মোহাম্মদ নাদের হোসেন ভূঁইয়া
একটা সময় ছিল, যখন শীত মানেই বড়রা পরতেন চাদর কিংবা সোয়েটার; আর তরুণেরা পরতেন জ্যাকেট। নারীরা পরতেন শাল আর কার্ডিগান। এটা ছিল শীতফ্যাশনের সাধারণ প্যাটার্ন। কোট, স্যুট যে পরা হতো না, তা নয়। কিন্তু সেসব ছিল সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। জ্যাকেটের ছিল নানা কেতা। বেশির ভাগ ছিল কাপড়ের দুই স্তরের মধ্যে ফোম দিয়ে তৈরি। ফুলহাতা সেসব জ্যাকেটের কোনো কোনোটা চেইন খুলে বানিয়ে ফেলা যেত হাফহাতা। আর সেগুলোর রং ছিল সাধারণত কালো।
ফ্যাশনে এসেছে বৈচিত্র্য। তবে বড়দের পছন্দের জায়গায় খুব বেশি যে বদল হয়েছে, তা বলা যাবে না। কিন্তু তরুণদের পছন্দে বদল এসেছে ব্যাপক। এখন সাধারণত শীতপোশাক হিসেবে তরুণ প্রজন্মের পছন্দের শীর্ষে সোয়েটার, জ্যাকেট, কোট কিংবা ব্লেজার ও হুডি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের শীত নিবারণে জনপ্রিয় পোশাক কোনটি—হুডি, না জ্যাকেট?
শীতের স্মার্ট পোশাক হিসেবে হুডি বেশ জনপ্রিয়। পাশাপাশি হুডি টি-শার্টও এখন তরুণদের পছন্দের শীর্ষে। ইউনিসেক্স এসব পোশাক পরছে নারী-পুরুষ সবাই। বাড়তি কানটুপি সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর ঝামেলা নেই আবার দেখতেও স্টাইলিশ। চুল রাখা যায় ধুলামুক্ত। এসব কারণে হুডির প্রতি তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ একটু বেশি।
কিছুদিন আগেও শুধু জ্যাকেটে হুডি ব্যবহার করা হতো। জিপার ছাড়া বড় পকেট থাকত তাতে। কোনো জিনিস বহন করা কিংবা মাথা ঢাকার প্রয়োজনে কাজে লাগত তা। কিন্তু বর্তমানে হুডিতে এসেছে নতুনত্ব। শুধু জ্যাকেট নয়, সোয়েটার, টি-শার্টসহ বিভিন্ন পোশাকে হুড জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। মেয়েদের জন্য তৈরি হচ্ছে নানা কাটের টপ। সঙ্গে থাকছে হুডি। ছেলেদের ফুলস্লিভ হুডি টি-শার্ট, হুডি শার্ট, হুডি জ্যাকেট, হুডি সোয়েটার, ব্রকলাইন হুডি সোয়েটার, স্লিভলেস হুডি, ব্যাটম্যান হুডির পাশাপাশি হুডি শার্টগুলোও মূলত কটন আর ডেনিমে তৈরি। ফলে হালকা শীতে সেগুলোই চালানো যায়, ভারী পোশাকের বদলে।
অন্যদিকে মেয়েদের সুতি কিংবা জর্জেট কাপড়ের পোশাকের সঙ্গেও হয়েছে হুডির সংযোজন। এসেছে নানা রঙের স্ট্রাইপ দেওয়া হুডি টপ। খাটো হাতার এসব টপের সঙ্গে বিপরীত রঙের টি-শার্ট পরা যেতে পারে। এসব রঙের মধ্যে ছাই, কালো, গাঢ় নীল আর মেরুনের প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে। চামড়ার তৈরি হুডসহ জ্যাকেটও এসেছে বাজারে।
কিন্তু তাই বলে জ্যাকেট কি কম জনপ্রিয়? তরুণদের শীতপোশাকে প্রতিবারই বাজারে চাহিদার একটি বড় অংশজুড়ে থাকে জ্যাকেট। এটি যেমন শীত পাহারা দেয়, অন্যদিকে ফ্যাশনের দিক থেকেও কম যায় না। তরুণদের কাছে শীতের জ্যাকেটের মধ্যে জনপ্রিয় হলো লেদারের জ্যাকেট। বাইকারদের দারুণ পছন্দের এটি। লেদার জ্যাকেটের সামনের জিপার টেনে দিলেই ঠান্ডা থেকে মোটামুটি মুক্ত।
এখন বাজারে লেদারের যেসব জ্যাকেট পাওয়া যায়, সেগুলোর বেশির ভাগই পিউ লেদার। তা ছাড়া পেডিং জ্যাকেট, উইন্ডব্রেকার, গ্যাবার্ডিনের জ্যাকেট, ডেনিম জ্যাকেট, বোম্বার জ্যাকেট, কর্ড কিংবা কাপড়ের জ্যাকেটের জনপ্রিয়তাও কম নয়।
আর কোট কিংবা ব্লেজারের প্রশ্নে বলতে হয়, এটি আসলে ফরমাল পোশাক। যতই আমরা একে ক্যাজুয়াল করতে চাই না কেন, এটি ফরমাল লুক আনবেই। ফরমাল পোশাক বলেই অফিস কিংবা মিটিংয়ে এর প্রচলন বেশি।
এখন চলছে বিয়ের মৌসুম। বিয়েবাড়িতে বেশির ভাগ মানুষ যাবেন সেজেগুজে। তাই সেখানে ব্লেজারেই মুক্তি। শুধু বিয়ের সময়ের সঙ্গে ব্লেজারের রংটা মিলিয়ে নিলেই হলো। তাতে ফরমাল লুকের সঙ্গে আসবে আভিজাত্যও থাকবে।
হুডি কিংবা জ্যাকেট অথবা ব্লেজার—কোনোটির জনপ্রিয়তা কম নয়। প্রত্যেকের ফ্যাশন স্টেটমেন্ট এবং রুচির ওপর পোশাকের পছন্দ গড়ে ওঠে। এ পছন্দেই আসে বৈচিত্র্য। সঙ্গে যোগ হয় বয়স আর নান্দনিকতার বোধ। সব মিলিয়ে এই শীতে বেছে নিতে পারেন পছন্দের হুডি, জ্যাকেট কিংবা ব্লেজার।
একটা সময় ছিল, যখন শীত মানেই বড়রা পরতেন চাদর কিংবা সোয়েটার; আর তরুণেরা পরতেন জ্যাকেট। নারীরা পরতেন শাল আর কার্ডিগান। এটা ছিল শীতফ্যাশনের সাধারণ প্যাটার্ন। কোট, স্যুট যে পরা হতো না, তা নয়। কিন্তু সেসব ছিল সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। জ্যাকেটের ছিল নানা কেতা। বেশির ভাগ ছিল কাপড়ের দুই স্তরের মধ্যে ফোম দিয়ে তৈরি। ফুলহাতা সেসব জ্যাকেটের কোনো কোনোটা চেইন খুলে বানিয়ে ফেলা যেত হাফহাতা। আর সেগুলোর রং ছিল সাধারণত কালো।
ফ্যাশনে এসেছে বৈচিত্র্য। তবে বড়দের পছন্দের জায়গায় খুব বেশি যে বদল হয়েছে, তা বলা যাবে না। কিন্তু তরুণদের পছন্দে বদল এসেছে ব্যাপক। এখন সাধারণত শীতপোশাক হিসেবে তরুণ প্রজন্মের পছন্দের শীর্ষে সোয়েটার, জ্যাকেট, কোট কিংবা ব্লেজার ও হুডি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের শীত নিবারণে জনপ্রিয় পোশাক কোনটি—হুডি, না জ্যাকেট?
শীতের স্মার্ট পোশাক হিসেবে হুডি বেশ জনপ্রিয়। পাশাপাশি হুডি টি-শার্টও এখন তরুণদের পছন্দের শীর্ষে। ইউনিসেক্স এসব পোশাক পরছে নারী-পুরুষ সবাই। বাড়তি কানটুপি সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর ঝামেলা নেই আবার দেখতেও স্টাইলিশ। চুল রাখা যায় ধুলামুক্ত। এসব কারণে হুডির প্রতি তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ একটু বেশি।
কিছুদিন আগেও শুধু জ্যাকেটে হুডি ব্যবহার করা হতো। জিপার ছাড়া বড় পকেট থাকত তাতে। কোনো জিনিস বহন করা কিংবা মাথা ঢাকার প্রয়োজনে কাজে লাগত তা। কিন্তু বর্তমানে হুডিতে এসেছে নতুনত্ব। শুধু জ্যাকেট নয়, সোয়েটার, টি-শার্টসহ বিভিন্ন পোশাকে হুড জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। মেয়েদের জন্য তৈরি হচ্ছে নানা কাটের টপ। সঙ্গে থাকছে হুডি। ছেলেদের ফুলস্লিভ হুডি টি-শার্ট, হুডি শার্ট, হুডি জ্যাকেট, হুডি সোয়েটার, ব্রকলাইন হুডি সোয়েটার, স্লিভলেস হুডি, ব্যাটম্যান হুডির পাশাপাশি হুডি শার্টগুলোও মূলত কটন আর ডেনিমে তৈরি। ফলে হালকা শীতে সেগুলোই চালানো যায়, ভারী পোশাকের বদলে।
অন্যদিকে মেয়েদের সুতি কিংবা জর্জেট কাপড়ের পোশাকের সঙ্গেও হয়েছে হুডির সংযোজন। এসেছে নানা রঙের স্ট্রাইপ দেওয়া হুডি টপ। খাটো হাতার এসব টপের সঙ্গে বিপরীত রঙের টি-শার্ট পরা যেতে পারে। এসব রঙের মধ্যে ছাই, কালো, গাঢ় নীল আর মেরুনের প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে। চামড়ার তৈরি হুডসহ জ্যাকেটও এসেছে বাজারে।
কিন্তু তাই বলে জ্যাকেট কি কম জনপ্রিয়? তরুণদের শীতপোশাকে প্রতিবারই বাজারে চাহিদার একটি বড় অংশজুড়ে থাকে জ্যাকেট। এটি যেমন শীত পাহারা দেয়, অন্যদিকে ফ্যাশনের দিক থেকেও কম যায় না। তরুণদের কাছে শীতের জ্যাকেটের মধ্যে জনপ্রিয় হলো লেদারের জ্যাকেট। বাইকারদের দারুণ পছন্দের এটি। লেদার জ্যাকেটের সামনের জিপার টেনে দিলেই ঠান্ডা থেকে মোটামুটি মুক্ত।
এখন বাজারে লেদারের যেসব জ্যাকেট পাওয়া যায়, সেগুলোর বেশির ভাগই পিউ লেদার। তা ছাড়া পেডিং জ্যাকেট, উইন্ডব্রেকার, গ্যাবার্ডিনের জ্যাকেট, ডেনিম জ্যাকেট, বোম্বার জ্যাকেট, কর্ড কিংবা কাপড়ের জ্যাকেটের জনপ্রিয়তাও কম নয়।
আর কোট কিংবা ব্লেজারের প্রশ্নে বলতে হয়, এটি আসলে ফরমাল পোশাক। যতই আমরা একে ক্যাজুয়াল করতে চাই না কেন, এটি ফরমাল লুক আনবেই। ফরমাল পোশাক বলেই অফিস কিংবা মিটিংয়ে এর প্রচলন বেশি।
এখন চলছে বিয়ের মৌসুম। বিয়েবাড়িতে বেশির ভাগ মানুষ যাবেন সেজেগুজে। তাই সেখানে ব্লেজারেই মুক্তি। শুধু বিয়ের সময়ের সঙ্গে ব্লেজারের রংটা মিলিয়ে নিলেই হলো। তাতে ফরমাল লুকের সঙ্গে আসবে আভিজাত্যও থাকবে।
হুডি কিংবা জ্যাকেট অথবা ব্লেজার—কোনোটির জনপ্রিয়তা কম নয়। প্রত্যেকের ফ্যাশন স্টেটমেন্ট এবং রুচির ওপর পোশাকের পছন্দ গড়ে ওঠে। এ পছন্দেই আসে বৈচিত্র্য। সঙ্গে যোগ হয় বয়স আর নান্দনিকতার বোধ। সব মিলিয়ে এই শীতে বেছে নিতে পারেন পছন্দের হুডি, জ্যাকেট কিংবা ব্লেজার।
সাইকেল চালানো শুধু বিনোদন বা উপভোগ্য ব্যায়াম নয়। এটি শরীরের সুস্থতার জন্যও বেশ উপকারী। নিয়মিত সাইকেল চালালে ওজন ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং পায়ের পেশি শক্তিশালী হয়। বিশ্বজুড়ে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন কিছুক্ষণ সাইকেল চালানো আপনার জীবন বদলে দিতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগেপশ্চিমা ঘরানার পোশাক পরায় যাঁরা স্বচ্ছন্দবোধ করেন, তাঁরা এবারের ঈদে আরামদায়ক কাপড়ের মিডি ড্রেস বেছে নিতে পারেন। চলতি ট্রেন্ডে আঁটসাঁট ও ঢিলেঢালা—দুই ধরনের মিডি ড্রেসই চলছে। হাঁটু বা তার একটু নিচের দৈর্ঘ্যের ফ্রক, ম্যাক্সি কাটিং জামা কিংবা গাউন স্টাইলের পোশাকগুলো মিডি ড্রেসের অন্তর্ভুক্ত।
২ দিন আগেকোরবানির ঈদে পশু জবাই এবং মাংস কাটাকাটির ফলে কাপড়ে রক্তের দাগ লেগে যাওয়া স্বাভাবিক বিষয়। তবে এই দাগ তোলার জন্য কাপড়ভেদে আলাদা উপায় আছে। ঘরোয়া উপকরণ ব্যবহার করেই কাপড় থেকে রক্তের দাগ তোলা সম্ভব।
২ দিন আগেকোরবানির ঈদ বলে কথা। গরুর মাংসের রেজালা, কালা ভুনা, আস্ত রসুন দিয়ে মাংসের তরকারি তো খাবেনই, সেই সঙ্গে রান্না করে নিতে পারেন গরুর মাংসের টার্কিশ পদ। তাতে খাবারে চমক ও স্বাদবদল—দুটোই থাকবে...
২ দিন আগে