বিভাবরী রায়
আশি কিংবা নব্বইয়ের দশকের বাংলা সিনেমা দেখে এই প্রজন্মের অনেক মেয়েরই চোখ ছানাবড়া হবে। না না, নেতিবাচক অর্থে বলছি না। সে সময় দুই গালে মেয়েরা লালচে আভার ব্লাশন ব্যবহার করত। খানিকটা বাড়তি ব্লাশন ব্যবহারই ছিল সে সময়কার ট্রেন্ড। ওই যে লোকে বলে না, তুষারকন্যার গাল ছিল আপেলের মতো লাল! তাই রাজকুমারীর মতো সুন্দর দেখাতে তখন মেয়েরা মেকআপের সময় গাঢ় রঙের ব্লাশন বুলিয়ে নিত গালে। তবে এখানে বলে রাখতে হয়, মেকআপের ক্ষেত্রে ব্লাশনের ব্যবহার এমন একটি ধাপ, যাতে গরমিল হলেই পুরো সাজ মাটি! ফলে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁরা বরাবরই ব্লাশনের কৌটো দূরেই রেখেছেন।
ধীরে ধীরে ব্লাশনে লাল রঙের পর গোলাপি, হট পিংক, বেগুনি, বাদামি, পিচ রং জায়গা করে নিলেও যাঁরা আগ্রহী নন, তাঁরা সে সময়ও ব্লাশন কিনতে টাকা খরচার বিপক্ষেই ছিলেন। মাঝের একটা বড় সময় টিভি তারকা ছাড়া সাধারণ মেয়েরা চোখে ভরাট কাজল ব্যবহার করলেও দুই গালে ফাউন্ডেশনের ওপর ফেস পাউডার মেখেই ক্ষান্ত দিয়েছেন, ব্লাশন আর বোলাতে যাননি। তবে হ্যাঁ, চলতি সময়ে আবার মেকআপ স্টেপে যোগ হয়েছে ব্লাশন। তবে রং বদলে।
মিনিমালিস্ট মেকআপের জয়জয়কার এখন। এককথায় ‘বেজ’ মেকআপের যুগ। পোশাক থেকে মেকআপ—সবকিছুই ত্বকের সঙ্গে মিশে যাওয়া রঙের ছোঁয়া। ঘিয়ে বা স্কিন টোনের ব্লাশন এখন প্রায় সব স্তরের নারীরই মন কেড়ে নিয়েছে। মানে, মেকআপ করতে গেলে এখন আর ভয়ে ব্লাশনের কৌটো দূরে ঠেলে দেন না তেমন কেউ-ই; বরং চোখে কাজল না পরলেও গালে এটি বুলিয়ে নেন। কারণ, স্কিন টোনের ব্লাশন মানেই ‘নো রিস্ক’।
দেখে মনে হবে না মেকআপ করেছেন। অথচ ত্বক একেবারে ঝলমল করবে। চটজলদি ত্বকের তরতাজা ভাব আনতে ‘বেজ ব্লাশন’ কিন্তু দারুণ কাজের।
যাঁদের একেবারেই মেকআপ পছন্দ নয়, কিন্তু একটু অন্য ধরনের লুক চান, তাঁরা নিশ্চিন্তে এটি ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া যেকোনো পোশাকের সঙ্গেই তা মানিয়ে যায়।
বেজ ব্লাশন কেন এত জনপ্রিয়
এককথায়, এমন ব্লাশন চোখে লাগে না। ফলে যেকোনো নারীই তা হ্যান্ডব্যাগে ক্যারি করতে পারছেন। বেজ হলো এমন একটি রং, যা দিনরাত এবং প্রায় সব অনুষ্ঠানে ব্যবহারের উপযোগী।
সহজে বলতে গেলে, নিখুঁত মেকআপের চাবিকাঠি এই বেজ ব্লাশন। যাঁরা সেভাবে সাজতে পছন্দ করেন না, তাঁরা পরিপাটি লুকের জন্যও এখন এটি ব্যবহার করছেন। হলিউডে বহু আগে এর উপস্থিতি চোখে পড়লেও পৃথিবীর এ-প্রান্তে গত কয়েক বছরে বেশ ভালোভাবে বেজ ব্লাশন গ্রহণ করেছেন বলিউড, টালিউড এবং আমাদের দেশের মডেল ও নায়িকারা। নিউট্রাল লুক পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেমন একে লুফে নিয়েছেন, তেমনি চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তিরাও সাহস করছেন গালে বুলিয়ে নেওয়ার।
আড়ম্বরপূর্ণ সাজ থেকে অনেকটাই সরে এসেছেন নারীরা। নো-মেকআপ লুকের জয়জয়কার এখন। এই মেকআপের জন্য ফাউন্ডেশন যেন হালকা কাভারেজের হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ময়শ্চারাইজের সঙ্গে ফাউন্ডেশন মিশিয়ে ত্বকে অ্যাপ্লাই করলে ভালো হয়। এর সঙ্গে বেজ শেডের ব্লাশন, হালকা আই মেকআপ, ক্রিম ফর্মুলার লিপস্টিক, চিকন করে আইলাইনার ও মাসকারা ব্যবহার করতে পারেন। রহিমা সুলতানা রীতা, বিউটি এক্সপার্ট, হারমনি স্পা
সাজে যেভাবে যোগ করবেন বেজ ব্লাশন
উঠতি বয়সে নিজেদের লুকের ব্যাপারে মেয়েরা সচেতন হতে শুরু করে। তবে বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরীদের ত্বকে র্যাশ, ব্রণসহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই খুব বেশি মেকআপ না করাই ভালো। তবে ত্বকের ধরন অনুযায়ী খুব হালকা মেকআপ করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ত্বকে প্রাইমার লাগিয়ে তার ওপর ফেস পাউডার বেস করে গালে বেজরঙা ব্লাশন বুলিয়ে নিলে সুন্দর দেখাবে। চাইলে টি জোনে হালকা করে হাইলাইটার লাগানো যেতে পারে। আর অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় চোখের পাপড়িতে ঘন করে মাসকারা লাগিয়ে নিতে হবে এবং ঠোঁটে লাগানো যেতে পারে হালকা রঙের লিপস্টিক। তবে অতিরিক্ত সাজ এই বয়সের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট করে দিতে পারে।
কর্মজীবী নারীকে যেহেতু রোজ কর্মক্ষেত্রে যেতে হয়, তাই অফিস অ্যাটায়ারের সঙ্গে মিলিয়ে ন্যাচারাল মেকআপ নিতে হবে। ত্বকে হালকা বেজ মেকআপ করে চোখে কাজল, আইলাইনার ও মাসকারা দিলেই যথেষ্ট। যদি আইশ্যাডো ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে, সে ক্ষেত্রে চোখে লাগে না এমন হালকা বাদামি আইশ্যাডো ব্যবহার করা যেতে পারে। তারপর গালে হালকা করে বেজরঙা ব্লাশন বুলিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
বয়স মধ্য ত্রিশ পেরোলে ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমতে থাকে। ফলে মেকআপ করার ক্ষেত্রে খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। পাশাপাশি অতিরিক্ত মেকআপ এড়িয়ে চলতে হবে। এই বয়সে যত হালকা মেকআপ করা যায়, ততই
স্নিগ্ধ লাগে। সে ক্ষেত্রে লিকুইড লাগিয়ে হালকা পাউডার বুলিয়ে নিন। এবার হালকা করে বেজ ব্লাশন বুলিয়ে চোখে কাজল এঁকে নিলেই হলো।
আশি কিংবা নব্বইয়ের দশকের বাংলা সিনেমা দেখে এই প্রজন্মের অনেক মেয়েরই চোখ ছানাবড়া হবে। না না, নেতিবাচক অর্থে বলছি না। সে সময় দুই গালে মেয়েরা লালচে আভার ব্লাশন ব্যবহার করত। খানিকটা বাড়তি ব্লাশন ব্যবহারই ছিল সে সময়কার ট্রেন্ড। ওই যে লোকে বলে না, তুষারকন্যার গাল ছিল আপেলের মতো লাল! তাই রাজকুমারীর মতো সুন্দর দেখাতে তখন মেয়েরা মেকআপের সময় গাঢ় রঙের ব্লাশন বুলিয়ে নিত গালে। তবে এখানে বলে রাখতে হয়, মেকআপের ক্ষেত্রে ব্লাশনের ব্যবহার এমন একটি ধাপ, যাতে গরমিল হলেই পুরো সাজ মাটি! ফলে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁরা বরাবরই ব্লাশনের কৌটো দূরেই রেখেছেন।
ধীরে ধীরে ব্লাশনে লাল রঙের পর গোলাপি, হট পিংক, বেগুনি, বাদামি, পিচ রং জায়গা করে নিলেও যাঁরা আগ্রহী নন, তাঁরা সে সময়ও ব্লাশন কিনতে টাকা খরচার বিপক্ষেই ছিলেন। মাঝের একটা বড় সময় টিভি তারকা ছাড়া সাধারণ মেয়েরা চোখে ভরাট কাজল ব্যবহার করলেও দুই গালে ফাউন্ডেশনের ওপর ফেস পাউডার মেখেই ক্ষান্ত দিয়েছেন, ব্লাশন আর বোলাতে যাননি। তবে হ্যাঁ, চলতি সময়ে আবার মেকআপ স্টেপে যোগ হয়েছে ব্লাশন। তবে রং বদলে।
মিনিমালিস্ট মেকআপের জয়জয়কার এখন। এককথায় ‘বেজ’ মেকআপের যুগ। পোশাক থেকে মেকআপ—সবকিছুই ত্বকের সঙ্গে মিশে যাওয়া রঙের ছোঁয়া। ঘিয়ে বা স্কিন টোনের ব্লাশন এখন প্রায় সব স্তরের নারীরই মন কেড়ে নিয়েছে। মানে, মেকআপ করতে গেলে এখন আর ভয়ে ব্লাশনের কৌটো দূরে ঠেলে দেন না তেমন কেউ-ই; বরং চোখে কাজল না পরলেও গালে এটি বুলিয়ে নেন। কারণ, স্কিন টোনের ব্লাশন মানেই ‘নো রিস্ক’।
দেখে মনে হবে না মেকআপ করেছেন। অথচ ত্বক একেবারে ঝলমল করবে। চটজলদি ত্বকের তরতাজা ভাব আনতে ‘বেজ ব্লাশন’ কিন্তু দারুণ কাজের।
যাঁদের একেবারেই মেকআপ পছন্দ নয়, কিন্তু একটু অন্য ধরনের লুক চান, তাঁরা নিশ্চিন্তে এটি ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া যেকোনো পোশাকের সঙ্গেই তা মানিয়ে যায়।
বেজ ব্লাশন কেন এত জনপ্রিয়
এককথায়, এমন ব্লাশন চোখে লাগে না। ফলে যেকোনো নারীই তা হ্যান্ডব্যাগে ক্যারি করতে পারছেন। বেজ হলো এমন একটি রং, যা দিনরাত এবং প্রায় সব অনুষ্ঠানে ব্যবহারের উপযোগী।
সহজে বলতে গেলে, নিখুঁত মেকআপের চাবিকাঠি এই বেজ ব্লাশন। যাঁরা সেভাবে সাজতে পছন্দ করেন না, তাঁরা পরিপাটি লুকের জন্যও এখন এটি ব্যবহার করছেন। হলিউডে বহু আগে এর উপস্থিতি চোখে পড়লেও পৃথিবীর এ-প্রান্তে গত কয়েক বছরে বেশ ভালোভাবে বেজ ব্লাশন গ্রহণ করেছেন বলিউড, টালিউড এবং আমাদের দেশের মডেল ও নায়িকারা। নিউট্রাল লুক পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেমন একে লুফে নিয়েছেন, তেমনি চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তিরাও সাহস করছেন গালে বুলিয়ে নেওয়ার।
আড়ম্বরপূর্ণ সাজ থেকে অনেকটাই সরে এসেছেন নারীরা। নো-মেকআপ লুকের জয়জয়কার এখন। এই মেকআপের জন্য ফাউন্ডেশন যেন হালকা কাভারেজের হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ময়শ্চারাইজের সঙ্গে ফাউন্ডেশন মিশিয়ে ত্বকে অ্যাপ্লাই করলে ভালো হয়। এর সঙ্গে বেজ শেডের ব্লাশন, হালকা আই মেকআপ, ক্রিম ফর্মুলার লিপস্টিক, চিকন করে আইলাইনার ও মাসকারা ব্যবহার করতে পারেন। রহিমা সুলতানা রীতা, বিউটি এক্সপার্ট, হারমনি স্পা
সাজে যেভাবে যোগ করবেন বেজ ব্লাশন
উঠতি বয়সে নিজেদের লুকের ব্যাপারে মেয়েরা সচেতন হতে শুরু করে। তবে বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরীদের ত্বকে র্যাশ, ব্রণসহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই খুব বেশি মেকআপ না করাই ভালো। তবে ত্বকের ধরন অনুযায়ী খুব হালকা মেকআপ করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ত্বকে প্রাইমার লাগিয়ে তার ওপর ফেস পাউডার বেস করে গালে বেজরঙা ব্লাশন বুলিয়ে নিলে সুন্দর দেখাবে। চাইলে টি জোনে হালকা করে হাইলাইটার লাগানো যেতে পারে। আর অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় চোখের পাপড়িতে ঘন করে মাসকারা লাগিয়ে নিতে হবে এবং ঠোঁটে লাগানো যেতে পারে হালকা রঙের লিপস্টিক। তবে অতিরিক্ত সাজ এই বয়সের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট করে দিতে পারে।
কর্মজীবী নারীকে যেহেতু রোজ কর্মক্ষেত্রে যেতে হয়, তাই অফিস অ্যাটায়ারের সঙ্গে মিলিয়ে ন্যাচারাল মেকআপ নিতে হবে। ত্বকে হালকা বেজ মেকআপ করে চোখে কাজল, আইলাইনার ও মাসকারা দিলেই যথেষ্ট। যদি আইশ্যাডো ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে, সে ক্ষেত্রে চোখে লাগে না এমন হালকা বাদামি আইশ্যাডো ব্যবহার করা যেতে পারে। তারপর গালে হালকা করে বেজরঙা ব্লাশন বুলিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
বয়স মধ্য ত্রিশ পেরোলে ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমতে থাকে। ফলে মেকআপ করার ক্ষেত্রে খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। পাশাপাশি অতিরিক্ত মেকআপ এড়িয়ে চলতে হবে। এই বয়সে যত হালকা মেকআপ করা যায়, ততই
স্নিগ্ধ লাগে। সে ক্ষেত্রে লিকুইড লাগিয়ে হালকা পাউডার বুলিয়ে নিন। এবার হালকা করে বেজ ব্লাশন বুলিয়ে চোখে কাজল এঁকে নিলেই হলো।
বলিউড পাড়ায় নতুন খবর, ‘মা হতে যাচ্ছেন কিয়ারা আদভানি’। সম্প্রতি সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আদভানি দম্পতি ঘোষণা করেছেন, তাঁদের কোল আলো করে সন্তান আসতে চলেছে। এখন বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন এ দম্পতি।
২ ঘণ্টা আগেবাঙালি কম তেলে রাঁধতে জানে না, এ কথা স্বীকার করতে হবে গড়িমসি করে হলেও। বাড়িতে দাওয়াত রয়েছে মানে কড়াইয়ে নিত্যদিনের তুলনায় একটু বেশি তেল ঢেলে ফেলি। তেল জবজবে খাবার মানে কি সুস্বাদু? আর যদি হয়ও, তবে তা কোনোভাবেই স্বাস্থ্যকর নয়।
১১ ঘণ্টা আগেঅফিস থেকে ফিরেই যদি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ ভেসে ওঠে—দল বেঁধে আজ রাতেই বন্ধুরা আসছে আপনার বাড়িতে। তাহলে সবার আগে ঝাড়ু, মপ, ওয়াইপার খুঁজতেই ছুটতে হয়। ঘরটা অন্তত দেখার মতো তো হওয়া চাই! তাড়াহুড়ো না করে ঝটপট যদি কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়া যায়, তাহলেই ঘরটা অতিথিদের আগমনের জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠবে...
১১ ঘণ্টা আগেশীত আসার আগে থেকে চুলে খুশকি দেখা দেয়। এর জন্য মাথার ত্বকে ব্যবহার করি অ্যালোভেরা। এ ছাড়া রোজই চুলে শ্যাম্পু করি, কিন্তু খুশকি থেকে কোনোভাবে পরিত্রাণ পাচ্ছি না। কীভাবে সমস্যার সমাধান পেতে পারি?
১১ ঘণ্টা আগে