ দিন আগেএখন কাঁচা আমের সময়। নববর্ষের প্রথম দিন বানাতে পারেন কাঁচা আমের কয়েক রকমের পদ। রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন আফরোজা খানম মুক্তা।
১ দিন আগেআমার গলা, ঘাড়ে ও পিঠে কিছু কালো ছোপ রয়েছে। দাগমুক্ত ত্বকের জন্য কী করতে পারি? নুসরাত জাহান, জয়পুরহাট
১ দিন আগে