মো. আশিকুর রহমান

উপাচার্য হিসেবে যোগদানের ছয় মাস সম্পন্ন করেছেন। নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?
আগামী চার বছরের মধ্যে বিডিইউকে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে চাই। আমি সত্যিকার একটা ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি বানিয়ে চলে আসতে চাই। আমি আমার ধ্যান-জ্ঞান দিয়ে চেষ্টা করছি। বিডিইউর শিক্ষার্থীরা তাঁদের স্নাতক শেষ করার পর যেন গর্ব করে বলতে পারেন, আমি বিডিইউর গ্র্যাজুয়েট। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। সে জন্য সবার সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
সহযোগিতা কেমন পাচ্ছেন?
আমি ঠিক যেভাবে করতে চাচ্ছিলাম, সেভাবে করতে পারছি না, এটা বললে ভুল হবে। যেগুলো আমার হাতে ছিল, সেগুলো আমি সময়মতো করেছি। তবে একটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জমি অধিগ্রহণ, সরকারি অনুমোদনের কিছু বিষয় তো থাকেই। যেমন নতুন তিনটি বিভাগ এই শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু করতে চাইলেও সেটা আগামী শিক্ষাবর্ষে চালু করতে হচ্ছে। সেই তিনটি বিভাগ হচ্ছে—আমি যে কারিকুলামে করতে চেয়েছি, সেই কারিকুলামেই হচ্ছে। দশটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ নিয়ে কারিকুলাম প্রণয়ন কমিটি করেছি। কিছুটা হয়তো বিলম্ব হচ্ছে।
আপনার নতুন পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাই
একজন শিক্ষার্থী হিসেবে নেতৃত্বের গুণাবলি, যোগাযোগ দক্ষতা, সমন্বয় সাধন দক্ষতা, স্মার্টলি কাজ করার দক্ষতা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দক্ষতাসহ আরও অনেক দক্ষতার প্রয়োজন হয়। এসব দক্ষতা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে আমি আসার পর নতুন আটটি ক্লাব নতুনভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। তারা ডিভাইস ডেভেলপ করছে, স্পোর্টস উইক আয়োজনসহ বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে দারুণ কাজ করছে। আমাদের অফিসের কোনো সিস্টেম ছিল না, আমি একটা সমন্বিত নিয়ম করেছি। এখন সবাই জানে তার কাজ কী এবং তাঁরা নিজের কাজ নিজের মতো করছেন। আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য ওপেন বা ক্লোজ ক্রেডিট কোনো কিছু না করে খিচুড়ির মতো একটা বিধি ছিল, সেটার অনুমোদন ছিল না। আমার পূর্ণাঙ্গ বিধি প্রণয়ন করেছি এবং সিন্ডিকেট অনুমোদন করেছি। অর্গানোগ্রাম সিন্ডিকেটে পাস করেছি। দুটোই ইউজিসিতে সাবমিট করা হবে এখন। আমাদের ডেভেলপড সফটওয়্যারের মাধ্যমে কোনো শিক্ষক ক্লাসে দেরিতে গেলে বা নির্দিষ্ট সময়ের আগে ক্লাস শেষ করলে সফটওয়্যার এসএমএস করে আমাকে জানিয়ে দেবে। কোন শিক্ষক কী পড়ালেন, ভিডিও এবং ক্লাস ম্যাটেরিয়ালস সবটা অনলাইনে থেকে যাবে। সব ক্লাস টেস্ট অনলাইনে নিতে হবে, কাগজে কোনো ক্লাস টেস্ট নেওয়া যাবে না। কোনো অ্যাসাইনমেন্ট কাগজে নেওয়া যাবে না। এতে শিক্ষকেরা নিজেদের ও শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে গড়ে তুলতে পারবেন। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, জুলাই মাস থেকে পুরোদমে নির্ভুলভাবে কাজ শুরু করতে পারব। ২০৪১ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করেছি।
একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানের বিষয়ে যদি সবিস্তারে বলতেন
একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানের মূল বিষয় হচ্ছে ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি। আমরা ২০৪১ সালের স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। ২০৪১ সালে মূলত প্রধানমন্ত্রীর তিনটি টার্গেট। প্রথমত, বাংলাদেশ স্মার্ট হবে, বাংলাদেশের জনগণকে স্মার্ট হতে হবে। একটা দেশ তো কখনো স্মার্ট হয় না; দেশের জনগণ স্মার্ট হয়, সিস্টেম স্মার্ট, সোসাইটি স্মার্ট হয়। সিস্টেম, সোসাইটি, গভর্নমেন্ট যা-ই স্মার্ট হোক না কেন, জনগণকে আগে স্মার্ট হতে হবে। সেই জনগণকে আমাদের তৈরি করতে হবে। যে জনগণ চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বুঝবে, যে জনগণ ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি বুঝবে, যে জনগণ বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। দ্বিতীয়ত, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ধনী দেশ হবে। তৃতীয়ত, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ টেকনোলজিকে নেতৃত্ব দেবে। আমাদের টার্গেট হচ্ছে, এই দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য। আমি যদি স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করি, তাহলে আমার সোসাইটি স্মার্ট হবে, ইকোনমি স্মার্ট হবে, গভর্নমেন্ট স্মার্ট হবে। যখন এগুলো স্মার্ট হবে, দেশ স্বাভাবিকভাবেই ধনী দেশ হয়ে যাবে। আর যখন জনগণ স্মার্ট হবে, দেশ ধনী হবে, তখন স্বাভাবিকভাবেই দেশ প্রযুক্তিতে বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে। স্মার্ট জনগণ তৈরির জন্য এবং সমস্ত টেকনোলজি বাংলাদেশে আনার জন্য আমাকে কীভাবে জনবল তৈরি করতে হবে, তার ওপর ভিত্তি করে আমরা পাঁচটি ফ্যাকাল্টির চিন্তা করছি। এগুলো হলো ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, সিকিউরিটি অ্যান্ড কমিউনিকেশন, সফটওয়্যার অ্যান্ড মেশিন লার্নিং, সাইবার ফিজিক্যাল সিস্টেম, লাইফ সায়েন্স।
এই সিদ্ধান্তগুলো কি আপনার মস্তিষ্কপ্রসূত?
এর আগে যেহেতু মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এনআইডি এবং ইভিএম তৈরি করাসহ অনেকগুলো ন্যাশনাল পলিসির সঙ্গে জড়িত ছিলাম, আমার কাছে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ একটা পার্ট হয়ে গেছে। আমাদের এই ৫ ফ্যাকাল্টির অধীনে ১৭টি ডিপার্টমেন্ট থাকবে। এসব ডিপার্টমেন্ট করতে পারলে আমাদের বিদেশের ওপর নির্ভরতা কমবে। সব টেকনোলজি আমাদের এখানে তৈরি হবে। আমরা বিদেশে থেকে কোনো মেশিন কিনব না, বিদেশ থেকে কোনো ম্যানপাওয়ার হায়ার করব না, বিদেশ থেকে কোনো সফটওয়্যার কিনব না। এখানে মেশিন, ম্যানপাওয়ার ও সফটওয়্যার তৈরি করা হবে। আমরা আমাদের মেশিন ও সফটওয়্যার বিদেশে বিক্রি করব। আমাদের ম্যানপাওয়ার বিদেশে যাবে। আমরা এভাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব ইনশা আল্লাহ। আমাদের এই ১৭টি বিভাগের মধ্যে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ফ্যাকাল্টির অধীনে আগে আইসিটি অ্যান্ড এডুকেশন বিভাগ ছিল। ইন্টারন্যাশনাল ডোমেইনের সঙ্গে কোপআপ করতে না পারায় এটাকে পরিবর্তন করে এডুকেশনাল টেকনোলজি বানিয়েছি এবং ইন্টারন্যাশনাল এক্সপার্ট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সপার্ট ও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সপার্টদের সমন্বয়ে পুরো কারিকুলাম পরিবর্তন করেছি। এভাবে আমরা মোট পাঁচটি বিভাগের কারিকুলাম চেঞ্জ করেছি।
আজকের পত্রিকা: বলা হয়ে থাকে, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা যুগোপযোগী নয়। এ ক্ষেত্রে আপনার ভাবনা শুনতে চাই?
ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম: আমাদের বর্তমান যে শিক্ষাব্যবস্থা সেটা পৃথিবীতে টিকবে না। একটা ছেলে বা মেয়ে মোবাইল ব্যবহার করে ইউটিউবে ঢুকলেই আনলিমিটেড ভিডিও পেয়ে যাচ্ছে, তথ্যনির্ভর ও সময়োপযোগী ক্লাস লেকচার পাচ্ছে, সেই শিক্ষার্থী যখন আমাদের দেশের ক্লাসগুলোতে ঢুকছে, তাকে আমরা হোয়াইট বোর্ডে মার্কার দিয়ে লিখে দিচ্ছি আর সে মনোযোগ দিয়ে শুনবে, এই কল্পনা করাটা আসলে যুক্তিসংগত নয়। আমাদের অনেকেই বলে, আজকালকার ছেলেমেয়েরা মনোযোগী নয়, তারা পড়াশোনা করতে চায় না, তারা মোবাইলে-ল্যাপটপে বেশি সময় দেয়। আমি বলব, এই ডিফিকাল্টিজ আমরা যারা এডুকেশনিস্ট আছি তাদের। আমরা যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তন করতে পারিনি। একটা আনইন্টারেস্টেড এডুকেশন সিস্টেম, সিজিপিএ ও সার্টিফিকেটনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা তাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছি। এই শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে দেশকে উন্নত করা সম্ভব নয়, স্মার্ট বাংলাদেশ বানানো সম্ভব নয়। তাহলে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত? এটা নিয়ে কাজ করবে এডুকেশনাল টেকনোলজি ডিপার্টমেন্ট।
আজকের পত্রিকা: বাকি বিভাগগুলো সম্পর্কেও জানতে চাই?
ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম: আমরা ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ফ্যাকাল্টির অধীনে বিজনেস ইন্টেলিজেন্স নামে আরেকটা ডিপার্টমেন্ট খুলব। আপনারা লক্ষ করে দেখবেন যে ১০ বছর আগে বিবিএ, এমবিএর যে চাহিদা ছিল, আজ তা অনেকটাই কমে গেছে। কিন্তু কেন কমে গেছে, সেটার কারণ অনুসন্ধান তো করা উচিত। এমন তো নয় যে পৃথিবী থেকে বিজনেস কমে গেছে। মূল বিষয়টা হচ্ছে, এখন বিজনেস হচ্ছে প্রযুক্তিনির্ভর। সে কারণে কম্পিউটার টেকনোলজি ও বিজনেস দুটোই দরকার। দুটোকেই সমন্বয় করতে হবে। দেখা যাচ্ছে, যারা প্রযুক্তি বোঝে, তারা বিজনেস বুঝছে না, আবার যারা বিজনেস বোঝে, তারা টেকনোলজি বুঝছে না। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির দরকার এমন এক ব্যক্তি যে প্রযুক্তি ও ব্যবসা দুটোই বোঝে। এ জন্য আমরা বিজনেস ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট নামে একটা সাবজেক্ট খুলছি।
একচোরিয়াল সায়েন্স নামে আরও একটি বিভাগ আমরা খুলব। এখন যে ফাইন্যান্স শেখানো হয়, তা এই প্রযুক্তির যুগে অচল। একচোরিয়াল সায়েন্স প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি, ইনস্যুরেন্সসহ বিভিন্ন বিষয় পড়াবে। সিকিউরিটি অ্যান্ড কমিউনিকেশন ফ্যাকাল্টির অধীনে সাইবার সিকিউরিটি বিভাগ চালু করব। এটা হাইডিমান্ডিং সাবজেক্ট। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ১০ হাজারের বেশি এই ডিপার্টমেন্টের গ্র্যাজুয়েট প্রয়োজন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশে এই সাবজেক্টই নেই। আমরা খুলছি এই সাবজেক্ট।
সফটওয়্যার অ্যান্ড মেশিন ফ্যাকাল্টির অধীনে ইতিমধ্যে দুটো বিভাগের অনুমোদন পেয়েছি। এর মধ্যে একটা হচ্ছে, ডেটা সায়েন্স। বর্তমানে পুরো পৃথিবীই ডেটার ওপর নির্ভরশীল। ডেটা অ্যানালাইসিস ছাড়া এখন বাণিজ্য সম্ভব নয়। সত্যি বলতে কি, ডেটা অ্যানালাইসিস ছাড়া এখনকার পৃথিবীতে কোনো কিছুই সম্ভব নয়। নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগ খুলছি। বর্তমানে বাংলাদেশে ২০ হাজারের বেশি চাকরির সুযোগ করছে এ ক্ষেত্রে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো গ্র্যাজুয়েট নেই, আমরা গ্র্যাজুয়েট তৈরি করব। ক্লাউড কম্পিউটিং, এখন বিজনেস প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাউড কম্পিউটিং ছাড়া কাজ করতে পারে না। এই সেক্টরেও এখন প্রচুর চাকরির চাহিদা রয়েছে। আমরা নিজেরা গেম ডেভেলপ করব। বিদেশের গেম আমরা খেলব না, নিজেদের গেম খেলব। এখন মাইক্রোচিপ সব বিদেশে থেকে আনতে হয়। আমরা চাই না বিদেশের মাইক্রোচিপ এ দেশে ব্যবহার হোক। আমরা আমাদের নিজেদের মানসম্মত মাইক্রোচিপ তৈরি করতে চাই। বিদেশ থেকে কিছু আনব না। আমরা শতভাগ স্বনির্ভরতা চাই। এমন ১৭টি বিভাগ আমরা চিন্তা করছি। এই ১৭টি বিভাগ যদি খুলতে পারি, তাহলে বাংলাদেশকে কোনো দেশের কাছে প্রযুক্তির জন্য যেতে হবে না।
আজকের পত্রিকা: বিডিইউ স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম গ্রহণে কি বিশেষ নজর দিয়েছে?
ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম: স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম ইতিমধ্যে আমরা শুরু করে দিয়েছি। আমাদের টিউটাবেসড এডুকেশন সিস্টেম। আগে যে তিন ঘণ্টা ক্লাস হতো, এখন সেটা দুই ঘণ্টা করে দুটো ক্লাস হয়, পরে টিউটোরিয়াল ক্লাস। ওই টিউটোরিয়াল ক্লাসে শিক্ষার্থীরা লেকচার ক্লাসে যা শিখল তার রিয়াল লাইফে অ্যাপ্লাই করতে পারল কি না বা বাস্তবজীবনে কীভাবে কাজে লাগাবে, নতুন কী কী উদ্ভাবন করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করবে। প্রতিটি ক্লাস শেষে এমন দুই ঘণ্টা করে আলোচনা হবে। আর প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে হাতেকলমে শিক্ষা তো রয়েছেই। আমাদের লেকচার ক্লাসগুলোতে অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইউএসএসহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকেরা ক্লাস নিতে সম্মত হয়েছেন। তাঁরা অনলাইনে ক্লাস নেবেন। টিউটোরিয়াল ও ল্যাব ক্লাসগুলো বিভাগের শিক্ষকেরা নেবেন।
আজকের পত্রিকা: শিক্ষার্থীদের সফট স্কিল বিকাশে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?
ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম: আমাদের শিক্ষার্থীরা সফট স্কিলে পিছিয়ে রয়েছে। নিজেদের মার্কেটিং, নিজেদের প্রেজেন্টেশনে ঘাটতি রয়েছে। আমরা সফট স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য ওয়াদানি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে চুক্তি করেছি। তাদের ৯০টি প্রেজেন্টেশন মডিউল আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক করেছি। শিক্ষার্থীরা প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে এই মডিউলগুলো শেষ করবে। সময় ব্যবস্থাপনা কিংবা নতুন কিছু উদ্ভাবন কীভাবে করা যায়, কীভাবে সিভি লিখতে হবে, চাকরির সাক্ষাৎকারে বোর্ডের মুখোমুখি হতে হবে কীভাবে, সব এখানে শেখানো হচ্ছে। আমরা থার্ড ইয়ারে ক্যাপসট্রম প্রজেক্ট নিচ্ছি। যে শিক্ষার্থী রোবটিকসে পড়ে, সে হয়তো ভাবছে, আমি এমন একটা রোবট বানাতে পারি যে খাবার পরিবেশন করে। তার মাথায় একটা আইডিয়া এল, সেই কনসেপ্টকে সে ডেভেলপ করবে। সেটা ইমপ্লিমেন্ট করে অ্যাপ্লাই করে দেখাবে। এক বছরে সে একই কাজ করবে। এখানে আমরা ক্লাসটেস্ট ওরিয়েন্টেড নই, সব সময় অ্যাসেসমেন্ট হবে। রিয়াল লাইফ অ্যাপ্লিকেশনের দিকে আমরা ফোকাস করছি।

উপাচার্য হিসেবে যোগদানের ছয় মাস সম্পন্ন করেছেন। নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?
আগামী চার বছরের মধ্যে বিডিইউকে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে চাই। আমি সত্যিকার একটা ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি বানিয়ে চলে আসতে চাই। আমি আমার ধ্যান-জ্ঞান দিয়ে চেষ্টা করছি। বিডিইউর শিক্ষার্থীরা তাঁদের স্নাতক শেষ করার পর যেন গর্ব করে বলতে পারেন, আমি বিডিইউর গ্র্যাজুয়েট। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। সে জন্য সবার সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
সহযোগিতা কেমন পাচ্ছেন?
আমি ঠিক যেভাবে করতে চাচ্ছিলাম, সেভাবে করতে পারছি না, এটা বললে ভুল হবে। যেগুলো আমার হাতে ছিল, সেগুলো আমি সময়মতো করেছি। তবে একটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জমি অধিগ্রহণ, সরকারি অনুমোদনের কিছু বিষয় তো থাকেই। যেমন নতুন তিনটি বিভাগ এই শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু করতে চাইলেও সেটা আগামী শিক্ষাবর্ষে চালু করতে হচ্ছে। সেই তিনটি বিভাগ হচ্ছে—আমি যে কারিকুলামে করতে চেয়েছি, সেই কারিকুলামেই হচ্ছে। দশটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ নিয়ে কারিকুলাম প্রণয়ন কমিটি করেছি। কিছুটা হয়তো বিলম্ব হচ্ছে।
আপনার নতুন পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাই
একজন শিক্ষার্থী হিসেবে নেতৃত্বের গুণাবলি, যোগাযোগ দক্ষতা, সমন্বয় সাধন দক্ষতা, স্মার্টলি কাজ করার দক্ষতা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দক্ষতাসহ আরও অনেক দক্ষতার প্রয়োজন হয়। এসব দক্ষতা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে আমি আসার পর নতুন আটটি ক্লাব নতুনভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। তারা ডিভাইস ডেভেলপ করছে, স্পোর্টস উইক আয়োজনসহ বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে দারুণ কাজ করছে। আমাদের অফিসের কোনো সিস্টেম ছিল না, আমি একটা সমন্বিত নিয়ম করেছি। এখন সবাই জানে তার কাজ কী এবং তাঁরা নিজের কাজ নিজের মতো করছেন। আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য ওপেন বা ক্লোজ ক্রেডিট কোনো কিছু না করে খিচুড়ির মতো একটা বিধি ছিল, সেটার অনুমোদন ছিল না। আমার পূর্ণাঙ্গ বিধি প্রণয়ন করেছি এবং সিন্ডিকেট অনুমোদন করেছি। অর্গানোগ্রাম সিন্ডিকেটে পাস করেছি। দুটোই ইউজিসিতে সাবমিট করা হবে এখন। আমাদের ডেভেলপড সফটওয়্যারের মাধ্যমে কোনো শিক্ষক ক্লাসে দেরিতে গেলে বা নির্দিষ্ট সময়ের আগে ক্লাস শেষ করলে সফটওয়্যার এসএমএস করে আমাকে জানিয়ে দেবে। কোন শিক্ষক কী পড়ালেন, ভিডিও এবং ক্লাস ম্যাটেরিয়ালস সবটা অনলাইনে থেকে যাবে। সব ক্লাস টেস্ট অনলাইনে নিতে হবে, কাগজে কোনো ক্লাস টেস্ট নেওয়া যাবে না। কোনো অ্যাসাইনমেন্ট কাগজে নেওয়া যাবে না। এতে শিক্ষকেরা নিজেদের ও শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে গড়ে তুলতে পারবেন। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, জুলাই মাস থেকে পুরোদমে নির্ভুলভাবে কাজ শুরু করতে পারব। ২০৪১ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করেছি।
একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানের বিষয়ে যদি সবিস্তারে বলতেন
একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানের মূল বিষয় হচ্ছে ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি। আমরা ২০৪১ সালের স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। ২০৪১ সালে মূলত প্রধানমন্ত্রীর তিনটি টার্গেট। প্রথমত, বাংলাদেশ স্মার্ট হবে, বাংলাদেশের জনগণকে স্মার্ট হতে হবে। একটা দেশ তো কখনো স্মার্ট হয় না; দেশের জনগণ স্মার্ট হয়, সিস্টেম স্মার্ট, সোসাইটি স্মার্ট হয়। সিস্টেম, সোসাইটি, গভর্নমেন্ট যা-ই স্মার্ট হোক না কেন, জনগণকে আগে স্মার্ট হতে হবে। সেই জনগণকে আমাদের তৈরি করতে হবে। যে জনগণ চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বুঝবে, যে জনগণ ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি বুঝবে, যে জনগণ বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। দ্বিতীয়ত, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ধনী দেশ হবে। তৃতীয়ত, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ টেকনোলজিকে নেতৃত্ব দেবে। আমাদের টার্গেট হচ্ছে, এই দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য। আমি যদি স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করি, তাহলে আমার সোসাইটি স্মার্ট হবে, ইকোনমি স্মার্ট হবে, গভর্নমেন্ট স্মার্ট হবে। যখন এগুলো স্মার্ট হবে, দেশ স্বাভাবিকভাবেই ধনী দেশ হয়ে যাবে। আর যখন জনগণ স্মার্ট হবে, দেশ ধনী হবে, তখন স্বাভাবিকভাবেই দেশ প্রযুক্তিতে বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে। স্মার্ট জনগণ তৈরির জন্য এবং সমস্ত টেকনোলজি বাংলাদেশে আনার জন্য আমাকে কীভাবে জনবল তৈরি করতে হবে, তার ওপর ভিত্তি করে আমরা পাঁচটি ফ্যাকাল্টির চিন্তা করছি। এগুলো হলো ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, সিকিউরিটি অ্যান্ড কমিউনিকেশন, সফটওয়্যার অ্যান্ড মেশিন লার্নিং, সাইবার ফিজিক্যাল সিস্টেম, লাইফ সায়েন্স।
এই সিদ্ধান্তগুলো কি আপনার মস্তিষ্কপ্রসূত?
এর আগে যেহেতু মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এনআইডি এবং ইভিএম তৈরি করাসহ অনেকগুলো ন্যাশনাল পলিসির সঙ্গে জড়িত ছিলাম, আমার কাছে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ একটা পার্ট হয়ে গেছে। আমাদের এই ৫ ফ্যাকাল্টির অধীনে ১৭টি ডিপার্টমেন্ট থাকবে। এসব ডিপার্টমেন্ট করতে পারলে আমাদের বিদেশের ওপর নির্ভরতা কমবে। সব টেকনোলজি আমাদের এখানে তৈরি হবে। আমরা বিদেশে থেকে কোনো মেশিন কিনব না, বিদেশ থেকে কোনো ম্যানপাওয়ার হায়ার করব না, বিদেশ থেকে কোনো সফটওয়্যার কিনব না। এখানে মেশিন, ম্যানপাওয়ার ও সফটওয়্যার তৈরি করা হবে। আমরা আমাদের মেশিন ও সফটওয়্যার বিদেশে বিক্রি করব। আমাদের ম্যানপাওয়ার বিদেশে যাবে। আমরা এভাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব ইনশা আল্লাহ। আমাদের এই ১৭টি বিভাগের মধ্যে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ফ্যাকাল্টির অধীনে আগে আইসিটি অ্যান্ড এডুকেশন বিভাগ ছিল। ইন্টারন্যাশনাল ডোমেইনের সঙ্গে কোপআপ করতে না পারায় এটাকে পরিবর্তন করে এডুকেশনাল টেকনোলজি বানিয়েছি এবং ইন্টারন্যাশনাল এক্সপার্ট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সপার্ট ও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সপার্টদের সমন্বয়ে পুরো কারিকুলাম পরিবর্তন করেছি। এভাবে আমরা মোট পাঁচটি বিভাগের কারিকুলাম চেঞ্জ করেছি।
আজকের পত্রিকা: বলা হয়ে থাকে, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা যুগোপযোগী নয়। এ ক্ষেত্রে আপনার ভাবনা শুনতে চাই?
ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম: আমাদের বর্তমান যে শিক্ষাব্যবস্থা সেটা পৃথিবীতে টিকবে না। একটা ছেলে বা মেয়ে মোবাইল ব্যবহার করে ইউটিউবে ঢুকলেই আনলিমিটেড ভিডিও পেয়ে যাচ্ছে, তথ্যনির্ভর ও সময়োপযোগী ক্লাস লেকচার পাচ্ছে, সেই শিক্ষার্থী যখন আমাদের দেশের ক্লাসগুলোতে ঢুকছে, তাকে আমরা হোয়াইট বোর্ডে মার্কার দিয়ে লিখে দিচ্ছি আর সে মনোযোগ দিয়ে শুনবে, এই কল্পনা করাটা আসলে যুক্তিসংগত নয়। আমাদের অনেকেই বলে, আজকালকার ছেলেমেয়েরা মনোযোগী নয়, তারা পড়াশোনা করতে চায় না, তারা মোবাইলে-ল্যাপটপে বেশি সময় দেয়। আমি বলব, এই ডিফিকাল্টিজ আমরা যারা এডুকেশনিস্ট আছি তাদের। আমরা যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তন করতে পারিনি। একটা আনইন্টারেস্টেড এডুকেশন সিস্টেম, সিজিপিএ ও সার্টিফিকেটনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা তাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছি। এই শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে দেশকে উন্নত করা সম্ভব নয়, স্মার্ট বাংলাদেশ বানানো সম্ভব নয়। তাহলে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত? এটা নিয়ে কাজ করবে এডুকেশনাল টেকনোলজি ডিপার্টমেন্ট।
আজকের পত্রিকা: বাকি বিভাগগুলো সম্পর্কেও জানতে চাই?
ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম: আমরা ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ফ্যাকাল্টির অধীনে বিজনেস ইন্টেলিজেন্স নামে আরেকটা ডিপার্টমেন্ট খুলব। আপনারা লক্ষ করে দেখবেন যে ১০ বছর আগে বিবিএ, এমবিএর যে চাহিদা ছিল, আজ তা অনেকটাই কমে গেছে। কিন্তু কেন কমে গেছে, সেটার কারণ অনুসন্ধান তো করা উচিত। এমন তো নয় যে পৃথিবী থেকে বিজনেস কমে গেছে। মূল বিষয়টা হচ্ছে, এখন বিজনেস হচ্ছে প্রযুক্তিনির্ভর। সে কারণে কম্পিউটার টেকনোলজি ও বিজনেস দুটোই দরকার। দুটোকেই সমন্বয় করতে হবে। দেখা যাচ্ছে, যারা প্রযুক্তি বোঝে, তারা বিজনেস বুঝছে না, আবার যারা বিজনেস বোঝে, তারা টেকনোলজি বুঝছে না। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির দরকার এমন এক ব্যক্তি যে প্রযুক্তি ও ব্যবসা দুটোই বোঝে। এ জন্য আমরা বিজনেস ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট নামে একটা সাবজেক্ট খুলছি।
একচোরিয়াল সায়েন্স নামে আরও একটি বিভাগ আমরা খুলব। এখন যে ফাইন্যান্স শেখানো হয়, তা এই প্রযুক্তির যুগে অচল। একচোরিয়াল সায়েন্স প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি, ইনস্যুরেন্সসহ বিভিন্ন বিষয় পড়াবে। সিকিউরিটি অ্যান্ড কমিউনিকেশন ফ্যাকাল্টির অধীনে সাইবার সিকিউরিটি বিভাগ চালু করব। এটা হাইডিমান্ডিং সাবজেক্ট। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ১০ হাজারের বেশি এই ডিপার্টমেন্টের গ্র্যাজুয়েট প্রয়োজন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশে এই সাবজেক্টই নেই। আমরা খুলছি এই সাবজেক্ট।
সফটওয়্যার অ্যান্ড মেশিন ফ্যাকাল্টির অধীনে ইতিমধ্যে দুটো বিভাগের অনুমোদন পেয়েছি। এর মধ্যে একটা হচ্ছে, ডেটা সায়েন্স। বর্তমানে পুরো পৃথিবীই ডেটার ওপর নির্ভরশীল। ডেটা অ্যানালাইসিস ছাড়া এখন বাণিজ্য সম্ভব নয়। সত্যি বলতে কি, ডেটা অ্যানালাইসিস ছাড়া এখনকার পৃথিবীতে কোনো কিছুই সম্ভব নয়। নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগ খুলছি। বর্তমানে বাংলাদেশে ২০ হাজারের বেশি চাকরির সুযোগ করছে এ ক্ষেত্রে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো গ্র্যাজুয়েট নেই, আমরা গ্র্যাজুয়েট তৈরি করব। ক্লাউড কম্পিউটিং, এখন বিজনেস প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাউড কম্পিউটিং ছাড়া কাজ করতে পারে না। এই সেক্টরেও এখন প্রচুর চাকরির চাহিদা রয়েছে। আমরা নিজেরা গেম ডেভেলপ করব। বিদেশের গেম আমরা খেলব না, নিজেদের গেম খেলব। এখন মাইক্রোচিপ সব বিদেশে থেকে আনতে হয়। আমরা চাই না বিদেশের মাইক্রোচিপ এ দেশে ব্যবহার হোক। আমরা আমাদের নিজেদের মানসম্মত মাইক্রোচিপ তৈরি করতে চাই। বিদেশ থেকে কিছু আনব না। আমরা শতভাগ স্বনির্ভরতা চাই। এমন ১৭টি বিভাগ আমরা চিন্তা করছি। এই ১৭টি বিভাগ যদি খুলতে পারি, তাহলে বাংলাদেশকে কোনো দেশের কাছে প্রযুক্তির জন্য যেতে হবে না।
আজকের পত্রিকা: বিডিইউ স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম গ্রহণে কি বিশেষ নজর দিয়েছে?
ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম: স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম ইতিমধ্যে আমরা শুরু করে দিয়েছি। আমাদের টিউটাবেসড এডুকেশন সিস্টেম। আগে যে তিন ঘণ্টা ক্লাস হতো, এখন সেটা দুই ঘণ্টা করে দুটো ক্লাস হয়, পরে টিউটোরিয়াল ক্লাস। ওই টিউটোরিয়াল ক্লাসে শিক্ষার্থীরা লেকচার ক্লাসে যা শিখল তার রিয়াল লাইফে অ্যাপ্লাই করতে পারল কি না বা বাস্তবজীবনে কীভাবে কাজে লাগাবে, নতুন কী কী উদ্ভাবন করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করবে। প্রতিটি ক্লাস শেষে এমন দুই ঘণ্টা করে আলোচনা হবে। আর প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে হাতেকলমে শিক্ষা তো রয়েছেই। আমাদের লেকচার ক্লাসগুলোতে অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইউএসএসহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকেরা ক্লাস নিতে সম্মত হয়েছেন। তাঁরা অনলাইনে ক্লাস নেবেন। টিউটোরিয়াল ও ল্যাব ক্লাসগুলো বিভাগের শিক্ষকেরা নেবেন।
আজকের পত্রিকা: শিক্ষার্থীদের সফট স্কিল বিকাশে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?
ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম: আমাদের শিক্ষার্থীরা সফট স্কিলে পিছিয়ে রয়েছে। নিজেদের মার্কেটিং, নিজেদের প্রেজেন্টেশনে ঘাটতি রয়েছে। আমরা সফট স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য ওয়াদানি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে চুক্তি করেছি। তাদের ৯০টি প্রেজেন্টেশন মডিউল আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক করেছি। শিক্ষার্থীরা প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে এই মডিউলগুলো শেষ করবে। সময় ব্যবস্থাপনা কিংবা নতুন কিছু উদ্ভাবন কীভাবে করা যায়, কীভাবে সিভি লিখতে হবে, চাকরির সাক্ষাৎকারে বোর্ডের মুখোমুখি হতে হবে কীভাবে, সব এখানে শেখানো হচ্ছে। আমরা থার্ড ইয়ারে ক্যাপসট্রম প্রজেক্ট নিচ্ছি। যে শিক্ষার্থী রোবটিকসে পড়ে, সে হয়তো ভাবছে, আমি এমন একটা রোবট বানাতে পারি যে খাবার পরিবেশন করে। তার মাথায় একটা আইডিয়া এল, সেই কনসেপ্টকে সে ডেভেলপ করবে। সেটা ইমপ্লিমেন্ট করে অ্যাপ্লাই করে দেখাবে। এক বছরে সে একই কাজ করবে। এখানে আমরা ক্লাসটেস্ট ওরিয়েন্টেড নই, সব সময় অ্যাসেসমেন্ট হবে। রিয়াল লাইফ অ্যাপ্লিকেশনের দিকে আমরা ফোকাস করছি।

সারা আলি খান চিনি, শর্করা ও দুধজাতীয় খাবার ছাড়া ডায়েট রুটিন অনুসরণ করেন। ওজন কমাতে কি সবারই এই রুটিন মেনে চলা উচিত? ‘পিংক ভিলা’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ২৯ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বলেছিলেন, তিনি কঠোরভাবে চিনি, দুধ ও শর্করাবিহীন ডায়েট অনুসরণ করেন।...
৭ ঘণ্টা আগে
অনেকে শখ করে বাড়িতে বিড়াল, কুকুর, পাখি, মাছ বা খরগোশ পোষেন। যদি আপনি শিখতে চান, তাহলে এই প্রাণীগুলোর সাধারণ দৈনন্দিন অভ্যাসের মাধ্যমে অনেক কিছু শিখতে পারেন। কীভাবে শান্ত থাকতে হয়, কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং কীভাবে দিন উপভোগ করতে হয়—পোষা প্রাণীর দিকে গভীর মনোযোগ দিলে এগুলো শেখা যায়। কিন্তু আপনি কি...
১৫ ঘণ্টা আগে
ধ্যান বা মেডিটেশন মানসিক প্রশান্তি আনে, শরীরের স্থিতিশীলতা ও সহনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করে। এক দিনে বা এক সপ্তাহে অর্থাৎ কম সময়ে এটি আয়ত্ত করতে যাবেন না। ধীরে ধীরে সময় নিয়ে আয়ত্ত করুন এবং দীর্ঘ মেয়াদে সুস্থ থাকুন।...
১৬ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভেতরের অ্যাড্রেনালিন ডাবল ডোজ নিয়ে নেমেছে। আজ এত দ্রুত কাজ করবেন যে সহকর্মীরা ভাববে আপনি কফি-মেশিনের সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করছেন। কিন্তু সাবধান! সব এনার্জি যেন বেলা ২টার পর শেষ না হয়ে যায়।
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শরীরচর্চা ও ডায়েটের বেলায় বলিউড তারকা সারা আলি খান ভীষণ পরিশ্রমী। শরীর আর ওজন ঠিক রাখতে বিস্বাদ খাবার খেতেও আপত্তি নেই তাঁর। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর সকালের খাবার নিয়ে কথা বলেছেন। অন্যরা যেমন মুখরোচক জম্পেশ নাশতা করতে পারেন, সারার কপালে সেই সুখ নেই। কারণ, আর পাঁচজনের মতো দুধ বা শর্করাজাতীয় খাবার খাওয়ার অনুমতি নেই তাঁর। সকাল সকাল যা খেতে হয়, সেটি সারার অপছন্দ হলেও যেহেতু শরীরের জন্য ভালো, তাই আপত্তি করেন না।
সারা আলি খান চিনি, শর্করা ও দুধজাতীয় খাবার ছাড়া ডায়েট রুটিন অনুসরণ করেন। ওজন কমাতে কি সবারই এই রুটিন মেনে চলা উচিত? ‘পিংক ভিলা’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ২৯ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বলেছিলেন, তিনি কঠোরভাবে চিনি, দুধ ও শর্করাবিহীন ডায়েট অনুসরণ করেন।

কিন্তু এটি কি স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি? এটি কি ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে?
ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান ও ফিটনেস বিশেষজ্ঞ সুমিত শর্মা চলতি বছরের ২৮ মার্চ তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সারা আলি খানের এই ডায়েট কাজ করে কি না সে সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। কী করে এই ডায়েট শরীরের কাজে লাগে সেটিও বর্ণনা করেছেন।
সুমিত শর্মার ভাষ্য, ‘ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটি সহজ, যদি আপনি জানেন কী খাবেন এবং কখন খাবেন।’ তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, দুধ, চিনি, মিহি ময়দা ও গমের মতো কিছু উপকরণ বাদ দিলে ওজন কমানোর মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যেতে পারে।
তাঁর মতে, কেউ যদি এই পদ্ধতি সঠিকভাবে মেনে চলেন, তাহলে মাত্র দুই মাসের মধ্যে সারা আলি খানের মতো ফিটনেস অর্জন করা সম্ভব হবে। তিনি একটি সহজ ডায়েটও শেয়ার করেছেন যা অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
কী সেই ডায়েট রুটিন?
সকালের নাশতা
সুমিত দিন শুরু করার পরামর্শ দেন স্প্রাউট, ডাবের পানি, শুকনো ফল, তাজা শাকসবজি ও ফল দিয়ে। এসব খাবার সারা দিন শক্তি জোগানের জন্য আঁশ, স্বাস্থ্যকর চর্বি ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।
দুপুরের খাবার
দুপুরের খাবারের জন্য সুমিত মসুর ডাল দিয়ে ভাত খাওয়ার পরামর্শ দেন। এটি ক্ল্যাসিক ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার, যা তৃপ্তি পেতে ও হজমে সহায়তা করে।
রাতের খাবার
রাতে হালকা কিন্তু তৃপ্তিদায়ক খাবার হিসেবে মৌসুমি সবজির সঙ্গে রুটি বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন সুমিত। এ ধরনের খাবার হজমের জন্য সহজ। সুমিত আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ যোগ করেছেন। তিনি বলেন, দুপুর ও রাতের খাবারের আগে এক বাটি সালাদ খেতে ভুলবেন না। সালাদ হজমে সাহায্য করে, অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায় এবং আপনার খাবারে আরও আঁশ যোগ করে।
সারা আলি খানের মতো ফিটনেস ও সুন্দর ত্বক পেতে বাড়তি টিপস
ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই সারা কাঁচা হলুদ ও পালংশাক পানিতে ফুটিয়ে একটি পানীয় তৈরি করে পান করেন। রোজ সকালে এই পানি পান করে তাঁর দিন শুরু হয়। হলুদ ও পালংশাক একসঙ্গে খেলে তা হজমশক্তি ভালো রাখে, ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এতে ওজনও বাড়ে না।
পুষ্টিবিদদের মতে, হলুদ ও পালংশাক দুটি খাবারই পুষ্টিগুণে ভরা। বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনও রয়েছে এতে। হলুদে থাকা কারকিউমিন প্রদাহবিরোধী একটি উপাদান। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোষ ভালো রাখতে সাহায্য করে। হৃৎস্বাস্থ্য ভালো রাখে। রোগপ্রতিরোধ শক্তিও বৃদ্ধি করে। অন্যদিকে পালংশাকে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, কে, আয়রন ও ক্যালসিয়াম। দুটি উপকরণই স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
যেভাবে এই পানীয় তৈরি করবেন
পালংশাক ভালোভাবে ধুয়ে তা লবণ মেশানো গরম পানিতে ৩ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পরিষ্কার করে নিন। এবার ফুটন্ত পানিতে পালংশাক ও হলুদ দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। বেশ কয়েক মিনিট ফোটানোর পর পানির রং পরিবর্তন হয়ে গাঢ় হয়ে এলে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে কুসুম গরম অবস্থায় পান করতে হবে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস ও অন্যান্য
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

শরীরচর্চা ও ডায়েটের বেলায় বলিউড তারকা সারা আলি খান ভীষণ পরিশ্রমী। শরীর আর ওজন ঠিক রাখতে বিস্বাদ খাবার খেতেও আপত্তি নেই তাঁর। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর সকালের খাবার নিয়ে কথা বলেছেন। অন্যরা যেমন মুখরোচক জম্পেশ নাশতা করতে পারেন, সারার কপালে সেই সুখ নেই। কারণ, আর পাঁচজনের মতো দুধ বা শর্করাজাতীয় খাবার খাওয়ার অনুমতি নেই তাঁর। সকাল সকাল যা খেতে হয়, সেটি সারার অপছন্দ হলেও যেহেতু শরীরের জন্য ভালো, তাই আপত্তি করেন না।
সারা আলি খান চিনি, শর্করা ও দুধজাতীয় খাবার ছাড়া ডায়েট রুটিন অনুসরণ করেন। ওজন কমাতে কি সবারই এই রুটিন মেনে চলা উচিত? ‘পিংক ভিলা’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ২৯ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বলেছিলেন, তিনি কঠোরভাবে চিনি, দুধ ও শর্করাবিহীন ডায়েট অনুসরণ করেন।

কিন্তু এটি কি স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি? এটি কি ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে?
ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান ও ফিটনেস বিশেষজ্ঞ সুমিত শর্মা চলতি বছরের ২৮ মার্চ তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সারা আলি খানের এই ডায়েট কাজ করে কি না সে সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। কী করে এই ডায়েট শরীরের কাজে লাগে সেটিও বর্ণনা করেছেন।
সুমিত শর্মার ভাষ্য, ‘ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটি সহজ, যদি আপনি জানেন কী খাবেন এবং কখন খাবেন।’ তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, দুধ, চিনি, মিহি ময়দা ও গমের মতো কিছু উপকরণ বাদ দিলে ওজন কমানোর মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যেতে পারে।
তাঁর মতে, কেউ যদি এই পদ্ধতি সঠিকভাবে মেনে চলেন, তাহলে মাত্র দুই মাসের মধ্যে সারা আলি খানের মতো ফিটনেস অর্জন করা সম্ভব হবে। তিনি একটি সহজ ডায়েটও শেয়ার করেছেন যা অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
কী সেই ডায়েট রুটিন?
সকালের নাশতা
সুমিত দিন শুরু করার পরামর্শ দেন স্প্রাউট, ডাবের পানি, শুকনো ফল, তাজা শাকসবজি ও ফল দিয়ে। এসব খাবার সারা দিন শক্তি জোগানের জন্য আঁশ, স্বাস্থ্যকর চর্বি ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।
দুপুরের খাবার
দুপুরের খাবারের জন্য সুমিত মসুর ডাল দিয়ে ভাত খাওয়ার পরামর্শ দেন। এটি ক্ল্যাসিক ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার, যা তৃপ্তি পেতে ও হজমে সহায়তা করে।
রাতের খাবার
রাতে হালকা কিন্তু তৃপ্তিদায়ক খাবার হিসেবে মৌসুমি সবজির সঙ্গে রুটি বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন সুমিত। এ ধরনের খাবার হজমের জন্য সহজ। সুমিত আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ যোগ করেছেন। তিনি বলেন, দুপুর ও রাতের খাবারের আগে এক বাটি সালাদ খেতে ভুলবেন না। সালাদ হজমে সাহায্য করে, অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায় এবং আপনার খাবারে আরও আঁশ যোগ করে।
সারা আলি খানের মতো ফিটনেস ও সুন্দর ত্বক পেতে বাড়তি টিপস
ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই সারা কাঁচা হলুদ ও পালংশাক পানিতে ফুটিয়ে একটি পানীয় তৈরি করে পান করেন। রোজ সকালে এই পানি পান করে তাঁর দিন শুরু হয়। হলুদ ও পালংশাক একসঙ্গে খেলে তা হজমশক্তি ভালো রাখে, ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এতে ওজনও বাড়ে না।
পুষ্টিবিদদের মতে, হলুদ ও পালংশাক দুটি খাবারই পুষ্টিগুণে ভরা। বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনও রয়েছে এতে। হলুদে থাকা কারকিউমিন প্রদাহবিরোধী একটি উপাদান। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোষ ভালো রাখতে সাহায্য করে। হৃৎস্বাস্থ্য ভালো রাখে। রোগপ্রতিরোধ শক্তিও বৃদ্ধি করে। অন্যদিকে পালংশাকে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, কে, আয়রন ও ক্যালসিয়াম। দুটি উপকরণই স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
যেভাবে এই পানীয় তৈরি করবেন
পালংশাক ভালোভাবে ধুয়ে তা লবণ মেশানো গরম পানিতে ৩ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পরিষ্কার করে নিন। এবার ফুটন্ত পানিতে পালংশাক ও হলুদ দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। বেশ কয়েক মিনিট ফোটানোর পর পানির রং পরিবর্তন হয়ে গাঢ় হয়ে এলে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে কুসুম গরম অবস্থায় পান করতে হবে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস ও অন্যান্য
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

আগামী চার বছরের মধ্যে বিডিইউকে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে চাই। আমি সত্যিকার একটা ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি বানিয়ে চলে আসতে চাই। আমি আমার ধ্যান-জ্ঞান দিয়ে চেষ্টা করছি। বিডিইউর শিক্ষার্থীরা তাঁদের স্নাতক শেষ করার পর যেন
১১ জুন ২০২৩
অনেকে শখ করে বাড়িতে বিড়াল, কুকুর, পাখি, মাছ বা খরগোশ পোষেন। যদি আপনি শিখতে চান, তাহলে এই প্রাণীগুলোর সাধারণ দৈনন্দিন অভ্যাসের মাধ্যমে অনেক কিছু শিখতে পারেন। কীভাবে শান্ত থাকতে হয়, কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং কীভাবে দিন উপভোগ করতে হয়—পোষা প্রাণীর দিকে গভীর মনোযোগ দিলে এগুলো শেখা যায়। কিন্তু আপনি কি...
১৫ ঘণ্টা আগে
ধ্যান বা মেডিটেশন মানসিক প্রশান্তি আনে, শরীরের স্থিতিশীলতা ও সহনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করে। এক দিনে বা এক সপ্তাহে অর্থাৎ কম সময়ে এটি আয়ত্ত করতে যাবেন না। ধীরে ধীরে সময় নিয়ে আয়ত্ত করুন এবং দীর্ঘ মেয়াদে সুস্থ থাকুন।...
১৬ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভেতরের অ্যাড্রেনালিন ডাবল ডোজ নিয়ে নেমেছে। আজ এত দ্রুত কাজ করবেন যে সহকর্মীরা ভাববে আপনি কফি-মেশিনের সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করছেন। কিন্তু সাবধান! সব এনার্জি যেন বেলা ২টার পর শেষ না হয়ে যায়।
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

অনেকে শখ করে বাড়িতে বিড়াল, কুকুর, পাখি, মাছ বা খরগোশ পোষেন। যদি আপনি শিখতে চান, তাহলে এই প্রাণীগুলোর সাধারণ দৈনন্দিন অভ্যাসের মাধ্যমে অনেক কিছু শিখতে পারেন। কীভাবে শান্ত থাকতে হয়, কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং কীভাবে দিন উপভোগ করতে হয়—পোষা প্রাণীর দিকে গভীর মনোযোগ দিলে এগুলো শেখা যায়। কিন্তু আপনি কি শিখছেন?
সুস্থ শরীর ও মনের পাঠ
বাড়ির পোষা প্রাণীর কাছ থেকে শরীর ও মন সতেজ রাখা শেখাটা খুব সহজ। তাদের আচরণ দেখলেই বুঝবেন, শরীর ও মন ভালো রাখতে বিশেষ কিছু করার দরকার নেই। এর জন্য প্রয়োজন শুধু ধারাবাহিকতা এবং প্রকৃতির নিয়ম অনুসরণ করা।
খেয়াল করবেন, আপনার বাড়ির পোষা প্রাণীটি দিনের বেলা ঝিমিয়ে নেয়। যাকে বলা হয় পাওয়ার ন্যাপ। এরপর তারা ছোটাছুটি করে বেড়ায় পূর্ণ শক্তি নিয়ে। বিষয়টি আসলে পাওয়ার ন্যাপের শক্তি। ন্যাপ কর্মক্ষমতা বাড়ায় এবং সতর্কতা বৃদ্ধি করে—এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। শহরের রাস্তায় দেখে থাকবেন, অনেকে কুকুর নিয়ে হাঁটতে বের হন। যাঁরা পোষা কুকুরকে নিয়মিত বাইরে হাঁটতে নিয়ে যান, তাঁদের এটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়। এই অভ্যাসের কারণে সকালে কিংবা বিকেলের দিকে কোনো এক বেলা হাঁটার স্বাস্থ্য উপকারিতা পেয়ে থাকেন। এই হাঁটা মানসিক চাপ কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে দূরে রাখে। এটি প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং মানসিক চাপ কমানোর অন্যতম সেরা উপায়।
ধরুন, আপনার বাড়ির বিড়ালটি মাছ ভালোবাসে। আপনার মাছের প্রতি আকর্ষণ না থাকলেও বিড়ালের তৃপ্তি করে মাছ খাওয়ার দৃশ্য আপনাকে মাছ খাওয়ার বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে পারে। প্রাণীদের আরও একটি চমৎকার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তাদের নির্দিষ্ট রুটিন। এটিও শিক্ষণীয়। কিছু কিছু মানুষ জীবনকে একটা নির্দিষ্ট রুটিনের ভেতরে নিয়ে আসতে অনেক কষ্ট করে। একটি ধারাবাহিক দৈনন্দিন রুটিন ঘুমের মান উন্নত করে। আপনার পোষ্য যেমন ঘুম থেকে উঠেই গা ঝাড়া দিয়ে সতেজ হয়, তেমনি নিয়মিত স্ট্রেচিং শরীরের নমনীয়তা বাড়ায় এবং শক্তি দেয়। পোষা প্রাণীরা সব সময় নিজেদের পরিষ্কার রাখে। এই পরিচ্ছন্নতা আত্মসম্মান বাড়াতে সহায়ক।
মানসিক শান্তি ও ইতিবাচকতার সূত্র

পোষা প্রাণীরা অতীত বা ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করে না। তারা কেবল বর্তমানে বাঁচে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া মানসিক শান্তির পাঠগুলো হলো—
ক্ষমা করুন এবং ভুলে যান: আপনার পোষ্যটি হয়তো আপনার ওপর রেগে গেছে। কিন্তু সেই রাগ স্থায়ী নয়। তারা কোনো হিংসা পুষে রাখে না। রাগ ধরে রাখা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। প্রাণীরা এ বিষয়টিই শেখায়।
ইতিবাচক থাকুন: পোষা প্রাণীরা নিজেদের যেকোনো পরিস্থিতিতে সেরাটা খুঁজে নেয়। হতে পারে সেটা একফালি ঘাস বা একঝলক রোদ। তারা নেতিবাচক দিক নিয়ে পড়ে থাকে না। মানুষের ক্ষেত্রেও তাই। নেতিবাচকতা নিয়ে বেশি ভাবলে বিষণ্নতা বাড়ে।
বর্তমান মুহূর্তে বাঁচুন: তারা মাইন্ডফুলনেস বা সচেতন থাকা শিখেছে মানুষের চেয়ে আগে। তারা খেলুক, ঘুমাক—যা-ই করুক না কেন, তাতে পুরোপুরি মনোযোগ দেয়।
সম্পর্ক ও যোগাযোগের পাঠ
ভালোবাসা, আনুগত্য ও মনোযোগ—এগুলো একটি সুস্থ সম্পর্কের ভিত্তি। এসব আমরা প্রাণীদের কাছ থেকে খুব সহজে শিখতে পারি। বলার আগে শুনতে শিখুন। যখন আমাদের মাথায় নতুন ধারণা ঘুরতে থাকে, তখন আমরা প্রায়ই অন্যকে মাঝপথে থামিয়ে দিই। পোষ্যটি কিন্তু আপনার কথা শেষ করার জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করে। তাদের এই মনোযোগ দিয়ে শোনা ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। পোষা প্রাণীরা আপনার মনের ভাষা বুঝে শরীরের ভাষা পরখ করে। কিন্তু মানুষ শারীরিক ভাষা প্রায়ই উপেক্ষা করে। আপনার অঙ্গভঙ্গি বা চোখের ভাষা কী বলছে, সেদিকে খেয়াল রাখা ব্যক্তিগত সম্পর্ক উন্নত করে।
নিঃশর্ত ভালোবাসা দেওয়া প্রাণীরাই শেখায়। কুকুর কখনো খুব ঝানু খেলোয়াড় হওয়ার ভান করে না। সব সময় তারা আপনার প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, সম্পর্কে ‘খেলোয়াড়ি মনোভাব’ ভুল মানুষকে আকর্ষণ করে। আমরা অনেক সময় খুব দ্রুত মানুষকে বিচার করে ফেলি। কিন্তু খেয়াল করবেন, আপনার বিড়ালটি আপনার পোশাক বা মেধা দেখে আপনার কোলে এসে বসবে না। প্রাণীরা ভদ্রতার ভাষা বোঝে, কোনো সামাজিক স্তর নয়। প্রাণীরা বন্ধুত্ব ও দীর্ঘ জীবন সম্পর্কে ভালো ধারণা দেয়। যাদের বন্ধু বেশি, তারা অন্যদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে। পোষ্যরা আপনাকে সম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্ব শেখায়।
জীবনের উদ্দেশ্য ও মূল্য
জীবনের আসল আনন্দ আসে উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়া এবং ছোট ছোট জিনিসে খুশি হওয়ার মধ্য দিয়ে; শুধু পোষা প্রাণীরা নয়, আমাদের চারপাশের যেকোনো প্রাণীই আমাদের বিষয়টি শেখায়।
খেলা শুধু শিশু বা প্রাণীদের জন্য নয়; এটি বুদ্ধিমত্তা, সৃজনশীলতা ও সামাজিক দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খেলার জন্য সময় বের করুন। একটি উদ্দেশ্য পূরণের জন্য বাঁচুন। বিরক্ত হলে প্রাণীরা আক্রমণাত্মক বা উদ্বিগ্ন হতে পারে। মানুষেরও উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য না থাকলে মানসিক সমস্যা তৈরি হয়। কাজ করার সহজাত তাড়না আমাদের সুস্থ রাখে। একটি পোষ্য মেঝেতে একটি টুকরা খাবার পেয়ে বা পুরোনো বল খুঁজে পেয়ে পুরো দিনের আনন্দে কাটিয়ে দিতে পারে। তাদের মতো আপনিও প্রিয় খাবার উপভোগ করা বা পছন্দের সিনেমা দেখার মতো ছোট ছোট আনন্দে বেঁচে থাকা শিখুন।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

অনেকে শখ করে বাড়িতে বিড়াল, কুকুর, পাখি, মাছ বা খরগোশ পোষেন। যদি আপনি শিখতে চান, তাহলে এই প্রাণীগুলোর সাধারণ দৈনন্দিন অভ্যাসের মাধ্যমে অনেক কিছু শিখতে পারেন। কীভাবে শান্ত থাকতে হয়, কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং কীভাবে দিন উপভোগ করতে হয়—পোষা প্রাণীর দিকে গভীর মনোযোগ দিলে এগুলো শেখা যায়। কিন্তু আপনি কি শিখছেন?
সুস্থ শরীর ও মনের পাঠ
বাড়ির পোষা প্রাণীর কাছ থেকে শরীর ও মন সতেজ রাখা শেখাটা খুব সহজ। তাদের আচরণ দেখলেই বুঝবেন, শরীর ও মন ভালো রাখতে বিশেষ কিছু করার দরকার নেই। এর জন্য প্রয়োজন শুধু ধারাবাহিকতা এবং প্রকৃতির নিয়ম অনুসরণ করা।
খেয়াল করবেন, আপনার বাড়ির পোষা প্রাণীটি দিনের বেলা ঝিমিয়ে নেয়। যাকে বলা হয় পাওয়ার ন্যাপ। এরপর তারা ছোটাছুটি করে বেড়ায় পূর্ণ শক্তি নিয়ে। বিষয়টি আসলে পাওয়ার ন্যাপের শক্তি। ন্যাপ কর্মক্ষমতা বাড়ায় এবং সতর্কতা বৃদ্ধি করে—এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। শহরের রাস্তায় দেখে থাকবেন, অনেকে কুকুর নিয়ে হাঁটতে বের হন। যাঁরা পোষা কুকুরকে নিয়মিত বাইরে হাঁটতে নিয়ে যান, তাঁদের এটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়। এই অভ্যাসের কারণে সকালে কিংবা বিকেলের দিকে কোনো এক বেলা হাঁটার স্বাস্থ্য উপকারিতা পেয়ে থাকেন। এই হাঁটা মানসিক চাপ কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে দূরে রাখে। এটি প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং মানসিক চাপ কমানোর অন্যতম সেরা উপায়।
ধরুন, আপনার বাড়ির বিড়ালটি মাছ ভালোবাসে। আপনার মাছের প্রতি আকর্ষণ না থাকলেও বিড়ালের তৃপ্তি করে মাছ খাওয়ার দৃশ্য আপনাকে মাছ খাওয়ার বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে পারে। প্রাণীদের আরও একটি চমৎকার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তাদের নির্দিষ্ট রুটিন। এটিও শিক্ষণীয়। কিছু কিছু মানুষ জীবনকে একটা নির্দিষ্ট রুটিনের ভেতরে নিয়ে আসতে অনেক কষ্ট করে। একটি ধারাবাহিক দৈনন্দিন রুটিন ঘুমের মান উন্নত করে। আপনার পোষ্য যেমন ঘুম থেকে উঠেই গা ঝাড়া দিয়ে সতেজ হয়, তেমনি নিয়মিত স্ট্রেচিং শরীরের নমনীয়তা বাড়ায় এবং শক্তি দেয়। পোষা প্রাণীরা সব সময় নিজেদের পরিষ্কার রাখে। এই পরিচ্ছন্নতা আত্মসম্মান বাড়াতে সহায়ক।
মানসিক শান্তি ও ইতিবাচকতার সূত্র

পোষা প্রাণীরা অতীত বা ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করে না। তারা কেবল বর্তমানে বাঁচে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া মানসিক শান্তির পাঠগুলো হলো—
ক্ষমা করুন এবং ভুলে যান: আপনার পোষ্যটি হয়তো আপনার ওপর রেগে গেছে। কিন্তু সেই রাগ স্থায়ী নয়। তারা কোনো হিংসা পুষে রাখে না। রাগ ধরে রাখা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। প্রাণীরা এ বিষয়টিই শেখায়।
ইতিবাচক থাকুন: পোষা প্রাণীরা নিজেদের যেকোনো পরিস্থিতিতে সেরাটা খুঁজে নেয়। হতে পারে সেটা একফালি ঘাস বা একঝলক রোদ। তারা নেতিবাচক দিক নিয়ে পড়ে থাকে না। মানুষের ক্ষেত্রেও তাই। নেতিবাচকতা নিয়ে বেশি ভাবলে বিষণ্নতা বাড়ে।
বর্তমান মুহূর্তে বাঁচুন: তারা মাইন্ডফুলনেস বা সচেতন থাকা শিখেছে মানুষের চেয়ে আগে। তারা খেলুক, ঘুমাক—যা-ই করুক না কেন, তাতে পুরোপুরি মনোযোগ দেয়।
সম্পর্ক ও যোগাযোগের পাঠ
ভালোবাসা, আনুগত্য ও মনোযোগ—এগুলো একটি সুস্থ সম্পর্কের ভিত্তি। এসব আমরা প্রাণীদের কাছ থেকে খুব সহজে শিখতে পারি। বলার আগে শুনতে শিখুন। যখন আমাদের মাথায় নতুন ধারণা ঘুরতে থাকে, তখন আমরা প্রায়ই অন্যকে মাঝপথে থামিয়ে দিই। পোষ্যটি কিন্তু আপনার কথা শেষ করার জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করে। তাদের এই মনোযোগ দিয়ে শোনা ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। পোষা প্রাণীরা আপনার মনের ভাষা বুঝে শরীরের ভাষা পরখ করে। কিন্তু মানুষ শারীরিক ভাষা প্রায়ই উপেক্ষা করে। আপনার অঙ্গভঙ্গি বা চোখের ভাষা কী বলছে, সেদিকে খেয়াল রাখা ব্যক্তিগত সম্পর্ক উন্নত করে।
নিঃশর্ত ভালোবাসা দেওয়া প্রাণীরাই শেখায়। কুকুর কখনো খুব ঝানু খেলোয়াড় হওয়ার ভান করে না। সব সময় তারা আপনার প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, সম্পর্কে ‘খেলোয়াড়ি মনোভাব’ ভুল মানুষকে আকর্ষণ করে। আমরা অনেক সময় খুব দ্রুত মানুষকে বিচার করে ফেলি। কিন্তু খেয়াল করবেন, আপনার বিড়ালটি আপনার পোশাক বা মেধা দেখে আপনার কোলে এসে বসবে না। প্রাণীরা ভদ্রতার ভাষা বোঝে, কোনো সামাজিক স্তর নয়। প্রাণীরা বন্ধুত্ব ও দীর্ঘ জীবন সম্পর্কে ভালো ধারণা দেয়। যাদের বন্ধু বেশি, তারা অন্যদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে। পোষ্যরা আপনাকে সম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্ব শেখায়।
জীবনের উদ্দেশ্য ও মূল্য
জীবনের আসল আনন্দ আসে উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়া এবং ছোট ছোট জিনিসে খুশি হওয়ার মধ্য দিয়ে; শুধু পোষা প্রাণীরা নয়, আমাদের চারপাশের যেকোনো প্রাণীই আমাদের বিষয়টি শেখায়।
খেলা শুধু শিশু বা প্রাণীদের জন্য নয়; এটি বুদ্ধিমত্তা, সৃজনশীলতা ও সামাজিক দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খেলার জন্য সময় বের করুন। একটি উদ্দেশ্য পূরণের জন্য বাঁচুন। বিরক্ত হলে প্রাণীরা আক্রমণাত্মক বা উদ্বিগ্ন হতে পারে। মানুষেরও উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য না থাকলে মানসিক সমস্যা তৈরি হয়। কাজ করার সহজাত তাড়না আমাদের সুস্থ রাখে। একটি পোষ্য মেঝেতে একটি টুকরা খাবার পেয়ে বা পুরোনো বল খুঁজে পেয়ে পুরো দিনের আনন্দে কাটিয়ে দিতে পারে। তাদের মতো আপনিও প্রিয় খাবার উপভোগ করা বা পছন্দের সিনেমা দেখার মতো ছোট ছোট আনন্দে বেঁচে থাকা শিখুন।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

আগামী চার বছরের মধ্যে বিডিইউকে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে চাই। আমি সত্যিকার একটা ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি বানিয়ে চলে আসতে চাই। আমি আমার ধ্যান-জ্ঞান দিয়ে চেষ্টা করছি। বিডিইউর শিক্ষার্থীরা তাঁদের স্নাতক শেষ করার পর যেন
১১ জুন ২০২৩
সারা আলি খান চিনি, শর্করা ও দুধজাতীয় খাবার ছাড়া ডায়েট রুটিন অনুসরণ করেন। ওজন কমাতে কি সবারই এই রুটিন মেনে চলা উচিত? ‘পিংক ভিলা’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ২৯ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বলেছিলেন, তিনি কঠোরভাবে চিনি, দুধ ও শর্করাবিহীন ডায়েট অনুসরণ করেন।...
৭ ঘণ্টা আগে
ধ্যান বা মেডিটেশন মানসিক প্রশান্তি আনে, শরীরের স্থিতিশীলতা ও সহনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করে। এক দিনে বা এক সপ্তাহে অর্থাৎ কম সময়ে এটি আয়ত্ত করতে যাবেন না। ধীরে ধীরে সময় নিয়ে আয়ত্ত করুন এবং দীর্ঘ মেয়াদে সুস্থ থাকুন।...
১৬ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভেতরের অ্যাড্রেনালিন ডাবল ডোজ নিয়ে নেমেছে। আজ এত দ্রুত কাজ করবেন যে সহকর্মীরা ভাববে আপনি কফি-মেশিনের সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করছেন। কিন্তু সাবধান! সব এনার্জি যেন বেলা ২টার পর শেষ না হয়ে যায়।
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

মেডিটেশন বা ধ্যান জীবন স্থিতিশীল করে। কাজে মনোযোগ ফেরাতে এবং আত্মিক সুখ পেতে মেডিটেশন খুব কার্যকরী অনুশীলন। কিন্তু অনেকে কিছুদিন মেডিটেশন করার পর ছেড়ে দেন। বলে বসেন, ‘কোথায়, কাজ হচ্ছে না তো!’ এমন হলে বুঝতে হবে, কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। অথবা আপনি নিজেই বেশ চাপ নিয়ে নিচ্ছেন বলে অস্থিরতাও কাটছে না, মানসিক শান্তিও মিলছে না।
এভারগ্রিন ইয়োগার সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রশিক্ষক বাপ্পা শান্তনু বলেন, ‘মেডিটেশন করার জন্য সবার আগে মেরুদণ্ড সোজা করে বসতে শিখতে হবে। যিনি এভাবে বসতে পারেন না, তিনি অতটা উপকার পাবেন না মেডিটেশন থেকে। এভাবে বসার পর নড়াচড়া একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে। হাতের আঙুল ও পায়ের আঙুল নাড়ানো থেকেও বিরত থাকা চাই। এরপর শ্বাসপ্রশ্বাসে মনোযোগ দিন। এককথায় শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরের পরিবর্তনগুলো অনুভব করুন। শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। খুব ধীরে ধীরে শ্বাস নিয়ে খুব ধীরে ধীরে ছাড়ুন। এরপর ১ অনুপাত ২ হিসাবে শ্বাস নিতে ও ছাড়তে হবে। অর্থাৎ যতটা সময় নিয়ে শ্বাস নেবেন, তার দ্বিগুণ সময় নিয়ে ছাড়তে হবে। কিন্তু প্রথম দিনেই এটা করতে যাওয়া ঠিক নয়। ধীরে ধীরে বুঝে ও অনুভব করে এগোতে হবে। এভাবে ৫ দিন সময় লাগিয়ে এ পর্যন্ত আসতে পারলে অনেকটাই ভালো বোধ হবে।’
নতুনেরা যেভাবে মেডিটেশন বা ধ্যান শুরু করতে পারেন
শুরুতে বেশি সময় নেবেন না
মেডিটেশন যাঁরা শুরু করেছেন, তাঁরা প্রথম দিনগুলোয় ৩০ মিনিট বা তার বেশি সময় ধরে নিজেকে ধ্যানে বাধ্য করবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ধ্যান করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। এতে করে আত্মবিশ্বাস দৃঢ় হওয়ার পরিবর্তে কমে যেতে পারে। তাই প্রতিদিন মাত্র ৫ মিনিট দিয়ে শুরু করুন। ধীরে ধীরে সময় বাড়াতে পারেন। তাতেও মনোযোগ ধরে রাখতে সমস্যা হলে এক মিনিটের শ্বাসপ্রশ্বাসের অনুশীলন করা দিয়ে শুরু করুন। প্রতিদিন এভাবে চলতে দিন। এক সপ্তাহ পর এটাই নিয়মে আসবে। তখন মনোনিবেশ করা সহজ হবে।
মানসিকভাবে আরোগ্য় লাভের জন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত ২ মাস অন্তত ২০ মিনিট মেডিটেশনে নিমগ্ন হতে হবে। এভাবে মেডিটেশন করলে মস্তিষ্কের গঠনের পরিবর্তন হয়। যেটাকে আমরা নিউরোপ্লাস্টিসিটি বলি। মেডিটেশন বা ধ্যানের এটাই সহজ মাধ্যম, যা নিজে নিজেই অনুশীলন করা সম্ভব। বাপ্পা শান্তনু, সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রশিক্ষক, এভারগ্রিন ইয়োগা
তবে প্রথম কয়েকটি সেশনে মানসিক স্থিরতা আশা করা উচিত নয়। ধ্যান শুরু করার সময় বিভিন্নভাবে মনঃসংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। তবে প্রতিবার যখন আপনি মনকে পুনরায় শ্বাসপ্রশ্বাসের অনুশীলনে ফিরিয়ে আনবেন, আপনার মনোযোগের বৃত্তটি আরও শক্তিশালী হবে। এটাই অনুশীলন। অনুশীলনকারীদের মতে, মেডিটেশন বা ধ্যান মানে চিন্তামুক্ত থাকা নয়; বরং চিন্তাভাবনা থাকা সত্ত্বেও আপনার সচেতনতাকে নোঙর করতে পারার নামই মেডিটেশন বা ধ্যান।
ধরন বেছে নিন
সব ধরনের ধ্যান বা মেডিটেশন সবার জন্য উপযুক্ত না-ও হতে পারে। ইতিবাচক চিন্তা, ভিজুয়ালাইজেশন থেকে শুরু করে গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ধ্যান রয়েছে। প্রতিটিই অনুশীলন করে দেখতে হবে, কোনটির সঙ্গে আপনার শরীরের সমন্বয় ঘটছে। কয়েকবার চেষ্টা করার পর যদি দেখা যায়, সেগুলোর কোনো একটির সঙ্গে আপনার বেশি সংযোগ তৈরি হচ্ছে, তাহলে সেটিই আপনার মেডিটেশনের সঠিক মাধ্যম।

পরিবেশ তৈরি
সমুদ্রের ঢেউয়ের আওয়াজ, বৃষ্টির টুপটাপ শব্দ, ঝরনার আওয়াজ ইত্যাদির বিভিন্ন ভিডিও বা সাউন্ডট্র্যাক পাওয়া যায় ইউটিউবে। সেগুলোর কোনো একটা ছেড়ে তারপর ধ্যান শুরু করলে কিছুটা সহজে মনোনিবেশ করতে পারবেন। এতে বাড়তি উদ্বেগ কমে আসবে এবং অনেকটাই আরামবোধ হবে।
শ্বাসপ্রশ্বাসে মনোযোগ
খুব দ্রুত ধ্যানে নিমগ্ন হওয়ার জন্য গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার দিকে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন অনেকে। চোখ বন্ধ করে চোয়াল শিথিল করুন। ধীরে ধীরে আপনার কাঁধ শিথিল করে নিন। তারপর নাক দিয়ে গভীরভাবে শ্বাস নিতে শুরু করুন। শ্বাস নেওয়ার সময় শরীর প্রসারিত হচ্ছে অনুভব করতে থাকুন। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন, যাতে শরীর তার কেন্দ্রে ফিরে আসে। তিন থেকে পাঁচ মিনিটের জন্য এটি পুনরাবৃত্তি করুন।
সূক্ষ্ম বিষয়ে মনোযোগ দিন
মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হওয়া এড়াতে শ্বাসের অনুভূতি, হাতের তালুর ওজন ইত্যাদি শারীরিক সংবেদনগুলোয় মনোনিবেশ করুন। এগুলো আপনাকে বাইরের পরিবেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ধ্যানে নিমগ্ন হতে সহায়তা করবে।
ধ্যানের নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করুন
ধ্যানের জন্য বাড়িতে একটি নির্দিষ্ট জায়গা থাকলে ভালো। এতে অনুশীলন আরও বিশেষ হয়ে উঠবে। এ ছাড়া সে জায়গাটি চোখে পড়লে আপনার মস্তিষ্ক সংকেত দেবে, ধ্যান করার সময় হয়েছে। নিয়মিত ধ্যানের জন্য একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ, আরামদায়ক জায়গা বেছে নিন। সেখানে যেন প্রাকৃতিক আলো, সবুজ ও আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা থাকে, সেদিকে নজর দিন। ধ্যান শুরু করার আগে এই পরিবেশ আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে তুলবে। এই জায়গা আপনার মস্তিষ্ককে বিভ্রান্তি কমানোর নির্দেশ দেবে। এখানে একটি ছোট ট্রেতে সুগন্ধি মোমবাতি, ধূপকাঠি, ফুল থাকতে পারে। সেগুলোর সৌন্দর্য ও গন্ধ মস্তিষ্ক শান্ত করতে সাহায্য করবে।
ধ্যান বা মেডিটেশন মানসিক প্রশান্তি আনে, শরীরের স্থিতিশীলতা ও সহনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করে। এক দিনে বা এক সপ্তাহে অর্থাৎ কম সময়ে এটি আয়ত্ত করতে যাবেন না। ধীরে ধীরে সময় নিয়ে আয়ত্ত করুন এবং দীর্ঘ মেয়াদে সুস্থ থাকুন।

মেডিটেশন বা ধ্যান জীবন স্থিতিশীল করে। কাজে মনোযোগ ফেরাতে এবং আত্মিক সুখ পেতে মেডিটেশন খুব কার্যকরী অনুশীলন। কিন্তু অনেকে কিছুদিন মেডিটেশন করার পর ছেড়ে দেন। বলে বসেন, ‘কোথায়, কাজ হচ্ছে না তো!’ এমন হলে বুঝতে হবে, কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। অথবা আপনি নিজেই বেশ চাপ নিয়ে নিচ্ছেন বলে অস্থিরতাও কাটছে না, মানসিক শান্তিও মিলছে না।
এভারগ্রিন ইয়োগার সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রশিক্ষক বাপ্পা শান্তনু বলেন, ‘মেডিটেশন করার জন্য সবার আগে মেরুদণ্ড সোজা করে বসতে শিখতে হবে। যিনি এভাবে বসতে পারেন না, তিনি অতটা উপকার পাবেন না মেডিটেশন থেকে। এভাবে বসার পর নড়াচড়া একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে। হাতের আঙুল ও পায়ের আঙুল নাড়ানো থেকেও বিরত থাকা চাই। এরপর শ্বাসপ্রশ্বাসে মনোযোগ দিন। এককথায় শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরের পরিবর্তনগুলো অনুভব করুন। শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। খুব ধীরে ধীরে শ্বাস নিয়ে খুব ধীরে ধীরে ছাড়ুন। এরপর ১ অনুপাত ২ হিসাবে শ্বাস নিতে ও ছাড়তে হবে। অর্থাৎ যতটা সময় নিয়ে শ্বাস নেবেন, তার দ্বিগুণ সময় নিয়ে ছাড়তে হবে। কিন্তু প্রথম দিনেই এটা করতে যাওয়া ঠিক নয়। ধীরে ধীরে বুঝে ও অনুভব করে এগোতে হবে। এভাবে ৫ দিন সময় লাগিয়ে এ পর্যন্ত আসতে পারলে অনেকটাই ভালো বোধ হবে।’
নতুনেরা যেভাবে মেডিটেশন বা ধ্যান শুরু করতে পারেন
শুরুতে বেশি সময় নেবেন না
মেডিটেশন যাঁরা শুরু করেছেন, তাঁরা প্রথম দিনগুলোয় ৩০ মিনিট বা তার বেশি সময় ধরে নিজেকে ধ্যানে বাধ্য করবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ধ্যান করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। এতে করে আত্মবিশ্বাস দৃঢ় হওয়ার পরিবর্তে কমে যেতে পারে। তাই প্রতিদিন মাত্র ৫ মিনিট দিয়ে শুরু করুন। ধীরে ধীরে সময় বাড়াতে পারেন। তাতেও মনোযোগ ধরে রাখতে সমস্যা হলে এক মিনিটের শ্বাসপ্রশ্বাসের অনুশীলন করা দিয়ে শুরু করুন। প্রতিদিন এভাবে চলতে দিন। এক সপ্তাহ পর এটাই নিয়মে আসবে। তখন মনোনিবেশ করা সহজ হবে।
মানসিকভাবে আরোগ্য় লাভের জন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত ২ মাস অন্তত ২০ মিনিট মেডিটেশনে নিমগ্ন হতে হবে। এভাবে মেডিটেশন করলে মস্তিষ্কের গঠনের পরিবর্তন হয়। যেটাকে আমরা নিউরোপ্লাস্টিসিটি বলি। মেডিটেশন বা ধ্যানের এটাই সহজ মাধ্যম, যা নিজে নিজেই অনুশীলন করা সম্ভব। বাপ্পা শান্তনু, সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রশিক্ষক, এভারগ্রিন ইয়োগা
তবে প্রথম কয়েকটি সেশনে মানসিক স্থিরতা আশা করা উচিত নয়। ধ্যান শুরু করার সময় বিভিন্নভাবে মনঃসংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। তবে প্রতিবার যখন আপনি মনকে পুনরায় শ্বাসপ্রশ্বাসের অনুশীলনে ফিরিয়ে আনবেন, আপনার মনোযোগের বৃত্তটি আরও শক্তিশালী হবে। এটাই অনুশীলন। অনুশীলনকারীদের মতে, মেডিটেশন বা ধ্যান মানে চিন্তামুক্ত থাকা নয়; বরং চিন্তাভাবনা থাকা সত্ত্বেও আপনার সচেতনতাকে নোঙর করতে পারার নামই মেডিটেশন বা ধ্যান।
ধরন বেছে নিন
সব ধরনের ধ্যান বা মেডিটেশন সবার জন্য উপযুক্ত না-ও হতে পারে। ইতিবাচক চিন্তা, ভিজুয়ালাইজেশন থেকে শুরু করে গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ধ্যান রয়েছে। প্রতিটিই অনুশীলন করে দেখতে হবে, কোনটির সঙ্গে আপনার শরীরের সমন্বয় ঘটছে। কয়েকবার চেষ্টা করার পর যদি দেখা যায়, সেগুলোর কোনো একটির সঙ্গে আপনার বেশি সংযোগ তৈরি হচ্ছে, তাহলে সেটিই আপনার মেডিটেশনের সঠিক মাধ্যম।

পরিবেশ তৈরি
সমুদ্রের ঢেউয়ের আওয়াজ, বৃষ্টির টুপটাপ শব্দ, ঝরনার আওয়াজ ইত্যাদির বিভিন্ন ভিডিও বা সাউন্ডট্র্যাক পাওয়া যায় ইউটিউবে। সেগুলোর কোনো একটা ছেড়ে তারপর ধ্যান শুরু করলে কিছুটা সহজে মনোনিবেশ করতে পারবেন। এতে বাড়তি উদ্বেগ কমে আসবে এবং অনেকটাই আরামবোধ হবে।
শ্বাসপ্রশ্বাসে মনোযোগ
খুব দ্রুত ধ্যানে নিমগ্ন হওয়ার জন্য গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার দিকে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন অনেকে। চোখ বন্ধ করে চোয়াল শিথিল করুন। ধীরে ধীরে আপনার কাঁধ শিথিল করে নিন। তারপর নাক দিয়ে গভীরভাবে শ্বাস নিতে শুরু করুন। শ্বাস নেওয়ার সময় শরীর প্রসারিত হচ্ছে অনুভব করতে থাকুন। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন, যাতে শরীর তার কেন্দ্রে ফিরে আসে। তিন থেকে পাঁচ মিনিটের জন্য এটি পুনরাবৃত্তি করুন।
সূক্ষ্ম বিষয়ে মনোযোগ দিন
মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হওয়া এড়াতে শ্বাসের অনুভূতি, হাতের তালুর ওজন ইত্যাদি শারীরিক সংবেদনগুলোয় মনোনিবেশ করুন। এগুলো আপনাকে বাইরের পরিবেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ধ্যানে নিমগ্ন হতে সহায়তা করবে।
ধ্যানের নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করুন
ধ্যানের জন্য বাড়িতে একটি নির্দিষ্ট জায়গা থাকলে ভালো। এতে অনুশীলন আরও বিশেষ হয়ে উঠবে। এ ছাড়া সে জায়গাটি চোখে পড়লে আপনার মস্তিষ্ক সংকেত দেবে, ধ্যান করার সময় হয়েছে। নিয়মিত ধ্যানের জন্য একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ, আরামদায়ক জায়গা বেছে নিন। সেখানে যেন প্রাকৃতিক আলো, সবুজ ও আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা থাকে, সেদিকে নজর দিন। ধ্যান শুরু করার আগে এই পরিবেশ আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে তুলবে। এই জায়গা আপনার মস্তিষ্ককে বিভ্রান্তি কমানোর নির্দেশ দেবে। এখানে একটি ছোট ট্রেতে সুগন্ধি মোমবাতি, ধূপকাঠি, ফুল থাকতে পারে। সেগুলোর সৌন্দর্য ও গন্ধ মস্তিষ্ক শান্ত করতে সাহায্য করবে।
ধ্যান বা মেডিটেশন মানসিক প্রশান্তি আনে, শরীরের স্থিতিশীলতা ও সহনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করে। এক দিনে বা এক সপ্তাহে অর্থাৎ কম সময়ে এটি আয়ত্ত করতে যাবেন না। ধীরে ধীরে সময় নিয়ে আয়ত্ত করুন এবং দীর্ঘ মেয়াদে সুস্থ থাকুন।

আগামী চার বছরের মধ্যে বিডিইউকে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে চাই। আমি সত্যিকার একটা ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি বানিয়ে চলে আসতে চাই। আমি আমার ধ্যান-জ্ঞান দিয়ে চেষ্টা করছি। বিডিইউর শিক্ষার্থীরা তাঁদের স্নাতক শেষ করার পর যেন
১১ জুন ২০২৩
সারা আলি খান চিনি, শর্করা ও দুধজাতীয় খাবার ছাড়া ডায়েট রুটিন অনুসরণ করেন। ওজন কমাতে কি সবারই এই রুটিন মেনে চলা উচিত? ‘পিংক ভিলা’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ২৯ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বলেছিলেন, তিনি কঠোরভাবে চিনি, দুধ ও শর্করাবিহীন ডায়েট অনুসরণ করেন।...
৭ ঘণ্টা আগে
অনেকে শখ করে বাড়িতে বিড়াল, কুকুর, পাখি, মাছ বা খরগোশ পোষেন। যদি আপনি শিখতে চান, তাহলে এই প্রাণীগুলোর সাধারণ দৈনন্দিন অভ্যাসের মাধ্যমে অনেক কিছু শিখতে পারেন। কীভাবে শান্ত থাকতে হয়, কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং কীভাবে দিন উপভোগ করতে হয়—পোষা প্রাণীর দিকে গভীর মনোযোগ দিলে এগুলো শেখা যায়। কিন্তু আপনি কি...
১৫ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভেতরের অ্যাড্রেনালিন ডাবল ডোজ নিয়ে নেমেছে। আজ এত দ্রুত কাজ করবেন যে সহকর্মীরা ভাববে আপনি কফি-মেশিনের সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করছেন। কিন্তু সাবধান! সব এনার্জি যেন বেলা ২টার পর শেষ না হয়ে যায়।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার ভেতরের অ্যাড্রেনালিন ডাবল ডোজ নিয়ে নেমেছে। আজ এত দ্রুত কাজ করবেন যে সহকর্মীরা ভাববে আপনি কফি-মেশিনের সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করছেন। কিন্তু সাবধান! সব এনার্জি যেন বেলা ২টার পর শেষ না হয়ে যায়। কোনো মিটিংয়ে আপনার আইডিয়াটা ‘চিৎকার’ করে বলবেন না, সাধারণ স্বরে বলুন। আজকে সাতবার হাই তুলবেন।
বৃষ
আপনার আরামপ্রিয় মন আজ কাজের ডেস্ক থেকে সোজা সোফায় টানতে চাইবে। আজ খাবারের ব্যাপারে কোনো আপস করবেন না। দুপুরের খাবারের মেনু ঠিক করতে গিয়ে যে সময় নষ্ট করবেন, সেটা দিয়ে একটা ছোটখাটো উপন্যাস লেখা যেত। নিজের রূপচর্চা, শরীরের সেবাযত্ন আজ চরম পর্যায়ে নিয়ে যাবেন। স্ন্যাকস হাতে রাখুন, তবে ঘুমিয়ে পড়বেন না। ঘুম কাজের পরে!
মিথুন
আজ মস্তিষ্ক একটি হাইস্পিড ওয়াইফাই রাউটারের মতো কাজ করবে। একাই তিনজনের সঙ্গে চ্যাট করতে পারবেন, একটি ই-মেল ড্রাফট করতে পারবেন এবং একই সঙ্গে গানও গাইতে পারবেন। কিন্তু সতর্ক থাকুন, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভুল গ্রুপ চ্যাটে চলে যেতে পারে! জরুরি মেসেজ পাঠানোর আগে প্রাপকের নামটা তিনবার দেখে নিন। ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না।
কর্কট
আপনার হৃদয়ের নিরাপত্তা দরকার আজ। মনে হতে পারে ঘর ছেড়ে কোথাও যাবেন না। কাঁথা মুড়ি দিয়ে থাকাই আজ আপনার কাছে জীবনের পরম সত্য, পরম প্রাপ্তি। ঘরের চার দেয়ালকে আজ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আশ্রয় মনে হবে। ফ্রিজের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস না ফেলে, নিজেই কিছু রান্না করুন। বাড়িতে আপনার প্রিয়জনের জন্য অপ্রত্যাশিত আরামের ব্যবস্থা করলে সুফল পাবেন।
সিংহ
আলো আকর্ষণকারী হিসেবে আজ আপনার খ্যাতি বাড়বে। আজ আপনি যেখানে যাবেন, সেখানেই আপনার প্রবেশে একটি অদৃশ্য স্পটলাইট জ্বলবে। অতিরিক্ত মনোযোগের জন্য হয়তো অফিসের বাথরুমের আয়নায় সেলফি তুলতে পারেন। আপনার উজ্জ্বলতা এমনিতেই যথেষ্ট। ইনডোরে সানগ্লাস পরা এড়িয়ে চলুন। আজ অযথা একটি দামি জিনিসের জন্য বাজেট নষ্ট হতে পারে, শুধু শুধু লোক দেখানোর জন্য টাকা নষ্ট করার কোনো মানে হয় না!
কন্যা
আজ আপনি জীবনের প্রতিটি সেকেন্ডের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করবেন। ‘টু-ডু’ লিস্টের রং কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে এক ঘণ্টা ব্যয় করবেন, যা আসলে আপনার ‘টু-ডু’ লিস্টে নেই। নিখুঁতভাবে থাকার চাপ আপনার কপালে ভাঁজ ফেলতে পারে। আজ একটি কাজ নিখুঁত না হলেও পৃথিবী থেমে যাবে না। প্লিজ, শ্বাস নিন। পানি পান করতে ভুলে যেতে পারেন। কারণ, আপনি পানির আণবিক গঠন নিয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন।
তুলা
আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় সংগ্রাম আজ আবার শুরু হবে: সিদ্ধান্তহীনতা। দুপুরে কী খাবেন—ভাত না রুটি? আজ এটা আপনার কাছে জীবনের অর্থ খোঁজার মতোই কঠিন মনে হবে। ভারসাম্য খুঁজতে গিয়ে মাঝখানে আটকে যাবেন। লাঞ্চের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটা কয়েন টস করুন। আর ফল যা-ই হোক, চোখ বন্ধ করে মেনে নিন। সহকর্মীদের সঙ্গে আজ ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’-এর মাঝের শব্দটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন।
বৃশ্চিক
আপনার ডিটেকটিভ মোড আজ চালু থাকবে। জানতে পারবেন কে শেষ বিস্কুটটি খেয়েছে এবং তার পরিণাম কী হবে। গভীর এবং তীব্র মনোযোগ আজ সাফল্য এনে দেবে অথবা অপ্রয়োজনীয় ষড়যন্ত্র তত্ত্বে ফেলে দেবে। সবার দুর্বলতা খুঁজে না বের করে, নিজের কাজের ওপর ফোকাস করুন। অতিরিক্ত সন্দেহপ্রবণতার কারণে আজ ভালো সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।
ধনু
আপনার ভেতরে থাকা ভবঘুরে মন আজ বিদ্রোহ ঘোষণা করবে। অফিসে বসেও মনে মনে আন্দিজ পর্বতমালার চূড়ায় অথবা সুন্দরবনের গহিনে ঘুরে বেড়াবেন। ছোটখাটো অ্যাডভেঞ্চার আজ আপনার দরকার। যদি বিদেশে যেতে মন চায়, তবে অন্তত ভিন্ন রাস্তা দিয়ে হেঁটে বাথরুমে যান। এমন কিছু বলবেন না যা পরে প্রত্যাহার করতে হবে! সুতরাং কথাবার্তা ভেবেচিন্তে বলুন। ওভারস্মার্ট হতে যাবেন না।
মকর
কাজ, কাজ আর কাজ—এটাই আপনার জীবনের মন্ত্র। এমনকি একটি শামুককেও তার ধীরগতির জন্য সমালোচনা করতে পারেন। গ্রহরা বলছে, আপনি পাঁচ বছর আগেই বিরতি পাওয়ার যোগ্য হয়ে রয়েছেন। এবার থামুন। একটি ছোট বিরতি নিন। পৃথিবী আপনার অনুপস্থিতিতেও ঘুরতে থাকবে। আজ অতিরিক্ত টাকা সাশ্রয় করতে পেরে গর্বিত হবেন।
কুম্ভ
আপনার মাথা আজ ‘আউট অব দ্য বক্স’ থেকে অনেক দূরে, সম্ভবত অন্য গ্রহের চিন্তা নিয়ে ব্যস্ত। এমন একটি চমৎকার আইডিয়া নিয়ে আসবেন, যার মধ্যে কবুতর এবং পুলি সিস্টেম জড়িত থাকতে পারে। আইডিয়াটি দুর্দান্ত, কিন্তু সাধারণ মানুষ কি তা বুঝবে? একবার পরীক্ষা করে দেখুন। আজ এমন এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে পারেন, যার কথা ছয় মাস ধরে ভুলে গিয়েছিলেন।
মীন
আজ আপনার বেশির ভাগ সময় কাটবে দিবাস্বপ্নে। হয়তো ট্যাক্সের ফাইল করছেন, কিন্তু মন একই সঙ্গে একটি সিম্ফনি রচনা করছে। বাস্তব জগৎ আজ আপনার কাছে কিছুটা ধূসর লাগতে পারে। কল্পনার জগৎ থেকে একটু বের হয়ে আসুন। টাকা গুনতে গুনতে স্বপ্ন দেখা যায় না। আপনার সৃজনশীলতা আজ চূড়ায় থাকবে। একটি কবিতা লিখুন, কিন্তু অফিসে নয়।

মেষ
আজ আপনার ভেতরের অ্যাড্রেনালিন ডাবল ডোজ নিয়ে নেমেছে। আজ এত দ্রুত কাজ করবেন যে সহকর্মীরা ভাববে আপনি কফি-মেশিনের সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করছেন। কিন্তু সাবধান! সব এনার্জি যেন বেলা ২টার পর শেষ না হয়ে যায়। কোনো মিটিংয়ে আপনার আইডিয়াটা ‘চিৎকার’ করে বলবেন না, সাধারণ স্বরে বলুন। আজকে সাতবার হাই তুলবেন।
বৃষ
আপনার আরামপ্রিয় মন আজ কাজের ডেস্ক থেকে সোজা সোফায় টানতে চাইবে। আজ খাবারের ব্যাপারে কোনো আপস করবেন না। দুপুরের খাবারের মেনু ঠিক করতে গিয়ে যে সময় নষ্ট করবেন, সেটা দিয়ে একটা ছোটখাটো উপন্যাস লেখা যেত। নিজের রূপচর্চা, শরীরের সেবাযত্ন আজ চরম পর্যায়ে নিয়ে যাবেন। স্ন্যাকস হাতে রাখুন, তবে ঘুমিয়ে পড়বেন না। ঘুম কাজের পরে!
মিথুন
আজ মস্তিষ্ক একটি হাইস্পিড ওয়াইফাই রাউটারের মতো কাজ করবে। একাই তিনজনের সঙ্গে চ্যাট করতে পারবেন, একটি ই-মেল ড্রাফট করতে পারবেন এবং একই সঙ্গে গানও গাইতে পারবেন। কিন্তু সতর্ক থাকুন, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভুল গ্রুপ চ্যাটে চলে যেতে পারে! জরুরি মেসেজ পাঠানোর আগে প্রাপকের নামটা তিনবার দেখে নিন। ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না।
কর্কট
আপনার হৃদয়ের নিরাপত্তা দরকার আজ। মনে হতে পারে ঘর ছেড়ে কোথাও যাবেন না। কাঁথা মুড়ি দিয়ে থাকাই আজ আপনার কাছে জীবনের পরম সত্য, পরম প্রাপ্তি। ঘরের চার দেয়ালকে আজ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আশ্রয় মনে হবে। ফ্রিজের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস না ফেলে, নিজেই কিছু রান্না করুন। বাড়িতে আপনার প্রিয়জনের জন্য অপ্রত্যাশিত আরামের ব্যবস্থা করলে সুফল পাবেন।
সিংহ
আলো আকর্ষণকারী হিসেবে আজ আপনার খ্যাতি বাড়বে। আজ আপনি যেখানে যাবেন, সেখানেই আপনার প্রবেশে একটি অদৃশ্য স্পটলাইট জ্বলবে। অতিরিক্ত মনোযোগের জন্য হয়তো অফিসের বাথরুমের আয়নায় সেলফি তুলতে পারেন। আপনার উজ্জ্বলতা এমনিতেই যথেষ্ট। ইনডোরে সানগ্লাস পরা এড়িয়ে চলুন। আজ অযথা একটি দামি জিনিসের জন্য বাজেট নষ্ট হতে পারে, শুধু শুধু লোক দেখানোর জন্য টাকা নষ্ট করার কোনো মানে হয় না!
কন্যা
আজ আপনি জীবনের প্রতিটি সেকেন্ডের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করবেন। ‘টু-ডু’ লিস্টের রং কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে এক ঘণ্টা ব্যয় করবেন, যা আসলে আপনার ‘টু-ডু’ লিস্টে নেই। নিখুঁতভাবে থাকার চাপ আপনার কপালে ভাঁজ ফেলতে পারে। আজ একটি কাজ নিখুঁত না হলেও পৃথিবী থেমে যাবে না। প্লিজ, শ্বাস নিন। পানি পান করতে ভুলে যেতে পারেন। কারণ, আপনি পানির আণবিক গঠন নিয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন।
তুলা
আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় সংগ্রাম আজ আবার শুরু হবে: সিদ্ধান্তহীনতা। দুপুরে কী খাবেন—ভাত না রুটি? আজ এটা আপনার কাছে জীবনের অর্থ খোঁজার মতোই কঠিন মনে হবে। ভারসাম্য খুঁজতে গিয়ে মাঝখানে আটকে যাবেন। লাঞ্চের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটা কয়েন টস করুন। আর ফল যা-ই হোক, চোখ বন্ধ করে মেনে নিন। সহকর্মীদের সঙ্গে আজ ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’-এর মাঝের শব্দটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন।
বৃশ্চিক
আপনার ডিটেকটিভ মোড আজ চালু থাকবে। জানতে পারবেন কে শেষ বিস্কুটটি খেয়েছে এবং তার পরিণাম কী হবে। গভীর এবং তীব্র মনোযোগ আজ সাফল্য এনে দেবে অথবা অপ্রয়োজনীয় ষড়যন্ত্র তত্ত্বে ফেলে দেবে। সবার দুর্বলতা খুঁজে না বের করে, নিজের কাজের ওপর ফোকাস করুন। অতিরিক্ত সন্দেহপ্রবণতার কারণে আজ ভালো সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।
ধনু
আপনার ভেতরে থাকা ভবঘুরে মন আজ বিদ্রোহ ঘোষণা করবে। অফিসে বসেও মনে মনে আন্দিজ পর্বতমালার চূড়ায় অথবা সুন্দরবনের গহিনে ঘুরে বেড়াবেন। ছোটখাটো অ্যাডভেঞ্চার আজ আপনার দরকার। যদি বিদেশে যেতে মন চায়, তবে অন্তত ভিন্ন রাস্তা দিয়ে হেঁটে বাথরুমে যান। এমন কিছু বলবেন না যা পরে প্রত্যাহার করতে হবে! সুতরাং কথাবার্তা ভেবেচিন্তে বলুন। ওভারস্মার্ট হতে যাবেন না।
মকর
কাজ, কাজ আর কাজ—এটাই আপনার জীবনের মন্ত্র। এমনকি একটি শামুককেও তার ধীরগতির জন্য সমালোচনা করতে পারেন। গ্রহরা বলছে, আপনি পাঁচ বছর আগেই বিরতি পাওয়ার যোগ্য হয়ে রয়েছেন। এবার থামুন। একটি ছোট বিরতি নিন। পৃথিবী আপনার অনুপস্থিতিতেও ঘুরতে থাকবে। আজ অতিরিক্ত টাকা সাশ্রয় করতে পেরে গর্বিত হবেন।
কুম্ভ
আপনার মাথা আজ ‘আউট অব দ্য বক্স’ থেকে অনেক দূরে, সম্ভবত অন্য গ্রহের চিন্তা নিয়ে ব্যস্ত। এমন একটি চমৎকার আইডিয়া নিয়ে আসবেন, যার মধ্যে কবুতর এবং পুলি সিস্টেম জড়িত থাকতে পারে। আইডিয়াটি দুর্দান্ত, কিন্তু সাধারণ মানুষ কি তা বুঝবে? একবার পরীক্ষা করে দেখুন। আজ এমন এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে পারেন, যার কথা ছয় মাস ধরে ভুলে গিয়েছিলেন।
মীন
আজ আপনার বেশির ভাগ সময় কাটবে দিবাস্বপ্নে। হয়তো ট্যাক্সের ফাইল করছেন, কিন্তু মন একই সঙ্গে একটি সিম্ফনি রচনা করছে। বাস্তব জগৎ আজ আপনার কাছে কিছুটা ধূসর লাগতে পারে। কল্পনার জগৎ থেকে একটু বের হয়ে আসুন। টাকা গুনতে গুনতে স্বপ্ন দেখা যায় না। আপনার সৃজনশীলতা আজ চূড়ায় থাকবে। একটি কবিতা লিখুন, কিন্তু অফিসে নয়।

আগামী চার বছরের মধ্যে বিডিইউকে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে চাই। আমি সত্যিকার একটা ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি বানিয়ে চলে আসতে চাই। আমি আমার ধ্যান-জ্ঞান দিয়ে চেষ্টা করছি। বিডিইউর শিক্ষার্থীরা তাঁদের স্নাতক শেষ করার পর যেন
১১ জুন ২০২৩
সারা আলি খান চিনি, শর্করা ও দুধজাতীয় খাবার ছাড়া ডায়েট রুটিন অনুসরণ করেন। ওজন কমাতে কি সবারই এই রুটিন মেনে চলা উচিত? ‘পিংক ভিলা’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ২৯ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বলেছিলেন, তিনি কঠোরভাবে চিনি, দুধ ও শর্করাবিহীন ডায়েট অনুসরণ করেন।...
৭ ঘণ্টা আগে
অনেকে শখ করে বাড়িতে বিড়াল, কুকুর, পাখি, মাছ বা খরগোশ পোষেন। যদি আপনি শিখতে চান, তাহলে এই প্রাণীগুলোর সাধারণ দৈনন্দিন অভ্যাসের মাধ্যমে অনেক কিছু শিখতে পারেন। কীভাবে শান্ত থাকতে হয়, কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং কীভাবে দিন উপভোগ করতে হয়—পোষা প্রাণীর দিকে গভীর মনোযোগ দিলে এগুলো শেখা যায়। কিন্তু আপনি কি...
১৫ ঘণ্টা আগে
ধ্যান বা মেডিটেশন মানসিক প্রশান্তি আনে, শরীরের স্থিতিশীলতা ও সহনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করে। এক দিনে বা এক সপ্তাহে অর্থাৎ কম সময়ে এটি আয়ত্ত করতে যাবেন না। ধীরে ধীরে সময় নিয়ে আয়ত্ত করুন এবং দীর্ঘ মেয়াদে সুস্থ থাকুন।...
১৬ ঘণ্টা আগে