নাহিন আশরাফ
ফ্যাশনের ধারণা কখনো এক জায়গায় আটকে থাকে না। প্রায় প্রতিবছর এর ভিন্নতা চোখে পড়ে। এতে শুধু যে নতুনত্ব যোগ হয়, তা কিন্তু নয়। অনেক সময় পুরোনো হারিয়ে যাওয়া ফ্যাশনও ফিরে আসে। এসব জটিলতার মিশেলে নতুন বছরের ফ্যাশন কেমন হবে? ডিজাইনারদের সঙ্গে কথা বলে সেটাই বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা হয়েছিল রঙ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী সৌমিক দাস এবং সারা লাইফস্টাইলের হেড অব ডিজাইন শামীম রহমানের সঙ্গে। দুজনেই নিজ নিজ অভিজ্ঞতা থেকে জানিয়েছেন এ বছরের সম্ভাব্য ফ্যাশন ট্রেন্ডের কথা।
সৌমিক দাস বলেছেন, ‘নতুন বছরে ফ্যাশন ট্রেন্ড তরুণ-তরুণীদের পছন্দ এবং চলমান সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠছে। তরুণ প্রজন্মের ফ্যাশন-সচেতনতা এবং ব্যক্তিত্ব প্রকাশের প্রবণতা ফ্যাশন ট্রেন্ডের মূল চালিকা শক্তি।’
শামীম রহমান বলেন, ‘মানুষ এখন ফ্যাশনের পাশাপাশি আরামকে প্রাধান্য দেয়। তাই নতুন বছরেও দেখা যাবে পোশাকে আরামের ছোঁয়া।’
আকারে বড় পোশাক
এখন পোশাকের সঠিক আকার থেকে কিছুটা বড় ঢিলেঢালা পোশাক পরতে দেখা যায়। আরামদায়ক ও সহজলভ্য ওভারসাইজড পোশাক; যেমন হুডি, টি-শার্ট এবং লুজ প্যান্টের প্রতি ঝোঁক বাড়বে এ বছর। নারীরা লং কামিজ থেকে বের হয়ে এখন বেছে নিচ্ছে শর্ট কটন কুর্তি বা কামিজ। কুর্তির সঙ্গে পরছে ওভারসাইজড সাদা কিংবা কালো ফরমাল প্যান্ট।
মাল্টি-স্টাইল পোশাক
মানুষ এখন সেই সব পোশাকের দিকে ঝুঁকছে, যেগুলো বিভিন্নভাবে স্টাইলিং করা যায়। এককথায় মানুষ এখন রিক্রিয়েট করতে ভালোবাসে। এক পোশাক একবারের বেশি পরা যাবে না, এমন ধারণা থেকে বের হয়ে আসছে। আধুনিক ফ্যাশনে সবাই ব্যক্তিগত স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি করে নিচ্ছে।
জেন্ডার নিরপেক্ষ ইউনিসেক্স পোশাক
ইউনিসেক্স পোশাক ব্যবহারের প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বাড়ছে। যেমন টি-শার্ট ছেলেদের পোশাক হিসেবে পরিচিত হলেও এটি এখন মেয়েরাও ব্যবহার করে। তাই ফ্যাশন হাউসগুলো এমনভাবে টি-শার্ট ডিজাইন করছে, যাতে ছেলে-মেয়ে উভয়েই সেগুলো পরতে পারে। রঙের ক্ষেত্রেও এখন ছেলে-মেয়ে তেমন ব্যবধান করা হয় না। সবাই সব রঙের পোশাক পরে।
ডেনিম জিনসের ব্যবহার
হারিয়ে যাওয়া ডেনিম জিনসের ব্যবহার আবার ফিরে আসছে। কিন্তু এখন পায়ের সঙ্গে লেগে থাকা স্কিনি জিনস তেমন কাউকে পরতে দেখা যায় না; বরং এখন ওভারসাইজড প্যান্টের ট্রেন্ড চলছে, যা বেগি জিনস হিসেবে পরিচিত।
ফিউশন ও মিনিমাল পোশাক
এখন ট্রেন্ডে রয়েছে ফিউশনধর্মী পোশাক। তরুণেরা ক্রমেই মিনিমাল এবং ক্লিন লুক বেছে নিচ্ছেন। প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যের মিশ্রণে ফিউশন পোশাকের অনেক চাহিদা এখন দেশে। এর সঙ্গে মিনিমাল ফ্যাশনের ট্রেন্ড যুক্ত হয়েছে। কীভাবে নিজেকে স্টাইলিশ করে তোলা যায়, সে চেষ্টাই
করা হচ্ছে এ ধরনের ট্রেন্ডে। তরুণ-তরুণী উভয়ের মাঝেই নানান মাধ্যমের কো-অর্ড চলমান থাকবে। ক্যাজুয়াল এবং স্ট্রিটওয়্যার, যেমন গ্রাফিক টি-শার্ট, জগার প্যান্ট, স্নিকার্স এবং বেসবল ক্যাপের চাহিদাও থাকবে।
রং
পোশাক তৈরির সময় এখন রং নিয়ে খুব বেশি ভাবতে হয় না। কারণ, নতুন ফ্যাশন ট্রেন্ডে সব ধরনের রংই নিরীক্ষা করতে দেখা যায়।
অনেকে বোহিমিয়ান স্টাইল পছন্দ করছে এখন। আর বোহো ফ্যাশনের জন্য বেছে নেওয়া হয় লাল, কমলা, নীল, সবুজ কিংবা হলুদের মতো উজ্জ্বল রং। বিশেষ করে ভ্রমণের সময় বোহো লুক বহুলভাবে চোখে পড়ে। একরঙা বা সলিড কালারের পোশাক, বিশেষত সাদা, ধূসর বা কালো, রং হিসেবে জনপ্রিয়তা পাবে। পোশাকের ক্ষেত্রে তরুণদের মধ্যে উজ্জ্বল রং; যেমন ম্যাজেন্টা, নীল, সবুজ, কমলা ও লাল সব সময় বেশ জনপ্রিয়। নিরপেক্ষ ও প্যাস্টেল শেড সাদা, বেজ, গ্রে এবং প্যাস্টেল শেডের লাইট পিংক, মিন্ট গ্রিন, ল্যাভেন্ডার রঙের পোশাকের চাহিদা থাকবে। পার্টি বা বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য সোনালি, রুপালি ও মেটালিক শেডের পোশাকের চাহিদা হবে। টাই-ডাই এবং ওমব্রে কালার ইফেক্ট, যেখানে একাধিক রঙের গ্রেডিয়েন্ট থাকে, তরুণদের মধ্যে ট্রেন্ডি হবে।
স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী পোশাক
স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী পোশাক এবং হ্যান্ডক্র্যাফট ডিজাইনের প্রতি আগ্রহ থাকবে। দেশীয় ঐতিহ্য ও বৈশ্বিক ফ্যাশনের ফিউশনে এমব্রয়ডারি, ব্লকপ্রিন্ট বা লোকজ মোটিফের পোশাক জনপ্রিয় হবে। পরিবেশবান্ধব পোশাকের জনপ্রিয়তা বাড়বে।
অ্যাকসেসরিজ
অ্যাকসেসরিজ হিসেবে বড় সানগ্লাস, হুপ ইয়ার রিংস, লেয়ার্ড নেকলেস এবং ক্রস-বডি ব্যাগ, ফুটওয়্যার হিসেবে স্নিকার্স, বুট এবং স্লিপ-অন স্যান্ডেল সমান পছন্দ থাকবে। আর টেক-ইনফিউজড ফ্যাশন হিসেবে স্মার্টওয়াচ এবং প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত থাকা ফ্যাশন অ্যাকসেসরিজের ব্যবহার বাড়ছে।
ফ্যাশনের ধারণা কখনো এক জায়গায় আটকে থাকে না। প্রায় প্রতিবছর এর ভিন্নতা চোখে পড়ে। এতে শুধু যে নতুনত্ব যোগ হয়, তা কিন্তু নয়। অনেক সময় পুরোনো হারিয়ে যাওয়া ফ্যাশনও ফিরে আসে। এসব জটিলতার মিশেলে নতুন বছরের ফ্যাশন কেমন হবে? ডিজাইনারদের সঙ্গে কথা বলে সেটাই বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা হয়েছিল রঙ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী সৌমিক দাস এবং সারা লাইফস্টাইলের হেড অব ডিজাইন শামীম রহমানের সঙ্গে। দুজনেই নিজ নিজ অভিজ্ঞতা থেকে জানিয়েছেন এ বছরের সম্ভাব্য ফ্যাশন ট্রেন্ডের কথা।
সৌমিক দাস বলেছেন, ‘নতুন বছরে ফ্যাশন ট্রেন্ড তরুণ-তরুণীদের পছন্দ এবং চলমান সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠছে। তরুণ প্রজন্মের ফ্যাশন-সচেতনতা এবং ব্যক্তিত্ব প্রকাশের প্রবণতা ফ্যাশন ট্রেন্ডের মূল চালিকা শক্তি।’
শামীম রহমান বলেন, ‘মানুষ এখন ফ্যাশনের পাশাপাশি আরামকে প্রাধান্য দেয়। তাই নতুন বছরেও দেখা যাবে পোশাকে আরামের ছোঁয়া।’
আকারে বড় পোশাক
এখন পোশাকের সঠিক আকার থেকে কিছুটা বড় ঢিলেঢালা পোশাক পরতে দেখা যায়। আরামদায়ক ও সহজলভ্য ওভারসাইজড পোশাক; যেমন হুডি, টি-শার্ট এবং লুজ প্যান্টের প্রতি ঝোঁক বাড়বে এ বছর। নারীরা লং কামিজ থেকে বের হয়ে এখন বেছে নিচ্ছে শর্ট কটন কুর্তি বা কামিজ। কুর্তির সঙ্গে পরছে ওভারসাইজড সাদা কিংবা কালো ফরমাল প্যান্ট।
মাল্টি-স্টাইল পোশাক
মানুষ এখন সেই সব পোশাকের দিকে ঝুঁকছে, যেগুলো বিভিন্নভাবে স্টাইলিং করা যায়। এককথায় মানুষ এখন রিক্রিয়েট করতে ভালোবাসে। এক পোশাক একবারের বেশি পরা যাবে না, এমন ধারণা থেকে বের হয়ে আসছে। আধুনিক ফ্যাশনে সবাই ব্যক্তিগত স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি করে নিচ্ছে।
জেন্ডার নিরপেক্ষ ইউনিসেক্স পোশাক
ইউনিসেক্স পোশাক ব্যবহারের প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বাড়ছে। যেমন টি-শার্ট ছেলেদের পোশাক হিসেবে পরিচিত হলেও এটি এখন মেয়েরাও ব্যবহার করে। তাই ফ্যাশন হাউসগুলো এমনভাবে টি-শার্ট ডিজাইন করছে, যাতে ছেলে-মেয়ে উভয়েই সেগুলো পরতে পারে। রঙের ক্ষেত্রেও এখন ছেলে-মেয়ে তেমন ব্যবধান করা হয় না। সবাই সব রঙের পোশাক পরে।
ডেনিম জিনসের ব্যবহার
হারিয়ে যাওয়া ডেনিম জিনসের ব্যবহার আবার ফিরে আসছে। কিন্তু এখন পায়ের সঙ্গে লেগে থাকা স্কিনি জিনস তেমন কাউকে পরতে দেখা যায় না; বরং এখন ওভারসাইজড প্যান্টের ট্রেন্ড চলছে, যা বেগি জিনস হিসেবে পরিচিত।
ফিউশন ও মিনিমাল পোশাক
এখন ট্রেন্ডে রয়েছে ফিউশনধর্মী পোশাক। তরুণেরা ক্রমেই মিনিমাল এবং ক্লিন লুক বেছে নিচ্ছেন। প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যের মিশ্রণে ফিউশন পোশাকের অনেক চাহিদা এখন দেশে। এর সঙ্গে মিনিমাল ফ্যাশনের ট্রেন্ড যুক্ত হয়েছে। কীভাবে নিজেকে স্টাইলিশ করে তোলা যায়, সে চেষ্টাই
করা হচ্ছে এ ধরনের ট্রেন্ডে। তরুণ-তরুণী উভয়ের মাঝেই নানান মাধ্যমের কো-অর্ড চলমান থাকবে। ক্যাজুয়াল এবং স্ট্রিটওয়্যার, যেমন গ্রাফিক টি-শার্ট, জগার প্যান্ট, স্নিকার্স এবং বেসবল ক্যাপের চাহিদাও থাকবে।
রং
পোশাক তৈরির সময় এখন রং নিয়ে খুব বেশি ভাবতে হয় না। কারণ, নতুন ফ্যাশন ট্রেন্ডে সব ধরনের রংই নিরীক্ষা করতে দেখা যায়।
অনেকে বোহিমিয়ান স্টাইল পছন্দ করছে এখন। আর বোহো ফ্যাশনের জন্য বেছে নেওয়া হয় লাল, কমলা, নীল, সবুজ কিংবা হলুদের মতো উজ্জ্বল রং। বিশেষ করে ভ্রমণের সময় বোহো লুক বহুলভাবে চোখে পড়ে। একরঙা বা সলিড কালারের পোশাক, বিশেষত সাদা, ধূসর বা কালো, রং হিসেবে জনপ্রিয়তা পাবে। পোশাকের ক্ষেত্রে তরুণদের মধ্যে উজ্জ্বল রং; যেমন ম্যাজেন্টা, নীল, সবুজ, কমলা ও লাল সব সময় বেশ জনপ্রিয়। নিরপেক্ষ ও প্যাস্টেল শেড সাদা, বেজ, গ্রে এবং প্যাস্টেল শেডের লাইট পিংক, মিন্ট গ্রিন, ল্যাভেন্ডার রঙের পোশাকের চাহিদা থাকবে। পার্টি বা বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য সোনালি, রুপালি ও মেটালিক শেডের পোশাকের চাহিদা হবে। টাই-ডাই এবং ওমব্রে কালার ইফেক্ট, যেখানে একাধিক রঙের গ্রেডিয়েন্ট থাকে, তরুণদের মধ্যে ট্রেন্ডি হবে।
স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী পোশাক
স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী পোশাক এবং হ্যান্ডক্র্যাফট ডিজাইনের প্রতি আগ্রহ থাকবে। দেশীয় ঐতিহ্য ও বৈশ্বিক ফ্যাশনের ফিউশনে এমব্রয়ডারি, ব্লকপ্রিন্ট বা লোকজ মোটিফের পোশাক জনপ্রিয় হবে। পরিবেশবান্ধব পোশাকের জনপ্রিয়তা বাড়বে।
অ্যাকসেসরিজ
অ্যাকসেসরিজ হিসেবে বড় সানগ্লাস, হুপ ইয়ার রিংস, লেয়ার্ড নেকলেস এবং ক্রস-বডি ব্যাগ, ফুটওয়্যার হিসেবে স্নিকার্স, বুট এবং স্লিপ-অন স্যান্ডেল সমান পছন্দ থাকবে। আর টেক-ইনফিউজড ফ্যাশন হিসেবে স্মার্টওয়াচ এবং প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত থাকা ফ্যাশন অ্যাকসেসরিজের ব্যবহার বাড়ছে।
পশ্চিমা ঘরানার পোশাক পরায় যাঁরা স্বচ্ছন্দবোধ করেন, তাঁরা এবারের ঈদে আরামদায়ক কাপড়ের মিডি ড্রেস বেছে নিতে পারেন। চলতি ট্রেন্ডে আঁটসাঁট ও ঢিলেঢালা—দুই ধরনের মিডি ড্রেসই চলছে। হাঁটু বা তার একটু নিচের দৈর্ঘ্যের ফ্রক, ম্যাক্সি কাটিং জামা কিংবা গাউন স্টাইলের পোশাকগুলো মিডি ড্রেসের অন্তর্ভুক্ত।
৬ ঘণ্টা আগেকোরবানির ঈদে পশু জবাই এবং মাংস কাটাকাটির ফলে কাপড়ে রক্তের দাগ লেগে যাওয়া স্বাভাবিক বিষয়। তবে এই দাগ তোলার জন্য কাপড়ভেদে আলাদা উপায় আছে। ঘরোয়া উপকরণ ব্যবহার করেই কাপড় থেকে রক্তের দাগ তোলা সম্ভব।
৭ ঘণ্টা আগেকোরবানির ঈদ বলে কথা। গরুর মাংসের রেজালা, কালা ভুনা, আস্ত রসুন দিয়ে মাংসের তরকারি তো খাবেনই, সেই সঙ্গে রান্না করে নিতে পারেন গরুর মাংসের টার্কিশ পদ। তাতে খাবারে চমক ও স্বাদবদল—দুটোই থাকবে...
৭ ঘণ্টা আগেযাঁরা নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেন, তাঁদের বিশেষ দিন নিয়ে আলাদা ভাবতে হয় না। যাঁরা নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেন না, তাঁরা যদি হঠাৎ একদিন অতিরিক্ত যত্ন নেন, তাহলে ত্বকে র্যাশ, লালচে ভাব বা ব্রণ দেখা দিতে পারে। তাই শরীরের যত্ন নেওয়াটা প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত করতে পারলে ত্বক বা চুল ভালো থাকে। ঈদে সবাই চায়...
৭ ঘণ্টা আগে