নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিটি যাপন যেন সুন্দর হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা খুবই জরুরি। কিন্তু চাইলেই কি জীবন সুন্দর হয়ে ওঠে? চাইলেই সব চাওয়া পাওয়ায় পরিণত হয়? হয় না। আর তাই জীবনকে সুন্দর করতে হলে চাওয়াগুলো নিজের করে পেতে হলে প্রতিদিন কিছু কিছু ভালো গুণ অভ্যাস করতে হয় মানুষকে। আর এই অভ্যাসগুলোই জীবনে পরিবর্তন আনে। সহজ করে তোলে যাপন। নিজে ভালো থাকতে হলে এবং অন্যদের ভালো রাখতে হলে চারপাশের হাজারো নেতিবাচক বিষয় এড়িয়ে সব সময় ভাবতে হবে ইতিবাচক ভাবনা। যেসব ইতিবাচক ভাবনা আমাদের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা হলো—
অপরের ইচ্ছা বা মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া
ভালো থাকার অন্যতম একটি প্রধান শর্ত হলো অপরের ইচ্ছা বা মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া। মানুষ একা বসবাস করতে পারে না। তার আশপাশে অনেক রকম সম্পর্কের মানুষ থাকে। তাদের কেউ কেউ আমাদের খুবই নিকটজন, আবার কেউ হয়তো খানিকটা দূরের। কিন্তু তারা হয়তো আমাদের প্রতিদিনকার কোনো না কোনো কাজের সঙ্গে জড়িত। সেই কাজটা ভালো হতে পারে কিংবা সেই সম্পর্কগুলো সহজ সুন্দর বন্ধুত্বপূর্ণ হতে পারে, যদি ওই মানুষগুলোর ইচ্ছা বা মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার অভ্যাস আপনার ভেতরে থাকে। আপনি তার ইচ্ছা বা মতামতকে গুরুত্ব দিলে সে নিজেও আপনার কথা এবং কাজকে গুরুত্ব দেবে, দায়িত্বশীল আচরণ করবে। আপনার প্রতি সে আস্থাভাজন হয়ে উঠবে। সম্পর্ক সুদৃঢ় হবে। মানুষে মানুষে সুসম্পর্ক ভালো থাকার অন্যতম একটি হাতিয়ার।
অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে
পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, সহকর্মীসহ ছোটবড় সবার কথা যথেষ্ট মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। সে কী বলতে চায়, কেন বলছে এসব মনোযোগ দিয়ে শুনলে আপনি তাকে হয়তো সমাধান দিতে পারবেন। সমাধান না দিতে পারলেও আপনি মনোযোগ দিয়ে তার কথা শুনেছেন, এতে সে অনুপ্রাণিত হবে। নিজের প্রতি যথেষ্ট বিশ্বাসী হয়ে উঠবে এবং দৃঢ় মনোভাব পোষণ করবে। আপনি তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এই বোধটা তাকে প্রশান্তি দেবে। এভাবে অনেক জটিলতাই কমে যাবে।
অপরের মতামতকে যুক্তিসহকারে দেখতে হবে
অন্যের মতামতকে শুরুতেই অগ্রাহ্য না করে যুক্তি ভেবে দেখতে হবে, সে ঠিক বলল নাকি ভুল। যদি সে ভুল বলে থাকে তাহলে সেটার কারণ তাকে ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে বলতে হবে। এতে সে ভুল শুধরে নেবার সুযোগ পাবে এবং সম্মানিত বোধ করবে। পরবর্তী সময়ে সে ভুল মতামত দেওয়ার আগে নিজেই যুক্তি দিয়ে ভেবে দেখবে।
অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান করতে হবে
অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান করতে পারা নিজের একটি ভালো গুণ এবং এই গুণটিই আপনাকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে নানাভাবে। শ্রদ্ধা, সম্মান এবং সৌজন্যবোধ মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ সম্পর্কের উৎকর্ষতা বাড়ায়। জীবনকে সহজ ছন্দে ভরিয়ে তোলে।
কাউকে দোষারোপ করার আগে নিজের ভাবনা, ভুলত্রুটিগুলো নিয়েও ভাবতে হবে
কোনো ঘটনায় বা কাজ নিয়ে অন্যকে দোষারোপ করার আগে দেখতে হবে সেখানে নিজের কোনো ভুল আছে কি না। সব সময় অন্যের ভুল নিয়ে কথা বলা নিজেরই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অন্যেরা আপনার প্রতি আস্থা-বিশ্বাস-শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলে। সারাক্ষণ নেতিবাচক হয়ে থাকবে মন। এটা কাজ এবং ব্যক্তিজীবনে খুবই ক্ষতির কারণ হয়ে উঠবে।
মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে
মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীলতা একটি মানবিক গুণ। এই গুণ মানুষকে সুখী রাখতে সাহায্য করে।
এসব মানবিক গুণাবলি ছাড়াও যেসব গুণ অভ্যাস করলে মানুষ নিজেকে ভালো রাখার পাশাপাশি অন্যকেও ভালো রাখতে পারে তা হলো নিজেকে সময় দেওয়া, নিজের প্রতি আস্থা রাখা, কাজের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা।
সূত্র: ১০০০ +লিটল থিংকস বই থেকে।
জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিটি যাপন যেন সুন্দর হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা খুবই জরুরি। কিন্তু চাইলেই কি জীবন সুন্দর হয়ে ওঠে? চাইলেই সব চাওয়া পাওয়ায় পরিণত হয়? হয় না। আর তাই জীবনকে সুন্দর করতে হলে চাওয়াগুলো নিজের করে পেতে হলে প্রতিদিন কিছু কিছু ভালো গুণ অভ্যাস করতে হয় মানুষকে। আর এই অভ্যাসগুলোই জীবনে পরিবর্তন আনে। সহজ করে তোলে যাপন। নিজে ভালো থাকতে হলে এবং অন্যদের ভালো রাখতে হলে চারপাশের হাজারো নেতিবাচক বিষয় এড়িয়ে সব সময় ভাবতে হবে ইতিবাচক ভাবনা। যেসব ইতিবাচক ভাবনা আমাদের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা হলো—
অপরের ইচ্ছা বা মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া
ভালো থাকার অন্যতম একটি প্রধান শর্ত হলো অপরের ইচ্ছা বা মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া। মানুষ একা বসবাস করতে পারে না। তার আশপাশে অনেক রকম সম্পর্কের মানুষ থাকে। তাদের কেউ কেউ আমাদের খুবই নিকটজন, আবার কেউ হয়তো খানিকটা দূরের। কিন্তু তারা হয়তো আমাদের প্রতিদিনকার কোনো না কোনো কাজের সঙ্গে জড়িত। সেই কাজটা ভালো হতে পারে কিংবা সেই সম্পর্কগুলো সহজ সুন্দর বন্ধুত্বপূর্ণ হতে পারে, যদি ওই মানুষগুলোর ইচ্ছা বা মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার অভ্যাস আপনার ভেতরে থাকে। আপনি তার ইচ্ছা বা মতামতকে গুরুত্ব দিলে সে নিজেও আপনার কথা এবং কাজকে গুরুত্ব দেবে, দায়িত্বশীল আচরণ করবে। আপনার প্রতি সে আস্থাভাজন হয়ে উঠবে। সম্পর্ক সুদৃঢ় হবে। মানুষে মানুষে সুসম্পর্ক ভালো থাকার অন্যতম একটি হাতিয়ার।
অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে
পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, সহকর্মীসহ ছোটবড় সবার কথা যথেষ্ট মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। সে কী বলতে চায়, কেন বলছে এসব মনোযোগ দিয়ে শুনলে আপনি তাকে হয়তো সমাধান দিতে পারবেন। সমাধান না দিতে পারলেও আপনি মনোযোগ দিয়ে তার কথা শুনেছেন, এতে সে অনুপ্রাণিত হবে। নিজের প্রতি যথেষ্ট বিশ্বাসী হয়ে উঠবে এবং দৃঢ় মনোভাব পোষণ করবে। আপনি তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এই বোধটা তাকে প্রশান্তি দেবে। এভাবে অনেক জটিলতাই কমে যাবে।
অপরের মতামতকে যুক্তিসহকারে দেখতে হবে
অন্যের মতামতকে শুরুতেই অগ্রাহ্য না করে যুক্তি ভেবে দেখতে হবে, সে ঠিক বলল নাকি ভুল। যদি সে ভুল বলে থাকে তাহলে সেটার কারণ তাকে ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে বলতে হবে। এতে সে ভুল শুধরে নেবার সুযোগ পাবে এবং সম্মানিত বোধ করবে। পরবর্তী সময়ে সে ভুল মতামত দেওয়ার আগে নিজেই যুক্তি দিয়ে ভেবে দেখবে।
অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান করতে হবে
অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান করতে পারা নিজের একটি ভালো গুণ এবং এই গুণটিই আপনাকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে নানাভাবে। শ্রদ্ধা, সম্মান এবং সৌজন্যবোধ মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ সম্পর্কের উৎকর্ষতা বাড়ায়। জীবনকে সহজ ছন্দে ভরিয়ে তোলে।
কাউকে দোষারোপ করার আগে নিজের ভাবনা, ভুলত্রুটিগুলো নিয়েও ভাবতে হবে
কোনো ঘটনায় বা কাজ নিয়ে অন্যকে দোষারোপ করার আগে দেখতে হবে সেখানে নিজের কোনো ভুল আছে কি না। সব সময় অন্যের ভুল নিয়ে কথা বলা নিজেরই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অন্যেরা আপনার প্রতি আস্থা-বিশ্বাস-শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলে। সারাক্ষণ নেতিবাচক হয়ে থাকবে মন। এটা কাজ এবং ব্যক্তিজীবনে খুবই ক্ষতির কারণ হয়ে উঠবে।
মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে
মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীলতা একটি মানবিক গুণ। এই গুণ মানুষকে সুখী রাখতে সাহায্য করে।
এসব মানবিক গুণাবলি ছাড়াও যেসব গুণ অভ্যাস করলে মানুষ নিজেকে ভালো রাখার পাশাপাশি অন্যকেও ভালো রাখতে পারে তা হলো নিজেকে সময় দেওয়া, নিজের প্রতি আস্থা রাখা, কাজের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা।
সূত্র: ১০০০ +লিটল থিংকস বই থেকে।
সময়ের সঙ্গে পরিবেশ বদলায়, আর পরিবেশের সঙ্গে বদলায় চুলের যত্নের ধরন। চুলে নিয়মিত তেল-শ্যাম্পু ব্যবহার এবং মাসে দুদিন হেয়ারপ্যাক ব্যবহার এখন যথেষ্ট নয়। আগের তুলনায় গ্রীষ্মকালে গরম আরও বেড়েছে, বেড়েছে দূষণ। সেই সঙ্গে বেড়েছে চুল আর মাথার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যাও।
৩৯ মিনিট আগেশিশুর বয়স ছয় মাস হওয়া পর্যন্ত তেমন ভাবনা নেই। নরম সুতির ফিতে দেওয়া নিমা পরেই দিন পার হয় ছেলে কিংবা মেয়েশিশুর। কিন্তু সে যখন বসে বসে খেলতে শেখে বা একটু হেঁটে বেড়ায়, যখন পুরো ঘরই তার জন্য এক বিস্ময়ের জগৎ। সারা বাড়ি ঘুরে দেখা, এটা-ওটা ধরে খেলা করতে গিয়ে ঘাম হয়...
১ ঘণ্টা আগেবৈশাখের শুরুতে আবহাওয়ার যা মেজাজ দেখা যাচ্ছে, তাতে বলা যায়, গরমে নাভিশ্বাস উঠবে এবার। আবহাওয়া যা-ই হোক, বাইরে যাওয়া তো আর বন্ধ রাখা যাবে না। তাই চট করে তৈরি হয়ে বের হওয়ার জন্য এমন কিছু কাপড় ওয়ার্ডরোবে গুছিয়ে রাখুন, যাতে আরাম ও স্টাইল—দুটোই মেলে। আবার ভাঁজে ভাঁজে...
১ ঘণ্টা আগেবৈশাখের গরমে জীবন ওষ্ঠাগত। তার ওপর প্রতিদিন যাঁদের কাজের জন্য বাইরে যেতে হয়, তাঁদের নাজেহাল অবস্থা। গরম তো আর কমানো সম্ভব নয়, তবে এ সময়ে আরাম পেতে কিছু বিষয় মেনে চলা যেতেই পারে।
১ ঘণ্টা আগে