বিভাবরী রায়
ঈদুল ফিতর চলে গেলেও কিন্তু উৎসবের ভাইব রয়ে গেছে। কারণ আর কিছুই নয়, কয়েক দিন পরই বাংলা নববর্ষ। বাংলা সনের প্রথম দিন মানেই সেজেগুজে ঘুরে বেড়ানো আর খাওয়াদাওয়া।পয়লা বৈশাখে কী পোশাক পরা হবে, তা নিয়ে জল্পনাকল্পনা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। যাঁরা পোশাক তৈরি করে পরবেন, তাঁরাও কারিগরের হাতে কাপড় বুঝিয়ে দিয়েছেন। তবে হ্যাঁ, নববর্ষে ঝলমলে যত পোশাকই থাকুক না কেন, লাল-সাদা জুটির যেন বিকল্প নেই। সব সময় একটু সাবেকি ধাঁচের সাজসজ্জা যাঁদের মনঃপূত, তাঁরা তো বটেই; যাঁরা নিত্য়নতুন ট্রেন্ডে গা ভাসান, তাঁদেরও ‘না’ নেই চিরন্তন এই রঙের মেলবন্ধনে। লাল-সাদায় মিশে আছে বাঙালিয়ানা। তাই পয়লা বৈশাখের পোশাকে লাল ও সাদার প্রাধান্যই বেশি দেখা যায়। তবে ফ্যাশন হাউসগুলো লাল ও সাদা রংকে মূলে রেখে নীল, হলুদ, সবুজ, প্যারট গ্রিন, খয়েরি ইত্যাদি রংও এখন ব্যবহার করছে দারুণভাবে। সুতির পাশাপাশি ব্যবহৃত হচ্ছে সিল্ক, হাফসিল্ক, মসলিন, জর্জেট, লিনেন, এন্ডি কটন, এন্ডি সিল্ক, ভয়েল, কটনসহ বিভিন্ন ধরনের কাপড়।
শাড়িতে স্নিগ্ধ
বৈশাখের সাজ স্নিগ্ধ করে তোলে লাল-সাদা শাড়ি। এমন নয় যে, এই দুই রঙের শাড়ি না হলে বৈশাখ মাঠে মারা যাবে। কিন্তু পোশাকের পরম্পরা আর ঋতু—এ দুই কারণে লাল পাড়ের
সাদা শাড়ি এখন আমাদের বৈশাখের প্রতীক। প্রখর রোদে অন্যান্য রঙের চেয়ে সাদা রং আমাদের আরাম দেয় বেশি। আর গরমে আরামের বিকল্প নেই। ধরা যায়, সাদা রঙের সুতির শাড়ি বৈশাখী পোশাক। শুধু তো শাড়ি নয়; ছেলেদের পোশাক, বিশেষ করে শার্ট ও পাঞ্জাবিতেও এর ছাপ আছে। শিশুদের পোশাকে তো বটেই।
শুধু শাড়ি পরলেই তো আর হলো না, গরমের উৎসবে সেটাকে দেখাতেও হবে দারুণ। এ জন্য অন্যান্য অনুষঙ্গ দরকার। তার মধ্যে অন্যতম ব্লাউজ। অনেক সময় সাদামাটা শাড়িতে জাঁকালো লুক পাওয়া যায় কেবল ব্লাউজের কারণে। এর নকশা, হাতা ও ফ্যাব্রিকস বাছাই করা জরুরি।
লাল-সাদা কম্বিনেশনের শাড়ির সঙ্গে কনট্রাস্ট রঙের কিংবা এক শেড বাড়িয়ে ব্লাউজের রং নির্বাচন করা যেতে পারে। শাড়ির ফ্যাব্রিকসের সঙ্গে মিলিয়ে ব্লাউজ বানানো যায়। বিভিন্ন ধরনের রেডি টু ওয়্যার ব্লাউজের কারণে দরজিপাড়ায় ব্লাউজ বানানোর প্রবণতা এখন অনেকটাই কম। চমৎকার ব্যাপার হচ্ছে, ব্লাউজের বিকল্প হিসেবে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন ক্রপ টপস। এই টপস কাম ব্লাউজগুলো সাদরে গ্রহণ করে নিচ্ছেন নারীরা। বিভিন্ন প্যাটার্নের, লুজ ফিটিং ইজি টু ওয়্যার এই ব্লাউজগুলোর গলায় ভিন্নতা দেখা যায়।
এই টপসগুলো যেহেতু একটু লুজ ফিটিংয়ের হয়, সে কারণে পিঠের দিকে হ্যান্ড পেইন্ট বা এমব্রয়ডারির নকশাও থাকতে পারে তাতে। আবার এক পাশের কাঁধে ভারী নকশা থাকতে পারে। এ ধরনের ব্লাউজের সঙ্গে এখন মেয়েরা ড্রেপিং স্টাইলে শাড়ি পরছেন। একরঙা সাদা বা অফ হোয়াইট শাড়ি হলে ব্লাউজটা লালের কোনো শেডে পরতে পারেন। অন্যদিকে শাড়িতে যদি লাল রংটাই মুখ্য হয়, তাহলে ব্লাউজ হতে পারে বাসন্তী, অফ হোয়াইট বা সোনালি রঙের।
শাড়ির বাইরে
শাড়ি ছাড়া যদি কুর্তি, টপস বা স্কার্ট পরতে চান, তাহলেও সুতিকে প্রাধান্য দেওয়া ভালো। এখন চলছে জাম্পস্য়ুটের কাল। লাল-সাদা ছাপা, পোলকা ডট বা বাটিকের জাম্পস্য়ুটের ওপর সাদা বা অফ হোয়াইট শ্রাগ চড়িয়ে নেওয়া যায়। যাঁরা এক ছাঁটের লং গাউন পরেন, তাঁরা এই গরমে সুতির গাউন বানানোর সময় কোমর ও ঘেরে লাল-সাদা ও সোনালির সংমিশ্রণে লেইস ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া রংচঙা স্কার্ট পালাজোর ওপর সাদা ঢিলেঢালা কুর্তি পরেও সারা দিন ঘুরে বেড়াতে পারবেন।
পুরুষের পোশাক
বৈশাখে পুরুষেরা লাল, সাদা কিংবা এই দুই রঙের মেলবন্ধনে পাঞ্জাবি পরতেই বেশি পছন্দ করেন। সে ক্ষেত্রে দেশীয় মোটিফ রয়েছে কিংবা লাল-সাদা প্রিন্টের সুতি পাঞ্জাবিই এই গরমে সবচেয়ে আরামদায়ক হবে।
এবারের প্রিন্টে প্রাধান্য পাচ্ছে
নববর্ষের শাড়ি, পাঞ্জাবি, কামিজ, স্টিচ ড্রেস, ফ্রক ইত্যাদিতে এবার মোটিফ স্টিচ প্রাধান্য পাচ্ছে কাঠের পুতুল ও মুখোশ। প্রতীকী এসব মুখোশের মধ্য়ে আছে বাঘ, পাখি, মাছ ইত্যাদি।
অনুষঙ্গ
পোশাকের সঙ্গে কোন ধরনের অলংকার এবং অন্যান্য অনুষঙ্গ থাকছে, তার ওপরও লুক নির্ভর করে। নিজের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মানায়, অনুষঙ্গগুলো সেভাবে বাছাই করা উচিত। মেরুন জুতা, লাল-সাদা পুঁতির গয়না, মেরুন বা সাদা ব্যাগ আর খোঁপায় জড়ানোর জন্য ফুল—সবকিছুই হোক লাল-সাদার ছোঁয়ায়। নববর্ষের জন্য ডাই ও প্রিন্ট কাপড়, সুতা, পুঁতি, কড়ি বা কাপড়ের বলের কম্বিনেশনে তৈরি গয়না কিনতে পারেন। বৈশাখের জন্য আলাদা করে তৈরি এই অলংকারগুলো পাওয়া যাবে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে।
ঈদুল ফিতর চলে গেলেও কিন্তু উৎসবের ভাইব রয়ে গেছে। কারণ আর কিছুই নয়, কয়েক দিন পরই বাংলা নববর্ষ। বাংলা সনের প্রথম দিন মানেই সেজেগুজে ঘুরে বেড়ানো আর খাওয়াদাওয়া।পয়লা বৈশাখে কী পোশাক পরা হবে, তা নিয়ে জল্পনাকল্পনা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। যাঁরা পোশাক তৈরি করে পরবেন, তাঁরাও কারিগরের হাতে কাপড় বুঝিয়ে দিয়েছেন। তবে হ্যাঁ, নববর্ষে ঝলমলে যত পোশাকই থাকুক না কেন, লাল-সাদা জুটির যেন বিকল্প নেই। সব সময় একটু সাবেকি ধাঁচের সাজসজ্জা যাঁদের মনঃপূত, তাঁরা তো বটেই; যাঁরা নিত্য়নতুন ট্রেন্ডে গা ভাসান, তাঁদেরও ‘না’ নেই চিরন্তন এই রঙের মেলবন্ধনে। লাল-সাদায় মিশে আছে বাঙালিয়ানা। তাই পয়লা বৈশাখের পোশাকে লাল ও সাদার প্রাধান্যই বেশি দেখা যায়। তবে ফ্যাশন হাউসগুলো লাল ও সাদা রংকে মূলে রেখে নীল, হলুদ, সবুজ, প্যারট গ্রিন, খয়েরি ইত্যাদি রংও এখন ব্যবহার করছে দারুণভাবে। সুতির পাশাপাশি ব্যবহৃত হচ্ছে সিল্ক, হাফসিল্ক, মসলিন, জর্জেট, লিনেন, এন্ডি কটন, এন্ডি সিল্ক, ভয়েল, কটনসহ বিভিন্ন ধরনের কাপড়।
শাড়িতে স্নিগ্ধ
বৈশাখের সাজ স্নিগ্ধ করে তোলে লাল-সাদা শাড়ি। এমন নয় যে, এই দুই রঙের শাড়ি না হলে বৈশাখ মাঠে মারা যাবে। কিন্তু পোশাকের পরম্পরা আর ঋতু—এ দুই কারণে লাল পাড়ের
সাদা শাড়ি এখন আমাদের বৈশাখের প্রতীক। প্রখর রোদে অন্যান্য রঙের চেয়ে সাদা রং আমাদের আরাম দেয় বেশি। আর গরমে আরামের বিকল্প নেই। ধরা যায়, সাদা রঙের সুতির শাড়ি বৈশাখী পোশাক। শুধু তো শাড়ি নয়; ছেলেদের পোশাক, বিশেষ করে শার্ট ও পাঞ্জাবিতেও এর ছাপ আছে। শিশুদের পোশাকে তো বটেই।
শুধু শাড়ি পরলেই তো আর হলো না, গরমের উৎসবে সেটাকে দেখাতেও হবে দারুণ। এ জন্য অন্যান্য অনুষঙ্গ দরকার। তার মধ্যে অন্যতম ব্লাউজ। অনেক সময় সাদামাটা শাড়িতে জাঁকালো লুক পাওয়া যায় কেবল ব্লাউজের কারণে। এর নকশা, হাতা ও ফ্যাব্রিকস বাছাই করা জরুরি।
লাল-সাদা কম্বিনেশনের শাড়ির সঙ্গে কনট্রাস্ট রঙের কিংবা এক শেড বাড়িয়ে ব্লাউজের রং নির্বাচন করা যেতে পারে। শাড়ির ফ্যাব্রিকসের সঙ্গে মিলিয়ে ব্লাউজ বানানো যায়। বিভিন্ন ধরনের রেডি টু ওয়্যার ব্লাউজের কারণে দরজিপাড়ায় ব্লাউজ বানানোর প্রবণতা এখন অনেকটাই কম। চমৎকার ব্যাপার হচ্ছে, ব্লাউজের বিকল্প হিসেবে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন ক্রপ টপস। এই টপস কাম ব্লাউজগুলো সাদরে গ্রহণ করে নিচ্ছেন নারীরা। বিভিন্ন প্যাটার্নের, লুজ ফিটিং ইজি টু ওয়্যার এই ব্লাউজগুলোর গলায় ভিন্নতা দেখা যায়।
এই টপসগুলো যেহেতু একটু লুজ ফিটিংয়ের হয়, সে কারণে পিঠের দিকে হ্যান্ড পেইন্ট বা এমব্রয়ডারির নকশাও থাকতে পারে তাতে। আবার এক পাশের কাঁধে ভারী নকশা থাকতে পারে। এ ধরনের ব্লাউজের সঙ্গে এখন মেয়েরা ড্রেপিং স্টাইলে শাড়ি পরছেন। একরঙা সাদা বা অফ হোয়াইট শাড়ি হলে ব্লাউজটা লালের কোনো শেডে পরতে পারেন। অন্যদিকে শাড়িতে যদি লাল রংটাই মুখ্য হয়, তাহলে ব্লাউজ হতে পারে বাসন্তী, অফ হোয়াইট বা সোনালি রঙের।
শাড়ির বাইরে
শাড়ি ছাড়া যদি কুর্তি, টপস বা স্কার্ট পরতে চান, তাহলেও সুতিকে প্রাধান্য দেওয়া ভালো। এখন চলছে জাম্পস্য়ুটের কাল। লাল-সাদা ছাপা, পোলকা ডট বা বাটিকের জাম্পস্য়ুটের ওপর সাদা বা অফ হোয়াইট শ্রাগ চড়িয়ে নেওয়া যায়। যাঁরা এক ছাঁটের লং গাউন পরেন, তাঁরা এই গরমে সুতির গাউন বানানোর সময় কোমর ও ঘেরে লাল-সাদা ও সোনালির সংমিশ্রণে লেইস ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া রংচঙা স্কার্ট পালাজোর ওপর সাদা ঢিলেঢালা কুর্তি পরেও সারা দিন ঘুরে বেড়াতে পারবেন।
পুরুষের পোশাক
বৈশাখে পুরুষেরা লাল, সাদা কিংবা এই দুই রঙের মেলবন্ধনে পাঞ্জাবি পরতেই বেশি পছন্দ করেন। সে ক্ষেত্রে দেশীয় মোটিফ রয়েছে কিংবা লাল-সাদা প্রিন্টের সুতি পাঞ্জাবিই এই গরমে সবচেয়ে আরামদায়ক হবে।
এবারের প্রিন্টে প্রাধান্য পাচ্ছে
নববর্ষের শাড়ি, পাঞ্জাবি, কামিজ, স্টিচ ড্রেস, ফ্রক ইত্যাদিতে এবার মোটিফ স্টিচ প্রাধান্য পাচ্ছে কাঠের পুতুল ও মুখোশ। প্রতীকী এসব মুখোশের মধ্য়ে আছে বাঘ, পাখি, মাছ ইত্যাদি।
অনুষঙ্গ
পোশাকের সঙ্গে কোন ধরনের অলংকার এবং অন্যান্য অনুষঙ্গ থাকছে, তার ওপরও লুক নির্ভর করে। নিজের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মানায়, অনুষঙ্গগুলো সেভাবে বাছাই করা উচিত। মেরুন জুতা, লাল-সাদা পুঁতির গয়না, মেরুন বা সাদা ব্যাগ আর খোঁপায় জড়ানোর জন্য ফুল—সবকিছুই হোক লাল-সাদার ছোঁয়ায়। নববর্ষের জন্য ডাই ও প্রিন্ট কাপড়, সুতা, পুঁতি, কড়ি বা কাপড়ের বলের কম্বিনেশনে তৈরি গয়না কিনতে পারেন। বৈশাখের জন্য আলাদা করে তৈরি এই অলংকারগুলো পাওয়া যাবে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে।
পান্তা খাওয়ার আমাদের প্রাচীন সংস্কৃতি। তবে বৈশাখের প্রথম দিন সকালে পান্তা খাওয়া শহুরে সংস্কৃতির নতুন সংযোজন। বাংলাদেশে এ খাবার প্রায় সারা বছর খাওয়া হয়। পান্তা শরীরের জন্য উপকারী। এতে ভিটামিন বি থাকে। তবে এর পরিমাণ এবং উৎস ফারমেনটেশন প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে। সাধারণ ভাতে (বিশেষ করে সাদা চালে) ভি
১ দিন আগেএখন রোদের যে তাপ তাতে ত্বকের সঙ্গে ঘামছে মাথার ত্বক বা স্ক্য়াল্পও। সে কারণে ঘাম জমে আঠালো ও রুক্ষ হয়ে যায় চুল। তার গোড়ায় দীর্ঘক্ষণ ঘাম জমে থাকলে ঠান্ডা লেগে মাথাব্যথা তো হতেই পারে, সঙ্গে হতে পারে মাথার ত্বকে চুলকানি। এ ছাড়া ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে দেখা দিতে পারে নানান সমস্যা। গরমে এই সমস্যা কমবেশি
৩ দিন আগেদক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করা দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। ২০২৪ সালে দেশটিতে প্রায় ১ কোটি ৭৫ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটন বাজারে ভিয়েতনামের এমন আধিপত্য দীর্ঘদিনের, যেটিকে আরও এগিয়ে নিতে চাচ্ছে দেশটির সরকার।
৪ দিন আগেবিশাল মরুভূমি, নীল সমুদ্র আর উঁচু পাহাড়ঘেরা সৌদি আরব এখন রোমাঞ্চপ্রেমী পর্যটকদের নতুন গন্তব্য। দেশটির ভৌগোলিক বৈচিত্র্য এতটাই যে সেখানে মরুভূমিতে বালুর ঢেউয়ে গাড়ি চালানো যায়, সমুদ্রে ডাইভিং করা যায়, আবার চাইলে পাহাড়ের মাঝে হারিয়েও যাওয়া যায়।
৪ দিন আগে