আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর
জুঁই ফুলের মতো ধবধবে সাদা সুগন্ধি চালের ভাত, খাসির মাংস আর সঙ্গে ডুবো তেলে ভাজা পাঁপড়! দিনাজপুরে গেলে এ দৃশ্য চোখে পড়বে বাড়ি থেকে রেস্তোরাঁ— সব জায়গায়। বাড়িতেই শুধু নয়।
পুরোনো ঝাঁকড়া বটের নিচে বসা ছোট ছোট দোকানে ভাজা হয় মুগের পাঁপড়। ওপরে ছিটিয়ে দেওয়া হয় হালকা ঝাল বিট লবণ। খাওয়া হয় সাবধানে, যাতে ভেঙে না যায়। পুরো বছর এ দৃশ্য দেখা যায় এ জেলার গ্রামগঞ্জের প্রায় প্রতিটি হাটবাজারে। আর মেলায় তো কথাই নেই। দিনাজপুর জেলার মেলাগুলো যেন পাঁপড়ের দোকান ছাড়া জমে ওঠে না। পাঁপড় দিনাজপুর অঞ্চলের খাদ্যসংস্কৃতির আইফেল টাওয়ার।
দিনাজপুর শহরে বাসা হওয়ায় রেল বাজার হাটে যাওয়ার পথে বাহারি আর বিভিন্ন আকারের পাঁপড় তৈরির দৃশ্য ছিল অতিপরিচিত। কোথাও ঘুরতে যাওয়া কিংবা স্কুলের টিফিনে একটি আধুলি কিংবা ১ টাকার কয়েন দিয়ে বড় একখানা পাঁপড় কিনে তা অল্প অল্প করে অতি সাবধানে ভেঙে খাওয়ার দৃশ্য এখনো শৈশবকে মনে করিয়ে দেয়। সরু সুগন্ধি চাল, লিচু আর কাটারিভোগ চালের চিড়ার পাশাপাশি দিনাজপুরের পাঁপড়ের চাহিদা এখন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও তৈরি হয়েছে।
শহরের চকবাজার, নতুনপাড়া, বাসুনিয়াপট্টি, চুড়িপট্টি, রাজবাড়ি, গুঞ্জাবাড়ি, ফকিরপাড়া, বড় বন্দরসহ বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয় পাঁপড়। সাধারণত মসুর, ছোলা, মাষকলাই, চাল, আলু ইত্যাদির গুঁড়ো ও খামি থেকে এটি বানানো হয়। তবে দিনাজপুরের মুগ ও খেসারির ডাল এবং বেসনের পাঁপড় বেশ বিখ্যাত। সারা দেশের নিরামিষাশীদের মধ্যে মুগ ডালের পাঁপড়ের চাহিদা ব্যাপক। মূল উপাদান ডাল হলেও পাঁপড়ের স্বাদে বৈচিত্র্য আনতে খামিরের সঙ্গে জিরা, মরিচ, বাদাম কিংবা কালিজিরা মেশানো হয়।
দক্ষিণ ভারতের এই খাবার দিনাজপুরে কীভাবে প্রচলিত হলো, তার বিভিন্ন গল্প শোনা যায় লোকমুখে। এটাও জানা যায়, দিনাজপুরের রাজপরিবারের খাদ্যতালিকায়ও ছিল মুগের পাঁপড়। ফলে এই অঞ্চলে পাঁপড়ের ইতিহাস যে কয়েক শ বছরের পুরোনো, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
পাঁপড় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা গেলেও এখন পাঁপড় মুখরোচক নাশতার অন্যতম অনুষঙ্গ। শরতের স্নিগ্ধ বিকেলে হোক বা দুরন্ত শীতের দিন, চায়ের সঙ্গে পাঁপড় ভাজা কিংবা পাঁপড় ভেঙে দিয়ে মুড়িমাখা অথবা এমনি এমনি ভাজা পাঁপড় খাওয়া এক অন্য আবেশ তৈরি করে।
দিনাজপুরের পাঁপড় এখন ঢাকায়ও পাওয়া যায়। বিভিন্ন সুপারস্টোরে তো বটেই, বড় মুদি দোকানেও কেজি হিসেবে বিক্রি হয় এটি।
দরদাম
মুগের পাঁপড় প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা আর মাষকলাই এবং অন্যান্য ডালের পাঁপড় ১১০ থেকে ১৩০ টাকা দামে বিক্রি হয়। ঢাকায় এর দাম কিছুটা বেশি।
জুঁই ফুলের মতো ধবধবে সাদা সুগন্ধি চালের ভাত, খাসির মাংস আর সঙ্গে ডুবো তেলে ভাজা পাঁপড়! দিনাজপুরে গেলে এ দৃশ্য চোখে পড়বে বাড়ি থেকে রেস্তোরাঁ— সব জায়গায়। বাড়িতেই শুধু নয়।
পুরোনো ঝাঁকড়া বটের নিচে বসা ছোট ছোট দোকানে ভাজা হয় মুগের পাঁপড়। ওপরে ছিটিয়ে দেওয়া হয় হালকা ঝাল বিট লবণ। খাওয়া হয় সাবধানে, যাতে ভেঙে না যায়। পুরো বছর এ দৃশ্য দেখা যায় এ জেলার গ্রামগঞ্জের প্রায় প্রতিটি হাটবাজারে। আর মেলায় তো কথাই নেই। দিনাজপুর জেলার মেলাগুলো যেন পাঁপড়ের দোকান ছাড়া জমে ওঠে না। পাঁপড় দিনাজপুর অঞ্চলের খাদ্যসংস্কৃতির আইফেল টাওয়ার।
দিনাজপুর শহরে বাসা হওয়ায় রেল বাজার হাটে যাওয়ার পথে বাহারি আর বিভিন্ন আকারের পাঁপড় তৈরির দৃশ্য ছিল অতিপরিচিত। কোথাও ঘুরতে যাওয়া কিংবা স্কুলের টিফিনে একটি আধুলি কিংবা ১ টাকার কয়েন দিয়ে বড় একখানা পাঁপড় কিনে তা অল্প অল্প করে অতি সাবধানে ভেঙে খাওয়ার দৃশ্য এখনো শৈশবকে মনে করিয়ে দেয়। সরু সুগন্ধি চাল, লিচু আর কাটারিভোগ চালের চিড়ার পাশাপাশি দিনাজপুরের পাঁপড়ের চাহিদা এখন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও তৈরি হয়েছে।
শহরের চকবাজার, নতুনপাড়া, বাসুনিয়াপট্টি, চুড়িপট্টি, রাজবাড়ি, গুঞ্জাবাড়ি, ফকিরপাড়া, বড় বন্দরসহ বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয় পাঁপড়। সাধারণত মসুর, ছোলা, মাষকলাই, চাল, আলু ইত্যাদির গুঁড়ো ও খামি থেকে এটি বানানো হয়। তবে দিনাজপুরের মুগ ও খেসারির ডাল এবং বেসনের পাঁপড় বেশ বিখ্যাত। সারা দেশের নিরামিষাশীদের মধ্যে মুগ ডালের পাঁপড়ের চাহিদা ব্যাপক। মূল উপাদান ডাল হলেও পাঁপড়ের স্বাদে বৈচিত্র্য আনতে খামিরের সঙ্গে জিরা, মরিচ, বাদাম কিংবা কালিজিরা মেশানো হয়।
দক্ষিণ ভারতের এই খাবার দিনাজপুরে কীভাবে প্রচলিত হলো, তার বিভিন্ন গল্প শোনা যায় লোকমুখে। এটাও জানা যায়, দিনাজপুরের রাজপরিবারের খাদ্যতালিকায়ও ছিল মুগের পাঁপড়। ফলে এই অঞ্চলে পাঁপড়ের ইতিহাস যে কয়েক শ বছরের পুরোনো, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
পাঁপড় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা গেলেও এখন পাঁপড় মুখরোচক নাশতার অন্যতম অনুষঙ্গ। শরতের স্নিগ্ধ বিকেলে হোক বা দুরন্ত শীতের দিন, চায়ের সঙ্গে পাঁপড় ভাজা কিংবা পাঁপড় ভেঙে দিয়ে মুড়িমাখা অথবা এমনি এমনি ভাজা পাঁপড় খাওয়া এক অন্য আবেশ তৈরি করে।
দিনাজপুরের পাঁপড় এখন ঢাকায়ও পাওয়া যায়। বিভিন্ন সুপারস্টোরে তো বটেই, বড় মুদি দোকানেও কেজি হিসেবে বিক্রি হয় এটি।
দরদাম
মুগের পাঁপড় প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা আর মাষকলাই এবং অন্যান্য ডালের পাঁপড় ১১০ থেকে ১৩০ টাকা দামে বিক্রি হয়। ঢাকায় এর দাম কিছুটা বেশি।
এ সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত ওজন ঝরাতে গেলে ইফতার ও সেহরিতে ক্যালরি মেপে খেতে হবে, এটাই আসল কথা। কিন্তু সারা দিন রোজা রাখার পর এসব তৈলাক্ত, চর্বিযুক্ত ও ক্যালরিবহুল খাবার খেলে রক্তে ক্ষতিকর চর্বি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
১১ ঘণ্টা আগেরোজায় বাড়িতে রোজ রোজ মাজাদার ইফতার তৈরি হলেও যাঁরা হোস্টেলে থাকেন, তাঁদের তো আর এত আয়োজন করে ইফতার তৈরি করা সম্ভব নয়। হোস্টেলে বসবাসরত ছেলেমেয়েদের কাছে যেসব কিচেন গ্যাজেট থাকে, তার মধ্য়ে একটি হচ্ছে মাইক্রোওয়েভ। এই রোজায় মাইক্রোওয়েভে কম সময়ে তৈরি করে ফেলতে পারেন এ দুটি রেসিপি...
১ দিন আগেমস্তিষ্ক কার্যকর রাখতে এবং তার স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে খাবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিউরোসায়েন্টিস্ট লিসা মোসকোনি বলেন, ‘খাবার আমাদের মস্তিষ্ককে কার্যকর রাখতে সাহায্য করে। কারণ আমাদের মস্তিষ্ক পুষ্টির ওপর নির্ভরশীল। তাই শরীরের অন্য অঙ্গের মতো মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কী খেতে হবে, সে দিকে..
২ দিন আগেরান্নাঘরের সিংক পরিষ্কারের ক্ষেত্রে সহনীয় পর্যায়ের গরম পানি ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত গরম পানি দিলে প্লাস্টিকের পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সিংকের তেল চিটচিটে ভাব কমাতে লেবু ব্যবহার করতে পারেন। লেবুর রস তেলতেলে ভাব কমিয়ে আনতে সহায়তা করে। এ ছাড়া লেবুর রস দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করবে...
২ দিন আগে