ইশতিয়াক হাসান
পানীয় হিসেবে চায়ের জুড়ি মেলা ভার। ক্লান্ত শরীরটাকে যেন মুহূর্তেই চাঙা করে দেয় এক কাপ চা। তেমনি চা-বাগানের সৌন্দর্যেরও তুলনা নেই। আজ ৪ জুন জাতীয় চা দিবস। চতুর্থবারের মতো চা দিবস হিসেবে দিনটি উদ্যাপিত হচ্ছে দেশে। অবশ্য আন্তর্জাতিক চা দিবস হিসেবে পালিত হয় ২১ মে তারিখটা। আজ তাই চা ও চা-বাগান নিয়ে থাকছে মজার কিছু তথ্য। চাইলে এক কাপ চা হাতে যোগ দিতে পারেন আমাদের সঙ্গে।
কিংবদন্তি অনুসারে চা প্রথম আবিষ্কার করেন চীনা সম্রাট শেন নাং, খ্রিষ্টপূর্ব ২৭৩৭ সালে। ওই সময় তাঁর গরম পানির পাত্রে বুনো গাছের কিছু পাতা পড়ে, তিনি যেটি পান করলেন সেটাই চা।
পৃথিবীতে কত জাতের চা আছে শুনলে চমকে উঠবেন। সংখ্যাটা আনুমানিক ৩ হাজার।
পানি বাদ দিলে চা হলো পৃথিবীতে বেশি পান করা পানীয়।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি চা-বাগান আছে মৌলভীবাজার জেলায়। এখানকার শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা ও রাজনগরে অনেক চা-বাগান দেখতে পাবেন। সিলেট ও হবিগঞ্জ জেলায়ও চমৎকার ও ঐতিহ্যবাহী কিছু চা-বাগান আছে। দেশের প্রথম চা-বাগান মালনীছড়ার অবস্থান সিলেট শহরেই।
ব্ল্যাক টি, গ্রিন টি, হোয়াইট টি, ওলং টি—সব ধরনের চা আসে ক্যামেলিয়া সিনেসিস নামের উদ্ভিদ থেকে। তাদের স্বাদ, চেহারা আর গন্ধে ভিন্নতার কারণ প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রক্রিয়ায় ভিন্নতা।
আমাদের দেশের অনেক চা-বাগানই তৈরি হয়েছে পাহাড়ের মাঝে, জঙ্গল সাফ করে। চা-বাগান লাগোয়া জঙ্গলও আগে ছিল অনেক বেশি। কোনো কোনো চা-বাগানের নিজস্ব জঙ্গলের কথাও শুনেছি। একসময় চা-বাগানগুলো তাই ছিল চিতা বাঘসহ নানা বুনো প্রাণের আড্ডাখানা। আমাদের চা-বাগানে আর চিতা বাঘেদের খোঁজ না মিললেও পাশের দেশের চা-বাগানে এখনো অদ্ভুত সুন্দর এই প্রাণীর বেশ আনাগোনা আছে।
বছর কয়েক আগে যেমন দার্জিলিংয়ের ম্যালের মাত্র দুই মাইলের মধ্যে হ্যাপি ভ্যালি টি স্টেটে চিতা বাঘ দেখা যাওয়ায় রোমাঞ্চিত হয়েছিলেন বন্যপ্রাণীপ্রেমী পর্যটকেরা, তেমনি ভারতের ডুয়ার্সের চা-বাগান রাজ্যেও আনাগোনা আছে চিতা বাঘেদের।
যদ্দুর জানা যায়, পর্তুগিজ ও ডাচরা সতেরো শতকের গোড়ার দিকে ইউরোপে প্রথম চা আমদানি করে। রাজা দ্বিতীয় চার্লস পর্তুগিজ রাজকুমারী ক্যাথরিন অব ব্রাগানজাকে বিয়ে করার পর থেকেই ইংল্যান্ডে চা পরিচিতি পেতে শুরু করে। দেশটির নতুন রানি চা পছন্দ করতেন এবং তাঁর অভিজাত বন্ধুদের চা পরিবেশন করতে শুরু করেন। এই রাজকীয় পানীয়ের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কমনীয়তা ও দক্ষতার সঙ্গে চা পরিবেশন এবং পান করার ক্ষমতা সামাজিক মর্যাদার প্রতীক হয়ে উঠতে শুরু করে।
এখন পৃথিবীর ৫০টির বেশি দেশে চা জন্মে। সবচেয়ে বয়স্ক গাছ আছে চীনে, বয়স প্রায় ৩ হাজার ২০০ বছর।
পানীয় হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়ার আগে চা ব্যবহার করা হতো ওষুধ হিসেবে।
চায়ের পাতা কিন্তু মশা প্রতিরোধে সাহায্য করে। ব্যবহৃত চা-পাতা শুকিয়ে পোড়ালে যে ধোঁয়া হয়, তা মশাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
চা-পাতা নিয়ে এবার একটা টিপস। চা-পাতা তার চারপাশের সৌরভ শোষণ করতে পারে। তাই রুম টেম্পারেচারে বায়ুশূন্য একটি পাত্রে চা-পাতা সংরক্ষণ করুন। না হলে আর্দ্রতা শোষণ করে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
পৃথিবীর সবচেয়ে দামি চায়ের একটি চীনের ডা হাং পাও। এই ব্ল্যাক টির দাম একই ওজনের সোনার বেশ কয়েক গুণ। এক গ্রামের জন্য গুনতে হবে ১ হাজার ৪০০ ডলার। কারণ এই চা-পাতা যে গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়, সেগুলো ৩০০ বছরের বেশি বয়সী, জন্মে দুর্গম পাহাড়ে।
টি-ব্যাগের চল শুরু হয় বিশ শতকের গোড়ার দিকে।
দামি চায়ের তালিকায় ওপরের দিকে থাকা আরেকটি চা পান্ডা ডাং টি। একে সিভেটের মল থেকে তৈরি বিখ্যাত কপি লুয়াক কফির ‘চা সংস্করণ’ বলতে পারেন। অবশ্য এ ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াটি একটু ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে চা-পাতার পুষ্টি বাড়াতে সার হিসেবে ব্যবহার করা হয় পান্ডার মল। প্রতি পাউন্ড চা-পাতার দাম পড়বে ৩৫ হাজার পাউন্ড।
তথ্য সূত্র: আইরিলাইড ডট কম, উইকিপিডিয়া, ফুডনেটওয়র্ক ডট কম, বিবিসি, বাজ ফিড ডট কম
পানীয় হিসেবে চায়ের জুড়ি মেলা ভার। ক্লান্ত শরীরটাকে যেন মুহূর্তেই চাঙা করে দেয় এক কাপ চা। তেমনি চা-বাগানের সৌন্দর্যেরও তুলনা নেই। আজ ৪ জুন জাতীয় চা দিবস। চতুর্থবারের মতো চা দিবস হিসেবে দিনটি উদ্যাপিত হচ্ছে দেশে। অবশ্য আন্তর্জাতিক চা দিবস হিসেবে পালিত হয় ২১ মে তারিখটা। আজ তাই চা ও চা-বাগান নিয়ে থাকছে মজার কিছু তথ্য। চাইলে এক কাপ চা হাতে যোগ দিতে পারেন আমাদের সঙ্গে।
কিংবদন্তি অনুসারে চা প্রথম আবিষ্কার করেন চীনা সম্রাট শেন নাং, খ্রিষ্টপূর্ব ২৭৩৭ সালে। ওই সময় তাঁর গরম পানির পাত্রে বুনো গাছের কিছু পাতা পড়ে, তিনি যেটি পান করলেন সেটাই চা।
পৃথিবীতে কত জাতের চা আছে শুনলে চমকে উঠবেন। সংখ্যাটা আনুমানিক ৩ হাজার।
পানি বাদ দিলে চা হলো পৃথিবীতে বেশি পান করা পানীয়।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি চা-বাগান আছে মৌলভীবাজার জেলায়। এখানকার শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা ও রাজনগরে অনেক চা-বাগান দেখতে পাবেন। সিলেট ও হবিগঞ্জ জেলায়ও চমৎকার ও ঐতিহ্যবাহী কিছু চা-বাগান আছে। দেশের প্রথম চা-বাগান মালনীছড়ার অবস্থান সিলেট শহরেই।
ব্ল্যাক টি, গ্রিন টি, হোয়াইট টি, ওলং টি—সব ধরনের চা আসে ক্যামেলিয়া সিনেসিস নামের উদ্ভিদ থেকে। তাদের স্বাদ, চেহারা আর গন্ধে ভিন্নতার কারণ প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রক্রিয়ায় ভিন্নতা।
আমাদের দেশের অনেক চা-বাগানই তৈরি হয়েছে পাহাড়ের মাঝে, জঙ্গল সাফ করে। চা-বাগান লাগোয়া জঙ্গলও আগে ছিল অনেক বেশি। কোনো কোনো চা-বাগানের নিজস্ব জঙ্গলের কথাও শুনেছি। একসময় চা-বাগানগুলো তাই ছিল চিতা বাঘসহ নানা বুনো প্রাণের আড্ডাখানা। আমাদের চা-বাগানে আর চিতা বাঘেদের খোঁজ না মিললেও পাশের দেশের চা-বাগানে এখনো অদ্ভুত সুন্দর এই প্রাণীর বেশ আনাগোনা আছে।
বছর কয়েক আগে যেমন দার্জিলিংয়ের ম্যালের মাত্র দুই মাইলের মধ্যে হ্যাপি ভ্যালি টি স্টেটে চিতা বাঘ দেখা যাওয়ায় রোমাঞ্চিত হয়েছিলেন বন্যপ্রাণীপ্রেমী পর্যটকেরা, তেমনি ভারতের ডুয়ার্সের চা-বাগান রাজ্যেও আনাগোনা আছে চিতা বাঘেদের।
যদ্দুর জানা যায়, পর্তুগিজ ও ডাচরা সতেরো শতকের গোড়ার দিকে ইউরোপে প্রথম চা আমদানি করে। রাজা দ্বিতীয় চার্লস পর্তুগিজ রাজকুমারী ক্যাথরিন অব ব্রাগানজাকে বিয়ে করার পর থেকেই ইংল্যান্ডে চা পরিচিতি পেতে শুরু করে। দেশটির নতুন রানি চা পছন্দ করতেন এবং তাঁর অভিজাত বন্ধুদের চা পরিবেশন করতে শুরু করেন। এই রাজকীয় পানীয়ের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কমনীয়তা ও দক্ষতার সঙ্গে চা পরিবেশন এবং পান করার ক্ষমতা সামাজিক মর্যাদার প্রতীক হয়ে উঠতে শুরু করে।
এখন পৃথিবীর ৫০টির বেশি দেশে চা জন্মে। সবচেয়ে বয়স্ক গাছ আছে চীনে, বয়স প্রায় ৩ হাজার ২০০ বছর।
পানীয় হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়ার আগে চা ব্যবহার করা হতো ওষুধ হিসেবে।
চায়ের পাতা কিন্তু মশা প্রতিরোধে সাহায্য করে। ব্যবহৃত চা-পাতা শুকিয়ে পোড়ালে যে ধোঁয়া হয়, তা মশাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
চা-পাতা নিয়ে এবার একটা টিপস। চা-পাতা তার চারপাশের সৌরভ শোষণ করতে পারে। তাই রুম টেম্পারেচারে বায়ুশূন্য একটি পাত্রে চা-পাতা সংরক্ষণ করুন। না হলে আর্দ্রতা শোষণ করে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
পৃথিবীর সবচেয়ে দামি চায়ের একটি চীনের ডা হাং পাও। এই ব্ল্যাক টির দাম একই ওজনের সোনার বেশ কয়েক গুণ। এক গ্রামের জন্য গুনতে হবে ১ হাজার ৪০০ ডলার। কারণ এই চা-পাতা যে গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়, সেগুলো ৩০০ বছরের বেশি বয়সী, জন্মে দুর্গম পাহাড়ে।
টি-ব্যাগের চল শুরু হয় বিশ শতকের গোড়ার দিকে।
দামি চায়ের তালিকায় ওপরের দিকে থাকা আরেকটি চা পান্ডা ডাং টি। একে সিভেটের মল থেকে তৈরি বিখ্যাত কপি লুয়াক কফির ‘চা সংস্করণ’ বলতে পারেন। অবশ্য এ ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াটি একটু ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে চা-পাতার পুষ্টি বাড়াতে সার হিসেবে ব্যবহার করা হয় পান্ডার মল। প্রতি পাউন্ড চা-পাতার দাম পড়বে ৩৫ হাজার পাউন্ড।
তথ্য সূত্র: আইরিলাইড ডট কম, উইকিপিডিয়া, ফুডনেটওয়র্ক ডট কম, বিবিসি, বাজ ফিড ডট কম
ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের কয়েকটি শহর অনেক বছর ধরে তাদের বাসিন্দাদের বিনা মূল্যে মুরগি দিচ্ছে। ফ্রান্সের কোলমার শহরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গিলবার্ট মেয়ার ২০১৪ সালে ‘একটি পরিবার, একটি মুরগি’ স্লোগান দিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন।
১ দিন আগেসকাল সকাল স্মার্টফোনে অ্যালার্ম বাজতেই তড়িঘড়ি করে গোসল করতে দৌড়। এরপর আলমারি খুলে হাতের কাছে যা পাওয়া যায়, তাই পরে ব্যাগটা কাঁধে নিয়েই চম্পট। পাঁচ মিনিট দেরি হলেই বাস পাওয়া যাবে না। মেট্রো তো না-ই। যে মেয়েটার রোজ ক্লাস বা অফিস ধরতে এমনভাবে সকালটা যায়, বিশেষ দিনগুলোয় তার হালটা বোঝেন...
৩ দিন আগেগরম মানেই প্রচণ্ড তাপ আর ঘাম। কিন্তু রোদে বের হলে ত্বক কেমন যেন শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। আঙুলের ডগা, গোড়ালি এমনকি ঠোঁটও ফাটে এখনকার গ্রীষ্মকালে। ভাবা যায়? এর কারণ হলো, গরম পড়লেও বাতাসে আর্দ্রতা কম, ফলে ত্বকে টান টান অনুভব হয়, অতিরিক্ত শুষ্কতাও দেখা দেয়। গরমে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে বাড়তি যত্ন নেওয়া চাই।
৩ দিন আগেএখন কাঁচা আমের সময়। নববর্ষের প্রথম দিন বানাতে পারেন কাঁচা আমের কয়েক রকমের পদ। রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন আফরোজা খানম মুক্তা।
৩ দিন আগে