সানজিদা সামরিন, ঢাকা
‘খদ্দর পরে ভদ্দর লোক’ পুরোনো মানুষদের মুখে মুখে এ রকম বহু কথা শোনা যায় খাদি নিয়ে। হাতে কাটা মোটা সুতায় এক বিশেষ বুননে তৈরি খাদি বা খদ্দরের পাঞ্জাবি আর চাদর ছিল একসময়কার আভিজাত্যের অন্য নাম। সময় বদলেছে। এখন খাদি দিয়ে শুধু পাঞ্জাবি আর চাদরই তৈরি হচ্ছে না, তৈরি হচ্ছে শাড়ি, নারী, পুরুষ ও শিশুদের বিভিন্ন পোশাক, জানালার পর্দা, কুশনের কভারসহ অন্দরসজ্জার অনেক উপকরণ।
বসনে খাদি
খাদি বা খদ্দরের কাপড় তৈরি হয় সুতি সুতায়। একসময় হাতে কাটা সুতায় এটি তৈরি হলেও এখন খাদি বানানোর সুতা মেশিনে তৈরি হচ্ছে। ফলে খাদি কাপড়ের উৎপাদনও বেড়ে গেছে বহুগুণ। স্বস্তি নিয়ে বলাই যায়, সুতি হওয়ায় খদ্দরে আরাম মেলে ভারী। যার কারণে বয়স্কদের পাশাপাশি তরুণেরাও এখন খাদির পোশাকের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন।
নারীদের চলতি ফ্যাশনে খাদি একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে। থ্রি-পিস, কুর্তি, ট্রাউজার, কটি, ওড়না—এগুলো তো বটেই, এখন খাদি কাপড় দিয়ে তৈরি হচ্ছে শাড়ি ও ব্লাউজ। তৈরি হচ্ছে ব্যাগ ও পার্সের মতো ফ্যাশন অনুষঙ্গও। এ ছাড়া ছেলেদের ফ্যাশনেও খাদি জনপ্রিয়। বয়স্ক বা তরুণ উভয় শ্রেণির পুরুষের কাছে খদ্দরের পাঞ্জাবি এক ধ্রুপদি বিষয়। পাঞ্জাবি ছাড়াও নীল জিনসের সঙ্গে কালো টি-শার্টের ওপর খাদির কুর্তা কিংবা খাদির শার্ট তারুণ্যের ফ্যাশনে যোগ করেছে ভিন্নমাত্রা।
বদলেছে রং
আবার সাদামাটা ধরন থেকে রঙিনও হয়েছে এখনকার খাদি। বেজ রং ছাড়াও লাল, নীল, হলুদ, সবুজসহ সব রঙেই রাঙানো হচ্ছে খদ্দরের কাপড়।
খাদির শাড়ি
তাঁতি-সংকটের কারণে হ্যান্ডলুমের কাপড় আসলে এখন তেমন হয় না। বেশির ভাগ খাদিই হচ্ছে পাওয়ারলুমে। এই প্রক্রিয়ায় ‘বিশুদ্ধ’ খাদিটা আর থাকে না। টেকসই, সহজে পরিধেয় ও আরামদায়ক হওয়ার কারণে সব বয়সী নারীরা খাদি শাড়ি বেছে নিচ্ছেন।
নান্দীপাঠের স্বত্বাধিকারী তীর্থ নান্দী খায়ের জানান, খাদি কাপড়ের বৈশিষ্ট্য় অমসৃণ ও মোটা। চরকা ঘুরিয়ে হাতে খাদির সুতা তৈরি করা হয়। বর্তমানে যে খাদি কাপড় তৈরি হচ্ছে সে কাপড়ে রয়েছে মিল এবং হাতে কাটা সুতার সমন্বয়। নান্দীপাঠের খাদির কাপড়ে টানাতে ব্যবহৃত হয় মিলের সুতা। এর পরিমাণ ৪০ শতাংশ। আর খাদি সুতার পরিমাণ ৬০ শতাংশ। সে কাপড় দেখতে একেবারে খাদি কাপড়ের টেক্সচারের মতো।
খাদির ওপর ভ্যালু অ্যাড প্রসঙ্গে তীর্থ নান্দী খায়ের বলেন, ‘খাদি শাড়ির ওপর এখন অনেকে ব্লক করছেন, সুতার কাজও হচ্ছে। আমি যেমন খাদি শাড়িতে এমব্রয়ডারির কাজ করি। এ ছাড়া শাড়ির আঁচলে জুটের কাজও থাকছে শাড়িভেদে।’
কৃষ্ণকলির স্বত্বাধিকারী শারমিন সাথী বলেন, ‘আদি খাদি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রক্রিয়ার ধরনের কারণে মিহি ও মসৃণ হয়েছে। খাদি শাড়িতে খুব বেশি ভ্যালু অ্যাড হয় না। মূলত এক রঙের প্লেইন শাড়ি বা খাদি সুতা দিয়ে স্ট্রাইপ করা হয় মাত্র। অনেক উদ্যোক্তা অবশ্য এখন ব্যক্তিগতভাবে নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। ভেজিটেবল ডাই, হ্যান্ড পেইন্ট, ব্লক ও বাটিক প্রক্রিয়ায় শাড়ি হচ্ছে।’
কৃষ্ণকলিতে খাদি একরঙা শাড়ির সঙ্গে কম্বো সেট হিসেবে ম্যাচিং ব্লাউজ পাওয়া যায়। শারিমন সাথী জানান, মূলত যাঁরা কর্মজীবী নারী বা বিশেষ দিনগুলোয় শাড়ি পরতে ভালোবাসেন, তাঁরা বাজেট ফ্রেন্ডলি হিসেবে পাওয়ারলুমের খাদি শাড়িই বেছে নেন। তাই প্রতিটি খাদি শাড়ির সঙ্গেই আমরা ম্যাচিং ব্লাউজ রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি যাতে নারীরা তাঁদের পছন্দসই লুক পেতে পারেন।
ঘর সাজাতে
দেশীয় ঘরানায় ঘর সাজাতে যারা ভালোবাসেন, তাঁদের অন্দরে সগর্বে জায়গা করে নিয়েছে এই খাদি। দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোয় পাওয়া যাচ্ছে খাদির ল্যাম্পশেড, বেডশিট, কুশন ও বালিশের কভার, লাঞ্চবক্স, ব্যাগ, ঝুড়ি, মাদুর, ওয়ালম্যাট এমনকি কম্বল হিসেবেও। খাদি কাপড়ে টাইডাই, এমব্রয়ডারি ও অ্যাপ্লিকের কাজ, স্ক্রিন প্রিন্ট ও ইন্ডিয়ান মোটিফের ব্যবহার হচ্ছে এখন।
কোথায় পাবেন ও দরদাম
ফ্যাশনে খাদিকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে আমাদের দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো কাজ করছে। প্রায় সব দেশীয় ফ্যাশন হাউসে এ কাপড়ে তৈরি পোশাক, বিছানার চাদর, টেবিলম্যাট, ওয়ালম্যাট, পর্দা, কুশন কভার, ব্যাগ, ডায়েরি, নোটবুক ইত্যাদি পাওয়া যাবে। পণ্যভেদে ২৫০ থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায় খাদি বা খদ্দরের পণ্য। পাওয়ারলুমের প্লেইন একরঙা খাদি শাড়িগুলো ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা বা এর কাছাকাছি দামের মধ্য়ে পাওয়া যায়। অন্যদিকে হ্যান্ডলুম হলে শাড়ির দাম একটু বেশি হয়। এ ছাড়া ফেসবুককেন্দ্রিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও সরবরাহ করে খাদির বিভিন্ন পোশাক ও অনুষঙ্গ।
‘খদ্দর পরে ভদ্দর লোক’ পুরোনো মানুষদের মুখে মুখে এ রকম বহু কথা শোনা যায় খাদি নিয়ে। হাতে কাটা মোটা সুতায় এক বিশেষ বুননে তৈরি খাদি বা খদ্দরের পাঞ্জাবি আর চাদর ছিল একসময়কার আভিজাত্যের অন্য নাম। সময় বদলেছে। এখন খাদি দিয়ে শুধু পাঞ্জাবি আর চাদরই তৈরি হচ্ছে না, তৈরি হচ্ছে শাড়ি, নারী, পুরুষ ও শিশুদের বিভিন্ন পোশাক, জানালার পর্দা, কুশনের কভারসহ অন্দরসজ্জার অনেক উপকরণ।
বসনে খাদি
খাদি বা খদ্দরের কাপড় তৈরি হয় সুতি সুতায়। একসময় হাতে কাটা সুতায় এটি তৈরি হলেও এখন খাদি বানানোর সুতা মেশিনে তৈরি হচ্ছে। ফলে খাদি কাপড়ের উৎপাদনও বেড়ে গেছে বহুগুণ। স্বস্তি নিয়ে বলাই যায়, সুতি হওয়ায় খদ্দরে আরাম মেলে ভারী। যার কারণে বয়স্কদের পাশাপাশি তরুণেরাও এখন খাদির পোশাকের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন।
নারীদের চলতি ফ্যাশনে খাদি একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে। থ্রি-পিস, কুর্তি, ট্রাউজার, কটি, ওড়না—এগুলো তো বটেই, এখন খাদি কাপড় দিয়ে তৈরি হচ্ছে শাড়ি ও ব্লাউজ। তৈরি হচ্ছে ব্যাগ ও পার্সের মতো ফ্যাশন অনুষঙ্গও। এ ছাড়া ছেলেদের ফ্যাশনেও খাদি জনপ্রিয়। বয়স্ক বা তরুণ উভয় শ্রেণির পুরুষের কাছে খদ্দরের পাঞ্জাবি এক ধ্রুপদি বিষয়। পাঞ্জাবি ছাড়াও নীল জিনসের সঙ্গে কালো টি-শার্টের ওপর খাদির কুর্তা কিংবা খাদির শার্ট তারুণ্যের ফ্যাশনে যোগ করেছে ভিন্নমাত্রা।
বদলেছে রং
আবার সাদামাটা ধরন থেকে রঙিনও হয়েছে এখনকার খাদি। বেজ রং ছাড়াও লাল, নীল, হলুদ, সবুজসহ সব রঙেই রাঙানো হচ্ছে খদ্দরের কাপড়।
খাদির শাড়ি
তাঁতি-সংকটের কারণে হ্যান্ডলুমের কাপড় আসলে এখন তেমন হয় না। বেশির ভাগ খাদিই হচ্ছে পাওয়ারলুমে। এই প্রক্রিয়ায় ‘বিশুদ্ধ’ খাদিটা আর থাকে না। টেকসই, সহজে পরিধেয় ও আরামদায়ক হওয়ার কারণে সব বয়সী নারীরা খাদি শাড়ি বেছে নিচ্ছেন।
নান্দীপাঠের স্বত্বাধিকারী তীর্থ নান্দী খায়ের জানান, খাদি কাপড়ের বৈশিষ্ট্য় অমসৃণ ও মোটা। চরকা ঘুরিয়ে হাতে খাদির সুতা তৈরি করা হয়। বর্তমানে যে খাদি কাপড় তৈরি হচ্ছে সে কাপড়ে রয়েছে মিল এবং হাতে কাটা সুতার সমন্বয়। নান্দীপাঠের খাদির কাপড়ে টানাতে ব্যবহৃত হয় মিলের সুতা। এর পরিমাণ ৪০ শতাংশ। আর খাদি সুতার পরিমাণ ৬০ শতাংশ। সে কাপড় দেখতে একেবারে খাদি কাপড়ের টেক্সচারের মতো।
খাদির ওপর ভ্যালু অ্যাড প্রসঙ্গে তীর্থ নান্দী খায়ের বলেন, ‘খাদি শাড়ির ওপর এখন অনেকে ব্লক করছেন, সুতার কাজও হচ্ছে। আমি যেমন খাদি শাড়িতে এমব্রয়ডারির কাজ করি। এ ছাড়া শাড়ির আঁচলে জুটের কাজও থাকছে শাড়িভেদে।’
কৃষ্ণকলির স্বত্বাধিকারী শারমিন সাথী বলেন, ‘আদি খাদি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রক্রিয়ার ধরনের কারণে মিহি ও মসৃণ হয়েছে। খাদি শাড়িতে খুব বেশি ভ্যালু অ্যাড হয় না। মূলত এক রঙের প্লেইন শাড়ি বা খাদি সুতা দিয়ে স্ট্রাইপ করা হয় মাত্র। অনেক উদ্যোক্তা অবশ্য এখন ব্যক্তিগতভাবে নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। ভেজিটেবল ডাই, হ্যান্ড পেইন্ট, ব্লক ও বাটিক প্রক্রিয়ায় শাড়ি হচ্ছে।’
কৃষ্ণকলিতে খাদি একরঙা শাড়ির সঙ্গে কম্বো সেট হিসেবে ম্যাচিং ব্লাউজ পাওয়া যায়। শারিমন সাথী জানান, মূলত যাঁরা কর্মজীবী নারী বা বিশেষ দিনগুলোয় শাড়ি পরতে ভালোবাসেন, তাঁরা বাজেট ফ্রেন্ডলি হিসেবে পাওয়ারলুমের খাদি শাড়িই বেছে নেন। তাই প্রতিটি খাদি শাড়ির সঙ্গেই আমরা ম্যাচিং ব্লাউজ রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি যাতে নারীরা তাঁদের পছন্দসই লুক পেতে পারেন।
ঘর সাজাতে
দেশীয় ঘরানায় ঘর সাজাতে যারা ভালোবাসেন, তাঁদের অন্দরে সগর্বে জায়গা করে নিয়েছে এই খাদি। দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোয় পাওয়া যাচ্ছে খাদির ল্যাম্পশেড, বেডশিট, কুশন ও বালিশের কভার, লাঞ্চবক্স, ব্যাগ, ঝুড়ি, মাদুর, ওয়ালম্যাট এমনকি কম্বল হিসেবেও। খাদি কাপড়ে টাইডাই, এমব্রয়ডারি ও অ্যাপ্লিকের কাজ, স্ক্রিন প্রিন্ট ও ইন্ডিয়ান মোটিফের ব্যবহার হচ্ছে এখন।
কোথায় পাবেন ও দরদাম
ফ্যাশনে খাদিকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে আমাদের দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো কাজ করছে। প্রায় সব দেশীয় ফ্যাশন হাউসে এ কাপড়ে তৈরি পোশাক, বিছানার চাদর, টেবিলম্যাট, ওয়ালম্যাট, পর্দা, কুশন কভার, ব্যাগ, ডায়েরি, নোটবুক ইত্যাদি পাওয়া যাবে। পণ্যভেদে ২৫০ থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায় খাদি বা খদ্দরের পণ্য। পাওয়ারলুমের প্লেইন একরঙা খাদি শাড়িগুলো ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা বা এর কাছাকাছি দামের মধ্য়ে পাওয়া যায়। অন্যদিকে হ্যান্ডলুম হলে শাড়ির দাম একটু বেশি হয়। এ ছাড়া ফেসবুককেন্দ্রিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও সরবরাহ করে খাদির বিভিন্ন পোশাক ও অনুষঙ্গ।
পাহাড়ের শীর্ষে দাঁড়িয়ে বা সাপ ও মাকড়সার মতো প্রাণীর কাছাকাছি থাকলে ভয় পায় অনেকেই। তবে কিছু মানুষের জন্য, এই ভয়গুলোর প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া বা আতঙ্ক আসলে বিপদের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে যায়। এমন ক্ষেত্রে, এই ব্যক্তিদের ফোবিয়া বা অহেতুক ভয় দেখা যেতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগেএই গরমে আবার লেয়ারিং? এই প্রশ্ন মনে নিয়েই যাঁরা লেখাটি পড়তে শুরু করেছেন, তাঁদের বলছি, হ্যাঁ, ভুল কিছু বলা হচ্ছে না। সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে যদি ওড়না গায়ে জড়ানো যায়, তাহলে ওড়নার পরিবর্তে সহজে সামলে নিয়ে স্টাইলিংয়ের কাজ করা যায় এমন একটি বিকল্প হচ্ছে কটি। একটি কটি দিয়েই নানাভাবে লেয়ারিং ও স্টাইলিং করা...
৮ ঘণ্টা আগেবিশ্বের মোটামুটি সব দেশেই খাওয়া হয় এমন একটি খাবার মিটবল। মাংস কিমা করে ছোট ছোট বল বানিয়ে ভেজে খাওয়ার বুদ্ধিটা কোথা থেকে এসেছিল, সেটা বলা সম্ভব নয়। তবে এতে খাবারের জন্য মাংস কেনার ব্যয় যে খানিক কমেছিল, সেটা ঠিক। মিটবল তৈরিতে মাংসের কিমার সঙ্গে অনেক সময় বাসি পাউরুটিও দেওয়া হতো। এতে অল্প পরিমাণে...
৯ ঘণ্টা আগেগয়না পরলেই ত্বক হয়ে উঠছে লালচে অথবা দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট ফুসকুড়ি। কিংবা কখনো আবার ফোসকাই পড়ে যাচ্ছে! এসব লক্ষণ থাকলে ধরে নেওয়া যেতে পারে, যে ধাতু দিয়ে গয়না তৈরি করা হয়েছে, তাতে আপনার অ্যালার্জি আছে।
৯ ঘণ্টা আগে